আমার_গল্পে_তুমি ৩৪_পর্ব
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
,
আর্দ্র দরজা খুলে দিতেই সবাই ভিতরে ঢুকলো, অনিক অন্তরা কে কোলে নিয়ে সাবধানে সোফায় বসায়ে দিলো, আর বেবি অন্তরার মায়ের কোলে পরশ আকাশের হাত ছেড়ে দিয়ে লাফাতে লাফাতে গিয়ে সোফায় বসে পড়লো,, এতেমধ্যে সবাই দরজা দিয়ে ভিতরে চলে গেছে তখনি রোজা আর আকাশ একসাথে ঢুকতে গেলে বেঁধে গেলো কেননা দরজা দিয়ে তো আর একসাথে দুজনে ভিতরে যাওয়া যাবে না তার উপর আবার দুজনেরই হাতে ব্যাগ,, আরে কি করছেন টা কি সরুন আমি আগে ভিতরে যাবো।
আপনি কি খান বলেন তো এতো মোটা যে এতোবড় একটা দরজা দিয়ে ঢুকতেই পারছেন না।
রোজা রেগে কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,, কি আমি মোটা?? আমি মোটেও মোটা নই একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন ছোট হাতি একটা,, এটা বলে রোজা আকাশকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে চলে গেলো।
মেয়েটা আমায় কি বলে গেলো আমি ছোট হাতি?? সত্যি নাকি?? নাহ কাল থেকেই জিমে যেতে হবে,, এমন আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে ভিতরে গেলো আকাশ।
আর্দ্র ইয়ানা কোথায় ওকে বাড়িতে এনেছো তো?? আর ও ঠিক আছে তো? মেয়েটা সত্যি অনেক ভালো আজকের ওর জন্যই আমি আর আমার বেবি ভালো আছি।
হ্যাঁ আর্দ্র ইয়ানা কই? এতোক্ষণ হয়ে গেলো আমরা এসেছি ওকে তো একবার ও দেখলাম না কোথায় ও??
কোথায় আবার থাকবে মহারানি তো আরাম করে বিছানয়া শুয়ে আছে আর এদিকে আমার জীবন যায় যায়,,, আরে মা, ভাবি তোমরা একটু শান্ত হয়ে বসো তো ও ঠিক আছে শুধু ওই পায়ে একটু কেটে গেছে তাই হাঁটতে সম্যসা হচ্ছে এই জন্যই ওকে রুমে শুইয়ে দিয়ে আসছি, তোমরা বসো আমি ওকে নিয়ে আসছি।
ধূর বসে থাকতে থাকতে কমর ধরে গেলো ওনি গেলো তো গেলো আসার নামে কোনো খোঁজই নেই, বিছানা থেকে নামলে আবার বলবে,, তোমাকে বলেছি না বেড থেকে একদম নামবে না তারপরেও নামলে কেনো ,, ইডিয়ট মেয়ে একটা,, এগুলা ভাবতে ভাবতেই আর্দ্র রুমে আসলো,, কি ব্যাপার এখনো মুখ গোমরা করে বসে আছো কেনো??
তো হাসবো নাকি, আপনি আমার ড্রেস চেঞ্জ করলেন কেনো?? আমার পা কেটেছে হাত নয় ওকে, আমি নিজের টা নিজেই করতে পারি।
এই শোনো আমার ইচ্ছে তোমার ড্রেস চেঞ্জ করবো নয়ত আবার তোমাকে ড্রেস ছাড়া আমার সামনে দাঁড় করবিয়ে রাখবো কেননা আমি তোমার বর আর আমার হক আছে বুঝলে। এখন চলো তো নিচে সবাই আসছে তোমাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে গেছে যেনো নতুন বউ।
ইয়ানা আর্দ্রের কথা শুনে পুরাই হ্যাং হয়ে গেছে ওনি এসব কি বলল ছিঃ লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছে নাকি,,, আর্দ্র ইয়ানা কে ধরে বেড থেকে নামিয়ে দাঁড় করালো, শোনো আমি এখন তোমাকে কোলে নিতে পারছি না কেননা নিচে সবাই আছে তুমি বরং আমার হাত ধরো আমি তোমায় নিয়ে যাচ্ছি পারবে তো হাঁটতে??
আমি যেনো আপনার কোলে উঠার জন্য একেবারে নাচানাচি করছি, আপনি আমায় না ধরলেও আমি যেতে পারবো ওকে?
হুম সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি। তারপর আর্দ্র ইয়ানাকে ধরে আস্তে আস্তে নিচে নিয়ে গেলো। ইয়ানাকে আসতে দেখে অন্তরা আস্তে করে দাঁড়িয়ে ইয়ানাকে জড়িয়ে ধরল,, আমি তোমার রিণ কখনোই শোধ করতে পারবো না বোন সত্যি আমি তোমার কাছে আজীবন রিণী থাকবো আচ্ছা তোমার শরীল কেমন এখন, আর্দ্র ডাক্তার দেখিয়েছে তো???, এভাবে সবাই মিলে ইয়ানাকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল।
আরে তোমরা থামো থামো আমি আল্লাহর রহমতে একদম ভালো আর সুস্থ আছি, আর আপু তুমি এই শরীল নিয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো পেটে চাপ পরবে তো, তুমি বসো তো আমি বরং আমাদের পিচ্ছি কে দেখি,, ওমা এতো দেখি ঘুমিয়ে আছে।
হ্যাঁ কিউটিপাই জানো তো বুনু না সব সময়ই শুধু ঘুমায় আমার সাথে একটুও খেলা করে না, ভাবছি বুনুর সাথে আড়ি করে দেবো।
কি বলোতো চাম্প বুনু তো এখন অনেক ছোটো একেবারে ছোট্ট বাবু তাই জন্য বুনু শুধু ঘুমায় আর কয়মাস যেতে দাও তখন দেখবে বুনু আর ঘুমাবে না শুধু তোমার সাথে খেলবে আর তোমার চুল টানবে।
হুম আমিও বুনুকে চকলেট কিনে দেবো,, পরশের কথা শুনে সবাই হেসে উঠল,, এভাবে দেখতে দেখতে আরো কয়েকটা দিন কেটে গেলো, এখন ইয়ানার পা মুটামুটি ভালো ব্যান্ডেটটা খুলে দিয়েছে শেলায় ও কেটে দিয়েছে তবুও এখনো বেথ্যা আছেই,, আর্দ্র এখন অফিসে তবে অনিক আজকে অফিসে যায়নি, গিছিলো একটু সময় থেকে আবার চলে এসেছে,, অনিক আর অন্তরার এক কথায় দুই কথায় ঝগড়া লেগে গেছে।
আরে যাও যাও তোমাদের আর কি কাজ সারাদিন বাড়িতে বসে বেবি দেখবা রান্না করবা আর শুধু সাজুগুজু করবা এই তো, এটা আবার কোনো কাজ হলো নাকি এটা তো আমার বা হাতের কাজ,, আর আমাদের কত কাজ জানো?? অফিসে বসে হাজারটা কাজ করা লাগে অনেক বড় বড় মানুষদের সাথে মিটিং করা কতটা কষ্টের জানো??
বাদ দাও তো শোনো আমিও যদি তোমার মতো কাজ শিখি তাহলে আমিও তোমার সব কাজ করতে পারবো তবে তুমি কখনোই আমার কাজ করতে পারবে না বুঝলে,, শোনো একটা মেয়ে চাইলে একা হাতে দুইটা বেবিকে মানুষ করতে পারে তবে একটা ছেলে তা পারে না,, আরে তুমি তো সামান্য রান্নাটাই করতে পারবে না আবার এতো বড়বড় কথা।
কিহ এতোবড় অপমান অনিক ভাইয়া আপনি এটা কখনোই মেনে নেবেন না আপনিও দেখিয়ে দেন ছেলেরা ও পারে যদি তারা চেষ্টা করে,, রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল আকাশ।
ঠিক বলেছো সালাবাবু, আজকে তোমার আপুকে দেখিয়ে দেবো যে আমরাও রান্না করতে পারি আর সেটা মেয়েদের রান্নার চেয়েও অনেক সুন্দর হবে।
তাহলে হয়ে যাক বাজি। আজকে আমরা মেয়েরা একজনও রান্না করবো না আজকে রাতের খাবারটা তোমরা মানে ছেলেরা করবে রাজি??
র,,রান্না, ওকে করবো এ আবার কি কঠিন কাজ তাইনা আকাশ??
তাতো বুঝলাম, তবে আমি তো রান্নার র ও জানি না কেমনে কি করবো?
আরে ইউটিউব আছে না ওখান থেকে দেখে একদম ফাটাফাটি একটা রান্না করে ফেলবো বুঝেছো, সালা।
কিহ???
না মানে সালাবাবু,,, আকাশ আর অনিক এর কথা শুনে অন্তরা মিটমিট করে হাসছে কেননা অন্তরা ভালোই বুঝতে পারছে আজকে ওদের তো বারোটা বাজবেই আবার রান্নার ও বারোটা বাজবে।
,,,,,,,,,
এই আকাশ তুমি যাও না ভিতরে, শোনে তুমি যাবা আর আর্দ্র কে বাজির কথাটা বলে ফেলবা সিম্পল এতে আবার ভয় পাওয়ার কি আছে।
সেটা তো আপনিও করতে পারেন অনিক ভাইয়া আর আর্দ্র ভাই তো আপনার ছোট ভাই আপনিই বরং জান তাহলে ভালো হবে,, আপনি গিয়ে একটা বড় ভাই বড় ভাই লুক দিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে রান্নার কথাটা বলবা দেখবা আর্দ্র একেবারে ভয় পেয়ে গলে যাবে।
গলবে না ছাই ও আমার ভাই ছোট বেলা থেকে ওকে হাড়ে হাড়ে চিনি ও যে কেমন সেটা আমি ভালো করেই জানি,, ফিসফিস করে বলল অনিল, আসোলে আর্দ্র একটু আগেই অফিস থেকে ফিরেছে আর ইয়ানা এখন রুমে নেই বেবির কাছে গিয়েছে তাই এই সুযোগে আকাশ আর অনিক আর্দ্র কে মানাতে এসেছে, কিন্তহ দুজনের একজনের ও ভিরতে যেতে সাহস হচ্ছে না ,, ওরা দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে প্ল্যান করছিলো কে আগে ভিতরে যাবে তখনি কেউ পিছন থেকে ওদের দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে পাঠিয়ে দিলো,
চলবে,,৷।
,,প্লিজ কেউ বলবেন না যে ছোট হয়েছে, আমি অনেক অসুস্থ অনেক কষ্টে গল্পটা লিখেছি, কি যে লিখেছি নিজেও জানিনা,, রিচেক করা হয়নি, ভুল ক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন,,
আমি বুঝলাম না আপনারা গল্পের লাস্ট পার্ট সহ কেন পোস্ট করেন না ,
আমরা এত ব্যস্ততম জীবন থেকে কিছু সময় বের করে গল্প পড়ি,
এখন লাস্ট পার্ট কোথায় খুজবো ???
আমার এই কমেন্টস এর জবাবটা দিলে আমি খুশি হব
Last part akhono daini… Sei pray 3 4 din dhore wait korchi