সুখের নেশায় পর্ব-২৬

0
2373

#সুখের_নেশায়
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব___২৬

প্রতি/শোধ? প্রেম অস্ত্র? শব্দগুলো তীক্ষ্ণভাবে কর্ণে বিঁধছে চৈত্রিকার। হালকা লাল,নীল,হলদে দীপ্ততায় সাফারাতের মুখের কাঠিন্য ভাব চৈত্রিকার শ্বাস আঁটকে দিচ্ছে। ভেঙে পড়েছে মেয়েটা আজ সম্পূর্ণভাবে। যাকে আঁকড়ে ধরে সুখ খোঁজার চেষ্টা করে, সেই মানুষটাই কষ্ট দেয় বেশি। দুমড়েমুচড়ে দেয় অন্তর। চৈত্রিকার মনে হচ্ছে আজ তার বেঁচে থাকার কোনো কারণ নেই। কি করে এই প্রতি*শোধের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসবে ও?সাফারাত কি ভালোবাসে নি তাকে?অভিনয় করেছে মাত্র। কিভাবে মুছে দিবে অতীত থেকে সেই তিক্ত স্মৃতিটুকু! সাফারাতের বুকে মাথা এলিয়ে দিল। কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া করছে না সাফারাত। চৈত্রিকার মনে পড়ছে সেই দিনটা। যেদিন নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে অন্যের সাথে প্রেমের বন্ধনে জড়িয়ে দেবার তীব্র প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।

ইকোনমিকস প্রাইভেটের জন্য সকাল সকাল কলেজে এসে হাজির হলো চৈত্রিকা। আজ মনটা ভালো না একদম। গতরাত থেকে ইচ্ছে করছিল বাবার সাথে একটু কথা বলার। কিন্তু সাহস করে উঠতে পারে নি। তাছাড়া অন্য চিন্তায় ঘুম হারাম ওর। ব্যাগ রেখে বাহিরে এসে দেখে সাফারাত কলেজের একপাশে করা ফুল বাগানের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চৈত্রিকা মিষ্টি হেসে বলে উঠল,
‘গার্লফ্রেন্ডের জন্য ফুল চুরি করার ধান্দা? ‘
‘ না। গার্লফ্রেন্ডে এলার্জি আছে আমার। ‘
দুষ্ট হেসে প্রতুত্তর করে সাফারাত। চৈত্রিকা বাঁকা হেসে বললো,
‘ তাহলে আমি কি?’
‘ তুমি তো চৈত্র মাস। যাকে আমি কিস করতে পারব না। যখন তখন জড়িয়ে ধরতে পারব না। আর,,,!’
সাফারাত চৈত্রিকার মুখে দেখে কথাগুলো অসমাপ্ত রেখে দিল। মেয়েটার ফর্সা গাল দুটো টসটসে লাল হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে। মাথা চুলকে বললো,
‘ এইবার বুঝলে? ‘
চৈত্রিকা ঠোঁট উল্টে বলে উঠল,
‘ বুঝলাম। তবে আমাদের ক্লাসের সুন্দরী সিনথিয়া তো তোমার জন্য পাগলপ্রায়। ওকে গার্লফ্রেন্ড বানালেই তো পারো। কিস করতে পারবে কিন্তু! ‘
কথাটা বলেই চৈত্রিকা দাঁত কেলায়। সাফারাত ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,
‘ মন টানে না। ‘
‘ আমার টানে জানো?’
‘ হোয়াট?’
ভ্রুঁ উঁচিয়ে চাইল সাফারাত। দৃষ্টি প্রশ্নবিদ্ধ। চৈত্রিকার মুখের অবস্থা থমথমে। আমতা আমতা করে বললো,
‘ আরে সিনথিয়ার প্রতি না। সামনের ফুলগুলোর প্রতি। আমার খুব ইচ্ছে আমার জীবনে প্রণয়ের আরম্ভ টা ফুল দিয়ে হবে। ‘
‘ প্রেমে পড়লে নাকি চৈত্র মাস?’
‘ উহু!এমনি এমনি ফিলিংস। ‘
সাফারাতের হাসি পেল। চৈত্রিকা যদি রেগে যায় তাই অন্যদিকে চেয়ে হাসল। ঠিকি চৈত্রিকা দেখল তা। রাগ হলো কিঞ্চিৎ।

টিফিন টাইমে বেঞ্চে মাথা দিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে সিনথিয়া।সবাই সেদিকে চেয়ে কানাঘুঁষা করছে। চৈত্রিকা এগিয়ে গিয়ে মাথায় হাত রাখে। সিনথিয়া আর ও একই স্কুলে একসাথে পড়ালেখা করেছে। খুব বেশি ক্লোজ না হলেও ভালো বন্ধুত্ব। চৈত্রিকা মাথায় হাত রেখে মলিন স্বরে জিজ্ঞেস করে,

‘ কাঁদছিস কেন?’

মাথা তুলে তাকালো সিনথিয়া। চোখ মুখ ফুলেফেঁপে একাকার মেয়েটার। অশ্রুসিক্ত কন্ঠে উত্তর দিল,

‘ কাঁদব না তো কি করব?তোর ওই বন্ধু সাফারাত আমাকে একটা কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না। এতো অহংকার ওই ছেলের। আমি কি করব চৈত্র? আমার অনেক কষ্ট হয়। আমি ওরে ছাড়া থাকতে পারমু না। প্লিজ তুই একটা বার কথা বলার ব্যবস্থা করে দে বইন। ‘

চৈত্রিকা কিয়ৎক্ষণ ভাবল। সাফারাতকে অনেক বার বলেছে, বুঝিয়েছে। কিন্তু ওই ছেলে কোনোমতেই কথা বলতে পর্যন্ত রাজি না। চৈত্রিকা ব্যতীত কোনো মেয়ের সাথেই কথা বলে না। সাফারাতের হাসি,মুগ্ধময় স্বর সবই চৈত্রিকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। চৈত্রিকা শুনেছে গম্ভীর ছেলেগুলো ভালোবাসে বেশি। একদম মাখোমাখো প্রেম হয় ওদের। একবার যদি সিনথিয়ার সাথে সেট করে দিতে পারে তাহলে দুই বন্ধুর ঘটকালি করার সুযোগ হবে একটা সময়। আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে চট করে একটা বুদ্ধি উড়ে এসে চৈত্রিকার মস্তিষ্কে বসল। সিনথিয়ার কানে কানে কিছু একটা বলে উৎফুল্ল হাসে।

কলেজ ছুটি শেষে সাফারাতকে ধরে বেঁধে এক প্রকার জোর করে একটা খালি ক্লাসে নিয়ে এলো চৈত্রিকা। কি একটা বিষয় নাকি বুঝতে পারে নি এটা যেন সাফারাত বুঝিয়ে দেয়। সাফারাত কোনোরকম বিরক্ত প্রকাশ না করে সাথে আসল। এই ক্লাসরুম টা ছোট। জরুরি দরকার ছাড়া এটাতে ক্লাস করানো হয় না। চৈত্রিকা একটা খাতা বের করে ব্যাগ টা রেখে খালি বোতল হাতে নিয়ে বলে উঠল,

‘ তুমি বসো। আমি পানি নিয়ে আসছি। ‘

সাফারাত মাথা নাড়ে। চৈত্রিকা দ্রুত পায়ে বেরিয়ে এসে আড়ালে গিয়ে ডাকে সিনথিয়াকে। তড়িঘড়ি করে বলে,

‘ জলদি যা। আমি খেয়াল রাখছি কেউ আসে কিনা। আজ রাজি করিয়েই ফেলিস বোন। যদি না পারিস সাফারাত কিন্তু আমায় এই কান্ডের জন্য ছেড়ে দিবে না। ‘

সিনথিয়া খুশিতে জড়িয়ে ধরল চৈত্রিকা কে। তৎপরে ছেড়ে দিয়ে রুমে ঢুকে যায়। সাথে সাথেই বাহির থেকে দরজা আঁটকে দেয় চৈত্রিকা। এছাড়া উপায় নেই। বদ্ধ রুম ছাড়া সাফারাতের সাথে কথা বলার সুযোগ পাবে না সিনথিয়া। সাফারাত দিবে না। টেনশনে হাঁটু কাঁপছে রীতিমতো। চৈত্রিকা ব্যস্ত পায়ে পায়চারি করছে কলেজ প্রাঙ্গণে। ভিতর হতে কোনো সাড়া পাচ্ছে না। প্রায় তিন মিনিট কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে নিজেদের বাড়ির একটা পিচ্চি ছেলেকে দৌড়ে আসতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ল চৈত্রিকা। কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো,

‘ কি হয়েছে? তুই এখানে কেন?’

ছেলেটা হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,

‘ তোমার আব্বারে হসপিটালে লইয়া গেছে। জলদি চলো। তোমার মা পাঠাইছে আমারে। ‘

ভূতল কেঁপে উঠল চৈত্রিকার। আশেপাশের সবকিছু ভুলে ছুটে চলে আসে বাড়িতে। ভুলে যায় দু’টো মানুষকে বন্দি রেখে গিয়েছে ও।

সাফারাতের শার্ট খামচে ধরল দুর্বল হাতে বিষাক্ত স্মৃতি হতে বেরিয়ে। সাফারাতের মুখভঙ্গি শক্ত, কঠিন। চৈত্রিকা ফুপিয়ে উঠল মুহুর্তেই। সে জানে না সেদিন কি হয়েছিল, তবে ও ভালোবাসে। ভীষণ ভালোবাসে সাফারাতকে। সাফারাত ওর স্বামী। আবেগের বয়সে নিজের অনুভূতি বুঝতে পারে নি। কিন্তু কি এমন হয়েছিল যার কারণে সাফারাত দূরে চলে গেল বন্ধুত্বের বন্ধন ভেঙে? সত্যিই সাফারাত প্রতি*শোধ নেওয়ার জন্য ফিরে এসেছে?চৈত্রিকার ভিতরটা ব্যাথায় জর্জরিত হয়ে উঠেছে। সাফারাতের বুক থেকে মাথা তুলে সিনথিয়ার দিকে অশ্রুসিক্ত আঁখিযুগল নিক্ষেপ করল। গলায় কান্নাগুলো দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। বহু কষ্টে প্রশ্ন করল,

‘ কি হয়েছিল ওইদিন? দয়া করে খুলে বল আমাকে। ‘
‘ সিনথিয়া কেন বলবে?আমি বলব আপনাকে। সবকিছু আমি বলব। আপনি তো চেয়েছিলেন সিনথিয়ার সাথে আমার প্রেম হোক তাই না?’

সাফারাতের কঠিন গলায় শেষের বাক্য টা শুনে চৈত্রিকার বক্ষস্থল কেঁপে উঠল। তবে কি সেদিন না বুঝে করা ভুলের জন্য ওদের মাঝে কিছু হয়েছে?করুন দৃষ্টি নিবদ্ধ করল সাফারাতের পানে। কিন্তু সাফারাত বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করল না। হাত টা ধরে টান দিয়ে পা বাড়াতেই চৈত্রিকার পড়ে যাওয়ার উপক্রম। এক পা ও নড়ার শক্তি টুকু নেই মেয়েটার। সাফারাত বিরক্তিকর নিঃশ্বাস ফেলে এগিয়ে এসে পাঁজা কোলা করে চেয়ারে এনে বসালো। সিনথিয়া এগিয়ে এলো পিছু পিছু। সাফারাত সিনথিয়াকে চেয়ারে বসতে বলে নিজে একটা চেয়ার টেনে চৈত্রিকার মুখোমুখি বসল। চৈত্রিকার দিকে চেয়ে গম্ভীর স্বরে বলতে শুরু করে,

‘ সেদিন আপনার কাছ থেকে এমনটা আমি মোটেও আশা করি নি। আপনার জন্য আমার মা নিজের পরিবার, কলেজের শিক্ষকদের সামনে ছোট হয়েছে। বদ্ধ সেই রুমে সিনথিয়া যখন এগিয়ে এসে আমার হাত টা ধরেছিল আমার ওই মুহূর্তে আপনাকে খু/ন করার ইচ্ছে জেগেছিল চৈত্র। সিনথিয়ার অশ্রু আমার হৃদয় নাড়াতে পারে নি কিন্তু আপনার আমার সাথে করা কান্ডটা,ধোঁকা দেওয়াটা আমাদের বন্ধুত্বে আঘাত হেনেছিল। ‘

কথাগুলো বলে একটু থামল সাফারাত। কপালের শিরাগুলো দৃশ্যমান। সিনথিয়া মাথা নিচু করে রেখেছে।

‘ অনেক বার দরজায় করাঘাত করেও কারো সাড়া শব্দ পাই নি। কলেজে তো মেবাইল এলাউ ছিল না। বিকেল শেষ হয়ে সন্ধ্যা হওয়ার পথে। সিনথিয়া সাহস করে আমার কাছাকাছি আসতে পারে নি আর। দূরে বসে ছিল। তখনই দেখলাম মেয়েটার চোখ নিভু নিভু হয়ে আসছে। আমি জানতাম না ওর বদ্ধ রুমে শ্বাস ফেলতে কষ্ট হয়। মেয়েটার অবস্থা বেগতিক দেখে এগিয়ে যায় আমি৷ কাছে যেতেই ও আমার বুকে ঢলে পড়ে। সেই মুহুর্তে একজন দপ্তরি দরজা মেলে দেয়। আমাদের এই অবস্থায় দেখে আঁটকে রাখে। আমি যা বুঝার বুঝে গেলাম। উনি আমাদের ব্যাপার টা খারাপ ভাবে নিয়েছেন। অনেক বুঝিয়েও লাভ হয় নি উনাকে। একটা বদ্ধ রুমে দু’টো ছেলেমেয়ে একে অপরের কাছাকাছি নিশ্চয়ই ভালোভাবে নিবে না কেউ? প্রিন্সিপাল স্যার সহ বাকি অনেক টিচার আসলেন। আমার বাবা-মা, সিনথিয়ার বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়। কলেজের মান সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে তাই চুপিচুপিই খবর পাঠালেন। তবুও এলাকায় পাঁচ কান হয়ে গেল৷ কিছু সর্দার সাজা লোকেরও আগমন ঘটল। আমার মা’কে বলা হলো তিনি ছেলে মানুষ করতে পারেন নি। চরিত্রহীন ছেলে পুষেছেন। মেয়েদের ফুসলিয়ে রুমে এনে জোর করার চেষ্টা করে। এমনকি ধ/র্ষ/ণ শব্দটাও বাদ যায় নি। আমার সব থেকে প্রিয় মানুষ আমার মা তখন চোখে অশ্রু নিয়ে শুধু একবার আমার দিকে তাকিয়েছিল। ছোট্ট করে ধরা গলায় বলেছিলেন — ‘ আমার ছেলে এমন না। ‘

কিছু লোক তাচ্ছিল্য হেসেছিল প্রতুত্তরে। সিনথিয়া ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মুখ খুলে বলেছিল একবার সবাই যা ভাবছে তেমন কিছুই না। ও আমাকে পছন্দ করে নিজ থেকে আমার সাথে জোর করে কথা বলতে এসেছে এটাও জানায়। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে নি। বাহির থেকে লক করা ছিল এটা দপ্তরি বললেও সবাই বিশ্বাস করে নি। মুখে মুখে এটাই ছিল দু’জন একা রুমে কি করছিলাম ছুটির পর?নিশ্চয়ই প্রেম অথবা অসভ্যতামি,নোংরামি ?আমার মন একটাবারও সায় দেয় নি আপনার নামটা নেওয়ার। শত হোক মায়ের পরে আমার মনে জায়গা নেওয়া দ্বিতীয় নারী ছিলেন আপনি। সিনথিয়ার বাবা গলা উঁচিয়ে বলেছিলেন উনার মেয়েকে নিয়ে কি করবেন উনি। কিভাবে মুখ দেখাবে সমাজে? একটা সঠিক বিচার যেন হয়। বিচার?হ্যাঁ দোষ না করেও বিচার হয়েছিল সেদিন আমার। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় আমার ও সিনথিয়ার বিয়ের। একটা ছেলের সাথে ধরা খাওয়া মেয়েকে ঘরে তুলবে না কেউ এটা ধারণা ছিল সিনথিয়ার পরিবারের। বিয়ে টাই যেন সঠিক সমাধান মনে হয়েছে উনাদের।

বিয়ে?আট বছর আগে সেদিন কি সিনথিয়া,সাফারাত এর বিয়ে হয়েছিল?তবে কি সিনথিয়া সাফারাতের প্রথম স্ত্রী? প্রতি/শোধ নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রী বানালো ওকে? চৈত্রিকার মনে হচ্ছে তার শ্বাস রোধ করে ফেলছে কেউ। চোখ নিভে আসছে। একেবারে বন্ধ হবার আগে সাফারাতের মুখ টা ভেসে উঠল চক্ষে। দেখল সাফারাত হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ওর দিকে। তা আঁকড়ে ধরার পূর্বেই চেয়ার থেকে মেঝেতে ঢলে পড়ল নরম দেহ টা তৎক্ষনাৎ।

#চলবে,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আজকের পর্বেও পুরোপুরি রহস্য উন্মোচন করতে পারি নি। আগামী পর্বে সম্পূর্ণ রহস্য উন্মোচন করে দিব। যেহেতু রোজা রেগুলার গল্প দেওয়াটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবুও তাড়াহুড়োয় যতটা সম্ভব হয়েছে লিখেছি। শব্দ সংখ্যা ১৪৫২। ভালোবাসা সবার জন্য ❤️❤️❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here