ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বৌ♥
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 8
!
কি ফাজিল ছেলেরে বাবা এখনি এতো ফিউচার তো সামনে পইরা রইছে,
!
কি হলো পাপা চুপ করে আছো কেন?
আমাকে চকলেট দাও?
!
এখন নেই তো বাবা একটু পরে কিনে দিবো নি,
!
আচ্ছা পাপা,
কিন্তু আমার মাম্মাম কোই?
!
তোমার মাম্মাম গোসল করে,
!
ওওওওওও মাম্মামের গোসল শেষ হলে তাকে নিয়ে নিচে এসো,
নিচে সবাই মাম্মাম কে খুজে,
!
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে,
!
তারপর নিয়ন চলে যায়,
ও যাওয়ার পর পিচ্চি টা বাথরুম থেকে বের হয়,
দেন আমি ওকে সাড়ি পরিয়ে নিচে নিয়ে যাই,
সেখানে গিয়ে সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করতে বসি,
!
ব্রেকফাস্টে হঠাৎ নিয়ন টা এসে পিচ্চির কোলে উঠে বলে,
!
মাম্মাম তোমার বেবি হলে, তুমি কি আমাকে কম আদর করবে?
!
না বাবা তোমাদের দুজন কেই আমি সমান ভাবে আদর করবো,
!
সত্যি?
!
হ্যা বাবা,
!
তারপর মিশকা নিয়ন কে খাইয়ে দেয়,
ওমা গো মা ছেলের কি প্রেম?
কিন্তু বাবা মায়ের প্রেম কবে হবে?
!
কি হলো বাবা কি ভাবছিস?
!
কিছুনা আব্বু,
!
তাহলে খাচ্ছিস না কেন?
!
এই তো খাচ্ছি,
!
ভাইয়া তোমার প্লেট টা দাও তো?
!
এই নাও,
!
দেখি তো হা করো?
!
তারপর আমার পিচ্চি বৌ আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয়,
বৌয়ের হাতে তৃপ্তি করে খাচ্ছি দেখে সবাই আমাকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে,
সবার মজা থেকে বাচঁতে আমি আমার পিচ্চি বৌ কে নিয়ে রুমে পালিয়ে আসি,
বিকেলে নিয়ন কে নিয়ে আমরা ঘুরতে চলে যাই,
নিয়ন সাফারি পার্ক যাওয়ার বায়না করার আমরা ওকে সেখান নিয়ে যাই,
পার্কে ঘোরাফেরা শেষে,
নিয়ন কে অনেক চকলেট কিনে দিয়ে সন্ধার দিকে বাসায় ফিরে আসি,
!
বাসায় ফিরে এসেই মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায় আমার কারন রিয়া ও তার মাঝবয়সী হ্যাজবেন্ড আমার শশুড় বাড়িতে,
!
আশ্চর্য ওরা খানে কি করছে?
!
তখন আমার আব্বু আমাকে জানান,
রিয়ার হ্যাজবেন্ড আমার দূর সম্পর্কের চাচা হয়,
তো সেই চাচা তার বৌ অথাৎ রিয়া কে নিয়ে আমার বৌ কে দেখতে এসেছে,
কারন তারা আমাদের বিয়ে তে প্রেজেন্ট ছিলেন না তাই,
!
বাট হু কেয়ার্স?
এখন আর আমার মনে রিয়া টিয়া নেই আমার মন জুড়েই আমার বৌয়ের বিচরণ,
তাই তাদের সাথে আলাপ পর্ব সেরে আমি রুমে চলে যাই,
রুমে যেতেই কেউ আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে,
আর আমি তাতে বিরক্ত হতে হই,
হঠাৎ করে আয়নার দিকে খেয়াল যেতেই দেখি,
আর কেউ নয় পেছন থেকে রিয়া আমাকে জড়িয়ে আছে,
তাই তখনি আমি ওকে ছাড়িয়ে ওর গালে ঠাসসসস করে দুটো বসিয়ে দেই,
!
তুমি আমাকে মারলে বেবি?
!
ফালতু কথা মোটে ও বলবে না,
আমি বিবাহিত আর আমি আমার স্ত্রী কে খুবি ভালোবাসি,
!
তা ভালোবাসো বেবি আমার কোনো প্রবলেম নেই,
তবে আমরা আমাদের রিলেশন টা তো কন্টিনিউ করতে পারি তাই না?
চলো না বেবি আমরা লিভ টুগেদারে যাই,
আজ কাল তো প্রায়ই মানুষ লিভ টুগেদারে যায় আমরা ও যাই না বেবি,
দেখোনা আমার এই বুড়ো হ্যাজবেন্ড কে নিয়ে কিছু তেই চলেনা,
ব্যাটা আমার চাহিদা গুলোই বোঝো না,
তাই বলছি আমাদের মধ্যে তো কিছু হয়নি সেগুলো এখন হবে,
আমি তো বলিনি তোমার বৌ কে ছেড়ে দাও?
আরে বাবা আমরা সবকিছু লুকিয়ো টুকিয়ে করবো,
কেউ জানতে পারবেনা আমার হ্যাজবেন্ড ও না তোমার বৌ ওনা,
!
রিয়ার এসব কথা শুনেই মেজাজ রা বিগড়ে যায় আমার তাই আমি আবারো ওর গালে আবারো চড় বসিয়ে যা নয় তাই বলে অপমান করি,
!
তখনি বাহিরে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ হয়,
আর তাই আমি বাহিরে ছুটে যাই,
সেখানে গিয়ে দেখি কফির মগ টা ফ্লোরে পরে আছে,
কিন্তু সেটা নিয়ে আসার মানুষ টা নেই,
তখনি আমি কারো সাড়ির আচল দেখতে পাই,
আর ওটা অন্য কারো সাড়ির আচল না,
আমার পিচ্চি বৌয়ের সাড়ির আচল,
ও কি আমাকে ভুল বুঝে চলে গেল?
ও কি আর আমার কাছে আসবেনা?
!
কি হলো বেবি?
কে ছিলো এখানে?
!
তখনি রাগে ফায়ার হয়ে যাই আমি আর রিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে ওকে নিচে নিয়ে গিয়ে সবার সামনে দু গালে দুটো চড় মেরে বলি,
চাচু তোমার বৌ কে সামলাও মানছি ও আমার গালফ্রেন্ড ছিলো কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কিছু হয়নি যে আমি আবারো ওর নোংরামির টানে ওর কাছে ফিরে যাবো,
!
আমি বিবাহিত আর আমি আমার বৌ কে অনেক ভালোবাসি,
আমার জীবনে শুধু ওই আছে আর আমি শুধু ওকেই ভালোবাসি আর ওকেই ভালোবাস তে চাই আমি,
সো প্লিজ চাচু তুমি তোমার বৌ কে নিয়ে চলে যাও,
আর আমার বৌ কে নিয়ে আমাকে শান্তি তে বাঁচতে দাও,
!
আর তখনি চাচু তার বৌ কে নিয়ে চলে যায়,
আমি চাই নি ওর জীবন টা নষ্ট করতে,
কিন্তু ও আমার জীবন টা নষ্ট করতে উঠে পরে লেগেছে,
ওরি জন্যে আমার বৌ এখনো আমার কাছে শুতে আসেনি,
!
তখনি আমার পিচ্চি বৌ টা আমাদের রুমে চলে আসে,
!
আর আমি ওকে আমার বুকে জড়িয়ে বলি,
তুমি কি রেগে আছো?
!
কেন ভাইয়া?
!
না মানে?
!
তুমি কি ওই মেয়ে টাকে ভালোবাসো?
!
না আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি,
!
তুমি না প্লিজ মিথ্যে বলোনা ভাইয়া,
আমি সব জানি, আমি তো সবি শুনলাম,
কিন্তু এটা বুঝলাম না ও তোমাকে বিয়ে করতে না চেয়ে লিভটুগেদার কেন করতে চাইল,
লিভটুগেদার তো আমাদের কালচার না আর এটা অনেক খারাপ ভাইয়া,
!
কিন্তু তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?
!
কেন কোথায় যাবো?
!
তুমি ওকে বিয়ে করে ওকে নিয়ে থাকলে আমি তো একা হয়ে যাবো তাই না?
তো আমি কি নিয়ে থাকবো?
আমার তোমাকে নিয়ে থাকতে থাকত অভ্যাস হয়ে গেছে,
তাই আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবোনা ভাইয়া,
তাহলে আমার খুব কষ্ট হবে তুমি জানো?
!
হ্যা জানি তাই আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না কোথাও যাচ্ছি না গট ইট,
তুমি আমার আর আমি শুধু তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই,
!
ভাইয়া তুমি কাঁদছ কেন?
প্লিজ কেঁদো না সোনা চলো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি,
!
আমি কাঁদছি তোমাকে হারানোর ভয়ে কারন আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো আর সেটা আমি তোমার আচার ব্যাবহারে লক্ষ করেছি,
তুমি একটু হলে ও তোমার স্বামী কে বুঝতে পেরেছ, স্বামীর মর্ম টা ও বুঝতে পেরেছ তাই আমি তোমাকে ছেড়ে কখনো যাবো না কোথাও যাবো না,
কোথায় যাবো আমি তোমাকে ছেড়ে?
তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই আমার,
!
কি হলো ভাইয়া কাঁদছ কেন?
এতো কাঁদেনা সোনা তোমাকে কাঁদলে মোটে ও ভালোলাগে না ভাইয়া,
আর এতো কি ভাবছ সোনা?
!
কিছুনা সোনা,
আচ্ছা আমি আর কাঁদবো না কেমন?
!
হুমমমম,
যাও গিয়ে দরজা লাগিয়ে আসো আমরা এখন ঘুমোবো,
!
ওকে সোনা,
দরজা লাগিয়ে আমি আমার পিচ্চি বৌয়ের বুকে নাথা রেখে শুয়ে পরি,
এভাবে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর আমি ওর ঠোঁটের কাছে এগিয়ে যাই ওটা দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে,
!
পিচ্চি টা হয় তো এখনি আমাকে বলবে,
ভাই-বোনে এটা করেনা ভাইয়া,
আর আমি বলবো অতো সতো আমি বুঝিনা আমার ওটা চাই মানে আমার ওটাই চাই,
!
কিন্তু আমি ওর ঠোঁটের কাছে যেতেই আমি যা ভাবি ঠিক তার উল্টো হয়ে যায়,
আর বৌ আমাকে বকা দিয়ে বলে,
!
না ঘুমিয়ে বাঁদরামো করছ কেন তুমি?
!
না মানে আসলে……
!
যাও গিয়ে ঘুমাও,
!
তুমি তো জানো আমাকে আদর না করলে ঘুম আসেনা আমার,
তো তুমি আমাকে আদর করে দিবে না বৌ?
তারপর ও আর কোনো কথা না বাড়িয়ে আমাকে ওর বুকে জড়িয়ে আদর করে ঘুম পরিয়ে দেয়,
!
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি পিচ্চি বৌ টা আমার পাশে নেই,
হায় আল্লাহ বৌ আমার অভিমান করে আমাকে ফেলে চলে গেল নাকি?
!
তাই আমি তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে নিচে চলে যাই,
সেখানে গিয়ে দেখি,
!
ভাবি ওকে সোফায় বসিয়ে ওর দু পায়ে আলতা পরিয়ে দিচ্ছে,
পিচ্চি বৌয়ের আলতা রাঙা পা দুটো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে,
তবে খালি খালি পা দুটো দেখতে মুরগির লেগ পিস বলে মনে হচ্ছে,
!
তাই ওর আলতা পড়া শেষ হলে আমি ওকে কোলে তুলে আমাদের রুমে নিয়ে এসে ওর জন্যে uk থেকে আনা পায়েল দুটো পরিয়ে দেই,
আর ও খুশি হয়ে আমার কপালে মিষ্টি করে চুমু একে দেয়,
!
আর আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে ওকে আমার বুকের চেপে ধরি,
তখন ও আমাকে বলে,
তুমি যদি কিছু করো তাহলে আমি এখনি চিৎকার জুড়ে দিবো ভাইয়া,
!
ও বৌ,
বৌ এমন করেনা সোনা,
আমি তোমার স্বামী আমাকে একটু আদর করতে দাও না গো
!
উহহহহহহহহ,
আসছে বললেই হলো?
এতে আদর করো তাতে হয় না নাকি?
তুমি এতো খারাপ কেন ভাইয়া?
!
সারাদিন শুধু আদর করো আদর করো,
এতো আদর আদর করলে বাঁদোর হয়ে যাবে তুমি,
!
দেখো বৌ আমি খুবি ধৈর্য্যহীন মানুষ তাই আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ো না কেমন?
!
আরে তোমার ধৈর্য্য তোমার কাছে রাখো আমি এখন আসি টা টা বাই বাই আমি এখন যাই,
!
বৌ যেতেই আমি আমার মনে দুঃখ্যে গান গেয়ে বলি,
ও বৌ ও বৌ রে তুই অপরাধী রে,
আমার ফিলিংসের তুই তেরো টা বাজা ও তোর ক্ষমা নাই রে,
আমার অনুভূতির সাথে খোলার অধিকার দিলো কে?
বৌ তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাই রে
!
বৌ তোমার সত্যি কোনো ক্ষমা নেই,
!
তুমি শুধু আমার ফিলিংসের তেরো টা বাজা ও তবু ও আয় লাভ ইউ আমার পিচ্চি বৌ😍