#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ৩৮
৯৫.
ক্যালিফোর্নিয়াতে এখন চলছে সামার মান্থ।গত পাঁচদিনে ঝড়ের তাণ্ডব শেষে, আজ এ্যাপার্টমেন্টের ছাদের উপরিতলে সোনালি রোদ হেসে উঠেছে।ব্রাউন কালারের টাইলসের মেঝে রোদের ঝলকানিতে চকচক করে উঠছে। সিলিভিয়া ‘লেইট মর্নিং ওয়াক’ করলো কিছুক্ষণ। বাড়িতে যাওয়ার জন্য গোছগাছ প্রায় শুরু করে দিয়েছে সিলিভিয়া। বেশি নয় দিন’দশেক থাকার পরিকল্পনা করেছে সে। সেখানে আবার তেহভীনও সাথে যাবে।হয়তো তেহভীনকে তার আগেই নিজের কাজে ফিরতে হবে।সীমিত সময়ের ছুটি চোখের পলকেই শেষ হয়ে যায়। তেহভীনের বেলায়ও তেমনটা হয়।এখন তেহভীন সঙ্গে যাচ্ছে তাতে সিলিভিয়ার আপত্তি নেই।কিন্তু পরিবার,প্রতিবেশিকে কি জবাব দিবে সে। এমনিতেই তার নামে বদনামের শেষ ছিলোনা এতোটা বছর। পরিবারকে মানাতে পারলেও,প্রতিবেশিদের মুখ বন্ধ করার মতো কোন অস্ত্র সিলিভিয়ার নেই। বলবে,“ভিনদেশে গিয়ে,ভিনদেশী নাগর জুটিয়ে ফেলেছে।” আবার তেহভীনকে কোন পাঁচ তারকা হোটেলে উঠার কথাও বলতে পারছেনা। যদি সে কিছু মনে করে?
রেলিঙয়ের উপর পড়ে থাকা ফোনটাতে একটা মেসেজ টিউন এলো। সিলিভিয়ার ফোনের যেকোন নোটিফিকেশন চ্যাক করে। অভ্যাস মতো এই মুহূর্তে সে রেলিঙের কাছাকাছি এগিয়ে এসে ফোনটা হাতে তুলে নিলো। অদ্ভুত একটা লেখা চোখে পড়লো। সিলিভিয়া চোখদুটো মেলে গভীর দৃষ্টিতে চেয়ে লেখাটার অর্থ বুঝার চেষ্টা করলো।বুঝতে না পেরে ফোনটা পূর্বের জায়গায় রেখে দিলো। ফুস করে নিঃশ্বাস ফেলে পিচঢালা রোডের দিকে দৃষ্টিপাত করলো। তেহভীন সকাল সকাল বেড়িয়ে গিয়েছে তানজিদের সাথে দেখা করতে।সেখানে তার মাও রয়েছে। তার ড্যাডের সাথে সমস্যা এখনো বিদ্যমান।কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে সেটা বুঝতে পারলো না সিলিভিয়া। কিন্তু বিষয়টা যে জটিল সেটা আন্দাজ করতে পারছে। সিলিভিয়া ছাদ থেকে নেমে গেলো। সুপারশপ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে হবে তাকে। সেজন্য ব্রেকফাস্ট করে তৈরি হয়ে বেড়িয়ে গেলো সুপারশপের উদ্দেশ্যে।
৯৬.
রাত দেড়টা। ডিনার শেষে কোডিং এর কাজ করছিলো সিলিভিয়া। গতকাল তার বদলে তেহভীন করে দিয়েছিলো কোডিং।আর সে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলো। আজ তেহভীন নেই,তাই নিজের কাজটা সেরে নিচ্ছে সে।ইনকামটা ভালোই হচ্ছে সিলিভিয়ার। টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তিত হতে হচ্ছেনা।বিদশে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের মূল্যও খুব।অনেকক্ষণ পর চোখের পাতা ভারী হয়ে এলো তার। হাতের আঙুল টনটনে ব্যথা করতে লাগলো। কাউচে শুয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে যেই পিঠ রাখতে যাবে, তখনি কলিংবেলটা বেজে উঠলো। সিলিভিয়া বিরক্তবোধ করলো খুব।এ সময়ে হুট করে কেউ আসার কথাও নয়। কিন্তু কে হতে পারে সেটা ভেবে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। লুকিং গ্লাসে চোখ রাখতেই তেহভীনের মুখটা দৃষ্টিগোচর হলো। তৎক্ষনাৎ দ্রুত গতিতে সিলিভিয়া দরজা খুলে ফেললো৷ তেহভীনের দিকে চেয়ে মৃদু হাসলো। সিলিভিয়া বলল,
— আমাকে মিস করছিলে? চলে এসেছো যে?
তেহভীন প্রতিউত্তর করলো না। অদ্ভুত ভাবে হাসলো শুধু। এক মুহূর্তের জন্য তেহভীনের হাসিটা অচেনা মনে হলো সিলিভিয়ার। সিলিভিয়া ভেতরে আসতে আসতে আপাদমস্তক একবার তেহভীনের সর্বশরীরে দৃষ্টি বুলালো। হঠাৎ দৈহিক কাঠামো,অঙ্গবঙ্গি প্রদর্শনে ভিন্নতা খুঁজে পেলো সিলিভিয়া। চোখে অতিরিক্ত ঘুম এবং মনের ভুল ভেবে বিষয়টাকে পাত্তা দিলো না। দরজা আঁটকে সর্শরীর ঘুরে কাউচের দিকে এগোতেই ঝট করে একটা হাড়- মাংসে গঠিত শরীরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ অবস্থায় আবিষ্কার করলো সিলিভিয়া। এতোদিনের সম্পর্কে আজই প্রথম তেহভীনের এমন স্পর্শ অনুভব করলো সে। কেমন অপ্রীতিকর আচরণ মনে হলো তার। সিলিভিয়া শরীরের জোর দিয়ে নিজেকে তেহভীনের থেকে ছাড়িয়ে নিলো। ভ্রুঁ কুঁচকে বলল,
—- আর ইউ ড্রাংক তেহভীন?
তেহভীন দু’দিকে মাথা নাড়ালো। জবাব দিলো না। তেহভীনের মৌনতা মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো সিলিভিয়ার।তারপরও নিজেকে সামলে সে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে তুললো সে। সিলিভিয়া বলল,
— তুমি নিশ্চয় খেয়ে এসেছো?
তাহলে যাও শুয়ে পড়ো। আমার ঘুম পাচ্ছে অনেক।
কথাটা বলতে বলতে সিলিভিয়া নিজের কপালে ঘামের অস্তিত্ব অনুভব করলো। এই মুহূর্তে হঠাৎ কেন যেনো তেহভীনের উপস্থিতি তার ভালো লাগছে না। শরীর ভয়ে চমচম করছে। অজানা আতঙ্কে মন বিষিয়ে উঠছে। সিলিভিয়া নিজের কামরায় যাওয়ার জন্য পদযুগল বাড়াতে হাতে শক্ত একটা টান অনুভব করলো সে। তেহভীন চুপচাপ সিলিভিয়াকে নিজের দিকে টেনে আনলো। সিলিভিয়ার গায়ে অদ্ভুত ভাবে হাত বুলাতে লাগলো। সিলিভিয়ার মস্তিষ্ক হঠাৎ ইঙ্গিত করলো সামনে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটি তার সাথে দূরত্ব কমিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত রেখে ঘনিষ্ঠ হতে চাচ্ছে। বুকটা ধড়ফড় করে উঠলো সিলিভিয়ার। নিজেলো ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলে তেহভীন ফিসফিস কন্ঠে বলল,
— আ’ই রিয়েলি লাভ ইউ!
সিলিভিয়া ঢোক গিলে ফেললো।মস্তবড় একটা ভুল করে ফেললো সেটা এই মাত্র বুঝতে পারলো। তার সামনে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটি তেহভীন নয় এটা বুঝতে অনেকটা দেরী করে ফেললো সে। এজন্যই আচরনে এতোটা ভিন্ন খুঁজে পাচ্ছিলো সে এতক্ষণ। গলার স্বর আঁটকে আছে তার। এজন্য এতোক্ষণ অচেনা ব্যাক্তিটি কথা না বলে চুপ ছিলো। তেহভীন হলে এতক্ষণ কখনো চুপ থাকতো না।’সিলভার ‘সিলভার বলে কতো কথা বলে ফেলতো ইতিমধ্যে। এতো বড় ব্লান্ডার! তার আরো আগেই বুঝা উচিত ছিলো, তেহভীন কখনো এতোটা বাজেভাবে তাকে স্পর্শ করবে না। উফফ!
সিলিভিয়া কিভাবে পরিস্থিতি হেন্ডেল করবে ভাবতে লাগলো। সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েই যে সামনের ব্যাক্তিটি তার সাথে ছলনা করতে এসেছে সেটা সে এখন বুঝতে পারলো। সিলিভিয়া ঝট করে সরে দাঁড়ালো। তাতে অচেনা লোকটি কৌতূহলী হয়ে তাঁকালো।সিলিভিয়া লোকটির মুখে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে গাঢ় চোখে তাকালো। নিশ্চয় হাইপার-রিয়ালেস্টিক ফল’স ফেস লাগিয়েছে মুখে।এজন্যই চেহারাটা এতক্ষণ তেহভীনের মতো দেখাচ্ছিলো। কতো বড় ডেঞ্জারাস।
মুখের অভিব্যাক্তি বুঝা বড্ড কঠিন। কৃত্রিম চেহারার আবরণে মানুষটির পরিচয় পাওয়ার সর্বস্ব চেষ্টা চালাবে সে। চোখের ঘুম হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো এতক্ষণে। আচমকা একটা জিনিসের কথা মনে পড়লো সিলিভিয়ার। যেটা তেহভীন দিয়েছিলো তাকে।একটা ঔষধ।সিলিভিয়া জোরেসোরে নিঃশ্বাস টেনে নিজের কামরায় যেতে লাগলো।যেতে যেত বলল,
— তুমি বসো,আমি আসছি একটু।
লোকটি দাঁড়ালো না। সিলিভিয়ার পেছন পেছন দৃঢ়পায়ে এগিয়ে যেতে লাগলো। অপেক্ষা করা সম্ভব নয় তার। অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে নিজেকে সিলিভিয়ার জন্য তৈরি করে তুলেছিলো এতদিন। এতোদিনের পরিশ্রম বিফলে যেতে দিবে না। এই একটা মেয়ের প্রতিই তার নেশা-আকর্ষণ দিনকে দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ তো সিলিভিয়ার প্রমিকরূপে হাজির হয়েছে এখানে।দেখা যাক,কি করে বাঁচে সে।ঠোঁটের কোণে ক্রুর হাসি ফুটে উঠলো জেরিন্ডেলের। ভেবেছিলো সিলিভিয়াকে ছেড়ে দিবে,কোন প্রকার টিজ করবে না। কিন্তু তার টার্মটা তাকেই টিজ করা ছাড়লো না। হো/মো/সে/**য়েল এর মতো ব্যাপারটা তার এতদিনের লালিত চাহিদা।সে সেটা সর্বক্ষণ মিটিয়ো এসেছে।এবার তো নেশা চেপেছে।
জেরিন্ডেল সিলিভিয়ার কামরার দরজাটা ভেতর থেকে লকড করে সিলিভিয়ার পেছনে এসে দাঁড়ালো। মাথা হালকা ঝুকিয়ে সিলিভিয়ার চুলের ঘ্রাণ শুঁকলো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কি হলো বুঝতে পারলো না জেরিন্ডেল। সিলিভিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে আকস্মিক ভাবে একটা ইনজেকশন পুশ করে দিলো। জেরিন্ডেল অনুভব করলো তার হাত পায় অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপছে। কেমন যেনো নিসপিস করছে হাত’পা। ধীরে ধীরে হাত’পা অবশ হয়ে পড়লো। সে ভীষণভাবে অবাক হয়ে সিলিভিয়ার দিকে তাকালো।হাত তুলে সিলিভিয়াকে ছুঁতে গেলে অনুভব করলো হাতজোড়া ভারী হয়ে আছে। সিলিভিয়া তখন তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে রইলো তার দিকে।এরপর সজোরে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিলো। কষিয়ে একটা চড় বসালো গালে। হাতের সংস্পর্শ শুষ্ক আবরণ টের পেলো সিলিভিয়া। এবার বুঝলো সবকিছু।সূক্ষ্ম একটা চক্রান্ত,এবং পরিকল্পনার ফাঁদে পা ডুবাতে গিয়েছিলো সে।
সিলিভিয়া অপেক্ষা না করে তড়িঘড়ি করে তেহভীনের ফোনে কল দিতে লাগলো। মাথা খারাপ হয়ে গেলো সিলিভিয়ার। তেহভীনকে কখনো নিজ থেকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়না। তৎক্ষনাৎ তানজিদের কথা মনে পড়লো তার।দেরী না করে তানজিদের ফোনে ডায়াল করলো। ফ্লোরে শায়িত জেরিন্ডেল কঠিন দৃষ্টি মেলে চেয়ে রইলো সিলিভিয়ার দিকে।এই মেয়ে এতোটা সাহসী,জানলে আগে থেকে আরো সতর্ক হয়ে আসতো।যদিও এসব পরিকল্পনা সে বন্ধু-পরিজন কাউকে জানায়নি। শুধু নিজের করে পাওয়ার নেশাটা ঘুচাতে এসে,নিজেই ফেঁসে গেলো। নিজের কপালের উপর বড্ড আফসোস হচ্ছে আজ তার।এখান থেকে সোজা জেলে অথবা উপরে যেতে হবে সেটা নিশ্চিত হলো জেরিন্ডেল। তারপর গলার স্বর উচিয়ে সিলিভিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— আ’ম স্যরি সিলিভ! আমাকে ক্ষমা করো।
সিলিভিয়া ক্রুদ্ধ চোখে চেয়ে তানজিদকে ঘটনা বলতে লাগলো। জেরিন্ডেল তারপরও বলল,
— তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছো?
আমি জেরিন্ডেল। প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করো।আমি আর তোমার আশেপাশেও আসবো না।
সিলিভিয়া মনে মনে অবাক হলো খুব।সে ভাবতে পারেনি এমন বেশভূষায় নিয়ে জেরিন্ডেল নিজেকে এখানে এনে উপস্থিত করবে। নিজেকে সামলে নিলো সিলিভিয়া। এবার যেটা করতে এসেছিলো সেটা সম্পূর্ণ ক্ষমা অযোগ্য। ভাগ্য সহায়,তারসাথে দস্তাদস্তি হয়নি। নিজ’দেশীয় মানুষ হলে এতক্ষণে দস্তাদস্তি শুরু হয়ে যেতো কয়েক দফা।
অনেকটা সময় অতিক্রম করার পর কলিংবেল বেজে উঠলো। তড়িৎ গতিতে সিলিভিয়া গিয়ে দরজা খুললো। সদ্য ঘুমভাঙা চোখমুখে দাঁড়িয়ে আছে তানজিদ আর তেহভীন। দরজা মেলতেই তেহভীন অস্থির,উৎকুন্ঠিত হয়ে দ্রুতপায়ে এগিয়ে এসে সিলিভিয়াকে আপাদমস্তক দেখতে দেখতে বলল,
— সিলভার? তুমি ঠিক আছো?
ব্যাথা পাওনি তো?
সিলিভিয়া জবাব দিলো না। তেহভীনকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে কেঁদে ফেললো। এতক্ষণ একটু কান্না আসেনি তার। তেহভীনের এই আদুরে কথা শুনে মনটা নিমিষেই কোমল হয়ে গেলো। বুকে মাথা রাখার পর বুঝলো এই জায়গাটার মতো শান্তিপূর্ণ জায়গা আর কোথাও নেই।কতোটা ভয় পেয়েছিলো সে একটু আগে।এখন সব গায়েব।
হঠাৎ গটগট পায়ের শব্দ কর্ণভেদ করলো সিলিভিয়া।তেহভীনের বুক থেকে মাথা তুলতেই তেহভীন বলল,
— ভয় নেই। আমেরিকান পুলিশ ফোর্সও এসেছেন।ব্রাদার আসার আগে পুলিশকে ইনফর্ম করেছে। থ্যাংক গড,তুমি ঠিক আছো,আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তুমি বসো,আমি দেখে আসছি বি** টাকে।
সিলিভিয়া তেহভীনকে ছাড়লো না। হাত ধরে রাখলো। তেহভীন বুঝলো সিলিভিয়ার ভয় এখনো কাটেনি। সে সিলিভিয়াকে নিয়ে কাউচে বসলো।এরপর সিলিভিয়ার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
— ভুলটা আমার হয়েছে।আমার উচিত হয়নি তোমাকে একা রেখে ব্রাদারের কাছে যাওয়ার। দেখো কি হয়ে গেলো। আ’ম এক্সট্রেমলি স্যরি সিলভার।
সিলিভিয়া বলল,
— হি টাচ মি ব্যাডলি তেহভীন।
তেহভীন ঠোঁটে ঠোঁট চেপে কিছু ভাবলো। এরপর সিলিভিয়ার কামরার দিকে দৃষ্টি রাখলো। তানজিদকে দেখা গেলো গম্ভীর হয়ে পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলতে।এখন সবকিছু তানজিদ হেন্ডেল করে ফেলবে।সেটা ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো তেহভীন। এরপর মুখ নামিয়ে সিলিভিয়ার কপালে আলতো করে একটা ছোট্ট চুমু বসিয়ে দিয়ে বলল,
— তোমার ব্যাড টাচ আমি রিমুভ করে দিয়েছি এখন,আমার গুড টাচ দিয়ে।নাউ প্লিজ স্মাইল!
সিলিভিয়া চুপ রইলো। তেহভীন বলে উঠলো,
— তুমি কি প্যারালাইসিস হওয়ার মেডিসিনটা ইনজেক্ট করেছো তাকে?
সিলিভিয়া মাথা নাড়ালো। তেহভীন সিলিভিয়াকে শান্ত করে রোষাগ্নি চোখে তাকালো জেরিন্ডেলের দিকে। তানজিদকে বারণ করেছিলো যাতে পুলিশকে ইনফর্ম না করে। সে চেয়েছিলো নিজে এসে এই অসভ্য মানুষটাকে শাস্তি দিতে। কিন্তু তানজিদ সেটা হতে দিলো না। নিজের রাগটাকে যেখানে সেখানে জাহির করার কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তানজিদ,তেহভীনকে।অগত্যা সব চুপ থাকতে হলো তেহভীনকে।
(চলবে)
রি-চ্যাক দেওয়া হয়নি।টাইপ মিস্টেক হতে পারে।সেজন্য স্যরি।