#অনুভূতিতে_তুমি 💖
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৬
অতীত কখনোই মানুষ কে ছেড়ে যায় না। কোন না কোন সময় সে ঠিক’ই ফিরে আসে। অতীত মানুষ যত আকড়ে ধরে ততোই কষ্ট পায় আর মেহেরিন কোন ভাবেই চায় না সে কষ্ট পেতে। তাই সে যত পারে তার অতীত থেকে পালিয়ে যায়। খোঁজে নতুন আশ্রয় যা তার অতীত কে ভুলিয়ে দেবে। কিন্তু দিন শেষে সেই রাতের অন্ধকারে তার কালো অতীত তাকেও আঁধারে নিয়ে যেতে চায়! কোন রাতেই ঘুম হয় না তার। এখন আর স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে না। স্বপ্ন যত সুন্দর করে শুরু হয় ততোটাই কষ্টে সেটা শেষ হয়। মাঝে মাঝে সারারাত জেগেই কাটিয়ে দেয় সে। গতকাল রাতেও সারারাত দু চোখের পাতা এক করতে পারে নি মেহেরিন।
ঘুমের ঔষধ খাবার পরেও তার ঘুম হয় নি। সারারাত কেমন মাতাল মাতাল হয়ে জেগে ছিল সে। ভোর হতেই দু ‘চোখের পাতা এক হলো। শান্ত অর্ণব ঘুমের ঘোরে মেহেরিন কে না পেয়ে উঠে পড়ল। চোখ ঢলতে ঢলতে বসে দেখে মেহেরিন ইজি চেয়ারে বসে আছে। তার চোখ বন্ধ। অর্ণব বিছনা ছেড়ে উঠে যায় চেয়ারের সামনে। মেহেরিন’র দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়েই বুঝতে পারে সে ঘুমিয়ে আছে। সে তার গুটিগুটি পায়ে আলমারির কাছে যায়। একটা টুল নিয়ে তাতে দাঁড়িয়ে আলমারি থেকে একটা চাদর বের করে। তার ছোট দু হাত খানা দিয়ে চাদর টা বের করতে যায়। চাদরের সাথে সাথে কিছু জামাকাপড় ও পড়ে। অর্ণব পিছন ফিরে দেখে তার মাম্মি একটু নড়ে উঠেছি তবে ঘুম ভাঙেনি।
চাদরের অর্ধেকটা মেঝেতে আর বাকি অর্ণবের হাতে। এই চাদর এনে মেহেরিন’র কোলে বিছিয়ে দেয় সে। মায়ের প্রতি এই সূক্ষ্ম ভালোবাসার পরিমাণ যে অনেক বেশি। অতঃপর এলার্ম ঘড়ির এলার্ম টা বন্ধ করে দেয় যাতে মায়ের ঘুম না ভাঙে। মেহেরিন চেয়ারে ঘুমিয়ে থাকলে অর্ণব বুঝে যায় মেহেরিন সারারাত ঘুমায় নি।
একা পায়ে রুম ছেড়ে নিচে চলে আসে অর্ণব। মিস মারিয়া সবে গরম পানিতে চায়ের পাতা দিল। একটু পর’ই এলার্ম বাজবে। ম্যাম উঠেই সবার আগে চা খেতে চাইবে। সিঁড়ি দিয়ে কারো নামার শব্দ শুনে উঁকি মেরে তাকিয়ে দেখে অর্ণব সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে নামছে। তাকে দেখামাত্র চুলার আঁচ কমিয়ে দৌড়ে তার কাছে যায় মিস মারিয়া।
কোলে তুলে সিঁড়ি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“ম্যাম উঠেনি।
অর্ণব মাথা নাড়িয়ে না বলে।
“এখনো ঘুমাচ্ছে!
অর্ণব মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে।
মিস মারিয়া অর্ণব কে কোলে করে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বলে,
“তুমি এখানে বসো আমি ম্যাম কে ডেকে আসি!
বলেই যেতে নেয় মারিয়া। তৎক্ষণাৎ সোফা থেকে নেমে তার দু হাত দিয়ে মারিয়ার এপ্রোন টেনে ধরে অর্ণব।মিস মারিয়া পিছন ফিরে হেসে বলে,
“আমাকে যেতে দাও, ম্যাম কে ডাকতে হবে।
অর্ণব মাথা নাড়িয়ে না বলে।
মিস মারিয়া হাঁটু গেড়ে বসে অর্ণবের মাথায় হাত রেখে বলে,
“ম্যাম কে না ডেকে দিলে যে সে রাগ করবে।
অর্ণব এবারো মাথা নাড়িয়ে না বলে। মিস মারিয়া জিজ্ঞেস করে,
“কেন?
অর্ণবের ছোট ঠোঁট দুটো আলতো খুলে ধীরে ধীরে বলে,
“মাম্মি ঘুমাবে!
“তুমি চাও আমি তাকে যেন না ডাকি।
অর্ণব মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে। মিস মারিয়া অর্ণব কে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বলে,
“ঠিক আছে ডাকবো না। তুমার জন্য কিছু আনবো।
অর্ণব মাথা নেড়ে আবারো সম্মতি জানায়। মিস মারিয়া চলে যায় রান্না ঘরে। অর্ণব সামনে থাকা ম্যাগাজিন থেকে কার্টুন এর ম্যাগাজিন বের করে দেখতে থাকে।
.
মেহেরিন’র ঘুম ভাঙে বেশ বেলা করে। ঘুম ভাঙায় নি কেউ। ঘুম থেকে উঠে সবার আগে চোখ যায় সামনে থাকা দেওয়াল ঘড়ির দিকে। ১১ বাজে, এতোক্ষণ ঘুমালো সে। ভ্রু কুঁচকে বিছানার দিকে তাকাতেই দেখে অর্ণব নেই। তার কোলে একটা চাদর, সামনে তাকাতেই দেখে আলমারি খোলা নিচে পড়ে আছে জামাকাপড়।
। মেহেরিন হেসে উঠে দাঁড়ায়। তার ঘাড় খানিকটা ব্যাথা করছে। এর্লাম ঘড়ি ধরেই বুঝতে পারে এর্লাম বন্ধ ছিল। এটা যেন তার অর্ণবের কাজ এটা বুঝতে দেরি হয় না।
বাইরে থেকে আওয়াজ আসছে। মেহেরিন কিছু কিছু শুনতে পারছে। হেঁটে বেলকনির দিকে তাকাতেই দেখল বাগানে অর্ণব খেলছে। তার মুখে স্নিগ্ধ হাসি। সকালের ঘুমটা অর্ণবের এই স্নিগ্ধ হাসি ছাড়া তৃপ্তি হয় না। পরক্ষনেই চোখ পড়ল আরেকজনের দিকে। এটা আর কেউ না নির্ঝর। মেহেরিন এখন খেয়াল করল অর্ণব নির্ঝরের সাথে খেলছে। নির্ঝরকে এইসময় এইখানে দেখে অবাক হলো মেহেরিন। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল নির্ঝরের দিকে। কারো দৃষ্টি আকর্ষণ পেয়ে নির্ঝর হুট করেই উপরে তাকাল। দেখল মেহেরিন দাঁড়িয়ে আছে। তাকিয়ে আছে তার দিকেই। তার অবাধ্য চুল গুলো উড়ছে আর এবার যখন উড়ছে তখন এলোমেলো হচ্ছে। দুজনেই এই চোখাচোখি রইল না বেশিক্ষণ। হুট করেই অর্ণব ঢেকে উঠল,
“মাম্মি!
মেহেরিন চোখ সরিয়ে তাকাল অর্ণবের দিকে।
.
মেহেরিন’র মুখোমুখি বসে আছে নির্ঝর। তাকে খুব নার্ভাস লাগছে। বার বার হাত নাড়াচাড়া করছে সে। মেহেরিন চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলে,
“কিভাবে জানলেন বাসায় আছি!
নির্ঝর চমকে উঠে,
“হুম!
“বলছি কিভাবে জানলেন আমি বাসায় আছি।
“অফিসে কল করেছিলাম, তারা বলেছে অফিসে আজ যাও নি। বাড়ির ল্যান্ডালাইনে কল করতেই অর্ণব ধরল।
“তখন বুঝলেন বাসায় আছি।
“হুম!
“আপনি কি কিছু বলবেন!
নির্ঝর চমকে মেহেরিন’র দিকে তাকাল। মেহেরিন শান্ত গলায় আবারো বলল,
“বলছি আপনি কি কিছু বলবেন!
নির্ঝর শুকনো ঠোক গিলল। সব মেয়ের সাথে নির্ঝর স্বাভাবিক হলেও মেহেরিন’র কাছে সে একটু অস্বাভাবিক তার মাঝে ক্লাবের সেই ঘটনা। কিভাবে বলবে তাকে? তবুও একটু সাহস আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠে,
“হ্যাঁ, আসলে আমার বন্ধুরা তোমাকে দেখতে চেয়েছে।
“সেই থ্রু আপনি পার্টি অর্গানাইজ করেছেন তাই তো।
“হ্যাঁ তো তুমি কি আসবে?
“পার্টি টা যখন আমাকে নিয়ে তো আমি না আসলে পার্টি কিভাবে হবে।
“তার মানে তুমি আসবে
“হুম যেতে তো হবে। তা কবে অনুষ্ঠান!
“রবিবার! ঠিকানার লোকেশন তোমাকে আমি পাঠিয়ে দেবো।
“আচ্ছা!
“তাহলে এখন চলি।
“এখন’ই চলে যাবেন, লাঞ্চ করে যান।
“না সে আরেকদিন করব, এখন অনেক কাজ আছে। আমি আসছি!
বলেই নির্ঝর বের হতে নেয়। তখনই হুট করে দৌড়ে অর্ণব ছুটে আসে। পেছন থেকে ড্যাডি বলে ডাক দেয়। নির্ঝর প্যাকেট থেকে একটা চকলেট’র প্যাকেট অর্ণবের হাতে দিয়ে বলে,
“ড্যাডি আবারো আসবো ঠিক আছে অর্ণ!
অর্ণব হেসে মাথা নাড়ে। নির্ঝর বিদায় দিয়ে চলে যায়। অর্ণবের ছোট্ট মনটা একটু ব্যাথা পায়।
.
নির্ঝর বেশ আয়োজন করে চারদিক সাজিয়েছে। তার পরনে কালো রঙের স্যুট! একে একে সব বন্ধু বান্ধবরা আসছে। চারদিকে লাউড স্পিকারে গান বাজছে। কেউ নাচছে কেউ ড্রিক করছে। নির্ঝরের এক্স গার্লফ্রেন্ড তমাও এসে হাজির। নির্ঝর অপেক্ষা করছে অনামিকার। এই মেয়ে আসবে তো। তাকে আসতেই হবে, না এলে রিভেঞ্জ নিবে কিভাবে। ফরহাদ এসে পাশে দাঁড়িয়ে নির্ঝরের কাঁধে হাত রেখে বলে,
“তোর কি মনে হয় ভাবী আসবে।
“মেহু যখন বলেছে সে আসবে তার মানে আসবে।
“তাকে বলেছিস ক্লাবের কথা।
“লোকেশন পাঠিয়েছি!
নির্ঝরের কথায় ফরহাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলল। নির্ঝর তার কথা বুঝতে পারছে না। সে চারদিক বার বার চোখ বোলাচ্ছে। অনামিকা কে খুঁজছে। কিন্তু ফরহাদের চিন্তা অন্য জায়গায়, মেহেরিন আদৌও এসব কিছু পছন্দ করবে তো।
নির্ঝর অপেক্ষা অবশেষে শেষ হলো। অনামিকার গাড়ি ঢুকল। গাড়ি থেকে সে বের হতেই ওপাশ থেকে বের হলো তার বয়ফ্রেন্ড। নিজের বয়ফ্রেন্ড’র হাত ধরে এদিকে’ই আসছে সে। নির্ঝর একটা বাঁকা হাসি দিয়ে ক্লাবের ভেতর এলো। সবাই তাকে দেখে মিসেস চৌধুরী’র কথা জিজ্ঞেস করল। নির্ঝর হেসে ফোনের দিকে তাকাল। একটা মেসেজ এসেছে। মেহেরিন আসছে! নির্ঝর ডিজে কে বলল গান টা বন্ধ করতে আর সবার উদ্দেশ্যে জোরে বলল আমার হবু বউ আসছে। অনামিকা ঢুকেই শুনতে পেল এই অন্যাউসমেন্ট!
চার দিকের লাইট বন্ধ করে দেওয়া হলো। একমাত্র দরজার আলো জ্বালানো। মেহেরিন আসতেই তার উপর আলো পড়বে। সবার মাঝে এক অস্থিরতা! কেউ আসছে। সবার চোখ সেখানে। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে দৌড়ে ভেতরে এলো একটি ছেলে। ছেলেটিকে দেখে সবাই অবাক। জ্বলে উঠল সব সময় আলো। আলোর মাঝে নির্ঝর কে দেখে বাঁচ্চা টা ড্যাডি বলে তার কাছে দৌড়ে গেল। নির্ঝর ও কোলে তুলে নিল তাকে। পরক্ষনেই প্রবেশ ঘটল মেহেরিন’র। কালো রঙের ওয়েস্টান ড্রেসে বেশ মানিয়েছে তাকে। তার পায়ের হিলের আওয়াজে চারদিক নিস্তব্ধ। নির্ঝরের কোলে থাকা বাচ্চা টা মেহেরিন’র কে দেখে বলে উঠল,
“মাম্মি!
মেহেরিন হেসে বলে উঠে,
“অর্ণ!
বলেই নির্ঝরের কাছে আসে। একটা বাচ্চা নির্ঝর কে ড্যাডি আর মেহেরিন কে মাম্মি বলে ডাকা টা সবার মাঝে নিরবতা তৈরি করেছে। নির্ঝরও বেশ অপ্রস্তুত! তার ধারনা ছিল না মেহেরিন অর্ণব কে নিয়ে আসবে। তারও খানিকটা অবাক লাগছে তার সাথে একটু বিরক্ত। তবুও সবার কৌতূহল মিটাতে নির্ঝর’ই হেসে বলে উঠে,
“আমার হবু বউ মেহেরিন বর্ষা খান যে খুব দ্রুতই মিসেস চৌধুরী হবে আর এই আমাদের ছেলে অর্ণ!
নির্ঝরের কথায় চারদিক থেকে হাততালির আওয়াজ আসে। এছাড়া দু একটা হাসির শব্দও আসে। কেউ কেউ কটুক্তি করছে নির্ঝর বেশ বুঝতে পারছে। অর্ণব কে এখানে আনা মানে নিজের কে হাসির পাত্র করা এটা সে বুঝলেও মেহেরিন বুঝতে পারে নি। এতো মানুষজন আর চেঁচামেচি শুনে অর্ণব খানিকটা ভয় পেয়ে গেল। আঁকড়ে ধরল নির্ঝর কে। নির্ঝর ব্যাপারটা বুঝতে দেরি করলেও মেহেরিন বুঝতে দেরি করে নি। সে দ্রুত অর্ণব কে নামিয়ে দিল। অর্ণব আকড়ে ধরল তাকে। মেহেরিন হাঁটু গেড়ে বসে অর্ণবের গালে হাত রেখে বলে,
“মাম্মি এখানেই আছি সোনা!
নির্ঝর ও বসে পড়ল অর্ণবের কাছে। কিছু জিজ্ঞেস করতেই মেহেরিন বলে উঠে,
“এতো লোকজন চেঁচামেচি নিতে পারছে না অর্ণব!
নির্ঝরের মুখটা মলিন হয়ে গেল। কি করবে বুঝতে পারছে না। ফরহাদ, ঈশান আর আরিফ এসে অর্ণবের কাছে বসে বলে,
“আমার নাম ফরহাদ, আমি তোমার ড্যাডির বন্ধু! তুমি আমাকে আংকেল বলবে ঠিক আছে তো।
অর্ণব কিছু না বলে শুধু তাকিয়ে রইল। ঈশান বলে উঠে,
“সামনেই একটা আইসক্রিম’র দোকান আছে তুমি কি গিয়ে আইসক্রিম খাবে।
অর্ণব এবারো চুপ। আরিফ বলে উঠে,
“তোমাকে এত্তো গুলো চকলেক দেব।
অর্ণব এবার তাকায় মেহেরিন’র দিকে। মেহেরিন হেসে অর্ণবের গালে হাত রেখে বলে,
“তুমি যাবে!
অর্ণব কিছু না বলে ফরহাদের দিকে তাকায়। ফরহাদ তার হাত খানা এগিয়ে দিলে অর্ণব হাত টা ধরে নেয়। গুটিগুটি পায়ে সে বেরিয়ে যায় তাদের সাথে। মেহেরিন তাকিয়ে থাকে। নির্ঝর অনেক ভাবনা চিন্তার পর মেহেরিন’র হাত ধরে বলে,
“চিন্তা করো না, ফরহাদ ওরা সবাই অনেক যত্ন নিবে অর্ণবের!
মেহেরিন নিঃশ্বাস ফেলে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বলে,
“সরি, আমি জানতাম না এরকম পরিবেশ হবে তাহলে অর্ণব কে আনতাম না। ভুলটা আমার!
“দোষ খানিকটা আমারও! তোমাকে বলা উচিত ছিল।
বলেই নির্ঝর হেসে দিল। মেহেরিন একটু পরেই বুঝতে পারল হুট করেই নির্ঝরের সাথে সে কমফোর্টেবল হয়ে গেছে। বুঝতে পেরে নিজেই একটু অবাক হলো। মুহূর্তে’ই নির্ঝরের হাতের কথা মনে পড়ল। মেহেরিন তাকিয়ে দেখে নির্ঝর তার হাত ধরে আছে। মেহেরিন’র কাছে অস্বস্তি লাগছে। আজ অনেকদিন পর কেউ তার হাত খানা এভাবে ধরল। মনে পড়ছে কারো কথা। মেহেরিন চোখ বন্ধ করতেই মনে পড়ে, কারো মুখ ভেসে উঠলো। হুট করেই কারো আওয়াজ পেয়ে চোখ মেলে তাকাল মেহেরিন। নির্ঝরের হাত টা দ্রুত ছেড়ে নিজের কাছে নিল। সামনে তাকিয়ে দেখে অনামিকা দাঁড়ানো। মেহেরিন হেসে বলে,
“হ্যালো।
“হাই আমি অনামিকা!
“আমি চিনি তোমায়!
অনামিকা হেসে বলে,
“তাহলে তো সব জানো আমার সম্পর্কে তাই না।
মেহেরিন অনামিকার কথার মানে বুঝলেও আর কথা বাড়ালো না। এদিকে নির্ঝর এদের দুজনের কথোপকথন শুনে মেহেরিন কে এক হাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে অনামিকার দিকে তাকিয়ে বলে,
“তা আমার হবু বউ কি সুন্দর.. ( সবার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে ) গাইস!
চারদিক থেকে চিৎকারের আওয়াজ এলো। অনামিকা হেসে চলে গেল সেখান থেকে। নির্ঝরের কথায় ডিজে আবারো গান চালু করে। ডিম লাইট জ্বালানো হলো। মেহেরিন এই ফাঁকে নির্ঝরের হাতে চিমটি কাটল। নির্ঝর লাফিয়ে উঠল। মেহেরিন নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বলে,
“নিজের লিমিটের মাঝে থাকুন।
বলেই মেহেরিন সামনে এগিয়ে গেল। নির্ঝর বিরক্ত হয়ে মেহেরিন’র পিছন পিছন গেল।
#চলবে….