আড়ালে_ভালোবাসি পার্ট_২৬
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
||||
নিশাত পড়ে যেতে নিলে নিজেকে সামলে নেয়। আরহান এক ছুটে নিশাতের কাছে এসে ধমকের শুরে বলে
_”এত লাফালাফি করার কি দরকার।তুমি কি বাচ্চা নাকি? আর একটু হলে কি হতে যাচ্ছিল তোমার কোনো আইডিয়া আছে ইউ স্টুপিড!
নিশাত কিছুটা ভয় পেয়ে ছিল।আরহানের এমন কথায় ভয় উধাও হয়ে গিয়ে বলে
_”আমি স্টুপিড হলে তুমি কি?অসভ্য একটা লোক সব তোমার জন্য হইছে। নক করে ঢুকতে কি হতো।নিলজ্জের মত যখন খুশি যেখানে খুশি চলে আসবে।দূরে যান তো
আরহান একইভাবে দাড়িয়ে বলে
_”এত দিন তো দূরে ছিলাম আর পারছি না।আর শুনো আমি তোমার জন্য আছি না আমি আমার সন্তানের জন্য।নাহলে তোমার সাথে থাকার কোনো ইচ্ছা আমার নেই যে নিজের সন্তান কে মারতে চায়।
শেষের কথাটা আরহান চোখ লাল করে বলে।নিশাতের কাছে এই কথাটা যেনো অসহ্য লাগছে। বুকে তীরের মত লাগলো।
_”সত্যি কি আমি এত খারাপ যে নিজের সন্তান যে মারতে চাইবো?
নিশাত আনমনে কথাটা বলে।আরহান নিশাতের দিকে তাকিয়ে আছে।নিশাত চোখ সরিয়ে বলে
_”আমার খুদা লাগছে আর আমার সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতে আসবেন না।আর যাই হোক নিজের বোনের খুনীর মুখ দেখতেও চাই না
আরহান টেবিলে লাথি দিয়ে চিৎকার করে বলে
_”এক কথা আর কতো বার বলবে?লজ্জা আমার করছে ভুল মানুষকে ভালোবেসেছি।যে আমাকে বুঝেনি,আমার প্রতি কোনো বিশ্বাস নেই সে আমাকে কি ভালোবাসবে।ভালোবাসা খুব ছোট শব্দ কিন্ত এর গভীরতা অনেক সেটা যারা সত্যি ভালোবাসে তারাই বুঝবে।কাকে কি বলছি ? যার কাছে নিজের বোনের কোনো দাম নেই।
নিশাত অবাক চোখে তাকায় ।আরহান দেয়ালে ঘুষি দিয়ে বলে
_”ঈশা মারা গেছে শুধু তোমার জন্য। ইয়েস তোমার বোকামির জন্য।না তুমি রাগ করে যেতে না আমি তোমার পিছন যেতাম আর না হসপিটালে আগুন লাগতো।একবারও কি খোজ নেওয়ার চেষ্টা করছো আগুন কিভাবে লেগেছিল?তুমি কেনো নিবে তুমি তো নিজের এগো নিয়ে থাকো।বোন বোন করে তো মাথা খারাপ করে দিয়েছিলে একবারও কি ভেবে দেখেছো শুধু ঈশার কেবিনে কেনো আগুন লাগলো?অন্য কেবিনে লেগেছে কিন্ত তেমন একটা না।খোজ নিয়েছো?ঈশার লাশ মাটি দেওয়া হইছে কি না জানো?
আরহানের কথায় নিশাত ভাবতে থাকে
_”সত্যি তো আমি তো জানিনা ঈসাকে কোথায় মাটি দেওয়া হইছে।তাহলে আরহান সব জানে (মনে মনে)
আরহান ধমক দিয়ে বলে
_”কিহলো বলো উত্তর নেই ?থাকবে কি করে তুমি তো একটা সেলফিশ।নিজেকে ছাড়া কাউকে চিনো না।এক বছর থেকে তুমি আমাকে এই চিনছো?এই তোমার ভালোবাসা ছি
নিশাত আরহানের সামনে হাত জোড় করে বলে
_”প্লীজ আমাকে ইসুর ব্যাপারে বলো আমি সত্যি ভুল করছি ।শেষ বারের মত একটা বারের জন্য দেখে পারলাম না। আম্মু তো বলেছিল আমার সেন্স ছিল না তখন মাটি দেওয়া হইছে তাহলে কি বেচে আছে আমার ঈশা বলো না
নিশাত কান্না করতে করতে আরহানের পায়ের কাছে বসে পড়ে।আরহান দুই হাত ধরে নিশাতকে তুলে বলে
_”ঈসাকে যারা খুন করেছে আমি তাদের শাস্তি দেবো।এত ভয়ংকর মৃত্যু দেবো যে তাদের রুহ কেপে উঠবে।
নিশাত অবাক হয়ে বলে
_”খুন ?আমার ঈশা কে কিসের জন্য খুন করতে যাবে?তুমি তো ঈশার
নিশাত কে বলতে না দিয়ে আরহান বলে
_”সময় আসলে সব জানতে পারবে।বিশ্বাস তো আমার উপর নেই তবে বলবো শেষ একবার বিশ্বাস করো।
আরহান নিশাতের হাতে একটা ফোন দেয়।নিশাত ফোনটা হাতে নিয়ে বলে
_”এটা তো ঈশার ফোন।তুমি পেলে কোথায়?এটা তো ঐবাড়ি ছিল তুমি
_”চেক করে দেখো
কথাটা বলে আরহান বেরিয়ে যায় নিশাত ফোনটা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে নিশাত।চোখে মুখে অনুতপ্তের ছাফ।আকাশের প্রাণে চেয়ে আছে নিরবে চোখের পানি ফেলছে নিশাত ।
_”এত বড় ভুল আমি কি করে করলাম?এই ভুলের কোনো ক্ষমা নেই নিজের প্রতি ঘৃনা হচ্ছে আমার (মনে মনে)
আকাশ পানে চেয়ে কথাগুলো ভাবছে নিশাত।পিছন থেকে কারোর গম্ভীর কণ্ঠে কেপে উঠে নিশাত।
পিছনে তাকিয়ে দেখে আরহান পকেটে হাত দিয়ে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ।
আরহান আবার বলে
_”কিহলো ? খাবার না খেয়ে এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো ?দেখো তোমার ডায়েট ফায়েট করতে ইচ্ছা হলে করবে কিন্ত আমার বাচ্চা কে না খাইয়ে না।আমার বাচ্চার কিছু হলে আমি তোমাকে
বাকিটা বলার আগেই নিশাত বলে
_”তাহলে তুমি ঈশার হেল্প করছিলে?
আরহান কোনো জবাব দেয় না নিশাত আবার প্রশ্ন ছুঁড়ে মারে
_”ঈশা কে কেউ ব্ল্যাকমেইল করছিলো ?সেটা তুমি আমাকে কেনো বলনি আর ঈশা বা কেনো আমাকে মিথ্যা বলেছিলো ?
আরহান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে
_” হুম ঈশা কাউকে কিছু বলেনি।একদিন অফিসে থাকাকালীন আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে বলে ঈশা কে নাকি হোটেলে যেতে দেখেছে সেটা শুনে আমি বাসায় ফোন করে জানতে পারি ঈশা নেই।অনেকটা অবাক হই ঈশা তো এমন মেয়ে না।অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সোজা হোটেলে যাই গিয়ে দেখি ঈশা কান্না করছে আর একটা ছেলে বসে আছে। ঈশার কাছ থেকে জানতে পারলাম ছেলেটা নাকি ওর পিক পেয়ে সেটা খারাপ বানিয়ে ছাড়তে চাইছে ঈশা বারণ করে তখন ছেলেটা ঈসাকে হোটেলে দেখা করতে বলে। সেখানে ছেলেটাকে মার ধোর করে বাসায় নিয়ে আসি।একদিন রাতে বসে কাজ করছিলাম তখন ঈশা আমাকে ফোন করে বলে ওই ছেলেটা আবার ব্ল্যাকমেইল করছে ।ঈশা অনেক ভয় পেয়েছিল তুমি জানতে পারলে যদি ওকে ভুল বুঝো তাই কাউকে বলতে বারণ করছিলো। আমি ভেবেছিলাম তোমাকে বলবো কিন্ত সময় পাইনি।আমার লোক লাগিয়ে ছেলেটার কাছ থেকে সব ছবি নিয়ে ডিলেট করে দি।ছেলেটাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দি।তার পরে ঈশা কেনো সুইসাইড এর চেষ্টা করলো এটা আমার মাথায় আসছে না।
নিশাত জোড়ে জোড়ে কান্না করে দেয়।আরহান এতক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলছিলো হটাৎ নিশাতের এমন কান্না নিশাতের দিকে ঘুরে বলে
_”তুমি যদি একটু বিশ্বাস রাখতে আমার এর নিজের বোনের উপর তাহলে আজ ঈশা আমাদের মধ্যে থাকতো।ঈশা কে আমি নিজের বোনের মতো দেখেছি
নিশাত কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না আরহান আবার বলতে শুরু করে
_”তোমাকে এখানে নতুন করে বিয়ে করে আনার কারণ তুমি আর আমার বেবি যাতে সেফ থাকো।সেদিন আমি
আরহান কথাটা শেষ করতে পারলো না তার আগে
আরহানের ফোন আসে। আরহান ফোন হাতে নিয়ে একটু দূরে গিয়ে কথা বলতে থাকে।
নিশাত এর এখন নিজের গালে কয়েকটা চর মারতে ইচ্ছা করছে এত বড় ভুল কি করে করলো।
_”সত্যি আমি একটা গাধা।নিজের ভালোবাসা কে চিনতে পারলাম না আর না নিজের বোনের কষ্ট বুঝতে পারলাম।ইসু আমাকে মাপ করে দে তোর আপি খুব খারাপ খুব খুব।আল্লাহ আমার ইসু কে ফিরিয়ে দাও
নিশাত কান্না করতে করতে সেন্সলেস হয়ে পড়ে।আরহান কথা বলে নিশাতের কাছে এসে দেখে নিশাত মাটিতে শুয়ে আছে ।
নিশাত কে কোলে তুলে রুমে নিয়ে শুয়ে দেয়।
_”কিহলো আবার ? উফফ কি করবো আমি ?
আরহান ডক্টর কে ফোন দিয়ে নিশাতের পাশে বসে ।
_”কেনো এভাবে আমাকে মারছো?পারছি না আমি।নিজের ভালোবাসার মানুষের চোখে ঘৃনা দেখার চেয়ে মরে গেলে ভালো হতো।খুব ভালোবাসি তোমাকে কিছু হতে দেবো না কিছু না ।
ডোর বেল বাজাতেই আরহান দৌড়ে দরজা খুলে।
ডক্টর নিশাতকে দেখছে পাশে নিশাতের এক হাত ধরে বসে আছে আরহান।
ডক্টর আরহানের দিকে তাকিয়ে বলে
_”উনার এতো চাপ কিসের?অতিরিক্ত চাপে আর শরীর দুর্বল থাকার কারণে সেন্স হারিয়ে ফেলেছে। ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি পারলে স্যালাইন দেওয়ার ব্যাবসা করেন।উনাকে একটু টেনশন ফ্রী রাখার চেষ্টা করুন নাহলে মা বাচ্চা দুইজনের ক্ষতি হতে পারে ।বার বার সেন্স হারানো ভালো লক্ষণ না
আরহান মাথা নিচু করে বলে।
_”এবার থেকে খেয়াল রাখবো ।
ডক্টর যেতেই আরহান নিশাতের পাশে এসে জড়িয়ে ধরে ।
একটু পর নিশাত পিটপিট করে চোখ খুলে।পাশে আরহানকে দেখে তাকিয়ে আছে ।
কাপাকাপা কণ্ঠে বলে।
_” আ আ আ র র র হা হান
নিশাতের ডাকে আরহান নিশাতের গলা থেকে মুখ সরিয়ে তাকায় ।অস্থিয়ে হয়ে বলে
_”তুমি ঠিক আছো তো ? কষ্ট হচ্ছে?কেমন লাগছে এখন
নিশাত একবার চোখ বন্ধ করে আস্তে বলে
_”পানি খাবো
আরহান তাড়াতাড়ি নিশাতকে পানি দেয়। পানি খেয়ে নিশাত চোখ বন্ধ করে রাখে ।আরহান কে অনেক কিছু বলতে চায় কিন্ত শরীর দুর্বলের জন্য কিছু বলতে পারছে না ।
আরহান খাবার এনে নিশাত কে খাইয়ে দেয়।মুখ মুছে দিয়ে বলে
_”তুমি একটু ঘুমাও আমি যাবো আর আসবো।একা থাকতে পারবে তো ?
নিশাত চোখের পলক ফেলে বুঝিয়ে দেয় পারবে।আরহান ছোট করে কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে যায়।
আরহান যেতেই নিশাত ভাবতে থাকে কিভাবে আরহানের কাছে মাপ চাইবে।ভাবতে ভাবতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে।
আরহান গাড়ি থেকে নেমে একটা পার্কের বাইরে দাড়ায়।ভিতরে যাবে কি না ভাবতে ভাবতে জয়ের ফোন। ফোনে কথা বলতে বলতে ভিতরে যায়।
দূর থেকে জয় হাত নাড়ছে।জয়ের সাথে আরো কিছু লোক আছে ।
আরহানে সেখানে গিয়ে বলে
_”খবর পেয়েছো? কোথায় আছে এখন?
জয়ের পাশে থাকা লোকটা বলে
_”এক মাস আগে যশোরে একটা টিকিট কেটেছে কিন্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক গাজীপুর দেখাচ্ছে ।
আরহান বাকা হেসে বলে
_”নিজেকে খুব বুদ্ধিমান মনে করে কিন্ত আরহান আবরার এর সাথে পাঙা নেওয়া ঠিক হয়নি ।এর ফল হারে হারে পাবে ।জয় ?
জয় বুঝতে পেরে বলে
_”তুই যাবি নাকি আমি যাবো ?
আরহান চিন্তিত হয়ে বলে
_”যেতে তো আমি চেয়েছিলাম কিন্ত নিশাতের শরীর ভালো না এখন ওকে একা রেখে যেতে চাইছি না।অবশ্যই আমার জন্য ওর শরীর খারাপ দেখি কি করি।তোকে আমি কালকে সকালে জানাচ্ছি ।
আরহান আরো কিছুক্ষন কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
নিশাত এর ঘুম ভেঙেছে অনেকক্ষণ হলো।চুপচাপ বসে আরহানের অপেক্ষা করছে ।
রাত হতে গেলো এখনো আরহান আসেনি। এইদিকে নিশাতের খুদা লেগেছে।উঠতে ও পারছে না।
রাত ৮টায় আরহান বাসায় এসে তাড়াতাড়ি নিশাতকে খাইয়ে দেয়। দেখে মনে হচ্ছে খুব তারায় আছে ।নিশাত চুপচাপ খাচ্ছে ।
খাওয়া শেষে দুটো নার্স কে এনে স্যালাইন এর ব্যাবস্থা করে ।নিশাত শুধু অসহায় মুখ করে আরহানের দিকে তাকিয়ে আছে ।
আরহান পাশে দাড়িয়ে সবটা দেখছে যেই ক্যানেল লাগাতে যাবে সাথে সাথে নিশাত চিৎকার করে উঠে
_” বাঁচাও আমাকে মেরে ফেললো।আমি লাগাবো না
নার্স দুটো আরহানের দিকে তাকিয়ে আছে ।আরহান কাছে গিয়ে বলে
_”কি হচ্ছে চিৎকার করছো কেনো? দেখো এটা তোমার শরীর ভালো রাখার জন্য।না খেয়ে তো নিজের আর আমার বাচ্চার ক্ষতি করছো ।আমি কিন্ত আমার বাচ্চার কষ্ট সহ্য করবো না ।
আরহান রেগে কথাগুলো বলে।নিশাত বিড়বিড় করে বলে
_”শুধু বাচ্চা আর বাচ্চা।বাচ্চার মা কে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই
আরহান ভ্রু কুচকে বলে
_”কিছু বললে ?
নিশাত ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে না বুঝায়। আরহান চোখে হাত দিয়ে রাখে আর নার্স কে বলে স্যালাইন লাগাতে।
নার্স লাগিয়ে চলে গেলে আরহান নিজের হাত সরিয়ে নেয়। নিশাত চোখ খুলে বলে
_”কিহলো?
_”কিছু না।
আরহান গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়ে।নিশাত অপলক নয়নে আরহান কে দেখছে।আরহান ঘুমিয়ে যায়।সারাদিন ক্লান্ত থাকায় এক পলকে ঘুম চলে আসে।
নিশাত স্যালাইনের দিকে নজর না সে তো আরহান কে দেখতে ব্যাস্ত।কত দিন পর তার প্রিয় মানুষকে এভাবে দেখছে ।
রাত ১০টা
নিশাত এখনো আরহান কে দেখছে আর আরহান সে তো ঘুমিয়ে আছে ।হটাৎ ডর বেল বেজে উঠে
_”এত রাতে কে এলো? আমি তো উঠতে পারবো না
নিশাত আরহান কে ডাকতে চায় না কিন্তু এত বার বাজার জন্য ডাকতে বাধ্য হলো।আরহান তো ঘুমিয়ে আছে ।
নিশাত এক হাত বাড়িয়ে গ্লাস নেয় ।গ্লাসের পানি টুকু জোড়ে আরহানের শরীরে ফেলে ।
আরহান ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে।বুঝার চেষ্টা করে কি হলো নিশাতের দিকে চোখ পড়তে দেখে নিশাত হাতে গ্লাস নিয়ে অসহায় মুখে তাকিয়ে আছে ।
আরহান ভ্রু কুচকে বলে
_”তুমি আমার শরীরে পানি ফেললে কেনো?জ্বালিয়ে শান্তি হচ্ছে না ?
নিশাত কাচুমাচু হয়ে বলে
_”তুমি তো উঠছিল না তাই আর অনেকক্ষণ ধরে কেউ নক করছে তাই
আরহান কিছু বলতে গেলে আবার ডোরবেল বেজে উঠে ।আরহান বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতে যায়।
চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুলে দেখে জয় দাড়িয়ে আছে ।
_”তুই এত রাতে?
জয় ভিতরে এসে বলে
_”তুই বললি নিশাতের শরীর ভালো না আর একটা খবর দেওয়ার জন্য আসলাম তোর ফোন বন্ধ পেলাম।
আরহান মাথা চুলকিয়ে বলে
_”চার্জ নেই হয়তো।আয় ভিতরে আয়
সোফায় বসতে গেলে নিশাতের চিৎকার কানে আসে। জয়, আরহান ছুটে যায় ।
চলবে
(খুব ব্যাস্ততার মাঝে গল্প দিচ্চি আজ দেওয়ার কথা ছিল না তাও দিলাম বড়ো করে আশা করি গঠনমূলক কমেন্ট পাবো।কষ্টটা এভাবে বিফলে যেতে দিবেন না।আপনাদের কমেন্ট আমার লিখার আগ্রহ বাড়ায়।ভাবছি বন্ধ করে দেবো।কষ্ট করে লিখে কি লাভ যদি আপনাদের গঠনমূলক কমেন্ট করতে ইচ্ছা না করে। )