আড়ালে_ভালোবাসি পার্ট_৩০
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
||||
নিশাতের পা যেনো আটকে গেছে সামনে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না।কিছু সময়ের জন্য নিশাত স্তব্ধ থেকে কাপা কাপা কণ্ঠে বলে
_”ইসু
আরহান পিছনে তাকিয়ে দেখে নিশাত সিড়ি ধরে দাড়িয়ে আছে।ঝড়ের বেগে কেউ নিশাতকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে।নিশাত ও সমান তালে জড়িয়ে ধরে কান্না করে ।
ঈশার চোখে মুখে চুমু দিয়ে বলে
_”কোথায় ছিলি এতদিন?জানিস আমি কত কষ্ট ছিলাম।মাঝে মাঝে ভাবতাম তোর মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী।এভাবে আমাকে ছেড়ে কেনো গেলি বল?আপু কি এতই খারাপ যে আপুকে কিছু বলা যাইনি।
ঈশা কান্নার জন্য কথা বলতে পারছে না।পিছন থেকে আরহান বলে
_”ওকে ঘরে নিয়ে যেতে হবে।শরীর ভালো না।
নিশাত চোখ মুখ মুছে বলে
_”চল উপরে চল
জয় ঈশা কে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।নিশাত নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না ।আরহানের দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে হয়তো আরহান নিশাতের চোখের ভাষা বুঝতে পেরেছে।
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিশাতের উদ্দেশ্যে বলে
_”ঈশা মারা যায়নি।সেদিন কেবিনে আগুন লাগানোর আগে ঈশা কে সরিয়ে নেওয়া হয়।আর এই সব করেছে সবুজ মানে যে ঈশা কে ব্লাকমেইল করতো।ঈশা কে সবুজ ভালোবাসত কিন্ত ঈশা রাজি ছিল না তাই ব্ল্যাকমেইল করে নিজের কাছে আনতে চেয়েছিল।
নিশাত অবাক নয়নে দেখছে আরহানকে।আরহান একটু থেমে বলে
_”ঈশার এভাবে হটাৎ মারা যাওয়া আমার খটকা লাগে । পরে খোজ নিয়ে জানতে পারি ঈশার লাশ পাওয়া যায়নি আর ঈশা কে ডিস্টার্ব করতো সে জেল থেকে বের হয়ে নিখোঁজ।সব কিছু অন্যরকম লাগে।হসপিটালের সিসিটিভি চেক করতে জানতে পারি সেদিন সবুজ হসপিটালে গিয়েছিল।সবুজের ব্যাপারে খোজ নিয়ে জানতে পারি ও গাজীপুর আছে।আমিও যাই গাজীপুর।বিশ্বাস ছিল না যে ঈশা বেচে আছে তবে এই টুকু বিশ্বাস ছিল ঈশার মারার পিছনে সবুজের হাত আছে।সবুজ কে আটকে রেখে যখন মারধর করি তখন শুধু ও একটা কথা বলে ঈশা আমার কাছে নেই। ব্যাপারটা সন্দেহজনক!পরে অনেক মারার পর বলে সেদিন ও ঈশা কে নিয়ে পালাতে চেয়েছিল কিন্ত যে ওকে জেল থেকে ছাড়িয়েছে সে ঈশা কে নিজের কাছে রাখে সঠিক সময়ে সবুজের কাছে দেবে।সবুজের মাধ্যমে ঈশা কে পাই।
নিশাত কাপাকাপা কণ্ঠে বলে
_”কে সে ?
আরহান একটু দূরে সরে বলে
_”জানিনা সবুজের সাথে নাকি ফোনে কথা বলত।সবুজ কখনো তাকে দেখেনি কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তাকে পেয়ে যাবো
নিশাত বিশ্বাস করতে পারছে না ঈশার মত একটা ছোট মানুষের সাথে কারোর এত শত্রুতা থাকতে পারে। নিশাত বলতে যাবে ঈশার ডাকে ছুটে যায়।
ঈশার কাছে গিয়ে গালে হাত দিয়ে বলে
_”ঠিক আছিস তুই?কিছু খাবি?
ঈশা মুখটা কাচুমাচু করে মাথা নাড়ায়।নিশাত শিরীন কে ডাকতে যাবে তার আগেই আরহান খাবার হাতে করে নিয়ে আসে ।
নিশাত হাত বাড়িয়ে পেলেট নিতে গেলে আরহান না দিয়ে বলে
_”আমার বোনকে আমি খাওয়াবো।আশা করি এতে কারোর কোনো সমস্যা হবে না ।
নিশাত কিছু বলে না।আরহান ঈশা কে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে ।পাশে জয় বসে আছে।নিশাত তাকিয়ে দেখছে ।ঈশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই চোখ যায় ব্যান্ডেজ করা হাতের দিকে।
নিশাত আলতো করে হাতটা ছুঁয়ে দিয়ে বলে
_”খুব ব্যাথা করছিলো?আমাকে মাপ করে দে।বড়ো বোন হয়ে তোর মনের কথা বুঝতে পারলাম না।একবার আমাকে বলতি সুইসাইড করার কি দরকার ছিল বল?
ঈশা ভয়ে ভয়ে বলে
_”আপু আরহান ভাইয়া ছেলেটাকে জেলে দেওয়ার পর কি করে যেনো ছাড়া পায়।আর আমাকে ব্লাকমেইল করে ।আরহান ভাইয়া কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না এমনিতেই তুই আমার জন্য নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়েছিলি আবার তোর জীবনে আমি ঝামেলা করতে চাইনি।আরহান ভাইয়াকে তুই খুব ভালোবাসি সেটা আমি জানি।ভাবলাম আমি চলে গেলে সব ঝামেলা শেষ ।
নিশাত ধমকের সুরে বলে
_”হা তুই ত আমার ঝামেলা।অনেক বড় ঝামেলা।খুব বড়ো হয়ে গেছিস তাই না নিজের সিদ্ধান্ত একা নিচ্ছিস।
ঈশা নিশাতকে জড়িয়ে ধরে বলে
_”প্লীজ আপু মাপ করে দে আর কখনো করবো না।বিশ্বাস কর আল্লাহ কাছে ও আমি মাপ চাইছি।এখন তুই রাগ করিস না আর করবো না তো
ঈশার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে সেটা নিশাত বুঝতে পেরেছে। জয় তেড়ে এসে বলে
_”বাহ এই টুকু মেয়ের মাথায় কি বুদ্ধি!অসাধারণ।তো আমাদের যে এত ঝামেলায় ফেলে তার বেলায় কি?ইচ্ছা করছে একটা দি
জয় হাত বাড়াতেই ঈশা কান্না করে।জয়ের এমন রেগে যাওয়ার কারণ নিশাত আরহান কেউ বুঝলো না।
জয় আবার ধমক দিয়ে বলে
_”এই চুপ!একদম চুপ।এখন কেনো কান্না করছো?তুমি জানো এই কয় মাসে আমাদের উপর দিয়ে কি যাচ্ছিল কোনো আইডিয়া আছে dame it!
আরহান পরিবেশ ঠান্ডা করতে বলে
_”আচ্ছা থাক।গাড়িতে অনেক বকাবকি হইছে এখন এইসব বাদ।ঈশা তুমি রেস্ট করো আমি আসছি
ঈশা মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়।আরহান বের হবার সময় নিশাতের হাত ধরে বাইরে নিয়ে আসে
নিশাত বিরক্তি নিয়ে বলে
_”কি হইছে ?
আরহান নিশাতের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে
_”আজ থেকে সব ভালো হবে।ঈশা ফিরে এসেছে।এখন আর কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
_”কিন্ত যে আপনাকে মারতে চেয়ে
পুরোটা শেষ করতে পারে না তার আগেই আরহান নিজের আঙ্গুল নিশাতের ঠোঁটে রাখে
_”হুস কোনো কথা না।তোমাকে ওইসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।তুমি ভিতরটা সামলাও আর আমি বাইরেটা।কি পারবে তো ?
নিশাত আরহান কে জড়িয়ে ধরে বলে
_”পারবো।সব পারবো।শুধু তুমি পাশে থাকো।আর কিছু চাই না আবার আগের লাইফ চাই।খুব ভালোবাসি তোমাকে খুব।
আরহান আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
_”আমিও ভালোবাসি আমার বাবুর আম্মুকে।
এদিকে
জয় ঈশা কে বিভিন্ন রকম জ্ঞান মূলক কথা বলে যাচ্ছে।ঈশা মাথা নিচু করে সব শুনছে।
জয় ঈশা কে ভালো করে দেখছে ঠোঁট লাল হয়ে আছে সাথে নাকটা ও।এখনই মনে হয় পানি পড়বে পড়বে ভাব। নিশাত যত চঞ্চল ঈশা ততই শান্ত।
জয় এগিয়ে এসে ঈশার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে
_”দেখো ঈশা তুমি জানোনা তোমার বোনের কি অবস্থা হইছিলো।তোমাকে পেয়ে আরহান পাগলের মত করছিলো সেটা তো তুমি জানো।নিজের বোন ভাবে তোমাকে।সবাই কত ভালোবাসে আর তুমি এমন একটা কাজ করে সবাইকে বিপদে ফেলে দিলে।সুইসাইড করার পাপ সেটা তো জানো।৫ওয়্যাক্ত নামাজ পড়ে কি করলে জীবনে?
শেষের কথাটা জয় গম্ভীর কণ্ঠে বলে।ঈশা নিজের কানে হাত দিয়ে বলে
_”সরি ভাইয়া আর হবে না ।
জয় ফিক করে হেসে দেয়। ঈশা ছোটছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে ।জয় ঈশার নাক টেনে বলে
_”পিচ্ছি একটা
দরজায় দাড়িয়ে নিশাত সবটা দেখছে।নিশাতকে পিছন থেকে জড়িয়ে আছে আরহান।
নিশাতের কানে ফিসফিস করে বলে
_”ঈশা মেয়েটা ওমন সবার মন জয় করে নেয়।ঈশা কে পাওয়া গেছে শুনার পর জয় পাগলের মত বলছিলো নিশাত খুব খুশি হবে ।নিশাতের কলিজার টুকরা পাওয়া গেছে ।
নিশাত মুচকি হেসে বলে
_”জয় ভাইয়া খুব ভালো।
আরহান অভিমানী কণ্ঠে বলে।
_”সবাই ভালো শুধু আমি বাদে।এই আগের বারের মত ঐভাবে প্রপোজ করবে
নিশাতের সেইদিনের কথা মনে পড়ে যায় লজ্জায় চলে যেতে গেলে আরহান নিশাতের উড়না ধরে
_”এক বাচ্চার মা হবে এখনো এত লজ্জা।এভাবে আমাকে মারার প্ল্যান করেছো নাকি। হায়
নিশাত আরহানের কথায় আরো লজ্জা পেয়ে যায়।
আরহান নিশাতের কানে কানে ফিসফিস করে বলে
_”লজ্জা পেও না। নাহলে কিছু একটা হয়ে যাবে
নিশাত আরহানকে ধাক্কা দিয়ে ঘরে গিয়ে বলে
_”ইসু তুই ফ্রেশ হয়ে নে।এখনো সেই পোশাকে আছিস?যা আগে গোসল কর
ঈসাকে উঠতে সাহায্য করে নিশাত।আরহান বাইরে থেকে বলে
_”তোমরা এই ঘরে ঘুমাও আমরা অন্য ঘরে আছি।
জয় ঘর থেকে যেতেই নিশাত ঈসাকে ওয়াশরুমে নিয়ে গোসল করিয়ে নিজের ড্রেস পড়িয়ে দেয়।
ঈশা কে ভালো করে বসিয়ে নিশাত প্রশ্ন করে
_”তোর পিঠে এইসব কিসের দাগ ?
ঈশা যেনো আটকে উঠে নিশাত কে জড়িয়ে ধরে বলে
_”আপু ওরা আমাকে অন্ধকার একটা রুমে আটকে রাখে আর খেতে না চাইলে লাঠি দিয়ে খুব মারত।
নিশাত ঈসাকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিতে থাকে
_”ঈশা কে যে করেই হোক ওইসব ভয় কাটাতে হবে।(মনে মনে)
নিশাত ঈশার মন ঘুরানোর জন্য বলে
_”ইসু তুই এভাবে কান্না করতে কি হবে?কয়দিন পর বাবু এসে কি দেখবে যে ওর খালা মনি কান্না করে।এটা কি ভালো দেখা যাবে আর কান্না করলে তোকে পেত্নী লাগে
ঈশা চট করে নিশাতের বুক থেকে উঠে অবাক চোখে বলে
_”মানে আপু তুই
নিশাত চোখ দিয়ে বুঝায় ঈশা যা ভাবছে সত্যি ।ঈশা নিশাতের পেটের কাছে মাথা দিয়ে বলে
_”ইয়াহু আমি খালা আম্মু হবো। কতো দিন অপেক্ষা করেছি।দেখি তো বাবু নড়ছে কি না। হ্যালো বাবু আমি তোমার খালামণি।
নিশাত ঈশার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ।ঈশা মুখ ছোট করে বলে
_”আপু বাবুর নাম কিন্ত আমি রাখবো।আমাকে রাখতে না দিলে বাবু কে ধরতে দেবো না বলে দিলাম।
নিশাত মুচকি হেসে বলে।
_”বাবুর নাম আমার ঠিক করা আছে।আমি না থাকলে ওই নাম ওদের আমার কথা মনে করিয়ে দেবে
ঈশা কাদো কাদো মুখ করে বলে
_”আপু ওমন বলিস না আমি তোকে কোথাও যেতে দেবো।তোকে ছাড়া আমি থাকবো কি করে
_”হইছে আর ড্রামা করতে হবে না।শুয়ে পড়
ঈশা নিশাতকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে।নিশাত ঈশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।কিছুক্ষণের মধ্যে ঈশা ঘুমের রাজ্যে পারি দেয়।
নিশাত ঈশা কে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে এই কয়দিনে চেহারার কি অবস্থা হইছে ।মুখটা শুখিয়ে গেছে।শরীরে মারের দাগ।
নিশাত আস্তে করে ঈশা কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বাইরে যায় ।
খুব ছাদে যেতে ইচ্ছা করছে।রাতে যাওয়া ঠিক না তবুও নিশাতের মন আজ খুব খারাপ।খোলা আকাশে যদি একটু ভালো হয়।নিশাত আস্তে আস্তে ছেড়ে গিয়ে রেলিং ধরে দাঁড়াল।দুর আকাশের দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলে
_”i am sorry আব্বু আম্মু।আমি তোমাদের কথা রাখতে পারলাম না।ঈশা কে সুন্দর জীবন দিতে পারলাম না।সব আমার জন্য।আমি যদি ঈশা কে একটু বুঝতাম তাহলে ঈশার সাথে এত কিছু হতো না।নিজের ভুলের জন্য নিজের জীবন থেকে দুইমাস চলে গেছে।আমাকে মাপ করে দাও
নিশাত উড়না দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরছে যাতে কান্নার আওয়াজ বাইরে না যায়।হটাৎ কাধে ঠান্ডা কিছু অনুভব হওয়ায় ভয় পেয়ে যায়।পিছনে ঘুরে দেখার আগেই দুটো হাত আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে।নিশাতের বুঝতে দেরি হলো না ।
শান্ত গলায় বলে
_”তুমি ঘুমাওনি?
আরহান নিশাতের কানের লতিতে কামড় দিয়ে বলে
_”আমার বউয়ের মন খারাপ আর আমি আসবো না সেটা কি করে হয়।বউয়ের মন খারাপ মনে বরের ও মন খারাপ।
আরহানের লজিক শুনে নিশাত কি বলবে বুঝতে পারছে না।
কিছু সময় দুইজন চুপ থেকে নিশাত বলে
_”ওরা ইসু কে অনেক মেরেছে।শরীরে দাগ পড়ে গেছে।আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই।বিনা কারণে যারা তোমার আমার সুখ নষ্ট করেছে তাদের শাস্তি চাই ।তবে সেটা আইনত।
নিশাতের কথায় আরহান নিশাতকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলে
_”তোমাকে কথা দিলাম আমার বাচ্চা পৃথিবীর আলো দেখার আগে সবাই সবার শাস্তি পাবে।এমন শাস্তি দেবো তারা সারাজীবনে কখনো ভুলতে পারবে না
আরহান নিশাতের চোখের দুই পাতায় চুমু খায়।কপালে ভালোবাসা দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।নিশাত নিজের সব কষ্ট ভালোবাসার মানুষের বুকে বিলীন করছে ।
দুইজন দুইজনার হৃদপিন্ডের ডাক শুনতে ব্যস্ত তখনই নিচ থেকে জয়ের চিৎকার কানে আসে। দুইজন দুইজনকে ছেড়ে দেয়
নিশাত বলে
_”চিল্লানোর আওয়াজ আসছে না ?
_”জয়ের চিৎকার
নিশাত আর আরহান নিচে গিয়ে দেখে ঈশা হাত পা ছুড়াছুড়ি করছে আর পাগলের মত বলছে আমাকে মেরো না আমাকে মেরো না আমি কিছু করিনি।
জয় ঈসাকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছে কিন্তু ঈশা কারো কথা শুনছে না।নিশাত আর আরহান দুইজন অবাক চোখে দেখছে।
নিশাত এগিয়ে যেতে গেলে ঈশা চিৎকার করে বলে
_”আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমাকে মেরো না প্লীজ।
চলবে
(গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক বাস্তবের সাথে মিলাবেন না।খুব তাড়াতাড়ি সব রহস্যের সমাধান হবে।গল্প নিয়ে মতামত দিবেন তাহলে বুঝতে পারবো কার কেমন লাগছে )