পাহাড়ে মেঘের ছায়া পর্ব-৪০

0
530

উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া
পর্ব – ৪০
(নূর নাফিসা)
.
.
নাফিসা জোকের মতো আঁকড়ে ধরে রেখেছে মেঘকে। মেঘ নাফিসাকে ছাড়িয়ে সোজা করে বললো,
– মেঘা চুপ করো। তাকাও আমার দিকে। আংকেল কি তোমার বাবা?
নাফিসা কেদেই যাচ্ছে, মেঘ নিচু স্বরেই ছোটখাটো একটা ধমক দিয়ে বললো,
– কি বলছি, তোমার কানে যাচ্ছে না! অযথা এভাবে কাদার কোনো মানে হয়? বলো, তিনিই কি তোমার বাবা?
নাফিসা নিজের মুখ চেপে ধরে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জবাব দিলো। চাইলেও যে কান্না থামাতে পারছে না!
মেঘ ছোট একটা নিশ্বাস ছাড়লো। এবার নিজেই নাফিসার আরও কাছে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো।
– এই বোকা মেয়ে, কাদছো কেন তুমি! বাবাকে পেলে মানুষ খুশি হয় আর তুমি কাদছো!
– তিনি আমার বাবা না! এমন লোক কারো বাবা হতে পারে না।
– হয়েছেন তো। তিনি মারিশার বাবা। কান্না থামাও তুমি।
মেঘ চুপ করে বসে রইলো। নাফিসা আস্তে আস্তে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে ! এখনো নাক টেনে কাদছে! কাদো কাদো গলায় বললো,
– মেঘ, কেউ যেনো কখনো না জানতে পারে এসব! আমি আর আম্মি অনেক ভালো আছি! তুমি কাউকে না জানালে কেউ কিছু জানবে না! প্লিজ মেঘ, বলো না কাউকে! এতো বছর পর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না আমি! আম্মি এসব জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবে! জানো, এজন্য সেদিনের পর আমরা আর কখনো ঢাকায় আসিনি। শুধুমাত্র এই ভয়ে! আজ সেটাই সামনে দাড়িয়ে আছে!
– আমি তো বলবো না কিন্তু তোমার রিয়েকশনেই তো সবাই জেনে যাবে! সেটা কি বুঝতে পারছো! এখন তুমি যে কাদছো সেটা যদি মা, বাবা কেউ বুঝতে পারে তাহলে তারা জিজ্ঞেস করবে না কেন কাদছো তুমি? তখন কি বলবো বলো! কালকেও কেদেছো আজও কাদছো এসব কি কিছুই বুঝতে পারবে না তারা? এভাবে আর কখনো কাদবে না।
– তারা এবাড়িতে কেন আসে! সহ্য করতে পারি না আমি! কাল সেই মেয়েটাও আমাকে কটু কথা শুনিয়ে গেছে!
– মেহমান, আসতেই পারে। তাদের কি আর তাড়িয়ে দেওয়া যাবে! এতো ভেঙে পড়ো কেন তুমি! কাল কথা শুনিয়ে গেলো উপযুক্ত জবাব দিলে না কেন! কথা সে জানে আর তুমি কি জানো না! নিজেকে তো নিজেই ছোট বানিয়ে রাখো! বৌভাতের সেই প্রোগ্রামে কি আংকেলকে দেখে কেদেছো তুমি?
– হুম!
– মেঘা, শক্ত করো নিজেকে। এভাবে ভেঙে পড়লে হবে না! কঠোর করো মনটাকে! আর অযথা চোখে বন্যার সৃষ্টি করবে না। নিজেকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হও। আংকেল বাবার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু, মারিশাও খুব আদরের তাছাড়া আমরা ছোট থেকেই একে অপরের সাথে বন্ধুসুলভ। তারা যেকোনো সময়ই আসতে পারে বাসায়। আর কখনো তাদের দেখে এমন রিয়েক্ট করবে না। নিজেকে স্ট্রং করবে, হুম?
– হুম।
– যাও, ওযু করে নামাজ পড়ো।আমিও পড়বো তোমার সাথে।
নাফিসা ওযু করতে চলে গেলো। দুজনেই একসাথে নামাজ আদায় করলো। নাফিসা আর বের হয়নি রুম থেকে। মেঘ বের বয়েছে, তার কাছে জানলো সৈকত মির্জা এখনো যায়নি। ডিনার করবে তাদের সাথে। বৃষ্টি এলো তার সাথে গল্প করতে। মির্জা সাহেব চলে গেলে নাফিসা, বৃষ্টি, মোহিনী ও মেঘ একসাথে ডিনার করলো। মেঘ রুমে চলে গেছে নাফিসা মোহিনীর সাথে প্লেট গুছিয়ে রাখছে। কাজ শেষ হয়ে এলে রায়হান চৌধুরী মেঘকে ডাকলেন। মেঘ বেরিয়ে এসে বাবার কাছে বসলো।
– হ্যাঁ বাবা, বলো।
– নাফিসা কি পড়াশোনা করবে না?
মেঘ এতো টেনশন আর কাজের চাপে এতোদিন ভুলেই গিয়েছিলো নাফিসার পড়াশোনার কথা! সে নাফিসার দিকে একবার তাকালো। নাফিসাও একবার মেঘের দিকে তাকাচ্ছে আবার রায়হান চৌধুরীর দিকে তাকাচ্ছে! মেঘ বললো,
– বাবা, আমি তো পড়াশোনা করাতেই চাইছিলাম! তুমি কি বলো!
– আমি আবার কি বলবো! পড়াশোনা শেষ করবে না সে! সব সুযোগ আছে, তাহলে পড়বে না কেন! নাফিসা, পড়বে না?
নাফিসা কিছুই বলছে না! কি বলবে সে নিজেই বুঝতে পারছে না! মোহিনীও বললো,
– পড়বে না কেন! বিয়ে হয়েছে বলে কি পড়াশোনা থেমে যাবে নাকি! সংসারে কোনো কাজ নেই, এটাই সুবর্ণ সুযোগ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। পরিবারের সবাই উচ্চশিক্ষিত তাহলে সে বাদ পড়বে কেন! ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য এপ্লাই করো। বৃষ্টি, এপ্লাইয়ের শেষ সময় কবে?
– ন্যাশনালে এপ্লাই করার ডেট তো শেষ! আমি তো মেডিক্যালে এপ্লাইয়ের জন্য কোচিং করছি, ভাবি তো কমার্সের স্টুডেন্ট!
বাবা মেঘকে বললো,
– ডেট শেষ হয়ে গেছে, আগে খোঁজ রাখবি না! এখন একটা বছর পিছনে পড়ে গেলো!
– বাবা, আমার মনে ছিলো না একটুও!
– হ্যাঁ, পড়াশোনার কথা তোর মনে থাকবে নাকি! নিজেই তো পড়াশোনায় ফাকি দিয়ে এসেছিস সবসময়!
বৃষ্টি হিহি করে হেসে উঠলো। মোহিনীর মুখেও মৃদু হাসি!
মেঘ কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো,
– এখন আরও কত কিছুই না বলবে! বৃষ্টি, পাবলিক ভার্সিটির এপ্লাই কি শেষ?
– না।
মোহিনী বললো,
– নাফিসা তো কোচিং করেনি, পাবলিকে পারবে?
মেঘ নাফিসার দিকে তাকিয়ে বললো,
– পারবে?
নাফিসা মাথা নাড়িয়ে ইশারা করলো পারবে না! রায়হান চৌধুরী বললো,
– থাকুক তাহলে, আগামী বছর সময়মতো এপ্লাই করো। পড়াশোনা শুধু শুধু বন্ধ করো না। অন্তত অনার্স কমপ্লিট করো।
রায়হান চৌধুরী ড্রয়িং রুমে চলে গেলে নাফিসা সবকিছু গুছিয়ে রুমের দিকে যাচ্ছে বৃষ্টিও যাচ্ছে পিছু পিছু। মেঘ আগেই রুমে এসে গেছে। রুমে ঢুকতে ঢুকতে বৃষ্টি বললো,
– ভাবি, তুমি বাসায় পড়েও কিন্তু পাবলিকে ট্রাই করতে পারো। টিকো আর না টিকো, এক্সপারিয়েন্স আসবে।
– না, থাক। আগামী বছর ন্যাশনালে দেখবো।
– হু, তোমার ইচ্ছা। গুড নাইট।
– গুড নাইট।
নাফিসা এসে ঘুমানোর জন্য বিছানা ঠিক করতে লাগলো। মেঘ বললো,
– মেঘা, কেমন তুমি! আমাকে একবার মনে করিয়ে দিবে না! নানান টেনশনে সত্যিই আমি ভুলে গিয়েছিলাম!
– এতো টেনশন করতে হবে না। আমি পড়বো না।
– পড়বে না কেন?
– যতটুকু পড়েছি ততটুকুই অনেক। পড়াশোনা করে কি করবো।
– কি করবে মানে! পড়াশোনা কেন করে মানুষ! নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও না?
– না করাই উত্তম মনে করি। কেননা, বিবাহিত নারীরা পড়াশোনা করে নিজে যদি স্বামীর চেয়েও বেশি যোগ্যতার ক্ষমতা রাখে তাহলে অহংকার বেড়ে যায় তাদের! আশেপাশের কাউকে গন্য করবে না, নিজেকেই সবকিছুতে মুখ্য ব্যক্তি ভাববে! এভাবে সংসারে অশান্তির ছায়া পড়ে।
মেঘ নাফিসার কাছে এসে বসলো এবং বললো,
– যুক্তি আছে তোমার কথায় কিন্তু শিক্ষা লাভ করতে তো কোনো সমস্যা নেই! তুমি অন্যান্য কাজে না জড়িত হও, কিন্তু নিজে উচ্চ শিক্ষিত হও। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তো সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে। তুমি নিজে এমন গুটিয়ে চললে, বাচ্চারাও এমন ভাবেই চলতে শিখবে! আল্লাহ না করুক, যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীনও হতে পারো! যেখানে তোমার শিক্ষা তোমাকে বাচতে সহযোগীতা করতে পারবে। মা বাবা কি বললো শুনোনি! তাছাড়া বৃষ্টিও কিন্তু ভুল বলেনি! বাসায় পড়ে ট্রাই করতে পারো।
নাফিসা মুখটা মলিন করে বললো,
– অনেকদিন গেভ দিয়ে ফেলেছি পড়াশোনায়! তাছাড়া ন্যাশনাল হলে মানা যেতো কিন্তু পাবলিকের জন্য কি সম্ভব! পারবো না আমি!
মেঘ তার সাথে ঘেঁষে বসে বললো,
– বোকা মেয়ে, চেষ্টা তো করতে পারো। না টিকলে নেই! পরের বছর আবার দিবে। এখন বৃষ্টির হেল্প নিতে পারো। কোচিং-এ ভর্তি করিয়ে দেই, যতদিন বাকি আছে ততদিন ক্লাস করো।
নাফিসা কিছু বলছে না, শুধু অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেঘের দিকে। মেঘ তার মাথায় মাথা ঠুসে আহ্লাদী সুরে বললো,
– এই, সুযোগ থাকতে অবহেলা করবে কেন! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাত কলেজে এপ্লাই করে দেই? হুম? বলো?
নাফিসা এ পরিবারের সদস্যদের যত দেখছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে! আর মেঘের কথা তো না বললেই নয়! যার নিজেকে নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই সেখানে তাকে নিয়ে এতো আগ্রহ তাদের! নাফিসা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে, মেঘের চোখেই যেন ভাসছে তার স্বপ্ন! মেঘের স্বপ্নসমৃদ্ধ দৃষ্টি তাকে সাড়া দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে! সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নাফিসা বললো,
– কোচিং করবো না। বাসায় পড়েই এক্সাম দিবো। না পারলে কিছু বলতে পারবে না কিন্তু!
মেঘ মুচকি হেসে নাফিসাকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত বৃষ্টির কাছে চলে গেলো। বৃষ্টির কাছে সকল তথ্য জেনে আবার রুমে চলে এলো। আম্মির কাছে কল করে নাফিসার এডমিট কার্ডের কিছু তথ্য নিয়ে নোট করলো। নাফিসা আম্মির সাথে কথা বলছে আর এদিকে মেঘ এপ্লাই করে দেওয়ার জন্য বৃষ্টির কাছে নোট দিয়ে এলো। বৃষ্টি জানিয়েছে, কিছু বিষয়ে নিজে হেল্প করবে নাফিসাকে আর তার কমার্স গ্রুপের ফ্রেন্ড আছে, বাকি বিষয়গুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দিবে।
৩৮.
পাবলিক ইউনিভার্সিটির জন্য বৃষ্টি এপ্লাই করে দিয়েছে আর শুরু হয়ে গেছে নাফিসার ব্যস্ত জীবন! মোহিনীর কাজেও মাঝে মাঝে হেল্প করে আবার পড়াশোনায়ও মনযোগী। বৃষ্টি কোচিং-এ থাকাকালীন সে বাসায় পড়ে আর বৃষ্টি এলে তার সাথে সময় কাটায়।
আজ সন্ধ্যায় রায়হান চৌধুরী একা বাসায় ফিরেছে। মোহিনী মেঘের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন কাজ আছে তাই মেঘ আসেনি! রাতের বেলাও কি কাজ সেটা নাফিসা বুঝতে পারছে না আবার মেঘ সম্পর্কে বাবা মা কে কিছু জিজ্ঞেসও করতে পারছে না! খাওয়ার একটু আগে নাফিসার ফোনে মেঘ কল করলো,
– আসসালামু আলাইকুম।
– ওয়ালাইকুম আসসালাম। খেয়েছো, মেঘা?
– উহুম। বাসায় আসবে কখন?
– একটু কাজ আছে তাই আজ ফিরবো না। তুমি খেয়ে বৃষ্টিকে সাথে নিয়ে ঘুমাও আজ।
– কোথায় আছো?
– বললাম তো, কাজে এসেছি। আমার চিন্তা করো না। আর শুনো, নিজে নিজে আবার কাটা বেছে খেতে যেও না! আমি বৃষ্টিকে বলে দিচ্ছি তোমার সাথে ঘুমাতে। দুজন একসাথে হয়ে আবার গল্প করে সারারাত পাড় করে দিও না। তারাতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে।
– ওকে। তুমি খেয়েছো?
– খাবো এখন।
কল কেটে রাখতেই মেঘের নম্বর থেকে একটা মেসেজ এলো, ” সরি, মিসেস! আজ রাতটা অন্যদিনের মতো স্পেশালভাবে কাটাতে পারলাম না! কষ্ট হলেও ঘুমানোর চেষ্টা করো।”
পরপরই আরেকটা মেসেজ এলো, ” টেক্সট ডিলিট করে দিও, বৃষ্টি দেখলে আবার প্রব্লেম হবে! ” নাফিসা মৃদু হেসে মেসেজ ডিলিট করে দিলো।
রাতের খাওয়া শেষে বৃষ্টি তার রুমে এলো। ফোনটা নিয়ে আকাশের ফোনে ডায়াল করলো। আকাশ একটু লেট করেই ফোন রিসিভ করলো।
– বলো?
– কি বলবো?
– কল করেছো কেন?
– কেন, কল করতে পারিনা?
– কারণ ছাড়া নিশ্চয়ই না।
– আচ্ছা, বলো তো আমাকে এতো ইগনোর করো কেন তুমি?
– সবাই তো আর তোমার মতো ফ্রী থাকে না!
– এতো ব্যস্ত কি নিয়ে?
– তোমার কাজে আমি কখনো জানতে চেয়েছি তুমি কি করছো!
– জানতে চাও না কেন! আমি তো সেটাই চাই, যেন তুমি আমার সম্পর্কে সবটা জানতে চাও!
– প্রয়োজন মনে করি না জানার।কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছো! এ সময়টা পড়াশোনায় ব্যয় করলে ভালো ফল পাবে।
– সারাক্ষণ পড়া পড়া আর পড়া! তুমি কতটুকু পড়েছো সেই খেয়াল আছে! আসছে আবার অন্যকে সাজেস্ট করতে! এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকতো! তাহলে ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট হতে পারলে না কেন!
আকাশ কিছু বলছে না, বৃষ্টিও চুপ করে আছে! কয়েক সেকেন্ড নিরব থেকে আকাশ বললো,
– কল কেটে দিবো?
বৃষ্টি মৃদু স্বরে বললো,
– আকাশ এমন করো কেন তুমি! আমি কি খুব বেশি সময় নষ্ট করে ফেলি তোমার! চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে পাচ মিনিটও কি আমাকে দিতে পারো না! সেদিনও তুমি নিজে থেকে এসে আমাকে কষ্ট দিয়ে গেছো! এসবের মানে কি? শুধু শুধু এতো কষ্ট দাও কেন! এতো রাগিয়ে দাও কেন আমাকে?
– সব প্রশ্নের উত্তর সবসময় দেওয়া যায় না।
– তুমি কখনোই দাও না!
– এখন কি চাও সেটা বলো।
– কাল একবার আসবে দেখা করতে? সেই রেস্টুরেন্টেই। প্লিজ না করো না! একবার এসো। দশ মিনিটের জন্য অন্তত।
– ওকে।
– সত্যি!
– এখন “না” বলবো?
বৃষ্টি হিহি করে হেসে উঠে বললো,
– উহুম! যাও, তোমার সময় আর নষ্ট করলাম না। গুড নাইট।
– গুড নাইট।
বৃষ্টি খুশি মনে বেরিয়ে নাফিসার কাছে চলে গেলো। দু একটা কথা বলে দুজনেই চোখ বন্ধ করে ঘুমের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কেউই ঘুমাতে পারছে না! নাফিসার মেঘকে ছাড়া ঘুম আসছে না আর এদিকে অতি খুশিতে বৃষ্টির চোখে ঘুম নেই! সে নানান পরিকল্পনা করতে লাগলো কালকের জন্য!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here