প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব-২৭

0
717

#প্রণয়_প্রহেলিকা (কপি করা নিষিদ্ধ)
#২৭তম_পর্ব

দিগন্তের কথার ভোল সন্দীহান ঠেকলো। ধারাকে ঠেস মেরে যখন কথাটা বললো, তখন ই বন্ধুমহলের উত্তেজনা বাড়লো। ধারার ভ্রু কুচকে এলো, শান্ত কন্ঠে বললো,
“দিগন্ত তোর এই কথাগুলো সত্যি আমরা বুঝছি না। যা বলার বলেই ফেল না, অহেতুক কথা প্যাচাচ্ছিস কেনো?”
“আমি প্যাচাচ্ছি নাকি তুই রীতিমতো ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিস! তোর মিস্ট্রি বরটি যে অনল স্যার সেটা বলতে কিসের আপত্তি বলতো!”

দিগন্তের আকস্মিক উক্তিতে কিছুটা হলেও তাজ্জব বনে যায় ধারা। বিস্ফারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে। উপরন্তু সকলের দৃষ্টি ধারার দিকে। করিডোরে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি ধারার দিকে। তাদের মাঝে গুঞ্জন উঠেছে। এতো বড় খবরটি যে কোনো বি’স্ফা’র’কের চেয়ে কম নয়। ফিসফিসানি শোনা যাচ্ছে,
“ঠিক শুনলি! ধারার বিয়ে হয়ে গেছে?”
“তাই তো শুনছি! তাও আবার অনল স্যার। অনল স্যার নাকি ধারার হাসবেন্ড!”
“থাম শুনতে দে”

ধারার মাথা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এতোকালের সুপ্ত সত্যিটা আকস্মিকভাবে সকলের সামনে আসবে এটা কল্পনাও করে নি ধারা। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন দিগন্ত এই সত্যটি জানলো কি করে! বন্ধুমহলে মাহি ব্যাতীত এই খবরটি কেউ জানে না। ধারা মাহির দিকে আড়চোখে চাইলো, মাহি ডান বামে ঈষৎ মাথা নাড়িয়ে “না” বুঝালো। দিগন্ত ব্যাপারটি লক্ষ্য করতেই বললো,
“ওর দিকে তাকাচ্ছিস কেনো? মাহি আমাকে বলে নি”

কথাটা বলেই সে তার পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলো। গ্যালারি থেকে একটা ছবি বের করে ধারার চোখে সামনে ধরলো। ছবিটি অনল এবং ধারার। ধারা অনলের বাইকের পেছনে বসে রয়েছে। অনলের কোমড় জড়িয়ে কাধে থুতনি ঠেকিয়ে রেখেছে সে। ছবিটি কিছুদিন পূর্বের। এই পরীক্ষার সময়কালীন যেদিন অনলের গার্ড ছিলো না সেদিন সে ধারাকে নিতে এসেছিলো। যথারীতি ভার্সিটি গেট থেকে বহুদূরেই দাঁড়িয়েছিলো অনলের বাইক। ধারা বরাবরের মতো সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে নিজের বরের পেছনে বসেছিলো। কিন্তু ভাগ্যের কি অদ্ভুত খেলা! দিগন্তের নজরেই পড়লো সেই প্রেমঘন দৃশ্য। দিগন্ত ছবিটি দেখিয়ে হিনহিনে কন্ঠে বললো,
“কি ধারা! আমি কি মিথ্যে কথা বলছি! অনল স্যার ই তো তোর হাসবেন্ড তাই না? এখন প্লিজ বলিস না সে তোর কাজিন, কারণ তুই যে তোর কাজিনের সাথে এতোটা ঘনিষ্ঠভাবে বসবি না সেটা কেউ না জানুক আমি জানি”
“আমি কি বলেছি তুই মিথ্যে বলেছিস?”

কাঠ কাঠ কন্ঠে বলে উঠলো ধারা। দিগন্ত ভেবেছিলো ধারা হয়তো উত্তর দিবে না। কিন্তু তার ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করলো ধারা। বরং তার মুখোভাব বদলালো, এতোসময়ের শান্ত, অসহায় ঘুঘুটি যেনো হুট করেই কঠিন, হিং’স্র বাঘিনী হয়ে উঠলো। ধারা মুখ গোল করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো, তারপর বললো,
“হ্যা অনল স্যার আমার হাসবেন্ড। তো এতে কোন মহাভারতটি অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে শুনি?”
“আমাদের থেকে লুকোনোর কি মানে?”
“আমার জীবনের সব কিছু কি তোদের বলতে হবে? কেনো রে, আমার পার্সোনাল লাইফ নেই! যখন আমি লুকিয়েছি তার মানে আমার কিছু কারণ ছিলো। সময় হলে ঠিক বলতাম। কিন্তু তোর তো সহ্য হয় না, সব খবর প্রয়োজন। শান্তি হয়েছে আমাকে ব্রেকিং নিউজ বানিয়ে? এখন সকলের মুখে মুখে আমি আর অনল স্যারের বিয়ের চর্চা হবে। খুশী তো তুই?”
“সত্য তো ফাঁস হবার ই ছিলো। এখন এটা নিয়ে আলোচনা হবে না সমালোচনা সেটা নিয়ে এতো চিন্তা করছিস কেনো তুই? নাকি তোর ভয়টা অন্য জায়গায়! যে মানুষ এটা নিয়ে আলোচনা করবে, তুই শুধু মার্ক পাবার লোভে অনল স্যারকে বিয়ে করেছিস! বা তার স্ট্যাটাসের জন্য তাকে ফাঁসিয়েছিস! অথবা তোর অনল স্যারের পার্শিয়ালিটি নিয়ে মানুষ সমালোচনা করবে! এটাও বলতে পারে, যে পরীক্ষার আগে সে তোকে পুরো প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়েছে। নয়তো যে ধারা ক্লাস এসেসমেন্ট ৩০ এ ৩ পায় সেই ধারা কিনা ১০০ মার্কে এতো ভালো পরীক্ষা দেয়”

দিগন্তের কথাগুলো বিষাক্ত সুই এর মতো চুবছে ধারার হৃদয়ে। দিগন্তের স্বভাব যেমন ই হোক কিন্তু তার থেকে এমন বিষাক্ত কথা কখনোই কল্পনা করে নি ধারা। সে যেমন ই হোক, বন্ধু হিসেবে তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই দিগন্তকে যেনো বিচিত্র লাগলো ধারার কাছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন, আলাদা। তবে কি এতোকাল মানুষ চিনতে ভুল করেছে সে। ধারা কিছুসময় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। দিগন্তের মুখোভাবের পরিবর্তন হলো না। তার মনে দ্বিধাবোধ কিংবা গ্লানির ছিটেফোঁটাও নেই। বান্ধবীকে নির্দ্বিধায় কটুক্তি বলে গেলো সে। এটাই বন্ধুত্ব! এর মাঝেই নীরব তীব্র স্বরে বলে উঠলো,
“দিগন্ত, তুই লাইন ক্রস করছিস। একটা সামান্য ব্যাপার নিয়ে সিন ক্রিয়েটের মানে নেই। তুই ইমোশনালি হার্ট হয়েছিস বলে ধারাকেও হার্ট করবি এটা অন্যায়। তার পার্সোনাল লাইফ, সে আমাদের শেয়ার করবে কি না, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের এর মধ্যে নাক গলানোটা অহেতুক”
“নীরবের সাথে আমি একমত, দিগন্ত তুই বাড়াবাড়ি করছিস”

নীরবের সাথে তাল মেলালো অভীক। দিগন্ত এতেও ক্ষান্ত হলো না, সে তীক্ষ্ণ স্বরে বললো,
“তাই বুঝি? আমি বাড়াবাড়ি করছি! আর এদিকে আমাদের ধারারাণী তার বরের বদৌলতে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করছে সেটা কারোর নজরে পড়লো না। আচ্ছা ও কি তোদের বলেছে কি কি প্রশ্ন আসবে? বলে নি! কিন্তু ও তো ঠিক ই জানতো! বর তার বউ কে জানাবে না এটা হয়? আসলে ও কেনো বলে নি জানিস? যেনো আমরা ভালো না করি। আর খাতাও ওর বর ই দেখবে, সেই ফাঁকে ধারার নাম্বার ও ভালো আসবে। রেজাল্ট দিক, যা বলছি সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই না ধারা!”

কথাটা শেষ না হতেই দিগন্তের গালে সজোরে চড় বসিয়ে দিলো ধারা। এতো সময় চুপ করে তার আজেবাজে কথাগুলো শুনছিলো সে। কিন্তু আর নিজেকে সংযত রাখা সম্ভব হলো না। নিজের সম্পর্কে বললে হয়তো এতো গায়ে মাখাতো না, হেসে উঁড়িয়ে দিতো। কিন্তু যার সম্পর্কে বলছে তার সততা নিয়ে প্রশ্ন করাটা অনর্থক। ধারা জানে মানুষটি কতটা পরিশ্রমী, কতটা সৎ৷ ধ্যা, অনল প্রশ্ন করলেও ধারা সেই প্রশ্নের এক বিন্দুও চোখে দেখে নি। অনল তাকে পড়ার উপর রেখেছে, দিন রাত তাকে দিয়ে পরিশ্রম করিয়েছে। কিন্তু কখনো অসদুপায় অবলম্বন করে নি। সর্বদা সে নিজের পেশা এবং পারিবারিক জীবনকে পৃথক রাখে। সুতরাং যখন কেউ অনলের সততা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করে তখন সহ্য হয় না ধারার। ধারার আকস্মিক চ’ড়ে বিস্মিত হয়ে যায় দিগন্ত। তটস্থ চাহনীতে তাকায় সে ধারার দিকে। ধারার কঠিন, ক্ষুদ্ধ চাহনীতে স্তব্ধ হয়ে গেলো সে। ধারা আর চুপ করে রইলো না, কড়া কন্ঠে বললো,
“অনেক বলেছিস আর না, আমি শুনেছি তবে আর না। অনল স্যারের সততার উপর তুই প্রশ্ন তুললে তো আমি চুপ করে থাকবো না। মানলাম না হয় অনল স্যার প্রশ্ন করেছেন, কিন্তু আমরা সবাই জানি প্রশ্ন মডারেট হয়। এটা কি ভুল বললাম? আর একটা মানুষ এসেসমেন্টে ৩ পেয়েছে বিধায় সে ভালো পরীক্ষা দিতে পারবে না এটা কেমন যুক্তি? তুই ও তো ৪ পেয়েছিলি, অভীক ও। তোরা কি খারাপ পরীক্ষা দিয়েছিস? কারণ উনি আমাদের পড়িয়েছে। উনার পরীক্ষা কেউ খারাপ দেয় নি। আর যদি আমি ভালোও করি তবে সেটা আমার কষ্টের জন্য, আমি পড়েছি তাই। অনল স্যার আমাকে প্রশ্ন আউট করে দিয়েছে বলে নয়। আজ প্রথম বার মনে হচ্ছে আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি। লজ্জা করছে তোকে বন্ধু ভেবেছি। তোর আমার উপর ক্ষোভ থাকলে আমাকে বলতি, এভাবে সবার সামনে অনল স্যারের সততা নিয়ে কেনো কথা বললি? এতোকাল তোর এই মানুষের জীবনের কথা পাচারটাকে আমরা বিনোদন হিসেবে নিতাম। আজ প্রথম নিজেকে সেই পর্যায়ে দেখে বুঝছি ব্যাপারটা কতোটা বিরক্তিকর, অপমানজনক”

ধারা এক মূহুর্ত দাঁড়ালো না। সে হনহন করে হেটে চলে গেলো। মাহিও পিছু নিলো। দিগন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো। ধারা চলে যাবার পর শিক্ষার্থীর ভিড় একটু হলেও কমলো, নীরব এবং অভীক গেলো না। ভিড় কমতেই নীরব শান্ত কন্ঠে বললো,
“অনল স্যারকে তোর অপছন্দ বলে এভাবে ধারাকে কষ্ট না দিলেও পারতি। যদি এটাকে ভালোবাসা বলে তবে আমি বলবো তুই ভালোবাসা কি জানিস না। আমি জানি তুই কষ্ট পাচ্ছিস, কিন্তু তাই বলে তোর আজকের ব্যাবহারটা মানতে পারলাম না৷ ধারা লুকিয়েছে কারণ সে আমাদের ভার্সিটির রুলস জানে। আমাদের টিচাররা আত্নীয়দের ক্লাস নিতে পারে না। হয়তো অনল স্যার এবং ধারার বিয়েটা সে কারণেই লুকানো। তুই না জেনে অহেতুক যা তা বললি! এটা কি মানা যায়? আমি সত্যি তোর উপর হতাশ। এখন আমাদের বন্ধুমহল ভাঙ্গলে দায়ী থাকবি তুই”

বলেই প্রস্থান নিলো নীরব, অভীক ও তার পিছু নিলো। শূন্য করিডোরে দাঁড়িয়ে রইলো দিগন্ত। সত্যি কি রাগ, ক্রোধে সীমা অতিক্রম করলো সে!! এই বন্ধুত্ব কি আর থাকবে না?

******

কৃষ্ণাচূড়া গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে ধারা। পড়ন্ত বিকেলের ঈষৎ কমলা আঁছড়ে পড়ছে ধারার কঠিন মুখশ্রীতে। তার ঠোঁটের উপরে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। ঈষৎ কাঁপছে শরীর। এখনো দিগন্তের রাগ কমে নি। মাহি তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। তাকে শান্ত হতে বলার ও ভাষা নেই, দিগন্তের কাছে সেও বিরক্ত। মাহি একটু রয়ে সয়ে বললো,
“তুই বাড়ি যাবি না?”
“যাবো, একটু পর”

এর মাঝেই অনলের আগমন ঘটে। সে এবং প্লাবণ হেসে হেসে আসছিলো৷ কৃষ্ণাচূড়া গাছের নিচে ধারাকে দেখতেই থমকে গেলো সে। ধারার মুখখানা স্বাভাবিক লাগছে না। প্রচন্ড রেগে রয়েছে সে। তার চোখগুলো রক্তিম হয়ে রয়েছে। আশপাশ টা ফাঁকা বিধায় অনল এগিয়ে গেলো। কৌতুহলী কন্ঠে বললো,
“কি হয়ছে? তোকে এমন লাগছে কেনো?”

প্রশ্নের উত্তর দিলো না ধারা। তার এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। অনলের প্রশ্নের উত্তরটা দিলো মাহি। একটু রয়ে সয়ে ডিপার্টমেন্টের করিডোরে ঘটিত সকল ঘটনা বর্ণনা করলো। অনল কিছুসময় চুপ করে রইলো। তারপর ধারার মাথায় আলতো করে হাত রেখে নরম গলায় বলে,
“আমি সামলে নিবো, চিন্তা করিস না”

অনলের নরম কন্ঠের স্বান্তনা যথেষ্ট ছিলো ধারার ক্রোধকে বাস্পায়িত করার জন্য। মানুষটা নিজেও জানে কি ঝড় অপেক্ষা করছে তার জন্য তবুও সে ধারাকে স্বান্তনা দিচ্ছে। আশ্বাস দিচ্ছে “কিছু হবে না”। ধারা খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বললো,
“আমি এখন বাসায় যাবো, আমার মাথা ব্যাথা করছে। তুমি আমাকে বাসায় নিয়ে যাও।”

অনল মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। তারপর তার হাতখানা নিজের বলিষ্ট হাতের ফাকে পুড়লো। পা বাড়ালো বাড়ির দিকে।

বাড়ি পৌছাতে সন্ধ্যে হলো। আজ বাইক না থাকায় অনল এবং ধারা রিক্সাতেই বাড়ি ফিরলো। ধারার মন খারাপ বিধায় তাকে সরাসরি বাড়ি না এনে রিক্সা ভ্রমণ করলো তারা। ইট পাথরের ঢাকা শহরে রিক্সা নিয়ে ঘোরাটা বড্ড বিচিত্র। দশমিনিটের দূরত্বে সময় ব্যয় হয় আধা ঘন্টা। ধারা এবং অনলের ক্ষেত্রেও তাই হলো। এক রিক্সাভ্রমণে হলো সন্ধ্যে। এর পর শুরু হলো আষাঢ়িয়া বৃষ্টি। শীতল বৃষ্টিতে ভিজলো সারা শহর। রিক্সার পর্দা না থাকায় ভিজলো দুজন ই। অনল তার আর্টিফিশিয়াল লেদার ব্যাগ দিয়ে ধারাকে ভেজা থেকে বাঁচাবার চেষ্টা করলো কিন্তু লাভ হলো না ঠিক। ভিজলো ধারা নির্বিশেষে। অনলের বাচ্চামো কাজে হাসি পেলেও ধারা কিছুই বললো না। শুধু অপলক নজরে দেখে গেলো তার প্রণয়নকে। কাকভেজা হয়ে বাড়ি ভিড়তেই দরজা খুলে দিলেন সুভাসিনী বেগম। তার মুখ থমথমে। অনল কারণ শুধাতেই তিনি বললেন,
“সেলিম ভাই এসেছেন”……….

চলবে

(আসসালামু আলাইকুম, আজ লেখাটি একটু ছোট হয়েছে। কারণ আগামীকাল ও আমার পরীক্ষা আছে, তবুও গল্প দিয়েছে কারণ আগামীকাল সম্ভব হবে না। তাই আগামীকাল গল্প পাবেন না। এই পরীক্ষার মধ্যে আপনারা আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছেন। তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্ব ইনশাআল্লাহ পরশুদিন পাবেন)

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here