প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব-৩২

0
610

#প্রণয়_প্রহেলিকা (কপি করা নিষিদ্ধ)
#৩২তম_পর্ব

দিগন্তকে দেখতেই ধারা উলটো দিক হাটা দেবার প্রস্তুতি নিলো। শান্ত আগ্নেয়গিরির লাভা আবারোও তার প্রচন্ড রুপ নেবার আগেই সরে যাওয়া শ্রেয়। কিন্তু তার আগেই দিগন্ত অসহায় কন্ঠে বললো,
“আমাকে ক্ষমা করে দে ধারা। আমি সেদিন সত্যি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম”

দিগন্তের কথাটা স্নায়ুকোষে প্রবেশ করতেই রেষারেষি শুরু হলো। সে কি শুধু বাড়াবাড়ি করেছিলো! হয়তো শুধু বাড়াবাড়ি হলে ধারা তাকে ক্ষমা করে দিতো। কিন্তু সে রীতিমতো ধারাকে অপমান করেছে তাও ডিপার্টমেন্ট করিডোরে বহু মানুষের মাঝে। শুধু ধারাকে নয় সে অনলের সততাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বহুবার। উপস্থিত সকলের মনে না চাইতেও অনল স্যারের সততা নিয়ে সন্দেহ জেগেছে। এই মানুষটাকে ক্ষমা করা যায় কি! আচ্ছা, আঘাত করে ক্ষমা চাইলেই কি আঘাতের ক্ষত দূর হয়ে যায়! ধারা চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো৷ একটা কথাও বললো না, শুধু তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো দিগন্তের দিকে। হ্যা! বন্ধুত্ব সত্যি অদ্ভুত একটা সম্পর্ক৷ সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে পরিবারটা বেছে দেন। পরিবার, আত্নীয় বাছাই করার উপায় মানুষের থাকে না। কিন্তু এই বন্ধুর নির্বাচন মানুষ নিজে করে৷ তারা তাদের মনের সাথে মিলে এমন বন্ধু বাছাই করে। কিছু কিছু বন্ধুত্ব তো পরিবারের মতো হয়৷ ধারার বন্ধুমহল টিও ঠিক তেমন ছিলো। দিগন্তের সাথে তার বন্ধুত্বটি একটা বছরের৷ কিন্তু এই এক বছরে সুন্দর মূহুর্ত অগণিত। এই সকল সুন্দর মূহুর্তগুলো তিক্ততায় পরিণত করেছে সেদিনের উক্তিগুলো৷ চাইলেও মস্তিষ্ক সেই উক্তিগুলো ভোলাতে পারছে না। হয়লো প্রিয় বন্ধুটি এমন কটুক্তি করেছিলো বলেই আঘাতটা গভীর। ধারাকে নিশ্চুপ দেখে দিগন্ত নরম কন্ঠে বললো,
“ধারা আমি সত্যি অনুতপ্ত৷ সেদিন আমি তোকে এতো বাজে কথাগুলো বলেছি, আমি নিজেই লজ্জিত। আসলে আমার অনেক রাগ হয়েছিলো। প্রথমত অনল স্যারকে আমি অপছন্দ করি। দ্বিতীয়ত আমার কিছু ব্যক্তিগত কারণ ছিলো, যা তোকে বলা সম্ভব নয়। ফলে ক্রোধে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার কথাগুলো তোর কাছে অযুহাত মনে হবে। ক্রোধের বশে তোকে অপমান করাটা যৌক্তিক নয়৷ কিন্তু ওই সময় আমার মানসিক অবস্থাটা তোকে বোঝাতে পারবো না। যখন তুই আমার সাথে কথা বলা ছেড়ে দিলি, মুখ ঘুরিয়ে নিলি তখন বুঝলাম আমি কি অমূল্য জিনিস হারিয়েছি। আমি অতিরিক্ত লোভী হয়ে উঠেছিলাম। এই বন্ধুত্বটাই আমার জন্য যথেষ্ট ছিলো। আমাদের পাঁচজনের কাটানো প্রতিটি মূহুর্ত আমার জীবনের সবচেয়ে অমূল্য মূহুর্ত। আমি তোর বন্ধুত্ব হারাতে চাই না ধারা। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে”
“দিগন্ত, বন্ধুর দ্বারা অপমানিত হবার থেকে জঘন্য জিনিস আর কিছুই হয় না। সেই আঘাত গুলো মনে দাগ কেটে যায়। তুই আমার উপর রাগ দেখালে হয়তো আমি কিছুই মনে করতাম না৷ কিন্তু তুই শুধু আমাকে না অনল স্যারকেও অপমান করেছিস। সেদিন যে যে সেখানে উপস্থিত ছিলো তুই কি তাদের মন থেকে সব কিছু মুছিয়ে দিতে পারবি। আমার সম্পর্কে তাদের ধারণা বদলাতে পারবি? পারবি না। কাঁচ ভাঙ্গলে সেটা জোড়া ঠিক ই লাগে তবে দাগ থেকে যায়।”

ধারা শান্ত কন্ঠে কথাগুলো বললো৷ দিগন্ত নত মস্তক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। লজ্জার জন্য তাকাতেও পারছে না সে। বুকের ভেতর কাতর অনুভূতিগুলো অস্থির হয়ে উঠেছে। চিনচিনে বিষাদেরা পাথরের মতো চেপে আছে বুকের উপর। না চাইতেও বার বার হানা দিচ্ছে বন্ধুত্ব চুরমার হবার আশঙ্কা। ধারা দাঁড়ালো না। সে পা বাড়ালো ক্লাসের দিক। মাহিও তার পিছু নিলো। নীরব এবং অভিক রইলো দিগন্তের সাথে। অভিক স্বান্তনা দিলো,
“ধারার অভিমান হয়েছে। এখন এই অভিমানিটা তোর ই ভাঙ্গাতে হবে। ভুল যেহেতু করেছিস সুতরাং সেটার মাশুল ও গুনতে হবে”
“দোস্ত আমাদের বন্ধুমহলটা আমার জন্য নষ্ট হয়ে গেলো”
“যদি বন্ধুমহলের জোড় এতো ঠুঙ্কো হয় তবে আমার মনে হয় তা ভেঙ্গে যাওয়া শ্রেয়। আর আমাদের বন্ধুত্বের জোড় যদি কঠিন থাকে তবে এই ঝড় তুফানেও তা অক্ষত থাকবে। জীবনটাতো মসৃণ নয়। মুখ লম্বা করে দাঁড়িয়ে থাকিস না। চল ক্লাসে”

শান্ত কন্ঠে নীরব কথাটা বললো। নীরবের কথাগুলো সর্বদাই আধ্যাত্মিক ধরণের হয়৷ তবে তার কথাগুলোর মর্ম যৌক্তিক। অভীক বলে উঠলো,
“যথাআজ্ঞা নীরব বাবা, চলেন। আপনাকে এই গাছের নিচে একটা গেরুয়া রঙ্গের লুঙ্গি পড়িয়ে বসিয়ে দিতে হবে। আপনি বাণী বকবেন আর আমি টাকা ইনকাম করবো”
“ফাজলামি কর, কিন্তু এই নীরব বাবার কথাই খাটে”

কথা বলতে বলতে পা বাড়ালো ক্লাসের দিকে। দিগন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো। মাথা তুলে তাকালো নীলাম্বরের দিকে। সাদা তুলোর মতো মেঘেরা এক জায়গায় জড়ো হয়েছে। কেউ ঠিক বলেছিলো,
“বিশ্বাস ভাঙ্গা সহজ, গড়া বহু দুষ্কর”

*******

অবশেষে উৎসাহীত মনকে সম্পূর্ণ নাকানিচুবানি খাওয়িয়ে শেষ হলো সেকেন্ড ইয়ারের প্রথম ক্লাস। এখন দুপুর ১.২০। সেকেন্ড ইয়ারের প্রথম ক্লাসটি এতোটা ক্লান্তময়ী হবে কে জানতো! বিষয়গুলো আরোও দ্বিগুন কঠিন। উপরন্তু এই সেমিস্টারে অনলের একটি ক্লাস ও নেই। সুতরাং যা একটু ক্লাসের ফাঁকে কাতর নয়নগুলো মুগ্ধ মনের মানুষটিকে দেখবে সেই উপায়টিও নেই। ক্লান্ত ধারা বের হলো ক্লাস থেকে। মাহি উদাস কন্ঠে বললো,
“এবার ফেল নিশ্চিত”

মাহির কথাটি কর্ণপাত হলো না ধারার। কারণ তার নজর সিড়ির কাছে দাঁড়ানো মানুষটির দিকে। শার্টের হাতা গুটিয়ে রেখেছে সে। ডানহাত পকেটে, বারবার বাম হাতের ঘড়িটিকে দেখে যাচ্ছে কিছুসময় পর পর। তারপর কপালে আসা চুলগুলো পেছনে ঠেলে দিয়ে আবারো শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে প্রণয়িনীর অপেক্ষায়। ঘামে নীল শার্টটি ভিজে চুপচুপে অবস্থা। তবুও মানুষটি দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখেই ধারার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো। মাহিকে উপেক্ষা করেই এগিয়ে গেলো সে। এখন আর লুকোচুরি নেই, সকলে জানে তার এই পা’গ’লে’টে মানুষটির কথা। ধারা আসতে দেখে স্মিত হেসে এগিয়ে গেলো অনল। বেশ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলো তার জন্যই৷ বিকেলে ল্যাব স্যাশন আছে তার। তাই দুপুরের খাবারটি বউ এর সাথেই খাবে। নরম গলায় বললো,
“ল্যাব আছে?”
“আছে”
“আমারোও আছে, চল খেয়ে নেই”
“কোথায় যাবো?”
“আশেপাশে কোথাও”
“তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছিলে বুঝি!”
“সব জেনেও যখন অবুঝ সাজিস কেনো?”
“ভালো লাগে, অবুঝ মনের আবদারও বলতে পারো”

অনল ধারার নিষ্পাপ স্বীকারোক্তিতে হাসে শুধু। তারপর আদুরে কন্ঠে বলে,
“আমার দশটা না পাঁচটা না, একটা বউ। অপেক্ষা না করে উপায় আছে?”

অনলের উক্তিটি শুনতেই বুকের ভেতর অনুভূতিরা ঝড় তুললো। অজস্র সুখ জেনো তার হাতের ভেতর চলে এসেছে। হৃদস্পন্দনটা কিঞ্চিত বেড়ে গেলো৷ এ যেনো এক অদ্ভুত ভালোলাগা। সে জানে অনল এমন মোহনীয় কিছু একটা বলবে! তবুও বেহায়া হৃদয় বারবার তা শুনতে চায়। এবং এই একই রকম ভালোলাগাটা প্রতিবারেই ধারার অনুভূত হয়। প্রতিবার ই হৃদস্পন্দন বাড়ে, প্রতিবার ই ভীষন লজ্জায় দৃষ্টি নেমে যায়। তবুও শুনতে ইচ্ছে হয় কথাগুলো। এ যেনো এক অদ্ভুত অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। এর মাঝে অভীক বলে উঠলো,
“আজ একটা বউ থাকলে আমরাও তাকে নিয়ে খেতে যেতাম। আহারে কষ্ট”

মাহি এবং নীরব হেসে উঠলো। ধারা লজ্জা পেলো ঠিক ই কিন্তু পরমূহুর্তেই অনলের হাতের ফাঁকে নিজের হাত গলিয়ে দিলো। অনলও শক্ত করে হাতটি ধরলো। পাছে ছুটে না যায়। রুক্ষ্ম হাতের মাঝে এই নরম হাতের স্পর্শটি মন্দ লাগে না বরং এক সাগর অনুভূতিগুলো মাথাচাড়া দেয়। একেই বুঝি ভালোবাসা বলে। ধারা এবং অনল চলে গেলো নিজ গন্তব্যে। পিছনে দুটো কাতর নয়ন ঠিক ই চেয়ে রইলো। অনুভূতিগুলো আর্তনাদ করছে। তপ্ত হৃদয়টা বার বার বেহায়ার মতো প্রশ্ন করছে, “আমার মাঝে কি নেই! কেনো আমায় ভালোবাসা যায় না”। দিগন্ত তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো। পা বাড়ালো লাইব্রেরির দিকে। কেউ সেটা খেয়াল না করলেও মাহি ঠিক ই খেয়াল করলো। কিছু একটা ভেবে সেও পিছু নিলো তার।

লাইব্রেরির শেষ ভাগে গিয়ে বসলো দিগন্ত। মাথা বেঞ্চে ঠেকিয়ে রাখলো। না চাইতেও চোখের কোন ভিজে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় চেয়ার টানার শব্দ কানে এলো। মাথা তুলে তাকালে মাহিকে দেখতে পেলো সে। বিস্মিত কন্ঠে বললো,
“তুই এখানে?”
“আসলাম! দুপুর পর্যন্ত রোদে ঘোরা ভালো লাগছে না”
“খাবি না?”
“তুই ও তো খাস নি”

দিগন্ত উত্তর দিলো না। সে পুনরায় মাথা নামিয়ে রাখলো। মাহিও নজর বাহিরের দিকে দিলো। লাইব্রেরির এই প্রান্তে থাই গ্লাস থেকে ভার্সিটির মাঠটা দেখা যাচ্ছে। মাহি নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে রইলো মাঠটির দিকে। তারপর মলিন কন্ঠে বললো,
“অবুঝ মনটা নীল অম্বরের ফুটন্ত আতশবাজির মতো, মূহুর্তেই রঙ্গিন আবার মূহুর্তের মাঝেই বিলীন”

কথাটা কর্ণপাত হতেই মুখ তুলে চাইলো দিগন্ত। বিস্মিত চোখে তাকালো সে মাহির দিকে। মাহি নিস্প্রভ কন্ঠে বললো,
“ভালোবাসাটা খারাপ নয়, শুধু ভালোবাসায় জোর করাটা খারাপ”
“তোকে কে বলেছে আমি কাউকে ভালোবাসি?”
“তুই ধারাকে ভালোবাসিস, কি মিথ্যে বললাম?”

দিগন্ত উত্তর দিলো না। শুধু কাঠের নির্জীব টেবিলটির দিকে চেয়ে রইলো। মাহি আবারও হাসলো। তারপর বাহিরে মাঠের দিকে রোদের মাঝে কাঠের অংশ আর রাবারের ফাঁটা বল দিয়ে খেলতে থাকা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,
“আমাদের জীবনে সবাই কাউকে না কাউকে, কোনো না কোনো সময় পছন্দ করে। সেই পছন্দের সময়সীমা থাকে, কিছু পছন্দ ক্ষণিকের আবেগ তো কিছু পছন্দ স্থায়ী। আমি তোর ভালোবাসাকে ক্ষণিকের আবেগ কিংবা স্থায়ী কাতর অনুভূতি নামক আখ্যা দিবো না। শুধু বলবো, যতদিন এই বিষাদ আগলে রাখবি ভেতরটা বারবার তিক্ত হয়ে উঠবে৷ জানি যন্ত্রণা টা অসহনীয়। কিন্তু সহ্য করার ক্ষমতাটাও অসীম। সময়ের থেকে বড় ঔষধ আর হয় না”
“তুই এতোটা শান্ত কিভাবে? কষ্ট হয় না তোর?”

দিগন্তের প্রশ্নে মাহি আবারো হাসলো। বিচিত্র দূর্বোধ্য সেই হাসি। তারপর বললো,
“কষ্ট হয়, সবার হয়৷ মানুষ তো। শান্ত ঠিক ই কিন্তু অনুভূতি গুলো তো সজীব। জড়ো বস্তু হলে হয়তো কষ্ট হতো না। কিন্তু কি জানিস, সেই কষ্টটা স্থায়ী নয়। কারণ যা পাবার নয় তার জন্য যা পেয়েছি তা হারাতে চাই না। যে মানুষটার হৃদয়ে আমার স্থান নেই, তার প্রতি লোভ করে নিজের এতো স্নিগ্ধ বন্ধুত্ব জ্বলাঞ্জলি দেই কি করে!”

মাহির দৃষ্টি এখনো মাঠের দিকে। আর দিগন্তের দৃষ্টি মাহির দিকে। মেয়েটি এতো সুন্দর করে কথা বলতে পারে জানা ছিলো না দিগন্তের। বিস্মিত নজরে সামনে থাকা চরম ঝগড়ুটে, মারকুটে, অভদ্র মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে; যার সাথে তার ছত্রিশের আখড়া। অথচ এই মেয়েটিকেই আজ মুগ্ধ হয়ে দেখছে দিগন্ত। মেয়েটি কি বরাবর ই এতোটা সরল, সুন্দর, মোহনীয়। কে জানে!________

এশা আশা হাটু গেড়ে বসে আছে সেলিম সাহেবের বাসার সদর দরজায়। দরজার পাশে ছোট একটা ছিদ্র করেছে তারা। কিভাবে করেছে সেটা একটা বিশাল কৌতুহল। কিন্তু তারা সক্ষম এই ছিদ্র করতে। তারা প্রতিদিন এই ছিদ্র দিয়ে ইঁদুরের সাপ্লাই করে। আজ অন্য কিছু সাপ্লাই করবে। কারণ ইঁদুরের সংকট দেখা গেছে। তারা তো ইঁদুর কিনে এনে সাপ্লাই করতে পারবে না। ইঁদুররা ও ভয়ে তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। ফলে এখন তেলাপোকা সঞ্চার শুরু করেছে। আপাতত আর কোনো ফর্মুলা কাজে লাগানোটি দুষ্কর। ফলে তেলাপোকা সঞ্চার করাটাই তাদের একমাত্র দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এশা যখন খুব নিপুন ভাবে শেষ তেলাপোকাটি ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢোকাচ্ছিলো। তখন ই কানে এলো,
“তোমরা এখানে কি করছো?”………

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here