#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৭
ফুলগাছ প্রায় সব মানুষেরেই প্রিয়। ফুল সবসময়েই যেমন সুন্দর তেমন এর অমায়িক সুভাসের জন্য সকলের ভালোবাসার বস্তু। ফুল নিজের জীবন বিসার্জন দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়। ফুলের সুভাস মানুষের মনকে করে তোলে সতেজ। ফুল পরিবেশকে সুন্দর করে। ফুল নিজের জন্য না বরং মানুষের জন্যই ফোটে। তাইতো কবি বলেছেন “পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না।” সাজ্জাদ ফুল গাছ অনেক পছন্দ করে। বিশেষ করে গোলাপ ফুলগাছ। আর আখি বারবার ওর গোলাপ গাছের সাথে এমন করে। সাজ্জাদ রেগে পাশে বালতি থেকে পানি নিয়ে ওর গাছটা ধুইতে লাগলো। খুব যত্ন করে ওর গাছটা ধুইছে। ওর অনেক শখের ফুল গাছ এটা। আগের বারও আঁখি গাছটা উঠিয়ে ফেলেছিলো। এবার আবার গাছটা কাদা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে। ও বুঝেনা আঁখি কেনো ওর গাছের পিছনেই লেগে থাকে। ওর সাথে পারেনা বলে ওর গাছের সাথে যা ইচ্ছা তাই করে। কিন্তু কাজটা ও কখন করেছে সেটাই বুঝতে পারছেনা সাজ্জাদ। সাজ্জাদ রেগে আঁখির বেলকনির দিকে তাকালো। দেখলো আঁখির বেলকনিয়ে কেউ নেই। ওর ঘরের জানালা দরজা সবেই বন্ধ। সাজ্জাদ রেগে নিচ থেকে একমুঠো পানিতে মেশানো কাদা মাঠি নিলো। ওগুলো হাত দিয়ে গোল করে সোজা আঁখির বেলকনিতে মারলো। মাটিগুলো আঁখির বেলকনির জানালায় পড়ে চারদিকে ছিটকে গেলো। এতে আঁখির বেলকনির অনেক জায়গায় নোংরা হয়ে গেলো। এটা দেখে সাজ্জাদ ঠোঁট বাকিয়ে হেসে আবার নিচ থেকে হাতে একমুঠো মাটি নিলো।
আঁখি নাচ প্রাক্টিজ শেষ করে গোসল করতে গিয়েছিলো। গোসল করে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই বেলকনিতে কিছু পড়ার শব্দ পেলো। আঁখি হঠাৎ করে বুঝতে পারলোনা কি হয়েছে। ভ্রু কুচকে বেলকনির দিকে তাকিয়ে রইলো। আবারও বেলকনির মেঝেতে কিছু পড়ার শব্দ হলো। আখিঁ মাথা থেকে তোয়ালে টা খুলে বিছানার উপর রাখলো। চুল গুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বেলকিন কাছে গেলো। দরজা খুলে মেঝেতে তাকাতেই আখি যেনো আকাশ থেকে পড়লো। ওর পুরো মেঝেতে দেওয়ালে মাটি লেগে আছে। এগুলো কি করে হলো এটাই বুঝতে পারছেনা। এই তিনতলায় মাটি কি করে আসলো সেটাই বুঝতে পারলো না। আঁখি মাথা তুলে সামনে তাকাতেই ওর চেহারাট ওপর কাদা মাটি ছিটকে পড়লো। পুরো মুখ মেখে গেলো আঁখির। এমনকি কাদাগুলো ছিটকে আঁখির চুলে আর শরিরের অন্যান্য অঙ্গে মেখে গেছে। আঁখি সবে মাত্র গোসল করেছে আর এখনেই এমন হতে হলো? ও রেগে আশেপাশে দেখতে লাগলো। নিচে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো। দেখলো সাজ্জাদ মাটির দলা পাকাচ্ছে। আবার মারতেই আঁখি নিচে বসে পড়লো অগত্যা মাটি জানালায় পড়লো। জানার দিকে তাকিয়েই আখির মেজার পুরো আসমানে উঠে গেলো। আঁখি এবার রেগে দাঁড়িয়ে গেলো। কোমড়ে হাত দিয়ে সাজ্জাদকে উদ্দেশ্য করে বললো।
“এই কি করছেন আপনি হুম? এটা কোনো মানুষের কাজ? আপনার নামে আমি মামলা দিবো আমি!”
সাজ্জাদ এবার মাটি মারা বন্ধ করে দিলো। কারন মাটিতে পুরো আঁখির বেলকনি নষ্ট হয়ে গেছে। আঁখিকেও মাটি দিয়ে ভুত বানিয়ে দিতে পেরেছে। মাটি পুরো আখির চেহারায় চুলে লেপটে আছে। ওর প্রতিশোধ পুরো হয়ে গেছে। সাজ্জাদ আঁখির দিকে তাকিয়ে বললো।
“যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা? ওখানে মাটি মারা যদি মানুষের কাজ না হয়, তবে একটা জীবকে মাটিতে মুড়িয়ে কষ্ট দেওয়া কি মানুষের কাজ? আগের বাড়েতো পুরো গাছটাই উঠিয়ে নিয়েছিলে। বোবা প্রানীর জন্য যার মায়া নেই সে মানুষের মধ্যেই পরে না। এই মেয়ে তোমার নূন্যতম কমনসেন্স নেই?”
আঁখি এবার ব্যাপারটা বুঝতে পারলো। আসলেই কাজটা ওর ঠিক হয়নি। কিন্তু এখন চুপ থাকা মানেই সাজ্জাদের কাছে হার স্বীকার করা। নাহ! ও কিছুতেই সাজ্জাদের কাছে হারবে না। কিছুতো একটা বলতেই হবে তাই ও ভাবতে লাগলো কি বলা যায়। এর মাঝেই সাজ্জাদ দমক দিয়ে জোরে বললো।
“কি হলো? এবার চুপ করে আছো কেনো? ফাজিল মেয়ে কোথাকার! আমার গাছ থেকে দূরে থাকবে সবসময়!”
আঁখি এবার চোখ বড় বড় করে তাকালো। এত বড় সাহস? ওকে ফাজিন বলছে? আবার ওকে অর্ডার করছে? আঁখি মনে মনে বললো। “তোর অর্ডারের খ্যাতা পুরো। তোর মতো সাজগাজের কথাকে আমি একপয়সার ও দাম দেইনা। এখন থেকে বেশি করে যাবো।” এসব ভেবে আঁখি নিচে তাকিয়ে দেখলো সাজ্জাদ নেই। তার মানে চলে গেছে? আঁখি মুখ বাকিয়ে পিছনে তাকাতেই ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। পুরো বেলকনিতে মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে নোংরা হয়ে আছে। এগুলো পরিস্কার না করলে ওর মা তো ওকে পুরো শেষ করে দিবে। ওকেও তো গোসল করতে হবে। কলেজের সময় হয়ে গেছে। আঁখি এদিক ওদিক পাইচারি করতে লাগলো। পায়চারি করছে আর দাঁত দিয়ে নখ কাম্রে ভাবতে লাগলো কি করবে? পরক্ষনেই ভাবলো এখন গোসল করে কলেজে যাওয়া যাক! কলেজ থেকে ফিরে এগুলো পরিস্কার করবে এখন বেলকনি বন্ধ থাক। আঁখি ওর প্লান মতোই ওয়াশ রুমে চলে গেলো। তাড়াতাড়ি করে গোসল করে ডাইনিং টেবিলে বসলো। তাড়াহুড়ো করে খাবার খেতে লাগলো আঁখি। আমিনুর সাহেবের খাওয়া প্রায় শেষ তিনি আঁখি কে আরও আগে খাওয়ার জন্য ডেকেছিলেন। তিনি আঁখির দিকে তাকিয়ে বললেন।
“তোমাকে তো আরও আগে খেতে ডেকেছিলাম। লেট করে এসে এভাবে খাচ্ছো কেনো? এত তাড়াতাড়ি খাওয়া ভালো না। খাবার গলায় আটকে যাবে আস্তে খাও!”
আঁখি খাবার খেতে খেতে ওর বাবার দিকে তাকালো। আতিক চুপচাপ খাচ্ছে। মিসেস রোকেয়া রহমান রেগে বললেন।
“ও কারও কাথা শুনে? তুমি তো আমার কথা শুনো না। লাই দিয়ে পুরো মাথায় উঠিয়েছো!”
আতিক এবার সুযোগ পেয়ে বললো।
“আব্বু! ও আসলেই বেশি মাথায় উঠে গেছে। কিপ্টেও হয়েছে। আমায় সামান্য চকলেটও কিনে দেয়না।”
আঁখি খাবার মুখে দিতে যাচ্ছিলো কিন্তু আতিকের কথা শুনে মুখে দিলোনা। খাবারটা রেখে রাগি চোখে আতিকের দিকে তাকিয়ে বললো।
“এই মিথ্যা বলছিস কেনো? কান টেনে ছিড়ে ফেলবো। কালকেও তো আইসক্রিম কিনে খাওয়ালাম।”
আতিক ওর দিকে তাকিয়ে বললো।
“ওটা তো জোর করে ঘুষ হিসেবে নিয়েছি। এমনিতে তো কখনও কিনে দেছ না।”
আঁখির মা বিরক্ত হয়ে দুজনের দিকে তাকালো। আঁখির রেগে আতিক কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমিনুর রহমান বললেন।
“থামো দুজনে। খাওয়ার সময় কি ঝগড়া শুরু করছো? আতিক! তুমি আঁখি কে সম্মান দিয়ে কথা বলবে। ও তোমার বড়। আঁখি! তুমিও ওর সাথে ভালো ব্যবহার করবে।”
“যতই বলো ওরা দুজনে থামবে না। সারাদিন ঝগড়া করে দুজনে। তুমি তো বাড়িতে থাকো না, থাকলে দেখতে।”
আমিনুর রহমানের কথার পেক্ষিতে কথাটা বললেন মিসেস রোকেয়া রহমান। আমিনুর রহমান কিছুই বললেন না। চুপচাপ খেতে লাগলেন। তিনি একটু গম্ভীর টাইপের লোক। আঁখিও চুপচাপ খাচ্ছে। হঠাৎ করেই মনে হলো আজও তো ওর লেট হয়ে গেছে আনিকা ( আঁখির বান্ধবী নাদিয়ার নাম এখন থেকে আনিকা ওই নামটা ভালো লাগেনা।) বোধহয় আজও ওকে রেখে চলে গেছে। সাজ্জাদ যদি আজও ওকে ধরে? তাহলে কি করবে? সাজ্জাদের কথা ভেবেই আঁখি হালকা ঢোক গিললো। তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে ওর বাবার দিকে তাকিয়ে বললো।
“আব্বু! আজ আমি তোমার সাথে কলেজে যাবো। আমায় নিয়ে যাও! একটু বসো আমি এক্ষুনি আসছি।”
কথাটা বলেই কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আঁখি দৌড়ে রুমে চলে গেলো। মিসেস রোকেয়া রহমান ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বললো।
“এই তুই একা পথ চিনিস না? ছোট হয়ে গেছিস্?”
আমিনুর রহমানও আঁখি মতিগতি বুঝতে পাড়লেন না। তবুও মেয়ে যেহেতু বলছে তাই তিনি অপেক্ষা করছেন। আতিক আগেই রেডি হয়ে চলে গেলো। আঁখি তাড়াতাড়ি করে এসে ওর বাবাকে বললো।
“চলো চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে।”
কথাটা বলেই আগে আগে চললো আঁখি । আজ ও দারুন খুশি। সাজ্জাদ থাকলেও আজ ওকে কিছুই বলতে পারবেনা। কলেজের কাছে যেতেই আঁখি দেখলো সাজ্জাদ ওর বন্ধুদের নিয়ে বাইকের উপর বসে আছে। আজ গ্রে কালার গেন্জি পড়ে উপরে নেভিব্লু জ্যাকেট পরেছে। আঁখি যেতেই সাজ্জাদ ওর দিকে তাকালো কিন্তু আমিনুর রহমান সাথে বিধায় কিছুই বললো না। চোখ গরম করে আঁখির দিকে তাকিয়ে রইলো। আঁখি একটু ভাব নিয়ে মুখ ভেংচিয়ে কলেজের ভিতরে প্রবেশ করলো। সাজ্জাদ রেগে ওর বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বললো।
“দেখলি তোরা? সারাদিন তো বলতে থাকোস ওর সাথে ঝগড়া করি কেনো? এত সুন্দর মেয়ে দেখলে তোদের নাকি ঝগড়া আসেনা প্রেম প্রেম ভাব আসে। এখন বল? এমন করলে কার ভালো লাগে বলতো?”
সবাই সাজ্জাদের দিকে তাকালো। সবার মাঝে রনি বেশি দুষ্ট। রনি সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে বললো।
“তুই যাই বলোছ দোস্ত! আমার ওকে দেখলেই প্রেম প্রেম ভাব আসে মেয়েটা কিন্তু হেব্বি!”
রনি কথাটা বলেই শব্দ করে হেসে ফেললো। ওর কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো। সাজ্জাদ সবার দিকে রেগে তাকিয়ে রইলো। কেনো জানি রনির কথা ওর পছন্দ হলো না। সাজ্জাদ রেগে পাশে অন্তু আর ফাহিমের দিকে তাকিয়ে বললো।
“এখানে বসে দাঁত কেলাচ্ছিস কেনো? আমাদের মতো তোদেরও কি পড়ালেখা শেষ? যাহ! কলেজে যা!”
অন্তু আর ফাহিম ওর রাগ শুনে চুপচাপ চলে গেলো। রনি ওর দিকে তাকিয়ে বললো।
“কিরে মামা! হঠাৎ রেগে গেলি কেনো? এই অর্নব! তোরা দেখলি ও আমার কথা শুনে কেমন রেগে গেলো? শালা ডুবে ডুবে জল খায় আবার আমাদের সাথে ভাব নেয়।”
সাজ্জাদ রাগি চোখে ওর দিকে তাকালো। আশিক ঠোট চেপে হাসলো। অনর্ব সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে বললো।
“এসব বাদ দে। কলেজে মেয়েরা তোর জন্য কি পাগল দেখসিছ্? দু তিনটা প্রেম তো করতেই পারোছ এমন সিংগেল কি ভালো লাগে? ”
“আমার জন্য মেয়েরা পাগল হলে আমি দিনে চার পাঁচটা প্রেম করতাম দোস্ত!”
রনির কথা শুনে ওরা আবার হেসে ফেললো। আশিক সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে বললো।
“অর্নব ঠিকই বলছে। প্রেম করোস না কেনো তুই? তুই হা বললেই তো হাজার খানেক মেয়ের লাইন লেগে যাবে। আমি তো দু একটা করছি। রনি তো হাজার খানেক আর অর্নব তো দু বছর ধরে আনিকার পিছনে পরে আছে। (আখির ফ্রেন্ড নাদিয়ার নাম আনিকা)”
সাজ্জাদ রেগে বললো।
“আমার প্রেম ভালোবাসা ভালো লাগেনা। আমাকে দ্বারা ওসব হবেনা। বাবা বিয়ের জন্য রেডি হতে বলেছে।”
ওর কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো। কি? ও বিয়ে করবে? যে প্রেম করতে চায়না মেয়েদের দেখতেই পারেনা সে করবে বিয়ে? রনি হেসে বললো।
“যাক ভালো আমরা একটা বিয়ে খেতে পারবো! কতদিন হলো বিয়ে খাইনা!”
সাজ্জাদ ওর পিঠে জোরে থাপ্পড় দিলো। রনি পিঠ ডলতে ডলতে অহত দৃষ্টিতে তাকালো। সাজ্জাদ ওর দিকে তাকিয়ে বললো।
“শালা হারামী! আমি মরছি আমার জ্বালায় আর ওর বিয়ে খাওয়ার ধান্দা। পানিতে চুবিয়ে বিয়ে খাওয়ার ভুত মাথা থেকে নামিয়ে দিবো। এত শখ যখন বিয়ে খাওয়ার তখন নিজেই বিয়ে কর না।”
আশিক সিরিয়াস হয়ে বললো।
“তাহলে কি বিয়ে করে নিবি?”
সাজ্জাদ কিছুই বললোনা। চুপ করে কলেজের দিকে তাকিয়ে রইলো।
আঁখি কলেজের ক্লাস রুমে যেতেই শুনলো সামনের ২১ ফেব্রুয়ারি তে কলেজে একটি প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান আছে। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারীতে নাকি অনুষ্ঠান হয়। এবারও বড় করে অনুষ্ঠান হবে। আঁখি এই বছরেই নতুন আর কখনও ও অনুষ্ঠানে ছিলোনা। তাই ওর উত্তেজনা বেশি। আর মাত্র কিছুদিন বাকি কলেজে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলবে আজ থেকেই। আখিও নাচে নাম দিবে। ও খুব ভালো নাচতে পারে। ও আগেও স্কুলে কলেজে নাচে অনেক প্রাইজ পেয়েছে। আনিকাকে নিয়ে আখি নাম দিতে গেলো। নাম দিতে গিয়ে আঁখির মেজাজ পুরো খারাপ হয়ে গেলো। সেখানে সবাই সাজ্জাদের কথা বলছে। সাজ্জাদ নাকি অনুষ্ঠানে গান গাইবে। প্রতিবছরেই গান গায়। সবাই ওর গান শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। ও যেখানে যায় সেখানে মেয়েদের মুখে সাজ্জাদের কথা শুনে। আঁখি বুঝেনা ওই ছেলের মধ্যে কি এমন আছে যে কলেজের সব মেয়েরাই ওর জন্য পাগল? ওর কাছে তো সাজ্জাদ কে একটুও ভালো লাগেনা। আঁখি নাম দিয়ে মুখ ভেংচিয়ে চলে এলো।
ইনশাআল্লাহ চলবে……
(গল্পটা কেমন হচ্ছে জানিনা। পাঠকগন অবশ্যই বলবেন কেমন লাগছে গল্পটা। আপনাদের মতামত পেলে অন্তত একটা ধারনা পাওয়া যায়।)