#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–২৭
রুমে গিয়েই সাজ্জাদ রেগে বেডের উপর বসে পড়লো। সব ঝামেলা কেনো যে ওর লাইফে আসে বুঝেনা। কত মজার লাইফ সব শেষ। ঘুরতে যাওয়া ও হলো না। সাজ্জাদ রেগে কুশন ধরে ফ্লোরে ফেলে দিলো। আঁখি ওর পিছনে পিছনে রুমে প্রবেশ করলো। সাজ্জাদের রাগে একটুও ভয় পেলো না। ওর কাছে গিয়ে ওর সামনে কোমরে হাত দিয়ে দাড়ালো। রেগে সাজ্জাদের দিকে আঙ্গুল উচিয়ে বললো।
“এই আপনি আমাকে এখানে আনছেন কেনো? আপনাকে এত সাহস কে দিয়েছে? আমার হাত ধরার সাহস কোথায় পেলেন আপনি? বলা নেই কওয়া নেই গরুর মতো টানতে টানতে নিয়ে এসেছেন। কি পেয়েছেন কি?”
সাজ্জাদ এমনিতেই রেগে আছে। তার উপর আঁখির এই ঘ্যানঘ্যান ভালো লাগছে না। সাজ্জাদ রেগে দাঁড়িয়ে গিয়ে বললো।
“স্বীকার করেছো তুমি একটা গরু? গরুকে গরুর মতোই টানতে হয়। আমি তোমাকে কোথায় আনলাম? কথাবার্তা মেপে বলো ঠিক আছে? আমি তো তোমায় শুধু বাসার ভিতরে আনলাম আর তুমি তো সোজা আমার রুমে ঢুকে পরেছো। এত সাহস তুমি কোথায় পাও? যে কথা আমার জিজ্ঞাসা করার কথা সে কথা উল্টো তুমি জিজ্ঞাসা করছো? এই মেয়ে আল্লাহ তোমাকে বানাইছে কি দিয়ে হুম?”
আঁখি সাজ্জাদ কে ফাসাতে গিয়ে নিজেই ফেসে গেছে। ওকেই উল্টো গড়ু বানিয়ে দিলো? আঁখি রাগে ফোসফাস করতে লাগলো। পরক্ষনেই ভাবলো ঠিকই তো ওর রুমে তো ও নিজে ইচ্ছা করে এসেছে তাহলে এত কথা কিভাবে বলে? আঁখি এবার নিজের কপাল চাপরাতে চাপরাতে মনে মনে বললো। ” আঁখি রে পাখি! কেনো যে বেশি চালাকি করতে যাছ! এজন্যই তো বিপদে পড়োছ। এবার থেকে সাবধানে পা ফেলতে হবে।” আঁখি কে চুপ থাকতে দেখে সাজ্জাদ রেগে বললো।
“কি হলো? এবার চুপ করে আছো কেনো? কি বলবে ভেবে পাচ্ছ না? হুম এই একটাই তো কাজ, আমার পায়ে পারা দিয়ে বেশি বেশি ঝগড়া করা আর আমার পিছনে বাশ দেওয়া। এবার পুরো বাঁশঝাড় টাই দিয়েছো আর কিছু দেওয়া বাকি আছে? শোনো এটা আমার রুম! এখানে থাকতে হলে চুপচাপ থাকতে হবে নাহয় ধাক্কা দিয়ে রুমের বাইরে বের করে দিবো বুঝেছো?”
সাজ্জাদের কথাগুলো খুবেই আঁখির গায়ে লাগলো। চোখ ছোট ছোট করে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে বললো।
“এই যে শোনেন মি. সাজগাজ! এই রুমের কোথাও আপনার নাম লেখা নেই বুঝছেন? এই রুম এখন থেকে আমারও বুঝেছেন? আমায় বের করবে আসছে! শ্বশুর আব্বা আপনাকে বের করে দিলে আর এই রুম আপনারও থাকবে না। বেশি পকপক করলে শ্বশুর আব্বারে ডাক দিবো! তিনি কিন্তু এখনও পুরোপুরি তন্দ্রায় যান নি। কি ডাক দিবো?”
সাজ্জাদ ওর বাবার কথা শুনে একটু দমে গেলো। আঁখিকে দিয়ে বিশ্বাস নেই এই মাঝরাতে যে কোনো একটা কান্ড করে বসতে পারে। সাজ্জাদ রেগে বিছানায় আড়াআড়ি শুয়ে পড়লো। আঁখি ওর দিকে তাকিয়ে রেগে বললো।
“জলহস্তী’র মতো শরীর নিয়ে শুয়ে পড়ছেন যে? আমি শুবো কোথায়? আপনার শরীরের উপরে?”
আঁখির কথা শুনে সাজ্জাদের খেয়াল হলো আসলেই তো? এই মেয়ে ঘুমাবে কোথায়? ওর রুমে নাহয় ঠাই দিয়েছে ওর বিছানায় কিছুতেই ঠাই দেওয়া যাবেনা। এই মেয়েগুলোও আছে বসতে দিলে শুতে চায়। রুমে ঢুকতে দিয়েছে সেটাই কম কিসে এখন বিছানার ভাগও চাচ্ছে। আঁখি চোখ ছোট ছোট করে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সাজ্জাদ চুপচাপ ভেবেই চলছে আখি ওর পয়ে একটা চিমটি মেরে বললো।
“কি! শুতে দিবেন নাকি বাবাকে ডাক দিবো? উঠেন নাহয় দিলাম ডাক!”
“রুমে থাকতে পেরেছো এটাই বেশ! চুপচাপ নিচে নাহয় সোফায় শুয়ে পড়ো কথা কম বুঝেছো?”
“আমি মোটেও নিচে শুবো না৷ বাবাকে ডাক দিয়েই ছাড়বো। বুঝেছি আপনি সোজা কথায় কান দিবেন না।”
সাজ্জাদ এবার প্রচন্ড বিরক্ত হলো। ওর নিজের রুমেও ও নিরাপদ নয়? শান্তিতে একটু শুতেও পারছে না? কি ডেন্জারাস মেয়েরে বাবা! ওর রুমে বসে ওকেই হুমকি দিচ্ছে। এই মেয়েকে নিয়ে থাকবে কিভাবে? আগে তো বাসার বাইরে বসে জ্বালাতো এখনও তো রুমের মধ্যে ডুকে নিয়েছে। ওকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে কয়লা বানিয়েও এই মেয়ে ছাড়বে না। বাজারে বিক্রি করে তবেই নিস্তার দিবে ওকে। সাজ্জাদ রেগে বললো।
“যাও ডাকো। তোমার শ্বশুর আব্বাকে ডাকো যাও!”
আঁখি এবার সত্যি সত্যিই ডাক দিলো। পরের বার ডাক দিতেই সাজ্জাদ উঠে তাড়াতাড়ি ওর মুখ চেঁপে ধরলো। ওতো বুঝতে পারেনি এভাবে ডাক দিবে। সাজ্জাদ ওর মুখ চেঁপে ধরে রাগি চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আঁখির তাতে কিছুই যায় আসে না। ও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাড়িয়ে আছে। সাজ্জাদ রেগে বিছানার কর্নারে গিয়ে শুয়ে পড়লো। শুয়ে আবার পিছনে ফিরে রাগি চোখে আঁখির দিকে তাকিয়ে বললো।
“এই যে চক্ষু! আর যদি জ্বালিয়েছো তবে হাত পা বেধে বেলকনিতে ফেলে আসবো বলে দিলাম।”
আঁখি মুখ বাকিয়ে অন্যদিকে ফিরে গেলো। এসব ছোট মোট ছেলেকে পাত্তা দেওয়ার টাইম নেই। এখন তো ঘুমানোর টাইম। আঁখির শুয়ে পরতেই দেখলো কাঁথাটা সাজ্জাদ গায়ে জড়িয়ে আছে। এবার ও কি গায়ে দিবে? ও তো মুড়ো দেওয়া ছাড়া ঘুমাতে পারেনা। আখি এক আঙুল দিয়ে সাজ্জাদের পিঠে খোঁচা মারলো। সাজ্জাদ আলাপ পেয়েও ওর দিকে ফিরলো না। না বোঝার ভান করে শুয়ে রইলো। ওর সাথে কথা বললেই কথা বাড়বে। আঁখি সাজ্জাদ কে কথা বলতে না দেখে ভাবলো ও ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলো এত তাড়াতাড়ি ঘুমালো কিভাবে? নাকি ওর সাথে ভাব নিচ্ছে? আঁখি এবার কোনো থামার নামেই নিচ্ছে না। খোঁচাতেই থাকলো। ওকে পাত্তা দিচ্ছে না? এটা হতেই পারেনা। ও কথা বলিয়েই ছাড়বে। সাজ্জাদ অনেকক্ষন শুয়ে থাকলো এবার আর পারছেনা ওর মনে হচ্ছে আঁখি ওর পিঠ ছিদ্র করে ফেলছে। সাজ্জাদ রেগে পিছনে ঘুরে চিল্লিয়ে বললো।
“কি হয়েছে হুম? এভাবে খোঁচাচ্ছ কেনো?”
সাজ্জাদের কথা শুনে আঁখি একটু ভয় পেলো। আমতা আমতা করে বললো।
“আপনি কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন?”
সাজ্জাদ জোরে শ্বাস ছেড়ে ওর কপাল চাপড়ালো। লম্বা করে শুয়ে উপরে তাকিয়ে বললো।
“হে আল্লাহ আমায় বাঁচিয়ে রাখছো কেনো? নিয়ে যাও এক্ষুণি উঠিয়ে নিয়ে যাও! এই মেয়ের সাথে থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো। দয়া করো আমার উপর।”
সাজ্জাদ দিকে চুপচাপ তাকিয়ে আঁখি বোঝার চেষ্টা করছে ও এমন করছে কেনো? ও কি এমন বললো যার জন্য সাজ্জাদ এমন করছে। পুরো পৃথিবী ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে। আঁখি আবারও ভাবলো। নাহ ও তো অস্বাভাবিক কিছু বলেনি যার জন্য মরতে হবে। আঁখি ব্যাপার টা বুঝতে পা পেরে আবারও জিজ্ঞাসা করলো।
“কি হয়েছে? এমন করছেন কেনো?”
সাজ্জাদ রেগে ওর দিকে একটু এগিয়ে এসে বললো।
“এই তুমি কি মানুষ? ঘুমের মানুষ কে ঘুম থেকে জাগিয়ে জিজ্ঞাসা করে ঘুমাইছে কিনা! এটা কি স্বভাব?”
আঁখি এবার আসল কারন বুঝতে পারলো। ও আমতা আমতা করে বললো।
“ওটা বলতে চাইনি। আমার কাঁথা ছাড়া ঘুম আসেনা। একটা কাঁথা হবে?”
সাজ্জাদ এবার জোরে শ্বাস ছেড়ে চোখ বন্ধ করে আবার চোখ খুললো। মেজাজ শান্ত করে বললো।
“সে কথা আগে বললেই হতো এত ঢং করার কি আছে? আলমারিতে আছে নামিয়ে নাও। খবরদার বলে দিচ্ছি আর যদি জ্বালাও তো রুমের বাইরে রেখে আসবো। ফাস্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি।”
কথাটা বলেই সাজ্জাদ উল্টো ঘুরে শুয়ে পড়লো। আঁখি আলমারি থেকে কাঁথা নিতে নিতে নিজে নিজেই সাজ্জাদ কে ব্যাঙ্গ করে বললো। “জ্বালালে রুমের বাইরে দিয়ে আসবো। ইস্ আসছে যেই না একটা রুম তা নিয়ে আবার বাহাদুরি। কিছু হলেই বাইরে বের করে দিবে মগের মুল্লুক। এমন রুম আমার ঘরেও পড়ে আছে যত্তসব।” আঁখির কথা সাজ্জাদ শুনতে পেড়ে শোয়া অবস্থাতেই বললো।
“এতই যখন রুম আছে তো যাওনা নিজের রুমে গিয়ে ঘুমাও। আমার রুমে আসছো কেনো?”
আঁখি আর কিছুই বললো না। রেগে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে শুয়ে পড়লো।
——————————–
রাত বেশি করে ঘুমানোর জন্য আঁখি সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারেনি। একঘুমে উঠে দেখলো পুরো পৃথিবী আলোতে মাখামাখি। পাশে তাকিয়ে দেখলো সাজ্জাদ নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। কটা বেজেছে সেটাও জানেনা আঁখি। হাতের কাছে ফোনও ছিলো না যে এলাম দিবে। আঁখি তাড়াতাড়ি করে উঠে বসলো। মাথা চুলকে এদিক ওদিক তাকিয়ে ঘড়ি খুজলো। পাশে টেবিলের উপর ঘড়ির দিকে চোখ পরতেই ওর চক্ষুচড়ক! বেলা ১১টা বেজেছে। তারমানে সকাল নয় দুপুর। ১০টার পরের সময়কে কিছুতেই সকাল বলা যায় না। আজ প্রথম শ্বশুর বাড়ি তাও দেরি করে উঠেছে। কি হবে এবার? সবাই কি উঠে গেছে নাকি এখনও ঘুমাচ্ছে? একটু কান খাঁড়া করতেই ড্রইংরুমের থেকে শব্দ শোনা যাচ্ছে তার মানে সবাই উঠে গেছে। আঁখির কেমন যেনো লাগছে। সবাই কি ভাবছে কে জানে। ওদের বাড়ি হলে কিছুই মনে হতো না। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি বলে কেমন যেনো লাগছে। তারাই বা কি ভাবছে। আঁখি উঠে বাইরে যাবে কি যাবে না সেটাই ভাবছে। অনেকক্ষণ ভেবে চিন্তে উঠেই পরলো। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে হালকা দরজা খুলে বাইরে উকি দিলো। দেখলো আশরাফ খান, সাদিয়া, আর মিসেস শাহনাজ সোফায় বসে বসে কফি খাচ্ছেন আর হাসতে হাসতে গল্প করছেন। এটুক দেখেই আঁখি আবারও দরজা আটকে ফেললো। সবার মাঝে বাইরে যেতে খুবেই খারাপ লাগছে। একেতো ওভাবে বিয়ে হয়েছে তার উপর এত দেরিতে ঘুম থেকে উঠছে। আখি মন খারাপ করে বিছানায় বসে পড়লো। আঁখির এবার কান্না পাচ্ছে। ওদের বাড়ি হলে কত ভালো হতো লাফ মেরে সবার মাঝে চলে যেত। আনন্দে খাইতে বসে যেতো কিছুই মনে হতো না। কেনো যে বিয়ে হলো ওর। বাসায় থাকলে এখন ও নিজেও মজা করতো। আর এখন এখানে চুপটি করে বসে আছে। হঠাৎ কিছু মনে হতেই তাড়াতাড়ি সাজ্জাদ কে ডাকলো। সাজ্জাদ সাথে থাকলে একটু সাহস পাবে অতটা আনিজি লাগবে না। যতই ঝগড়া করুক ও থাকলে ভালো লাগবে। কেউ কিছু বললে সাজ্জাদের উপর দিয়েই যাবে। আঁখি অনেকক্ষন ধরে সাজ্জাদ কে ডাকলো কিন্তু ও নড়ে চড়ে আবারও ঘুমিয়ে গেলো। ঘুমে সাজ্জাদ বিভোর। আঁখি বিরক্ত হয়ে গাল ফুলিয়ে চুপ করে বসে রইলো। ক্ষিদে পেয়েছে প্রচুর কি করবে এখন? আঁখি আর বসে থাকতে পারলোনা। সকল কিছু ভুলে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলো। ড্রইং রুমে যেতেই সবাই ওর দিকে তাকালো। আঁখি জোরপূর্বক হেসে সালাম দিলো। আশরাফ খান সালামের উওর দিয়ে ওকে বসতে বললেন। আঁখি এবার মহা বিপদে পড়লো। ভেবেছিলো আসার পরেই খেতে পারবে কিন্তু ওকে তো বসিয়ে দিলো। আঁখি জোর পূর্বক হেসে বসে রইলো। সবাই এটা ওটা জিজ্ঞাসা করছে ও উওর দিচ্ছে। যদিও সবাই পরিচিত আর প্রশ্নও কমন কিন্তু ও নতুন বৌ বলে সবেই নতুন লাগছে। ক্ষিদেয় আঁখির পেটের মাঝে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে কিন্তু ও কিছুই বলতে পারছেনা। এখন ওর বাসা হলে নিজেই নিয়ে ক্ষেত। আঁখি আজ নিজের আর অন্যের বাসার পার্থক্য ভালোভাবে বুঝতে পারছে। অনেকটা সময় পার হওয়ার পর মিসেস শাহনাজ জিজ্ঞাসা করলেন।
“সাজ্জাদ তো উঠেনি। ও উঠলে খাবে নাকি এখনই খাবার খাবে? সময় তো অনেক হয়েছে।”
আঁখি কি উওর দিবে ভেবে পাচ্ছে না। ওর তো প্রচুর ক্ষিদে পেয়েছে। যদি বলে খাবে তাহলে ভাবতে পারে কেমন মেয়ে জামাইকে রেখেই খাচ্ছে। তাই আখি আস্তে করে বললো।
“একসাথেই খাই।”
কথাটা বলে আঁখি মনে মনে কেঁদেই দিলো। ক্ষিদেয় মরে গিয়েও খাওয়ার কথা বলতে পারছেনা। ওর ইচ্ছে করছে দৌড়ে নিজের বাড়ি চলে যেতে কিন্তু তা পসিবল না। এবার মনে মনে ইচ্ছা মতো সাজ্জাদ কে গালাগাল করতে লাগলো। হঠাৎ করেই সাদিয়া আঁখির দিকে তাকিয়ে বললো।
“ভাবি ছাদে যাবে?”
আঁখি জোরপূর্বক হাসলো। সাদিয়ার মুখে ভাবি ডাকটা কেমন যেনো লাগছে। এতদিন আপু শুনতে শুনতে তাতেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। মিসেস শাহনাজ সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে রেগে বললো।
“নতুন বিয়ে হয়েছে। তিনদিন না যেতে ছাঁদে যাবেনা। বুঝেছো আঁখি?”
আঁখি মাথা নাড়ালো। মানে ও খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। সাদিয়া মুখ বাঁকিয়ে উঠে একা একাই বাইরে গেলো। আঁখির আর কি করার পেট চেঁপে চুপচাপ বসে রইলো।
ইনশাআল্লাহ চলবে…