#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৪৮
সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে অর্নব আর আনিকার বিয়ের সব কিছু। ওদের বিয়ের আয়োজন টা কমিউনিটি সেন্টার করা হয়েছে। বিয়েতে অর্নবের সব বন্ধু বান্ধবদের ইনভাইট করা হয়েছে। এক দশক আগেও বিয়ের আয়োজনের বেশির ভাগই হত বর-কনের বাড়িতে। কিন্তু সময় বদলে গেছে। বাড়িতে এখন আর আগের মতো খোলা জায়গা নেই বললেই চলে। কিন্তু বাড়ির খোলা জায়গার অভাবে তো আর বিয়ের চাহিদা বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। তাই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শহরজুড়ে প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। বিয়ে ছাড়াও নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কমিউনিটি সেন্টারের প্রয়োজনীয়তার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে কাছাকাছি যে কোনো কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করে ফেলতে পারেন বিয়ের অনুষ্ঠান। খরচাপাতি কিছুটা বেশি হলেও অত্যন্ত গোছালো ও পরিপাটি ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বিয়ের আয়োজন।
আঁখি অনুষ্ঠানের এদিক ওদিক হাটছে আর সব কিছু দেখছে। সব দিকেই খুব সুন্দর সুন্দর ফুল আর লাইটিং দিয়ে সাজানো। চারদিকে আলোয় ঝলমল করছে। অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আঁখির খুব ভালো লাগছে। হঠাৎ করেই ওর বিয়ের কথা মনে হলো। যদি ওর বিয়েটা ওভাবে না হতো তবে এমন করেই সাজানো হতো। ওর মা বাবা ভাই কত খুশি খাকতো। হুট করেই আঁখির মনটা খারাপ হয়ে গেলো। একটু আগেই ওর বাবার সাথে দেখা হয়েছিলো তাই ভয় পেয়ে দূরে সরে এসেছে৷ ওর বাবা এখনও রেগে আছে ওর উপর। আখি ভয়ে সামনেই যেতে পারেনা। যদি ওর বাবার মনে কষ্ট না দিতো তবে আজ ওর বাবা রেগে থাকতো না। কিন্তু ওরেই বা কি করার আছে? এসব তো ভাগ্যের খেলা। আঁখি দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মন খারাপ করে হাটতে লাগলো। আজ আতিকও এসেছে বিয়েতে। তবে ওর মা বা শ্বাশুড়ি কেউয়েই আসেনি। আঁখি মেজেন্টা কালার গাউনটা পড়েছে সাথে সুন্দর করে সিলভার কালার ম্যাচিং হিজাবও পড়েছে। ওকে খুবেই সুন্দর লাগছে। আসার সময় অনেকেই তাকিয়ে ছিলো। যদিও আঁখি বরাবর বেশি সাজে না তবে আজ সেজেছে। অনেক আশা ছিলো বান্ধবীর বিয়েতে খুব সাজবে তাই সেজেছে। না সাজলে এত দিনের ইচ্ছাটা শেষ হয়ে যেতো আর আনিকাও মন খারাপ করতো।
আনিকাকে একটি রুমে সাজানো হচ্ছে। পর্লার থেকে লোক এসেছে ওকে সাজাতে। আঁখির ভিতরে বোর লাগছিলো তাই বাইরে এসেছে। এখনও অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। বাইরে আসতেই দেখলো সাজ্জাদ ওর বন্ধুদের সাথে হাসাহাসি করছে। আঁখি অপলক চোখে তাকিয়ে রইলো। কি সুন্দর ওর হাসি! হালকা পিংক ঠোঁটের নজর কারা হাসিতে আঁখি বারবার প্রেমে পরে যায়। সাজ্জাদ কে আজ খুবেই সুন্দর লাগছে। ও সহসা পান্জাবী পড়ে না। আজ সাজ্জাদ আঁখির সাথে ম্যাচিং করে মেজেন্টা পান্জাবী আর তার উপর সিলভার কালার কোটি পরেছে। হাতে কালো বেল্টের উন্নত ব্রান্ডের ঘড়ি, কালো চশমা, খুব মানিয়েছে ওকে। সাজ্জাদের চুলগুলো কপালের উপর পরে আছে। সাজ্জাদ বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে চুলে গুলো পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। ফর্সা চেহারায় কালো দাড়ি সাথে অমায়িক হাসিতে দারুণ লাগছে সাজ্জাদ কে। আঁখি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ওকে দেখছে। পরক্ষনেই বাসার কথা মনে হতেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। আজ ও যখন ড্রেসটা পরে সেজেগুজে বের হয়েছিলো সাজ্জাদ ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। কি তার গভীর চাহনি! ও তো লজ্জায় মাথাই তুলতে পারেনি। সাজ্জাদ আস্তে করে ওর সামনে এসে কপালে কালো টিপ পড়িয়ে দিয়ে বলেছিলো। “কারো নজর যেনো না লাগে।” এটুকু কথায়তেই আঁখির মাঝে অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গিয়েছিলো। লজ্জায় নুইয়ে পরেছিলো ওর মুখমণ্ডল। সাজ্জাদের সাথে এক বাইকেই এসেছে কিন্তু লজ্জায় একটা কথাও বলেনি আঁখি। সবাই ওদের দিকে অবাক চোখে চেয়ে ছিলো। এসব ভেবে আঁখি আবারও লজ্জা পেলো।
“হাই!”
ওর ভাবনার মাঝে একটা অপরিচিত কন্ঠস্বর শুনে আঁখি পাশে তাকালো। দেখলো মাঝ বয়সী একটি ছেলে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আঁখি ছেলেটিকে চিনতে পারলো না। কোথাও দেখেছে বলে ওর মনে হচ্ছে না। আঁখি কপাল কুচকে বিরক্তি নিয়ে বললো।
“আপনি কে? সরি আমি ম্যারিড!”
ছেলেটি বোকা বনে গেলো। হা করে তাকিয়ে রইলো আঁখির দিকে। ওর মনের তৃসীমায়ও এটা ধারনা হয়নি হাই বলার উওর এটা হবে। অবাকের শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে ছেলেটি। আঁখি ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ছেলেটির সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো।
“কি হলো? আপনি কোন জঙ্গলের আবর্জনা? আমার কাছে কি সেবা চাইছেন?”
আঁখির কথায় ছেলেটির ধ্যান ভাংলো। তবে ওর বিস্ময় কিছুতেই কাটলো না। আগে তো তাও একটা বলছিলো। এখন আবার এসব বলছে? এই মেয়ে অবশ্যই উল্টো ধরনের। সাজ্জাদ আখিকে কারো সাথে কথা বলতে দেখে ওর দিকে অগ্রসর হলো। ছেলেটি বিস্ময় নিয়ে আঁখি কে বললো।
“হাই বলার উওর এসব আমি জানতাম না তো!”
“আগে থেকেই বলে রাখা ভালো আমি ম্যারিড। নাহলে তো পটাতে লেগে যাবেন। বিয়েতে তো এসব করতেই আসেন। এসব ছেলেদের আতিয়া আঁখি ভালো করেই জানে।”
ছেলেটি এবার পুরোই বোকা বনে গেলো। এটা কি মেয়ে নাকি অন্য কিছু? আঁখি কিছু না বলেই চলে গেলো। সাজ্জাদ এসে ছেলেটির কাধে হাত রাখতেই দেখলো ওর বন্ধু রাশেদ। ওদের সাথেই পড়তো। এখন অন্য শহরে জব করে। রাশেদকে হা করে আঁখির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সাজ্জাদের রাগ হলো। তবুও নিজেকে সামলে রাশেদের সামনে গিয়ে বললো।
“কিরে দোস্ত! এমন করে ওদিকে কি দেখোছ?”
ওর কথায় রাশেদের ধ্যান ভাঙলো। আলসেমি ঝেড়ে জোরে শ্বাস নিয়ে বললো।
“আর বলিস না ভাই। এ কি মেয়ে নাকি অন্য কিছু?”
সাজ্জাদ ওর কথার মানে বুঝতে পারলো না। তবে আঁখি যে উল্টো পাল্টা কিছু বলেছে তা শিওর। সাজ্জাদ কপাল কুচকে বললো।
“কেনো? ওই মেয়েটা আবার কি করেছে?”
“মেয়েটাকে আমার একটু ভালো লেগেছিলো। এসেছি কথা বলতে। ওমা! আমি হাই বলতেই কি বললো জানোছ?”
আঁখি কে রাশেদের ভালো লাগেছে কথা শুনে যদিও সাজ্জাদের রাগ হলো। কিন্তু তা প্রকাশ না করে অধীর আগ্রহ নিয়ে বললো।
“কি বললো?”
“বলে কি না, আপনি কে? সরি আমি ম্যারিড! এটা কোনো উত্তর বল? আবার বলছি হাই এর উওর এসব হয় জানতাম নাতো? বলে কি, আপনাদের মতো ছেলেদের আমি ভালো করে চিনি, আপনারা তো আসেন মেয়ে পটাতে তাই আগেই বলে দিয়েছি।”
ওর কথা শুনে সাজ্জাদের খুব হাসি পেলো। দম ফাটিয়ে হাসতে ইচ্ছা করলো ওর। কিন্তু তা না করে ও ঠোঁট চেঁপে হাসতে লাগলো। রাশেদ বিরক্ত হয়ে বললো।
“হাসিস না তো। এমন আজব মেয়ে আমি এই প্রথম দেখলাম। কে জানে কোন জননীর পেট থেকে বের হয়েছে এমন আজব প্রানী? জানলে তাকে একটু প্রনাম করতাম!”
সাজ্জাদ মুচকি হেসে বললো।
“আমার শ্বাশুড়ির পেট থেকে। বেগম রোকেয়া রহমান! চল তোকে তার কাছে নিয়ে যাই।”
রাশেদ ওর কথা শুনে হা করে তাকিয়ে রইলো। ও যেনো অবাকের শেষ পর্যায়। ওই মেয়েটা ওর বন্ধুর বউ? কি লজ্জা! কি লজ্জা! শেষে কিনা বন্ধুর বৌকে পটাতে চাইলো। রাশেদ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে আমতা আমতা করতে লাগলো। “চীল দোস্ত!” কথাটা বলেই সাজ্জাদ ওর পিঠে হালকা চাপর মে/রে হাসতে হাসতে চলে গেলো।
———————————–
খুব সুন্দর ভাবেই শেষ হয়েছে আনিকা আর অর্নবের বিয়ের অনুষ্ঠান। আখি অনেক মজা করেছে। গেট ধরা থেকে জুতো চুড়ি সবেই করেছে। আঁখি ছিলো মেয়ে পক্ষের আর সাজ্জাদ ছিলো ছেলে ছেলে পক্ষের। সেখানেও দুজনের তুমুল ঝগড়া হয়েছে৷ অনুষ্ঠান শেষে সবাই নিজেদের মতো বাড়ি চলে যাচ্ছে। প্রায় সব মানুষেই চলে গেছে। হাতে গোমা কয়েক জন আছে৷ আঁখির অনেক ক্লান্ত লাগছে বাসায় যাবে কিন্তু সাজ্জাদ কে খুঁজে পাচ্ছে না। ওর নাকি এখানে একটু কাজ আছে৷ আঁখি কে ওয়েট করতে বললো কিন্তু এখনও আসছে না। আঁখি ওকে এদিক ওদিক খুজতে লাগলো। হঠাৎ নওরবকে একদম সামনে দেখে আঁখি চমকে গেলো। ভয় পেয়ে জোরে শ্বাস ছেড়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। কেনো জানি নিরবকে দেখে আঁখির খুব ভয় লাগছে। নিরব ওকে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে বুঝতে পারলো ও কিসে ভয় পাচ্ছে। ও জোরপূর্বক হেসে বললো।
“ভয় পেওনা। সাজ্জাদ এখন আসবে না। আমি এইমাত্র দেখি এসেছি সাজ্জাদ কাজে ব্যস্ত আছে।”
“আঁখি নিরবের কৎা কানে তুললো না। বলা যায়না যদি দেখে তাহলে ঝামেলা হবে। কাল কত কিছু হয়ে গেলো এর জন্য। এখন চবার একই ভুল ও করতে চায়না। আঁখি জোরপূর্বক ঠোঁট প্রসারিত করে নিরবকে পাশ কাটিয়ে চলে আসতে নিলো। নিরব খুবেই কষ্ট পেলো। ভিতর থেকে দমকা গরম হাওয়া ওর হৃদয়কে পুড়াতে লাগলো। তবুও নিরব মলিন হেসে আঁখি কে উদ্দেশ্য করে বললো।
“আঁখি একটু দাড়াও প্লিজ! মাত্র পাঁচ মিনিট কথা বলবো।”
নিরবের কথা শুনে আঁখি থামলো। ওর গলাটা মেমন জানি মনে হচ্ছে। আঁখির খুব খারাপ লাগলো। মাত্র পাঁচ মিনিটেরেই তো ব্যাপার! এটা ভেবে নিরবের দিকে ঘুরলো। নিরবের মুখটা খুবেই মলিন। হাসি আর উজ্জ্বলতা একেবারেই নেই। প্রথম যেমন দেখেছিলো এখন আর তেমন নেই। নিরব ওকে তাকাতে দেখে আবারও বললো।
“আমি কখনই চাই না আমার জন্য তোমাদের মাঝে ঝামেলা হোক! এতে আমার কি লাভ বলো? আমি চাই তুমি ভালো থাকো। আমি শুধু পাঁচ মিনিট কথা বলেই চলে যাবো। আই প্রমিজ! আর কখনও তোমায় ডাকনো না।”
কথাটা বলেই নিরব আঁখির দিকে একটা প্যাকেট এগিয়ে দিলো। আঁখি ওটা দেখেই হালকা পিছিয়ে গেলো। ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। অগত্যা হালকা ঢোক গিলে বললো।
“এটা কি? আমায় দিচ্ছেন কেনো?”
নিরব মুচকি হাসলো। যদিও হাসিটা কৃত্রিম। বাইরেই দেখা যাচ্ছে ভিতরে তো হাহাকার হচ্ছে। যদিও কাউকে দেখাতে পারছেনা ওর কত কষ্ট হচ্ছে। দেখাতে পারলে হয়তো কিছুটা কমতো। নিরব হালকা হেসে বললো।
“তোমায় যেদিন প্রথম দেখি ওইদিনেই আমি প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছিলাম। সারাক্ষণ তোমায় নিয়েই ভাবতাম। কিন্তু তখন বুঝিনি এই ভালোবাসা আমায় কতটা পোড়াবে। বোঝলে ভুলটা হতো না। ভাগ্য তো আর আমাদের হাতে গড়া না তবে কেউয়েই কষ্ট পেতো না। তোমায় শাড়ি পড়া দেখে আমার এত ভালো লেগেছিলো যে আমি লাল রংয়ের এই শাড়িটা কিনে রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম তোমায় বিয়ের দিন রাতে দিবো কিন্তু..”
কথাটা বলতে বলতে নিরবের গলা আটকে গেলো। আঁখির একটু খারাপ লাগলো কিন্তু আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। সাজ্জাদের সাথেই ও ভালো আছে। নিরব হালকা থেমে আবারও বলতে লাগলো।
“আমি দুদিন পর চলে যাচ্ছি। কবে আসবো তাও জানি না। হয়তো আসবো না। এই ছয় মাসে অনেক স্মৃতি জমা হয়েছে হয়তো অনেকটাই দুঃখের কিন্তু সুখের যেটুকু আছে ওটা নিয়ে অনেকদিন কাটাতে পারবো। আমি আজকের পর সময় নাও পেতে পারি বাসায় সাজ্জাদ থাকে তাই এই শাড়িটা এখানেই দিলাম। প্লিজ না করো না! অন্তত বন্ধু গিফট্ দিয়েছে ভেবে নিয়ে নাও প্লিজ! তোমার কাছে আমার শেষ অনুরোধ! আর কখনও কিছু চাইবো না। ”
কথাগুলো বলতে বলতে নিরবের চোখে জল চলে এলো। নিরব তাড়াতাড়ি চোখের কোনের পানিটা মুছে নিলো। আঁখির কাছে খুব খারাপ লাগলো। ওর মনটা নরম হলো। হাত বাড়িয়ে শপিংটা নিলো। ভাবলো শুধু শাড়ি নিলে আর কি হবে? লোকটা তো চলেই যাবে। নিয়ে আলমারির কোনে ফেলে রাখবে। নিরব মলিন হেসে বললো।
“আমার অনেক ভালো লাগছে৷ হয়তো যাওয়ার আগে আর দেখা হবে না ভালো থেকো! সাজ্জাদ তোমায় অনেক ভালোবাসে। জীবনে দুঃখকে প্রশ্রয় দিবেনা। দুঃখ আসলেও সুখের কথা ভাববে তবেই মনটা ভালো থাকবে। আসি! জানি হয়তো আমায় ভুলে যাবে তবুও যদি কেনো মূহুর্তে মনে পরে তো হাসি মুখে মনে করো!”
কথাটা বলে নিরব উল্টো ঘুরে গেলো। জোরে শ্বাস নিয়ে চোখটা বন্ধ করতেই ওর চোখ থেকে দু গাল বেয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো। এতক্ষণ অনেক কষ্টে আটকে রাখা জল। নিরব কষ্ট নিয়ে সামনে চললো। আর পিছুটান রাখবেনা ও। এতে ওর কষ্টই বারবে কিন্তু মন তো বোঝে না এটা! আঁখি দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ওর খুব বলতে ইচ্ছা করলো আপনি ভালো থাকুন এটাও আমি চাই কিন্তু বলা হলোনা। আঁখি শাড়িটা ওর হ্যান্ড ব্যাগে রেখে দিলো যাতে সাজ্জাদ না দেখে। অগত্যা সাজ্জাদের খোজে গেলো। কে জানে এই শাড়ি ওর জীবনে আবার কোন ঝড় আনবে!
ইনশাআল্লাহ চলবে….
- (রি চেইক করিনি। কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না। বাবা রে! একটা লাইক কমেন্ট করতে এত কষ্ট আগে জানতাম না। কষ্ট হলেই লাইক কমেন্ট কইরেন জনগন! )