শরতের বৃষ্টি পর্ব-৫২

0
2315

#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৫২

কোনো কিছু নিয়ে আগে থেকেই ভাবা খুবেই খারাপ জিনিস। আমাদের ভাবনা সব সময় সঠিক নাও হতে পারে। বিশেষ করে ধারনা করা জিনিসগুলো বেশিরভাগ সময়েই মিথ্যা হয়। ধারনা আমাদের মন থেকে আসে, আমরা যে সব সময় সঠিক ধারনা করবো এমনটা নাও হতে পারে। আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন–”হে ঈমানদাগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ৷ দোষ অন্বেষন করো না৷ আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে৷ এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়৷ আল্লাহকে ভয় করো৷ আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু৷ (সূরা হুজরাতঃ ১২)”

আঁখি কে দেখে সাদিয়ার মনে ধারনা হয়েছে আঁখি হয়তো নিরবের সাথেই ছিলো। ওর ভাইকে আঁখি সত্যিই ধোঁকা দিয়েছে। আঁখির প্রতি সাদিয়ার আবার প্রচন্ড রাগ হলো। এর জন্য খারাপ লেগেছিলো ওকে ঘরে রাখতে চেয়েছিলো তার জন্যও ওর নিজের উপর রাগ হচ্ছে। সাদিয়া রেগে সামনে পা বাড়াতে গিয়েও বাড়ালো না। ভালো ফোনটা বের করে আঁখির সব রেকর্ড করবে। ওর ভাইকে আঁখির কৃর্তিকালাপ গুলো দেখাবে। ওর ভাই তো এখনও হয়তো ওকে বিশ্বাস করেনা। আখিকে ধোয়া তুলসী পাতা মনে করে। ওর ভাইয়ের বিশ্বাসের জন্য সাদিয়া যেমন ভাবলো সেভাবেই ফোনটা বের করলো। ফোনটা আড়ালে রেখে রেকর্ড করতে লাগলো।

নিরব আঁখি কে দেখে সত্যিই চমকে গেলো। বিয়ের পরতো আঁখি এত সকালে ছাঁদে আসেনা আজ হঠাৎ কি মনে করে? কোনো ঘাপলা নাই তো? আঁখি আস্তে করে হেটে নিরবের সামনে দাড়ালো। নিরব অনেকটাই চমকে তাকিয়ে আছে আঁখির দিকে। আঁখি ভ্রু কুচকে বললো।

“এভাবে তাকিয়ে আছেন মনে হচ্ছে কোনো ভুত দেখেছেন?”

আঁখির কথায় নিরবে হুঁশ হলো। এদিক ওদিক তাকিয়ে জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করলো। অগত্যা মাথাটা নাড়িয়ে আমতা আমতা করে বললো।

“আব.. মানে.. তুমি এখন ছাঁদে এসেছো যে?”

আঁখি ঠোঁট প্রসারিত করে মুচকি হাসলো। অগত্যা হাসিটা মুখে বজায় রেখেই বললো। বললো, “কেনো? আমি কি ছাদে আসতে পারি না? আমার জন্য ছাদে আসা বারন নাকি?”

“না না, তা হবে কেনো? ছাদটা তো তোমার জামাইর তাই আসতেই পারো কিন্তু এত সকালে তো আসো না তাই!”

মুচকি হেসে মজা কথাটা বললো নিরব। অগত্যা আঁখির দিকে নিরবের ভালো করে চোখ পড়লো। আঁখির চেহারা, চোখদুটো কেমন যেনো ফোলা ফোলা। চেহারাতেও ক্লান্তি ভাব। নিরবের মনের ভিতর ধুক করে উঠলো। আঁখির কিছু হয়নি তো? পরক্ষনেই আঁখির কিছু বলার আগেই আবারও ও বলে উঠলো।

“তোমার চেহারা এমন ফোলা ফোলা লাগছে কেনো? কেঁদোছো নাকি? কি হয়েছে?”

নিরব তাড়াতাড়ি করে কথাটা বললো। আঁখি বেশ চমকে গেলো? কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছে না। নিরবের দিকে তাকিয়ে জোরপূর্বক হাসলো। পরক্ষনেই আমতা আমতা করে বললো।

“রাতে বেশি ঘুম হয়নি!” কথাটা শুনতেই নিরব অসহায় চোখে আঁখির দিকে তাকালো। ওর বুকের মাঝে হাহাকার করে উঠলো। চিনচিন ব্যাথা অনুভব করতে লাগলো। ও বুকে হাত রেখে অন্যদিকে তাকিয়ে জোরে শ্বাস ছাড়লো। কেনো এখনও নিজের মনকে ও বোঝাতে পারে না সেটাই বুঝতে পারছে না। আঁখি নিরবের এমন করার মানে বুঝতে পারলো না। ও হাসি মুখ বেশ উপহাসের সাথে বলে উঠলো।

“এত সকালে এখানে না আসলে আপনার আসল রূপটা তো দেখতে পেতাম না।”

আঁখির কথায় নিরব বেশ চমকে গেলো? ওর আসল রূপ মানে? আঁখি কি ওকে খারাপ ভেবেছে? নিরব আঁখির দিকে তাকিয়ে আহত গলায় বললো।

“আসল রূপ মানে? কি বলছো আঁখি?”

আঁখির কথায় সাদিয়াও বেশ উৎসুক হয়ে কান পেতে আছে। কি বলছে ও নিজেও বুঝতে পারছে না। তারমানে কি নিরব জানতো না আঁখি ছাঁদে? সাদিয়া অধির আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আঁখি আবারও বেশ শক্ত কন্ঠে বলে উঠলো।

“হ্যাঁ আসল রূপেই। আমি আপনাকে খুব ভালো জানতাম কিন্তু আপনি মোটেও ভালো নন। আমি জানতাম আপনি মেয়েদের খুব সম্মান করেন কিন্তু আমি ভুল জানতাম। আপনি মোটেও মেয়েদের সম্মান করতে জানেন না।”

একশ্বাসে কথাগুলো বলে থামলো আঁখি। নিরব অসহায় চোখে আঁখির দিকে তাকিয়ে আছে। ও বুঝলো আঁখি ওর আর সাদিয়ার কথা সব শুনে ফেলেছে। আঁখি আবারও রেগে বললো।

“আপনি আসলে একজন মূর্খ মানুষ। একজন শিক্ষিত মানুষের ব্যাবহার এমন হয়? একটা মেয়েকে কি করে এতটা অসম্মান করলেন আপনি? আপনি ওর ভালোবাসা নাই বুঝতে পারেন, ওকে ভালো নাই বাসতে পারেন কিন্তু ওকে বেহায়া বলার অধিকার আপনার নাই। আমার ননদকে এসব বললে আমি কখনও তা মেনে নিবো না। আমি জানি সাদিয়া জেদি, ছেলে মানুষী করে কিন্তু ও বেহায়া নয়। ও খুব ভালো মনের একটা মেয়ে। ও আমার পরিবারের একজন তাই ওকে কষ্ট পেতে আমি দিবো না। সবাই নিজের ভালোবাসা পেতে চায়। তাই বলে সে বেহায়া নয়, কথাটা মনে রাখবেন।সাদিয়া ঠিকই বলেছে আপনি কাউকে ভালোবাসতে পারেন না। যে অন্যের ভালোবাসাকে সম্মান করতে জানে না, সে কি করে কাউকে ভালোবাসবে? ভালোবাসতে হলে আগে ভালোবাসাকে সম্মান করতে শিখতে হয় বুঝেছেন? যে অন্যের ভালোবাসা বুঝে না, সে কাউকে ভালোবাসতে পারেনা।”

“তুমি বুঝতে পেরেছো আঁখি? তুমি সম্মান করেছো?”

তাচ্ছিল্য হেসে অসহায় ভাবে কথাটা বললো নিরব। আঁখি চুপ হয়ে গেলো। কি বলবে ও? ওর কিছুই বলার নেই। ও তো ভাগ্যের কাছে পরাজিত। আঁখির কথা শুনে সাদিয়া অবাক হয়ে গেলো। চমকে আঁখির দিকে তাকিয়ে আছে। আপনা আপনি ওর চোখে পানি চলে এলো। ও কি ভেবেছিলো আর কি হচ্ছে? যে মেয়েটাকে ও খারাপ জানতো, সবসময় যার খারাপ চাইতো সেই মেয়েটা ওর ভালো চায়? ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলে? আর ও? কত খারাপ কথা বলেছে আঁখি কে। সাদিয়া নিজের নিচু মনমানসিকতার জন্য অনুশোচনা করতে লাগলো। আঁখির জন্য ওর মনে গভীর সম্মান উদয় হলো। এমন ভাবি পেয়ে সাদিয়া নিজেকে গর্বিত মনে করছে। আঁখি আমতা আমতা করে নিরবের দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বললো।

“হ্যাঁ আমি বুঝি। আমি সম্মানও করি তাই তো আপনার সাথে ভালো ভাবে কথা বলেছি। বন্ধু ভেবে শাড়িটাও নিয়েছি। প্লিজ পিছনের কিছু টানবেন না। আপনি আমার প্রতিবেশী, আপনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো এর বেশি আপনার সাথে সম্পর্ক আমার না ছিলো, না আছে। আপনি আমার অতীত, সাজ্জাদ আমার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ, ওকে ছাড়া আমি আর কিছু ভাবি না। আমার সব কিছুতেই সাজ্জাদ বসবাস! আপনি এখন অতীত নিয়ে পরে না থেকে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবুন। একদিন না একদিন আপনাকে বিয়ে করতেই হবে তো সাদিয়াকে করে নিন না! আমি জানি ও বড্ড জেদি কিন্তু ও খারাপ নয়। মেয়েটা আপনাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। ও আপনাকে সুখে রাখবে।”

ওর কথা শুনে নিরব তাচ্ছিল্য হেসে বললো।

“আমরা সুখ হারিয়ে সুখের সন্ধানে যাই। আদৌও কি সুখ মিলবে জীবনে? পিছুটান তো থেকেই যায়! সাদিয়া আমায় নিয়ে কখনও সুখে থাকবে না। ওর পাগলামো কদিন গেলেই কেটে যাবে।”

“দেখুন এবাবে বলবেন না। মেয়েটা খুব কষ্ট পাবে। ও জিদে বশে কি করে ফেলবে জানিনা। আপনি তো ভালোবাসা হারানোর কষ্ট বুঝেন তাহলে জেনে শুনে একটা মেয়েকে কি করে কষ্ট দিতে পারেন? আপনি যে কষ্ট পাচ্ছেন সেই কষ্টে আরেকজনকে ভুগতে দেখতে পারবেন? প্লিজ আমি আপনার কাছে হাত জোর করছি ওকে মেনে নিন!”

আঁখি নিরবের সামনে হাত জোর করে কথাগুলো বললো। ও সাদিয়াকে কষ্ট পেতে দেখতে চায় না। ও জানে সাদিয়া রাগের বশে ওর সাথে এমন করেছে। সাদিয়া আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো না। রেকর্ডিং বন্ধ করে আঁখির কাছে ছুটে গেলো। ওকে দেখে দুজনেই অবাক হয়ে গেল। সাদিয়া নিরবের দিকে না তাকিয়ে আঁখি হাত ধরে নামিয়ে দিয়ে বললো।

“যার কাছে এসবের মূল্য নেই তার কাছে হাত জোর করতে নেই। যে দিবে সে একবার চাইলেই দিবে। আর যে দিবে না, সে শতবার হাত জোর করলেও দিবেনা। সবাই সবার মূল্য বোঝে না। চলো ভাবি!”

কথাটা বলে সাদিয়া আঁখির হাত ধরে টেনে নিচের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো। নিরব নিঃশ্চুপ দাড়িয়ে আছে। ঠিকই তো! ও যে অসহ্য যন্ত্রনা ভোগ করছে সেটা জেনে শুনে ও আরেকজনকে দিতে পারে না। এ যন্ত্রণা তো সহ্য করার মতো নয়। নাহ! ও ভুল করেছে। আঁখি কে ভুলতে না পারলেও সাদিয়াকে কষ্ট দেওয়া ওর ঠিক হয়নি।

“সাদিয়া কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? ছাড়ো?”

“বাসায় চলো ভাবি!”

আঁখি কে টেনে নিতে নিতে কথাটা বললো সাদিয়া৷ আঁখি ওর থেকে জোর করে হাত ছাড়িয়ে নিলো। অভিমানে ওর বুকে পাহাড় জমে আছে। ও মুখটা ভার করে বললো।

“যে বের করে দিয়েছে সে, না নিলে আমি ওই বাসায় যাবো না। আমায় জোর করো না সাদিয়া। এতে আমার সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে৷ তুমি এটা চাও?”

সাদিয়া চুপ হয়ে গেলো। পরক্ষনেই একটা বুদ্ধি মনে হতেই মুচকি হেসে বললো।

“ভাবি তুমি এখানেই থাকে আমি ভাইয়াকে পাঠাচ্ছি!”

“সাদিয়া শুনে..? আরে..”

সাদিয়া কথা না শুনেই চলে গেলো। আঁখি হতাশ হয়ে দেয়ালে হেলান দাঁড়িয়ে রইলো। খুব ক্ষিধে লেগেছে ওর। পেটের মধ্যে ইদুর দৌড়াচ্ছে। কি করবে এবার? ও জানে না সাজ্জাদ ওকে নিতে আসবে কিনা? নিতে আসলেও যাবে না ও। কিছুতেই না। ওকে অনেক কিছু বলেছে, ওই বাসায় ও যেতেই পারেনা। আঁখি অভিমান করে দাঁড়িয়ে রইলো। নিরব ওর পাশ দিয়ে চুপচাপ নিচে গেলো। যাওয়ার আগে আঁখির দিকে একপলক তাকালো কিন্তু আঁখির কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নিরবে যেতে দেখেই ও আবার ছাঁদে উঠে গেলো। যদিও উঠতে কষ্ট হচ্ছে তবুও সিঁড়িতে দাঁড়ানো দেখলে অনেকেই উল্টা পাল্টা জিজ্ঞাসা করবে।

———————————-

সাজ্জাদ রাতে কখন যেনো বেলকনিতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। উঠতে বেশ বেলা হয়েছে। মনটা ওর বেশ খারাপ। প্রতিদিন উঠেই আঁখির মুখটা দেখে। আজ দেখেনি ঝগড়াও করতে পারেনি। ওর একটুও ভালো লাগছে না। আঁখিকে দেখেই ও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। পুরো রুমটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে ওর কাছে। আজ অফিসেও যাবে না। কি করে থাকবে আঁখি কে ছাড়া সেটাই ভাবছে ও। মনটা খারাপ করে ফ্রেশ হয়ে খেতে আসলো। আশরাফ খান ও মিসেস শাহনাজ ওকে দেখে অনেকটাই অবাক হলেন। কেমন যেনো উশকোখুশকো লাগছে ওকে। আশরাফ খান খাওয়া রেখে গম্ভীর চোখে মিসেস শাহনাজের দিকে তাকালেন। মিসেস শাহনাজ হতদ্যন্ত হয়ে সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসা করলেন।

“কিরে সাজ্জাদ? কি হয়েছে? আজ সকাল থেকেই আঁখি কে দেখছি না না যে! ও কোথায়? এখনও উঠেনি? ওর শরীর খারাপ নাকি?”

আঁখির কথা মনে হতেই সাজ্জাদের মনটা আবারও খারাপ হয়ে গেলো। কি জবাব দিবে খুঁজে পাচ্ছে না ও। আশরাফ খান ও মিসেস শাহনাজ উত্তরের অপেক্ষায় ওর দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন। সাজ্জাদ আমতা আমতা করে বললো।

“ও ওর বাবার বাড়ি গেছে।”

দুজনেই অবাক হলেন। আঁখির বাবা ওকে বাসায় ঢুকতে দিবে নাচএটা সবাই জানে। দুজনেই বুঝলেন কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। সাজ্জাদ যখন বলতে চায়না তখন জিজ্ঞাসা করে ওকে বিব্রত করার কিছু নেই। এটা ওদের ব্যাপার! ওরা মিটিয়ে নিবে। সাজ্জাদ চুপচাপ খেতে বসলো। এমন সময় সাদিয়া হনহন করে বাসায় ঢুকলো৷ সাজ্জাদের সামনে দাড়িয়ে বলে উঠলো।

“ভাইয়া! তোর সাথে কথা আছে!”

সবাই অনেকটাই চমকে গেলো। বলা নেই কওয়া নেই হুট করে এসেই কথা আছে? কি এত জরুজি কথা? সাজ্জাদ বিরক্ত হলো। ওর জন্যই আঁখির গোপন বিষয় জেনেছে। ও না বললে জানতো ও না, আর বের করেও দিতো না। সাজ্জাদ জানে আঁখির বিষয়েই কিছু বলবে। তাই সাদিয়ার থেকে চোখ ফিরিয়ে খেতে খেতে গম্ভীর মুখে বলে উঠলো।

“আমি এখন শুনতে পারবো না। যা এখান থেকে!”

“না তোমাকে শুনতেই হবে। না শুনলে এই ভিডিও টা দেখো!”

কথাটা বলেই সাদিয়া সাজ্জাদের সামনে ভিডিওটা ছেড়ে দিলো। মিসেস শাহনাজ আর আশরাফ খানও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। সাজ্জাদ অবাক হয়ে গেলো৷ ও খাবার আপনা আপনি অফ হয়ে গেলো। এগুলো কি দেখছে ও? ভুল দেখছে নাতো? আঁখি আবারও নিরবের সাথে? কি করে পারলো আঁখি? সাজ্জাদ হিম হয়ে গেলো।

ইনশাআল্লাহ চলবে….

(রি চেইক করিনি। ভুলত্রুটি মাফ করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here