আরশিযুগল প্রেম❤পর্ব- ১৫

0
1856

# আরশিযুগল প্রেম❤
# লেখিকাঃ নৌশিন আহমেদ রোদেলা ❤
# পর্ব- ১৫

চারপাশে হালকা ঝিরিঝিরি পাহাড়ী বাতাস। ব্যালকণির কোণে একটি জায়গায় ঝুলন্ত গামছাটা দোলে উঠছে মাঝে মাঝেই। যদিকে দু’চোখ যাচ্ছে সেদিকেই অন্ধকারে ঘেরা পাহাড়। রাতের অন্ধকারে পাহাড়গুলো যেন অচিনপুরের ভয়ঙ্কর কোনো দৈত্য। হোটেলের সামনের খোলা জায়গায় খেলছে সাদা পানির ফোয়ারা। তার চারপাশে লাল,হলুদ,নীল রঙের গোল গোল আলো। আকাশের এক কোণে থালার মতো মস্ত এক চাঁদ। সেই চাঁদকে ঘিরেই মেঘের হাজারও লুকোচুরি। সেই লুকোচুরিতে চোখ রেখেই আকাশ পাতাল ভাবছে শুভ্রতা। জ্ঞান হারানোর আগে সাদাফের আদুরে গলায় বলা “শুভ্রা” নামটা এখনও যেন কানে বাজছে তার। আর প্রতিবারই লজ্জায় রক্তিম হচ্ছে সে। আবার, কখনো কখনো অস্বস্তিতে আড়ষ্ট হয়ে আসছে তার শরীর। আচ্ছা? জ্ঞান হারানোর পর কি হয়েছিলো তারসাথে? সাদাফ কি বিরক্ত হয়েছিলো তার ওপর? হওয়ারই কথা…এমন অযাচিত ঝামেলায় কেই বা জড়াতে চায়? শুভ্রতাকে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে হোটেলের গ্রাউন্ডে বাগানের দিকে তাকালো। রঙিন আলোয় বাগানের গোলাপগুলোকে কেমন অদ্ভুত লাগছে। কিন্তু শুভ্রতার মনে গোলাপের অদ্ভুত এই রূপটা তেমন প্রভাব ফেলছে না। তার মনে চলছে অন্য এক ভাবনা। জ্ঞান ফেরার পর নিজের ওড়নাটা সে গায়ে জড়িয়ে থাকতে দেখেছে ঠিক কিন্তু সে তো বাসা থেকে এভাবে ওড়না জড়িয়ে বের হয় নি। তার ঠিক ঠিক মনে আছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়েই রুম থেকে বেরিয়েছি সে। তাহলে ওড়নাটা এভাবে গায়ে জড়ালো কি করে? নাকি চেতনা হারিয়ে অস্থিরতায় নিজেই টেনেটুনে খুলে ফেলেছিলো ওড়না? কথাটা ভাবতেই অস্বস্তিতে চোখ-মুখ তেঁতো হয়ে গেলো তার। ছি! ছি! সাদাফের সামনে এভাবে বেহায়ার মতো ওড়না খুলে ফেলেছিলো ভাবতেই লজ্জা আর অস্বস্তিতে কুঁকড়ে ওঠছে সে। না জানি আরো কি কি করেছে সে। এবার সাদাফের সামনে গিয়ে কিভাবে দাঁড়াবে সে? সাদাফ তাকে কি ভাববে? কথাগুলো ভেবে মুখ ফুলিয়ে বিছানায় এসে বসলো শুভ্রতা। পা দুটো গুটিয়ে পদ্মাসনের মতো বসে কপাল কুঁচকে বিরবির করতে লাগলো সে,

—” হে আল্লাহ! হে খোদা! হে রাহমানুর রাহিম! গাফফারুর রাহিম…. রক্ষা করো আমায়। “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্” এই দেখো তওবা করছি এরপর থেকে সাবধান থাকবো আমি। কিন্তু প্লিজ এই লাস্ট বারের মতো রক্ষা করো আমায়। উনার মাথা থেকে বাসের ঘটনাগুলো নাই করে দাও। প্লিজ! প্লিজ!”

শুভ্রতা চোখদুটো খিঁচে বন্ধ করে এসবই বিরবির করছিলো। এমন সময়ই দরজায় কড়া পড়লো। শুভ্রতা এক চোখ আলতো করে খুলে দরজার দিকে তাকালো। দরজার ওপাশ থেকে শেফার গলা পেতেই বিছানা থেকে নেমে জামাটা টেনেটুনে ঠিক করে ওড়নাটা ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নিয়ে দরজা খুললো। শেফা বিরক্ত ভঙ্গিতে বললো,

—” ওই? এতো দেরি করে দরজা খুললি কেন? মানুষ হানিমুনে এলেও এতো লেইট করে না। চল… খেতে চল জলদি। আজকে সারাটা দিন ঘর থেকেই বের হোস নি। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিনকে রাত বানিয়ে দিয়েছিস এবার তো কিছু খেতে হবে নাকি?”

শুভ্রতা হাসার চেষ্টা করে বললো,

—” চলো।”

শুভ্রতা শেফার সাথে হাঁটতে শুরু করতেই গল্পে মাতলো শেফা। আজকে যে স্বর্ণ মন্দিরে গিয়ে কতো মজা করেছে তারই বিশদ বর্ণনা দিয়ে চলেছে তার প্রতিটি বাক্যে। দু’মিনিট হাঁটার পর পরই লিফটের সামনে গিয়ে পৌঁছালো তারা। লিফটের সামনেই আরাফ আর সাদাফ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। সাদাফ আজ হালকা রঙের একটি টি-শার্ট আর জিন্স পড়েছে। দৃষ্টি হাতে থাকা ফোনের স্ক্রিনে। কপাল জোড়া হালকা একটু কুঞ্চিত হয়ে আছে তার। শুভ্রতা গাঢ় চোখে একবার সাদাফের দিকে তাকালো। সাদাফের হালকা কুঁচকে রাখা কপালটাও কেনো জানি ভীষণ ভালো লাগছে তার। সাদাফের বেখেয়ালি মনে টি-শার্টের কলার ঠিক করাটাও যেন শুভ্রতার কাছে অসাধারণ সুন্দর একটি কাজ। শুভ্রতারা কাছাকাছি এসে দাঁড়াতেই অবহেলা ভরা হালকা দৃষ্টিতে চোখ উঠিয়ে সামনে তাকালো সাদাফ। আবারও ফোনের দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিয়ে আরাফকে উদ্দেশ্য করে বললো,

—” ওরাও তো চলে এসেছে। এবার চল…”

কথাটা বলে একমুহূর্ত অপেক্ষা না করে লিফটের বোতাম চেপে লিফটে উঠে গেলো সে। তার পেছনে পেছনে উঠে এলো আরাফ, শেফা আর শুভ্রতা। শুভ্রতা আড়চোখে সাদাফকে খেয়াল করছে। অথচ সাদাফের সেদিকে কোনো দৃষ্টি নেয়। সাদাফ শুভ্রতার দিকে একবার তাকালেও লজ্জায় মরে যাবে শুভ্রতা তবুও কেনো যেন মনে-প্রাণে চাইছে সাদাফ তার দিকে তাকাক। অন্তত একটা বারের জন্য হলেও তাকাক। কিন্তু সাদাফ তাকাচ্ছে না। আঁড়চোখেও না। সাদাফের এই ডোন্ট কেয়ার ভাবটা একদমই সহ্য হচ্ছে না শুভ্রতার। রাগে শরীরটা জ্বলে যাচ্ছে তার। আবার কখনো অত্যন্ত দুঃখে বুক ভারি হয়ে আসছে। আবার কখনো সাদাফের এট্যানশন পাওয়ার এই বেহায়া লোভে নিজের প্রতিই বিতৃষ্ণা লাগছে। নিজের আত্মসম্মানবোধটা যেন তুমুলযুদ্ধ চালাচ্ছে। লিফট থেকে নেমে হোটেলের বাইরে চলে এলো তারা। শেফা আর আরাফ হাত ধরাধরি করে হাঁটছে। এই অবস্থায় ওদের পাশে থাকাটা প্রচন্ড অস্বস্তির বলেই কিছুটা সামনে গিয়ে সাদাফের পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো শুভ্রতা। সাদাফ একা একাই হাঁটছিলো। শুভ্রতাকে পাশে এসে হাঁটতে দেখে মৃদু হেসে বললো,

—” এখন কেমন আছেন শুভ্রতা? শেফা ভাবি বললো শরীর খারাপ বলে ঘুমুচ্ছিলেন।”

শুভ্রতা জোরপূর্বক হাসলো। সাদাফের মুখে ” শুভ্রা” নামটা শুনার পর থেকে শুভ্রতা নামটা যেন বড্ড অগোছালো বেমানান লাগছে। বলতে ইচ্ছে করছে, “আপনি আমায় ‘শুভ্রা’ বলেই ডাকুন না।” কিন্তু বলা হলো না। তার পরিবর্তে বললো,

—” আমি জার্নিটা তেমন করতে পারি না। তারওপর এতো লং জার্নি। কিছুদিন যাবৎ এমনিতে শরীরটা একটু দুর্বল ছিলো এই জার্নিতে ষোল কলা পূর্ণ হলো। তবে সারাদিন ঘুমানোর পর এখন অনেকটাই ঠিক আছি।”

সাদাফ হাসলো,

—” শরীর খারাপ নিয়ে এতোটা দূরে না আসলেও পারতেন।”

সাদাফের কথায় মেজাজ চটে গেলো শুভ্রতার। তারমানে কি শুভ্রতার উপস্থিতিতে সাদাফ খুশি নয়? বাসের কারণটই সে বিরক্ত?ওই ওড়না জনিত বিষয়টাই বা কি করে নিয়েছে সে? শুভ্রতার মনে আবারও একঝাঁক অস্বস্তি ভর করলো। মুহূর্তেই কপালে সূক্ষ্ম চিন্তার ভাজ পড়লো শুভ্রতার। সাদাফ ব্যাপারটা খেয়াল করলো। শুভ্রতার মনের অবস্থা কতোটা বুঝতে পারলো বুঝা গেলো না। তবে সামনের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বললো,

—” না মানে। অসুস্থ শরীর নিয়ে এসে তো আরো অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে মনের অজান্তেই নিজের বাসার দিকে টানে। মনে হয় বাসায় গেলেই একটু রিলিফ হওয়া যেতো। কিন্তু আপনি তো বাসা থেকে উল্টো এতোটা দূর এলেন। নিশ্চয় অস্বস্তি হচ্ছে খুব।”

সাদাফের কথায় শুভ্রতা বেশ আশ্বস্ত হলো বলেই মনে হলো। মিষ্টি হেসে বললো,

—” না। ততটা হচ্ছে না।”

হোটেল থেকে কিছুক্ষণ হাঁটার পরই একটা রেস্টুরেন্টের দেখা পেলো তারা। রেস্টুরেন্টের অবস্থাটা বেশ শোচনীয় হলেও খাবারগুলো বেশ লাগলো তাদের। ঝাল করে রান্না গরুর মাংস, টক ডাল আর সাদা ভাত। এই সাধারণ খাবারগুলোও অমৃতের মতো লাগতে লাগলো শুভ্রতার। খাওয়া শেষে হোটেলে ফিরতে ফিরতে শুভ্রতাকে জানানো হলো কাল দুটো জায়গায় ঘুরতে যাবে তারা। তার মধ্যে একটি হলো “নীলাচল”। আর অন্যটি হলো “মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র”। দশটার দিকে বের হয়ে দুটোর মাঝে ফিরে আসবে সেটাও জানানো হলো তাকে। শুভ্রতা মুখ কুঁচকে বললো,

—” তাহলে বাকি সময়টুকু কি করবো? ঘরে বসে কাটাবো?”

সাদাফ হেসে বললো,

—” এছাড়া আর উপায় কি?”

শুভ্রতা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

—” আজ তো মাত্র একটা জায়গায় গিয়েছিলেন আপনারা। বাকি সময়টা নিশ্চয় রুমেই কাটিয়েছেন? বেশি মিস করি নি তাহলে।”

সাদাফ হাসলো। মাথা নেড়ে বললো,

—” আপনি বেশি কিছু মিস করেন নি এটা সত্য আবার আমি রুমে বসে থাকি নি এটাও সত্য।”

শুভ্রতা অবাক হয়ে বললো,

—” মানে?”

—” আমি পাহাড় খুব পছন্দ করি। আর পাহাড়ের এতো কাছাকাছি এসেও রুমে বসে থাকবো তা কি হয়? নিজের মতো করেই কাছাকাছি পাহাড়গুলো ঘুরে বেড়িয়েছি সন্ধ্যা পর্যন্ত।”

শুভ্রতা বিস্ময় নিয়ে বললো,

—” একা একা?”

—” পাহাড়কে ভালোভাবে উপলব্ধি করার জন্য একা একাই পাহাড়ের কোলে হারাতে হয় শুভ্রতা। পাহাড়ের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। গন্ধ আছে। আপনি তাকে যত বুঝবেন সে আপনাকে তত কাছে টানবে। একসময় দেখবেন নেশা হয়ে গেছে। পাহাড়ময় নেশা। আর এই নেশাটা একা একাই বেশি উপলব্ধি করা যায়।”

—” সত্যিই এমন হয়?”

সাদাফ হেসে ফেললো,

—” হ্যাঁ সত্যিই হয়।”

শুভ্রতা এক্সাইটেড হয়ে বললো,

—” দারুন তো। আচ্ছা? বান্দরবানের সব পাহাড়েই গিয়েছেন আপনি? সব পাহাড়?”

শুভ্রতার বাচ্চামো প্রশ্নে প্রচন্ড হাসি পেলো সাদাফের। হাসিটা চেপে নিয়ে বললো,

—” সব পাহাড়ে গিয়েছি কিনা বলতে পারছি না। তবে অনেক পাহাড়েই গিয়েছি। আমার এখন আন্ধারমানিকে যাওয়ার খুব শখ। দু’বছর আগে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই ফিরে আসতে হয়েছিলো।”

শুভ্রতা ভ্রু কুঁচকে বললো,

—” আন্ধারমানিক? এটা আবার কোথায়? বান্দরবানের বাইরে? কখনো নাম শুনি নি তো।”

—” আন্ধারমানিক বান্দরবানের বাইরে নয় তবে মায়ানমারের সীমানা ঘেঁষে। কথায় আছে ওখানে নাকি কারো শাসন চলে না। সাধারণ মানুষদের সেখানে যাওয়া নিষেধ। ওখানে যেতে হলে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে যেতে হয়। দু’বছর আগে অর্ধেক পথেই ধরা পড়ে গিয়েছিলাম তাই ফিরে আসতে হয়েছিলো।”

শুভ্রতা বুঝতে না পেরে বললো,

—” কেনো? যেতে দেয় না কেন?”

শুভ্রতার এতো প্রশ্নে মাথা চুলকালো সাদাফ। মুখ টিপে হেসে বললো,

—” ওখানে কোনো বিজিপি ক্যাম্প নেই। কোনো নিরাপত্তা বাহিনী নেই। মাসে বা বছরে মাঝে মাঝে সেখানটাই টহল দিয়ে আসে তারা। সাধারণ টুরিস্টদের জন্য খুবই রিস্কি একটা জায়গা। কিন্তু শোনা যায় আন্ধারমানিক অসাধারণ একটা জায়গা। চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য তাকে ঘিরে। আন্ধারমানিকের পর একটা ঝরনাও আছে। আমার ওই ঝরনা পর্যন্ত পৌঁছানোর শখ।”

শুভ্রতা এবার বেশ বোকার মতো প্রশ্ন করলো,

—” কাল যাবেন? চলুন না যাই। আমাকেও সাথে নিবেন প্লিজ?”

সাদাফ এবার হেসে উঠলো। সাদাফের হাসির কারণ বুঝতে না পেরে চোখ কুঁচকে তাকালো। সাদাফ হাসি থামিয়ে বললো,

—” আন্ধারমানিক এখান থেকে অনেক দূরে। রেমিক্রি ছাড়িয়ে যেতে হয় সেখানে। ওখানে যেতে হলে গাইড পাওয়া যায় না। নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে যাওয়াটাও বেশ রিস্ক। তাছাড়া…জিপিএস দেখে জঙ্গল কেটে রাস্তা বানিয়ে বানিয়ে চলতে হয়। একবার রাস্তা হারালেই শেষ। সারাদিন পাহাড় আর জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হতে হবে। তারমধ্যে একা আপনাকে নিয়ে যাওয়াটা অসম্ভব। ডাকাত টাকাতের হাতে পড়লে তো সর্বনাশ। ছেলেরা থাকলে তো শুধু টাকাপয়সা নিয়ে যাবে কিন্তু সাথে আপনি থাকলে সব রেখে আপনাকেই নিয়ে যাবে।”

শুভ্রতা নাছোড়বান্দা গলায় বললো,

—” আপনি তো আছেনই বাঁচানোর জন্য। আমিও যাবো প্লিজ।”

সাদাফ পাত্তা না দিয়ে বললো,

—” আমি কোনো সিনেমার হিরো নই শুভ্রতা। একজন সাধারণ মানুষ মাত্র। ওখানে মেয়েদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কবে যাবো তারই তো ঠিক নেই। তাছাড়া…আমি যদি যাইও একা যাবো না। আমার সাথে আমার কিছু ফ্রেন্ডও যাবে। অযথা জেদ করবেন না।”

শুভ্রতা মুখ ফুলিয়ে হাঁটতে লাগলো। সাদাফ শুভ্রতার মুখটা খেয়াল করে নিজের মনেই হাসলো। শুভ্রতার ঘুমু ঘুমু ফোলা চোখ-ঠোঁটে রাস্তার হলদে আলোগুলো পড়ছে তীর্যকভাবে। তাতেই যেন আরো বেশি মায়াময় হয়ে উঠেছে তার মুখ। শুভ্রতার কপালে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুলগুলো হালকা ফু দিয়ে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছে সাদাফের। কিন্তু সব ইচ্ছেই তো পূরণের জন্য নয়। কিছু ইচ্ছে মনের মাঝে রেখে দেওয়ার জন্য আর কিছু ইচ্ছে অসময়ে আবেগী হয়ে নাড়াচাড়া করার জন্যও থাকতে হয়। সাদাফ গোপন দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। শুভ্রতা এখনও মাথা নিচু করে চুপচাপ হেঁটে চলেছে। আচ্ছা? মেয়েটা কথায় কথায় এতো রাগ করে কেন? কথায় আছে, মায়াবতী মেয়েরা অভিমানী হয়। তাহলে কি শুভ্রতা মায়াবতী? নিশ্চয় মায়াবতী সেই সাথে রূপবতীও…..

#চলবে…

(কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রয়োজনে শেয়ার করুন কিন্তু কপি নয়।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here