# আরশিযুগল প্রেম
# লেখনীতে — নৌশিন আহমেদ রোদেলা
#পর্ব — ৩৪
সারা রুমময় হিম হিমভাব। জানালার কার্নিশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। গ্রিলের ফাঁকে আটকে আছে ভেঙে যাওয়া গাছের ছোট্ট কান্ড। রাতের শেষ প্রহর থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্দাম ঝড়। পাগলাটে এই কালবৈশাখী থেকে শুভ্রতা আর তার মামু অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন কাল। শুভ্রতা ঘোলাটে কাঁচ ভেদ করে বাইরের দিকে তাকাল। সারারাতের তুমুল যুদ্ধের পর গাছপালাগুলোকেও ভয়ানক শান্ত দেখাচ্ছে। দীর্ঘ বৃষ্টিস্নানে প্রথম যৌবনের রূপবতীদের মতই স্নিগ্ধ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে চারপাশ। শুভ্রতার ভাবনার মাঝেই দরজার কাছাকাছি এসে দাঁড়াল দশ/বারো বছরের একটি মেয়ে। গায়ে গাঢ় সবুজ রঙের ফ্রক। ছোট ছোট চুলগুলো রঙিন খোঁপায় বাঁধা।
—-” শুভিদি? মা খেতে ডাকে।”
শুভ্রতা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। ঠোঁটে মৃদু হাসি টেনে নিয়ে বলল,
—-” রুম্পি? এদিকে আয়।”
রুম্পি ধীর পায়ে এগিয়ে যায়। শুভ্রতার অগোচরেই শুভ্রতাকে ভীষণ পছন্দ করে সে। কেউ তাকে জিগ্যেস করলেই চট করে বলে ফেলে, ‘ আমি বড় হয়ে শুভিদি হব।’ রুম্পির কথায় কেউ কেউ মুচকি হাসে তো কেউ কেউ ভ্রু কুঁচকে তাকায়। যদিও সেসবকে খুব একটা পাত্তা দেয় না রুম্পি। রুম্পি কাছাকাছি দাঁড়াতেই ব্যাগ থেকে আস্ত একটা চকলেটের বাক্স বের করে দেয় শুভ্রতা। কথায় কথায় রুম্পির কথা উঠতেই আস্ত একটা চকলেট বক্স কিনে হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল সাদাফ। শুভ্রতার বিস্মিত দৃষ্টির উত্তরে হাসিমুখে বলেছিল, ‘ তুমি চকলেট খাও না জানি। এটা আমার ছোট্ট শালিকার জন্য। ওকে দিও।’ রুম্পি এতগুলো চকলেট পেয়ে বড় বড় চোখ মেলে শুভ্রতার দিকে তাকাল। দু’চোখ ভরা আনন্দ আর বিস্ময়। শুভ্রতা মৃদু হেসে বলল,
—-” রুম্পি বেগম কেমন আছে?”
রুম্পি লজ্জা পেয়ে মাথা নোয়াল। অনুযোগের সুরে বলল,
—-” আমার নাম মোটেও রুম্পি বেগম নয়। তুমি শুধু শুধু আমায় বেগম কেন বল শুভিদি?”
—-” তুইও তো আমায় শুধু শুধু শুভিদি ডাকিস। তোকে না শুভি আপু ডাকতে বলেছি? তাহলে শুভিদি ডাকিস কেন? এরপর থেকে শুভি আপু ডাকবি, মনে থাকবে?”
রুম্পি মাথা নাড়ে। রুম্পিকে মাথা নাড়তে দেখে মৃদু হাসে শুভ্রতা। এর আগেও বহুবার এভাবেই মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছে মেয়েটা। তার কিছুক্ষণ পরই শুভিদি শুভিদি বলে মুখের ফ্যানা তুলেছে। শুভ্রতা মায়াবী দৃষ্টিতে রুম্পির মুখের দিকে তাকাল। দশ বছরের বাচ্চা হলেও চোখে মুখে সেকি সৌন্দর্য তার। মুখটা যেন ছাঁচে ফেলে আঁকা। নাক-মুখের কি নিখুঁত গাঁথুনি। শুভ্রতার মামু, রাইসুর আহমেদের পঞ্চম কন্যা রুম্পি। এর আগেও চার কন্যার পিতা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় পৃথিবীতে আসার একবছরের মাথাতেই মৃত্যু হয়েছে পর পর চারটি কন্যার। রুম্পিই তার শেষ বয়সের শেষ সন্তান। এই মেয়েটিকেই চারহাতে আগলে রেখে বেঁচে আছেন রাইসুর আহমেদ। শুভ্রতা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ায়। রুম্পিকে সাথে নিয়ে খাবার রুমের দিকে পা বাড়ায়।
খাবার ঘরে এসে চেয়ার টেনে বসতেই অপরিচিত এক ব্যক্তির সম্মুখীন হয় শুভ্রতা। না, অপরিচিত তো নয়। এই লোকটিকে কোথাও একটা দেখেছিল শুভ্রতা। কিন্তু কোথায় দেখেছিল মনে করা যাচ্ছে না। শুভ্রতার প্রশ্নমাখা দৃষ্টি দেখেই পরিচয় পর্ব টানার চেষ্টা করলেন রাইসুর আহমেদ,
—-” শুভি মা? এটা হল আমার বন্ধু ওবায়দুল্লাহর ছেলে। সেদিন ভিডিও কলে দেখেছিলে, মনে আছে?”
শুভ্রতা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সামনে বসে থাকা লোকটির দিকে তাকাল। রাইসুর সাহেব আবারও বললেন,
—-” ওর নাম ফারদিন। আমাদের চট্টগ্রাম কলেজেরই প্রফেসার। ইংলিশ প্রফেসার। ভেরি শার্প বয়।”
‘ফরদিন’ নামটা শুনেই চমকে উঠল শুভ্রতা। এই সেই লোক যার সাথে বিয়ের কথা হচ্ছিল তার। বিয়েটা ভেঙে যাওয়ার পরও এমন বেহায়ার মত বাসায় চলে আসার ন্যূনতম কারণও খুঁজে পাচ্ছে না শুভ্রতা। শুভ্রতার মাথার চাপা রাগটা যেন ধপ করে জ্বলে ওঠল। নিজেকে শান্ত রেখে ভদ্রতার হাসি দিয়ে বলল,
—-” ওহ্। ভালো আছেন, ফারদিন সাহেব?”
ফারদিন মৃদু হেসে বলল,
—-” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি?”
শুভ্রতা জোড়পূর্বক উত্তর দিল,
—-” জ্বি আলহামদুলিল্লাহ।”
ফারদিন টুকটাক কথা চালানোর চেষ্টা করলেও শুভ্রতার অনাগ্রহতার জন্য বেশিদূর এগুতে পারল না। মাঝপথেই ব্যর্থচিত্তে খাবারে মগ্ন হতে হল তাকে। শুভ্রতার মামি খাবার সার্ভ করতে গিয়ে আক্ষেপের সুরে বলে উঠলেন,
—-” এ কি ফারদিন! তুমি তো কিছুই খাচ্ছ না। এমনিতেই শুকিয়ে গিয়েছ খুব। আমাদের শহরে, আমাদের সংস্পর্শে থেকেও শুকিয়ে যাচ্ছ তা দেখে তোমার বাবা-মা কি ভাববে বল তো?”
ফারদিন মৃদু স্বরে বলল,
—-” আমি এমনিতেও খুব কম খাই আন্টি।”
রাইসুর সাহেব ফোঁড়ন কেটে বললেন,
—-” পুরুষ মানুষের আবার কম খাওয়া বেশি খাওয়া কি? পুরুষ মানুষ অলওয়েজ পার্ফেক্ট খাবে। আর এই পার্ফেক্ট খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রয়োজন লক্ষ্মীমত্ত বউ। এবার একটা সংসারী মেয়ে দেখে বিয়ে করে নাও তো বাপু।”
রাইসুর সাহেবের কথায় লাজুক হেসে শুভ্রতার দিকে তাকাল ফারদিন। ফারদিনকে তাকাতে দেখেই মেজাজটা চটে গেল শুভ্রতার৷ খাবারের প্লেট ঠেলে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
—-” আমার হয়ে গিয়েছে। আমি একটু বেরুব মামু।”
রাইসুর সাহেব তাড়াহুড়ো করে বললেন,
—-” এই বৃষ্টির দিনে বেরুবে? আজ বরং রেস্ট নাও… ”
শুভ্রতা মৃদু জেদ দেখিয়ে বলল,
—-” আমি আজই বেরুব মামু। আপনি চিন্তা করবেন না। তাছাড়া, আমি এসেছিই চট্টগ্রামের বৃষ্টি দেখতে। ঘরে বসে থাকলে কিভাবে দেখব?”
রাইসুর সাহেব কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললেন,
—-” তাহলে বেশ তো, ফারদিনকেও সাথে নাও। ফারদিন তোমাকে পুরো চট্টগ্রাম ঘুরিয়ে দেখাবে। কি ফারদিন? দেখাবে না বাবা?”
শুভ্রতার রাগ বেড়ে বেড়ে এবার যেন আকাশ ছুঁল। ফারদিনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বলল,
—-” ফারদিন সাহেবকে দেখে মনে হচ্ছে উনার ঠান্ডার ধাঁচ আছে, আছে না?”
ফারদিন মাথা নাড়ল। সাথে সাথেই দুঃখী গলায় বলে উঠল শুভ্রতা,
—-” তাহলে উনার বৃষ্টিতে না বেরুনোই বেটার। আর আমি তো বেশিরভাগ সময়ে বৃষ্টিতেই ভিজব আজ। তাছাড়া, চট্টগ্রাম শহরের দিকে আমার একটা ফ্রেন্ড থাকে। ভার্সিটি ফ্রেন্ড। রিসেন্টলি সেও বাড়ি এসেছে। আমি সারাদিন ওর সাথেই কাটাব।”
রাইসুর সাহেব হঠাৎ কোন কথা খুঁজে পেলেন না। ফারদিনও চুপচাপ বসে রইল। শুভ্রতা চেয়ার সরিয়ে রুমের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বলল,
—-” কিছু মনে করবেন না ফারদিন সাহেব। দু’জন লেডিসের সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে খুব একটা ভালো লাগবে না আপনার। তারওপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় আপনার স্টুডেন্টরাও আছে।”
শুভ্রতা ফারদিনকে সাথে নিতে রাজি না হওয়ায় মুখটা ছোট হয়ে এলেও শুভ্রতার যুক্তিটা বেশ পছন্দ হল ফারদিনের। স্মিত হেসে বলল,
—-” সেই তো। কোন সমস্যা নেই। আপনি যান…আমি নাহয় অন্য একদিন শহর ঘুরিয়ে দেখাব আপনাকে। আজ আমি নিজেও একটু ব্যস্ত।”
রুমে এসে প্রথমেই সাদাফকে কল করল শুভ্রতা। সাদাফ ফোন রিসিভ করতেই প্রশ্ন ছুঁড়ল সে,
—-” কোথায় আছ তুমি?”
—-” তোমার দেওয়া এড্রেস ঠিক থাকলে আমি তোমার মামুর বাসার সামনে।”
শুভ্রতা খুশি হয়ে বলল,
—-” তুমি চলে এসেছ?”
—-” জ্বি ম্যাডাম। বাসার সামনে পর্দা টানা সিএনজিতে বসে আছি আমি। তৈরি হয়ে থাকলে জলদি এসো।”
শুভ্রতা ফোন কেটে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। কালো-লালের মিশ্রণে সালোয়ার-কামিজ পড়েছে শুভ্রতা। কোমরে পড়ে থাকা চুলগুলো বিনুনি করেছে। চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকও লাগিয়েছে। এই অল্প সাজগোজেই ভীষণ মিষ্টি লাগছে তাকে। তবুও শুভ্রতার ভয়….সাদাফের পরিবার তাকে পছন্দ করবে তো? আয়নায় আরো একবার নিজেকে দেখে নিয়ে ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলল শুভ্রতা।
_______________________
বড় রাস্তা থেকে খানিকটা ভেতরে বেশ বড়সড় জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একতলা বাড়ি। বাড়ির চেহারা দেখে মনে হচ্ছে আজ-কালের মাঝেই চুনকাম করা হয়েছে। বাড়ির সামনে ইটের সুদীর্ঘ রাস্তা। সেই রাস্তার দু’পাশে সারি সারি সুপারি গাছের মেলা। রাতে হয়ে যাওয়া বৃষ্টিতে এদিকে সেদিকে জমে আছে কাঁদা পানি। গাছগুলোকে দেখাচ্ছে ঝরঝরে সবুজ। বাড়ির চারপাশটা উঁচু উঁচু দেয়ালে ঢাকা। পরিবেশটাও কেমন থমথমে নিস্তব্ধ। তবে, কোথাও যেন মিশে আছে অদ্ভুত এক শান্তি। শুভ্রতা একহাতে সাদাফের বামহাত খাঁমচে ধরল। সাদাফ তাকাতেই ভয়মাখা গলায় বলে উঠল,
—-” আমার খুব নার্ভাস লাগছে। তোমার ফ্যামিলি যদি আমায় পছন্দ না করে?”
সাদাফ স্নিগ্ধ চোখে তাকাল। আশ্বাস দিয়ে বলল,
—-” তোমার মাঝে অপছন্দ করার মত কিছু আছে নাকি? অপছন্দ কেন করবে?”
শুভ্রতা ঢোক গিলে বলল,
—-” তবুও….যদি না হয় পছন্দ? তখন কি হবে? তুমি কি উনাদের পছন্দে বিয়ে করবে আবার?”
সাদাফ গম্ভীর গলায় বলল,
—-” হ্যাঁ করব।”
সাদাফের কথায় চমকে উঠল শুভ্রতা। অসহায় চোখজোড়া মেলে তাকিয়ে রইল নিষ্পলক। সাদাফ একহাতে শুভ্রতাকে কাছে টেনে নিয়ে বলল,
—-” শুধু একবার নয়। বেশ কয়েকবারই করব। আর প্রত্যেকবারই শুভ্রাণীকেই বউ বানাব।”
সাদাফের কথায় চোখদুটো টলমল করে উঠল শুভ্রতার। আরেকটু হলেই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা পড়ত সে। এমন মজাও কি করতে আছে? শুভ্রতাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মৃদু হাসল সাদাফ,
—-” আমার ফ্যামিলি তোমাকে পছন্দ করবে কি না সেটা না ভেবে এটা ভাব যে আমি তোমাকে কতটা চাই। তাছাড়া, আমার শুভ্রাণীকে কেউ অপছন্দ করতেই পারে না। আচ্ছা? আমার ফ্যামিলিকে তুমি আমার মতই ভালোবাসাতে পারবে না?”
শুভ্রতা মাথা নেড়ে সম্মতি জানল। সাদাফ তাকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে মিষ্টি হাসল। মৃদু গলায় বলল,
—-” নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই। আমি সবসময় তোমার পাশে আছি। জাস্ট চোখটা বন্ধ করবে আর তোমার আরশিতে আমি হাজির। ভয় কিসের?”
শুভ্রতা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। সাথে সাথেই দূর থেকে চেঁচিয়ে উঠল কেউ। কারো কন্ঠ কানে আসতেই ছিটকে সরে দাঁড়াল দু’জন। পৃথা দৌঁড়ে এসে উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বলল,
—-” তুমি চলে এসেছ ছোট ভাবি? তোমার জন্য সেই সকাল থেকে অপেক্ষা করছি আমি। ওমা! তুমি তো ছবির থেকেও বেশি মিষ্টি। আচ্ছা? ঢাকার সব মেয়েরাই কি তোমার মত মিষ্টি?”
শুভ্রতা হেসে বলল,
—-” ঢাকার মেয়েদের থেকে আমাদের পৃথামণি হাজারগুণ মিষ্টি।”
পৃথা হাসিমুখে সাদাফের দিকে তাকাল। চোখ টিপে বলল,
—-” ছোট ভাইয়া? তুমি তো ঢাকা থেকে মিষ্টির গোডাউনটাই তুলে এনেছ দেখছি।”
পৃথার মাথায় চাটি মেরে চোখ রাঙাল সাদাফ। ধমক দিয়ে বলল,
—-” দিন দিন লাগামছাড়া হচ্ছিস। যা ভেতরে যা।”
পৃথা মুখ ভেঙিয়ে আবারও শুভ্রতাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। সাদাফদের বাড়িতে ঢুকেই নার্ভাসনেসে একচোট বোকামো করে ফেলল শুভ্রতা। সাদাফের মার সাথে সাথে আশেপাশে যারা ছিল প্রায় সবাইকেই সালাম করে ফেলল। তাদের মাঝে একজন কাজের লোকও ছিল। সাদাফের মেজো ভাবিকে সালাম করতে নিতেই লাফিয়ে উঠে হেসে ফেললন উনি। বিস্ময় নিয়ে বললেন,
—-” আরে, আরে কর কি? তোমাদের বাড়িতে সর্বসাকুল্যে সালাম করার নীতি আছে নাকি?”
মেজো ভাবির কথায় লজ্জায় আর অস্বস্তিতে একদমই মিঁইয়ে গেল শুভ্রতা। মনের কোথাও একটা চিনচিন করে উঠল। বারবার মনে হতে লাগল, একক পরিবারের মেয়ের পক্ষে এমন একটা যৌথ পরিবারে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। শুভ্রতাও পারবে না…. কিছুতেই না। শুভ্রতার এই ছোট্ট চিন্তাটাই ধীরে ধীরে বিষাদময় করে তুলল পুরো মন।
#চলবে..
(রি-চেইক করা হয় নি। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)
[ বিঃদ্রঃ সবাই ট্রেনের প্রতি এত এটাচড জানতাম না তো। ট্রেনে কি হল, কি হল…..ট্রেনে অনেক কিছু হল। তা পরে জানতে পারবেন। গল্পের ভাঁজে ভাঁজে শুভ্রতা-সাদাফই বলবে…]