#মন_মুনিয়া
তন্বী ইসলাম -৫২
সন্ধ্যের পর পর কল বেজে উঠলো আশার ফোনে। আশা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো স্ক্রিনে ভেসে আসা নাম্বারটার দিকে। মনি পাশেই ছিলো। আশাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো
-কে ফোন করেছে আশাপু? এভাবে দেখছো যে?
-জানিনা মনি। নাম্বারটা অপরিচিত।
-রিসিভ করেই দেখো, তাহলেই তো জানতে পারবে।
আশা মুচকি হেসে কলটা রিসিভ করলো। সে কথা বলার আগেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো
-পা ভালো হয়েছে?
কন্ঠস্বরটা আশার বুকে এসে বিধলো। তার ঠোঁটের কোনে হাসির আভা দেখা গেলো। মনি ভ্রু বাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলো ব্যাপার কি।
আশা শান্ত গলায় বললো
-ভালো হয়নি। ভালো হবেও না।
-কেন ভালো হবেনা? ওষুধ খাচ্ছো না?
-মনের অষুধ ছাড়া এ রোগ দূর হবেনা।
-তাই, তা মনের ওষুধটা কি তা জানতে পারি?
-মিস্টার খাম্বা।
শ্রাবণ মুচকি হেসে বললো
-খাম্বার তো কোনো ডালপালা থাকেনা। পেত্নী এসে বসবে কোথায়?
-সেটা আমি ব্যাবস্থা করে নিবো।
-তাহলে রেডি থাকেন।
-কিসের জন্য?
-আগামীকাল আসছি।
-কোথায়? অবাক হয়ে বললো আশা। শ্রাবণ আবারও হেসে বললো
-আগামী কাল তোমাদের বাড়ি আসছি। ডিরেক্ট ঘরোয়াভাবে ডকুমেন্ট সেড়ে আসবো। আমার বাড়িতে জানানো হয়েছে। আমার ফ্যামিলি হয়তো অলরেডি তোমার বাবা মায়ের সাথে কথাও বলে ফেলেছে।
আশা বিস্ময়ের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেলো হটাৎ। সে যেনো বিশ্বাসই করতে পারছেনা। আশা কর্নফার্ম হওয়ার জন্য আবারও প্রশ্ন করলো
-আপনি আমার সাথে মজা করছেন না তো?
-আমি ইন্টারে পড়ুয়া কোনো বাচ্চা না, যে নিজের আবেগকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে মজা করবো।
এই মুহূর্তে আশার মনে হচ্ছে সে কল্পনার জগতে বাস করছে। আশা বললো
-সত্যিই?
-জি শাকচুন্নি সাহেবা।
আশা আর কিছু বলতে না পেরে ফোনটা কেটে ফেললো। হার্টবিট বেড়ে গেছে তার। প্রচন্ড খুশিতে লাফাতে ইচ্ছে করছে।
মনি ওর দিকে দুষ্ট হাসি হেসে তাকিয়ে রইলো। এক পর্যায়ে বললো
-এতো লাফাচ্ছো কেন আশাপু? প্রফেসর সাহেব কি বললেন?
-ওরা কাল আসবে মনি?
-তাই?
-হুম। আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে তোকে বলে বুঝাতে পারবোনা।
মনি হাসলো। আশা দৌড়ে চলে গেলো হিমার কাছে। ওদের ওখান থেকে কোনো কল এসেছে কিনা জানার জন্য।
পরের দিন যথারীতি শ্রাবণের বাড়ি থেকে লোকজন আসলো। আশাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে আসা হলো ওদের সামনে। তবে আগের মতো ব্রাইডাল মেকাপে নয়। একদম ন্যাচারাল চেহারা নিয়েই সে হাজির হল ওদের সামনে। আশা নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। ব্যাপারটা শ্রাবণের নজরে এলো। সে তার ভাবীর কানে কানে কি যেনো বললো৷
ওর ভাবীও হেসে হিমার দিকে তাকালো। বললো
-বিয়ান, বাড়ির মুরুব্বিরা যদি রাজি থাকে, তাহলে উনাদের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা আংটি পরিয়ে দিবো, আপনাদের কাবিনের দাবী অনুযায়ী ডকুমেন্টও করে ফেলবো। উনাদের যদি ডাকতেন?
পাশেই নিলয় দাড়ালো ছিলো।।
সে শ্রাবণের ভাবীকে আশ্বস্ত করে বললো
-আপনারা বসুন, আমি বাবা মাকে ডেকে নিয়ে আসছি।
ভদ্রমহিলা হাসলো নিলয়ের কথায়।
আশার বাবা মা এলে সকলের অনুমতি সাপেক্ষে আংটি পরানো সম্পন্ন করলো। এরপর একজন কাজী ডেকে এনে আশা আর শ্রাবণের ডকুমেন্ট করা হলো। এখন শুধু কলেমা পরে বিয়ে পড়ানো টা বাকি।
তবে এটা এখনই করা হবে না। আশার বাবা মায়ের ইচ্ছে অনুয়ায়ী উনাদের ছোট ছেলে নীল দেশে ফিরলেই আশাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হবে। যদিও শ্রাবণের মুখ কিছুটা কালো হয়ে গিয়েছিলো কথাটা শুনে। প্রায় একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে তাকে। তবুও শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে হলো। সকলেরই একটা ইচ্ছে থাকে। যেহেতু আশা এ বাড়ির একমাত্র মেয়ে, তাই তাদের চাহিদা অপূর্ণ থাকুক, সেটা চায় না।
কিছুক্ষণ বাদে আশাকে আর শ্রাবণকে আলাদা একটা রুমে নিয়ে বসতে দেওয়া হলো। মূলত শ্রাবণ তার ভাবীর কানে কানে এটাই বলেছিলো। আশা আর শ্রাবণকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে যখন মনি আর হিমা চলে আসছিলো, তখন আশার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি সে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিলো। তবুও নিজেকে কোনোরকমে সামলে সে বাধ্য মেয়ের মতো বসে রইলো শ্রাবণের সামনে। শ্রাবণ কিছুক্ষণ নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আশার দিকে। কিছুটা সময় পার হলে সে সামান্য কেঁশে বললো
-তুমি খুশি তো আশা?
আশা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানালো। শ্রাবণের মুখে আবারও হাসি দেখা গেলো। শ্রাবণ নম্র কন্ঠে বললো
-আগে তো খুব লাফঝাপ করতে৷ এখন একবারে নেতিয়ে গেলে যে?
আশা একটু একটু করে তাকালো শ্রাবণের দিকে। সেই তাকানোতে যেনো ঘায়েল হয়ে গেল শ্রাবণ। শরীরে ঝাঁকুনি অনুভব করলো কিছুটা। মৃদু গলায় বললো
-এভাবে তাকিও না, ঘায়েল হয়ে যাচ্ছি তো আমি।।
আশা লজ্জায় আবারও মাথা নুয়ালো। শ্রাবণ আবেশে বললো
-যেদিন প্রথমবার এ বাড়ি থেকে তোমাকে রিজেক্ট করে চলে গেছিলাম, সেদিন যদি জানতাম, এ তোমার কারণেই আমার জন্ম, তাহলে কি সেদিন ফিরে যেতাম। সাথে করেই নিয়ে যেতাম তোমায়। তোমার ভাইয়াও বাড়ি ছিলো তখন, কোনো ঝামেলা ছিলোনা। একেতো এতোগুলা দিন একা ছিলাম, এখন বউটাকে রেখেও একাই থাকতে হবে। এ দুঃখ রাখি কোথায় বলো?
আশা দুষ্টুমি করে বললো
-আমার অনুপস্থিতিতে তাহলে আরেকটা বিয়ে করে নেন।
-অনুমতি দিচ্ছো তাহলে! ওকে, তাহলে সেটাই হবে।।
আশা চোখ বড় বড় করে তাকালো শ্রাবণের দিকে। সেই চোখে রাগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শ্রাবণ হেসে বললো
-তোমার চোখগুলো বেশ। রেগে গেলে আরো ভালো দেখায়। তবে রাগ, সেতো ভালো কথা নয়। আমি তোমারই আছি, তোমারই থাকবো। এতো ভয় পাবার কিংবা রেগে যাবার কিছুই নেই।
আশা কিঞ্চিৎ হাসলো শ্রাবণের কথায়। শ্রাবণ এবার আলতো হাতে আশার এক হাত নিজের হাতের মুঠোয় পুরে নিলো। বেশ অবাক হলো আশা। কিছুটা শিহরিতও হলো। শ্রাবণ এদিক ওদিক কিছু না ভেবে সোজা আশার হাতের পিঠে চট করে একটা চুমু খেয়ে বসলো। ঠিক সেই মুহূর্তে প্রচন্ড হাই ভোল্টেজের শক খেলো আশা। সারা শরীর কেঁপে উঠলো তার। মনে হলো, এক্ষুনি বুঝি সে শ্রাবণের বুকে ঢলে পরুক।
আশার এমন অবস্থা থেকে হাসলো শ্রাবণ। ফিসফিস গলায় বললো
-এইটুকুতেই এমন হলে চলবে!
আশা গভীরভাবে তাকালো শ্রাবণের দিকে। শ্রাবণ তার আবেশী গলায় বললো
-এখন শুধু তোমার ভাইয়া আসার অপেক্ষায়।
______
১ বছর ২ মাস পর….
পুরো বাড়ি মাতিয়ে রেখেছে একটি মেয়ে। গুটি গুটি পায়ে বাড়ির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত দৌড়ে বেড়াচ্ছে। পেছন পেছন আশা আর ওর বাবাও ছুটছে। আশা বার বার বলছে
-মুনিয়া, এভাবে দুষ্টুমি করে না সোনা, ফুপীর কাছে এসো।
পাশ থেকে ওর বাবা বললো
-মুনিয়া দাদুভাইয়ের কাছে আসবে। দাদুভাই, চলে এসো। আমরা আজ বেড়াতে যাবো। ঘুরতে নিয়ে যাবো তোমায়।
মুনিয়া খিল খিল করে হাসছে আর দৌড়াচ্ছে। আশা হতাশ হয়ে ওর বাবার দিকে তাকিয়ে বললো
-আমি পারবোনা একে ধরতে। তুমিই ছুটো ওর পিছু। আমি গিয়ে রেডি হই। ভাইয়া এসে তো বসে থাকবে এয়ারপোর্টে।
-তুই যা। আমি নিয়ে আসছি ওকে।
আশা চলে আসতে নিলে পিছন থেকে ওর বাবা ওকে ডেকে বললো
-শ্রাবণ বাবাজীকে ফোন করে বলেছিস তো রেডি হতে? আমরা যাবার পথে ওকে সাথে করে নিয়ে যাবো কিন্তু।
শ্রাবণের নাম শুনে কিছুটা লজ্জা পেলো আশা। ধীর গলায় বললো
-সে রেডিই আছে বাবা। ঠিক সময়ে চলে আসবে।
বাসার ভেতরে ঢুকে দেখলো নিলয় রেডি। হিমা যেতে পারবেনা, কারণ সে প্রেগন্যান্ট। এতোদিন পর আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সে মা হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ঘরে আনন্দের শেষ নেই। ওদিকে রাবেয়া যাবে ছেলেকে রিসিভ করছে। মনির যাবার বেশ ইচ্ছে থাকলেও নিজ তাগিতেই সে যাওয়া ক্যান্সেল করেছে। সবাই চলে গেলে হিমা একা হয়ে পরবে। যদিও হিমা ওকে বলেছিলো যাওয়ার জন্য। ওর সাথে নীলের বিয়ের ব্যাপারটা এখন আর কারোরই অজানা নয়। আশা আর হিমা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলো ব্যাপারটা। প্রথম অবস্থায় ওর বাবার মনে কিছুটা খচখচানি থাকলেও পরবর্তীতে রাবেয়া উনাকে বুঝাতে সক্ষম হন, সন্তানের সুখেই উনাদের সুখ। সন্তান যদি সুখে থাকে তাহলে তাদের প্রব্লেম কোথায়। পরবর্তীতে উনিও মেনে নেন। তবে, নীল ফিরে আসলে ওদের আবারও বিয়ে দিবেন, এই সিন্ধান্তই হয় উনাদের মধ্যে। তবে বিয়েটা হবে একটু অন্যরকম ভাবে। আশার বিয়ে আর নীলের বিয়ে একদিনেই হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি থেকে রওনা করেন আশা আর ওর বাবা মা। নিলয়ও ছিলো সাথে। এক সময় নির্দিষ্ট যায়গা থেকে শ্রাবণকেও গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এবার আর ভাড়া করা গাড়ি নয়। নিজস্ব গাড়ি। নিজেরাই একটা গাড়ি কিনে নিয়েছেন উনারা। এয়ারপোর্টে যখন উনারা গিয়ে পৌছুলো তখনও ফ্লাইট এসে ল্যান্ড করেনি। কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর নির্দিষ্ট সময় বিমান এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলো। সকলের মনের ভেতর ধুকপুকানি শুরু হয়ে গেছে।
নীল যখন ওদের সামনে এসে হাজির হলো, সকলের মুখে একরাশ খুশির আমেজ দৃশ্যমান হলো। একে একে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করা হলেও নীলের চোখ খুজে যাচ্ছিলো অন্য কাউকে। ব্যাপারটা দৃষ্টিগোচর হলো আশার। সে ভাইয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে বললো
-যাকে খুঁজছিস সে আসেনি রে ভাইয়া।
-কেন আসেনি? তোরা আনিস নি তাইতো? নীলের চোখমুখে সামান্য ক্ষোভ। আশা হেসে বললো
-সেই আসেনি। আসলে ভাবী প্রেগন্যান্ট তো। সবাই চলে আসলে সে একা হয়ে যাবে, তাই আসেনি। খুব দয়ালু কিনা তোর বউ।
নীল ভ্রু বাকালো। এরপর শ্রাবণের সাথে গলা মিলিয়ে কুশলাদি বিনিময় করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলো ওরা।
বাড়ির ভেতরে এসে পা রাখতেই ভাঙ্গা গলায় খিলখিল হাসির শব্দ কানে এলো নীলের। সে জিজ্ঞাসু গলায় আশাকে বললো
-হাসে কে?
-তোর মেয়ে।
-মুনিয়া?
-হুম।
নীল হাসলো। ধীরপায়ে সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পেলো এক নিষ্পাপ মনোমুগ্ধকর মেয়ে ঘরটাকে মাতিয়ে রেখেছে। এ মেয়েকে সে চিনে। প্রায়ই ভিডিওতে কথা হয়, দেখা হয় । সে মুনিয়ার দিকে এগিয়ে যায়। মুনিয়া নীলকে দেখে হাসি থামিয়ে ফেলে। এক যায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। নীল হাটু ভাজ করে মুনিয়ার সামনে বসে পরে। মুনিয়া অন্য বাচ্চাদের মতো ভয় পায় না। বরং আধো আধো গলায় নিজ থেকে প্রশ্ন করে
-তুমি কে? আমি তোমায় চিনি?
-আমি তোমার আব্বু মামনী।
-আব্বু?
-হুম।
-আব্বু কি?
নীল কিছুটা চিন্তার মতো করে বলে
-বাবা
-নিলু বাবা? [নিলয় বাবা]
নীল হাসলো। মুনিয়াকে টেনে কোলে নিয়ে ড্রয়িং রুমের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো
-উহু, শুধুই বাবা।
বাড়িতে আসার পর আরেক দফা সকলের সাথে আড্ডা শেষ হলো। হিমার সাথেও দেখা সাক্ষাৎ হলো, কথা হলো। তবে এতোটা সময়ের মধ্যে মনির সাথে এখনো কথা হয়নি ওর। এক পলক দেখেছিলো শুধু। তাও দূর থেকে৷ নীল নিজেকে আর শান্ত করতে পারছিলোনা। মনির সাথে দেখা করার অদম্য বাসনা তার মনে চেপে বসেছিলো। সে সবার অলক্ষ্যে গিয়ে মনির রুমে গেলো। আশাকে আগেই বলে দিয়েছে যেনো এ পাশটায় না আসে। আশা মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়েছিলো।
ঘরের ভিতরে ঢুকতেই মনি এক ঝটকায় দাঁড়িয়ে পরলো। বিছানার এক কোনে গুটিশুটি মেরে বসে ছিলো সে। ঘরে ঢুকামাত্রই দরজাটা লাগিয়ে দিলো নীল। মুচকি হাসলো মনিকে দেখে। এক পা দুই পা করে এগিয়ে যেতে লাগলো তার দিকে। মনির শরীর কাঁপতে লাগলো। এ মানুষটার সাথে রেগুলার সে কথা বলে, দেখে। কোনো অস্বস্তি হয় না। তবে আজ, আজ কেন এতো অস্বস্তি?
নীল মনির কাছাকাছি চলে যায় একদম। মনি নিচের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নীল ওর দুহাত মনির গায়ে ছোঁয়ায় । ওর উষ্ণ ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে উঠে মনি। আবেশে নীল বলে
-কেমন আছো মনি?
-ভালো। শান্ত গলায় উত্তর দেয় সে।
নীল আরেকটু কাছে টেনে নেয় মনিকে। অভিমানী গলায় বললো
-আমাকে আনতে যাও নি। এতোটা সময় হলো বাড়িতে আসলাম একবার দেখাও করো নি। কেন বলোতো? তুমি কি জানো, এখানে আসার পর থেকে এই চোখদুটো শুধু তোমাকেই খুজছিলো?
মনি গভীর ভাবে তাকালো নীলের দিকে। ঠোঁটগুলো কাপছে তার। মনের মধ্যে থাকা বাধটাকে কাঁটাতে চাইছে। তবুও কেন যেনো পারছেনা। একটা জড়তা কাজ করছে মনে।
নীল মনির মনের মধ্যে থাকা জড়তাটা অনুধাবন করতে পারলো। সে মনির কপালে চুমু খেলো। সাথে সাথে চোখ বন্ধ করলো মনি। নীল হাসলো। হাসিখানা ঠোঁটে ঝুলিয়ে রেখেই মনিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো শক্ত করে। মনিও আর কোনো দ্বিধা ছাড়া মিশে গেলো নীলের কোঠরে।
চলবে…..
[হয়তো আগামী পর্বটাই হবে এ গল্পের শেষ পর্ব। তবে, লাস্ট পর্বটা আমি তখনই আপলোড করবো, যখন আশানুরূপ রিয়েক্ট আর গঠনমূলক মন্তব্য পাবো🙂
তো, লাস্ট পার্ট পেতে রিয়েক্ট আর কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহ দিন]