#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা (লেখিকা)
#পর্ব_০৬
________
এই প্রথম কেউ আমার ভুল গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো! কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ি তাই রাতে কেউ আর ডাক দেয়নি! আম্মু রাতে রুমে খাবার রেখে গিয়েছিল হয়তো ভেবেছিল রাতে যখন ঘুম ভাঙবে উঠে খেয়ে নিব! কিন্তু রাতে আর ঘুম ভাঙ্গেনি।
সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে ছিলাম সেজন্য খুব ভোরেই ঘুম ভেঙে যায়, ঘুম থেকে উঠে দেখি আযান দিচ্ছে!
আযান শুনে আর শুয়ে থাকতে পারিনি জানি না কিভাবে বিছানা থেকে উঠি ওয়াশরুমে গিয়ে ওযু করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়লাম!
নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম আমার সব ভুলের জন্য মোনাজাতেই কান্না করে দিলাম! নামাজ শেষ করে কিচেনে গেলাম এক কাপ কফি বানালাম কফির মগ নিয়ে রুমে ডুকে বারান্দায় চলে গেলাম!
কি সুন্দর সকাল অন্তর জুড়িয়ে যায় মিষ্টি মিষ্টি রোদের আলো হালকা বাতাস অনেক দিন পর এত সকালে উঠলাম! সত্যিই সকাল সুন্দর!
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর নিচে চলে গেলাম গিয়ে দেখি!
আম্মু আর খালেদা আন্টি কিচেনে সকলের জন্য নাস্তা বানাচ্ছে। খালেদা আন্টি হচ্ছে আমাদের নতুন মেড গ্রাম থেকে নিয়ে আসছে সায়েদা আন্টি, আমাকে দেখে আম্মু বলল,
আম্মু- কিরে তুই আজ এত সকালে কিভাবে উঠলি সূর্য কোন দিকে উঠছে?
আমি- আম্মু আমি তোমাকে নাস্তা বানাতে হেল্প করি? ( একটু হাসি দিয়ে)
আম্মু আর খালেদা আন্টি, কিহহহহ।
খালেদা- বড় আফা আমি কি ঠিক শুনতাছি নাকি?
আম্মু- আমিও তাই ভাবতেছি রে খালেদা।
আমি- কি এমন বললাম যে তোমরা দুজনে হা করে তাকিয়ে আছো। আমি কি তোমাদের হেল্প করতে পারি না নাকি?
আম্মু আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আমার দুই গালে হাত দিয়ে কপালে চুমু দিলো আর বললো!
আম্মু- তোর কিচ্ছু করতে হবে না, আমার সোনা মা তোর রান্না করতে কষ্ট হবে তুই রুমে গিয়ে পড়তে বস আমি আর খালেদাই পারবো তুই যে বলছিস তাতেই আমার অন্তর জুড়াই গেলো! আমাকে জড়াই ধরে কিছুক্ষণ চোখের তিতা পানি ফেললো।
আমি- কি আম্মু কোনোদিন কিছু করি না বলে এত কথা বলো আর আজ করতে চাচ্ছি তুমি মানা করছো।
আম্মু- আচ্ছা যা ওই পিঁয়াজ গুলো কুঁচি কুঁচি করে কেটে দে.
আমি- ওকে ২ মিনিটে করে দিচ্ছি।
২ মিনিট কি ৫ মিনিট পর!
আম্মু- কিরে তোর কাটা হয়নি এখনো? ( বলে পিছনে তাকিয়ে আম্মু অবাক)
খালেদা হিহিহি করে হাসছে। আমি এদিকে ১টা পিঁয়াজ ও কাটতে পারি নাই। চোখের জল নাকের জল মিলেমিশে একাকার।
আম্মু আর খালেদা আন্টি দুজনে আমার এই অবস্থা দেখে জরে জরে হাসছে।
তাদের হাসির শব্দ বাহিরে ডায়িং রুম পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে, তাদের হাসির শব্দ শুনে আব্বু নিউজ পেপার টা টেবিলের উপর রেখে, কিচেনে এসে দেখে আমার এই অবস্থা আর তারা হাসছে!
আব্বু- চুপ করে তোমরা আমার মেয়েটা কাঁদছে আর তোমরা হাসছো? (আমাকে কাঁদতে দেখে আব্বু অনেকটা রেগে গেছে আর আব্বুর ধমক শুনে দুজনেই চুপ হয়ে গেছে)
আব্বু আমার কাছে এসে বলল- তুমি এসব কেনো করছো মামনি? উঠো নিজের কি অবস্থা করছো মামনি! তোমাকে এসব করতে কে বলছে? (আম্মুর দিকে তাকিয়ে)
খালেদা- স্যার আমরা কিচ্ছু বলি নাই ইতি মামনি নিজের ইচ্ছেতেই এসে বলছিলো বড় আফাকে হেলেপ
করবে!
আব্বু- ওইটা হেলেপ না খালেদা ওটা হেল্প হবে বলো হেল্প!
খালেদা- হেলেপ।
খালেদা আন্টির কথা শুনে আমি আর না হেসে থাকতে পারলাম তাই একটু হেসে দিলাম। আমার দেখাদেখি বাকিরা সবাই হাসছে।
তোমরা বাপ মেয়ে যাও বের হও আমাদের কাজ করতে দাও অনেক হইছে হাসিঠাট্টা। আম্মু বলল।
আজকে আমার ইতি মামনি নাস্তা বানাতে চাইছে তাই আজ ইতিই নাস্তা বানাবে, তোমরা দু’জন বাহিরে যাও আর নয়তো গিয়ে টিভি দেখো। আব্বু বলল।
আমি- কিন্তু আব্বু আমি তো ( আব্বু আমাকে আর কিছু বলতেই দিলো না নিজেই বলতে লাগলো)
আব্বু- আজ আমি আর আমার মামনি দু’জনে মিলে নাস্তা বানাবো যাও তোমরা।
আমি- আব্বু তুমি পারবে?
খালেদা আন্টি- স্যার আপনি আর রান্না?
আম্মু তো মহা খুশি খালেদা আন্টির উদ্দেশ্য বলল,
আম্মু- ওকে চল খালেদা। (দুজনে চলে গেলো)
আব্বু আর আমি নাস্তা বানাচ্ছি পৃথিবীর বেস্ট ফিলিংস। নিজের আব্বুর কাছ থেকে প্রথম রান্না শেখা
আমি অনেক খুশি! প্রতিদিন দুষ্টামি ফাজলামি করে দিন পার করে দেই কিন্তু আজ মনে হচ্ছে জীবনটা নতুন ভাবে নতুন অধ্যায় থেকে শুরু হইছে সারাজীবন যেনো এমনই থাকে মনে মনে বললাম।
আব্বু আমাকে নিজের হাতে সব শিখিয়ে দিচ্ছে। আমাদের নাস্তা বানানো প্রায় শেষের দিকে অনেক কিছু বানাচ্ছি আমি আর আব্বু মিলে।
ওই দিকে আম্মু আর খালেদা আন্টি বসে বসে টিভি দেখছে!
খালেদা বলে উঠল, আফা আমি একটা বার গিয়া দেইখা আহি ওনারা কি করতাছে আল্লাহই জানে আমার খুব ভয় লাগতাছে যদি উল্টাই পাল্টায় ফালায়।
আম্মু বলল, আরে খালেদা তুই তো জানিসই না তোর স্যার সব ধরনের রান্না পারে, দেশি বিদেশি সব!
আমার মধ্যে যখন ছোট্ট ইতি প্রবেশ করে ছিলো তখন আমি বুঝিনি কিন্তু ও ঠিক বুঝতে পেরেছিল আর তখন থেকেই আমার খেয়াল রাখতো ৩মাস পর টেস্ট করাই রিপোর্ট পজিটিভ আসছিলো উনি তো খুশিতে হাত্মহারা হয়ে গিয়েছিলো!
তারপর থেকে আমারে কিচেনে প্রবেশ করতে দেয়নি নিজেই সব করতো রান্না বান্না বাড়ির দেখা শোনা প্লাস আমার খেয়াল রাখা কখন কি লাগবে কি না লাগবে কি খেতে হবে প্রতিদিন একেক ধরনের খাবার বানাতো আর নিজের হাতে খাইয়ে দিতো আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম বাড়ি থেকে কেউ মেনে নেয়নি আমাদেরকে তাই পালাতে বাধ্য হই। তার পরে কেউ আর আমাদের কোনো খোঁজ নেয়নি। আজ উনি এতো বড় Business man হয়েছে শুধু আল্লাহর রহমতে আর উনার কষ্টের জন্য সারা রাত জেগে কাজ করতেন আর দিনে আমার সেবা করতেন দেখতে দেখতে ১০মাস চলে যায় ইতির ও জন্মানোর সময় হয়ে যায় ইতি হওয়ার পর আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি! আল্লাহর রহমত আমাদের ইতি। সেদিন সর্ব প্রথম ইতিকে ওর বাবাই কোলে নিয়েছিলো আর নাম দিয়েছিলো ইতি। বলেছিলো, আমারর কষ্টের দিন শেষ আজ থেকে তোর হাত ধরে পারি দিবো আমাদের সুখের দিনে। বলে ইতির কপালে চুমু দেয় ইতির ২বছর পর্যন্ত উনিই রান্না করতেন আর আমাকে ইতির দেখাশোনাও করতেন। ২মিনিট ও একা রেখে যেতে পারতাম না কোথাও।
তাইতো দেখিস না মেয়ে বলতে প্রাণ মেয়েকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না! কখনো আমাকে আমার ফ্যামিলির অভাব বুঝতে দেয়নি অনেক ভালোবাসে আমাদের আর আমরাও উনাকে অনেক ভালোবাসি উনার মতো স্বামী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার আল্লাহর কাছে হাজারও শুকরিয়া।
খালেদা আন্টি আম্মুর কথা শুনতে শুনতে কান্না করে দেয় আর আম্মুও চোখের কোনায় থাকা জল টা মুছে নেয়!
তুই কাঁদছিস কেনো পাগলি আর শোন এই ব্যাপারে কিছুই জেনো ইতি জানতে না পারে! ইতি এই সব ব্যাপারে কিচ্ছু জানে না!
খালেদা আন্টি-ঠিক আছে আফা!
তারপর দুজনেই আবার টিভি দেখতে থাকে।
এই দিকে আমাদের নাস্তা রেডি আমি খুশিতে আব্বুকে জড়িয়ে ধরলাম।
অনেক আইটেম বানিয়েছি আমরা সব গুলো খাবার টেবিলে সাজিয়ে রাখলাম বাহ কেমন একটা ফিলিংস আসতাছে এখন আমার প্রথম রান্না বলে কথা।
আমি- আম্মু আমাদের শেষ খেতে আসো!
আম্মু আর খালেদা আন্টি তো অভাক এত কিছু তাদের চোখ কপালে।
আব্বু- আমার মেয়ে প্রথম রান্না করছে খেয়ে দেখো!
সবাই খেতে খেতে অনেক প্রশংসা করলো আমার!
কিন্তু সব কিছু তো আব্বুই করেছে আমি তো শুধু
আমি আব্বুর প্রশংসা করলাম আব্বু বললো আমি কি করলাম সব তো তুমিই করলে।
আমি উঠে আব্বুকে জড়িয়ে ধরলাম আর নাস্তা শেষ করে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম!
স্যার আবার ঘুরছে নতুন ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আর চাকরির জন্য!
কলেজের ক্যাম্পাসে বসে আছে সব গুলা ওদের দেখে আমিও গেলাম ওদের কাছে।
রুবেল আী মুন্নী বলল- কিরে তুই এত আগে আজ কিভাবে আসছি?
বাকি তিনজন কি চুপ থাকবে নাকি ওরাও বলছে।
আমি ভদ্র মেয়ের মতো ওদের কথার উত্তর দিচ্ছি!
নাঈম আর মিম- কিরে তের ওই প্রাইভেট টিচারের কি খবর কি করলি ওনার সাথে নাকি কিছুই করিসনি।
আব্রু- আমাকেও বল!
আগেই বলে দেই রুবেল আর মুন্নী বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড আর নাঈম আর মিম ওরাও গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড ডেট করছে ওরা আর আব্রু বেচারি আমার মতোই সিঙ্গেল।
আমি ওদের সব গুলোকে উদ্দেশ্য করে বললাম, ‘ ওই যে রামছাগল যাকে ধাক্কা দিয়া কাঁদায় ফালাইয়া দিছিলাম ওই ছেলেই আমার স্যার। ’
রুবেল মুন্নী নাঈম মিম- কিহহহহহহ?
আব্রু- What a Coincidence! স্যারটা কেমন Handsome নাকি রে?
আমিও কিছু না বুঝেই বলে ফেললাম।
আমি- তা তো অবশ্যই যা কিউট আর হ্যান্ডসাম।
আমার কথা শুনে ওরা পাঁচ জনের হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা।
আমরা বুঝতে সময় লাগেনি মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলাম, হায় আল্লাহ আমি কি বলে ফেললাম? তৎপর দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।
সবাই এক সাথে বলল- অনেক হ্যান্ডসাম তাই নারে?
আমি কি বলবো এই প্রথম কোনো ছেলের প্রশংসা করলাম তাই মাথাটা নিচু করেই রাখলাম কতক্ষণ। আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে ওরাও সবাই চুপ হয়ে গেলো!
তারপর সবাই মিলে কলেজের ভেতরে গেলাম!
৬জন একসাথে আমি সবার আগে দলের লিডার বলে কথা!
তারপর ওই সব মানুষের কাছে গেলাম যাদের সাথে দুষ্টামি ফাজলামি করেছিলাম যাদের যাদের কষ্ট দিয়েছিলাম সবার কাছে গিয়ে সরি বললাম ক্ষমা চাইলাম। সবাই খুশি হয়ে মাফ করে দিলো তারপর সকল টিচার্সদের কাছেও গেলাম তাদের সাথে কখনো ফাজলামো করি নাই তবুও তাদের কাছেও ক্ষমা চাইলাম!
সবাই তো অভাক এক রাতে কি এমন হলো ইতি পুরাই চেঞ্জ হয়ে গেলো!
সবাই ক্লাসে গেলাম তিন ঘন্টা পর ছুটি হলো। কলেজের বাইরে গেইটের সামনে সবাই এক সাথে বলে উঠল, ‘ কি হয়েছে তোর তুই এতটা চেঞ্জ হলি কিভাবে? ’
আমি- ওদের কিছুই বললাম না শুধু বললাম তোদের আমার সাথে কোথাও যেতে হবে!
ওরাও সবাই রাজি হয়ে গেল! তারপর সবাই এক সাথে আমার গাড়িতে উঠলাম আর ওরা ওদের গাড়িগুলো কে বাড়ি চলে যেতে বলে ড্রাইবাররা চলে যায়!
আমরাও যেতে থাকি! সবাই আমাকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করছে আমি কিছুই বলছি না!!
গাড়ি চলছে তো চলছেই, গাড়ি থামাতে বললাম ড্রাইবার আঙ্কেল গাড়ি থামলেন!
সবাই গাড়ি থেকে নামলাম তারপর এক এক করে ওই ১০টা স্যারের বাড়ি খুঁজে তাদের বাড়ি গেলাম তাদের সবার কাছে আমার আগের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইলাম তারাও অনেপ খুশি হয়ে ক্ষমা করে দিলেন!
এইভাবে যত মানুষের সাথে দুষ্টামি ফাজলামি করেছিলাম সবার কাছে ক্ষমা চাইলাম আমার বাড়ির আশে পাশের সবার থেকে ক্ষমা চাইলাম!
ওরা ৫জন আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু কিছু বলছে না সবাইকে সরি বলা শেষ!
ড্রাইবার আঙ্কেল ও অনেক অভাক হয়েছেন!
বুঝতেই পারছি!
আমি: তোদের তো খিদে লাগছে চল আমার সাথে!
সব- কোথায়?
কিছুই বললাম না আবার গাড়িতে উঠে চলে এলাম
একটা রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ডুকলাম ড্রাইবার আঙ্কেল আমাদের সাথে আসতে চায়নি কিন্তু আমিও ছাড়িনি জোর করে নিয়ে আসছি!
ড্রাইবার আঙ্কেলকে আমাদের বাড়িতে অনে বছর ধরে আছেন। আমি ছোটে থেকেই দেখে আসছি আর আমাকে অনেক আদর করেন ছোটো থেকেই আমাদের ফ্যমিলির এক জন বলতে পারেন।
ওরা সবাই খাচ্ছে আর আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
আমি- কিছু কি বলতে চান আপনারা সবাই?
সব কয়ডা এক সাথে বলল, এইসব কিছু কিভাবে সম্ভব আমাদের বল এত চেঞ্জ কে করলো তোকে?
ড্রাইবার আঙ্কেল বলল, আমিও অনেক অভাক হয়েছিল মামনি তুমি আজ কোনো দুষ্টামি ফাজলামি করো নাই আর যাদের যাদের সাথে করেছিলো তাদের সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছো!
আমিও তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম, কাল স্যারের সাথে যা যা করেছি আর স্যার যাওয়ার আগে যা যা বলে গেছেন কানতে কানতে ঘুমাই গেছিলাম ওইটাও বলছি।
সব গুলো একসাথে আবারও বলল, ওও নতুন স্যার আসতে না আসতেই তোকে চেঞ্জ করে ফেলছে বাহ স্যার তো মনে হয় জাদু জানে।
ড্রাইবার আঙ্কেল বললেন, শাওন বাবা ছেলেটা অনেক ভালো তোমরা দেখলে বুঝবা! ইতি মামনি তুমি এখন যেমন আছো তেমনই সবসময় থেকো আর দুষ্টামি ফাজলামি কেনো করবা না। এখনই তো করার বয়স কিন্তু কারো মনে কষ্ট দিয়ে কিছু করো না! ( বলে আঙ্কেল চলে গেলেন কারণ উনার খাওয়া শেষ)
মুন্নী, রুবেল, আব্রু, মিম, নাঈম দুষ্ট হাসি দিয়ে বলল, কুছ কুছ হোতা হে ইয়ার!
আমি হেসে ফেললাম আর বললাম, ‘ তেমন কিছুই না। ’
তারপর রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ওদেরকে ওদের বাড়িতে ড্রপ করে দিয়ে নিজের বাড়ি চলে এলাম!
#চলবে
(কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ)