#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_০৮
___________
আমি: তোর মোবাইল পেয়ে যাবি এত খুঁজিস না! তুই এইটা বল তুই এভাবে পাগলের মতো ফোন খুঁজছিস কেনো? ফোনের মধ্যে কোনো স্পেশাল কিছু আছে নাকি?
আব্রু: না স্পেশাল কে থাকবে? না মানে কি থাকবে!
শুধু একটা মেসেজ করতাম আম্মুকে আর কিছু না!
সবাই খাচ্ছে আর আব্রুকে দেখছে! এই প্রথম ও ফোনের জন্য এত টেনশন করছে!
আমি: ওও মেসেজ করবি তুই কিন্তু তুই তো কখনো আন্টিকে মেসেজ দিস না ডাইরেক্ট কল দিস?
আব্রু: কিসের মেসেজ কোন মেসেজ আমি কখন মেসেজের কথা বললাম? আম্মুকে কল দিবো তাই খুঁজছি!
আমি: ওও আন্টিকে কল দিবি? আমি তো ভাবছিলাম শ্রাবনকে মেসেজ করবি!
নাঈম: কে শ্রাবন?
মিম, মুন্নী: শ্রাবন মানে কে সে?
রুবেল: কিরে বলবি তো শ্রাবন কে?
সব গুলা খাওয়া বাদ দিয়া অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকাই আছে। সব চাইতে বেশি অবাক তো আব্রু হইছে!
আব্রু: তুই আমার ফোন চেক করছিস!
সবগুলা: কিরে কিছু বলবি তো নাকি কে শ্রাবন?
আমি: ওরে জিগা! চোখ দিয়ে ইশারায় আব্রু কে দেখালাম।
সবগুলা এক সাথে: শ্রাবন কে?
আব্রু চুপ করে বসে আছে আর আমাকে মনে মনে বকতেছে!
আমি বললাম, ‘ হেতি পেরেম করে পেরেম ফেসবুক পেরেম! ’
২সপ্তাহ ধরে আর আমাদের কিচ্ছু বলে নাই
ওরে কিলা সবাই!
এক এক করে সবাই মিলে ওরে বাষন দিলো!
আমি বাদ যাবো কেন স্যারকে নিয়ে আমাকে হেবি জ্ঞান দিছে আমিও একটু দেই।
আমি: আব্রু তুই আমাদের বললেই পারতি আমরা কি তোরে খাইয়া ফেলতাম আমাদের সবার ব্যাপারে সব জানোস আর তুই তোরটা লুকালি তোর থেকা এটা আশা করি নাই হুহহ এত টাই পর ভাবিস তুই আমাদের? এই নে তোর ফোন তোর শ্রাবন অনেক গুলা মেসেজ দিচ্ছে।
ওরে ওর ফোন দিলাম ও আইসা আমাদের তিনজনকে জড়াইয়া ধরলো আর কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘ সরি রে দোস্ত আর হবে না এমন প্লিজ তোরা মাফ করে দে। ’
সবাই: যা মাফ করলাম।
আমি: একটা শর্তে মাফ করবো! শ্রাবন তোর সাথে দেখা করতে চায়! যেদিন দেখা করবি আমরাও যাবো।
আব্রু: তুই জানলি কেমনে মানে তুই সব মেসেজ দেখছোস?
আমি: হো!
আব্রু: ইতি। বলে চিৎকার দিয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো।
সবাই হাসতে হাসতে শেষ!
আমি: আজ সকালেও তো খুব বলছিলি আমাকে এখন নিজেরই তো পোল খুলে গেলো না!
আব্রু: আমি তোর শর্ত মানলাম, তোদের সবাইকে সাথে নিয়ে যাবো ঠিক আছে কিন্তু তোকেও আমার শর্ত মানতে হবে!
আমি: কি শর্ত?
আব্রু: ওদের দুইটার বয়ফ্রেন্ড গুলা তো ওদের লগেই আছে তাই তোকে তোর বয়ফ্রেন্ড ক্রাস বাঁশ যাই ভাবিস তোর স্যারকে নিয়ে আসতে হবে তাহলেই তুই যেতে পারবি!! শেষ কথা।
আমি: কিহহহহ স্যারকে?
সব কয়ডা শয়তান ওর কথার সাথে তাল মিলালো।
আমি ধুর স্যারকে কিভাবে নিবো ভাবতে লাগলাম!
আব্রু: সামনের শুক্রবার মনে থাকে জেনো সবার!
ওকে!
মিম, নাঈম: ওকে!
মুন্নী, রুবেল: ওকে!
আমি: ঘোড়ার ডিম ওকে!
এখন স্যারকে কি বলে রাজি করবো ধ্যাত ভাল্লাগে না!
কিছু তো একটা বলে রাজি করাতেই হবে! বাড়ি গিয়ে ভাববো।
আব্রু: কি নিয়ে আসতে পারবি তোর স্যারকে?
সবগুলা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর মুচকি মুচকি হাসছে!
আমার তো খুব রাগ হচ্ছে।
আম বললাম, ‘ আমি স্যারকে নিয়ে আসবো আগা মাথা ঘোড়ার ডিম একটা বুঝিয়ে কিন্তু কথা দিতে হবে আমি যে স্যারকে ভালোবাসি তোরা উনাকে কিছু বলবি না আর তেমন কোনো ইশারাও করবি না উনি আমার সাথে আমার স্যার হয়ে আসবে ওকে। ’
রুবেল- আগে তুই তোর স্যারকে রাজি তো করা। বলেই ৩২টা দাঁত বের করে হাসছে ওর সাথে মুন্নী নাঈম মিম আব্রু ও হাসছে।
‘ থাক তোরা আমি গেলাম! ’ দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে আসলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতেও চলে আসি!
বাড়িতে এসে কলিং বেল চাপতেই আম্মু এসে দরজা খুললো।
আম্মু- ইতি আজ এত দেরি হলো কেনো?
আমি- আম্মু ওই বন্ধুদের সাথে ফুচকা খেতে গিয়েছিলাম তাই।
আম্মু- আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে আসো! লাঞ্চ করে নাও!
আমি- ওকে আম্মু!
তারপর রুমে আসলাম ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেলাম!
ফ্রেশ হলাম নিচে গেলাম খেলাম তারপর একটা কফির মগ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে বসে ভাবতে লাগলাম কি বলবো স্যারকে স্যার কিভাবে নিবে রাজি হবে কি না!
এত ভাবলাম তারপরও মাথায় কিচ্ছু আসছে না!
কিছুক্ষণ পর স্যারও চলে আসবে!
আমিও পড়তে বসে পড়লাম আজ খুব সুন্দর করে পড়লাম কোনো বার্তি কথা বলি নাই যা বলেছে তাই করেছি শুধু। স্যার অনেক অবাক এত উন্নতি বাহ।
স্যার পড়ানো শেষ হলে চলে যায়! এই ভাবেই দিন চলে যায়! আজ বৃহস্পতিবার আর কালকেই শুক্রবার আজ কলেজ গেলেই সবাই প্রশ্ন করবে উফফ তারপরেও যেতে তো হবেই! বিছানা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো ইতি!
ফ্রেশ হয়ে রেডি হলো নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো!
কলেজ এর মাঠে! মুন্নী আর রুবেল পাশাপাশি বসে আছে। মিম আর নাঈমও দুজনে দু’জনের কাছাকাছি বসে আছে!
আব্রু ফোনে শ্রাবনের সাথে প্রেম করছে!
বলতে গেলে 3 Love Birds একসাথে মধ্যে খানে আমি কাবাবে হাড্ডি হবো।
মিম: ওই তো আমাদের গ্রুপের ভদ্র মেয়ে আসছে!
রুবেল মুন্নী নাঈম আব্রু মিমের কথা শুনে কলেজ গেইটের দিকে তাকালো!
ভদ্র মেয়ের মুড অফ নিশ্চয়ই স্যারকে বলতে পারে নাই আর নয়তো স্যার রাজি হয় না-ই!
আমি ওদের মাঠে দেখে ওদের সামনে গেলাম।
ইতি: কিরে তোরা সবাই এত হাসছিস কেনো?
মুন্নী: কিরে তোর মুড অফ কেনো?
আব্রু: স্যার নিশ্চয়ই যাবে না বলছে হাহাহা।
মিম- স্যারের এত বড় সাহস তোকে না করে। (রাগে মুখ লাল হয়ে গেছে)
রুবেল- তুই কি আধোও বলছিস স্যারকে নাকি বলিস নাই?
নাঈম- আমি সিউর ওও স্যারকে বলে নাই তাই তো চুপ করে আছে!
ইতি- আসলে আমি বলতে পারি নাই।
আব্রু মুন্নী মিম- তুই আর বলতে পারিস নাই আমরা কি ঠিক শুনছি শয়তানের নানী ও সামান্য একটা কথা বলতে পারে নাই।
রুবেল, নাঈম- তুই কি স্যারকে ভয় পাস?
ইতি- না কিন্তু উনি যদি আমাকে ভুল বুঝে আর যেতে রাজি না হয় অথবা আমাকে যদি আর পড়াতে না আসে তখন তাই ভেবেই বলতে পারছি না।
মুন্নী- ইতি!
আব্রু- ভালোবাসিস আর বলতে পারিস না।
মিম- তোর হইছে টা কি তুই তো এমন ছিলি না!
নাঈম- তোমরা একটু চুপ থাকবে!
রুবেল- ইতি সত্যি সত্যি স্যারকে ভালোবেসে ফেলেছে তাই ইতি চায় না ওর কোনো কথায় স্যার রাগ করে চলে যাক! আর আমার কাছে একটা প্লান আছে যাতে লাঠিও না ভাঙে আর সাপও না মরে।
সব গুলো রুবেল কে বললো কি প্লান রুবেল সবাইকে বললো আর সাথে ইতিকে খুব ভালো করে বুঝিয়ে বললো! সবার রুবেলের প্লানটা ভালো লেগেছে!
ইতি- প্লানটায় কাজ করবে তো?
সবগুলা এক সাথে চিল্লানি দিয়া বলল, ‘ Definitely করবে। ’
রুবেল- প্লান কাজ করবে তুই শুধু সুন্দর করে গুছিয়ে স্যারকে বলতে পারলেই হবে।
ইতি- ‘ পারবো! হইছে সবাই এখন ক্লাসে চল
সবাই ক্লাসে চলে যায়! ’
এইভাবে ক্লাস সব গুলো শেষ হলো সবাই কলেজের গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে যার যার গাড়ির জন্য মধ্যখান থেকে আব্রু বলল, ‘ ইতি স্যার রাজি হলে কল দিস আমাদের ওকে? ’
ইতি- ওকে আর রাজি না হলে দিবো না! তখন তোরা বুঝে নিস আমি আসবো না!
সবগুলা- দেখিস স্যার রাজি হবে!
আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ কাল পার্কে দেখা হবে।
আব্রু- পার্কে যাওয়ার আগে আমরা সবাই একসাথে লাঞ্চ করবো ওকে। বাই মাথায় রাখিস সবাই
ইতি- ওকে!
নাঈম মিম- ওকে।
রুবেল মুন্নী- আচ্ছা ওকে!
ইতি চলে গেলো ওর গাড়িতে করে!
আব্রু চলে গেলো ওর স্কুটি দিয়ে!
নাঈম মিমকে ড্রপ করে দিবে ওর বাড়ির সামনে বলে গাড়িতে উঠে চলে গেলো!
রুবেল- বাবু কি ভাবছো তোমাকে ড্রপ করে দিবো নাকি আমি?
মুন্নী- না আমি চলে যেতে পারবো কিছুক্ষণের মধ্যে আমার গাড়ি চলে আসবে!
রুবেল- ওই আমি থাকতে তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে আর আমি চলে যাবো? ভাবলে কি করে হুহহ চলো উঠো গাড়িতে।
মুন্নী চুপচাপ গাড়িতে উঠে পরে জানে এখানে কিছু বললে হাত ধরে টেনে গাড়িতে উঠাবে কলেজের গেইটের সামনে টানাটানি করলে মান সম্মান সব যাবে তাই উঠে চুপ করে বসে আছে!
আর মনে মনে কষতে লাগল নিজেকে ধ্যাত গেলো আমার ফুচকা খাওয়ার প্ল্যান বেসতে।
রুবেল- জানি বেবি তুমি কি ভাবছো! (মনে মনে)
কিছুক্ষণ পর,
রুবেল- ড্রাইবার গাড়ি থামাও! ড্রাইবার গাড়ি থামালো।
মুন্নী- এখানে গাড়ি থামাতে বললে কেনো আমার বাড়ি তো এখনো অনেক দূরে তাহলে। (রুবেলের মুখের দিকে তাকিয়ে)
রুবেল- এই ভাবে তাকিয়ে থেকো না বেবি আমার লজ্জা লাগে! (বলে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল)
মুন্নী- অসভ্য ফাজিল শয়তান কুত্তা উগান্ডা ইসস লজ্জায় মরি মরি অবস্থা! (মনে মনে গালি দিলো)
রুবেল- হইছে হইছে আর গালি দিতে হবে না! এখন নামো গাড়ি থেকে।
মুন্নী- ওকে নামছি তো!
দুজনে গাড়ি থেকে নামল।
রুবেল- ড্রাইবার তুমি গাড়ি পার্ক করো আমাদের আসতে একটু দেরি হবে!
ড্রাইবার- ওকে স্যার!
রুবেল- চলো আমার সাথে!
মুন্নী- কোথায়? আমি যাবো না কোথাও আপনার সাথে।
রুবেল মুন্নীর হাত ধরে ছিলো তাই আরও একটু হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললো!
রুবেল- কেনো যাবে না তুমি কি আমাকে ভয় পাও নাকি?
মুন্নী- ন. না মানে! (কাঁপা গলায় বললো)
রুবেল- না মানে কি তুমি কি ভাবছো আমি তোমার সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করবো ছিহ তুমি আমাকে ওইরকম ভাবতে পারলে?
( রুবেল আজ পর্যন্ত মুন্নীকে টাচ করে নাই শুধু হাতে ধরা ছাড়া)
কিভাবে ভাবলে তুমি তোমাকে আমি ভালোবাসি নোংরামি করার কোনো ইচ্ছা রুচি আমার নাই মুন্নী এই চিনলে তুমি আমাকে!
(রুবেলের চোখ লাল হয়ে আছে রাগে)
আশেপাশের মানুষ রুবেলের চিৎকার শুনে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে! মুন্নী দাঁড়িয়ে থেকে কান্না করে দেয় সত্যিই তো কিভাবে ভাবলো ও এইসব! রুবেল মুন্নীর হাত ছেড়ে দিয়ে বললো।
রুবেল- চলো তোমাকে বাড়িতে ড্রপ করে দিয়ে আসি!
মুন্নী কাঁদছে রুবেল দেখেনি!
রুবেল- কি হলো চলো! (চিৎকার দিলো রুবেল অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিলো)
মুন্নী ধমক শুনে রুবেলের হাত ধরলো।
মুন্নী- তুমি যেখানে বলবে আমি যাবো চলো!
রুবেল- হাত ছাড়ো বলছি আমার সাথে কোথাও যেতে হবে না!
মুন্নী- না আমি ছাড়বো না! (বলে কান্না করেই যাচ্ছে)
রুবেল পিছনে ঘুরলো হাত ছাড়ানোর জন্য তখন তার নজর বন্ধি হলো মুন্নী কাঁদছে অস্ফুটস্বরে বলে উঠল,
রুবেল মুন্নীর চোখের পানি গুলো মুছে দিলো আর বলতে লাগলো,
রুবেল- মুন্নী তুমি কাঁদছো কেনো? কাঁদছো কেনো বেবি আইএম সরি প্লিজ কান্না থামাও তুমি কাঁদলে যে আমার কষ্ট হয় প্লিজ কান্না করো না আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবো না প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও আর কখনো বকবো না তোমাকে প্লিজ! (রুবেল পাগলের মতো করছে)
‘ এক শর্তেই কান্না থামাবো। ’ বলল মুন্নী।
রুবেল- বলো কি করতে হবে আমাকে আমি করবো কান ধরে উঠবো বসবো বলো যা বলবে তাই করবো!
তবুও তুমি কান্না থামাও!
মুন্নীর এখনের কথা শুনে অনেক হাসি পাচ্ছে তবুও হাসি আঁটকিয়ে বললো!
মুন্নী- তুমি যেখানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলে সেখানে নিয়ে যেতে হবে!
রুবেল– মাথা নিচু করে আছে! কিছুক্ষণ পর
আচ্ছা চলো দু’জন হাঁটছে!
মুন্নীর অনেক ইচ্ছে হচ্ছে রুবেল ওর হাতটা ধরুক কিন্তু রুবেল মাথা নিচে করে শুধু হেঁটেই যাচ্ছে!
কিছুক্ষণ পর দুজনে পৌঁছে গেলো!
মুন্নী তো অবাক!
সামনে একটা ঝিল! ঝিলটার আশপাশে কত সুন্দর ফুলের বাগান এবং ওর সামনেই রাখা আছে একটা টেবিল আর দু টো চেয়ার টেবিলের উপর রাখা আছে ফুচকা ৪/৫ প্লেট সাজিয়ে রাখছে কিছু লোক পাশেই ফুচকাওয়ালা আর তারচেয়ে বড় চমক হচ্ছে টেবিলে প্লেটের মাঝখানে রাখা মুন্নীর পছন্দের বেলী ফুল!
মুন্নী অবাক দুই নয়নে দেখে যাচ্ছে কি সুন্দর
মুন্নী– এই সব রুবেল আমার জন্য করেছে আর আমি
রুবেল– তোমার ভালো লেগেছে? তুমি আজ ভার্সিটি শেষে ফুচকা খেতে যেতে তাই আমিই এই প্ল্যানটা করেছি তোমার ভালো লেগেছে?
মুন্নী পেছনে ঘুরেই রুবেল কে জড়িয়ে ধরলো আর ও অনেক খুশি এত খুশি বলে বোঝানো যাবে না!
রুবেল মুন্নীকে খুশি দেখে বললো–
তোমার যে ভালোলেগেছে আমি ধন্য তোমাকে খুশি করতে পেরেছি (এই বলে মুন্নীর কপালের চুল গুলো সরিয়ে ওর কপালে আলতো করে একটা চুমি দিলো)
মুন্নী লজ্জা পেয়ে রুবেলের বুকে মুখ লুকালো! রুবেলও বুঝতে পেরে মুন্নীকে জড়িয়ে ধরলো!
তারপর দু’জনে একসাথে ফুচকা খেলো মুন্নী রুবেলকে আর রুবেল মুন্নীকে খাইয়ে দিল!
রুবেল- চলো তোমাকে এখন বাড়িতে ড্রপ করে দিয়ে আসি!
মুন্নী- এক মিনিট! (বলে টেবিলের উপর রাখা বেলি ফুলগুলো নিজের হাতে নিলো আর ফুলগুলো নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রান শুখতে লাগলো তারপর ফুলের উপর কিস করলো)
রুবেল- বাহহহ কখনো তো আমাকে এভাবে কিস করলে না আর ফুলকে।
মুন্নী– বেলি ফুল যে আমার খুব প্রিয়!
রুবেল- মুন্নীর দুই গালে ধরে বললো ওরে আমার বাবু তোমার পছন্দ বলেই রেখেছি!
তারপর পিছনের হাত সামনে এনে একটা গিফট এর বক্স মুন্নীর হাতে দিলো!
মুন্নী- এটা কি?
রুবেল- সারপ্রাইজ! বাড়িতে গিয়ে খুলবে আর এখন চলো!
চলবে?
(কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ)