ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-৮

0
1985

ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৮ম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: @All Story Link


শিখা:-আব্বু আম্মু আমি তোমাদের কিছু বলতে চাই,
যদি তোমরা কথাটা শোনার পরে আমাকে ভুলনা বোঝতো,

আব্বু:-আমরা কি মনে করবো হুম,
পাগলি মেয়ে একটা বল কি বলতে অনুমতি চাচ্ছিস আমাদের থেকে,

শিখা:-আমি বলতে চাই,,

যখনই শিখা কিছু বলতে যাবে তখনি দরজার পাশ থেকে শিখার বাবা বলে ওঠে,

শিখার বাবা:-কি খবর বন্ধু কেমন আছিস,
আমাদের কথা একে বারেই ভুলে গেছিস তাইনা,

আব্বু:-আমরা ভালো আছি,
তোরা ভালো আছিস তো,আর তোদের কি ভোলা যায় বল,

শিখার আম্মু:- আমরা ও ভালো আছি বিয়াই সাহেব,
ভুলে না গেলে আমাদের বাসাই অবশ্যই আসতেন,

শিখা ওর বাবা মাকে দেখেই দৌড়ে তাদের গিয়ে জড়িয়ে ধরে,আর বলতে থাকে

শিখা:-আম্মু আব্বু তোমরা কেমন আছো,
আর এতোদিন পরে আমার কথা মনে পরলো,

মনটা একটু ছোট করে বলল,

শিখার বাবা:-মামুনি তোকে তো সব সময় মনে করি, কিন্তু আসার সময় হয় না,
জানিসি কতো কাজে বিজি থাকতে হয়,

শিখা:-হুম সেইটা জানি তাই বলে মেয়ে কে দেখতে আসবেনা,এটা কি হয়,

তখনি শিখার বাবার চোখ যায় দাঁড়িয়ে থাকা জুঁই এর দিকে,

শিখার বাবা:- আচ্ছা বন্ধু এই মেয়ে কে তো চিনতে পারলাম না,

আসলে শিখার বাবা রাসেলের বোনকে কখনো দেখেনি শুধু শুনেছে,
আর জুঁই এখোনো দাঁড়িয়ে আছে,

আব্বু:-ও এটা আমার মেয়ে জুঁই আজকে পাকিস্তান থেকে এসেছে,

জুঁই:- আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল আন্টি আপনেরা কেমন আছেন,

শিখার বাবা:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আমরা ভালো আছি,তুমি কেমন আছো মামুনি,

জুঁই :- আলহামদুলিল্লাহ,
আংকেল আমি ও ভালো আছি,

এইভাবে অনেক কথা বলে তারা সবাই খাবার পর্ব শেষ করে,
আর তখনি আব্বু বলে ওঠে,

আব্বু:-আচ্ছা শিখা মামুনি তুই কি যেনো বলতে চাইছিলি,

এই কথা শুনে শিখা একটু চোমকে যায়,
কেননা তার বাবা মা ও এখানে আছে,
এখন কি করবে,
অনেক ভেবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেই সব ঘটনা খুলে বলবে তারপর যা হবার হবে,

শিখা:-আব্বু,
আসলে আমি এমন কিছু বলবো যা তোমাদের সকলের অজানা, আমি অনেক বলতে চেয়েছি কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনা,

আম্মু:-কি এমন কথা যা বলতে এতো ভয় পেয়েছিস,
অনেক টাই অবাক হয়ে,

শিখা:-আগে বলো কথাটা শোনার পরে আমাকে ভুল বুঝবে না,

শিখার আব্বু:-মামুনি আগে তো বল কি কথা,

আম্মু:-হুম মামুনি আগে বল,

শিখা:-তাহলে মন দিয়ে পুরোটা শোনো,

তারপর শিখা শুরু থেকে সব কিছু খুলে বলে,
আপনেরা তো আগেই সবটা জানেন তাই আর নতুন করে বলে গল্পটাকে বড় করলাম না,
সব কিছু শুনে ঐখানে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যায়,
আর শিখার বাবা উঠে গিয়ে ঠাসসস ঠাসসস করে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় শিখার গালে আর বলে,

শিখার বাবা:-এই সব দেখার জন্য তোকে বড় করেছি, সামান্য প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একটা নিরাপরাধ ছেলের জীবন টা নষ্ট করলি,

শিখা:-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি যা করেছি সব টাই ভুল করেছি,

শিখার বাবার পায়ে ধরে বলল,
রাসেলের বাবা মায়ের মুখে কোনো কথা নেই, দুজনেই যেনো পাথর হয়ে গেছে,
চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরতেছে,
রাসেলের বোন তো হাউমাও করে কান্না শুরু করে দিলো,

জুঁই:-ভাবি তুমি আমার ভাইয়ের সাথে এমনটা কেনো করলে,
ভাইয়া তো তোমারই হবু বড় ছিলো,

শিখা:-আমি তো প্রতিশোধের নেশায় এমন জঘণ্য কাজ করেছি,
যখন জানলাম তোমার ভাই আমার হবু বর তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো,
তখন থেকেই আমাকে কষ্টের আগুন পুরে খাচ্ছে,
কেদেঁ কেদেঁ

শিখার আম্মু:-ছি শিখা ছি তোকে আমার মেয়ে বলতেও ঘৃণা লাগছে,
কি করে পারলি একটা নিষ্পাপ ছেলের জীবন নিয়ে এই ভাবে ছিনিমিনি খেলতে,
আমরা তো তোকে এই শিক্ষাই বড় করিনি,

শিখা:-আম্মু আমাকে ক্ষমা দাও,
আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি,

শিখার আম্মু:-আমরা তোকে ক্ষমা করার কে,
তোর শশুর শাশুড়ির কাছে ক্ষমা চা,

তখনি শিখা দৌড়ে গিয়ে রাসেলের আম্মু আব্বু পা জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে,

শিখা:-তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ,
আমি অনেক বড় ভুল করেছি,
জানি সেই ভুলের কোনো ক্ষমা হয় না তবুও ক্ষমা করে দাও,

শিখার কান্নার শব্দে তাদের ধ্যান ভাঙ্গে
আর রাসেলের আম্মু বলে,

আম্মু:-মারে তোকে দোষারোপ করে কি করব বল,
যেইখানে তোর থেকে বড় দোষী আমরা,
নিজের জন্ম দেওয়া ছেলে একি চিনতে পারলাম,
তার কোনো কথায় বিশ্বাস করলাম না,
এই হাত দিয়ে আমার কলিজার টুকরাকে শাস্তি দিয়েছি,

বলেই নিজের হাত কে ওয়ালের সাথে বারি মারতে থাকে,
তখন রাসেলের আব্বু গিয়ে থামিয়ে,

আব্বু:-রাসেলের আম্মু এভাবে ভেঙে পরলে তো আর হবেনা,
আগে রাসেলের খবর নিতে হবে,

শিখার বাবা:-হ্যা আগে রাসেলের খবর নিতে হবে,
কেমন আছে কি ভাবে আছে,

আম্মু:-আজকে রাসেলের এক বছর হলো,
একটিবারের জন্য ও দেখতে যায় নি কেমন বাবা মা আমরা,
সন্তান যতই অন্যায় করুক না কেনো,
তবুতো ও আমাদের সন্তান,
সেইটা কেনো ভাবলাম না,

কেদেঁ কেদেঁ,

জুঁই:-আম্মু চলো ভাইয়া যেই জেলে আছে সেখানে আমরা যায়,

আব্বু:-হুম চলো সবাই,
পরে এসে সব কিছু শোনা বা করা যাবে আগে রাসেল কে নিয়ে আসি,

তারপরে সবাই যেভাবে আছে সেই ভাবে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে,জেলখানার উদ্দেশ্যে,

চলেন এখন আবার রাসেলের কাছে ফিরে যায়,
রাসেল আদনান স্যারের রুমে দাঁড়িয়ে আছে,

আদনান:-রাসেল তুমি এখন কি বাসাই যাবে,

রাসেল:-কি করে যাবো স্যার বলেন,
একটি বছরে একবারের জন্য ও খোঁজ নিতে আসেনি,
আমি কেমন আছি কি অবস্থায় আছি,

আদনান:-তা অবশ্যই ঠিকই বলেছো,
যাদের কাছে তোমার কোনো মুল্য নেই,
তাদের কাছে গিয়ে ও কিবা করবে,
নাও এইখানে একটা সই করে তোমার সব কিছু বুঝিয়ে নাও,

রাসেল:-ঠিক আছে স্যার,

তারপরে রাসেল সই করে সব কিছু বুঝে নিয়ে বেরিয়ে আসতে যাবে তখন,

আদনান:-রাসেল এইখানে কিছু টাকা আছে রেখে দাও কাজে লাগবে,
ভেবোনা আমি দিচ্ছি, এগুলো তোমারি টাকা যা তুমি কাজ করে পেয়েছো,

রাসেল:- ধন্যবাদ স্যার,
ভালো থাকবেন আসি,আর বেঁচে থাকলে দেখা হবে তবে এইখানে না হয়ে বাইরে যেনো হয়,

আদনান:-তুমিও ভালো থেকো আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে,
এই বান্দার তোমার জন্য সব সময় হাজির,

আজকে কোঠার হৃদয়ের মানুষটার চোখেও একটা কয়েদির জন্য পানি,
আর তার বাবা মা বোঝেনি তাকে,
আফসোস এই সমাজ ব্যবস্থা বড়ই নিষ্ঠুর,
মিথ্যা কে সত্য আর সত্য কে মিথ্যা বানাই,
রাসেল জেলের গেট থেকে বেড় হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে,
আবার নিচের দিকে তাকিয়ে ধিরে ধিরে হাটতে শুরু করে,
এইদিকে
একটু পরে রাসেলের পরিবারের সবাই জেল গেটে
এসে নেমে সোজা ভিতরে যায়,
সব পুলিশ সালাম দিচ্ছে আর পিছে পিছে আসতেছে,

আম্মু:-জেলার সাহেব আমার ছেলে কোথায়,

জেলার সাহেব একটা কাগজে কি যেনো লিখছিলো, কথা শুনে সামনে তাকি দেখতে পাই জজ ম্যাডাম,
তখন একটু রাগ নিয়েই বলে,

আদনান:-কে আপনার ছেলে,

আম্মু:-কয়েদি নাম্বার ৪২০ রাসেল আমার ছেলে,
বলেন কোথায় আছে,

আব্বু:-হ্যা তারাতাড়ি বলেন রাসেন কত নাম্বার জেলে আছে,

আদনান:-সে এখানে নেই,
আর কেনো খুজতে এসেছেন,দেখতে এসেছেন নাকি ও বেঁচে আছে কিনা মরে গেছে,

আম্মু:-দেখেন আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি,
সত্যতা জানতেও পারিনি আর জানার চেষ্টা ও করিনি,
প্লিজ বলেন কোথায় আছে,

আদনান:-একটা মেয়ে এমনটা কি করে করতে পারে,
আর আপনে একজন বিচারক হয়েও এমন কাজ কি করে করলেন ভাবতেই পারিনা,

আব্বু:-আমরা ভুল বুঝতে পেরেছি,
দয়াকরে বলেন না প্লিজ,
কোথায় আছে আমার ছেলে,

শিখা:-স্যার বলেন না আমার স্বামী কোথায় আছে,

স্বামী কথা শুনেই আদনান সাহেবের রাগ উঠে যায়,

আদনান:-ওহহহহ
তুমিই তাহলে সেই মেয়ে যার জন্য আজ রাসেল নিরপরাধ হয়ে ও শাস্তি ভোগ করছে,
কি করে পারলে এমনটা করতে,
তারতো কোনো দোষ ছিলনা,
আর স্বামী বলছ কোন অধিকারে, তুমি তো মেয়ে জাতের কলঙ্ক,

শিখা:-স্যার আমি অনেক অনুতপ্ত,
আমি অনেক বড় ভুল করেছি যার কোনো ক্ষমা নেই, প্লিজ বলেন না কোথায়,

আদনান:-দেখুন সত্যি এখানে রাসেল নেই,

আম্মু:-এখানে নেই মানে,
ও তো এই জেলেই থাকার কথা দুইবছরের জন্য,

আদনান:-হুম ছিলো,
কিন্তু সরকার ওর আচারণে মুগ্ধ হয়ে একবছর আগেই ওর শাস্তি মাফ করে দিছে,
একটু আগেই চলে গেছে,

আব্বু:-কিহহহ কোথায় গেছে আমার ছেলে তাহলে,

আদনান:-কোথায় গেছে সেইটা তো জানিনা তবে,

আম্মু:-তবে কি জেলার সাহেব,
অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে,

আদনান:-মনে হয় বাসাই যাবে,
আপনেরা তারাতাড়ি চলে যান,

তারপরে সবাই তারাতাড়ি করে জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়,

এইদিকে,
রাসেল বাড়ির সামনে এসে নামে,
আজকে তাকে দেখে কেউ চিনতেই পারবেনা,
দাড়ি গুলো বড় হয়ে গেছে চুলগুলো ও অনেক বড় এক কথায় পাগল মনে হচ্ছে,
ধিরে ধিরে গেটের দিকে যায়,
যখনি গেট দিয়ে ডুকতে যাবে তখনই গেটের দারোয়ান শফি আটকেদেয় তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বলে,

শফি:-এই কে আপনে আর এই ভাবে এইবাসাই ডুকতেছেন কেনো,

রাসেল:-চাচা আমি রাসেল,
তোমার ছোট সাহেব,

রাসেলের কণ্ঠ শুনে চিনতে আর দেরি হলোনা,

শফি:-কি বাবা তুমি,
অনেক দিন পরে তোমাকে দেখতে পারলাম,
কেমন আছো,

রাসেল:-কেমন থাকতে পারি সেইটা তো তুমি জানোই,
আচ্ছা বাবা মা কি আমার কথা বলে,
আর তারা সবাই কি বাড়িতে আছে,

শফি:-না তারা সবাই তারাহুরা করে কোথায় জেনো গেলো,আমাকে কিছুই বলেনি,
আর
কি বলবো বাবা,
তোমার কথা এই বাসার কেউ বলেনা,
মাঝে মাঝে শিখা মামুনি তোমার কথা বললেই তোমার বাবা মা সেখান থেকে চলে যায়,

কথাটা শুনে রাসেলের অনেক টাই কষ্ট হয়,

রাসেল:-এতগুলি দিন পরেও তারা আমার কথা ভাবলো না,
আমাকে দোষী মনে করেই গেলো,মনে মনে,
আচ্ছা চাচা ঐ মেয়ে এই বাড়িতে কেনো আছে,

শফি:-তা তো জানিনা তবে শিখা ম্যাডাম খুব ভালো আপনার বাবা মাকে অনেক ভালোবাসে,
আর বাড়ির সকল কেই,

রাসেল:-ওহ,
আমাকে তাদের কাছে দোষী বানিয়ে নিজে ভালো সাজছে,
আমি কখনোই ক্ষমা করবোনা মিস শিখা চৌধুরী,
আমাকে যেই কষ্ট দিয়েছিস তার থেকে হাজার গুণ কষ্ট তোকে ফেরত দিবো রেডি থাক,
মনে মনে,

তখন রাসেল কিছু বলছেনা বলে শফি বলে ওঠে,
শফি:-কি কথা বলছো না কেনো,

রাসেল:-হুম বলেন,
আচ্ছা আমাকে তাহলে এই বাড়ির কেউ দেখতে পারেনা তাইনা,
চোখে জল এনে,

শফি:-সেইটা সঠিক জানিনা,
তুমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হও

রাসেল:-না চাচা আমি একটা ধর্ষক,
আমার জায়গা এই বাড়িতে নেই,
ভালো থেকো আর চাচা এই খামটা আম্মুর হাতে দিও,(একটা চিঠি লিখেছিলো আসার সময়)
কেদেঁ কেদেঁ,

শফি:-কোথায় যাও বাবা,

রাসেল:-জানিনা চাচা,
আল্লাহর এই পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও আমার জায়গা ঠিকই হবে,

বলেই রাসেল চোখ মুছতে মুছতে সেখান থেকে চলে যায়, তার আর থাকার ইচ্ছা হচ্ছে না,

রাসেল:-আল্লাহ সব কষ্ট টুকু কি আমার জন্যই লিখে রেখেছো,
কোনো দোষ না করেও আজ আমি সবার কাছে দোষী,
মাঝে মাঝে মনে হয় এই পৃথিবীর সকল মায়া ছেড়ে আল্লাহ তোমার কাছে চলে আসি,

এইসব কথা ভাবতেছে আর ধিরে ধিরে হেটে চলেছে স্টেশনের দিকে,
থাকবেনা আর এই শহরে,

এইদিকে
রাসেলের পরিবারের সবাই বাড়িতে আসে,
সবার মুখটা মলিন,
বাসাই ও রাসেল কে দেখতে পেলোনা,

জুঁই:-আব্বু তার মানে ভাইয়া কে আমি কোনদিন পাবোনা,
কেদেঁ কেদেঁ,

আব্বু:-মামুনি অবশ্যই তোমার ভাই তোমার কাছে ফিরে আসবে,দেইখো,

তখনি পিছন থেকে শফি হাপাতে হাপাতে বলে,

শফি:-স্যার ছোট সাহেব এসেছিল একটু আগে,

আম্মু:-কি রাসেল কোথায়,
খুশি হয়ে,

আব্বু:-হ্যা বলো রাসেল কোথায়,

শফি:-এসেছিলো কথা বলে আবার কোথায় যেনো চলে গেলো,
আপনাদের কথা জিগ্গেস করলো,

আম্মু:-কি বলছে,

শফি:-কিছু বলেনি,
শুধু বলেছিলো আপনেরা বাসাই আছেন নাকি,
কিন্তু আপনেরা তো নেই,
আর ম্যাডাম আপনের জন্য এই খামটা দিয়ে গেছে,

তারপর রাসেলের আম্মু তারাতাড়ি করে খামটা হাতে নিয়ে কাপা কাপা হাতে খুলে,
পড়তে নিয়েই চেয়ারে বসে পরে,
তখন রাসেলের আব্বু ধরে ফেলে,

আব্বু:-এই তোমার কি হলো,
জুঁই পানি দাও,

জুঁই:-দিচ্ছি আব্বু

জুঁই গ্লাসে পানি নিয়ে ওর আম্মু কেখায়ে দিয়ে,
চিঠিটা হাতে নিয়ে,
পড়ে, কান্না করে ওর বাবার হাতে দেয়,

আব্বু:-কি আছে দেখি,

তারপর চিঠিটা পড়তে শুরু করে,

চলেন আমরাও একটু শুনে আসি,

রাসেল:-প্রথমেই সালাম নিও,
আম্মু আব্বু,
সরি আম্মু আব্বু ডাকার অধিকার টুকু এখন আর নেই তবুও ডেকে ফেলেছি,
আমার কলিজার বোনটা আমাকে খুব বকা দিচ্ছে তাইনা,
আমি ও খুব মিস করি,
তোমাদের দেখতে খুব ইচ্ছে করছিলো,
কিন্তু আফসোস আমার ভাগ্যে আল্লাহ সেটা রাখেনি,
যানো আম্মু যেইদিন তুমি বলেছিলে আমি তোমাদের সন্তান না সেইদিন আমি বেঁচে থেকেও মরে গেছি,
খুব কষ্ট হয় আমার আজ কোনো অপরাধ না করেও অপরাধী,
আমার কোনো অভিযোগ নেই কারো প্রতি,
যায় হোক
বেশি কিছু বলে তোমাদের সময় নষ্ট করতে চাইনা,
আমার বোনটাকে দেখে রেখো,
আর যদি কখনো জানতে পারো রাসেল নামের ধর্ষকটার মৃত্যু হয়েছে সেইদিন,
এই অভাগার কবরে তিন মুট মাটি দিতে বলিও আব্বুকে,
ভালো থেকো তোমরা আর পারলে ক্ষমা করে দিয়ো
ইতি
একজন ধর্ষক,

চিঠিটা পরেই রাসেলের আব্বুর চোখ থেকে পানি পরতে থাকে, আজকে যেনো এই বাড়িতে সোকের ছায়া নেমে এসেছে,
কারো মুখেই হাসি নেই আছে শুধু কান্না,

শিখার আম্মু:-এইভাবে ভেঙে পরলে চলবেনা,
নিজেদের শক্ত করেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,

আব্বু:-কি করে ঠিক হবে,
বলো, রাসেল কোথায় আছে কেমন আছে,
কি করছে কে যানে,

এইদিকে রাসেল বাস স্টেশনে এসে একটা চট্টগ্রামের টিকে কেটে বাসে উঠে বসে পড়ে,
একটা চাদর মুরিয়ে আছে।
দেখেই মনে হচ্ছে একটা পাগল,
দুইচোখে পানি,
নিদিষ্ট সময়ে বাস তার গন্তব্যের দিকে চলতে শুরু করে,
পিছে পরে যাচ্ছে এই সহরের সব কিছু,
থেকে যাচ্ছে শুধু মায়া গুলো,
বাস চলতে চলতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এসে থামে কিছু সময়ের জন্য,

হেলপার:-সবাই নেমে যার যার ব্যক্তিগত কাজ থাকলে শেরে নেন,বাস এইখানে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করবে,

তারপর যে যার মতো নেমে গেলো,
বাসে শুধু আনমোনা হয়ে বসে আছে রাসেল,
তার কোনো ভাবনাই নেই,
শুধু অঝোরে চোখের পানি পরতেছে,
চাদর মুরিয়ে আছে তাই কেউ বুঝতে ও পাছে না,
দেখতে দেখতে আধা ঘন্টা শেষ হলে বাস আবার তার নির্দিষ্ট গতে চলতে শুরু করে,
রাসেল ঘুমিয়ে পরেছে শেষ রাতের আগ মুহূর্তে,
সকালে বাস এসে থামে চট্টগ্রামের একটা স্টেশনে,
সবাই নেমে যায়,
কিন্তু রাসেল ঘুমিয়ে আছে,

হেলপার:-মামা এই মামা আমরা চট্টগ্রাম এসে গেছি, নামেন সবাই নেমে গেছে,

তখন ডাক শুনে রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়,

রাসেল:-মামাা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে ডেকে দেওয়ার জন্য,

হেলপার:- ধন্যবাদ দিতে হবেনা,
এটা আমার নৈতিক দিনের দায়িত্ব,

রাসেল:-আচ্ছা মামা তাহলে ভালো থাকেন আসি,

বলেই রাসেল গাড়ি থেকে নেমে পরে,
কোথায় যাবে কি করবে কিছুই জানে না সে,
আনমনে হেঁটেই চলেছে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে,
হাটতে হাটতে সামনে একটা,,,,,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝
🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here