ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-১০

0
1912

ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১০ম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: All Story Link


লোকটি:-আসলে হয়েছেকি ভাই,
না থাক ভাই আপনে এইসব বুঝবেননা,
শুধু আপনাক বলে আমার সময় নষ্ট হবে,

রাসেল:-আরে ভাই আপনে একটু আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে বলেন আমি ঠিকই বুঝতে পারবো,দেইখেন,

লোকটি:-আচ্ছা এতো করে যখন বলছেন তখন না আমার মনটা নরম হয়ে গেলো,
বলেই ফেলি,
তাহলে শোনেন আমার কথা মন দিয়ে,
আমরা এই বাড়িতে কারেন্টর কাজ করেছিলাম,
কিন্তু একটা কাজে এসে আটকে গেছি কিছুতেই কাজ টা করতে পারছিনা বলতে ফল্ট টা ধরতেই পারছিনা কোথায় হয়েছে,

রাসেল:-এটা কোনো বেপার হলো নাকি,
লাইনে ফল্ট হয়েছে সেটা চেক দিলেই তো বের হয়ে যায়,

রাসেলের কথা শুনে লোকটি হো হো করে হেসে ওঠে,

লোকটি:-হাহাহা আমরা এইটা জানি কিন্তু কোথায় হয়েছে সেইটা জানতে পারলে তো কাজ হয়েই যায়,

রাসেল:-আচ্ছা আমি কি একটু দেখতে পারি সমস্যা টা,
যদি আপনাদের সমস্যা টা ঠিক করতেই পারি তাহলে তো ভালোই হবে তাইনা,

লোকটি:-জীবনে কারেন্টের কাজ করেছেন নাকি,
যেই দেখতে চাইছেন,
একটা কিছু হলে আবার হাসপাতালে নিয়ে দৌড় পারতে হবে,
যান এখান থেকে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে পাগল একটা,

আসলেই রাসেল কে দেখে পাগল মনে হয় তার কারণ জেল থেকে বেরিয়ে এখনো চুল দাড়ি কাঁটাইনি,

রাসেল:-ভাই আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা আমি ঠিকই পারবো,

তখন লোকটি অনেক রেগে যায়,
আর বলে

লোকটি:-ধ্যাত যান তো এখান থেকে এমনিতেই খাট্টাস বুইড়ার জালায় টিকতে পারছিনা আবার আইছে এই পাগলটা জ্বালাতে,

ঐলোকটার চিল্লাচিল্লির শব্দে ভিতর থেকে মিস্টার নিল ভের হয়ে আসে,
নিল হচ্ছে ঐ লোকটির বস,

নীল:-এই রাতুল এমন করে চিল্লাস কেনো,
ঘরে কি বউ মরে গেছে নাকি,
এমনিতেই এক জ্বালাই আছি,

ওর তার মানে লোকটির নাম রাতুল,

রাতুল:-স্যার আসলে হয়েছে কি,
তারপর উপরের সব কথা খুলে বলে,

নীল:-কি বলিস এই করবে কারেন্টের কাজ,
তাও আবার আমরা এতো দক্ষ হয়েও পারছিনা,
তিনদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি,
আর সেই কাজ করবে,
এটা একটু বেশি হয়ে গেলোনা,

রাতুল:-স্যার আমি সেটা বোঝাইতে এতো সময় চিল্লাসছিলাম,

রাসেল:-দেখেন আমি এই কাজ পারবো,
আপনেরা তো পারতেছেন না আমাকে একটু সুযোগ দিয়ে দেখেন,
তারপর না হয় এই সব বলিয়েন,

তারপর নীল কি যেনো ভেবে রাসেল কে কাজ টা করার অনুমতি দেই,

নীল:- আচ্ছা তুই যখন এতো করে বলতেছিস তখন একটা সুযোগ তোকে দিলাম,
যাহ,

রাসেল:- ধন্যবাদ,
আচ্ছা চলেন আমাকে ডিবি বোর্ড দেখান,

তারপর রাসেল কে ডিবি বোর্ডের কাছে নিয়ে যায়,
আর কি সমস্যা সেটা খুলে বলে,
যেই সমস্যা রাসেলের ধরতে এক মিনিট ও লাগবেনা, আর এরা তিনদিন ধরে এটা ঠিক করতে পারছেনা,
রাসেল হাসতাছে,

রাসেল:-হাহাহা,

নীল:-এই তুই পাগল হয়ে গেলি নাকি হাসোস কেন,

রাসেল:-এই সামান্য সমস্যা টা ধরতে পারেন নাই এটা ভেবেই হাসি পাচ্ছে,

রাতুল:-দেখছেন স্যার আমরা তিনদিন ধরে এই কাজ করতে পারিনি আর এই শালা বলে নাকি সামান্য সমস্যা,

রাসেল:-এটা সামান্য সমস্যা নাতো কি বলেন,

নীল:-তোর কাছে সামান্য সমস্যা মনে হলে ঠিক কর দেখি কেমন করতে পারিস,

রাসেল তখন সমস্যা টা ঠিক করে দেয়,
সকলেই অবাক এই পাগল কি করে পারলো এটা,

নীল:-আচ্ছা তুই এটা কি করে ধরতে পারলি,
তোকে দেখে তো পাগলি মনে হচ্ছে,

রাসেল:-তেমন কিছু না ঐ বাসাই কোনো কিছু নষ্ট হলে ঠিক করতাম তাই একটু জানা ছিলো,
সেই ধারণা দিয়েই করলাম,

নীল:-তুই কি আমাদের পাগল ভেবেছিস নাকি হুম,
এই কাজ কোনো ইন্জিনিয়ার বা ইলেকট্রিশিয়ান না হলে এটা বোঝা অসম্ভব,

রাসেল:-দেখেন ভাই কিছু কিছু সময় আমাদের জানা জিনিস টা ও ভুল হয়,
একটা কাজ পাঁচ মিনিটেই করতে পারবো কিন্তু না বুঝে পাঁচ ঘন্টাতেও শেষ করতে পারিনা,
এটাও তেমনি একটা বিষয়,

নীল:-তুই যত যায় বলিস না কেনো,
আমি বিশ্বাস করবোনা,
যে কেউ এই বিষয়ে দক্ষ না হলে এই কাজ করতে পারবে, এখন বল তুই কি,

রাসেল ভেবে দেখে না এখন না বলে উপায় নেই এরা ছাড়ার পাত্র না,

রাসেল:-আমি ইলেকট্রিক্যাল এ ডিপলোমা ইন্জিনিয়ার,
বিএসসি তে ভর্তি হয়েছিলাভ প্রথম বর্ষে ভাগ্য খারাপ তাই পড়া হয়নি,

ঐখানে থাকা সবার উদ্দেশ্যে বলে,
নীল:-দেখেছিস তোরা আমার আন্দাজ ভুল না,
আচ্ছা তুই কি আমাদের সাথে কাজ করবি,

রাসেল তো অনেক খুসি কাজ করতে বলার কারণে, কারণ রাসেল একটা কাজ তো খুজতেছিলো,

রাসেল:-আমি আপনাদের সাথে কাজ করবো,

নীল:-ঠিক আছে আজ থেকে তুই আমার বন্ধু,
আমাকে তুই করে বলবি,
আর সবচেয়ে বড় কথা তুই এইখানে আমার সম্মান রক্ষা করেছিস,

তারপর ঐখানে সকল হিসাব করে টাকা নিয়ে সবাই বেরিয়ে আসে,
হটাৎ লক্ষ্য করে নীল,
রাসেল কেমন দুর্বল,হাতটে পারতেছে না,

নীল:-রাসেল তুই কি কোনো বিষয়ে চিন্তা করতেছিস,
তোকে অনেক টাই দুর্বল লাগতেছে,

রাসেল:-আসলে বন্ধু আমি দুইদিন হলো পানি ছাড়া কিছুই খাইনা,
কাছে টাকা পয়সা নেই,মনটা খারাপ করে

রাসেলের কথা শুনে নীল সহ সবাই অনেক টাই অবাক হয় কেননা আজকে দিনে ও কেউ না খেয়ে থাকে,

নীল:-কি বলিস এইসব তুই না খেয়ে আছিস আগে বলবি না,

রাসেল:-বলার সাহস হয় নি,
আচ্ছা আমাকে কিছু খেতে দেনা,
নাহলে দেখবি আমার প্রাণ পাখিটা আমার দেহ নামক খাচা থেকে বেরিয়ে যাবে,

তারপর নীল রাসেল সহস সবাই কে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাবার খাওয়াই,
এখন রাসেলের অনেক ভালো লাগতেছে,
অন্তত পেটকে শান্তি তো দিতে পেরেছে,

নীল:-রাসেল তোর তো থাকার জায়গা নেই চল আমাদের সাথে থাকবি,
আমার বাড়িতে কেউ থাকেনা ছোট একটা বোন ও ঢাকাতে থাকে,

রাসেল:- আচ্ছা চল,

তারপর রাসেল নীলের সাথে নীলের বাড়িতে চলে আসে,

রাসেল:-এতো বড় বাড়ি তাও তুই একা থাকিস,

নীল:-হুম বন্ধু আমার ছোট বোনটা একবছর দুইবছর পর পর এসে আমাকে দেখে যায়,

রাসেল:-ও আচ্ছা,

তারপর নীল রাসেল কে বাসার সব কিছু বুঝিয়ে দেই,আর,

নীল:-রাসেল তুই যা ফ্রেস হয়ে নে তুই অনেক ক্লান্ত,তোর ঘুমানো দরকার,

রাসেল:-হুম আমি যাচ্ছি আর তুইও ফ্রেস হয়ে নে,

তারপর দুইজনে ফ্রেস হয়ে এসে শুয়ে পরে,
রাসেল শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে,
কতো আনন্দ ময় দিন ছিলো তার জিবনে,
আর একটা কাল বৈশাখী ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেলো,
কতোই না দুষ্টুমি রাগ অভিমান করতো তার আদরের বোন জুঁই এর সাথে,
আর আজ কতো দিন হলো আদরের বোনটার মুখটা দেখতে পারেনা,
নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে,
আর অতিতের সাগরে ডুব দেয়,

একদিন জুঁই বসে বসে খাতায় ছবি আঁকতে ছিলো,
আর তখন রাসেল এসে সেইটা নষ্ট করে দেই,

জুঁই:-ভাইয়া তুই আমার এটা নষ্ট করলি কেনো,
অনেকটা রেগে,

রাসেল:-যাহ পেত্নি আমি নষ্ট করেছি নাকি,
নষ্ট তো তোর হাত দিয়েই হলো,
আমার দোষ কি,
হাসতে হাসতে,

জুঁই:-যা তোর সাথে কোনো কথা নেই যা এখান থেকে,
বলেই জুঁই মুখ ফুলিয়ে চোখের পানি ফেলতে থাকে,

আসলে জুঁই অনেক শখ করে ওর ভাইয়ের ছবি একেছিলো কিন্তু সেইটা নষ্ট করার জন্য অনেক কষ্ট পাই,
আর কান্না করে যেইটা রাসেল সহ্য করতে পারেনা,

রাসেল:-এই ছুটকি তুই কান্না করতেছিস কেনো আমি সরি,
এই দেখ আমি কানে ধরছি,

কিন্তু জুঁই কোনো কথা বলছেনা,

রাসেল:-এই কথা বল,
এই দেখ আমি কান ধরে বিলাইয়ের মতো করছি,

তখন জুঁই ভাবে তার ভাই অনেক কষ্ট পাচ্ছে,

জুঁই:-আমার এই ভাবে রাগ কমবে না,
অন্য কিছু করলে রাগ আর কান্না কমতে পারে,
হুম

রাসেল:-কি করলে তোর রাগ কমবে শুনি,

জুঁই:-বেশি কিছুনা,
শুধু আইসক্রিম ফুসকা আনলেই হবে,

রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,
আমি এনবোনি এইবার তো রাগ কমা,

তখনি নীল শুনতে পাই রাসেল একা একাই কথা বলছে,

নীল:-এই রাসেল তুই একা একা কথা বলি কেনো কি হয়েছে তোর,

রাসেল:-কে কে,
ও নীল ডাকছিস কেন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম,

নীল:-আরে তুই একা একাই কথা বলছিলি,
চুপ করে ঘুমা,

তারপর রাসেল একটু পানি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পরে,
সকালে দুই বন্ধু একসাথে মসজিদ থেকে নামাজ পরে বাসাই আসে,

নীল:-আচ্ছা তুই রেস্ট নে আমি নাস্তা বানাই আবার সাইটে যেতে হবে,

রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,
কিন্তু আমি ও তোর সাথে রান্না করবো,
তুই একা কেনো কষ্ট করবি হুম,

নীল:-আচ্ছা চল,

তারপর দুইজনই একসাথে রান্না করে খেয়ে নেই,
দেন কাজ করার জন্য সাইটে চলে যায়,
নীল আর রাসেল কাজ করতে থাকে,
নীল অবাক রাসেলের কাজ করার ধরণ দেখে,
এতো সুন্দর ভাবে কাজ করে আর সবাইকে বুঝিয়ে দেয়,
সবাই একটুতেই বুঝে যায় আর আগের থেকে বেশি কাজ করে,

রাসেল:-শোনেন আমাদের সবার রেজেক কিন্তু এই কাজ দিয়েই জোটে,
তাই আমাদের উচিৎ সত ও নিষ্ঠার সাথে বেশি কাজ করে এই কোম্পানি কে বড় করা,

নীল:-রাসেল ঠিক বলেছে,
এইভাবে আমরা কিন্তু কখনো ভেবে দেখিনি,

এইভাবে চলে যায় দুইমাস,
এখন রাসেল আর নীল পাটনারশিপে কোম্পানি খুলেছে,
এবং এই কোম্পানির মান অনেক ভালো সবাই কাজ দেয়,

নীল:-রাসেল আমি একটা কথা বলতে চাই,

রাসেল:-কিরে তুই একটা কথা বলবি আর সেইটার জন্য আমার থেকে অনুমতি চেয়ে ছোট করে দিচ্ছিস,

নীল:-আরে ঠিক সেইটা না,

রাসেল:-আচ্ছা আগে তো বল,

নীল:-আমি চাই তুই আবার বিএসসি তে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা শেষ কর,

রাসেল:-নারে ভালো লাগেনা,
অনেক পিছনে পরে আছি,

নীল:-তাই কি তুই আবার শুরু করবি,
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর,

রাসেল:-তুই যখন বলছিস তখন আমি ভর্তি হবো কিন্তু তার জন্য আমার কাগজ পত্র আনতে হবে,

নীল:-তুই কাগজ পত্র গুছিয়ে রেডি কর,
আমার পরিচিত একটা স্যার আছে,
তার সাথে আমি কথা বলে সব রেডি করি,

রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,

তারপর রাসেল ভাবতে থাকে নীলের কাছে তো ঠিকই বললো কাগজ পত্র আনবে কিন্তু কি করে আনবে কলেজে তো যেতে পারবেনা,
স্যার দিবেও না,
আর সেখানে রাসেলের যাওয়ার ইচ্ছে ও নেই,
তখনই রাসেলের একজনের কথা মনে পরে,
যার মাধ্যমে কলেজ থেকে কাগজ আনতে পারবে,
তাই রাসেল মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই,
তার সাথে যোগাযোগ করবে,আর সেই মানুষ টা আর কেউ না সে হলো,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here