আমার প্রিয় তুমি পর্ব-৭

0
1831

#আমার_প্রিয়_তুমি
#মেহজাবিন_তানিয়া
পর্ব-৭

১৩.

স্টেজে এখন অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা চলছে। আর শিলা তাহরিমার বাবাকে ডাকার চেস্টা করতেছে কিন্তু তা হয়ে উঠেছে না। সে স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে উশখুশ করছে।

তানভি অনেকক্ষন ধরেই তার সাদা পরিকে দেখছে না দেখে বারবার এদিক সেদিক দেখতে থাকে হঠাৎ দেখে স্টেজের শিরির কাছে তার বান্ধবী দারিয়ে উশখুশ করছে আর কিছু বলার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু ওর আসেপাশে ওর পরি নাই । তাই তানভি দেরি না করে তার সাদা পরির নাম-ঠিকানা জানার জন্য শিলা কাছে চলে আসে।

শিলা প্রথম ঘাবড়ে যায় তানভির হঠাৎ এমন কাছে আসায় কিন্তু পরে আবার ভাবে ওনাকে দিয়েই তাহুর বাবাকে ডেকে আনার কথা । তানভি কাছে আসলে পরে এক সেকেন্ডও দেরি করে না বলতে শুরু করে ‘ভাইয়া একটু তাহরিমার বাবাকে একটু ডেকে দিবেন তাহু অনেক বিপদে পরছে।’
তানভি প্রথমে বুঝতে না পেরে শিলার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
এমন তাকিয়ে থাকা দেখে শিলা নিজের ভুল বুঝতে পারে আর বলে ওওহ সরি ভাইয়া আসলে আপনার ডান সাইডে যে লোকটা বসা ছিলো তার কথা বলছি ওনি আমার বান্ধবীর বাবা আর ও অনেক বিপদে পরেছে কোন ছেলে মানুষ ছাড়া ওখানে নিরাপদ না তাই বলছি প্লিজ ভাইয়া আমার এই হেল্পটা করেন প্লিজ।

তানভি বান্ধবীর কথা শুনে আঁতকে উঠলো । কে বিপদে পরেছে ? ওর সাদা পরি না তো ?
তুমি যদি কিছু মনে না করো আমি কি তোমাকে সাহায্য করতে পারি ?আমাকে বিশ্বাস করতে পারো।

শিলা চিন্তা করলো এখন আঙ্কেলকে ডাকতে গেলে দেরি হয়ে যেতে পারে । তাই তানভিকে বললো অবশ্যই ভাইয়া চলেন। যেতে যেতে শিলা তাহু সাথে কি হয়েছে সব বলে দিলো ।আর তানভি ভাবছে মেয়েটা যেন তার সাদা পরি না হয়।
কিন্তু বলে না মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক । তানভি গিয়ে দেখে মেহুকে রাকিবের চেলারা হাত বেঁধে রেখেছে কিন্তু মুখে বলছে এ সয়তান ছার ওরে আর একটা ছেলে তার সাদা পরির বাহুতে হাত দিয়ে তার দিকে ঝুঁকে আছে।
দেখেই তানভির মাথায় রক্ত উঠে যায়। তানভি গিয়েই খুব রেগে বললো এখানে কি হচ্ছে ?
শিলা আর তানভিকে দেখে তাহরিমা এবার জোড়ে কেদে উঠল।
তাহরিমার কান্না দেখে তানভির সাথে সাথে চোখ বুজে ফেললো । আর পেন্টের পকেট থেকে ফোন বের করে ওর ফ্রেন্ডদের আসতে বললো ।

রাকিব বলে উঠলো এই যে কি চাই আমাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপারে কথা বলার আপনি কে?

ভাই ওনি আপনার কি হয় যে ব্যাক্তিগত বলছেন। আমার জানা মতে ওনার এখনো বিয়ে হয় নাই তানভি বলে উঠলো।
এই ফাঁকে তানভি তহুকে ইশারায় ওদের কাছে চলে আসতে বললো।
তখনই তানভির ফ্রেন্ডরাও চলে আসলো। চোখের ইশারায় রাকিব আর ওর চেলাদের আটকে রাখতে বলে তাহুকে ,শিলা আর মেহুকে অন্য রুমে চলে গেলো।

তানভি তাহুকে নিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে পানি দিলো। কান্না করতে করতে চেহারার আবস্থা খারাপ করে ফেলছে।
খুব বেশি খারাপ লাগছে বলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
একটুখানি উস্ন ছোঁয়া পেয়ে তাহু আবার হু হু করে কেঁদে উঠে।
তানভি কান্না দেখে অস্তির হয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে ছোট বাচ্চাদের মত। আর চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।
‘হুঁশ কিছু হয়নি দেখ কান্না করে না তুমি তো অনেক সাহসী মেয়ে’ তাই না।
আস্তে আস্তে মেহুর কান্না ঠিক হয়ে আসলে তানভি নিজে গিয়ে ওদের শিলাদের বাসায় পৌঁছায় দিয়ে আসে যাতে তাহুর বাসায় গিয়ে কোনো প্রশ্নের মুখে না পরতে হয় এবং আজকের ঘটনা কাওকে বলতেও না করে।

১৪.

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পরে আছে রাকিব আর ওর সামনে বসে আছে তানভি।

আমাকে এখানে বেঁধে রাখছেন কেন?আপনাদের সমস্যাটা কি ?

তোর সমস্যা একটাই তুই আমার কলিজায় হাত দিয়েছিস।দেখ আমি চাইলে তোর হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দিতে পারতাম কিংবা গোম করে ফেলতে পারতাম আমাকে কেউ ধরতেও পারত না কিন্তু আমি এইসব কিছু করি নাই । তাই ঠান্ডা মাথায় বলছি তাহরিমার থেকে দূরে থাকবি।এর পর যদি ওর আসেপাশে দেখি তাহলে আর দ্বিতীয় সুযোগ দিবো না । মনে থাকে যেন
বলে ওর হাত-পার বাঁধন খুলে দিলো।

রাকিব আর কিছু বললো না কারণ ও জানে এখন যদি কিছু বলে তাহলে ওকে এদের হাতে মাইর খেতে হবে।তাই চুপচাপ রইলো । কিন্তু মনে মনে বললো এর শোধ ও নিবেই শুধু এখন সুযোগের অপেক্ষা।

তানভি শিলার কাছে থেকে ওদের তিনজনের ফোন নাম্বার রেখে দিয়েছিল । তাই তাহুর খবর নেয়ার জন্য শিলার কাছে ফোন দিলো।
শিলা তাহুকে বাধ্য হয়ে ঘুমের ঔষধ দিয়েছে তাই এখন চুপচাপ ঘুমাচ্ছে। না হলে ঐ কথা মনে করে কিছুক্ষণ পর পর কান্না করতেছিলো।

তানভি ফোন দিয়েই তাহুর কথা জিজ্ঞেস করল।ঘুম আসছে শুনে বললো ঘুম থেকে উঠলে যেন ওর সাথে নরমাল ব্যবহার করে আর কিছু খাইয়ে দেয় এবং সম্পূর্ণ নরমাল হলে যেন তাকে ফোন দেয় কারণ তানভি নিজে গিয়ে বাসায় দিয়ে আসবে কোনো ভাবেই যেনো একা না ছারে।

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here