সাপলুডুর সমাপ্তিতে- পর্ব-১১

0
1214

#সাপলুডুর_সমাপ্তিতে
তন্বী ইসলাম

১১

অতি পরিচিত মুখটা আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। তার চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে। আমি তার দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। এক পা, দু পা করে এগিয়ে গেলাম তার দিকে….

কাছাকাছি যেতেই তিনি আমার থেকে দুপা পিছিয়ে গেলেন। আমি নিজ যায়গায় থেমে গেলাম। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। তিনি আমার কাছ থেকে পালানোর জন্য উল্টোদিকে ফিরে হাঁটা শুরু করলেন। আমি এবার সামান্য দৌড়ে তার কাছে গেলাম। উনার পিঠে ছুইয়ে দিতেই তিনি থেমে গেলেন। আমি শক্ত গলায় বললাম
“আমার থেকে না পালিয়ে ফিরে তাকান।
উনি এবার শাড়ির আচলে মুখ গুজে আমার দিকে ফিরলেন। চোখে পানির স্রোত।
আমি কিছুটা সময় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে৷ হয়তো আমার দিকে তাকানোর মতো সাহস সে পাচ্ছেনা।

আমি এবারে বললাম
“কি হলো, তাকান আমার দিকে।
সে আমার দিকে ফিরে তাকালো। তবে চোখেমুখে প্রচন্ড লজ্জা আর অস্বস্তি রয়েছে।
আমি অবাক হয়ে বললাম
“আপনাদের বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দিয়েছেন মাত্র সাড়ে তিন মাস হলো, এর মধ্যেই আপনার এই হাল কি করে হলো? এবার তো আমি নেই, আমি নাহয় অপয়া, অলক্ষ্মী.. সেখানে আমি না থাকলে আপনার আরো ভালো থাকা উচিত ছিলো, কিন্তু এ কি?
আমার করা প্রশ্নে তিনি আবারও মাথা নিচু করলেন। এক সময় হু হু করে কেঁদে উঠলেন। আমি তাকিয়েই রইলাম সেদিকে। উনার কান্নায় আমার কোনো মায়া হচ্ছেনা, বরং কাহিনীটা জানার আগ্রহ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

আমি আবারও উনাকে তাড়া দিয়ে বললাম
“কি হলো, বলছেন না যে কিছু।

এবার তিনি হুট করে মাটিতে বসে পরলেন, আমার পায়ে ঝাপটে ধরে বললেন
“আমারে মাফ করে দাও বউমা, তোমার সাথে যা অন্যায় করছি, তার ফল আল্লাহ আমারে হাতে হাতে দিয়া দিছে। এবারে যদি তুমি আমারে মাফ না করো, তাইলে আল্লাহও আমারে মাফ করবো না। মাফ করো আমারে বউমা, মাফ করো।
উনি অঝোরে কাঁদছেন। আমি তরিঘরি করে পা সরিয়ে নিলাম।। উনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। অসহায়ের মতো বললেন
“আমারে মাফ করবা না বউমা।

এবারে আমি হাসলাম, তাচ্ছিল্যের সাথে বললাম
“যখন ঘরের বউ ছিলাম, তখন তো কোনোদিন ভুল করেও বউমা বলে ডাকেন কি। এখন তো সব শেষ, আমিতো আর ও বাড়ির বউ নয়, তবে এখন এইসব কথার কারণ কি!
সে নিচের দিকে মাথা ঝুঁকে কাঁদতে লাগলো এখনো। আমি ভ্রু বাকালাম, বললাম
“আপনার এই করুণ পরিস্থিতির কারণ কি?
উনি এবার আমার দিকে মুখ তুলে তাকালেন। চোখের পানি মুছে বললেন
“তোমারে বের করার কিছুদিন পরই আমার মৃদুলরে আমি আবারও বিয়ে করাইছি।

মৃদুল বিয়ে করে নিয়েছে কথাটা শুনতেই কলিজাটা ছ্যাৎ করে উঠলো আমার। নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিনা আমি। যে আমাকে এতটা ভালোবাসতো, সে আমাকে আজ ঘৃণা করে। এতটাই ঘৃণা, যে সে অন্য কাউকেও বিয়ে করে নিতে দুইবার ভাবে নি। অজান্তেই আমার চোখে দিয়ে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো।
উনি বলতে লাগলেন..
“বিয়ে করাইছি সে মেয়েটারেই, যার সাথে আমি মৃদুলের আগেই বিয়ে ঠিক করাই রাখছিলাম। মেয়েটার এতদিনেও বিয়া হইনাই। উনারা আমার ছেলের কাছে মেয়েটারে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি ছিলো। আমিও আর দ্বিমত করি নাই। মৃদুলও আমার কথা চুপচাপ মেনে নেয়। বিয়ের সময় ওই মেয়ের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে দশ লাখ টাকা দিছে নগদ। ঘরের ফার্নিচারও দিছে, তার উপর মৃদুলের দোকানটারে আরো বড় কইরা দিছে। মাসখানেক ভালোই ছিলো সব।

হঠাৎ আমি অসুস্থ হয়ে যাই। মৃদুলের বউ এর মতিগতিও পাল্টাইতে থাকে দিনে দিনে। তার মনে হয়, ওই বাড়িতে আমি একটা ঝামেলা। যেহেতু বিপুল পরিমাণ টাকাপয়সা আর জিনিসপত্র নিয়া আইছে, তাই ওর মুখের উপরও আমি কোনো কথা কইতে পারিনা। যদি একটা কথা শোনাই, তাইলে সে আমারে দশটা কথা শোনাইয়া দেয়।

আমি এবার মৃদু গলায় বললাম
“আপনার ছেলে কিছু বলে নি?
উনি ক্ষোভ ভরা গলায় বললেন
“ওইটা তো এখন বউ এর গোলাম হইয়া গেছে। বউ যেমনে কয়, সেমনেই বিশ্বাস করে। বউ যা কয়, তাই করে। আমার কথা শোনে না। আমি কিছু কইলে উলটা কয়, ‘টাকার বউ সে, তার কথা তো মানতেই হবে।

আমি দেখলাম উনি আবারও অঝোরে কাঁদছেন। বললাম
“এখানে কিভাবে এলেন?
“মৃদুলেই আমারে রাইখা গেছে পনেরো দিন আগে।
আমি আতঁকে উঠে বললাম
“মৃদুল রেখে গেছে?
“হু, আমার অসুখ হইছে। আমার মতো রোগী নাকি তার বউ এ টানতে পারবো না। তাই আমার সহজ সরল পুলাডারে বাধ্য করছে আমারে এখানে রাইখা যাওয়ার জন্য।

আমার বলার মতো আর কিছুই রইলো না। কি বলবো আমি, কি ই বা বলার আছে আমার?
আমি একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে উনার হাতে একটা কাপড় তুলে দিলাম। উনি তীব্র চাহনীতে আমার দিকে তাকিয়ে কাপড়খানা হাতে নিলেন। আমি বলতে চাইছিলাম না, তাও মুখ ফুটে বেরিয়ে এলো
“বলেছিলাম না আমি, দম সবারই থাকে। ফেরাউনেরও ছিলো। আপনারও ছিলো। কিন্তু আজ কোথায় সেই দম? আমি অপরাধ না করেও অপরাধী হয়েছি, মেয়েটাকে আপনি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলেন, স্বামীটাকেও ছিনিয়ে নিয়েছেন। আজ কি হলো? আমি কিন্তু সুখেই আছি, শান্তিতে আছি। কিন্তু আপনি সুখে নেই। আমার সুখ আপনি কেড়েছিলেন, আপনার সুখ আল্লাহ কেড়েছে।

একটা কথা জানেন তো, অন্যের জন্য গর্ত খুড়লে, সে গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়। আপনি আমার জন্য গর্ত খুড়েছিলেন, আজ আপনি নিজেই সে গর্তে হাবুডুবু খাচ্ছেন। কি লাভ হলো আপনার? যে মেয়েকে ঘরে আমার জন্য আমার উপর নির্যাতন করেছিলেন, আজ সে মেয়েই আপনাকে বাড়িছাড়া করেছে। আজ আপনার পাশে আপনার ছেলেও নেই।
উনি আচলে মুখ গুজে অসহায় গলায় বললেন
“সবই আমার কপাল।

আমি ফিরে এলাম সেখান থেকে। বুকে ব্যাথা উঠেছে, প্রচন্ড ব্যথা। এ ব্যাথায় ছারখার হয়ে যাচ্ছি আমি। মৃদুল কি করে পারলো আমাকে এতো তারাতাড়ি ভুলে গিয়ে অন্য কাউকে আপন করে নিতে? যাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছি, সে আজ অন্য কারো। আমি হাঁটতে হাঁটতেই হাসলাম। সুখের হাসি নয়, দুঃখের হাসি। অতি দুঃখেও মানুষ হাসতে পারে কিনা আমার জানা নেই, তবে আমি হাসছি। দুঃখের মাঝেও কষ্টের হাসি হাসছি।

বাসায় ফিরে এসেই ঢুকলাম ওয়াশরুমে। শাওয়ারটা ছেড়ে দিয়ে বসে পরলাম তার নিচেই। দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখের পানিগুলো ছেড়ে দিলাম। বুকফাটা আর্তনাদ গুলো গলা চিড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আমি আর পারছিনা। ঠিক কতক্ষণ ভিজেছি আমি জানিনা। এর মাঝেই কখন যেনো আমার চোখ বুঝে এলো।

যখন আমার জ্ঞান ফিরেছ তখন আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি। আমার মাথার পাশেই মা বসে আছে। কিছুটা দূরে শিহাব দাঁড়িয়ে। আমি ধীরে ধীরে উঠে বসলাম। আমাকে উঠতে দেখে মা বলে উঠলেন
“এই শরীর নিয়ে উঠার কি দরকার, শুয়ে থাক মা।
আমি মুচকি হেসে বললাম
“আমার শরীর একদম ঠিক আছে মা। তোমরা কখন এলে?

মা কিছু বলতে যাবে তার আগেই শিহাব সামান্য রাগী গলায় বললো
“আমরা কখন এসেছি সেটা জেনে তোর লাভ কি। তুই এমনটা কেন করেছিস আগে সেটা বল।
আমি নরম হয়ে বললাম
“কি করেছি আমি?
“এভাবে পানির নিচে বসে থাকার মানেটা কি? আজ যদি সময়মত আমরা না আসতাম, তাহলে কি হতে পারতো তোর ধারণা আছে?
আমি মৃদু গলায় বললাম
“বেশি কিছু হলে মরে যেতাম, এরচেয়ে বেশি আর কিইবা হত। তাতে অবশ্য আমি শান্তিই পেতাম।

আমার কথায় শিহাব রেগে গেলো। মা আমাদের দুইজনকেই হাতের ইশারায় থামিয়ে দিয়ে আমার দিকে তাকালেন। পরম মমতায় উনার স্নেহভরা হাতে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন
“তোর কি হয়েছিলো আজ? এভাবে ঝর্ণা ছেড়ে বসে ছিলি কেন? আমরা ভয় পেয়ে গেছিলাম অনেক। ডাক্তার আনিয়ে তারপর তোর জ্ঞান ফেরাতে হয়েছে।
আমি মায়ের দিকে তাকালাম। বললাম
“আমার জন্য এতো চিন্তা কেন করো মা? আর কেউ তো আমার চিন্তা করে না। আর কেউ তো আমাকে নিয়ে ভাবে না। তোমরা কেন ভাবো?
“আমি যে মা।

সেদিনই মায়ের সাথে চলে এলাম নিজ বাড়িতে। আমার সাথে শিহাবও এসেছে। যখন বাড়ি এলাম তখন ভাইয়া বাড়ি ছিলো না, তবে বাবাকে থমথমে মুখে বসে থাকতে দেখেছি। বাবা আমার দিকে তাকাচ্ছেও না, আবার কিছু বলছেও না। আমি মায়ের মুখের দিকে একবার তাকিয়ে বাবার দিকে হাঁটা ধরলাম। আমাকে নিজের দিকে যেতে দেখে বাবা বসা থেকে উঠে চট করে নিজের ঘরে চলে গেলো। আমি হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে পরলাম।।

অনেক রাতে ভাইয়া বাড়ি ফিরলো। এসে যখন শুনলো আমি বাড়িতে ফিরে এসেছি তখন সে রেগে যায়। অনেক চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে।।ভাইয়ার চিৎকারে শিহাব বেড়িয়ে আসে ঘর থেকে। সে সামান্য ক্ষোভ নিয়ে ভাইয়াকে বলে
“এভাবে চিৎকার করার মানে কি?
ভাইয়া চোখ পাকিয়ে শক্ত গলায় বলে উঠে
“তুই কার হুকুমে ওকে বাড়ি নিয়ে এসেছিস?
“ওকে বাড়ি নিয়ে আসতে আমার কারো হুকুমের প্রয়োজন নেই। নিজের বাড়িতে আসতে কখনো হুকুমের প্রয়োজন পরে না।

ভাইয়া আক্রোশে বলে উঠলো
“এ বাড়ি থেকে ও নিজেই সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেছিলো। তাহলে আজ কেন এসেছে? যার জন্য চলে গেছিলো আজ সে কোথায়? ছেড়ে গেছে? আরে এটাই তো হওয়ার ছিলো। তখন আমাদের কথা শোনেনি। তাহলে আজ কেন আমাদের দ্বারে এসেছে?
চলে যেতে বল ওকে। এ বাড়িতে ওর কোনো যায়গা নেই।

এবার শিহাব রেগে গিয়ে বললো
“এ বাড়িটা তোমার একার নয় ভাইয়া, এ বাড়িতে তোমার যতটুকু পাওনা আছে, ঠিক সমপরিমাণ আমারও আছে। তোমরা যদি একান্তই ওকে রাখতে না চাও, তবে আমার যায়গায় আমি ওকে রাখবো। এতে নিশ্চয়ই তোমাদের কোনো সমস্যা হবে না?
এবারে ভাইয়া আরো ক্ষেপে গেলো। সে তেড়ে এলো শিহাবকে মারতে। আমার আর সহ্য হলো না। আমি ছুটে গিয়ে দাঁড়ালাম তাদের দুই ভাইয়ের মাঝখানে। ভাইয়ার পায়ে পরে বললাম
“আমি চলে যাবো ভাইয়া৷ তবুও আমার কারণে তোমরা ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক নষ্ট করো না।

ভাইয়া অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো। শিহাব আমাকে টেনে তুলে বললো
“কার পায়ে ধরছিস তুই? যে তোকে এই রাতের বেলাতেও চলে যেতে বলছে তাকে? দরকার হলে তোকে নিয়ে আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবো, তবুও এই অমানুষের পায়ে ধরতে দিবো না। এর মাঝে আর তোর শশুড়বাড়ির লোকেদের মাঝে তুই কোনো পার্থক্য খুজে পাচ্ছিস আপা? ওরা তোকে ঘর ছাড়া করেছে, আর এও করতে চাইছে। তবে পার্থক্যটা কোথায়? আমি শিহাবের দিকে তাকিয়ে রইলাম অবাক হয়ে। শিহাব আবারও নিজে নিজে বলতে লাগলো
“পার্থক্য শুধু এতটুকু, ওরা নিজ হাতে তোর মেয়েকে খুন করেছে, আর আমার ভাই নামের এই মানুষটা সেটা পারছেনা। কারণ এখন তো বাচ্চা আর নেই। থাকলে এটা করতেও সে একবার ভাবতো না। একটা কুকুরের সাথে মানুষ এমন করেনা, যেমনটা ওরা তোর সাথে করেছে, আর এইবার আমার ভাইয়াও সেটাই করছে।

আমি থমকে দাঁড়িয়ে রইলাম নিজ যায়গায়। ততক্ষণে বাবাও এসে দাঁড়িয়েছে দরজার সামনে। দেখলাম ভাইয়া কিছুটা কেঁপে উঠলো। অবাক হয়ে তাকালো শিহাবের দিকে। বিস্ফোরিত গলায় বললো
“ওর মেয়েকে খুন করেছে মানে?
শিহাব চেচিয়ে উঠলো। আক্রোশে ফেটে পরছে সে। চিৎকার করে বললো

“মানে কি বুঝো না? এতটা দিনের মধ্যে একটা বারের জন্যও কি ওর কোনো খবর নিয়েছো তোমরা? ও নাহয় ভুলই করেছিলো, কিন্তু তোমরা কি করেছো? যা করেছো সবই অন্যায় করেছো। ভুল আর অন্যায় দুইটা দুই জিনিস জানো তো ভাইয়া? তুমি কিংবা বাবা, কেউই কি এতোদিনের মধ্যে ওর কোনো খোঁজ নিয়েছে? বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটা জানার বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেছিলে তোমরা? ততক্ষনে বাবাও চলে এসেছে ওদের মাঝে। বাবাকেও দেখে মাও এগিয়ে গেলো সেদিকে। হয়তো ভাবলো বাবাও এবার ঝামেলা শুরু করবে। তবে বাবা সেসব কিছু না করে মায়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো
“তনুর সাথে কি হয়েছে? আর ওর বাচ্চার নামে এটা কি বললো শিহাব?

আমার মাথা ঘুরছে, মাথায় ব্যথা করছে প্রচন্ড। এতো চিল্লাপাল্লা আমার আর হচ্ছে না। বার বার মনে হচ্ছে, এখানে আমি এসেছি এই পরিবারের সুখটাকে নষ্ট করার জন্য। আমার জন্যই এতো ঝামেলা, যেখানেই যাই সেখানেই অশান্তি। মনে মনে ভাবলাম, আমিই বোধহয় অপয়া। আমি চোখ বন্ধ করলাম, আবারও দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো। মৃদুলকে আমি মন থেকে মুছে ফেলেছি, কিন্তু বৃষ্টিকে তো পারছিনা। বার বার ওর ফ্যাকাসে মুখটা আমার সামনে ভেসে আসছে। আমার মাথাটা আবারও ঘুরে উঠলো..

চলবে….

[সকালের মধ্যে ৩০০+ রিয়েক্ট হলে একটা বোনাস পর্ব দিবো]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here