#পদ্মফুল
#জান্নাতুল_ফারিয়া_প্রত্যাশা
|২০|
আদিদ-কে দেখা মাত্র রুবি হোসেনের মুখটা চুপসে গেল। আদিদ হেসে বললো,
‘কেমন সারপ্রাইজ দিলাম, মা?’
রুবি হোসেন জোরপূর্বক হাসলেন। বললেন,
‘খুব ভালো। আমি তো ভাবতেও পারিনি তুমি এইভাবে চলে আসবে।’
আদিদ সোফায় বসে জুতা খুলতে খুলতে বললো,
‘ভাবলাম তোমাকে আর বাবাকে একটু সারপ্রাইজ দেই, তাই এইভাবে হুট করে চলে এসেছি। তা, বাবা কোথায়, অফিসে?’
‘হ্যাঁ, তোমার বাবা অফিসে। একটু পর হয়তো চলে আসবেন। তুমি বরং রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও, আমি খাবার দিচ্ছি।’
‘না মা, খাবার দিতে হবে না আমি খেয়ে এসেছি। আমি এখন একটু রেস্ট নিব, ইদানিং খুব প্রেশার গিয়েছে আমার উপর।’
‘ঠিক আছে, তুমি তাহলে এখন রুমে গিয়ে একটু ঘুমাও। ঘুম ভাঙলে তোমাকে কড়া করে এক কাপ কফি বানিয়ে দিব।’
‘আচ্ছা। ওহহ, পদ্ম’র কী খবর? উনাকে দেখছি না যে, রুমে নাকি?’
‘হ্যাঁ, হয়তো ও এখন ঘুমাচ্ছে।’
‘আচ্ছা তাহলে পরে কথা বলে নিব।’
আদিদ উপরে নিজের রুমে চলে গেল। রুবি হোসেন তখন চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছেন। ছেলেটা আর আসার সময় পেল না। এমনিতে তাকে জোর করেও আনা যায় না, আর আজই তাকে এইভাবে চলে আসতে হলো। তিনি কোথায় ভেবেছিলেন, আদিদ বাড়ি আসার আগেই তাকে না জানিয়ে ভালোই ভালোই পদ্ম’র বিয়েটা দিয়ে দিবেন। পরে না হয় কিছু একটা বলে ওকে বুঝিয়ে ফেলতেন। কিন্তু এখন, এখন তিনি কী করবেন? আদিদ-কে বিয়ের কথা বললেই সে ছেলের খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করবে। আর তখনই তো বাঁধবে বিপদ। রুবি হোসেন হাত কঁচলাচ্ছে। কীভাবে কী করবে কিছুই তিনি বুঝতে পারছেন না।
.
.
বাইরে অন্ধকার। কুচকুচে কালো অন্ধকার না হলেও আবছা অন্ধকার। সূর্য ডুবেছে অনেক আগেই। তবে পুরোপুরি রাত হয়নি এখনও। এই সময়’টাকে “সন্ধ্যা” বলা হয়। দিনের অন্য সময়গুলোর চেয়ে এই সময়’টা পদ্ম’র একটু বেশিই পছন্দ। আর এই পছন্দের সময়ের তার সবথেকে পছন্দের কাজ হলো, কফি কিংবা চা বানানো। আজ সে কফি বানাচ্ছে। উদ্দেশ্য, ডাক্তারবাবুকে দিবে। বেশ কড়া করে সে দুই কাপ কফি বানালো। ডাক্তারবাবু হয়তো এতক্ষণে ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। হাতে একটা স্ট্রে নিয়ে পদ্ম ডাক্তারবাবুর রুমের কাছে গিয়ে দরজায় নক করলো। কিন্তু, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও ভেতর থেকে কারোর সাড়া শব্দ শোনা গেল না। আরেকবার নক করতে গিয়েও পদ্ম থেমে গেল। ভাবল, হয়তো ডাক্তারবাবু এখনও ঘুমাচ্ছে। তাই সে আর বিরক্ত করলো না। দুই কাপ কফি নিয়ে গেল রুবি হোসেন আর আকবর সাহেবের রুমে।
দরজায় নক করে বললো,
‘আসবো, বড়ো মা?’
‘হ্যাঁ, এসো।’
পদ্ম ভেতরে ঢুকল। কফির স্ট্রে টা বেড সাইট টেবিলের উপর রেখে বললো,
‘আমি বানিয়েছি।’
রুবি হোসেন হেসে বললেন,
‘তাই? তাহলে তো খুব মজা হবে।’
পদ্ম প্রসন্ন হাসল। বললো,
‘আচ্ছা, আপনারা খান। আমি রুমে যাচ্ছি।’
পদ্ম বেরিয়ে যেতেই আকবর সাহেব বললেন,
‘তো, ছেলেকে নিয়ে কী ভাবলে? কী বলবে ওকে?’
রুবি হোসেন চিন্তিত কন্ঠে জবাব দিলেন,
‘জানি না। তোমার এই ছেলে আমার সব কাজে ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। এর আগে সুজানার বেলায়ও এমন করেছে। এমনিতে বাসায় আসার খবর নেই, যেদিন সুজানা-কে এখানে এনেছিলাম সেদিনই তাকে এখানে আসতে হয়েছিল। আরেকটু হলেই তো সেদিন আমরা… যাকগে সেসব। এখন কিছু একটা ভাবতে হবে। এবার আর যেন আগের মতো কিছু না হয়। ভাবো ভাবো, কী করবে সেটা ভাবো। নাও কফি খাও আর ভাবো। মেয়েটা কিন্তু কফি ভালো বানায়।’
অতঃপর কফির কাপে চুমুক দিয়ে দুজনেই চিন্তায় মগ্ন হলেন।
.
পদ্ম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার বিয়ের কেনাকাটাগুলো দেখছে। এই সবকিছু আরাফাতের বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে। শাড়ি, গহনা সবকিছুই তার খুব পছন্দ হয়েছে। তাই একবার শাড়ি গায়ে দিচ্ছে তো একবার গহনা পরছে। দুহাত ভরে চুরি পরে সে খিলখিল করে হাসছে। আজ মনে রং ধরেছে তার। রং তো ধরতেই হতো, কাল যে তার বিয়ে। এখন থেকে সে আর অনাথ না। সেও মা-বাবা পাবে, একটা ছোট্ট বোন পাবে আর পাবে একটা পরিচয়। এর থেকে সুখের আর কী হতে পারে।
পদ্ম সবকিছু দেখে সেগুলো আস্তে আস্তে ভাজ করে আলমারিতে রাখছিল। তখনই তার দরজায় আদিদ এসে নক করলো। বললো,
‘আসবো?’
আদিদ-কে দেখে পদ্ম হেসে বললো,
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আসুন।’
আদিদ ভেতরে এলো। বিছানার উপর এত সব জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেখে সে কিঞ্চিত হেসে বললো,
‘অনেক শপিং করেছেন মনে হয়?’
পদ্ম খানিক লজ্জা পাওয়ার ভান করে বললো,
‘না, এগুলো তো ঐ বাড়ি থেকে দিয়েছে।’
আদিদ ঠিক বুঝলো না। সে পুনরায় প্রশ্ন করলো,
‘ঐ বাড়ি মানে কোন বাড়ি? আপনার মামা বাড়ি?’
‘না না, মামা বাড়ি কেন হতে যাবে? এগুলো তো আরাফাতদের বাড়ি থেকে দিয়েছে।’
এবার যেন আদিদের সবকিছু অদ্ভুত লাগল। এই আরাফাত আবার কে? আদিদ ব্রু কুঁচকে বললো,
‘আরাফাত কে?’
পদ্ম যেন এই প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সে কিছুক্ষণ বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললো,
‘আপনি আরাফাত-কে চেনেন না?’
আদিদ মনে করার চেষ্টা করলো সে আরাফাত নামের আদৌ কাউকে চেনে কিনা। কিন্তু না, তার মস্তিষ্ক তাকে জানান দিল, “না সে এমন কাউকে চেনে না।” আদিদ বিব্রত গলায় বললো,
‘না, আমি তো আরাফাত নামের কাউকে চিনি না।’
পদ্ম পুনরায় কিছু বলতে যাবে তার আগেই পেছন থেকে রুবি হোসেন বলে উঠলেন,
‘আরে, তোমাকে বলেছিলাম না আরাফাতের কথা? তোমার হয়তো মনে নেই।’
আদিদ মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘না মা, তুমি আমাকে এই নামের কোনো ব্যক্তির কথা কখনো বলোনি। কে এই আরাফাত? আর উনার বাড়ি থেকে পদ্ম’র যেন এত কিছু কেন পাঠানো হয়েছে?’
আদিদের প্রশ্ন শোনে ক্রমে ক্রমে বিস্ময়ের ছায়ায় আবৃত হচ্ছে পদ্ম। তার মানে কি, ডাক্তারবাবু কিছু জানেন না? কিন্তু বড়ো মা তো বলেছেন তিনি সব জানেন। তাহলে, বড়ো মা মিথ্যে কেন বললেন?
রুবি হোসেন এখন কীভাবে কথা ঘুরাবেন সেটাই বুঝতে পারছেন না। ঠিক সময়ে মাথায় কোনো বুদ্ধি আসে না। কিছু একটা তো বুঝাতে হবে আদিদ-কে। নয়তো পরে পদ্মও তাকে সন্দেহ করবে। উফফ, কী যে ঝামেলা!
তিনি অস্থির কন্ঠে বললেন,
‘বাবা, তোমার হয়তো মনে নেই আমি বলেছিলাম তোমাকে। আচ্ছা সমস্যা নেই, আমি আবার বলবো। চলো আমার রুমে চলো। আর পদ্ম, তুমি বরং এই ফাঁকে সবকিছু গুছিয়ে নাও, কেমন?’
আদিদ-কে এক প্রকার জোর করেই রুবি হোসেন তার রুমে নিয়ে গেলেন। আদিদ ক্রমাগত তাকে প্রশ্ন করেই চলেছে, কে আরাফাত? আদিদ কেন তাকে চেনে না? তার সাথে পদ্ম’র ই বা কী সম্পর্ক? আরও অনেক…রুবি হোসেন বিরক্ত হয়ে আদিদ-কে থামিয়ে বললেন,
‘আমি বলছি তো আদিদ, তুমি থামো এবার।’
আদিদ ক্ষান্ত হলো। জোরে নিশ্বাস ছেড়ে বললো,
‘বলো মা।’
রুবি হোসেন একবার আকবর সাহেবের দিকে তাকালেন; তারপর শুকনো ঢোক গিলে বললেন,
‘আমরা আসলে পদ্ম’র বিয়ে ঠিক করেছি। আর যার সাথে পদ্ম’র বিয়ে ঠিক করেছি তার নামই আরাফাত।’
আদিদ নির্বাক হয়ে বসে রইল কিছুক্ষণ। বিস্ময়ের রেশ কিছুটা কাটিয়ে সে বলে উঠল,
‘আমাকে একবার বললেও না মা। এত বড়ো একটা ডিসিশান হুট করেই নিয়ে ফেললে? পদ্ম’র মত আছে এই বিয়েতে?’
‘হ্যাঁ, ওর মত আছে বলেই তো আমরা রাজি হয়েছি। ছেলে খুব ভালো। ভালো একটা জব করে। আর উনারা পদ্ম’র ব্যাপারে সব কিছু জেনে শুনেই এই সম্মন্ধে রাজি হয়েছেন।’
আদিদ তখন কপাল কুঁচকে বললো,
‘তাই নাকি? তা ছেলের বায়োডাটা দাও আমাকে। আমিও একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখি উনারা কতটা ভালো।’
‘তোমায় এত চিন্তা করতে হবে না। তোমার বাবা সবকিছু খোঁজ খবর নিয়েছেন। আর সবচেয়ে বড়ো কথা হলো কালই ওদের বিয়ে। পদ্ম বলেছে, ও কোনো প্রকার আড়ম্বরতা চায় না। মসজিদেই নাকি বিয়েটা হবে। ভেবেছিলাম তোমাকে বলবো, রাতে চলে আসতে। কিন্তু দেখো, কীভাবে সবটা মিলে গেল। বলার আগেই তুমি আজ চলে এলে।’
আদিদ সবকিছু শুনে বললো,
‘মা, সবকিছু এত তাড়াহুড়ো করে কেন করছো? আরেকটু সময় তো নিতে পারতে। একটা বিয়ে বলে কথা। আর উনার মামা মামী-কে খবর দিয়েছো তুমি? উনারা জানেন বিষয়’টা?’
‘জানেন। আমি বলেছি উনাদের। কিন্তু উনারা বলেছেন, উনারা নাকি আসবেন না। বলেছেন, আমাদের যা ভালো মনে হয়, আমরা যেন তাই করি।’
আদিদ বললো,
‘আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি আমাকে এখন ছেলের নাম্বার দাও। আমি আগে ছেলের সাথে কথা বলবো, তারপর হবে সবকিছু।’
রুবি হোসেন আদিদ-কে আরাফাতের নাম্বার’টা দিল। আদিদ নাম্বার’টা নিয়ে তার রুমে চলে গেল।
_______________________
রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আদিদ তার রুমে এলো। সে তখন ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল, এগারো’টা বিশ বাজে। ফোন’টা হাতে নিয়ে একটা নাম্বার ডায়েল করলো সে। কল’টা রিসিভ করে ওপাশ থেকে কেউ সালাম দিল। আদিদ সালামের জবাব দিয়ে বললো,
‘আরাফাত বলছেন?’
‘জ্বি, আপনি কে?’
‘আমি আদিদ, রুবি হোসেনের ছেলে।’
‘ওহহ, আচ্ছা আচ্ছা। ভালো আছেন, আপনি?’
‘জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি ভালো আছেন?’
‘জ্বি জ্বি, আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি।’
‘তা, আপনি কি এখন ফ্রি আছেন? একটু কথা বলা যাবে?’
‘জ্বি ভাইয়া, বলুন না কী বলবেন?’
আদিদ আজ অনেকদিন পর ছাদে এসেছে। আকাশে থালার মতো চাঁদ’টা দেখে সে আর লোভ সামলাতে পারলো না ছাদে আসার। ভাবলো, আরাফাতের সাথে কথাও বলা হয়ে যাবে আর চাঁদ দেখাটাও হয়ে যাবে।
অনেকক্ষণ সে আরাফাতের সাথে কথা বললো। ছোট খাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া হয়ে গিয়েছে তার। এবার সে অনেকটা সন্তুষ্ট। ছেলে’টার সাথে কথা বলে তার ভালোই মনে হলো। এখন বাকিটা পদ্ম’র ভাগ্য।
অনেকটা সময় ছাদে নিরালায় পার করলো সে। আগে প্রায়ই ছাদে উঠত, আকাশের চাঁদ দেখত, বিকেলের সূর্য দেখতো। কিন্তু এখন আর সেসব তেমন একটা দেখা হয়ে উঠে না তার। অনেকদিন পর আবার এইভাবে ছাদে এসে চাঁদ দেখেছে সে। আগে চাঁদ দেখে ভালো লাগলেও আজ বিষন্ন লাগছে। ঐ চাঁদের মতো নিজেকেও খুব একা মনে হচ্ছে তার। চোখ বুজে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে। বুকের ভেতরে প্রচন্ড ব্যথাটা টের পায়। সে আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ছাদের সিঁড়ির কাছে এসে দাঁড়িয়ে আবারো জোরে শ্বাস টানে সে। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই একটা বিচ্ছিরি গন্ধ তার নাকে প্রবেশ করে। সে সাথে সাথে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে। কিসের গন্ধ এটা? আশে পাশে তাকিয়ে খুঁজতে থাকে। তখনই তার সেই রুম’টার দিকে চোখ যায়। এই রুম থেকেই আসছে গন্ধ’টা। রুমটার কিছুটা কাছে যেতেই গন্ধ’টা আরো তীব্র হয়। পদ্ম ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে দেখে দরজায় তালা দেওয়া। এটা তো তার ছোট্ট বেলার খেলার রুম ছিল। বড়ো হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর এই রুম’টাতে কখনও উঁকিও দেওয়া হয়নি তার। আজ কী ভেবে তার মনে হলো রুম’টাতে যাবে। দরজায় তালা দেখে সেটা দু একবার ঘুরিয়ে টুরিয়ে দেখে ছেড়ে দিতেই তালা’টা খুলে গেল। আদিদ খুশি হলো তাতে। যাক, তালা’টা নষ্ট হওয়ায় ভালো হয়েছে। সে দরজা খুলে রুমে ঢুকে। ফ্ল্যাশ দিয়ে রুমের লাইট’টা খুঁজে বের করে সেটা জ্বালিয়ে দেয়। রুমের এমন করুণ দশা দেখে আদিদের মায়া হয়। এই রুম’টাতেই এক সময় সে অনেক সময় কাটিয়েছিল, আজ তার এই দশা। বিশেষ করে এই বিচ্ছিরি রকমের গন্ধ’টা সে আর সহ্য করতে পারছে না। নাক চেপে তাই সে রুম’টা ভালো করে দেখতে লাগল। তখন একটা পুরোনো শেলফে চোখ গেল তার। কাছে গিয়ে দেখল সেখানে সুজানার ছবি রাখা। সে নিজেই রেখেছিল। সুজানার সাথে তোলা তার প্রথম ছবি। ছবিটা হাত দিয়ে মুছে পরিষ্কার করলো সে। তারপর একদৃষ্টিতে চেয়ে রইল সুজানার মুখের দিকে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর মনে হলো তার খুব কষ্ট হচ্ছে। এই রুমে আর থাকতে পারবে না সে। ছবিটা রেখে পেছন ফিরতেই হঠাৎ কী যেন মনে হলো তার। সে আবার ছবিটা হাতে নিল। কী ভেবে ছবিটা উল্টে দেখল সে। তার মনে হলো ছবির পেছনে কিছু লেখা। খুব ছোট আর অস্পষ্ট। কিন্তু কিছু তো একটা লেখা আছে। আদিদ ঠিক বুঝতে পারছে না। সে সেই রুমের দরজা আটকিয়ে ছবিটা নিয়ে নিজের রুমে চলে এলো।
চলবে…