#ভালোবাসি তোকে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ৩৪
.
আমি চমকে তাকালাম আদ্রিয়ানে দিকে। পুরোনো কথা মানে কী? কী বলতে চাইলো আদ্রিয়ান। ও কী সত্যিই কিছু জানে? আমি আপির দিকে তাকিয়ে দেখলাম আপিও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ানের দিকে। সজীব ভাইয়া, অর্ণব ভাইয়ার একই অবস্থা।আর বাকী সবাই কনফিউসড হয়ে তাকিয়ে আছে। আপি আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” প্ পুরোনো কথা মানে আদ্রিয়ান?”
আদ্রিয়ান মুখে হালকা হাসি ফুটিয়ে বলল,
— ” সেটা আমি কীকরে জানবো বউমনি? ওর চোখ মুখ দেখে আমার যেটা মনে হলো সেটাই বললাম।”
আমি চোখ বন্ধ করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। পুরো পানিটা খেয়ে নিয়ে বললাম,
— ” না আমার শরীরটা ভালো লাগছেনা আমি একটু রুমে যাচ্ছি তোমরা কথা বলো হ্যাঁ।”
এটা বলে কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেলাম রুমে। রুমে গিয়ে সোজা ব্যালকনিতে গিয়ে রেলিং এ ভর দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি। আবার ব্লাস্ট? কিন্তু কেনো? দুই বছর পরেই কেনো? তারমানে কী ওরা আবার ফিরে এসছে? নাকি অন্যকেউ? ওরা যদি ফিরে এসে থাকে তাহলে কী খুজছে আমাকে? যদি এসেই থাকে তাহলেতো অবশ্যই খুজছে আমায়। এতো সহজে নিশ্চয়ই ছেড়ে দেবেনা আমাকে। টেনশনে মাথা অলমোস্ট ছিড়ে যাচ্ছে আমার। আমিতো এসব ভুলেই যাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম এটা শুধু অতীত হয়েই থাকবে কিন্তু এখন এসব কী হচ্ছে? কেনো হচ্ছে এসব? এসব নানারকম কথা ভাবতে ভাবতে পেছন থেকে কেউ জরিয়ে ধরল আমাকে। প্রথমে চমকে উঠলেও পরে বুঝতে পারলাম যে এটা আদ্রিয়ান। ও আমার কাধে থুতনি রেখে বলল,
— ” এত কী ভাবছো? কতক্ষণ যাবত এখানে দাঁড়িয়ে আছি বলোতো?”
আমি নিজেকে সামলে নিয়ে নিচু সুরে বললাম,
— ” সরি! আমি খেয়াল করিনি। আপনি চলে এলেন যে?”
— ” আমার বউ ওপরে একা আছে আমি নিচে বসে থাকি কীকরে? কিন্তু আবার আপনি?”
— ” আমার দ্বারা হবেনা। বারবার আপনিই বেড়িয়ে যাচ্ছে। কতোদিনের অভ্যেস বলুনতো?”
আদ্রিয়ান আমার হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে বললেন,
— ” তুমি বলতে বলতেই অভ্যেস হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো এক্সকিউস শুনবো না আমি আগেই বলে দিয়েছি।”
আমি মুখ ফুলিয়ে একবার তাকালাম ওনার দিকে। তারপর করুণ স্বরে বললাম,
— ” আপনি করে বললে সমস্যা টা কোথায়?”
উনিও এবার বাচ্চাদের মত বায়নার স্বরে বলল,
— ” আমার ভালোলাগেনা শুনতে নিজেকে কেমন পর পর মনে হয়। আর তাছাড়াও আমার ছোটবেলার শখ যে আমার বউ আমাকে তুমি করে বলবে। সো এখন আপনি শোনার প্রশ্নেই ওঠেনা।”
আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলাম ওনার দিকে। চোখ ছোট ছোট করে ছোট একটা নিশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বললাম,
— ” আপনি ছোটবেলা থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে আপনার বউ আপনাকে কী নামে ডাকবে? লাইক সিরিয়াসলি?”
— ” হ্যাঁ। আমার বউকে নিয়ে আমি ভাববো না তো কে ভাববে তুমি?”
আমি একটা হতাশার নিশ্বাস ত্যাগ করে বললাম,
— ” নাহ আমি কেন ভাবতে যাবো। আমার আর কী? আপনার বউ আপনিই বুঝবেন।”
আদ্রিয়ান চোখ মুখ শক্ত করে বললেন,
— ” সেটা ঠিকই আছে কিন্তু আরেকবার যদি আপনি বলো তো কানের নিচে এমন জোরে একটা পরবে যে তিনদিন কানে শুনতে পাবেনা।”
আমি মুখ গোমড়া করে মাথা নিচু করে ফেললাম। উনি আমার নাক টেনে দিয়ে বললেন,
— ” আমি একটু বকলেই মুখটা এভাবে ছোট করে ফেলো। ইউ নো অদ্ভুতভাবে এটাও আমার খুব ভালোলাগে।”
আমি কিছু না বলে মাথা নামিয়ে রেখেই মুচকি হাসলাম। তারপর ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
— ” ওরা সবাই কী করছে?”
— ” নিচে গল্প করছে। তুমি এভাবে চল এলে কেন গল্প করা ছেড়ে?”
আমি একটু হাসার চেষ্টা করে ওনার হাতের ওপর হাত রেখে বললাম,
— ” কিছুনা শরীরটা একটু খারাপ লাগছিল তাই..”
ও আমার ডান গালে হাত রেখে নরম সুরে বলল,
— ” এখন ঠিক লাগছে?”
— ” হুম।”
— ” তাহলে নিচে চল?”
— ” হুম চলুন।”
উনি চোখ গরম করে তাকাতেই আমি একটু হকচকিয়ে ঘাড় বাকিয়ে এক কান ধরে বললাম,
— ” সরি। চলো..”
উনি হেসে দিয়ে আমার হাত ধরে কাছে টেনে কানের ওপর থেকে চুলগুলো আলতো হাতে সরিয়ে দিয়ে বলল,
— ” এতো কিউট করে বললে রাগ করা যায়।”
আমি একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে হেসে দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
— ” আচ্ছা চলো এবার।”
এরপর আমরা দুজনে একসাথে নিচে গেলাম। ওরা সবাই বিকেলে চলে যাবে তাই সবাই মিলে ঠিক করলাম লাঞ্চ করতে যাবো বাইরে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সবাই একসঙ্গে বাইরে চলে গেলাম লাঞ্চের জন্যে। সারাদিন আনন্দ মজা বিকেলে ওরা যাওয়ায় পর মনটা খারাপ হয়ে ছিল। আর তাই আমার মন ভালো করতে রাতে ও আমাকে নিয়ে আইসক্রিম খাইয়ে এনেছে তারসাথে অনেক মজাও হয়েছে।
___________________
দুদিন কেটে গেছে। এরমধ্যে ওকে তুমি বলার অভ্যেসটাও হয়ে গেছে আমার। আর ওর সাথে সম্পর্কটাও আরও নরমাল হয়েছে। নবীন বরণে যাওয়ার জন্যে রেডি হবো। আদ্রিয়ানের কিনে দেওয়া নীল রংয়ের শাড়িটা বেড় করে আপির রুমে যাবো পরতে তখনি আদ্রিয়ান ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল। আমি বললাম,
— ” দরজা বন্ধ করলে কেনো? আমি আপির রুমে যাবো শাড়ি পড়তে।”
ও ওর টিশার্ট খুলতে খুলতে বলল,
— ” আমি থাকতে বউমনির রুমে কেন যাবে? আমাকে দাও আমি পরিয়ে দিচ্ছি।”
আমি হালকা চমকে গিয়ে বললাম,
— ” ম্ মানে কী? তুমি শাড়ি পড়িয়ে দেবে মানে? তুমি কেন পরাবে?”
ও চেয়ারের ওপর টিশার্ট টা রেখে বলল,
— ” কেনো হিয়া পড়াতে পারলে আমি কেন পারবোনা?”
আমি একটু ইতস্তত করে বললাম,
— ” আপি আর তুমি কী এক হলে নাকি?”
ও বাঁকা হেসে আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল,
— ” নাহ। একদম এক নাহ। তোমার আপি তো বোন আর আমি তোমার হাজবেন্ট। আর হাজবেন্ট তো শুধু শাড়ি পরাতে পারে না আরো অনেক কিছু করতে পারে।”
এটুকু বলে আমার দিকে ঝুকে বলল,
— ” কিন্তু আমার বউটা তো এখনও একটা বাচ্চা। তাই আর কিছু না হোক শাড়িটা পড়িয়ে দেই?”
আমি কী বলব? ও আমায় শাড়ি পরিয়ে দেবে এটা ভাবলেই তো আমার লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আমি তুতলিয়ে বললাম,
— ” ন্ নো থ্যাংকস। আপি সুন্দর করে পরাতে পারে। তোমার পরানোর দরকার নেই।”
বলে দিয়ে আমি তাড়াহুড়ো করে পাশ কাটিয়ে যেতে নিলেই উনি আমার হাত ধরে ফেললেন। আমার হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললেন,
— ” এখন এসব বলে লাভ নেই সুইটহার্ট। ইউ নো এজ ভেরী ওয়েল যে আমি একবার যেটা করব বলে ঠিক করে ফেলি সেটা করেই ফেলি। সো শাড়িটা আজ আমিই তোমাকে পড়াবো।”
আমি অসহায় দৃষ্টিতে তাকালাম ওর দিকে। এই সাড়ে তিনমাসে ওকে এটুকু চিনেছি যে ও যখন একবার বলেছে তখন আমায় শাড়ি পড়িয়েই ছাড়বে। উনি আমার গাল টিপে দিয়ে বললেন,
— ” এভাবে তাকিও না জানপাখি। লাভ হবেনা। এখন বাকিসব পরে আসবে নাকি আমিই..”
ওর এটুকু বলতে দেরী হলেও আমার দৌড়ে ওয়াসরুমে দৌড়ে যেতে একটুও দেরী হয়নি। চেঞ্জ করে ওয়াসরুমে বসে থাকাও যাবেনা সময় নেই। তাই প্রচন্ড লজ্জা লাগার পরেও গায়ে শাড়ি পেঁচিয়ে বলে বাইরে বেড়িয়ে গুটিগুটি পায়ে ওনার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ও আমায় আগাগোড়া একবার স্কান করে বলল,
— ” শাড়িটা এভাবে পেঁচিয়ে রেখেছো হাতে না দিলে পড়াবো কীকরে?”
আমি কিছু না বলে শাড়ি খামঁছে ধরে ইতস্তত করে যাচ্ছি। আমায় চুপ থাকতে দেখে আদ্রিয়ান নিজেই আমার গা থেকে শাড়িটা সরিয়ে দিলেন। আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। বড় হওয়ার পর এইভাবে এই প্রথম কোনো পুরুষ দেখলো আমাকে। যদিও ও আমার নিজের হাজবেন্ট কিন্তু প্রথমবার তো। চোখ খোলার মত সাহস বা এনার্জি কোনোটাই পাচ্ছিনা। এরপর উনি শাড়ি পরানো শুরু করলেন। ওনার স্পর্শগুলোতে বারবার কেঁপে উঠছিল আমার শরীর। উনি ধীরে ধীরে খুব সুন্দর ভাবেই আমার শাড়ি পরানোটা শেষ করলেন। মাঝেমধ্যে ওনার খুনশুটিময় স্পর্শে আমার অবস্থা আরও বেশি ভয়াবহ হয়ে উঠছিল, কিন্তু ওকে কিছু বলতেও পারছিলাম না। কারণ ওকে চিনি আমি ওকে এখন কিছু বললেই উনি আরও বেশি দুষ্টুমি করবে তাই চুপ থাকাই নিরাপদ। শাড়ি পরানো শেষে আমি অবাক হয়ে দেখলাম নিজেকে। এতোটা সুন্দর শাড়ি পরানো কোথায় শিখলো ও? আমি অবাক হয়েই বললাম,
— ” তুমি এতো সুন্দর করে শাড়ি পরাতে পারো?”
ও নিজের পাঞ্জাবী পরতে পরতে বলল,
— ” হ্যাঁ। জাবিন যখন ছোট ছিল তখন আম্মুকে দেখতাম ওকে শাড়ি পড়াতে তখন দেখতাম। ইন্টারেস্টিং লাগতো। তখন আমিও আম্মুকে বলে শাড়ি পড়ানোটা শিখে নিয়েছিলাম।”
— ” ওহ।”
— ” হ্যাঁ তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও। আর সাজবেনা বেশি। জাস্ট ওর্নামেন্টস, একটু লিপস্টিক আর কাজল দেবে। আর হ্যাঁ চুলটা খোলা রাখবে, ব্লাউজের পিঠটা বেশ বড়। আর খেয়াল রাখবে আঁচল নেমে গিয়ে গলার নিচের ঐ তিল দুটো জেনো দেখা না যায়।”
আমি হতাশ হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
— ” আর কিছু?”
ও আমার দিকে তাকিয়ে মেকি হেসে বলল,
— ” জ্বি নট আপাতত যেটুকু বলছি সেটুকু করলেই খুশি হবো।”
আমিও আর কথা না বাড়িয়ে রেডি হয়ে নিলাম। আর উনিও রেডি হয়ে নিলেন। নীল পাঞ্জাবী, কালো জিন্স, কালো ঘড়ি। দেখতে কেমন লাগছে নতুন করে সেটা আর নাইবা বলি।দুজনে রেডি হয়ে বাড়ির সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম। ইফাজ ভাইয়ারও ইনভেটেশন ছিল কিন্তু সে একটা ইম্পর্টেন্ট কাজে আটকে গেছে, তাই আপিও গেলোনা। মেডিকেল গিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই আদ্রিয়ানকে ওয়েলকাম করতে এলো আদ্রিয়ান ওনাদের সাথে কথা বলে ওনাদের এগিয়ে যেতে বলল। একটু এগোতেই হঠাৎ সামনে রূপ এসে হাজির হলো। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। ভয় নিয়ে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখ মুখ একদম স্বাভাবিক। আগের দিনের মতো রাগ নেই। রূপ হেসে বললেন,
— “তোমার সাথে কথা বলার জন্যেই ওয়েট করছিলাম। এক্চুয়ালি আ’ম সরি। আমি সত্যিই জানতাম না তুমি আদ্রিয়ানের ওয়াইফ। তাই তোমার সাথে যেটুকু ফ্লার্ট করেছি বা অন্যকিছু ভেবেছি সেটা একদমই ঠিক হয়নি। আমি সত্যিই ভীষণ দুঃখিত।”
আমি কিছু বলার আগেই আদ্রিয়ান আমার হাত ধরে হেসে বলল,
— ” ইটস অলরাইট ডুড। তবে এরপর কোনো মেয়েকে লাইন মারার আগে মেয়েটার বায়োডেটা নিয়ে নিবি। মিস নাকি মিসেস সেটা জানাটা ইম্পর্টেন্ট হুম?”
বলে আমার হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেল। আমি ও একটু অবাক হলেও কিছু বললাম না। কারণ এখন ঝাড়ি খাওয়ার শখ আমার নেই। ভেতরে নিয়ে গিয়ে ও বলল,
— ” শোনো তুমি অরু ওদের কাছে যাও আমি সামনে যাচ্ছি।”
আমি মাথা নেড়ে চলে গেলাম। ওরা আমার জন্যে মাঝে একটা সিট রেখেই দিয়েছে। আমি গিয়ে বসতেই ইশু বলল,
— ” আরে ইয়ার আজকেও জিজুকে কী লাগছে এগেইন ক্রাশ।”
অরুও তাল মিলিয়ে বলল,
— ” হ্যাঁ সে আর বলতে হয়। জিজুকে দেখে তো রেগুলার ক্রাশ খাই।”
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,
— ” এই চুপ করবি? সবসময় ছ্যাচড়ামি। জিজু হয় তোদের।”
ঐশি হেসে দিয়ে বলল,
— ” বাহবা কী প্রেমরে? এতো জেলাসি কোথাথেকে আসে?”
আমি অসহায় মুখ করে বুকের বা পাশে হাত দিলাম। ওরা হেসে দিলো। অনেকটা সময় কেটে গেল। প্রোগ্রাম প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ করেই দেখলাম আদ্রিয়ান উঠে কোথাও একটা গেল। আমি ওদের দিকে তাকিয়ে বললাম,
— ” এই চলতো গিয়ে দেখি ও কোথায় গেল।”
বলে উঠে গেলাম, ওরাও এলো আমার সাথে। হঠাৎ একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লেগে ওর বোতলের জুস আমার গায়ে এসে পরলো। আমি কিছু বলার আগেই চলে সে গেল। কী আর করার ওদের ওখানে দাঁড়াতে বলে মনের মধ্যে একগাদা বিরক্তি নিয়ে চলে গেলাম ওয়াসরুমে।সবাই ওডিটোরিয়ামের দিকে। আর ওখান থেকে ওডিটোরিয়াম অনেকটা দূরে তাই কেউ নেই এখানে। ওখানে গিয়ে ক্লিন হয়ে বেড়োনোর সাথে সাথে হঠাৎ কেউ আমার মুখ চেপে ধরল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মুখ চেপে ধরে রেখে আমাকে টেনে একটা ফাঁকা রুমে নিয়ে একপ্রকার ছুড়ে মারল। ফ্লোরে হুমরি খেয়ে পরে ব্যথায় চোখমুখ কুচকে ফেললাম আমি। অন্ধকার রুমটাতে আবছা আলোতে চারজন লোকের অবয়ব স্পষ্ট। আর তাদের পোশাকের ধরণ দেখে আমার বুঝতে একটুও দেরী হলোনা এরা কারা। আর সেটা বুজতে পেরেই ভয়ে হাতপা ঠান্ডা হয়ে গেল আমার।
#চলবে..
( দেরী হওয়ার জন্যে দুঃখিত। বিয়ে বাড়ির ঝামেলা, এডমিশনের প্রিপারেশন সব মিলিয়ে ভীষণ চাপে আছি, আজকেও রিচেইক না করে দিতে হল। তবে পরবর্তীতে নিয়মিত দেওয়ার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ।)