আমি শুধুই তোমার পাঠ-২

#আমি_শুধুই_তোমার
#লেখনিতেঃ লামিয়া ইসলাম তন্নি
#দ্বিতীয়_পর্ব

✘কপি করা সম্পূর্ণ নি/ষিদ্ধ✘
গভীর ঘুমে ডুবে ছিলাম আমি। ঘুমে ডুবে স্বপ্নের রাজ্যে বিচরণে মগ্ন ছিলাম। হঠাৎ-ই কোথা থেকে যেন চোখে তীব্র আলো এসে পরলো। সঙ্গে সঙ্গেই স্বপ্নেরা ছুটে পালালো। ঘুমেরা যেন ছুটি পেল। আমাকে তাদের যাদু হতে মুক্ত করলো। আমি নড়েচড়ে উঠলাম। কিন্তু, আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে। আমি চোখ খোলার আগেই সেই আলোটা কোথায় যেন হাওয়া হযে গেল। আমার চোখের ওপর প্রান্তে আবার আঁধারের মেলা বসলো। ঘুমকন্যারা আবার সুযোগ পেল। মুহূর্তেই আবার হামলে পরলো। আমিও তাদের সঙ্গে আবার ঘুমের রাজ্যে পারি জমানোর জন্য প্রস্তুত হলাম। কিন্তু, ভাগ্য বলে একটা শব্দ আছে না? সেই শব্দটা আমায় সফল হতে দিলো না। আবারও এক মুঠো আলো এসে পরলো আমার বুঁজে থাকা চোখে। আমি এবার বেশ বিরক্ত হলাম। বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে এলো। আমি প্রচন্ড বিরক্ত ও রাগ নিয়ে টিপ টিপ করে তাকালাম। তখনই, আবার ছাঁয়া পরে গেলো। আমি এবার দেড়ি না করে চোখ খুলে ফেললাম। জানালার কাছে একজন পুরুষ মানুষকে উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। পরণে তার জিন্স, আর শার্ট। শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত গুটানো। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। আমি একটু চিন্তায় পরলাম। এই সকাল সকাল আমার ঘরে কে এলো? ডাকাত? সব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে আমি চিৎকার করতে যাব, ঠিক তখনই সে আমার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। বলল,
“উঠে পরলে কেন? অনেক ডিস্টার্ব হচ্ছে?”

লোকটা ঘুরে দাঁড়াতে তাকে চিনতে আমার বেশ অসুবিধা হলো না। বরংো বলা যায়, প্রায় সাথে সাথেই চিনে ফেলেছি। তবে, তার কথাটা বুঝতে আমার কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো। তৎক্ষনাৎ তার কথাটা বোধগম্য হলো না। আসলে, আমার এই এক প্রব্লেম। ঘুম থেকে উঠলে তৎক্ষনাৎ আমার মাথায় কিছু ঢুকে না। নিজের জায়গা, অবস্থা সব ভুলে বসে থাকি। আমাকে চুপ থাকতে দেখে উনি আবার কথা বললেন। বললেন,
“দাঁড়াও আমি দেখছি কি করা যায়।”

উনার কথার জবাবে আমি কিছু না বলে ফোনটা নিয়ে তাতে সময় দেখলাম। সকাল ১০টা। আমি চমকে উঠলাম। উনাকে বললাম,
“এত বেলা হয়ে যাওয়ার পরও আপনি আমাকে ডাকলেন না কেন? ইশশ্, বাহিরে সবাই কী ভাবছেন?”

আমার কথায় উনি মৃদু হাসলেন। যা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় স্পষ্ট আমার চোখে পরলো। তবে, সেদিকে গুরুত্ব দিলাম না। উনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করতে করতে বললেন,
“এত ব্যস্ত হতে হবে না। কিচ্ছু ভাবার নেই। আম্মু জানেন যে, তুমি ঘুমপ্রিয়। তাছাড়া, এ বাড়িতে কিছু ভাবার মতো লোকও নেই।”

আমি আর কথা বাড়ালাম না। বিছানা টেনে ঠিক করে বড় বড় পা ফেলে আলমারির কাছে এগিয়ে গেলাম। আলমারি খুলে কী পরব না পরব চিন্তা করার মাঝেই উনি এগিয়ে এসে একটা বাঙ্গি কালার শাড়ি বের করে দিলেন। বললেন,
“এটা পরো। তোমাকে বেশ মানাবে।”

উনার কথার উত্তরে আমি মুখটা গম্ভীর করে ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই উনি জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বললেন,
“পছন্দ না হলে থাক। দেখো, আরও অনেক আছে। তোমার যেটা ভালো লাগে, সেটাই পরো।”

কথা শেষে উনি শাড়িটা আলমারিতে তুলে রেখে বেরিয়ে গেলেন। যাওয়ার আগে বললেন,
“আমি বাহিরে যাচ্ছি। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিও।”

~~~~~~~~~~~~~

বিকাল ৫টা বেজে কিছুক্ষণ। বসন্তের শেষ বিকেল। প্রকৃতিতে মৃদু শীতের পাশাপাশি মৃদু গরমের ছোঁয়া। খোলা জানালা দিয়ে পশ্চিমাকাশের বুকে ঢোলে পড়া সূর্যের এক ফালি রশ্মি এসে বিছানায় পড়ে বিছানা কেমন সোনার মতো চকচক করছে। বিকেলের মৃদ হাওয়ার তালে দুলছে জানালার পর্দাগুলোও। আমি খাটের মাঝখানটায় বসে হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে আছি। মনটা ভীষণ খা/রাপ। আমার মন খা/রাপের আবার প্রকারভেদ রযেছে। প্রথমমত তা দুই প্রকার বলা চলে। প্রথম যেই প্রকারটা? তা হলো, ‘বিনা কারণের মন খা/রাপ’। এটা আমার বছরে যখন তখন হুটহাট করে হয়ে যায়। তবে, বেশিরভাগ সময় হয় বৃষ্টির দিনে আকাশে গুমোট কালো মেঘ করলে। আবার হয়, বসন্ত কালে পড়ন্ত বিকালে। এই মন খা/রাপটা মোটামুটি বেশ গভীর হয়। এটা চলতে থাকে টানা ২ মাস ধরে। যতদিন না বসন্ত শেষ হয়ে, গ্রীষ্মের দেখা মিলে? ঠিক ততদিন! এই মন খা/রাপটা না, হুট করে ভালোও হয় না। বরং, বিনা কারণেই কান্না পায়। কেমন একা একা লাগে। অদ্ভুত অনুভূতি হয়। যা আমি বুঝতে পারি না৷ এই অনুভূতির কারণটাও আমি জানি না। আপাতত, আমি সেই মন খা/রাপেই ভুগছি। আমার কোনো কারণ ছাড়াই কান্না পাচ্ছে। একটু আহ্লাদ পেতে ইচ্ছে করছে। কেঁদে কেঁদে কারো শার্ট ভিজিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কি আশ্চর্যকর চিন্তা! কারণ, আমি কারো সামনে কান্নাকাটি একদম পছন্দ করি না। কেমন লোক দেখানো মনে হয়। এমনকি, এমন চিন্তা আমার আগে কখনো হয়নি। অভ্রর কাছাকাছি থেকেও না। কিন্তু, আজ হচ্ছে। আমি ভীষণ অবাক হলাম। বিরস মুখে জানালার বাহিরে তাকিয়েই বসে রইলাম।

~~~~~~~~~~~

সন্ধ্যা ৭টা বেজে কয়েক মিনিট। ড্রইং রুমের সোফাতে এক হাত ঘোমটা টেনে বসে আছি আমি। আমায় ঘিরে বসে আছেন ৪-৫ জন মহিলা ও দু’জন কিশোরী। বয়স আর কত? ১৫ কি ১৬! তারা আমার শ্বাশুড়ির পরিচিত। বলতে গেলে বান্ধবীর মতো আরকি! তো, বান্ধবীর ছেলের বউকেই দেখতে এসেছে। আমার শ্বাশুড়ি তাদের জন্য চা-নাস্তার আয়োজন করছেন। ননদটাও তাকে সাহায্য করছে। এদিকে আমার স্বামী নামের আ/সামিটা ঘরের ভিতর কী করছে আল্লাহ্ জানেন! এতগুলো অচেনা মানুষের মাঝে একা একা বসে থাকতে কেমন লাগে? তাছাড়া, এভাবে! নিজেকে আমার রোবট মনে হচ্ছে। রাগে বিরক্তিতে আমার মুখ তিঁতা হয়ে এলো। হঠাৎ কেউ একজন আমার ঘোমটা তুলল। আমি চোখ তুলে তাকাতেই একজন ৪৫ কি ৪৬ বছর বয়সী মহিলাকে দেখতে পেলাম। মহিলাটা আমাকে দেখেই চোখ বড় করে তাকালো। বলল,
“মাশাআল্লাহ্, মাশাআল্লাহ্! ইব্রাহীমের মা তো সেরকম একটা বউ আনছে।”

ওনার কথা শুনে উপস্থিত বাকীরাও একে একে উঠে এলের আমাকে দেখতে। বিশ্বাস করেন! ঠিক এই মুহুর্তে আমার নিজেকে কোনো সার্কাসের জোঁকার ছাড়া কিচ্ছু মনে হলো না। আমি মনের ভেতর রাজ্যের বিরক্ত নিয়ে মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করলাম। তবে, বেশি সফল হলাম না। তারপর, হাসার চেষ্টা করে সালামখানা দিলাম। সবাই একত্রে সালামের জবাব নিলো। আরেকজন বলে উঠলো,
“বাহ্! বউ দেখতে যেমন। আদব-কায়দাও দেখি সেরকমই!”

তারপর, আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
“তা, মা? নাম কী তোমার?”

সময়ের সাথে সাথে আমার বিরক্তি বাড়লো বৈ কমলো না। সেই সাথে তাদের এত প্রশংসাও সহ্য হলো না। তবুও, নিজের বিরক্তিটাকে দমিয়ে রেখে বললাম,
“লামিয়া ইসলাম তন্নি।”

“খুব সুন্দর নাম। তা তুমি কী করো, মা?”

এবার যেন আমার আর সহ্য হলো না। রাগে-দুঃ/খে কান্ন পেল। তখনই, রান্নাঘর থেকে মা বেরিয়ে এলেন। বললেন,
“পড়াশোনা করে আমার মেয়ে।”

মায়ের কন্ঠস্বর শুনো স্বস্তি পেলাম। যাক, এবার অন্তত প্রশ্নের থেকে বাঁচলাম। এরই ভেতর দেখলাম, আমার পাশে বসে থাকা মেয়ে দু’টো বরাবর আমাদের শোবার ঘরের দিকে উঁকি দিচ্ছে। ব্যাপারটা আমার ঠিক সুবিধার মনে হলো না। তখনই, আমার আ/সামি মহাশয় রুম থেকে বেরিয়ে এলেন। ডাইনিং-এ দাঁড়িয়ে এক পলক চাইলেন আমার দিকে। তারপর, রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন। বোনকে কী বললেন কে জানে! কিছুক্ষণের মাথাতেই বেরিয়ে এলেন সেখান থেকে। এরপর আরেক পলক আমার দিকে তাকিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। আমি আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম, এইযে উনি রুম থেকে বের হলেন। রান্নাঘরে গেলেন। তারপর, আবার ঘরে ফিরে গেলেন? পুরোটা সময় মেয়ে দু’টো যেন তাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিল। আবার উনি যখন এদিকে তাকালো, তখন তারা লজ্জায় লাল, নীল, গোলাপি, বেগুনী হয়ে যাচ্ছিল। মুহূর্তেই আমার মেজাজ তুরঙ্গে উঠে গেল। একে তো এখানে সার্কাসের জোঁকার সেজে বসে আছি। তার উপর কিনা, আমার জামাইকে অন্য কেউ চোখ দিয়ে গিলছে? আমি তাকে ভালো না বাসি। কিন্তু, সে তো আমার জামাই না? আমার জামাইকে অন্যকেউ কেন দেখবে? কিন্তু, মেয়েগুলোকে তো কিছু বলতে পারবো না। ওদের তো চিনিও না। তবে, তার খবর আছে। কী দরকার ছিল বের হওয়ার? আজকে তার একদিন কি আমার একদিন!

নিজের মনে মনে কথাগুলো ভেবে চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস টেনে নিলাম। তারপর, সোফা থেকে উঠে গিয়ে মাযের পাশে দাঁড়ালাম। বললাম,
“আপনি অনেকক্ষণ কাজ করেছেন, মা। এবার আপনি বসে আন্টিদের সাথে কথা বলুন। বাকিটুকু আমি করছি।”

আমার কথায় মা মুচকি হেসে মাথায় হাত বুলালেন। বললেন,
“তুই আসছিস। এখন থেকে তো সব তুই-ই করবি। তবে, আজকে আমি করি।”

মায়ের কথা আমি শুনলাম না। তাকে নিয়ে সোফায় বসিয়ে দিয়ে আমি রান্নাঘরে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে কাজে হাত দিলাম। আমার কান্ড দেখে তাইয়্যেবাহ্ ভ্রু কুঁচকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো। কিন্তু, কিছু বুঝলো না হয়তো। তাইতো কিছুক্ষণের মাথাতেই শুধালো,
“কী হলো, ভাবী? সাপের মতো এমন ফুঁস ফুঁস করছো কেন?”

তাইয়্যেবাহ্’র প্রশ্নে ফিরে তাকালাম। পাশেই ফ্রিজ চোখে পরলো। বললাম,
“ফ্রিজে পানি আছে?”

আমার কথার আগামাথা হয়তো মেয়েটা বুঝলো না। বুঝবে কী করে? নিতান্তই বাচ্চা যে! বয়স আর কত হবে? পনেরো! সে বোকার মতো মাথা নাড়লো। আমি বললাম,
“আগে আমাকে পানি দে। ডোন্ট মিক্স! পারলে বরফ দিস।”

আমার কথা শুনে সে বোকার মতো তাকিয়ে রইলো। আমি একটা ধমক দিতেই জলদি করে ঠান্ডা পানি এনে সামনে রাখলো। আমি ৩ ঢোকে পানিটা শেষ করে জোড়ে জোড়ো নিঃশ্বাস নিলাম। তারপর, কিছুটা সময় চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পর মাথা আপনা-আপনিই ঠান্ডা হয়ে গেল। আমি ফিরে তাকালাম তাইয়্যেবাহ্’র দিকে। সে আমার দিকেই তাকিয়ে ছিল। আমাকে তাকাতে দেখে বলল,
“আর ইউ জেলাস, ভাবী?”

তাইয়্যেবাহ্’র কথায় আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। জবাবে সে হেসে কেবিনের উপর উঠে বসলো। আমি অবাক হয়ে দেখলাম! কি চমৎকার মেয়েটার হাসি। একদম তার ভাইয়ের মতো। তাইয়্যেবাহ্’র কন্ঠে ভাবনা ছেঁদ হলো। সে বলল,
“একটু আগে দাদাই রান্নাঘরে আসার সময় প্রীতি আর তানহা দাদাইর দিকে তাকিয়েছিল, তাই না?”

তাইয়্যেবাহ্’র সুন্দর হাসি আমাকে যতটা না অবাক করেছে, ওর কথা তার থেকেও বেশি অবাক করেছে। ও কীভাবে জানলো, এই কথা? তার মানে, এই মেয়েগুলো আগেও এমনটা করেছে? আমার ভাবনার মাঝেই তাইয়্যেবাহ্ হেসে বলল,
“ওরা ভালো হবে না। এর আগেও দু’বার ওদের মায়ের সাথে এসেছে। একই কাহিনী করেছে। একবার তো দাদাইকে প্রপোজ করেও দিয়েছে। সেটাও দু’জন একসাথে। দাদাই বুঝিয়েছে যে, তারা ছোট। কিন্তু, কে শোনে কার কথা? তানহা তো বলেছিলও যে, তার ১৬ বছর। সে এসএসসি দিবে। ব্লা ব্লা! এমনিক, সে তো প্রীতির থেকে একধাপ এগিয়ে। দাদাই না করার পরও একবার তো সে সোজা দাদাইয়ের বেডরুমে চলে গিয়েছিল। ভাগ্যিস, দাদাই বাসায় ছিল না। আর, আমি দেখতে পেয়েই ওকে নিয়ে বাহিরে চলে এসেছিলাম। নয়তো, দাদাই থাকলে ওর খবর ছিল।”

এই প্রীতি আর তাহনার কান্ড শুনে আমার যতটা রাগ হলো, তার থেকেও বেশি সন্দেহ হলো তাইয়্যেবাহ্’র শেষ কথায়। আমি গম্ভীর স্বরে শুধালাম,
“কেন? কী করতো, তোর দাদাই? কিস টিস করে ফেলতো নাকি?”

আমার কথায় তাইয়্যেবাহ্ শব্দ করে হাসলো। বলল,
“তুমিও না ভাবী, কিযে বলো! রাগে মনে হয় তোমার মাথা ন/ষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

তারপর, পা ঝুলাতে ঝুলাতে বলল,
“বাহিরের কেউ দাদাইয়ের রুমে এলাউড না। যদি ওকে দেখে ফেলতো? তবে, ওয়ার্নিং ছাড়া ওকে তুলে নিয়ে ৭ তলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিতো। আ’ম সিওর।”

তাইয়্যেবাহ্’র কথায় আমি চোখ বড় করে তাকালাম। আমি জানতাম, সে রাগী। বাট, এতটা জানতাম না! সামান্য রুমে ঢোকার জন্য ফেলে দিতো! কই? বছর খানেক আগে একবার আমিও তো ঢুকেছিলাম। কিছু বলেনি তো! তাইয়্যেবাহ্ আবার বলল,
“দাদাই যতটা শান্ত? রেগে গেলে তার থেকেও ভ/য়ানক। সে সহজে রাগে না। তবে, তার অপছন্দের কাজ কেউ করলে, তাকে কেউ শান্ত করতে পারেনা।”

তাইয়্যেবাহ্’র কথায় আমি ফুস করে নিঃশ্বাস ছাড়লাম। মনের মাঝে একটু ভ/য় কাজ করলো। কাল থেকে শুরু করে যা যা করছি, এই মহান ব্যক্তি কখন যেন আমাকে না ৭ তলা থেকে ফেলে টেলে দেয়। কথাটা মনে পড়ে একটু ভ/য় হলো। কিন্তু, আমাকে ভ/য় পেলে চলবে না। আগে এর ক্লাস নিতে হবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে আমি চা নাস্তাগুলো ট্রে-তে সাজিয়ে তাইয়্যেবাহ্’কে চায়ের ট্রে-টা আনতে বলে আমি নাস্তার ট্রে-টা নিয়ে ড্রইং রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম।

~চলবে…?

(#বিঃদ্রঃ কালকে ‘পারবোনা আমি ছাড়তে তোকে-২’ দিব। ধন্যবাদ🖤)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here