অবেলার প্রেম পাঠ-৩

#অবেলার_প্রেম
#পর্বঃ৩
#অলিন্দ্রিয়া রুহি

ভেজা তুলোর মতো পেলব মেঘেদের দল যাত্রা করেছে দক্ষিণে। ফাগুনের কলেজ ছুটি হয়েছে। দু’হাতে ব্যাগ ধরে উঁচু ঝুঁটিটা এদিক সেদিক নাড়িয়ে ফড়িং এর মতো লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে আসছে সে। তার মন জানে, দিগন্তের সাথে আবারও দেখা হবে। বাড়ির সামনে নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু দিগন্তের বাড়ির সামনে কারো দেখাই পাওয়া গেল না। চেহারার ঝিলিমিলিটা মুহূর্তেই উবে গেল। দিগন্ত কোথায়?
পরক্ষণেই উত্তর এলো ভেতর বাড়ি থেকে,
-‘সে কী তোমায় বলেছে যে তোমার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে? নাকি সে তোমার কিছু হয়? এত কেন ভাবো সবসময়?’
কিন্তু আরেক মন মানতে নারাজ। অল্প কিছু ঘন্টা পরিচয়ের অথচ কী তীব্র টান! ভালো করে চেনে না জানে না,অথচ তার সাথে মন বাঁধতেই উচাটন ভেতরটা!? কী অদ্ভুত প্রেমের সংজ্ঞা!
গুমোট মুখটা নিয়ে ক্ষণকাল তাকিতুকি পেরেও কোথাও দিগন্তের দেখা পাওয়া গেল না। অগত্যা এক মুঠো মন খারাপ নিয়ে বাড়ির দিকে এগোলো।

ছাদের রেলিং ঘেঁষে নিচু হয়ে থাকা দেহটা এবার উঁকি দিলো পূর্ণ রূপে। ফাগুন তাদের বাড়িতে ঢুকে গেছে। দেহটার চেহারা উজ্জ্বল, ঠোঁটে জ্যান্ত হাসি। প্রথম দেখায় যাকে ভালো লেগে গেছে, সেও যে তাকে পছন্দ করে- এটা মোটামুটি না পুরোটাই নিশ্চিত দিগন্ত। তবে আর দেড়ি কেন? মনের কথাটা বলে বন্ধুত্ব আগানো যায় না? এই বন্ধুত্ব গড়াতে গড়াতে কোথায় গিয়ে থামে সেটাই দেখার বিষয়। বিজয়ী ভঙ্গিতে ঘরের দিকে পা বাড়ালো সে। আজকে ফাগুনের সামনে নিজেকে ধরা না দিয়ে ফাগুনের অনুভূতির সাক্ষাৎ পাওয়া গেল- এই জন্য ভীষণ আনন্দিত সে।

কলেজ ব্যাগটা টেবিলের উপর রেখে নিজের বিছানায় হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ল ফাগুন। ক্লান্ত সে। মুখটা ঘামে ভেজা। ঘটরঘটর ফ্যান চলছে। অথচ গরমের কমতি নেই। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা গ্রিন হাউজ গ্যাসের সাথে এই সামান্য ফ্যান আর কতই বা পারবে লড়তে? বড় আপার ঘরে এসি আছে অবশ্য। ফাগুন নাকি ভার্সিটিতে উঠলে তার ঘরেই লাগিয়ে দিবে- বাণীতে বাবা। কিন্তু ফাগুন জানে এসির হিমশীতল হাওয়ায় ঘুমানোর কপাল তার কোনোকালেই হবে না। ওই বলা পর্যন্তই শেষ। আপাকে যে কেন এত ভালোবাসেন বাবা!

একটা পরিচিত মুখ উঁকি দিলো।
গম্ভীর কণ্ঠটি নাড়িয়ে বলল,
-‘আমার ঘরে আয় একটু।’
ফাগুন তড়িৎ উঠে বসল। মিলি আপা কথাটা ছুঁড়ে দিয়েই চলে গেছে। একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে ক্লান্ত শরীরটাকে টেনেটুনে মিলির আপার ঘরে নিয়ে গেল ফাগুন। এসি চলছে। আরাম লাগছে খুউউব!
বিছানার উপর বসতেই চোখজোড়া ঘুমে বুজে আসতে চাইলো ফাগুনের। মিলি আপা পড়ার টেবিলে বসা। তার চোখের সামনে ল্যাপটপের স্ক্রিন। টকটক করে কিছু একটা টাইপ করছে। ফাগুন এই সুযোগে একটু শুয়ে নিলো। কিন্তু কেন ডাকলো মিলি আপা, কী কারণ,কী বলবে- একবারও সেসব নিয়ে প্রশ্ন করার কথা মাথায় এলো না তার। ক্ষণকাল কাটে। নিজের কাজ শেষ করে বিছানায় এলোমেলো শুয়ে থাকা ফাগুনের দিকে তাকাল মিলি। ফাগুনের চোখজোড়া বন্ধ,ঘন শ্বাস পড়ছে। ফাগুন কী ঘুমিয়ে পড়ল?
বিরক্ত হয় মিলি। ভ্রু কুঁচকে চোখের চশমাটা ঠিক করে হেড়ে গলায় ডাকল,
-‘ফাগুন..এই ফাগুন।’
ফাগুনের হঠাৎ আসা ঘুমটা হঠাৎ করেই চলে গেল। ধড়মড়িয়ে উঠে বসল সে। এক হাতে চোখ ডলতে ডলতে জবাব দিলো,
-‘বলো আপা।’
-‘আমি তোকে ঘুমানোর জন্য ডাকি নাই এখানে।’
চিবিয়ে চিবিয়ে বলল মিলি, সে যারপরনাই বিরক্ত। খানিকটা রাগও। কিন্তু কেন?
ফাগুনের ঘুম ঘুম ভাবটা এবার কেটে গেল পুরোপুরিভাবে। সে স্পষ্ট চেয়ে নিচু গলায় বলল,
-‘সরি আপা। কলেজ করে আমি টায়ার্ড আসলে।’
-‘বাদ দে।’
রাগ চাপিয়ে গম্ভীর কণ্ঠটি নাড়লো মিলি।
ফাগুন প্রসঙ্গ পালটে বলল,
-‘আচ্ছা, কেন ডাকলে? কিছু বলবে?’
-‘হুম।’
চট করে সোজা হয়ে বসল মিলি। তীক্ষ্ণ চোখে ফাগুনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে প্রশ্ন ছুঁড়লো,
-‘পাশের বাসার ওই ছেলেটার সাথে কী সম্পর্ক তোর?’
-‘আ..মা..র!’
অবাক ফাগুন। দিগন্তের কথা আপা কীভাবে জানলো! সর্বনাশ, আব্বু আম্মু জানতে পারলে রক্ষে নেই। তড়িঘড়ি করে ফাগুনের উত্তর,
-‘কোনো সম্পর্ক নেই আপা। কার কথা বলছো তুমি? দিগন্ত ভাই?’
-‘ও..ওর নাম তাহলে দিগন্ত!’
অস্ফুট বাক্যবাণ, কিন্তু ফাগুনের কানে গেল। সে নত মুখে বলল,
-‘হুম। উনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
চটকা ভাঙে মিলির। কী যেন ভাবছিল সে,
-‘তাহলে এত হেসে হেসে কথা বলছিলি কেন সকাল বেলায়? আর সে তোর পিছু পিছু যাচ্ছিল কেন? ঘটনা কী ফাগুন? তুই কী চাস আব্বু আম্মু জানুক এসব? জানতে পারলে কী হবে তার আইডিয়া দেবো আমি?’
-‘না আপা প্লিজ! বিশ্বাস করো,উনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। উনার কাছে…একটা বই পাই আমি। ওটা নিতেই সকালে কথা বলছিলাম। আর উনি এমনিতেই ফাজলামো করছিল আমার সাথে। এইটুকুই..’
একটু থেমে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য ফের বলল ফাগুন,
-‘আর উনি কতবড় আমার চেয়ে! উনার সাথে আমার.. যায় বলো?’
-‘একদম যায় না। গুড,ভেরি গুড বোঝার জন্য এটা। তোর সাথে উনার একদমই যায় না, যায় না, যায় না…খালি সৌন্দর্য আছে বলেই যাকে তাকে নিজের আশিক ভাবিস না খবরদার। আজকে বারান্দা থেকে আমি না দেখে আব্বু বা আম্মুও কিন্তু দেখতে পারতো।’
-‘আই এম সরি।’
বলে মুখটা যত সম্ভব নিচু করে নিলো। মিলি ঠোঁটে হাসে,একটা নাই নাই হাসি। ল্যাপটপে আঙুল বুলাতে বুলাতে বলল,
-‘তুই আমার ছোট বোন। তোর ভালো চাই সবসময়। মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা কর। আদার কিছুতে জড়িতে যাস না।’
-‘আচ্ছা।’
গুমোট কণ্ঠস্বর, মনটা বিষিয়ে যাচ্ছে। ফাগুন উঠে দাঁড়াল।
-‘আমি আসি আপা?’
-‘আয়।’
অনুমতি পেয়ে দ্রুত ঘর ছাড়ে ফাগুন। ও চলে যেতেই মিলির ঠোঁটজোড়া হাসিতে ভরে উঠল। ফেসবুকে ঢুকে দ্রুত দিগন্ত নাম দিয়ে সার্চ করল। অনেক গুলো আইডি, কোনটা দিগন্তের কে জানে!

-‘গেল গেল গেল, আমার সব কাপড় ভিজে গেল… বলি আমি কী এই ঘরের চাকরানি? আমার একার উপর দায়িত্ব সব কাজের? একটু শুয়েছি, কারো কোনো খেয়াল নেই আমার উপর!’
নিলুফার বিছানায় শুয়ে শুয়েই চেঁচাচ্ছেন। ভাতঘুম ছুটে গেল তাতেই ফাগুনের। উঠে চোখ মেলতে দেড়ি, দৌড় দিতে দেড়ি হয়নি। আর কয়েক সেকেন্ড দেড়ি হলেই মা এসে গায়ের উপর বসিয়ে দিতেন। তার সাথে কেন এত অবিচার? মিলি আপাও তো ঘুমিয়ে। কই তাকে তো কেউ বিরক্ত করে না। সবসময় সবকিছুর দোষ, বকা- সব কেন ফাগুনের জন্যই তোলা?
ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি নামছে। ছাদে গিয়ে বৃষ্টির অবস্থা দেখে হতাশ ফাগুন। হাল ছেড়ে দিয়েছে জামা কাপড়ের। ইতিমধ্যে সবই ভিজে গেছে। তাই দৌড়াদৌড়ি করে তোলার দরকার নেই। ধীরেসুস্থে ঠান্ডা মাথায় বৃষ্টিতে কাবু হয়ে একে একে জামা গুলো তুলছিল আর একটা ছোট বালতিতে রাখছিল। এগুলো ভেজার জন্যও মা তাকে দুষবে। তারপর বলবে শাস্তি হিসেবে সব ধুয়ে শুকিয়ে আনতে। ফাগুন জানে। তার মন এতোটাই খারাপ যে সামনের বিল্ডিং এ দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ানো কৃষ্ণ চোখের অধিকারীকে চোখেই পড়ল না।

দিগন্ত কয়েক সেকেন্ড অপলক দেখে গেল ফাগুনকে। ফাগুনের ঠোঁটে হাসি নেই, বৃষ্টিতে ভেজার আকুলতা নেই। দিগন্ত এগিয়ে এলো। নিজেও বৃষ্টিতে ভিজে রেলিং এর কাছে গেল। তার ঘন গলার স্বরটি নাড়িয়ে বলল,
-‘আজ পরীর মন খারাপ কেন?’
আচানক কথায় চমকে উঠল ফাগুন। হাত থেকে বালতি ছিঁটে পড়ল। কিছু কাপড় জমিনে পড়ল। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে আসে তার। দিগন্তের দিকে তাকিয়ে ধমক লাগালো মুহূর্তেই।
-‘আপনার কোনো কান্ডজ্ঞান নেই? এভাবে ভয় দেখায় কেউ! ধুরো..’
বলতে বলতে নিচ থেকে বালিতে পানিতে জড়াজড়ি কাপড়গুলো তুলে আবার বালতিতে ভরতে লাগল। আজকে পিঠে তাল পড়ে কীনা মায়ের, কে জানে!
ধমক খেয়ে কোনো হেলদোল নেই দিগন্তের। সে নির্নিমেষ চেয়ে।
ঠোঁটে হালকা হাসি ফুঁটিয়ে বলল,
-‘আজ কেমন গৃহিণী গৃহিণী লাগছে তোমাকে ফাগুন! কেমন বউ বউ..’
হাত থমকে গেল। কিছু একটা কান দিয়ে ঢুকে হৃদপিণ্ডে গিয়ে আঘাত করল। অদ্ভুত চাউনি নিয়ে ফাগুন তাকাল দিগন্তের দিকে। দিগন্ত উচ্চ শব্দে হেসে উঠল।
-‘ইশশিরে.. লজ্জায় দেখি লাল হয়ে গেছো এইটুকুতেই! আরও যা যা বলার বাকী তা শুনে কী করবে তুমি?’
ফাগুন চোখ সরিয়ে নতমুখে কপট ধমকের মতো করে বলল,
-‘যান.. আপনি অনেক পঁচা তো।’
-‘নিজের মানুষের কাছে ভালো কী খারাপ কী!’
-‘আ..আমি আপনার নিজের মানুষ?’
-‘যদি বলি মজা করলাম..’
উজ্জ্বল মুখটা ফাটা বেলুনের ন্যায় চুপসে গেল।
কপালে ভাঁজ ফেলে রাগ মুখ করে বলল ফাগুন,
-‘তাহলে আমিও মজা করেছি। আপনিও আমার কেউ না..যান..’
-‘তাই? বুকের উপর হাত রেখে বলতে পারবে আমি তোমার কেউ না?’
কেঁপে উঠে ফাগুন। এই কথা সে কখনোই বলতে পারবে না। দিগন্ত তার কতটুকু জায়গা দখল করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই তা বোঝানোর মতো নয়। কিন্তু স্বীকারও যে করতে পারবে না! একদিনের দেখায় কেউ কাউকে ভালোবাসতে পারে? শুনলে লোকে হাসবে! নিজের অতিদামী ভালোবাসাকে অন্যের হাসির পাত্র করতে চায় না ফাগুন।
সে প্রসঙ্গ পালটে বলল,
-‘আগামীকাল ঠিক আটটায় আসবো আমি। আমার বইটা দিয়ে দিয়েন।’
-‘আমার প্রশ্নের উত্তর এই?’
ঘন কণ্ঠস্বর, সেই মাদক ভরা চাউনি- বৃষ্টির ছন্দে অনুভূতিদের বেড়াজালে আঁটকে থেমে থেমে কেঁপে উঠছে ফাগুন। দু কদম পিছিয়ে যেতে যেতে বলল,
-‘আ..আমি যাই। মা.. মা বকবে।’
তারপর পেছন ঘুরে এক দৌড়ে সোজা বাসায়।
দিগন্ত হেসে উঠল। ভারী মজা পাচ্ছে সে। মেয়েটা অদ্ভুত! প্রেম-ভালোবাসার কথা উঠলেই পালায় শুধু..নিজেকে এত গোপন করতে চায় কেন? কীসের দ্বিধা তার? ফাগুনের চোখে স্পষ্ট ভালোবাসা দেখতে পেয়েছে দিগন্ত। সেই ভালোবাসার বারিপাতে সিক্ত হতে চায় সে। কিন্তু মেয়েটা ধরা দিলে তবেই না!

এরপরের রাতটা কেটে গেল নির্ঘুম। সারারাত কেঁদে কেঁদে শিয়রের বালিশটা ভিজিয়ে ভোরের দিকে উঠে পড়ল ফাগুন। ওজু করে নামাজ পড়ে মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে একটিই প্রার্থনা তার, ‘মানুষটা যদি তার হয়, তাহলেই যেন ভালোবাসার বৃষ্টি নামে। নইলে অবেলার এই প্রেম অবেলায়ই হারিয়ে যাক। যাকে পাবে না তার জন্য ভালোবাসা না আসুক। ভালোবাসা একা আসে না, দুঃখ কষ্ট নিয়ে আসে। অত দুঃখ কষ্ট সইবার মতো প্রাণ ফাগুনের নেই। যদি কেঁদে হালকা হওয়ার জন্য তার কাঁধটা পাওয়া যায়,তবে কান্না আসুক। নইলে চলে যাক..দূরে,বহুদূরে চলে যাক এসব অনুভূতি। এদের সাথে লড়াই করার মতো শক্তি যে ফাগুনের নেই।’

আল্লাহ ওর দোয়া বোধহয় কবুল করলেন।
দিগন্তের থেকে বই আনতে গেলে দিগন্তকে পাওয়া গেল না। দারোয়ান একটা বই আর একটা কাগজ বের করে দিয়ে বলল,
-‘ধরেন। ভাইজান আমনেরে এডা দিতে কইছে।’
ফাগুন অবুঝের মতো ধরল। মুখ ফুঁটে একবারও জিজ্ঞেস করতে পারল না, ও কোথায়? কেন এলো না আজ দেখা করতে?
ফোলা মুখ, কান্নায় টলমল চোখজোড়া ও একটা ভাঙা মন নিয়ে কলেজের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলল ফাগুন। বইটা ব্যাগে ভরে কাগজটা মেলে ধরে পড়তে শুরু করল।
খুব সুন্দর হাতের লেখা!

অচিন পাখি, ধরতে গিয়েও ধরতে নাহি পারি
প্রথম দেখায় ভেবেছিলাম,
আমি বন্ধু তোমারই।
ভাবিনি তো আমার ভাবনায় এতবড় ভুল!
ভালো থেকো, সুখে থেকো
অচিন পুরের ফুল।

শেষ চিরকুট, আর কোথাও কিচ্ছু লেখা নেই!
ফাগুন রাস্তায়ই জমে গেল। উল্টেপাল্টে বারবার কাগজখানা দেখল। নাহ,কোত্থাও আর কিচ্ছুটি লেখা নেই। তবে কী, তবে কী যে ভালোবাসা আসতে চলেছিল, তা আসার আগেই হারিয়ে গেল? তবে কী আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন ওর দোয়া? দিগন্ত বোধহয় ওর কপালেই ছিল না। তাই কিছু একটা হওয়ার আগেই হারিয়ে গেল!
ভালো…বিড়বিড় করে বলল ফাগুন। দুমড়ে মুচড়ে কাগজটা ফেলে দিতে গিয়েও ফেলল না। মুঠোর মধ্যে শক্ত করে চেপে ধরে টলটলে চোখ নিয়েই কলেজের দিকে হাঁটতে লাগল।

চলবে…
[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here