#the_unlimited_love❤️
#part_10
#writer_nusrat
“বাহ মিস্টার আদিল খান আমার ভালোবাসাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে এখন বলছেন কে আমি৷ হাউ ফানি?”
“দিস ইজ হুয়াট ইউ আর সেয়িং??আমি কারও ভালোবাসা কেড়ে নেয়নি৷ আর হেয়ালি না করে সোজাসুজি বলবেন কী কে আপনি”???
“ওকে ফাইন বলছি কে আমি৷ তার আগে বাহিরে চলুন সেখানে না হয় বলবো৷ এভাবে দরজায় দাঁড়িয়ে বলা যায় নাকি৷”
“আচ্ছা চলুন”
আদিল ছেলেটাকে নিয়ে তাদের গার্ডেনে গেলো৷
“এখন বলুন৷আপনি কোন ভালোবাসার কথা বলেছিলেন”৷??
“আমি আরুহির কথা বলছি৷ আমি ওর বয়ফ্রেন্ড৷খুব ভালোবাসি আমরা দুজন দুজনকে৷”
“হুয়াট ননসেন্স!!! কী বলছেন আপনি এগুলো৷ আরুহির বয়ফ্রেন্ড মানে৷”
“হ্যা আমি আরুহির বয়ফ্রেন্ড৷ আর আমি কোনো মিথ্যা কথা বলছিনা৷”
“আমি আপনার কথা বিশ্বাস করিনা৷ আর করবই বা কেন৷ কোন অপরিচিত ব্যক্তি এসে বললো আর আমি বিশ্বাস করে নিবো৷ অতটাও বোকা নই৷”
“ওকে ফাইন,,আমি জানি আপনি ট্রাস্ট করবেননা৷ সেদিন রাতে আরুহি আমার সাথে দেখা করার জন্য ক্লাবে গিয়েছিলো৷ বিশ্বাস না করলে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করতে পারেন৷ যদি আমার এই কথাও আপনার বিশ্বাস না হয় তাহলে আমার কাছে আরও প্রমাণ আছে সেগুলো দেখাচ্ছি৷”
ছেলেটা ফোন বেড় করে ট্রায়াল রুমের জড়িয়ে ধরা ফটোগুলা দেখালো৷
এসব দেখে আদিল পাথরের মুর্তির মতো দাড়িয়ে আছে৷ ভাবতেই পারছেনা আরুহি এতোটা নিচ৷ সাথে তার প্রচন্ড রাগও হচ্ছে৷
“আই হোপ আপনার এখন বিশ্বাস হয়েছে৷ আর পারলে আমার আরুহিকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েন প্লীজ৷ ও আমায় সেদিন কল করে খুব কেদেছিলো৷ আর বলে ছিলো ও আমায় ছাড়া বাচবেনা৷ আর আপনি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েন৷ খুব ভালোবাসি আমি ওকে৷ তাই ওর কথা ফেলতে পারিনি৷ আর আপনার সাথে দেখার করতে চলে এসেছি৷ এখন আমি আসি তাহলে”৷
কথাটা বলে ছেলেটা চলে গেলো৷ আর যাওয়ার আগে বলে গেলো,,
“সবসময় আমরা যা দেখি তা সত্য হয়না৷ তাই যা করবেন ভেবে চিন্তে করবেন৷”
“আমি ভেবে নিয়েছি আমি কী করবো৷” (মনেমনে)
_______________________
ফ্লোরে এখনো বসে আছি আমি৷আর ভাবছি কি থেকে কি হয়ে গেলো৷মাও বাড়িতে নেই রুবাও হোস্টেলে চলে গেছে খুব একা একা লাগছে৷ হঠাৎ দরজা খুলার আওয়াজে ধ্যান ভাঙলো আমার৷ তাকিয়ে দেখলাম উনি এসেছেন৷ আমি উনাকে দেখে সাথেসাথে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম৷ উনি রেগে তেড়ে আসলেন আমার দিকে৷ তারপর আমার হাত ধরে টেনে দাড় করিয়ে আবার চড় বসিয়ে দিলেন গালে৷ আগের চড় খুব জোরেই পরেছিলো যার জন্য খুব ব্যথা করছিলো৷ এখন আবার একই জায়গায় চড় দেওয়ায় গাল আরও বেশি ব্যথা করছে৷
“সোহাকে খারাপ প্রমাণ করতে চাইছিলে আমার কাছে৷ তুমি নিজে কতটা ভালো তা আমার জানা হয়ে গেছে৷ ভাগ্যিস আজ তোমার প্রাক্তন প্রেমিক এসে সব বলে গেলো নাহলে তো জানতেই পারতাম না তুমি যে এতটা নিচ থার্ড ক্লাসের মেয়ে৷ ক্লাবে যাওয়া ট্রায়াল রুমে গিয়ে প্রাক্তনকে জড়িয়ে ধরা এসব শুধু তোমার দ্বারাই সম্ভব৷ আমার সন্দেহ ওই ঠিক৷ সেদিন তুমি সোহাকে শাসানোর জন্য নয় নিজের প্রাক্তনের সাথে ডেট করতে গিয়েছিলে,,” ( চিৎকার করে)
“এসব আপনি কী মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন আমার উপর৷ সেদিন আমি আপনাকে ফলো করতে গিয়েছিলাম৷ আপনি ক্লাবে গিয়ে কী করেন সেটা দেখার জন্য৷”(কাদতে কাদতে)
“ওহ আমাকে তোমার মতো মনে করো নাকি৷ যে তুমি যা করে বেড়াও সেটা আমিও করবো৷”
“আপনি এসব কী বলছেন৷আমি কিছু বুঝতে পারছিনা”৷
“আর বুঝতে হবে না তোমায়৷ এখুনি এখান থেকে বেড়িয়ে যাও৷ আর আমার সামনে আসবেনা৷আমি খুব শীগ্রই তোমায় ডিভোর্স দিয়ে দিবো৷আর তোমাকে তোমার প্রাক্তনের কাছে পাঠিয়ে দিবো ৷ আর আমিও সোহাকে বিয়ে করে নিবো৷এখন এখান থেকে চলে যাও৷ নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে৷”
“আমি আমার দোষ না জেনে কিছুতেই যাবোনা৷ আর কি প্রাক্তন প্রাক্তন করছেন?(এগিয়ে এসে)
“How many times will i tell you not to come in front of me. Get out of my house right now. And don’t look there.”(চিৎকার করে)
“What are you saying, why should i leave home?what have i done wrong? tell me.”(কাদতে কাদতে)
“কী দোষ করেছো তুমি জানতে চাও৷ কী দোষ করোনি সেটা বলো৷ By the way, i can’t explain to you now”.
“কেনো এক্সপ্লেইন করতে পারবেননা৷”
” Because i’m not obliged to tell you.”কথাটা বলে উনি আমায় সজোরে ধাক্কা মারলেন৷ হঠাৎ ধাক্কা দেওয়ায় আমি তাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে গিয়ে পরলাম৷ মাথাও খাটের কোনার সাথে লেগে খানিকটা কেটে গেসে৷
“I say get out from here.”নাকি ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিবো৷
আমি নড়তে পারছিনা শরীর প্রচন্ড ব্যথা করছে৷ আমি নড়ছি না দেখে উনি এসে আমায় টেনে দাড় করিয়ে দিয়ে আমাকে টানতে টানতে নিচে নামাতে লাগলেন৷ আমি উনার হাত আমার হাত থেকে সরানোর চেষ্টা করছি৷ উনি এমন ভাবে আমার হাত চেপে ধরেছেন যেনো মনে হচ্ছে এখুনি হাতের হাড় ভেঙে যাবে৷ তবুও উনি আমার হাত ছাড়ছেন না৷ একেবারে মেইন ডোরের সামনে এসে থামলেন তারপর বললেন,,
“আমার বাড়িতে কোনো চরিত্রহীনের স্থান নেই৷”
অতঃপর উনি আমায় ধাক্কা মেরে বেড় করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন৷ আমি দরজা ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু উনি দরজা খুলছেননা৷ আমি দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে সেখানেই বসে পরলাম৷চোখ থেকে অঝোরে পানি গড়িয়ে পরছে৷ কী থেকে কী হয়ে গেলো৷ কী দোষ করেছিলাম আমি৷ যার জন্য এতবড় শাস্তি পাচ্ছি৷ আমার কথা না শুনে উনি আমায় এভাবে ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিলেন৷ চরিত্রহীন বানিয়ে দিলেন৷ এটলিস্ট কারণটাতো বলতে পারতেন৷ সন্ধ্যাও হয়ে গেছে এখন কোথায় যাবো আমি৷ বাপের বাড়িও যেতে পারবোনা৷ সেখানে গেলে একেক মানুষে একেক কথা বলবে৷ আমার মা বাবার অসম্মান হবে৷ আমি কিছুতেই আমার কারণে আমার মা বাবাকে ছোট করতে পারবোনা৷ আর এই বাড়িতেও থাকতে পারবোনা৷এন্ড আই অলসো প্রমিসড্ আমি নিজে থেকে এই বাড়িতে ফিরে আসবোনা কখনো না৷
রাস্তা দিয়ে একমনে হেটে চলেছি৷ কোথায় যাবো জানা নেই৷ হঠাৎই মনে হলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিংকির কথা৷ সে তো চট্টগ্রাম থাকে৷ আমি সেখানই চলে যাবো৷ রিংকির মা বাবাও আমায় খুব আদর স্নেহ করেন৷ আমি গেলে উনারা আমায় ফেলে দিতে পারবেননা৷ সেখানে গিয়েই না হয় চাকরি খুজে নিবো৷ এই নিষ্ঠুর ঢাকা শহর ছেড়ে চলে যাবো আমি৷ অনেক দুরে চলে যাবো অনেক দুরে৷ আমি দোয়া করি আদিল যাতে উনার সোহানিকে নিয়ে ভালো থাকে৷ কিন্তু আমি ওতো উনাকে চাইলেই ঘৃনা করতে পারছিনা৷ এই কয়েকদিনে আমিযে উনাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি৷ রাতও হয়ে এসেছে মুখে এসে বাস সিএনজির লাইট পরছে৷ রাস্তার সাইডেই বসে পরলাম আমি৷ আমার কাছে একটা কানাকড়িও নেই চট্টগ্রাম যাবো কী করে৷ আর রাত ওতো হয়ে গেছে৷ কোন রকমে দাড়ালাম আমি একটা গলি চোখে পরেছে দেখি এখানে কেউ আজ রাত থাকতে দেয় কী না৷
আস্তে আস্তে হেটে হেটে গলির একটা বাড়ির সামনে দাড়ালাম৷ তারপর এগিয়ে গিয়ে দরজান কড়া নারলাম৷ একটু পর একজন মধ্য বয়সী মহিলা এসে দরজা খুললেন৷ আমায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে উনি বললেন,,
“একি মা কে তুমি”?
“আন্টি আমি আরুহি৷ আমি একটা বিপদে পরে গেছি৷ আসলে আন্টি আমি ঢাকা শহরের কিচ্ছু চিনিনা৷ যদি আপনি আমায় আজ রাতটা আপনার বাড়িতে থাকতে দিতেন৷ তাহলে আমার খুব উপকার হতো৷ আমি কাল সকালেই চলে যাবো৷”
“ঠিক আছে আসো মা ভিতরে আসো৷ আর তোমার মাথায় এই চোট কিসের৷ ”
চলবে,,,,,,
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷ আমি কাল আমার পাঠকদের জানিয়েছিলাম আমি অসুস্থ আছি৷ কয়েকজনে আমার সুস্থতা কামনা করেছে আর বাকি সবাই কমেন্ট করেছে নেক্সট৷ শুধু নেক্সট ওই না নেক্সটের সাথে তারাতাড়িও লিখেছে৷ আরে বাবা সুস্থ হলে তারপর না নেক্সট দিবো তাই আমিও বাধ্য হয়ে গল্পটা দিয়ে দিলাম৷ এত কষ্ট করে লিখেছি তাই গঠনমূলক মন্তব্য করবেন৷)