#অতঃপর_প্রণয়
#অরিত্রিকা_আহানা
#পর্ব:১১
ঘটনা এতদূর গড়াবে ইরিন স্বপ্নেও ভাবে নি।মাস তিনেক বাদে সোহাগ বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। হাদারাম লোকটাকে এত অপমান করার পরেও বেহায়ার মত আবার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। বিয়ে বাড়িতে তো কম অপমান করেন তাকে।
একে একটা শিক্ষা দিতে হবে সেই সাথে আয়াজকেও। মনে মনে ফন্দি এঁটে নিলো সে।মায়মুনা বেগম যতই না করতে চান ইরিন ততই উৎসাহ দেখায়। অবশেষে মায়মুনা বেগমনে তার সিদ্ধান্ত জানালো। বিয়ে করলে সোহাগকেই করবে। মায়মুনা বেগম অস্থির হয়ে হেলাল সাহেবের সাথে আলাপ করেছেন। হেলাল সাহেব হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। উনার ধারণা ইরিন আয়াজের সাথে ঝগড়া বাধিয়ে এমন কথা বলছে। কিন্তু মায়মুনা বেগম তো নিজের মেয়েকে চেনেন। উনার পেটের হলে কি হবে, আগাগোড়া শয়তানিতে মোড়া। দুশ্চিন্তায় উনার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আয়াজের ইন্টার্নি শেষ!বিসিএসও হয়ে গেছে।পনেরো দিন পর জয়েনিং!বেসরকারি একটা হস্পিটালে ডিউটি ডাক্তার হিসেব জয়েন করেছে আপাতত।সকাল দশটায় বেরোয় ফিরে রাত নয়টায়।সারাদিন আর বাসায় আসা হয় না।
আজকে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার সময় লিফটে ইরিনের সাথে দেখা হয়ে গেলো ওর।হাতে একগাদা শপিং ব্যাগ,সাথে ওর কাজিনরা। আয়াজের সাথে চোখাচোখি হতেই চোখ সরিয়ে নিলো। আয়াজও এত লোকের মাঝখানে কিছু জিজ্ঞেস করলো না।
রাতে খেতে বসে মুক্তা জানালো আগামী কাল ইরিনের গায়ে হলুদ!আয়াজ হাত মন্থর হয়ে গেলো,প্লেটের চারপাশে আঙ্গুল বোলাচ্ছে আর ভাবছে,ইরিন কি সত্যি সত্যি বিয়ে করছে?..আশ্চর্য!ওকে একটাবার জানালোও না?
খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলো সে। তার খানিকক্ষণ বাদে মায়মুনা বেগম ওদের ফ্ল্যাটে এলেন আয়াজের সাথে পরামর্শ করতে। সব শুনে আয়াজ কিছুই বললো না। কেবল শান্তকন্ঠে বললো,
—“ওর যা ইচ্ছে ওকে করতে দিন আন্টি।”
অনেক রাত পর্যন্ত মায়মুনা বেগম আয়াজদের ফ্ল্যাটে বসে ছিলো। কিন্তু কোন সুরাহা করতে পারে নি। ইরিনের বাবা না থাকলে মেরে পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে উনি। বদ মেয়ে, নিজের বিয়ের পাত্র নিজে ঠিক করেছে। বেহায়ার মত আবার শপিং নিজে করছে।
পরেরদিন সকালে আয়াজ আর থাকতে পারলো না। ফ্রেশ হয়ে সোজা ইরিনদের ফ্ল্যাটে গেলো। ইরিন তখন মাত্র শাওয়ার দিয়ে বেরিয়েছে।আয়াজকে দেখেই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—“কি ব্যাপার আয়াজ ভাই?..আপনি আমার রুমে?..জানেন তো আজকে আমার হলুদ কালকে বিয়ে।কে কোনখান দিয়ে দেখে ফেলে..এভাবে আমার রুমে আসাটা আপনার একদমই ঠিক হয় নি।”
——-“তুই যে একটা ম্যানিয়াক পেশেন্ট তুই জানিস?”
——“না তো?..তাই নাকি?..আপনি প্লিজ কাউকে কিছু বলবেন না আমার বিয়ে ভেঙ্গে গেলে সর্বনাশ!..অনেক কষ্টে আমার জন্য একটা ভালো পাত্র জোগাড় হয়েছে।বিসিএস কেডার, কে জানেন?..সোহাগ!.. চিনেছেন? রিতুর খালাতো দেবর,যাকে আমি ফুল দিয়ে বরণ করেছিলাম,সেই সোহাগ! ”
আয়াজ রাগে ফেটে যাচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে ইরিনকে সোহাগের ব্যাপার নিয়ে অনেক কথা শুনিয়েছে আয়াজ। তাই বলে ইরিন এভাবে শোধ নিবে সে ভাবতেই পারে নি।
ফট করে ইরিনের চুলগুলো মুঠোয় নিয়ে বলল,
—“তুই আমার সাথে তেজ দেখাচ্ছিস?..আমি তোর তেজের ধার ধারি?..এতবড় সাহস তোর হলো কি করে? বিয়ে করার খুব শখ হয়েছে না?
—“হয়েছে তো। খুব শখ হয়েছে। রিতুর বিয়ে দেখে আরো বেশি করে হয়েছে। আপনিও করে ফেলুন। বয়স তো আর কম হয় নি।”
—” চুপ বেয়াদপ।”
—“এখানে বেয়াদপির কি হলো?”
আয়াজ হতাশ হয়ে বলল,
—“আমি আগে জানতে তোকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতাম।”
—“আপনি বসবেন না বেরোবেন?”
আয়াজের রাগ ক্রমাগত বাড়ছে,সে এত রাগ দেখাচ্ছে অথচ ইরিনের ভাব দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি,ওর বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছে আয়াজ! রাগ সামলানোটা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এইমুহূর্তে ইরিনের সামনে থেকে চলে যাওয়াটাই উত্তম। ইরিনকে ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলো সে।
মায়মুনা বেগম ঘর আটকে বসে আছে। তার মেয়ে এভাবে সবার সামনে তাকে ছোট করবে তিনি ভাবতেই পারেন নি। হেলাল সাহেবের সামনে যেতে উনার লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে। গতকাল সোহাগের বড় বোন এসে ইরিনকে আংটি পরিয়ে গেছে। তিনি হাঁ হয়ে বসে ছিলেন। মেহমান এলে তো আর তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া যায় না? অবশেষে ওরা চলে গেলে ইরিনকেই ডেকে বললেন,
—“তোর সাথে আয়াজের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে সেটা কি তুই জানিস?
ইরিন রীতিমত আকাশ থেকে পড়লো। মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল রক্তস্রোত বয়ে গেলো। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। খুশিতে লাফিয়ে উঠতে মন চাইছে। মনে হচ্ছে পাগল হয়ে যাবে সে। কিন্তু প্ল্যান? সোহাগকে তো একটা শিক্ষা দিতে হবে। আজকে হলুদের প্রোগ্রামের আয়োজনও হয়ে গেছে।ইরিনের ইচ্ছে ছিলো হলুদ অনুষ্ঠান করে একটু মজা নিবে সোহাগের সাথে। তারপর বিয়ের দিন ফোন বন্ধ করে কোন এক বান্ধবীর বাসায় উঠবে। সেই সাথে আয়াজেরও একটা শিক্ষা হয়ে যাবে। তার দৃঢ় ধারণা আয়াজ তাকে ভালোবাসে। কিন্তু স্বীকার করছে না। কিন্তু এখন যখন আয়াজের সাথে তার বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়ে আছে তখন সোহাগকে একটা শিক্ষা দেওয়াই যায়। তাই ইত্তিহাদের সাথে পরামর্শ করে বাসার কাউকে কিচ্ছু জানালো মা সে।
এদিকে সব কথা খুলে বলার পরেও মেয়ের সাহস দেখে মায়মুনা বেগম অবাক হয়ে যাচ্ছেন। তিনিও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, এর শেষ তিনি দেখে ছাড়বেন। করুক সোহাগকে বিয়ে ইরিন। তিনি আর কিচ্ছু বলবেন না।
সন্ধ্যার দিকে আয়াজ সেজেগুজে ছাদে এসে হাজির হলো,এসেই হুলস্থূল!..চারদিকে ছোটাছুটি দৌঁড়াদৌঁড়ি, ইরিনের বিয়ের সব দায়িত্ব যেন সে একাই নিয়েছে।ইরিন হাঁ করে শুধু তার কান্ড দেখে গেলো।ইরিনের কাজিনগুলোর সাথে আয়াজের মাখামাখি দেখে গা শিরশির করে উঠলো তার,ইচ্ছে করছে স্টেজ থেকে নেমে সবকটার গালে চুনকালি মাখিয়ে দিতে!..আর আয়াজ?..ওকে তো গোবরপানিতে চুবাতে মন চাইছে, ইরিন সামান্য একটু হাত ধরলে তার হাতে যেন ফোস্কা ড়ে যায় ,অথচ এখন মেয়েগুলোর সাথে দিব্যি ফষ্টিনষ্টি করছে,ছিহ!ডা.আয়াজ রহমান!ছিহ!এই আপনি?..এই আপনার ভালোমানুষি?
মজার ব্যাপার হচ্ছে মুরুব্বি গোছের কেউই নেই।এমনকি ইরিনের বাবাও নেই। ইরিনের কাজিনরা,বন্ধুবান্ধব এরাই মজা করছে।ইরিনের সন্দেহ হচ্ছে আয়াজ কি কোনভাবে তার প্ল্যান সম্পর্কে জেনে গেছে? এত নির্লিপ্ত থাকছে কি করে সে? আয়াজকে রাগাতে কি উলটো ইরিনের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। ছাদ থেকে নেমে সোজা মায়মুনা বেগমের ঘরের দিকে গেলো সে।মায়মুনা বেগম হাই পাওয়ারের ওষুধ খেয়েও প্রেশার কন্ট্রোল করতে পারছে না।এই মেয়ে শক দিয়ে দিয়ে উনাকে মেরে ফেলবে! কি পেয়েছে টা কি সে?..সে যা বলবে তাই হবে?..কলেজে উঠার পর থেকেই এই মেয়ের লাগামছাড়া চালচলন শুরু হয়েছে,দিনদিন বাড়ছে তো বাড়ছে!…কত বড় স্পর্ধা বিয়ের সব আয়োজন করে,হলুদ প্রোগ্রাম করে এখন বলছে বিয়ে করবে না?..উনি কিছুতেই রাগ সামলাতে পারছেন না।ঘাড়ের রগ চিনচিন করছে,এই মেয়ে উনাকে কবরে নিয়ে শান্তি পাবে। ঠাস করে চড় মারলেন ইরিনের গালে। ঠেলে ঘর থেকে বের করে দিলেন ওকে।
প্রচন্ড রাগে সে কিছু বলার আগেই সোহাগই তাকে গড়গড় করে অনেক কিছু শুনিয়ে দিলো। সোহাগ যা বলল তাতে ইরিনের আর কিছুই করা লাগলো না। সোহাগের পক্ষ থেকেই বিয়ের জন্য না করে দেওয়া হলো। কেন সেটা ইরিনকে বলা হলো না।
★
বারান্দায় দাঁড়িয়ে গুনগুন করছে ইরিন। বিয়েটা ভেঙ্গে গেছে,কি কারনে ভেঙ্গেছে সেটা ওর কাছে ইম্পরট্যান্ট জানে না,ভেঙ্গেছে এই এটাই ইম্পরট্যান্ট!
আয়াজ কফি নিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালো। ইরিন গলা চড়িয়ে ডাক দিয়ে বলল,”আমার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে আয়াজ ভাই!”
—“জানি, কিন্তু তুই এত খুশি কেন?..বিয়ে বিয়ে করে তো পাগল হয়ে গেছিলি?..এখন কি হলো?
—“কি যে বলেন না আপনি?..আমি ভীষণ দুঃখিত হয়েছি,সকাল থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে কেঁদেছি,ওয়াশরুমে ঢুকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছি,দুঃখে আমার কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে,কত ভালো ছিলো সোহাগ মিয়া মানুষটা!..তার সাথে বিয়ে হলে আমার জীবনটা আনন্দে ভরে যেত!…কি থেকে কি হয়ে গেলো বলুন তো?”
———“তুই আমার সাথে ফাজলামো করছিস?”
ইরিন জিভ কেটে না বোঝালো।
——“ছি!ছি!..আপনি আমার গুরুজন আপনাকে আমি বড় ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করি!..আপনার সাথে কেন ফাজলামো করবো?..তাছাড়া সোহাগকে নিয়ে ফাজলামো করা যায়?..ও কি ফাজলামো করার মত ছেলে?..প্রফেসর মানুষ!”
আয়াজের ইচ্ছে করছে গরম কফিটা ইরিনের গলায় ঢেলে দিতে,ওর এইসব গা জ্বালানো কথাবার্তা বন্ধ হবে!
—“আমার এত বড় সর্বনাশ কে করলো আয়াজ ভাই?..আল্লাহ তার বিচার করবে!..তার বিয়ের আগেই বউ মরে ভূত হয়ে ঘাড় মটকাবে!…সে জীবনেও…!”
—“চুপ!…বেয়াদব!তোর সাথে কে কথা বলছে?..কান ঝালাপালা করে দিয়েছিস!তখন থেকেই বাচালের কত বকবক বকবক করেই যাচ্ছিস,থামাথামি নেই।!
—“আপনি রাগ করছেন কেন? আমি মনের দুঃখ থেকে বলছি,আপনাকে বলছি নাকি?..আপনি কি আমার বিয়ে ভেঙ্গেছেন?”
—“আমার আর খেয়ে দেয় কাজ নেই আমি তোর বিয়ে ভাঙবো!..তুই যাদের জন্য সেজেগুঁজে কলেজে যেতি তাদের ভেতর কেউই হয়ত এই আকাম করেছে, আমার এখন মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা তোর এইসব নিয়ে ভাবার সময় আছে?..এইতো নেক্সট উইকে জয়েন করতে হবে!..তুই আছিস তোর তালে!”
আয়াজ ভেতরে চলে গেলো। ইরিন হাসছে। তার দৃঢ় ধারনা বিয়েটা আয়াজই ভেঙ্গেছে। বাস্তবিকই তাই। বিয়েটা আয়াজই ভেঙ্গছে। ইত্তির সাথে পরামর্শ করে সোহাগের কাছে গিয়েছিল সে। সেখানে গিয়ে অবশ্য কিছু মিথ্যে কথা বলতে হয়েছে তাকে। অনেক কষ্টে সে আর ইত্তি মিলে সোহাগকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলো তার সাথে ইরিনের অ্যাফেয়ার চলছে। তার সাথে রাগ করে ইরিন সোহাগকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ছাড়া আয় কোন উপায়ও ছিলো না আয়াজের কাছে। ইত্তি তাকে আগেই বলেছিলো ইরিন হলুদের পর পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছে। ইত্তি অবুঝ নয়, ঝোঁকের বশে ইরিনের পাগলামিতে তাল দেওয়ার মত বোকাও সে নয়। ইরিনের এইসব ছেলেমানুষি কর্মকান্ড যে শেষমেশ ইরিনের ক্ষতিই করবে সেটা সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলো। পালিয়ে গেলে আয়াজের ফ্যামিলি, ইরিনের ফ্যামিলি যে খুব সহজভাবে তাকে গ্রহন করবে সেটা ইরিনের মাথায় না এলেও ইত্তির মাথায় কিন্তু ঠিকই এসেছিলো। তারপর এজ ইউজুয়্যাল আয়াজকে পুরো ঘটনা খুলে বললো সে। ইত্তির কাছ থেকে সব শুনে আয়াজ সময় নষ্ট করলো না।যে করেই হোক ছেলেপক্ষ থেকেই আগে বিয়ে থামাতে হবে। ওদেরকে কিছুতেই অপমানিত হতে দেওয়া যাবে না। তারা নিশ্চই ছেড়ে কথা বলবে না? যেই মেয়ে বিয়ের দিন পালিয়ে যায় তার সম্পর্কে অনায়াসে যে কোন বদনাম তুলে দেওয়া যায়। যদিও সে জানা ইরিন বোকা বলেই এমন একটা পরিকল্পনা করেছে। সোহাগকে নাজেহাল করতে গিয়ে নিজের গায়ে কাদা ছোঁড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বোধ মেয়েটা। তাই দেরী না করে ইত্তিকে নিয়ে সোহাগের বাসায় গিয়েছিলো সে। সোহাগ প্রথমে বিশ্বাস করে নি। ইত্তি আরো ঘনিষ্ঠ দুএকজন বন্ধুবান্ধবকে খুলে বললো পুরো ঘটনাটা। অবশেষে সবাই মিলে ইরিনের অলক্ষেই এই ঘটনার সমাধান করলো। অবশ্য সবটাই আয়াজ এবং ইত্তি হেলাল সাহেবের সাথে পরাশর্ম করে করেছে।হেলাল সাহেব ইরিনের ছেলেমানুষি তে বিন্দুমাত্র অবাক হলেন না।তিনি এবং তার স্ত্রী ছোটবেলা থেকেই এই মেয়েটির স্বল্পবুদ্ধিতার বহু প্রমাণ পেয়েছেন। এবং তাদের ছেলে যে এই বোকা মেয়েটিকে প্রাণাধিক বেশি ভালোবাসে সেটাও তাদের অজানা নয়। অতএব হেলাল সাহেব ছেলের পরিকল্পনাতে সামিল হলেন। বাসার কোন মুরুব্বিকে তিনি কৌশনে হলুদ প্রোগ্রামে আসতে দেন নি। এদিকে মনে মনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো আয়াজ। ইরিনের এসব পাগলামি আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। এবার শিক্ষা দেওয়ার পালা আয়াজের। তাকে এভাবে দৌড়ঝাঁপ করার সাজা ইরিনকে ভোগ করতে হবে। এসব উদ্ভট পরিকল্পনা যেন আর কোনদিন না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নাউ ইটস টাইম টু ইরিনের বারোটা বাজানোর।