রৌদ্রর শহরে রুদ্রাণী পর্ব -৫৯

#রৌদ্রর_শহরে_রুদ্রাণী
#পর্বঃ৫৯
#Saiyara_Hossain_Kayanat

“শুভ্রতাকে প্রপোজ কর নীল।”

আরশির এমন নির্লিপ্ত ভঙ্গির কথা শুনে নীলসহ উপস্থিত সবাই হকচকিয়ে উঠলো। স্টেজের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা শুভ্রতার আর নীলের বাবা-মা হতভম্ব হয়ে আরশির দিকে চেয়ে আছে। বিয়ের আগ মূহুর্তে বিয়ে থামিয়ে দিয়ে আরশি এমন কথা বলবে সেটা কেউ আশা করেনি। রৌদ্র আরশির হাত ধরে চোখের ইশারায় কিছু জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আরশি রৌদ্রর চাহনিকে পাত্তা দিলো না। আরশি এবার কিছুটা গম্ভীর গলায় বলল-

“নীল জলদি শুভ্রতা প্রপোজ কর না হলে বিয়ে থেমেই থাকবে।”

নীল শুভ্রতার পাশ থেকে আরশির কাছে আসলো। আরশির হাতের কব্জির দিকটা ধরে কিছুটা দূরে নিয়ে চাপা কন্ঠে বলল-

“আশু কি শুরু করেছিস এসব? এটা মজা করার সময় না। বড়রা সবাই এখানে আছে। তারা কি ভাব্বে ভেবেছিস!”

আরশি আগের মতো নির্লিপ্ত জবাব দিল-

“ওনাদেরকে আমি ম্যানেজ করে নিবো। তুই শুভ্রতাকে প্রপোজ কর যা।”

“কিন্তু আশু…”

নীলের কথার মাঝেই আরশি কড়া গলায় বললে উঠলো-

“কোনো কিন্তু না। তুই শুভ্রতাকে কথা দিয়েছিলি তুই ওকে বিয়ের সময় প্রপোজ করবি। প্রেম চলাকালীন সময়ে প্রপোজ করিসনি ঠিক আছে কিন্তু এখন নিজের কথাটা রাখ।”

আরশি কথা গুলো বলেই চলে গেল। শুভ্রতার বাবা-মার দিকে তাকিয়ে ভদ্রতার সাথে বলল-

“সরি আংকেল এভাবে বিয়ের মাঝে বাধা দেওয়ার জন্য। আসলে নীল শুভ্রতাকে আজ পর্যন্ত একবারও প্রপোজ করেনি। বলেছিল বিয়ের সময় করবে। শুভ্রতা নীলের সেই কথা মেনেই এতদিন ধরে অপেক্ষা করছে। নিজের মনে মধ্যে আশা পুষিয়ে রেখেছে। নীল আপনাদের ভয়ে এখন প্রপোজ করতে চাইছে না। আপনারা নিশ্চয়ই শুভ্রতার খুশির জন্য নীলকে অনুমতি দিবেন এখন প্রপোজ করতে!”

সবার মাঝে পিনপতন নীরবতা। একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে শুভ্রতা আর নীলের বাবা-মা। আরশি উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। সোফার কাছেই শুভ্রতা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর নীল আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরশির দিকে৷ কিছুটা সময় পর নীরবতা ভেঙে শুভ্রতার বাবা সহজ গলায় বললেন-

“নিজের বউকে প্রপোজ করবে এখানে এতো দ্বিধাবোধ কিসের!”

শুভ্রতা বিস্ফোরিত চোখে তার বাবার দিকে তাকালো। তার বাবার মুখে এমন কথা যেন অবিশ্বাস্য কিছু মনে হচ্ছে। শুভ্রতার বাবার কথা শুনে সবার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। কিন্তু নীল বেচারা লজ্জায় আর অস্বস্তিতে কাচুমাচু করছে। সকলের জোরাজোরিতে নীল শুভ্রতার সামনে এসে দাঁড়ালো। হাতে টকটকে লাল গোলাপ। লজ্জায় নীলের গাল গুলো লাল হয়ে যাচ্ছে। ছেলে মানুষ এতটা লজ্জা পায় সেটা নীলকে না দেখলে হয়তো কারও বিশ্বাস হতো না। নীলের মতো চঞ্চল ছেলেটা ভালোবাসার মানুষের কাছে এসেই ভিন্ন রূপ ধারন করে ফেলে। শুভ্রতাকে কখনো সামনাসামনি ভালোবাসার কথা বলা হয় তাই হয়তো এতো অস্বস্তি বোধ করছে। আর পরিবারের সকলের সামনে শুভ্রতাকে প্রপোজ করায় লজ্জার মাত্রা যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই। নীল হাঁটু গেড়ে বসে গোলাপ ফুলটা শুভ্র‍তার দিকে এগিয়ে দিল। বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করেই বলা শুরু করলো-

“আমি তোমাকে ভালোবাসি শুভ্রতা। প্রেমিকা হিসেবে নয় বউ হিসেবেই প্রপোজ করছি তোমাকে। সবার সামনে প্রমিজ করছি সারাজীবন তোমাকে ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে রাখবো। কখনো কষ্ট পেতে দিবো না। একজন আদর্শ স্বামী হয়ে দেখাবো।”

নীল একনাগাড়েই কথা গুলো বলে দিল। কথা গুলো শেষ হতেই নীল বড় করে একটা শ্বাস নিল। গলার কাছেই যেন দম আটকে গিয়েছিল তার। উপস্থিত সকলে হাততালি দিলো। আরশি, কাসফিয়া আর নীলা পেছন থেকে শুভ্রতাকে গোলাপ নিতে বলছে। শুভ্রতা নীলের দিকে কিছুক্ষণ অপলকভাবে তাকিয়ে থেকে মুচকি হেসে গোলাপটা নিয়ে নিলো। নীল দ্রুত সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। শুভ্রতার কাছ থেকে কোনো উত্তর আশা না করেই রৌদ্রর পেছনে গিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে পরলো। সকলের হাততালির শব্দে নীলের লজ্জার পরিমাণ দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরশি আর শুভ্রতাকে জোর করলো না উত্তর দেওয়ার জন্য। শুভ্রতার হাসিমুখেই তার উত্তর পেয়ে গেছে সবাই। আরশি ঘাড় বাকিয়ে নীলার দিকে তাকালো। মুখে রহস্যময় এক হাসির রেখা টেনে বলল-

“এবার তোর পালা নিলু।”

আরশির কথায় নীলা হকচকিয়ে উঠে। আমতা-আমতা করে বলল-

“আমার পালা মানে!! কি বলতে চাচ্ছিস তুই?”

আরশি শান্ত গলায় বললো-

“নীড় ভাইয়া সব সময় তোকে ভালোবাসার কথা বলে গেছে। অথচ তুই কখনো তার কথায় উত্তর দিসনি। তাই আজ তুই নিজে ওনাকে ভালোবাসার কথা বলবি।”

আরশির কথায় নীল রৌদ্রর আড়াল থেকে সামনে আসলো। লজ্জার রেশ কেটে স্বাভাবিক হয়ে গেছে নীল। নীলার দিকে চেয়ে পৈশাচিক হাসি দিয়ে বলল-

“কি হলো নিলু বাবু চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন!! আমার সময় তো খুব লাফাইছিলা। এখন আমি লাফামু তোমার লজ্জা দেইখা। যা ফকিন্নি তাড়াতাড়ি প্রপোজ কর। আমাদের এতো সময় নেই তোর নেকামো দেখার জন্য।”

নীলা তীক্ষ্ণতার সাথে নীলের দিকে তাকালো। কটমট করে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে আহত দৃষ্টিতে আরশির দিকে তাকালো। আরশি নীলার দৃষ্টি উপেক্ষা করলো। নির্বানের মা তাড়া দিয়ে বলল-

“নীলা মা যা করার তাড়াতাড়ি করো। দেড়ি হচ্ছে তো। এতো লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই আমরা আমরাই তো।”

নীলা এক রাশ লজ্জা নিয়ে নির্বানের দিকে এগিয়ে গেল। এক সমুদ্র পরিমাণ অস্বস্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নির্বানের সামনে। নির্বান নির্বাকের মতো ড্যাবড্যাব করে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে। নীলা কিছুটা উঁচু হয়ে নির্বানের কানে কানে মৃদুস্বরে বলল-

“আমি আপনাকে ভালোবাসি নীড়।”

নীলা লজ্জায় মাথা নুয়ে ফেললো। নির্বান মূর্তির ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দুটো বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়ে গেছে। নীলার মুখে কখনো ভালোবাসি শব্দটা শুনবে এটা তার কল্পনার বাহিরে ছিল।

“এটা কিন্তু চিটিং হলো। কানে কানে কি বললো কিছুই তো শুনলাম না।”

নীল উৎকন্ঠিত হয়ে বলল। নির্বানের হুশ আসলো। জোড়ালো শ্বাস নিয়ে দূর্বল কন্ঠে বললো-

“আমি শুনেছি এটাই অনেক।”

নির্বান তপ্ত শ্বাস ফেলে। নীলার দিকে এক নজর তাকালো। নীল রঙের বেনারসি শাড়িতে একদম নীল পরি লাগছে নীলাকে। এখনো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে নীলা। নির্বান নীলার কানের কাছে ঝুঁকে ফিসফিস করে বলল-

“আজ আমি ধন্য হয়েছি নীলাদ্রি। তোমার মুখে ভালোবাসার কথা শুনে আমার ভালোবাসা আজ পূর্ণতা পেল।”

নির্বান সোজা হয়ে দাঁড়ায়। মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে। নীল রঙের পাঞ্জাবির হাতাটা ঠিক করে সোফায় গিয়ে বসলো। সকলের মুখে তৃপ্তিদায়ক হাসি। চারদিকে ভালোবাসার ছড়াছড়ি। প্রতিটা মানুষের ভালোবাসা যেন আজ পূর্ণতা পেয়েছে। বন্ধুত্বটাও দৃঢ় হয়েছে।

—————————

রাত প্রায় দশটা। বিয়ের অনুষ্ঠান ভালো ভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে। সবাই আজ নীলদের বাসাতেই থাকবে। নীলাকেও বিদায় দেওয়া হয়নি। দুই বিয়ে একসাথে হওয়ায় সব কিছু যেন অন্য সব সাধারণ বিয়ের থেকে ভিন্ন ধরনের হয়ে গেছে। বেশ কিছুক্ষন ধরে আরশি দোতালার রুমে যাওয়ার পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছে। সামনেই দাঁড়িয়ে আছে নীল আর নির্বান। আরশির পেছনে আছে ধ্রুব, আদ্রাফ আর রৌদ্র। রৌদ্র নিজের ইচ্ছেতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। আরশির হুমকি শুনেই বাধ্য ছেলের মতো রুমে যাওয়ার পথ আটকে রেখেছে। কাসফিয়া সাদাফকে কোলে নিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে নীল আর নির্বানের অবস্থা দেখে মজা নিচ্ছে৷ নীল আর নির্বান অসহায় মুখে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল হবে। আরশির কাছে আকুতি মিনতি করছে যেন পথ ছেড়ে দাঁড়ায়। আরশি কোমড়ে দু হাত রেখে কঠিন গলায় বলল-

“আগে টাকা বের কর তারপর রুমে যেতে পারবি এর আগে না।”

নীল দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে পরেছে। আরশির দিকে চেয়ে অসহায় মুখে বলল-

“আশু টাকা তো দিয়েছি আমরা। তোদের সবাইকেই ভাগ ভাগ করে দিয়েছি। এখন আবার কিসের টাকা চাচ্ছিস!”

“হ্যাঁ ক্রাশ ভাবি এটা তো ঠিক না। আমরা তো টাকা দিয়েছি তবুও কেন আমাদের যেতে দিচ্ছো না!”

নির্বানের কথায় আরশি মুখ বাকিয়ে বলল-

“আরও দুজনের টাকা পাওনা বাকি আছে।”

“কিইইইই?”

নীল আর নির্বান প্রচন্ড অবাক হয়ে একসাথেই চেচিয়ে উঠলো। আরশি কপাল কুচকে বিরক্তির রেশ টেনে বলল-

“জ্বি। তুলতুল আর সাদাফের ভাগ তো এখনো পাইনি।”

নীল সরু চোখে আরশির দিকে তাকালো। সন্দিহান কন্ঠে বললো-

“সাদাফ তো নবজাতক বাচ্চা ওর আবার কিসের ভাগ?”

“সাদাফের কথা না হয় মানলাম কিন্তু তুলতুলের কথা বলে যে তোমরা টাকা হাতিয়ে নিতে চাচ্ছো এটা কিভাবে মেনে নিবো ক্রাশ ভাবি?”

নির্বান বিস্মিত হয়ে কথা গুলো বলল। ধ্রুব নিজের চুল গুলো ঠিক করতে করতে বলল-

“এতসব কৈফিয়ত আমরা দিতে পারবো না। টাকা দাও রুমে যাও ব্যাস।”

“শালা এখন কেমন লাগে?? আমার বিয়ের সময় তো আমাকে ফকির বানিয়ে তারপর ছেড়েছিস। এখন বুঝো ঠেলা কাকে বলে? কত প্রকার? আর কি কি?”

আদ্রাফের কথায় আরশি সহ সবাই হেসে দেয়। সবার হাসি দেখে নির্বান ক্ষিপ্ত হয়ে রৌদ্রকে বলল-

“ভাই তুমি কিছু বলছো না কেন? তোমার তো ছেলে পক্ষে থাকার কথা। তুমি কেন ওদের সাথে মিলে রাস্তা আটকে রেখেছো?”

রৌদ্র ছোট্ট করে একটা শ্বাস ফেলে বলল-

“তোদের দু’জনকে রুমে যেতে সাহায্য করলে আজ আমার রুমে জায়গা হবে না। আর আমি আমার ভালোবাসার বউকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আমি বাধ্য এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে। তাছাড়া আমার বিয়েতে তোরা আমার থেকেও টাকা নিয়েছিলি। আটকে রেখেছিলি প্রায় আধঘন্টা। এখন এটাই তোদের শাস্তি।”

রৌদ্র কথায় সবাই হেসে উঠলো। বাধ্য হয়ে নির্বান আর নীল নিজেদের সকল টাকা আরশির হাতে তুলে দেয়। নীল আর নির্বান শেষমেষ ছাড়া পায় রুমে যাওয়ার জন্য। দু’জনে ক্লান্ত হয়ে ঢুলতে ঢুলতে রুমে চলে যায়।

————————

“আরু দি কি হয়েছে তোমার? আরু দি…”

সকালে ধ্রুব আরশি আর রৌদ্রকে নাস্তার জন্য ডেকে আনতে গিয়েছিল। খাবার টেবিলে আসার সময় হঠাৎই আরশির মাথা ঘুরে পরে যায়। ধ্রুব আরশির পাশে থাকায় সে দ্রুত আরশিকে ধরে ফেলে। ধ্রুবর চেচিয়ে বলা উত্তেজিত কন্ঠস্বর শুনে রৌদ্র তৎক্ষনাৎ ফোনের স্ক্রিন থেকে নজর সরিয়ে আরশির দিকে তাকালো। আরশি জ্ঞান হারিয়েছে। ধ্রুব আরশিকে ধরে রেখে হাল্কা ঝাঁকিয়ে উত্তেজিত হয়ে ডেকে যাচ্ছে অনবরত। আরশির অবস্থা দেখে রৌদ্রর বুকে মোচড় দিয়ে উঠেছে। দৌড়ে সিড়ি থেকে নেমেই আরশিকে জাপ্টে ধরে ফেলে। কোলে তুলে নিয়ে সোফায় বসে পরে। আরশিকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে অন্য হাতে আরশির গালে হাল্কা থাপ্পড় মেরে ডাকতে লাগলো। রৌদ্র আর ধ্রুবর অস্থির কন্ঠে ডাইনিং টেবিলের সবাই আরশির কাছে আসে। সকলের চোখেমুখে চিন্তার ছাপ। নীল সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি করেই গাড়ি বের করে। রৌদ্র আরশিকে কোলে নিয়ে গাড়িতে চলে যায়। ধ্রুব আর নীল সামনের সিটে বসে আছে। রৌদ্র পেছনের সিটে বসে অস্থির হয়ে আরশিকে ডাকছে। হাত ঘষছে। ব্যকুল হয়ে পরেছে আরশির জ্ঞান ফেরানোর জন্য। রৌদ্রর মনে ভয় ঝেঁকে বসেছে। চোখমুখ ফ্যাকাসে বর্ণের হয়ে পরেছে। বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করছে রৌদ্র। আরশিকে এই অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এখনই হয়তো দম আটকে মারা যাবে রৌদ্র।

চলবে…

[সব সময় হাসিখুশিতে মেতে থাকবে এমন কোনো গল্প হয়না সেটা বাস্তব হোক কিংবা কাল্পনিক। সুখ, দুঃখ, কষ্ট সবমিলেই হয় গল্প। আশা করি ধৈর্য ধরে পরবেন। আপনাদের কথা রাখতেই আগে থেকে ভেবে রাখা গল্পের থিম পাল্টে কিছুটা ভিন্ন করতে হচ্ছে। ভুল-ভ্রান্তির ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাইকে ধন্যবাদ আর ভালোবাসা।❤️❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here