লাল নীল সংসার পর্ব -২৫

#_লাল_নীল_সংসার_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_২৫_

চারিদিকে ফুল,, বাল্ব দিয়ে সাজানো। আদনান একটা চেয়ারে বসে সামনে স্টেজে বসে থাকা ফুলের রানিকে দেখে যাচ্ছে। সামনে স্নেহা গায়ে হলুদের সাজে সজ্জিত হয়ে আছে। হলুদ শাড়ির সাথে কাঁচা ফুলের গহনায় সজ্জিত সে।

আদনানের এখন শুধু স্নেহাকে দেখা আর তাকে হারানোর প্রতিটাহ মুহুর্ত গননা করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। সবাই স্নেহাকে হলুদ ছোঁয়াচ্ছে। স্নেহা যেন পুতুলের মতো বসে আছে। পুতুল? হ্যা! স্নেহার নিজেকে পুতুলের মতোই লাগছে। সবার কথা মতো কাজ করেই যাচ্ছে।

রিয়াদ আদনানে পাশে এসে বসে। ওরা সবাই স্নেহাকে হলুদ ছুয়ে দিয়ে এসেছে। শুধু আদনানেরই বাকি। রিয়াদ এই কয়েকদিন আদনানকে খেয়াল করে যাচ্ছে। কেমন যেন হয়ে আছে আদনান। স্নেহার বিয়েতে তারা যতোটাহ আনন্দ করছে,, আদনান ততোটাহ করছে নাহ। ডাকলেও আসে নাহ আদনান। একা একা বসে থাকে আদনান। রিয়াদ আদনানের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” আদনান!”

রিয়াদের ডাকে ধ্যান ভাঙে আদনানের। আদনান রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” হুম! বল!”

–” আমরা সবাই তো হলুদ লাগিয়ে আসলাম। যাহ তুইও লাগিয়ে দিয়ে আই।”

আদনান একপলক স্নেহার দিকে তাকায়। আসলেই তো সে তো একটুও হলুদ লাগিয়ে দিলো নাহ স্নেহাকে। স্নেহাকে শেষবারের মতো ছুয়ে দেওয়ার এই একটা সুযোগ। নাহ! আর দেরি কেন করবে সে? রিয়াদের দিকে একবার তাকিয়ে স্টেজের দিকে হাঁটা দেয় আদনান।

স্নেহা সামনে তাকাতেই দেখে আদনান এগিয়ে আসছে। আদনান কি তাকে হলুদ লাগাবে? স্নেহার চোখ ছলছল করে উঠে। আদনান স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে হালকা ঝুঁকে দাড়ায়। স্নেহা একভাবে তাকিয়ে আছে আদনানের দিকে।

আদনান হলুদের বাটি থেকে একটু হলুদ তুলে নিয়ে স্নেহার গালে ছুইয়ে দিতেই স্নেহা চোখ বন্ধ করে ফেলে। আর আটকাতে পারলো নাহ স্নেহা। চোখ দিয়ে গড়িয়ে এক ফোঁটা পানি পড়েই গেলো। স্নেহা চোখ খুলে আদনানের দিকে তাকায়। আদনান স্নেহার চোখের পানি মুছিয়ে দেয়। মিষ্টির প্লেট থেকে একটু মিষ্টি স্নেহার মুখে তুলে দেয় আদনান। স্নেহার দিকে আর একটু ঝুঁকে হালকা হেসে বলে ওঠে,
–” হলুদ পরিকে একটু হলুদ নাহ ছোয়ালে হয়? আজকে বেশি করে হলুদ লাগা,, যেন আগামীকাল তোকে খুব সুন্দর দেখায়। যদিও তোর সৌন্দর্যের কমতি নেই,, মাশআল্লাহ! কিন্তু,, বিয়ে বলে কথা একটু বেশি সুন্দর লাগা উচিত। বুঝলি?”

স্নেহা হালকা হাসে। স্নেহার হাসি মুখ দেখে আদনানও একটু হাসে। স্নেহা হলুদের বাটি থেকে একটু হলুদ উঠিয়ে আদনানের মুখে লাগিয়ে দেয়। আদনান অবাক হলেও হাসে। স্নেহা একটু মিষ্টিও নিয়ে আদনানকে খাইয়ে দেয়। আদনানের চোখ ছলছল করে উঠলেও মুখে হাসি বজায় থাকে।

আদনান স্টেজ থেকে নেমে আসে। একটা ফোন করার জন্য একটু সাইডে যাওয়ার জন্য এগোতেই সামনে মিসেস. আখি এসে দাড়ায়। আদনান মিসেস. আখিকে দেখে একটু হতভম্ব হয়ে যায়। তাও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলে ওঠে,
–” আসসালামু আলাইকুম! আন্টি!”

মিসেস. আখি তাচ্ছিল্য ভাবে হেসে বলে ওঠে,
–” ওয়ালাইকুম আসসালাম! তা,, কেমন আছো আদনান?”

–” জি আন্টি আলহামদুলিল্লাহ! আপনি?”

–” আছি,, ভালোই! তা,, বড়লোক বাড়ির বিয়েতে কেমন মজা করছো? এরকম বিয়ে তো আর কখনো তোমার দেখা হয় নি,, তাই নাহ? কেমন লাগছে?”

আদনান চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলিয়ে নেয়। সে কখনোই মিসেস. আখির সাথে খারাপ ব্যবহার করতে চায় নাহ। আর নাহ কখনো করতে পারবে। আদনান একটু হেসে বলে ওঠে,
–” ঠিকই বলেছেন আন্টি! আমার কখনো এরকম বিয়ে দেখা হয় নি৷ দেখবো কি করে বলুন,, সেই সামর্থ তো আমার বা আমার কোনো আত্মীয়ের নেই।”

মিসেস. আখি ক্রুর হেসে বলে ওঠে,
–” সে তো আমি তোমাকে প্রথম দিন দেখেই বুঝেছিলাম। স্নেহা কিভাবে তোমার সাথে বন্ধুত্ব করেছে আমার ধারনার বাইরে। আসলে….”

মিসেস. আখি কথা শেষ করতে পারেন নাহ। তার আগেই আদনান চাপা কন্ঠে বলে ওঠে,
–” মাফ করবেন আন্টি,, আপনার কথার মাঝে কথা বলছি,, আসলে আন্টি আমি কখনো আমার বন্ধু বান্ধবের মাঝে নিজের আর্থিক অবস্থা কে লুকায় নি। সব সময় সত্যিই বলে এসেছি। স্নেহা আমার সব সত্যি জেনেই আমার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। কেন করেছে,, এইটা স্নেহা জানে। হয়তো স্নেহা টাকা পয়সা দিয়ে মানুষকেজাজ করে নাহ তাই। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আন্টি আসি। আল্লাহ হাফিজ!”

কথাটাহ বলে আদনান চলে যায়। মিসেস. আখি কিছুটাহ অপমানিত বোধ করেন। তাও আশেপাশে তাকিয়ে নিজেকে সামলিয়ে নেন।


রহমান পরিবারের সবাই সকালের খাবার একসাথে খেতে বসেছে। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন সবার। ডাইনিং টেবিল টাহ বদলে অনেক আগেই ছয় চেয়ারের টেবিল কিনেছে শিশির। আদনান,, শিশির,, আজিজ রহমান,, ছোয়া,, সাঝ,, আহিয়া রহমান সবাই একসাথে বসেছে।

সবাই খাচ্ছে কিন্তু আদনান যেন খেতে পারছে নাহ। আজ স্নেহার বিয়ে। সারাজীবনের মতো চলে যাবে তার বার্বিডল। খাবে কি করে সে? বুকের ভেতর এক অতি কষ্ট চেপে রয়েছে। সারা রাত ঘুম হয়নি তার। কান্না করেছে সে। নিজেকে হালকা করার এক ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আদনান।

শিশির খেয়াল করে আদনান সেরকম কিছু খাচ্ছে নাহ। ছেলেটাহ আজকাল তেমন কিছুই খায় নাহ। কি হয়েছে তার ভাইয়ের? সেইদিন ছোয়াও বলছিলো। তারপর থেকেই আদনানকে আরও বেশি খেয়াল করছে শিশির। ছেলেটাহ কে স্বাভাবিক লাগে নাহ আজকাল।

কিন্তু,, আদনান বড় হয়েছে। তার নিজের একটা জগৎ হয়েছে। প্রশ্ন করলেই উত্তর পাওয়া যাবে এমন টাহও নাহ। কিন্তু,,, ভাই টাকে এরকম দেখতেও তো ভালো লাগে নাহ তার। দেখা যাক আর দুইটা দিন। যদি কোনো পরিবর্তন নাহ দেখে,,তাহলে সে সরাসরি কথা বলবে আদনানের সাথে।


চারিদিকে আলোয় আলোয় আলোকিত। কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে,, কোটিপতি ভাইয়ের আদরের বোনের বিয়ে বলে কথা,, সেকি আর চাট্টিখানি কথা? একদমই নাহ,, কতো আয়োজন হচ্ছে পুরো বাড়ি জুড়ে।

আলোর ঝলকানিতে বাড়ির রুপটাই বদলে গেছে। গার্ডেনের সাঝে আধুনিকতা মিশে আছে। আছে অবিরাম সৌন্দর্য। দুইপাশে দুইটা স্টেজ করা হয়েছে। সেখানে একপাশের একটা স্টেজে বসে আছে ইয়াশ সেরোয়ানি পরনে,, আজ ইয়াশকে ঠিক রাজপুত্রের মতো লাগছে। রাজপুত্র? হ্যা! রাজপুত্রই তো। ইয়াশ তো রাজপুত্র,, যে কিনা আদনানের বার্বিডল এই রাজ্যের রাজকন্যাকে বিয়ে করে সম্মানের সাথে নিয়ে যেতে এসেছে।

আজকের পর থেকে স্নেহা ইয়াশের। ভাবলেই দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আদনানের। কত বড় অভাগা সে,, নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলছে সে। সেইদিন স্নেহাকে বলেছিলো,, ফ্যামিলির মতে নাকি সে বিয়ে করবে। কিন্তু,, পারবে তো অন্য একজনকে জীবনে জড়াতে? ভাবতে পারে নাহ আদনান।

আদনানের মন চাচ্ছে দৌড়ে গিয়ে স্নেহাকে সব টাহ বলে দিতে। নাহ পাক,, তাতে কি? ভালোবাসার মানুষকে কি আর সবাই পায়? পায় নাহ তো। দুনিয়াতে এমন অনেক ভালোবাসা আছে যারা তাদের পূর্নতা পায় নি। কিন্তু,, তারা তো প্রকাশ করে একটা বোঝা থেকে মুক্তি পায়। আদনান তো এখনো প্রকাশ করে নি। অন্তত প্রকাশ করুক যে,, সে তার বার্বিডল কে কতোটাহ ভালোবাসে।

নাহ! কি ভাবছে সে এইসব? পাগল হয়ে গেছে নাকি সে? এমন একটা দিনে স্নেহাকে তার অনুভুতির কথা বলা যে অন্যায়। হয়তো কষ্ট পাবে তার বার্বিডল,, অসম্মান করা হবে বন্ধুত্বকে। পারবে নাহ আদনান! কখনোই নাহ।

আদনান একপলক হাতে থাকা গোলাপ ফুলের দিকে তাকায়। ইচ্ছে করেই দামি উপহার সে কিনে নায়। তার কারনও আছে। দামি উপহার কেনার জন্য গিয়েছিলো,, হয়তো সেইটা স্নেহার কাছে কিছুই নাহ। তিন হাজার টাকা নিয়ে একটা উপহার কেনার জন্য গেলেও,, কি মনে করে বিশ টাকা দিয়ে এই ফুটন্ত গোলাপ টাহ কিনে আনে আদনান।

…………….একটা রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে আদনান। এই রুমেই আছে স্নেহা! তার বার্বিডল! যে আজ থেকে অন্য কারোর হয়ে যাবে। যার উপর প্রতিষ্ঠিত হবে অন্য কারোর অধিকার।

ভেতর থেকে একটু হাসির আওয়াজ পাচ্ছে আদনান। স্নেহার হাসির আওয়াজ নাহ,, অন্য মেয়েদের। দরজা হালকা নক করতেই হাসির রেশ থেমে যায়। কেউ একজন ভেতরে আসার অনুমতি দিলে আদনান ভেতরে আসে।

আদনান কে দেখে দাড়িয়ে পড়ে স্নেহা। আয়না দিয়ে দেখতে থাকে আদনানকে। আদনান আয়নার দিকে তাকালে দেখতে পায় এক অনন্য রুপবতী কন্যাকে। এই কি তার বার্বিডল? মেয়েদের নাকি বউ সাজে অধিক সুন্দর লাগে? আজ তার প্রমান পেলো আদনান।

স্নেহা কাজ করা গাঢ় লাল রঙের লেহেঙ্গা পরা যার দোপাট্টা গোল্ডেন কালারের। ব্রাইডাল সাজ,, সোনার গহনা,, খোপায় ফুলের গজরা,, অসম্ভব সুন্দর লাগছে স্নেহাকে। স্নেহা আদনানের দিকে ঘুরে দাড়ায়। আদনান এখন আরও ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছে স্নেহাকে। এইটাই হয়তো তার শেষ দেখা স্নেহাকে। স্নেহা পাশের মেয়েগুলোর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” তোরা যা! আমার কিছু কথা আছে আদনানের সাথে। তোরা পরে আই।”

সবাই চলে যায়। এখন রুমে আদনান আর স্নেহা ছাড়া কেউ নেই। স্নেহাও কিছু নাহ বলে আদনানকে দেখতে থাকে। আদনান কেমন যেন শুকিয়ে আছে। কি হয়েছে তার? আদনান হালকা হাসে স্নেহার দিকে তাকিয়ে। স্নেহার যেন হাসি পাচ্ছে নাহ,, বরং কান্না পাচ্ছে। নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলার তীব্র যন্ত্রনা ঘিরে ধরছে তাকে।

আদনান এগিয়ে এসে গোলাপ ফুল টাহ স্নেহার দিকে বাড়িয়ে দেয়। স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আদনানের দিকে। আদনান হালকা হেসে স্নেহাকে ইশারা করে ফুল টাহ নিতে। স্নেহা হাত বাড়িয়ে ফুল টাহ নিয়ে নেয়। তারপর আদনান স্নেহার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” আজ তোর বিয়ে,, এক নতুন জীবনে যাবি,, এক নতুন মানুষের সাথে তোর জীবন জড়িয়ে যাবে। অনেক অনেক শুভ কামনা তোর জন্য!”

স্নেহা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে আদনানের দিকে। আদনান আবার বলে ওঠে,
–” দুইদিন পর কানাডায় চলে যাবি। আর দেখা হবে কি নাহ তাও জানি নাহ। ভুলে যাস নাহ প্লিজ! জানি,, নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবি,, কিন্তু তাও বলছি,, প্রতিদিন নাহ হোক,, সপ্তাহে এক সেকেন্ডের জন্য হলেও আমাকে মনে করিস। আমি তোকে খুব মিস করবো,, ককটেল সুন্দরী! অনেক মিস করবো।”

আদনানের গলা ভেঙে আসছে। তাও বলে ওঠে,
–” স্নেহা! আমি তোর জন্য ভালো কিছু কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু,, আমি কিনি নি। তার বদলে একটা সস্তা পাতি গোলাপ নিয়ে এসেছি। আমি জানি নাহ এই ফুলের মূল্য তোর কাছে কি,, কিন্তু,, আমার কাছে এই ফুলের মূল্য অনেক। মনে পড়ে তোর,, এরকম একটা গোলাপ নিয়ে তোর সাথে আমার প্রথম দিন কেমন ঝগড়া হয়েছিলো? আমার কিন্তু মনে পড়ে। তাই আমি এই প্রথম দিন টাই তোর জন্য নিয়ে এসেছি।”

স্নেহা তন্ময় হয়ে আদনানের কথা শুনছে। মনে হচ্ছে এই কথা বলা যেন শেষ নাহ হয়। আদনান একটা ঢুক গিলে আবার বলে ওঠে,
–” এই ফুল টাহ একদিন পর ঝরে যাবে। তার সাথে ঝরে যাবে তোর আর আমার বন্ধুত্বের একটা ধাপ। বিয়ে হলে বন্ধুর জন্য সময় কম হয়ে থাকে,, এই ফুলে ঝরে যাওয়া টাহ তার প্রকাশ মাত্র। আর এই ফুলের যতটাহ সৌন্দর্য এই মুহুর্তে বিদ্যমান আছে। ততটাই সৌন্দর্য,, তোর দাম্পত্য জীবনে ফুটে উঠুক!”

স্নেহার চোখ ছলছল করছে। পলক ফেললেই গড়িয়ে পরবে অশ্রুকণা। কিন্তু,, স্নেহা ফেলতে দিচ্ছে নাহ। আদনান একটা জোরে নিশ্বাস নিয়ে বলে ওঠে,
–” তুই বলেছিলি,, আমি যেন তোর বিয়ের প্রতিটা ফাংশনে থাকি। আমি তােকে কথা দিয়েছিলাম থাকবো,, আর আমি থেকেছি। কিন্তু,, এখন আর আমাকে আটকাবি নাহ প্লিজ! আমি চলে যাচ্ছি! সুখি হ,, সব সময় এই দোয়া করি তোর জন্য। আল্লাহ তোকে সর্বশ্রেষ্ঠ সুখী কন্যা বানিয়ে দিক। ভালো থাকিস! নিজের দিকে খেয়াল রাখিস। নতুন জীবনের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো। আল্লাহ তোদের সুখী করুক। তোদের দাম্পত্য জীবনে আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হোক। আল্লাহ হাফিজ!”

আদনান আর দাড়ায় নাহ। ঘুরে যায় স্নেহার দিক থেকে। হাঁটতে শুরু করে বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্যে। হাত দিয়ে মুছে নেয় চোখের পানি। চলে যায় আদনান। স্নেহা আদনানের যাওয়ার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে। একটা কথাও বলে নি সে। কারন,, স্নেহা জানে এখন যদি সে একটা শব্দ উচ্চারণ করতো,, তাহলে নিজের কান্না আর সামলাতে পারতো নাহ।

স্নেহা হাতে থাকা গোলাপ ফুলের দিকে তাকায়। স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে আদনানের সাথে কাটানো সেই সোনালি দিন গুলো। আদনান তাকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলো। চোখ থেকে অজস্র জল গড়িয়ে পড়তে থাকে স্নেহার!!!!!

#_চলবে………..🌹

{{ হ্যাপি রিডিং….!!🕊️ }}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here