অতিরিক্ত চাওয়া { ২ }
৯
সাদা রঙের লং স্কার্ট এ-র সাথে কালো রঙের লং হাতার গেঞ্জি, গেঞ্জির উপরে কালো জ্যাকেট টাইপ সোয়েটার, সাদা-কালো মিক্সিং একটি স্কার্ফ গলায় ঝুলিয়ে, বিছানায় পা দুলিয়ে বসে বেলি! আড়চোখে শরীরের কাপড়ের দিক নজর বোলাচ্ছে! আজ কেমন অদ্ভুত সুন্দর লাগছে তাকে! অন্যরকম সুন্দর দেখাচ্ছে, যেটা সাধারণত দেখায় না! বিছানায় পরে থাকা শপিং ব্যাগ গুলোর দিক তাকাচ্ছে! এ-ই নিয়ে ১০ বার ব্যাগ গুলো খুলে দেখেছে! আবার ন্যায়নীতি অবলম্বন করে গুছিয়ে রেখে দিয়েছে! তৃষ্ণা ব্যাগ গুলো আয়েশা কে দিয়ে পাঠিয়েছিল! সে নিজে আসে নি! কয়েকজনের সাথে নাকি কথা বলছে!
মনের বাগানে ফুল ফুটেছে বেলির! অদ্ভুত সৌন্দর্য লাগছে সবকিছু! দুনিয়াটা বেশ রঙ্গিন মনে হচ্ছে! যা দেখছে তাই সুন্দর! শরীর থেকে একটা সতেজ ভাব আসছে! এভাবে তো পিরিয়ড হলে বেলির হায় হায় অবস্থা হয়ে যায়! কিন্তু, এইবার হলো অন্যটা! পরিহিত স্কার্টটিকে ঘুরিয়ে, ঘুরিয়ে দেখছে! একপর্যায়ে স্কার্ট উঁচু করে নিজেই ঘুরতে লাগলো! ভেজা চুলের পানি গুলো ফোটা-ফোটা হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে! ফুরফুরে মনে সে গান ধরলো…
” যাও পাখি বল তারে,
সে জেনো ভোলে না মোরে…
জানালায় দাঁড়ানো বেলি, আয়েশা রুমে প্রবেশ করতেই, বেলি বড় এক শ্বাস ফেলল,
— ভালো হয়েছে এসেছেন ! আমার যে কি বোরিং লাগছিলো, বলে বোঝানো অসম্ভব!
আয়েশা বেলির পাশে বসতে বসতে বলল,
— আমি তো কাউন্টারের দিক ছিলাম, চলে আসতে!
গোমড়া মুখে বেলি আঙুল গুতোগুতি করছে,
— রুম থেকে বেরোতে মানা করলো যে! যদি কথা না শুনি, [ শ্বাস ফেলে, ] তাহলে আমাকে পাওয়া যাবে নাকি সন্দেহ!
কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো আয়েশা! বিছানায় পরে থাকা তাওয়াল হাতে নিয়ে, বেলির লম্বা চুলগুলো পুছতে লাগলো,
— চুলে এখনো তো পানি!
— হাত ব্যাথা করছিলো, তাই আর ভালোভাবে করা হয় নি! আচ্ছা সে কই.?
— এরিয়ায় তৃষ্ণার কিছু চেনা-জানা আছে! তাদের সাথে সাক্ষাৎ করছে !
বেলি মিষ্টি হেসে তাকিয়েই রইলো আয়েশার মুখে! গায়ের রঙ হালকা কালো! দেখতে চমৎকার! কে বলেছে কালো মানুষ দেখতে সুন্দর না? আয়েশাকে দেখলে তারা তাদের মত পাল্টাতে বাধ্য! গোল-গাল চেহরার মায়াবী আয়েশা! কালো রঙের মায়াবী সে! আয়েশা জানালা দিয়ে বাহিরের দূর প্রান্তে তাকিয়ে,
— তোমাকে একটি গল্প শোনাবো! তুমি কি শুনবে বেলি.?
— হ্যাঁ, অবশ্যই!
— পুরো কাহিনী শুনে তোমার মতামত জানাবে!
— হু!
— এটা এক প্রেমিক পুরুষের গল্প! কিভাবে তার শক্ত হৃদয়ে প্রেমের আগমন ঘটে! কিভাবে সে এক অদ্ভুত প্রেমের ঘরে প্রবেশ করে, কিভাবে সে এক ছোট মেয়ের কান্নার প্রেমে পরে! এবং কিভাবে সে নিজেকে সেই ভাগ্যবান মেয়ে এবং সমাজ থেকে এগিয়ে চলে! তোমার বোঝার জন্য চরিত্রের নাম দিচ্ছি প্রেমিক আর পিচ্চি !
বেলি মাথা দুলিয়ে বিছানায় পা গুটিয়ে বসলো! এবং সম্পুর্ন মনোযোগ আয়েশার মুখের দিক দিলো! তাঁর চেহারায় স্পষ্ট ভেসে উঠেছে, যে সে কতটা আগ্রহী! আয়েশা নিজের মনে বলতে লাগলো,
— প্রেমিক ছিলো এক গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে! শুধু যে সেই গ্রামেই নাম-পরিচয় ছিলো তা মোটেও না! তাঁর নাম-পরিচয় ছিলো আশেপাশের আরো কয়েক গ্রামে সাথে শহরেও! শহরে নাম-পরিচয়ের কারণ ছিলো তাঁর মামা! মামা বললে ভুল হবে, অনেকটাই বন্ধু! তাঁদের মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক ছিলো ২ জিগরি বন্ধুর ! আর পাশের ২ গ্রামের লিডার ছিলো তার চাচারা! বোঝাই যাচ্ছে কতটা উঁচু তাঁদের অবস্থা! কিন্তু, সেগুলো নিয়ে কোনো হিংসে বা মাথা-ব্যাথা ছিলো না প্রেমিকের ! সে নিজের মতো ছিলো! ফাজলামো, মারামারি, মারধর, এগুলো নিয়ে চলে যেতো দিনকাল!
তখন তাঁর বয়স ছিলো ২৫! ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলো শহরে! তাই গ্রামে খুব কমই থাকা হতো তাঁর! সেইবার সে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে এসেছিলো মাস খানিকের মতো! গ্রামের বাজারের কিছুটা আগে, এক সরকারি স্কুল ছিলো! সেই স্কুলের মাথায় ছিলো মেইন রাস্তা! পরিবেশটি সুন্দরের কারনে, প্রেমিক সদা তার ভাই-বন্ধুদের নিয়ে সেখানেই আড্ডা দিতো! কথা হচ্ছে সেটা ছিলো তাদের আড্ডা স্থল! সেই স্কুলের এক শিক্ষক ছিলেন যিনি পার্সোনালি প্রেমিককে পড়িয়েছিলেন! সেই শিক্ষক যখন প্রেমিকে নিজে দাওয়াত করেন, সে না করতে পারেন নি! অগ্যত সে তাঁর ৩ ভাই কে নিয়ে উপস্থিত হয় শিক্ষকের বাড়ি!
সেখানে যতটুকু সময় প্রেমিক ছিলো, সে শুধু একজনকেই মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করেছিলো, সে ছিলো শিক্ষকের মেজো মেয়ে! শিক্ষকের ৩ সন্তান ছিলো বড় মেয়ে, মেজো মেয়ে আর ছোট ছেলে! মেজো মেয়ের বয়স ছিলো তখন ১১! প্রেমিক মুগ্ধকর চোখে দেখতে থাকলো, দুই বেনি করে, আঙিনায় কুতকুত খেলতে থাকা পিচ্চিকে ! এমন না যে সে আগে পিচ্চিকে চিনতেন না! অবশ্যই চিনতেন কিন্তু তেমন ভাবে খেয়াল করেন নি, যেহেতু সে শহরে বেশি থাকতেন! যখন সে দেখছিল পিচ্চির খেলা, তাঁর ভাবনা ছিলো, এক বাচ্চা মেয়ে খেলছে, এবং সেটা দেখতে ভালো লাগছে! কিন্তু, সে এটা পাত্তা দেয় নি, যে সেখানে আরো দুই বাচ্চা মেয়ে ছিলো! তাহলে তার চোখ শুধু একজনের দিকে কেনো?
স্কুলের সামনে সকলের আড্ডার মাঝে প্রেমিক সেই পিচ্চিটিকে খুঁজে চলেছে! যখন শিক্ষকের সাথে সেই পিচ্চিকে দেখলো, প্রেমিক হেসে ফেলল! পিচ্চির ছোট ভাইটা ছিলো প্রেমিকের ভক্ত! ছোট ছেলেটা প্রেমিককেই দেখলেই ‘ ভাইয়া ‘ বলে দৌড়ে আসতো! ঠিক তেমনি পিচ্চিটাও কিন্তু প্রেমিককে ভাইয়া ডাকতো!
১ মাসের মধ্যে প্রেমিককে ফিরতে হয় শহরে! সমস্যা হয়েছিলো , যখন তাঁর মনে উঁকি দিচ্ছিলো সেই পিচ্চি মেয়েটা! অদ্ভুত এ-ই ভাবনায় প্রেমিক নিজেই ভেঙে পরেন! তাঁর সেই পিচ্চিকে দেখার এতো কামনা জেগেছিল যে, সেই পরের দিন রাত্রে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন! এবং ঠিকঠিক পিচ্চিকে দেখে, তার ছোট আওয়াজ শুনে, শহরে ফিরে আসেন! এক পর্যায়ে ব্যাপারটা অদ্ভুত ভাবে পরিণত হতে লাগলো! প্রেমিকের কাছে সব এলোমেলো হতে লাগলো! সে কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছিল না! রাগে-দুঃখে সে কেমন কঠোর হতে থাকলো ! হাসি-মজা করা ভুলে যেতে লাগলো! তাঁর এ-ই পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন প্রেমিকের মা এবং ভাবি! মা-কে খুলে না বললেও যখন বন্ধুর মতো এবং মায়ের দ্বিতীয় রূপে ভাবি খুলে বলতে বলে, প্রেমিক ভেঙে পরেন ! খুলে বলে তাঁর হঠাৎ অনুভূতির কথা! বদলে যাওয়া হৃদয়ের কথা!
প্রেমিকের ভাবি অবাকের চূরান্তস্তর এ ছিলেন! সে কি ভাববে বা বলবে বোঝে উঠতে পারেন নি! নানান চিন্তাভাবনা করে সে ভাবলো হয়তো বাচ্চামিতে ডুবে যাচ্ছে! তাই সে প্রেমিককে নির্দেশ দিলেন , গ্রামে ফিরতে না! অসহায় প্রেমিক মেনে নিলেন ভাবির কথা! চলে গেলেন শহরে! দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাঁটতে লাগলো, কিন্তু তাঁর অজানা অনুভূতি কমার বদলে বাড়তে লাগলো! এক পর্যায়ে তাঁকে অসুস্থ করে দিলো! অতি-চিন্তায় প্রেমিকের পরিবার নিস্তেজ হয়ে পরলো! শহরে অসুস্থ এবং নিস্তেজ মন নিয়ে পরেছিল সে!
প্রেমিক গ্রামে ফিরে নি প্রায় ২ বছরের মতো! পরিবার তাঁর এসে দেখা করে যেতো! কিন্তু, তার মাঝে একটি কাহিনী ঘটতো তা হলো, কেউ একজন তাকে প্রতিদিন পিচ্চিটার ছবি পাঠাতো! সেটা ছিলো তাঁর ছোট ভাই! সারাদিনের ক্লান্তি এক নিমিষেই তাঁর উধাও হয়ে যেতো শুধু পিচ্চিটির ছবি দেখে! তাহলে ভেবো পিচ্চিটা তাঁর পাশে থাকলে সে কতোটা সুখি থাকতো?
মস্তিষ্ক হেরে গেলো আর মন জিতে গেলো! হ্যাঁ প্রেমিক গ্রামে ফিরেছেন! এবং তখন তাঁর পিচ্চিটা অনেকটা বড় হয়েছে! ওড়না নেওয়া হচ্ছে, চুল খোঁপা করা হচ্ছে! যেগুলো প্রেমিক তাঁর পিচ্চির মাঝে দেখার জন্য উতলা হয়েছিলো ! সে তার কাজের মাঝেও চলে আসতো গ্রামে! এমন সময় এসেছিলো যে যদি মন বলতো,
” একবার দেখা উচিৎ ” তাহলে প্রেমিক তৎক্ষণাৎ গ্রামে ফিরতো!
ধীরেধীরে তাঁর মন অন্য কিছুর আকাঙ্ক্ষায় পাগল হয়ে উঠতে লাগলো! তেমনি তাঁর পিচ্চি, বাচ্চা থেকে মেয়ে হতে থাকলো! প্রেমিকের পিচ্চির প্রতি অসীম রাগ ছিলো! সেটা ছিলো প্রেমের রাগ! সে বারবার বলতো ” কেনো ছোট হয়ে গেলি? আমার বয়সীর হলে কি হতো? তাহলে কি আমায় এতো কষ্টের অপেক্ষায় থাকতে হতো? “! এ-ই প্রেম-খেলায় জ্বলজ্বল করছিলো প্রেমিক ! কখনও প্রেমের মনে পিচ্চিটার দিক তাকাতো, তো কখনও অভিমানে বা কখনও অতিরিক্ত রাগে! এ-ই সবগুলো অনুভুতিতে সে পিচ্চিকে দিয়ে ছোট-ছোট কাজ করাতো! যেগুলো তাঁর পিচ্চির ভবিষ্যতে করা দরকার? হ্যাঁ, এটা ঠিক যে তাঁর পিচ্চি তাঁকে ভয় পেতো! তাঁকে দেখলেই পিচ্চিটা পালাতো, ব্যাপারটা প্রথম মজা লাগলেও পরে বেশ বিরক্ত লাগতে শুরু করলো! যতই হোক সে তো প্রেমিক মানুষ!
তুমি যদি কখনও কাউকে ভালোবাসো, তাহলে তাকে ছোঁয়ার, তাঁর পাশে থাকার, তাঁর স্পর্শ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় জ্বলবে সেটাই হতো প্রেমিক-পুরুষের সাথে! তার দোশ হলো যে তার মন এক নাবালিকা মেয়ের জন্য বাজে! এবং বেজেই চলেছে অদ্ভুত ভাবে! হয়তো মরার আগ পর্যন্ত বাজবে!
আয়েশা জানালা থেকে চোখ সরিয়ে বেলির দিক তাকালো! যার দু-চোখে জলের বন্যা! স্তব্ধ বেলি এখনও পাথর হয়ে বসে! আয়েশার কথা গুলো তাঁর কানে বেজে যাচ্ছে! আগের সবকিছু তাঁর চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে ! অদ্ভুত খারাপ লাগায় তাঁকে ঘিরে ধরেছে! আয়েশা বেলির মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
— কি মতামত দেবে?
বেলির আওয়াজ তখনও কণ্ঠনালী তে আটকে,
— সুখে রাখবে তোমাকে বেলী।
বেলি ছলছল চোখে আয়েশার যাওয়ার দিক তাকিয়ে! গলায় হালকা আওয়াজ আসলো! তার বড্ড যন্ত্রণা লাগছে সবকিছু!
রুমের বাহির থেকে কান্নার আওয়াজে অবাক হলো তৃষ্ণা! কানের থেকে ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে, একপ্রকার দ্রুত রুমে ঢুকলো ! বেলিকে এমন ভাবে কাঁদতে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলো সে,
— এ-ই এ-ই বেলি, কি হয়েছে!
বিছানায় শুয়ে থাকা বেলিকে বসালো,
— তাকা আমার দিক, কি হয়েছে?
বেলি নিজের হাতের দিক তাকিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে,
— পেট ব্যাথা করছে?
বেলি তৃষ্ণার বুকের গেঞ্জি খামচে ধরে মুখ সেখানে লুকিয়ে আরো ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো! স্তব্ধ তৃষ্ণা দু-হাতে বেলিকে জড়িয়ে নিলো! বেলির পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,
~ হুসস, বেবি কাঁদে না! কি হয়েছে আমায় বলো! নাহলে কিভাবে বুঝবো!!
~ হয়েছে তো..! কাঁদে না!
কাঁদতে কাঁদতে বেলি ঘুমিয়ে পড়েছে! তৃষ্ণা ধীরে বিছানায় শুইয়ে দিলো তাঁকে! পাতলা চাদর দিয়ে ঢেকে দিলো! উষ্ক চোখের পানি গুলো মুছে দিলো! বেলির পাশে বসে আয়েশাকে কল দিলো,
— রুমে এসেছিলে নাকি মামী?
— হ্যাঁ এসেছি! এন্ড আমি তোর মামী নই!
— প্রেম যেহেতু করেছো, মামি তাহলে হয়েছো,
— তোর মামা ঘুরছে যে আমার পিছনে! লজ্জা-শরম কিচ্ছু নেই! ১৮ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি! আর সেই মহিলার সাথে কেনো এতো ইয়ে করছে শুনি?
— তাহলে, কয়েকদিন আগে মামার এক্সিডেন্টের কথা শুনে কেঁদে কে ভাসিয়েছিল? তুমি কি তাকে চিনো?
— ওটা তো এ-র জন্য যে আমি মানুষ! মানুষ মানুষের কষ্টে কাঁদবে এটা স্বাভাবিক নয় কি?
— রেকর্ড করে রেখেছি! সেন্ড করে দিচ্ছি!
— হ্যাঁ দে! ভয় পাই নাকি আমি!
— মামা কিন্তু কাল আসছে!
— ভাগ..
— আচ্ছা, তুমি কি কিছু বলেছ বেলিকে? কাঁদতে কাঁদতে মুখ ফুলিয়ে ফেলছে একদম! বলছেও না কি হয়েছে!
আয়েশা মিষ্টি হেসে বলল,
~ মনে হয় পরিবারকে মিস করেছে!
কথাটা বলেই আয়েশা কল কেঁটে দিলো! তৃষ্ণা বেলির মুখের দিক তাকিয়ে ভাবতে লাগলো! ঘুম ভাঙলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবে ” কি হয়েছিলো ”
চলবে…