#মন_তুমি_ছুঁয়ে_দেখো_না
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ১৯
ভ্যাবসা গরমে প্রকৃতি নিস্তব্ধ হয়ে আছে।একটু বাতাসের ছিটেফোটাও নেই যেন কোথাও।আকাশে সূর্য্যিমামাটা যেন ক্ষণে ক্ষণে তার প্রখরতা বাড়িয়েই চলেছে।কপালে হাত দিয়ে একবার আকাশের দিকে তাকালো রিধি।কিন্তু রোদের তেজে পারল না।দ্রুত চোখ সরিয়ে নিল।গরমে তার অবস্থা কাহিল।বাসা থেকে বের হয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিল সে কিন্তু একটা রিকশা বা সিএনজি কিছুই পায়নি।তাই উপায় না পেয়ে রাস্তায় হাটতে শুরু করে দিয়েছে সে।নাহলে যে দেরি হয়ে যাবে।বন্ধুরা বোধহয় এতোক্ষণে গন্তব্যে পৌছে গিয়েছে।শুধু ওই লেইট করছে বোধহয়।রিধি ক্লান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পরল।এই রোধের মাঝে আর হাটতে ইচ্ছে করছে নাহ।বিরক্ত হয়ে রিধি বলে,
‘ উফ,অসহ্য।এতো গরম আর ভালো লাগে না।’
পানির তৃষ্ণাও পেয়েছে।পাশেই একটা দোকান দেখতে পেল।রিধি সেদিকে এগিয়ে গেল।পানি না খেলে চলছেই না।রিধি দোকানে গিয়ে এক বোতল পানি কিনে নিল।তারপর দোকানের বাহিরে ছাউনিতে দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে অনেকটা পানি পান করে নিল।হ্যা,এখন একটু শান্তি লাগছে।পার্স থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘামটুকু মুছে নিল রিধি।আর বার বার রাস্তার এদিক ওদিক তাকাতে লাগল।আজ মনে হয় সব রিকশা আর সিএনজি ওয়ালারা পণ করেছে।রিধি যেখানে আছে সেখানে ওরা কিছুতেই আসবে না।কি করবে এখন রিধি?এতোদূর অব্দি তো হেটে যাওয়ায় সম্ভব নাহ।এমন সময় মোবাইল ফোনটা সজোড়ে বেজে উঠল।দেখে প্রিয়ান কল করেছে।রিধি দ্রুত রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে প্রিয়ানের কণ্ঠ ভেসে আসল,
‘ওই ছেরি! কই তুই?এতোক্ষণ লাগে তোর আসতে?কতোক্ষণ ধরে বসে আছি।সামনে এতো এতো খাবারের আইটেম চাইলেও খাইতে পারতাছি না তোর জন্যে।জলদি আয়।’
রিধি কাঁদো মুখ করে বলে উঠল,
‘ আমার কি দোষ?আমি তো আসতে চাইছি।কিন্তু একটা রিকশা বা সিএনজি কিছুই পাচ্ছি না।হেটে হেটে এতোদূর অব্দি যাওয়া পসিবল নাকি?’
প্রিয়ান যেন তেতে উঠল রিধির কথায়।বলল,
‘ পাকনামি করছস ক্যান?আগেই কইছিলাম না আমি তোরে নিতে আসুম নেহ।তুই তোর ওই হিটলার বাপের ভয়ে আমারে মানা কইরা দিলি।ওই ছেরি আমি তোর ওই পুলিশ বাপরে ভয় পাই? এহন আয় একলা একলা হাইট্টা হাইট্টাই আসবি।হিটলার বাপের বলদা মাইয়া।’
রিধি প্রিয়ানের কথায় রেগে উঠল।চেঁচিয়ে বলে,
‘ ওই তুই কথায় কথায় আমার বাবাকে টানিস কেন?আর একদম আমার বাবাকে হিটলার বলবি না।’
‘ আমি তো একশবার বলমু।’
‘ প্রিয়ানের বাচ্চা শুধু একবার আমি আসি।তোর হাড্ডি একটাও আস্ত রাখমু নাহ।’
‘ আমি অপেক্ষায়।আগে তো আইসা নেহ।তুই আসতে আসতে দেখবি।আমাগো পিকনিক শেষ।আর তোর ভাগের খাবার সব আমার পেটের মধ্যে।’
প্রিয়ান কথাগুলো বলে খ্যাঁকখ্যাঁক করে হাসল।রেগে মেগে রিধি কল কেটে দিল।পরক্ষণে রাস্তার দিকে তাকাতে আবারও ওর মুখশ্রী কাঁদো কাঁদো হয়ে আসল। কি করব সে? হঠাৎ রিধি পাশে কারো উপস্থিতি টের পেল।মানুষটার শরীরের ঘ্রাণ ওর খুব চেনা।কিন্তু এই লোক এখানে কিভাবে আসবে? রিধি পাশ ফিরে তাকাল।তাকাতেই ইহানের ফর্সা সুন্দর মুখশ্রীটা চক্ষুগোচর হলো।তাকিয়েই রইল রিধি।কি সুন্দর লাগছে মানুষটাকে।ব্লু শার্ট, ব্লাক ডেনিম প্যান্টটা যেন ইহানের ফর্সা শরীরে একদম ফুটে উঠেছে।লোকটার দিকে একবার তাকালে রিধির ঘোর লেগে যায়।চোখ ফিরাতেই ইচ্ছে করে না।মন চায় লোকটাকে আজীবন ওর সামনে বসিয়ে রাখতে।আর ও প্রাণভরে দেখবে।রিধির ভাবনা ভঙ হয় ইহানের ডাকে,
‘ কোথায় যাচ্ছিলে?’
‘ হ..হুঁ!’
‘ কোথায়?’
রিধি দৃষ্টি সরিয়ে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়াল।ইস,কিভাবে ড্যাবড্যাব করে লোকটার দিকে তাকিয়েছিল ও।মানুষটা মনে মনে ওকে কি ভাবছে কে জানে।ইহান রিধির জবাব না পেয়ে ফের বলে,
‘ বলছি তোমাদের পিকনিক স্পটটা কোথায়?ঠিকানা দেও।’
ইহানের কথা ঠাওর করতে পারল না রিধি।ভাবুক গলায় বলে,
‘ মানে?সেটা জেনে আপনি কি করবেন?’
ইহান রাশভারি স্বরে বলে,
‘ কতোক্ষণ যাবত তো দেখছি এখানে দাঁড়িয়ে আছ রিকশা অথবা সিএনজির জন্যে।কিন্তু এখন এই টাইমে এগুলা পাওয়া খুব দুষ্কর।তাই বেহেরবানি করে আমাকে ঠিকানা দিন আমি আপনাকে পৌছে দিচ্ছি।অথৈ আমাকে শুধু বলেছে তোমরা নাকি পিকনিক করবে।তবে ঠিকানা বলে নি।এখন তাড়াতাড়ি বলো।’
ইহান ওকে পৌছে দিবে?ও কি সত্যি শুনছে।ওর কতোকালের স্বপ্ন ছিল ও ইহানের বাইকে বসবে।ইহান বাইক চালাবে। আর রিধি মুগ্ধ হয়ে ইহানকে দেখবে।খুশিতে রিধির চোখজোড়া জ্বলজ্বল করতে লাগল।উচ্ছাসিত হয়ে বলে,
‘ সত্যি বলছেন আমায় পৌছে দিবেন আপনি?’
‘ নাহ মিথ্যে বলছি আমি।’
এই বলে ইহান হেটে গিয়ে বাইকে উঠে বসল।তারপর গম্ভীর স্বরে বলে,’ দ্রুত আস।আমার আরও কাজ আছে।’
রিধি দ্রুত পায়ে এসে ইহানের বাইকে উঠে বসল।ইস,মনটা খুশিতে তাথৈ তাথৈ করে নাচছে।কিন্তু এখন কি করবে?ইহানের কাধে কি হাত রাখবে?লোকটা যদি পছন্দ না করে?যদি ধমকে উঠে ওকে?ইহান বাইক স্টার্ট দিলে রিধি বাইকের পিছনের অংশটা চেপে ধরল।ইহান ভরাট কণ্ঠস্বরে বলে,
‘ আমায় ধরছ না কেন?বাইক থেকে উলটে পরে হাত পা ভাঙার নিয়ত আছে নাকি তোমার?আমার কাধ শক্ত করে ধরো।’
ইহানের পেয়ে রিধি খুশিতে আত্মহারা।দ্রুত ইহানের কাধের অংশ শক্ত করে ধরল।সাথে সাথেই যেন শরীরটা ঝংকার দিয়ে কেঁপে উঠল।লোকটাকে একটুখানি স্পর্শ করতেই যেন মনে হলো ওর শরীরের কারেন্টের শক লেগেছে।অন্যরকম শিহরণ বয়ে যাচ্ছে মনে।সহ্য করতে না পের রিধি পরনের জামা খামছে ধরল।এদিকে ইহান বাইক চালানোর ফাঁকে ফাঁকে ফ্রন্ট মিরোরে বারবার রিধির দিকে তাকাচ্ছে।তাকাতে চাইছে না ইহান।তাও কেন যেন চোখ চলে যাচ্ছে।কাঁচা হলুদ রঙের গাউন পরেছে রিধি।ওর ফর্সা শরীরে বেশ মানিয়েছে সেটা।ইহানের চোখ ধাধিয়ে যাচ্ছে একদম।চুলগুলো বেনি করে একসাইডে এনে রেখেছে।কিছু ছোটো ছোটো চুল কপালে, গালে এসে পরেছে।যা বাতাসের দাপাটো উড়াউড়ি করছে।গরমে ঘার্মাক্ত মুখশ্রীটা যেন আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে।ইহানের বুকের ভীতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেল।দ্রুত চোখ সরিয়ে নিল।নিজের বেহায়াপনায় হতভম্ভ সে।কি করছিল সে?এইভাবে রিধি দিকে তাকিয়ে কেন ছিল সে?বুকের বাপাশের তীব্র স্পন্দন যেন ক্ষণে ক্ষণে বাড়তেই আছে।নাম না জানা অনুভূতিরা যেন আঁকড়ে ধরছে ওকে ক্রমাগত।ইহান আর একবারও তাকালো না রিধির দিকে।এই মেয়ের দিকে একবার তাকিয়েই এই অবস্থা।তাহলে আবার তাকালে নিশ্চয়ই সে হার্ট এট্যা’ক করবে।ইহান হিসাব মেলাতে পারছে না।রিধিকে তো সেই ছোটোবেলা থেকেই সে দেখে আসছে।কই আগে তো কখনও এরকম অনুভূতি হয়নি।তবে আজ কেন এমন লাগছে?তবে কি ওর দৃষ্টিভঙি বদলেছে?আজ কি মেয়েটার দিকে একটু অন্য নজরে তাকিয়েছে বলেই এমন হচ্ছে?নাহ,ইহান আর এমন কিছু করবে না।এভাবে হয় না।বোনের বান্ধবীর দিকে এইভাবে তাকানো ঠিক না।শেষে রিধি তাকে নির্ল’জ্জ না ভেবে বসে।
দুজন মানুষ দুই বিপরীত ধরনের ভাবনা মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ পথ শেষ করল।ইহান বাইক থামিয়ে গম্ভীর স্বরে বলে,
‘ নামো এসে পরেছি।’
রিধি নেমে দাঁড়ালো।অবশ্য তার নামতে ইচ্ছে করছিল না।মন চাচ্ছিল এইভাবে ইহানের সাথে বসে গন্তব্যহীন ঘুরে বেড়াতে।এই পথ এতো তাড়াতাড়ি শেষ কেন হলো?আরেকটু দীর্ঘ হলে তো রিধি আরেকটু সময় ইহানের সাথে থাকতে পারত।দীর্ঘশ্বাস ফেলল রিধি। মনের ভাবনা মনে রেখেই ধীর আওয়াজে বলল,
‘ ধন্যবাদ আপনাকে।’
‘ ইট্স ওকে।এটা আমার দায়িত্ব।বোনের বান্ধবীকে চোখের সামনে বিপদে পড়তে দেখে এগিয়ে আসব এটা স্বাভাবিক।’
ইহানের কথায় বুক ভার হয়ে আসল রিধির।কেন যেন কষ্ট লাগল ইহানের কথায়।ওকে কি ইহান সবসময় বোনের বান্ধবী নজরেই দেখবে?কি হয় একটু অন্যরকম দৃষ্টি নিয়ে ওর দিকে তাকালে?একবার ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুক না লোকটা।তার চোখে লোকটার জন্যে আকাশসম ভালোবাসা আছে।সেটা কি একবারও চোখে পরে নাহ লোকটার?এতো নিষ্ঠুর কেন সে? আর কেনই বা রিধি এই নিষ্ঠুর মানুষটাকে মন দিয়ে বসল?যে ওকে একটুও বুঝে না।ভালোবাসায় এতো কষ্ট কেন?কেন এতো যন্ত্রনা? রিধির কষ্টে চোখে জল চলে আসল।কিন্তু তা চোখের কোটর হতে গড়িয়ে পরতে দিল না রিধি।দ্রুত নিজেকে সামলে নিল।ধরা গলায় বলল,
‘ জি তারপরেও আপনি ধন্যবাদের প্রাপ্য।তাই আপনাকে ধন্যবাদ জানালাম।’
একটু থামে রিধি ভদ্রতার খাতিরে বলল,
‘ আপনি চাইলে আমাদের সাথে জয়েন করতে পারেন।’
সরাসরি নাকচ করল ইহান,
‘ নাহ।তোমাদের বন্ধুদের মাঝে আমি যেয়ে কি করব?উলটো তোমরা আরও অসস্থিতে পরে যাবে।আর তাছাড়া আমার ইম্পোর্ট্যান্ট একটা কাজ আছে।এখন আসি।দেরি হয়ে যাচ্ছে।বাই।’
রিধিকে আর কিছু বলার সুযোগ দিল না ইহান।বাইক স্টার্ট দিয়ে দ্রুততার সাথে চলে গেল।ইহানের যাওয়ার পথের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে রইল রিধি।এতোক্ষণ সামলে রাখা চোখের জলগুলো গড়িয়ে পরল গাল বেয়ে।ভেজা কণ্ঠে বলল,
‘ এতো নিষ্ঠুর কেন তুমি?কেন বুঝোনা আমার মনের কথা।একবার #মন_তুমি_ছুঁয়ে_দেখো_না। তাহলেই না বুঝবে ঠিক কতোটা ভালোবাসি তোমায়।’
আফসোস! ঠিক এই কথাগুলো ইহানের সামনে বলার সাহস রিধি করে উঠতে পারে না।যদি পারত তাহলে এক তরফা ভালোবেসে এইভাবে তিলে তিলে কষ্ট পেতো নাহ।
দূর থেকে পিহুর কণ্ঠস্বর কানে আসতে দ্রুত চোখ মুছে নিল রিধি।বার কয়েক জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলল।বুকের যন্ত্রনা গুলোকে ধামাচাপা দিয়ে দিল।তারপর হাসিমুখে এগিয়ে গেল বন্ধুদের দিকে।
_______________
গোল হয়ে বসে আছে পাঁচ বন্ধু।অথৈ,রিধি,পিহু,প্রিয়ান আর আহিদ।অথৈয়ের হাতে একটা আপেল।যেটাতে সে বড়ো বড়ো কামড় বসিয়ে কচকচ করে খাচ্ছে।আর একবার প্রিয়ানের দিকে তো একবার পিহুর দিকে তাকাচ্ছে ভ্রু-কুচকে। আর ওকে ভ্রু-কুচকে দেখছে রিধি আর আহিদ।অথৈয়ের ভাবভঙি বুঝতে পারছে না তারা।এদিকে পিহু আর প্রিয়ান যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে।পন করে নিয়েছে তারা যেন আর কোনোদিন কথাই বলবে না।কথা বললেই যেন তাদের স্যু’ট করে দেওয়া হবে।আহিদ অথৈয়ের কান্ড বুঝতে না পেরে বিরক্ত হয়ে বলল,
‘ সেই কখন থেকে এমন করে আছিস।সমস্যা কি তোর?এমন করছিস কেন?’
রিধিও তাল মেলালো আহিদের কথায়।বলল,
‘ হ্যা অথৈ।কি হয়েছে বলবি তো?আর হঠাৎ এই পিকনিকের প্ল্যান কেন করলি তুই?’
অথৈ এইবার নড়েচড়ে বসল।সে এখন বেশ আগ্রহ পাচ্ছে কথাটা বলার জন্যে।আপেলটায় লাস্ট একটা কামড় বসিয়ে তা চিবিয়ে চিবিয়ে তাড়াতাড়ি গিলে ফেলল।মুখটার ভাবভঙি দ্রুত পরিবর্তন করে নিল ও।অত্যন্ত সিরিয়াস মুড নিয়ে বলল,
‘ তোরা খেয়াল করেছিস কি না জানি না।বাট আমি দেখেছি।এই প্রিয়ান আর পিহু স্বাভাবিক নেই।’
অথৈয়ের এহেন কথা বুঝল না কেউ।আহিদ প্রশ্ন করল,
‘ মানে?কি বলছিস?’
অথৈ বিজ্ঞদের মতো মাথা দুলিয়ে বলে,
‘ হ্যা।ওরা আগের মতো স্বাভাবিক নেই।কাল থেকে কেমন যেন অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে।যেই প্রিয়ান আর পিহু একমুহূর্তের জন্যে ঝগড়া ছাড়া থাকতে পারে না।একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে টু শব্দ করলেই লঙ্কাকান্ড বেঁধে যায়।সেখানে ওর কাল থেকে এতোটা শান্ত কিভাবে?মানে হাউ ইজ দিস পসিবল?আমরা ক্লাস ওয়ান থেকে বেষ্টফ্রেন্ড।আহিদ তুই-ই বল।এমন কোনো দিন কি গিয়েছে যে সেদিন প্রিয়ান আর পিহু ঝগড়া করেনি?বল?তাহলে কাল থেকে ওরা এমন ঠান্ডা হয়ে কিভাবে আছে?কিছু একটা ঘাপলা অবশ্যই আছে।আর তা একমাত্র ওরাই বলতে পারবে আমাদের।’
অথৈ থেমে এইবার প্রিয়ান আর পিহুকে উদ্দেশ্য করে বলল,
‘ এখন ফটাফট সব সত্যি কথা বলে ফেল।কোনোরকম মিথ্যে বলা চলবে না।কোনো বানোয়াট কাহিনিও যেন না শোনানো হয়।ঠাস ঠাস করে দুজন সত্যিটা আমাদের বলে দে।নাহলে ভালো হবে না একদম।বুঝেছিস?’
অথৈয়ের কথায় পিহু আর প্রিয়ান একে-অপরের দিকে তাকাতে লাগল।দুজনের অবস্থা একই।তারা এখন কি বলবে ওদের?
#চলবে_____________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।আপনাদের এক একটা মন্তব্য আমাকে লিখার অনুপ্রেরণা দেয়।তাই সুন্দর করে মন্তব্য করবেন।