#আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ
#পর্ব৫
#Raiha_Zubair_Ripti
শীতের সকাল চারিদিক কুয়াশায় জড়ানো। সেই সাথে মৃদু মৃদু ঠান্ডা বাতাস শরীর টাকে বরফের ন্যায় জমে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সূর্যের দেখা নেই,শরীরে একটা জ্যাকেট জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে তৃষ্ণা দের বাড়িতে ঢুকে রাফি। তানিয়া বেগম শরীরে চাদর জড়িয়ে সোফায় বসে ছিলেন। হঠাৎ কাউকে তার পাশে বসতে দেখে চমকে উঠে। পাশ ফিরে তাকিয়ে পরিচিত মুখ দেখে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় তানিয়া বেগম। রাফির বাহু ধরে উৎফুল্ল নিয়ে বলে-
-“ রাফি তুই এসেছিস সত্যি।
রাফি নিজের বাহু থেকে তানিয়া বেগমের হাত সরাতে সরাতে বলে-
-“ উফ ফুপি এভাবে কেউ ধরে। শীতে কাঁপতে কাঁপতে এসেছি। শরীর জমে গেছে বাতাসে।
-“ একা এসেছিস নাকি?
রাফি ভ্রু কুঁচকে বলে-
-“ হ্যাঁ একা আসবো না তে সঙ্গী পাবো কই। তা তুমি একা এখানে বসে আছো যে ফুফা,চিতাবাঘ,তুষার ব্রো কই?
-“ ওরা সবাই ঘুমাচ্ছে। তোর ফুফা সিলেটে আছে।
রাফি হাতে থাকা ঘড়িটায় সময় দেখে বলে-
-“ সকাল সাড়ে আটটা বাজে এখনো ঘুমাচ্ছে সবাই!
-“ হ্যাঁ, তোর না আজ আসার কথা ছিলো বিদেশ থেকে?
-“ হ্যাঁ গতকাল রাতে এসেছি।
-“ ওহ্ আচ্ছা তুই বস আমি কফি বানিয়ে আনছি।
-“ তুমি বানাতে থাকো আমি ততক্ষণে তুষার ব্রো কে জাগিয়ে আসি।
তানিয়া বেগম রান্না ঘরে চলে যায়। রাফি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে তুষারের রুমে যায়। দরজা চাপানো সেটা দেখে দরজাটা হালকা ফাঁক করে চুপিচুপি রুমে ঢুকে পড়ে। হালকা অন্ধকার রুম,বিছানার কাছে গিয়ে কম্বল দেখে সেটার মধ্যে পুরো শরীর ঢুকিয়ে দিলো রাফি। তুষার হঠাৎ নিজের শরীরে ঠান্ডা অনুভব করতেই বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে। কম্বলের ভেতর থেকে মাথা বের করে বেড ল্যাম্প টা জ্বালিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে। পাশে তাকাতেই দেখে রাফি তার বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে আছে। তুষার শরীরের উপর থেকে কম্বল টা সরিয়ে বলে-
-“ সমস্যা কি তোর এভাবে কম্বলের নিচে ঢুকে পড়লি কেনো?
-“ খুব শীত করছিলো ব্রো।
তুষার আর কথা বাড়ালো না। বিছানা থেকে উঠে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। রাফি সেটা দেখে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো।
তৃষ্ণা হেলতে দুলতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে সোফায় বসে। মাথা ব্যাথা করছে খুব। রান্না ঘরে মাকে দেখে বলে-
-“ মা এক কাপ কফি বানিয়ে দাও না।
তানিয়া বেগম মেয়ের ডাক শুনে বলে-
-“ ওরে আমার রাজকন্যা টা উঠেছে নাকি। মা একটু অপেক্ষা করো তোমার মা তোমার জন্য কফির সাথে স্ন্যাকস ও নিয়ে আসছে।
হঠাৎ মায়ের এমন আহ্লাদী কথা শুনে তপ্ত শ্বাস ফেলে তৃষ্ণা।
-“ তোমার কষ্ট করে স্ন্যাকস দেওয়া লাগবে না মা এক কাপ কফি দাও তাতেই চলবে।
তানিয়া বেগম এক কাপ কফি এনে তৃষ্ণার সামনে রাখে। তৃষ্ণা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে কফি টায় চুমুক বাসতে যাবে আর ওমন সময় তানিয়া বেগম বলে উঠে –
-“ আরে কফি টা তুই খাচ্ছিস কেনো?
তৃষ্ণা অবাক হয়ে বলে-
-“ কফি তো আমিই চেয়েছি সেজন্য তো কফি টা আমিই খাবো।
-“ না এটা তোর কফি না।
-“ তাহলে কার কফি।
-“ তোর ভাইয়ের যা তুষারের রুমে দিয়ে আয়।
-“ আমার কফি?
-“ আগে দিয়ে আয় তারপর দিতেছি তরে তোর কফি।
তৃষ্ণা কফির মগ টা নিয়ে তুষারের রুমের দিকে যায়। তুষারের রুমে ঢুকে দেখে তার ভাই কম্বল মুড়ি দিয়ে এখনও শুয়ে আছে,এই টাইমে কিভাবে তার ভাই কফি খাবে বুঝে আসে না তৃষ্ণার। কফিটা বেডের পাশে থাকা টেবিল টার উপর রেখে দেয়। যাওয়ার আগে বলে যায়-
-“ ভাইয়া তোর কফি দিয়ে গেলাম।
হঠাৎ তৃষ্ণার কন্ঠ শুনে কম্বল থেকে মাথা বের করে রাফি। দরজার পানে চেয়ে দেখে তৃষ্ণা ততক্ষণে চলে গেছে। বেডের পাশে টেবিল টায় কফির মগ দেখে সেটা হাতে নেয়। কিছু একটা ভেবে স্মিত হাসে। এরমধ্যে তুষার ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই সাতসকালে শাওয়ার নিয়েছে তুষার। তুষারের ভেজা শরীর দেখে রাফির শীত যেনো আরো কয়েক গুন বেড়ে গেলো। কফিটা তে চুমুক বসিয়ে বলে-
-“ ব্রো এই সাতসকালে গোসল না করলেই কি চলছিলো না? তুমি তো বিবাহিত নও।
তুষার ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছিলো রাফির কথা শুনে কপালে দু ভাজ পড়ে তুষারের।
-“ বিবাহিত রাই কি শুধু সকালে গোসল করার অধিকার রাখে নাকি?
-“ না তেমন টা না আসলে ওরাই তো জীবন বাজি রেখে সকালে এই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে যায়।
-“ জাস্ট শাট-আপ রাফি। তোর মতো পিচাশ নই আমি যে সামান্য ঠান্ডার জন্য গোসল করা বন্ধ দিবো।
-“ না তুমি এলিয়েন ব্রো।
-“ কফি খাচ্ছিস চুপচাপ কফি খা। আমি নিচে গেলাম।
কথাটা বলে তুষার নিচে নেমে আসে। সোফায় গিয়ে বসে বলে-
-“ মা এক কাপ কফি দাও তো।
তৃষ্ণা সোফায় বসে কফি খাচ্ছিল। তুষারের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে-
-“ ভাই আমি না কেবল তোমাকে কফি দিয়ে আসলাম,এরমধ্যে আবার কফি চাচ্ছো!
তানিয়া বেগম কফির কাপ টা ছেলের দিকে এগিয়ে দেয় বিনা বাক্যে সেটা দেখে তৃষ্ণা বলে-
-“ এই কফি টা আমি চাওয়াতে কত কথা খরচ করলা মা আর ভাইয়ার বেলায় বিনা বাক্যে কফি দিয়ে দিলা। তোমার ছেলে তো সেই নিচে এসেই কফি খাইলো তাহলে শুধু শুধু আমাকে উপরে কেনো পাঠালে।
তুষার কফিতে চুমুক বসাতে বসাতে বলে-
-“ কি তখন থেকে বকে যাচ্ছিস,আমার জন্য কখন কফি নিয়ে গেলি তুই।
-“ তোমার বেডের পাশে যে আমি কফি রেখে এসেছি আর বলে এসেছি ভাইয়া তোর কফি। ওটা কি তোর চোখে পড়ে নি।
তানিয়া বেগম মেয়ের মাথায় চাটি মেরে বলে-
-“ গাধা ঐ টা তো রাফির জন্য নিয়ে যাইতে বলছি।
কথাটা তৃষ্ণার কর্ণপাত হতেই তৃষ্ণা অবাক হয়ে যায়।
-“ রাফি ভাইয়া আসছে?
-“ হ্যাঁ।
-“ কখন?
-“ আট টার দিকে।
-“ তার না বিদেশ থেকে আজ ফেরার কথা ছিলো?
-“ গত কাল রাতে এসেছে।
তৃষ্ণা কফির মগ টা টেবিলের উপর রেখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ এতো সকাল সকাল কেউ মাইনষের বাসায় আসে?
তানিয়া বেগম চোখ পাকিয়ে বলে-
-“ মাইনষের বাসা মানে?
তৃষ্ণা ভরকে যায়। আমতা আমতা করে বলে-
-“ না মানে এতো সকাল কেউ আসে নাকি, বেলা করে আসতো।
-“ তোর সমস্যা কি আমার ভাইপো আমার বসায় এসেছে। যখন তোর চাচার ছেলেরা আমার বাসায় আসে তখন তো এসব বলিস না।
-“ দেখছো ফুপি তোমাদের বাসায় আসাতে তোমার মেয়ে আমায় এভাবে বলে বসলো।
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কথাটা বলে রাফি। তৃষ্ণা সিঁড়ির পানে চেয়ে থমকে যায়। তৃষ্ণা হাসবে নাকি মুগ্ধ হবে বুঝতে পারলো না। জ্যাকেটেই তো সুন্দর লাগতো মাথায় আবার কে পিচ্চিদের মতো টুপি পড়ে। রাফি এসে তুষারের পাশে বসে। তানিয়া বেগম রাফির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ রাফি তুই চিত্রাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকেও সাথে করে নিয়ে যাস তো। আমার মূল্য দেয় না এই ছেলে মেয়ে দুটো।
তুষার এতোক্ষণ চুপচাপ ছিলো মায়ের কথা কর্নপাত হতেই কফির কাপ নিচে রেখে গম্ভীর কন্ঠে বলে –
-“ তুই চিত্রা কে নিতে এসেছিস নাকি রাফি?
রাফি মাথা থেকে টুপিটা খুলতে খুলতে বলে-
-“ না এমনি এসেছি,যাওয়ার সময় চিত্রা গেলে যাবে। আচ্ছা চিতাবাঘ এখনও উঠে নি নাকি?
-“ তৃষ্ণা যা তো চিত্রা কে ডেকে নিয়ে আয়।
তৃষ্ণা একবার রাফির দিকে তাকিয়ে চিত্রা কে ডাকতে চলে যায়। চিত্রা কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আছে। তৃষ্ণা চিত্রার শরীর থেকে কম্বল রা সরিয়ে বলে-
-“ চিত্রা উঠ দেখ কে এসেছে।
চিত্রা ঘুমঘুম কন্ঠে বলে –
-“ কে এসেছে?
-“ রাফি ভাইয়া এসেছে।
-“ ভাইয়ার তো আজ আসার কথা বিদেশ থেকে।
-“ না গতকাল রাতে এসেছে। আজ এ বাসায় এসেছে উঠ।
চিত্রা সহসা শোয়া থেকে উঠে বসে।
-“ সত্যি এসেছে?
-“ হুম।
-“ আচ্ছা আমি চটপট ফ্রেশ হয়ে আসি আগে।
তৃষ্ণা হুম জানালে চিত্রা উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে বলে-
-“ চল নিচে যাই।
-“ না যাবো না,তুই যা।
চিত্রা আচ্ছা বলে নিচে চলে আসে। সিঁড়িতে এসে দেখে সোফায় তুষার,ফুপি আর রাফি বসে আছে। তাড়াতাড়ি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে রাফির পাশে বসে বলে-
-“ কেমন আছো রাফি ভাই?
চিত্রার কন্ঠ শুনে ভ্রু কুঁচকে পাশ ফিরে চিত্রার দিকে তাকায় তুষার। চিত্রার মুখে হাসি বিরাজ করছে। রাফি হাসি মুখে চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। চিতাবাঘ কেমন আছে?
-“ ইট’স চিত্রা নট চিতাবাঘ।
-“ হ্যাঁ ইট’স চিতাবাঘ।
-“ ফুপি কিছু বলো এই আহাম্মক কে আমায় চিতাবাঘ বলছে।
-“ ফুপি কিছু বলো এই চিতাবাঘ কে আমার নামে বিচার দিচ্ছে তোমার কাছে।
রাফির এমন কথা শুনে তানিয়া বেগম আর চিত্রা হেসে উঠে। হাসি নেই শুধু তুষারের মুখে। সে আড় চোখে বারবার চিত্রা কে দেখে চলছে। মেয়েটার মুখে অন্যকে নিয়ে হাসি ঠিক হজম হলো না তুষারের। কফির মগটা শব্দ করে টেবিলে রেখে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো।
রুমে এসে ল্যাপটপ টা অন করে অফিসের কিছু ফাইল চেক করতে বসে তুষার। কিন্তু কাজে মন দিতে পারছে না। অস্বস্তি লাগছে। ল্যাপটপ টা বন্ধ করে ছাঁদে চলে গেলো।
এদিকে রাফি সোফায় বসে চিত্রার সাথে গল্পগুজব করছে। এরমধ্যে রাফির ফোন টা বেজে উঠে। ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে তার বাবার ফোন। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তার বাবা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসায় ব্যাক করতে বলে। রাফি হঠাৎ এতো তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে বললো দেখে অবাক হলো। তানিয়া বেগম ভাইপোর যাওয়ার কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে টেবিলে খাবার বাড়ে। তুষার আর তৃষ্ণা কেও ডেকে আনে। তুষার চুপচাপ খেয়ে চলছে। তৃষ্ণার সামনা সামনি বসেছে রাফি। থেকে থেকে কিভাবে যেনো তাকাচ্ছে রাফি, তৃষ্ণার অস্বস্তি হলো,গলা দিয়ে খাবার নামতে চাইলো না। রাফি চিত্রার দিকে চেয়ে বলল-
-“ আমি তো বাসায় যাচ্ছি আমার সাথে যাবে?
চিত্রা হ্যাঁ বলতে নিবে তখনই তুষার খাবার মুখে দিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে –
-“ চিত্রা কে আমি বিকেলে দিয়ে আসবো,তুই নিশ্চিন্তে বাড়ি যা।
চিত্রা পানির গ্লাস থেকে পানি খেয়ে বলে-
-“ না ভাইয়া আপনার কষ্ট করতে হবে না আমি রাফি ভাইয়ার সাথে চলে যাবো।
তুষার তাকালে চিত্রার পানে। মন চাইলো ঠাটিয়ে একটা চড় লাগাতে। ইচ্ছে টাকে মনের ভেতরই রেখে বললো-
-“ আমার কষ্টের হবে তোমায় কে বললো? আমি বিকেলে ও বাড়ি যাবো তাই নিয়ে যাচ্ছি।
-“ আচ্ছা ব্রে তুমি চিত্রাকে নিয়ে যেয়ো,আমি এখন আসি।
কথাটা বলে রাফি চলে যায়। রাফির যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো তৃষ্ণা। সবার সাথে কথা হলো রাফির শুধু এই তৃষ্ণার সাথে কথা বলে গেলো না।
বাবা রাসেল আর ভাই রায়ানের সামনে বসে আছে রাফি। এসে থেকেই ব্যাবসা নিয়ে হাবিজাবি বুঝিয়ে চলছে রাফি কে। রাফি এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দিচ্ছে। রাসেল আহমেদ এবার সাভারে থাকা তাদের প্রজেক্টের ফাইল বের করে বলে-
-“ এখানে আমাদের অফিসের সাথে দশ শতাংশের একটা জায়গা আছে। এই জায়গা টা যে করে হোক তোমার আমাকে পাইয়ে দিতে হবে।
রাফি ফাইল টা তার বাবার সামনে রেখে বলে-
-“ আমার কাছে কি কোনো আলাদীনের চেরাগ আছে নাকি যেটা ঘষলাম আর জমিটা তোমার হয়ে গেলো। টাকা দিয়ে কিনে নাও জায়গা।
রায়ান রাফির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ টাকার বিনিময়েও তারা ঐ জায়গা আমাদের কাছে বিক্রি করতে নারাজ। আমাদের অফিসের জন্য ঐ জায়গা টা জরুরি।
-“ জায়গা বিক্রি করতে না চাইলে সেখানে আমি কি করতে পারি?
-“ জায়গাটা ভদ্রলোকের মেয়ের নামে।
রাসেল আহমেদের কথা শুনে সন্দেহান দৃষ্টি নিয়ে রাফি বলে-
-“ তো?
-“ মেয়টাকে ইমপ্রেস করো,যে করেই হোক জায়গাটা আমার চাই।
রাফি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।
-“ মাথা ঠিক আছে নাকি তোমার? মেয়েকে আমি ইমপ্রেস করতে যাবো কেনো?
-“ কারন জায়গা টা আমার লাগবে?
-“ তোমার লাগবে তুমি ইমপ্রেস করো মেয়েটাকে,আর তা না হলে রায়ান ভাইকে বলো।
রায়ান ফট করে বলে উঠে-
-“ পাগল নাকি আমার বউ আছে না। রিয়া জানলে আমার মাথার চুল টেনে ছিঁড়বে। আমার একটা মেয়েও আছে।
-“ তো আমার বউ বাচ্চা নেই দেখে কি আমাকে এসব করতে বলছো নাকি। দেখো আমি এসব কিছুই করতে পারবো না। এসব বিজনেসে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই।
-“ রাফি মেয়েটাকে চাইলে বিয়েও করতে পারিস আমার কোনো আপত্তি থাকবে না তবুও জমি টা আমায় এনে দে।
-“ সরি বাবা আমার পক্ষে পসিবল না তবে মেয়েটার সাথে কথা বলে একটু চেষ্টা করতে পারি বাট শিউর দিতে পারবো না জমি পাবে কি পাবে না।
-“ আচ্ছা চেষ্টা কর।
রাফি হাফ ছেড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। তার বাপ ভাই তাকে এসবের জন্য দেশে আসতে বলেছে। আগপ জানলে আসতো না। কি কথা সামান্য জমির জন্য নাকি মেয়েটাকে ইমপ্রেস করতে হবে। সব মেয়ে রাফি কে দেখে ইমপ্রেস হয় আর সেখানে রাফি করবে ইম্পসিবল।
#চলবে