#এক_মুঠো_প্রণয়
#পর্ব_২২
লেখনীতেঃ একান্তিকা নাথ
সেদিনকার মিনার ভাইয়ের চিঠিটা মেহেরাজ ভাই দেখতে পেল আরো মাস কয়েক পরে।ততদিনে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলো। ভাগ্যক্রমে ভালো সাবজেক্ট সমেত নাম এল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে । অবশেষে ভর্তি হতে হলে সুদূর চট্টগ্রামে। এতদিনের বসবাস ছেড়ে হুট করেই নতুন শহরে পাড়ি জমানো, নতুন পরিবেশে মানানো নিয়ে অল্প সংকোচ থাকলেও তখন আমার চট্টগ্রামে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে সেদিনই ছাদের কার্নিশ ঘেষে মেহেরাজ ভাই আর সামান্তা আপুকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখলাম আমি।শুধু যে দাঁড়ানো ছিল এমন নয়, মেহেরাজ ভাইয়ের হাতটাও সামান্তা আপুর হাতের মুঠোয় ছিল।প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে বিষয়টা বোধহয় তাদের ক্ষেত্রে অতি স্বাভাবিক! কিন্তু এই স্বাভাবিক বিষয়টাই আমি স্থির দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে পারলাম না বেশিক্ষন।এক দৌড়ে আবারও সিঁড়ি বেয়ে নিচে এলাম তৎক্ষনাৎ।উনাদের মাঝে কি কথা হলো, পরে আর উনাদের মাঝে কি ঘটল কিছুই আর দেখার ইচ্ছা জাগল না।চোখে উপর ভাসল কেবল সামান্তা আপুর হাতের মুঠোয় থাকা মেহেরাজ ভাইের হাতটা। কেন জানি না, আমার মন মেহেরাজ ভাইয়ের থেকে এরূপ আচরণ আশা করেনি। মেনেও নিতে পারল না এরূপ আচরণ।মনে মনে ভাবলাম, চট্টগ্রামে চলে যাওয়াটাই একমাত্র মুক্তি!একটা সম্পর্কে তৃতীয় ব্যাক্তি হিসেবে ঝুলে থাকার অপমান থেকে মুক্তি মিলবে অন্তত।এসব ভাবতে ভাবতেই দুপুর কেঁটে সন্ধ্যে হলো। আমি বসার ঘরে মেহু আপুর সাথে বসে কথা বলছিলাম।সেসময় মেহেরাজ ভাই উপস্থিত হলেন তার টানটান বদন নিয়ে। খেয়াল করলাম উনার মুখচোখ লাল হয়ে আছেন।রেগে থাকলে যেমনটা হয় সাধারণত। তবে উনার রাগের কারণটা বুঝে উঠলাম না আমি।মেহেরাজ ভাই বুকে হাত গুঁজে বলে উঠলেন আমায়,
” জ্যোতি? উঠ।তোর সাথে কিছু কথা আছে আমার।”
আমি অবাক হয়ে তাকালাম।আমার সাথে বিশেষভাবে কথাবলার মতো কিছুই নেই উনার।তবুও বললাম,
” বলুন মেহেরাজ ভাই। ”
মেহেরাজ ভাই কপাল কুঁচকালেন।ভ্রু উঁচিয়ে রাগ নিয়ে বলে উঠলেন,
” উঠতে বললাম না?”
আমি উঠলাম।ছোট্ট শ্বাস ছেড়ে বললাম,
” উঠেছি।কি বলবেন?”
মেহেরাজ ভাই গম্ভীর গলায় বললেন,
” আমার পিছু পিছু আয়।”
এই বলে মেহেরাজ ভাই নিজের ঘরের দিকে হাঁটা ধরলেন।পিছু পিছু গেলাম আমিও।মেহেরাজ ভাই নিজের ঘরে গিয়ে চেয়ার টেনে বসলেন এবার।চোখমুখ গম্ভীর করে প্রশ্ন ছুড়লেন,
” তুই কি মিনারকে ভালোবাসিস? তোদের মাঝে কি সম্পর্ক আছে জ্যোতি?”
আকস্মিক এমন একটা প্রশ্ন শুনে হতবিহ্বল হয়ে তাকালাম আমি। মেহেরাজ ভাই ফের তাড়া দেখিয়ে বলে উঠলেন দাঁতে দাঁত চেপে,
” কিছু জিজ্ঞেস করেছি আমি তোকে।উত্তর না দিয়ে ওভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ”
আমি তাকালাম স্থির হয়ে।বললাম,
” প্রশ্নটা আবার করুন।”
মেহেরাজ ভাই সরু চাহনী তাকালেন।হাতজোড়া বুকে গুঁজে নিয়ে মুখ টানটান করলেন।বলে উঠলেন গম্ভীর স্বরে,
” তোর আর মিনারের রিলেশন চলছে?নাকি আগে রিলেশন ছিল?”
মেহেরাজ ভাইয়ের থেকে পুনরায় এরূপ প্রশ্ন শুনে মনে মনে রাগ অনুভব হলো। বিয়ের পর সামান্তা আপুকে প্রকাশ্যে বহুবার মেহেরাজ ভাইকে জড়িয়ে ধরতে দেখেছি। আমি তো কখনো মেহেরাজ ভাইয়ের বিষয়ে এভাবে প্রশ্ন ছুড়িনি। এই যে, আজও এতগুলো মাস পরও মেহেরাজ ভাই ছাদে দাঁড়িযে সামান্তা আপুর হাত ধরে গল্প করছিলেন। একবারও তো একটা প্রশ্ন করিনি। তাহলে উনি কেন এভাবে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করছেন?মিনার ভাইকে ছোটবেলা থেকে সরল নজরে দেখে এসেছি। ভাই হিসেবে আপন ভেবেছি৷ এখও ভাবি।কিন্তু তাই বলে মিনার ভাইকে প্রেমিক হিসেবে ভালোবাসব এই প্রশ্নটা উদ্ভট নয়?কাঠ কাঠ গলায় উত্তর দিলাম,
” যদি রিলেশন থেকে থাকেও, কি করবেন?”
মেহেরাজ ভাই ভ্রু উঁচালেন।বললেন,
“তার মানে কি বলতে চাইছিস? রিলেশন আছে তোদের?”
দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দিলাম,
” ধরে নিন আছে।কি করবেন?”
মেহেরাজ ভাই এবার রাগে মাথা চেপে ধরলেন নিজের।চোখজোড়া বুঝে ঘনঘন শ্বাস ফেললেন দ্রুত। পরমুহুর্তেই একদম শান্ত, শীতল, লালাভ চাহনীতে তাকালেন।আমি তাকিয়ে অবাক হলাম। কি ভীষণ লাল দেখাচ্ছে উনার চোখজোড়া।চেহারা শান্ত দেখালেও জ্বলন্ত রাগের উপস্থিতি স্পষ্ট! উনি শান্ত কন্ঠে একরাশ ক্রোধ নিয়ে বলে উঠলেন,
” খু’ন করব।প্রথমে তোকে তারপর তোর মিনার ভাইকে। আমি তোর আব্বার মতো অতোটা সহজ সরল নই যে স্ত্রীকে চোখের সামনে অন্য একটা ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়াতে দেখব চুপচাপ।”
মেহেরাজ ভাইয়ের এই কথাটাতে স্পষ্ট অথবা স্পষ্টভাবে আম্মার সাথে আমার তুলনা পেয়েই তিক্ত এক অনুভূতি হলো।আম্মার চলে যাওয়া নিয়ে সারাজীবন সবার থেকে কথা শুনে আসলেও মেহেরাজ ভাই ও যে আম্মার মতোই আমাকে চরিত্রহীন ভেবে কথা বলবেন ভাবিনি আমি।বারকয়েক নিঃশ্বাস ফেলে মনের ভেতর জড়ো হওয়া সকল রাগ জেদ নিয়ে বলে উঠলাম এবার,
” আমি কখনো আপনার মতো বিয়ে করে স্বামীর দায়িত্ব পালন করে সবার সামনে মহান সেজে প্রেমিকাকে বুকে জড়িয়ে রাখিনি স্ত্রীর সামনে। আমি কখনো প্রেমিকার হাত ধরে ছাদে গল্পও করিনি মেহেরাজ ভাই।আপনি আমায় চরিত্রহীন বললেন কোন কারণে?আর শুনুন, আমার সাথে কিন্তু মিনার ভাইয়ের তেমন কোন নোংরা সম্পর্ক নেই যেমনটা আম্মার ছিল ঐ লোকটার সাথে।একটা বিষয়ে না জেনেশুনে কথা বলবেন না।”
আকস্মিক আমার রাগ নিয়ে বলা কথাগুলোতে বোধ হয় মেহেরাজ ভাই কিঞ্চিৎ অবাক হলেন।চেহারায় রাগ রাগ ভাবটা কিঞ্চিৎ মিইয়ে গেল।কিয়ৎক্ষন আমার দিকে স্থির চেয়ে থেকে শীতল কন্ঠে বললেন,
“ভালোবাসা কখনো নোংরা হয় না।আমি তোদের সম্পর্কটাকে নোংরা বলিনি।আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু তোকে চরিত্রহীন ও বলিনি জ্যোতি।”
তাচ্ছিল্য নিয়ে বলে উঠলাম,
” চরিত্রবান ও তো বলেননি। হ্যাঁ, আমার আম্মা অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে গেছেন আমায় রেখে।এই নিয়ে আমি সবসময়ই কথা শুনে এসেছি।সবসময়ই অবহেলা পেয়েছি সবার থেকে।তার মানে এই নয় যে আমি আমার আম্মার মতোই চরিত্রহীন হবো।আপনি কিন্তু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমার আম্মার তুলনাটাই এনেছেন মেহেরাজ ভাই।”
মেহেরাজ ভাই উত্তরে কিছু বললেন না এবার।কিয়ৎক্ষন চুপ থেকে হাতের দুই আঙ্গুলে কপালে নাড়াতে লাগলেন।তারপর হঠাৎ বললেন,
” মিনার তোকে চিঠি কেন লিখে? তোকেও অনেকবার ওর সাথে কথা বলতে দেখেছি আমি।আবার সাঈদের কথানুযায়ী তুই বইতে লাভ এঁকে তার মধ্যে এম লিখেছিলি।মিনারের নামের প্রথম অক্ষরও এম। এই সবকিছু যা বুঝাচ্ছে, আর আমি এতদিন যা ভেবে এসেছি তা সম্পূর্ণ ভিন্ন!সত্যিটা জানতে চাইছি কেবল৷ মিনার তোকে ভালোবাসে তা জানি, তুইও কি ভালোবাসিস ওকে?তোদের মাঝে সম্পর্ক..”
মেহরাজ ভাই দ্বিতীয়বার সেই একই প্রশ্নটা ছুড়ার আগেই উত্তর দিলাম,
” মিনার ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক সে ছোটবেলা থেকে। আমি তাকে তখন থেকেই ভীষণ আপন ভাবতাম,এবং এখনও ভাবি।সবসময় বড় ভাইয়ের মতোই দেখে এসেছি তাকে।আর কিছু?”
মেহেরাজ ভাই হাসলেন এবার।উঠে দাঁড়িয়ে ঠোঁট চওড়া করে বললেন,
“গুড!এটাই জানতে চেয়েছিলাম।সমস্যা হলো, মিনার তোকে বোনের মতো দেখে না। এই চিঠিতে তা স্পষ্ট লেখা আছে।”
মেহেরাজ ভাই চিঠিটা এগিয়ে ধরলেন। আমি সরু চাহনীতে তাকিয়ে থেকে দেখলাম মিনার ভাইয়ের সে চিঠিটাই এটা। সে মাস কয়েক আগেই একবার পড়েছিলাম। তারপর যে কোথায় রেখেছিলাম নিজেরও খেয়াল ছিল না। মেহেরাজ ভাই কি করে ফেলেন চিঠিটা তা নিয়ে ভেবেই বললাম,
” চিঠিটা আপনার কাছে কি করে মেহেরাজ ভাই?”
মেহেরাজ ভাই ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্ন ছুড়লেন,
” কেন?চিঠি ব্যাক্তিগত বিষয়াদি বলে দেখা উচিত হয়নি?”
শক্ত গলায় বল উঠলাম আমি,
” যদি বলি উচিত হয়নি?”
মেহেরাজ ভাই অন্যদিকে তাকিয়ে বললেন,
” আমি মনে করছি উচিত হয়েছে।আর কিছু?”
আমি বিনিময়ে উত্তর না দিয়ে নির্লিপ্ত ভাবে চেয়ে তাকলাম। মেহেরাজ ভাই নরম গলায় আবার বললেন,
“তোর ব্যাক্তিগত চিঠি পড়ে নেওয়ার জন্য রাগ করেছিস? নাকি কষ্ট পেয়েছিস? কোনটা?”
আমি উত্তর দিলাম না।কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে বললাম,
” আমি কিন্তু কখনো আপনার বিষয়ে প্রশ্ন করিনি মেহেরাজ ভাই। আপনার কিংবা সামান্তা আপুকে এতকাল চোখের সামনে দেখেও কোন নোংরা ইঙ্গিত করিনি।”
কথাটা বলেই আর দাঁড়ানোর ইচ্ছা হলো না আমার।দ্রুত চলে এলাম নিজের ঘরে।
.
একে একে ডায়েরীর প্রত্যেকটা পাতা পড়েই তপ্তশ্বাস ফেলল মেহেরাজ। ডায়েরীর পরের পৃষ্ঠাগুলো খালি।এই পর্যন্ত লিখে হয়তো ডায়েরীটাতে আর লেখা হয়ে উঠেনি জ্যোতির। মেহেরাজ গাঢ় শ্বাস ফেলে আরো একবার কালচে রাঙ্গা ডায়েরীর পৃষ্ঠাগুলো উল্টিয়ে বিছানার একপাশে রাখল।ঘড়ির কাঁটায় তাকিয়ে দেখল সকাল দশটা।পুরো একটা নির্ঘুম রাত কেঁটে গেল তার। শুধুমাত্র একটা ডায়েরী পড়তে গিয়ে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সে জ্যোতির ব্যাক্তিগত ডায়েরী পড়েছে।প্রথমবার পড়েছিল যখন জ্যোতি কিশোরী!প্রথম প্রণয়ের আবেগ, অনুভূতি সম্পুর্ণটাই সেবার সে ডায়েরীতে রাঙ্গিয়ে তুলেছিল সে। দ্বিতীয় বার পড়ল আজ।যে ডায়েরীটাতে তার আর জ্যোতির আকস্মিক বিয়ে হতে প্রায় বছর খানেকর গল্প সাঁজানো।তবে সে গল্পটায় তাদের দুইজনের প্রণয় নেই, ভালোবাসা নেই।মেহেরাজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়াল। বেলকনিতে গিয়ে গ্রিল ধরে ভাবতে লাগল এক মায়াবী প্রতিচ্ছবিকে।ওড়না দিয়ে মাথায় ঘোমটা টানা, মুখে তীব্র রাগ কিংব জেদ আর চোখজোড়ার ধারালো স্পষ্ট চাহনী।মুহুর্তেই বুকের ভেতর ছিনছিন করে উঠল কেমন। প্রতিচ্ছবিটা অবশ্য আর কারো নয়।জ্যোতিরই প্রতিচ্ছবি।যার প্রতি শুরু থেকেই কেবল সম্পূর্ণটা দিয়ে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী ছিল মেহেরাজ৷ দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে করতেই একটা সময় এল, যখন মেয়েটা পৃথিবীতে সম্পূর্ণ নিঃস হয়ে গেল!সম্পূর্ণ একা হয়ে পাথরের মতো জমে গেল।মেয়েটার সবথেকে কাছের মানুষ, সবথেকে প্রিয় মানুষ যে সে হলো মেয়েটার দাদী। সে দাদীকেই মেয়েটা চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলল।মেহেরাজ সেইবার দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে প্রথমবার অনুভব করল মেয়েটার প্রতি তার মায়া জম্মেছে। দাদী চলে যাওয়ার সে মুহুর্তে মেয়েটাকে ওভাবে নিস্তেজ আর কঠোর দেখেই বুকের ভেতর চাপা কষ্ট অনুভব করল সে।অস্থিরতায় ছটফট করল নিরবে।সে অস্থিরতা আড়ালে রেখেই সেদিন থেকে মেয়েটাকে আগলে নিতে চেষ্টা চালাল সে। মেয়েটার আপন মানুষ হয়ে উঠার চেষ্টা করল প্রাণপনভাবে। মেয়েটাকে সবসময়ের জন্য সঙ্গ দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করল।সে যে সূচনা হলো মায়ায় জড়ানোর তার আর সমাপ্তি খুঁজে পাওয়া গেল না৷ ক্রমশ সে মায়ার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল। ছিন্নভিন্ন হলো মেয়েটার ধারালো ব্যাক্তিত্বে। ধারালো চাহনী, স্পষ্ট জবাব আর একরাশ জেদ!সেসব ভেবেই আনমনে হাসল মেহেরাজ। বুকের বা পশে হাত চেপে মৃদু স্বরে বলল,
” এতকাল ধরে এক তিক্ত অনুভুতি বয়ে নিয়ে যাচ্ছি নিজের ভেতর।আজ সে অনুভূতির তিক্ততা দশগুণ হলো তোর ডায়েরী পড়ে।এতকাল তুই আমায় স্বার্থপর বললেও আজ আমি বলব, তুই স্বার্থপর জ্যোতি।অপর পাশের লোকটাকে বুঝার চেষ্টাই করিস নি কখনো।”
#চলবে
[ এই পর্যন্ত পর্বগুলো জ্যোতির ডায়েরীরকথন।আর মিনারের চিঠিখানা প্রথমে মেহেরাজরে দেখাইনি করণ তখনও তাহার অনুভূতি পাকাপোক্ত করা হয়ে উঠেনি তাই। এহন বেচারা দেখছে। সবাই চাইছিল জ্বেলাস ফিল করুক।আমিও তাই বোচারাকে জ্বেলাস দেখাইলাম।যায় হোক, কেমন হয়েছে বলবেন। ]
গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/