Mr_Calculus (পর্ব – ৩)

0
418

#Mr_Calculus (পর্ব – ৩)

রিফাতের আজ ভার্সিটিতে শেষ ক্লাস। রিফাতের শেষ ক্লাস উপলক্ষে সেকেন্ড ইয়ারের শিক্ষার্থীদের ভেতরে আজ ঈদের আনন্দ বইছে, বিশেষ করে পুষ্পর মনে আনন্দটা বেশি। আজ তার এ্যাসাইনমেন্টময় দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। তবে সে প্রতিজ্ঞা করেছে “জীবনে আর কখনো কাউকে র‍্যাগ দেয়ার কথা চিন্তাও করবে না”। এ্যাসাইনমেন্ট লিখতে লিখতে তার জীবন কাগজ কলম আর কালো কালো অক্ষরের ভাজে আটকে ঝালাপালা হয়ে গিয়েছিল! তার ধারণা ক্যালকুলাস নিয়ে এখন সে অনায়াসে ২/৪ টা বই লিখে ফেলতে পারবে! এমনকি রিফাত স্যারেরও ক্লাস নিতে পারবে। শেষ দিনটাতেও রিফাত স্যার পুষ্পর কাছ থেকে এ্যাসাইনমেন্ট জমা চেয়েছে। ভাবা যায়? এমন ক্রিঞ্জ মার্কা টিচারকেও তো কিছু শিক্ষা নেয়া উচিত? তাই এবারের এ্যাসাইনমেন্ট পুষ্প নিজে করেনি। অনুকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছে। পুষ্প সেটা একবার পড়ে দেখেছে। হাসতে হাসতে তার পেটে খিল ধরে গেছে।

পুষ্প ক্লাসে তার বন্ধুদের সাথেই আড্ডা দিচ্ছিল। এমন সময় দপ্তরি শরীফুল এসে জানায় তাকে রিফাত স্যার ডেকে পাঠিয়েছে। পুষ্প তাকে “যাচ্ছি, আপনি যান” বলে অনুর কাছ থেকে এ্যাসাইনমেন্টটা নিয়ে রুপককে বলল-

-এই রুপক বাক্সটা দে, ওটাও নিয়ে যাই।

তারেক নামের লম্বা চুলওয়ালা ছেলেটা বলল- এই বাক্সে কী আছেরে? রোমিও স্যারকে গিফট দিচ্ছিস নাকি? ঘটনা কী? রোমিওর জুলিয়েট জুলিয়েট স্মেল পাচ্ছি কেমন!

পুষ্প বাক্সটা নিয়ে যেতে যেতে বলল- তেমন কিছু না, Mr. Calculus এর ফান করা অনেক পছন্দ তো তাই তার জন্য একটু ফান…

তারেক অবাক হয়ে বলল- মানে?

-মানে, এইটা হ্যারি পটারের যাদুর বাক্স। খুললেই মজা।

পুষ্পর কথায় সবাই হেসে ফেলল। তারেক বলল- ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি! তোরা কী করছিস বল তো?

Mr. Calculus এর নাক ভাঙার ব্যবস্থা করেছি।

তারেক অধৈর্য হয়ে বলল- ভণিতা না করে কী হইতেছে সেটা বল না?

আরে এটা একটা ফান বক্স। খুললেই ভেতর থেকে পাঞ্চিং গ্লাভস ছুটে এসে নাকে পড়বে। Mr. Calculus এর বাজপাখির মত লম্বা নাকটার একটু মেরামত হবে এই আর কী… বলে পুষ্প চোখ টিপে হাসল।

তারেক হেসে বলল- জোস আইডিয়া। কিন্তু দেখিস, মেরামত করতে গিয়ে আবার রোমিওর প্রেমে একমত হয়ে যাস না।

-“তারচেয়ে বরং দিনে ৩ বেলা করে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিব। সকাল, বিকাল, রাত।” বলে বাক্সটা নিয়ে পুষ্প রিফাতের উদ্দেশ্যে চলে গেল।

রিফাত টিচার্স রুমেই বসে ছিল। সে পুষ্পর জন্য অপেক্ষা করছিল। ওর সাথে কথা বলেই চলে যাবে।

পুষ্প রিফাতকে দেখে বলল- স্যার আসব?

রিফাত ফোনের দিকে তাকিয়ে মাথা না তুলেই বলল- হুম, আজকের এ্যাসাইনমেন্ট এখনো জমা দাওনি। এটা কী আমার মনে করিয়ে দেবার কথা?

কথা শুনে পুষ্প ভেংচি কেটে বলল- “সরি স্যার… এই নিন” বলে সে এ্যাসাইনমেন্ট বাড়িয়ে দিল।

রিফাত হাত বাড়াতে গিয়ে দেখল পুষ্পর হাতে একটা বক্স। সে পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বলল- কী এটা?

-স্যার, আজ ভার্সিটিতে আপনার শেষ ক্লাস। আমরা আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি… তাই আপনার জন্য ছোট্ট একটা গিফট…

রিফাত সরু চোখে তাকিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করল। রিফাত যাকে এত জ্বালাতন করেছে, সেই কিনা এত খুশি হয়ে গিফট দিচ্ছে! হিন্দিতে একটা কথা আছে না, “ডালমে কুছ কালা হ্যায়”? নিশ্চই সেরকম কিছু। তবে পুষ্পর হাতের কালা ডাল চেখে দেখাই যায়, l hope it will be interesting for me. পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বলল- ধন্যবাদ। কী আছে এতে?

-স্যার বাড়ি গিয়ে খুলে দেখবেন। নিশ্চই আপনার খুব পছন্দ হবে।

-এতই যখন পছন্দ হবে বলছ তাহলে বাড়ি গিয়ে খোলার কী আছে? এখনই খোল, দেখে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলি?

পুষ্প চোখ বড় করে ফেলল! ব্যাটা ক্যালকুলাস বলে কী? সে নিজে কী করে খুলবে?

পুষ্পর চেহারা দেখে রিফাত মনে মনে হাসল। সে যা ভেবেছিল আসলেই তাই মনে হচ্ছে। “ডালমে জরুর কুছ কালা হ্যায়!” সে কিছুটা ধমকের সুরে বলল- কী হল খুলছ না কেন?

-প্লিজ স্যার এটা আপনি বাসায় গিয়ে খুলুন?

-এখানে খুললে কী সমস্যা?

-কোন সমস্যা নেই। ঠিক আছে দিন খুলছি?

-আচ্ছা থাক। বলে সে এ্যাসাইনমেন্টটা হাতে নিয়ে পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বলল- কিছু লিখেছ এতে নাকি আমি আর আসব না বলে হাবিজাবি যা খুশি কিছু একটা করে রেখেছ?

পুষ্প চোখ বড় বড় করে ভাবল, খাতা খুলছে কেন? সর্বনাশ! সে তাড়াতাড়ি বলল- স্যার আপনাকে ডাকছে।

রিফাত চোখ তুলে বলল- কে ডাকছে?

পুষ্প থতমত খেয়ে বলল- আমার ক্লাসের সবাই ডাকছে।

– কই, আমি তো শুনতে পেলাম না!

-আমি শুনতে পেয়েছি। মানে এখানে আসবার সময় ওরা আমাকে বলে দিয়েছে আপনার সাথে যেন একটু দেখা করার সুযোগ হয়।

-কেন?

-আপনি তো চলে যাচ্ছেন তাই আপনার সাথে সবাই একটু কথা বলতে চায়… সেল্ফি নিতে চায়…

-আমি তো ক্লাসে গিয়েছিলাম, সবার সাথে কথাও বলে এসেছি।

-ওই… সবাই আপনার সাথে গ্রুপ ছবি তুলতে চায় আর কি।

-তুমি চাও না?

পুষ্প মনে মনে বলল- আপনার সাথে একদল দাঁত খিঁচানো বানরের সেল্ফি হয়, আমার না। মুখে বলল- সবাই চায় স্যার, অনুও চায়।

রিফাত কিছু বলতে যাচ্ছিল এমন সময় প্রফেসর আমানত উল্লাহ খান এসে বললেন-

কী ব্যাপার রিফাত, আপনি এখনো আছেন?

রিফাত উঠে দাঁড়িয়ে হাতের এ্যাসাইনমেন্টটা দেখিয়ে বলল- আমি বেরই হচ্ছিলাম কিন্তু এটার জন্য আটকে গিয়েছি। ঠিক আছে পুষ্প তুমি যাও।

পুষ্প আটকে রাখা নি:শ্বাসটা ছেড়ে দিয়ে দ্রুত এখান থেকে বের হয়ে গেল। Mr. Calculus ক্যাম্পাস থেকে বের হলেই তার শান্তি।

***
রাতে পুষ্পর দেয়া বক্সটা টেবিলের উপর রেখে কাটার হাতে রিফাত ভাবছে এর মধ্যে কী কী গোলমাল থাকতে পারে??? বক্স ভর্তি তেলাপোকা? শুয়ো পোকা? ধুর, আমি কী রেশম চাষ করছি নাকি যে শুয়ো পোকা দেবে? ফান বক্স কী? হতে পারে… যেটাই হোক খুলতে হবে সাবধানে। সে আস্তে আস্তে র‍্যাপিং খুলে ফেলল তারপর বক্সের ঢাকনা খুলল সাবধানে কিছুটা দূর থেকে। খুলতেই সাথে সাথে একটা পাঞ্চিং গ্লাভস এসে তার নাক বরাবর ঠিক দু’আঙুল সামনে এসে থামল। রিফাত ছিটকে উঠেছিল, তারপর হাসতে লাগল। ভাবল, বাহ্ দারুণ হয়েছে তো! মিসেস পীথাগোরাসের জটিল উপপাদ্য, তোমার গিফট আমার পছন্দ হয়েছে। এটা তো আমাকে যত্ন করে রেখে দিতেই হচ্ছে। তারপর এ্যাসাইনমেন্টটা হাতে নিয়েও কী মনে করে না দেখে রেখে দিল।

রিফাত তার নতুন অফিসে জয়েন করে ফেলল। তারপর অফিসের কাজে পুষ্পর কথা একরকম ভুলেই গেল। ওদিকে পুষ্প আর তার বন্ধুরা সকলেই ভাবছে এই রোমিও স্যার গিফট পেয়ে কোন রিয়েকশন দিল না কেন? এ্যাসাইনমেন্ট নিয়েও কিছু বলল না!

প্রায় মাস খানেক পর একটা ফাইল খুঁজতে গিয়ে টেবিলের ড্র‍্যায়ারে পুষ্পর এ্যাসাইনমেন্টটা রিফাত দেখতে পায়। এটা তো সে খুলেই দেখেনি। তারপর খুলে দেখল। প্রথম পৃষ্ঠাতে টপিকের জায়গায় নীল কালিতে লিখা আছে-

“আমার প্রেমে স্যার না কি স্যারের প্রেমে আমি?”
রিফাতের ভ্রু কুচকে গেল। এটা তো পুষ্পর লিখা না? আর এসব কী লিখে রেখেছে? এর নিচেই বর্ণনা আকারে যা লিখা তারপর তা পড়তে শুরু করল সে-

‘পৃথিবীতে অনেক ধরনের প্রেম বিদ্যমান তবে এর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় এবং সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য অর্জনকারী সফল প্রেম হল- “শিক্ষক আর ছাত্রীর প্রেম”। তাই এটাকে প্রেমের আদর্শ ধরণ বলা যায়। শিক্ষক আর ছাত্রীর মাঝে প্রেম বলেই এই প্রেম অনেক অন্যরকম, অনেক বেশি রোমান্টিক। কারণ এখানে শিক্ষক পড়া শেখাতে এসে প্রেম শেখায়, আর ছাত্রী যখন প্রেম শিখে যায় তখন পাশার দান উল্টে যায়। স্যার তখন ছাত্র আর ছাত্রী তখন শিক্ষক হয়ে যায়। সে তখন স্যারকে শেখাতে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবনের যত নিয়ম, কানুন, গিফট, শপিং, ডেবিট, ক্রেডিট। আর এখানেই জন্ম ক্যালকুলাসের। প্রেমের প্রতিটি স্তরে ক্যালকুলাসের বিশেষ প্রয়োজন আছে। আর ক্যালকুলাস দেখলেই চোখে ভাসে আমাদের রিফাত স্যার… কী সুন্দর slim… handsome… good looking… smart… Uff… যাকে দেখা মাত্রই আমার হার্টবিট বেড়ে গিয়ে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প শুরু হয়ে যায়। আমি পড়া ভুলে যাই, ক্লাস ভুলে যাই, নিজের নাম পর্যন্ত মনে করতে পারি না। শরীরের প্রতিটি শিরা উপশিরায় বেশরম সব গান বাজতে শুরু হয়ে যায়। মনের মাঝে ডাহুকের ডাকের মত একটি কথাই ডেকে যায়, “এই পৃথিবী শুধু আমার আর রিফাত স্যারের” ‘আহা ভালোবাসা, উহু ভালোবাসা, ইসসস ভালোবাসা… শেষ, আমি নাই, খতম!’

এই পর্যায়ে এসে শেষের দুই লাইন এক মুহূর্তের জন্য রিফাতের কল্পনায় এসে যায় আর সাথে সাথেই তার গা গুলিয়ে পেটের নাড়ি-ভূঁড়ি উল্টে আসার যোগাড় হয়। তার সুগার লেভেল হাই হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে বাকিটা আর পড়তে পারল না। আচ্ছা লিখাটা কী পুষ্প জেনে বুঝেই ওকে দিয়েছে? ওয়েট… যদিও রাত একটু বেশিই হয়ে গেছে তবু সে পুষ্পকে ফোন করল। অনেকদিন হয় কথাও তো হয় না পুষ্পর সাথে।

পুষ্প জেগেই ছিল এত রাতে রিফাতের ফোন দেখে সে একটু অবাক হল। রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে রিফাত বলল-

-কেমন আছ?

-ভালো আছি।

– সালাম তো দিলেই না। “আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি” বলতে হয় সেটাও জানো না। এত বড় ছাত্রী অথচ আদব কায়দায় জিরো!

-পুষ্প রাগ চেপে বলল- সালাম দেয়ার সুযোগই তো পেলাম না। আসসালামু আলাইকুম এবং “আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি”। আপনি যে এত আদব কায়দা শেখাচ্ছেন অথচ এত রাতে একটা মেয়েকে ফোন করা যে অভদ্রতা সেটা জানেন না?

-ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভদ্রতা শেখাবার জন্য সময় অসময় বলে কিছু নেই এটাও জানা নেই তোমার। আর কেউ যদি “কেমন আছ?” জিজ্ঞেস করে তাহলে তাকেও এই প্রশ্নটা করতে হয়। এটা ন্যুনতম ভদ্রতা। এতটুকুই তো তোমার জানা নেই? কিন্তু কথা হল, আমি তোমাকে এসব বলতে ফোন করিনি।

-তাহলে কী বলতে ফোন করেছেন, আপনার নাক কেউ ঘুষি মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে সেটা বলতে?

-আমার নাক ফাটানো এত সহজ নয়। আমি আমার নাক এবং বুদ্ধি দুটোই সামলে চলি। অবশ্য তুমি এর কী বুঝবে? একে তো বুদ্ধি বলে কিছু নেই তার উপর নাকের দিকে তাকালে মনেহয় এর উপর দিয়ে ৫টনের মালবাহী ট্রাক উঠে গিয়েছিল! এত চ্যাপ্টা। এই তুমি শ্বাস নিতে পারো তো ঠিক মত?

পুষ্প রাগে চিড়বিড়িয়ে উঠল। সে কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু রিফাত তাকে সুযোগ না দিয়ে বলতে থাকল- তাছাড়া তোমার সাহস বলেও কিছু নেই। আমি তো জানতাম গাধারা সাহসী হয়, তুমি দেখছি তাও না। কী অদ্ভুত!

স্যার আপনি কিন্তু…

– আমি কী? আমি কী সেটা আমি ভালো করেই জানি। তোমার সাথে কথা বলাটা আসলে টাইম ওয়েস্ট। যে জন্য ফোন করেছি সেটা বলতে দাও। তুমি আমার প্রেমে পড়েছ সেটা যদি আমাকে জানাবেই তাহলে অন্যকে দিয়ে লিখানোর কী দরকার ছিল? নাকি তোমার আত্মবিশ্বাস বলেও কিছু নেই? আচ্ছা তুমি পারোটা কী বল তো?

-মানে? আমি কী এলিয়েন যে আপনার প্রেমে পড়তে যাব? ৭০০ কোটি মানুষের ভেতর আমি যদি একটা মানুষও না পাই তবু আপনার প্রেমে পড়ব না।

-কিন্তু তোমার এ্যাসাইনমেন্ট তো অন্য কথা বলছে।

-কী বলছে?

-সে বলছে, “তুমি আমার প্রেমে অন্ধ হয়ে গেছ।”

পুষ্প বুঝতে পারল কী হয়েছে। কিন্তু এতদিন পর এসে এটার কথা মনে পড়েছে এর? নাকি এর গন্ডারের চামড়া?

-কী হল কথা বলছ না কেন?

-ওটা আমি লিখিনি। শেষ এ্যাসাইনমেন্ট ছিল তাই অনুকে দিয়ে করিয়েছি। ও যে এসব লিখবে সেটা জানা ছিল না।

– “সেটা জানা ছিল না” এটা আমাকে বিশ্বাস করতে বলছ? তুমি কী এখনো বুঝতে পারছ না আমি কতটা বুদ্ধি রাখি?

– সব সময় যে আপনি সঠিক হবেন তার কী নিশ্চয়তা আছে?

– মানুষ মাত্রই ভুল কিন্তু এই মুহূর্তে আমি যে ভুল নই সেটা আমি বুঝেই কথা বলছি।

– এরপর তো দেবার মত পুষ্পর কাছে আর কোন জবাব নেই! তবু বলল- ওসব অনু লিখেছে অনুকেই জিজ্ঞেস করুন কেন করেছে এসব?

– অনুকে কেন জিজ্ঞেস করব? এটা তো তুমি আমাকে দিয়েছ। উত্তরও তোমাকেই দিতে হবে।

– পুষ্প চুপ করে রইল।

-তোমার নিরবতা অনেক কিছুই প্রকাশ করছে। যা হোক, এসব উল্টো পাল্টা কাজ না করে পড়াশোনায় মন দাও। ভালো করতে পারবে। ভালো থেকো। বলে রিফাত ফোন রেখে দিল। মনে মনে বলল- “মিসেস পীথাগোরাসের জটিল উপপাদ্য, একদিন আসবে যেদিন অনুর কথাগুলো তোমার নিজের কথা হয়ে যাবে।”

ওদিকে পুষ্প ভাবছে, লোকটা এত ঠোঁটকাটা কেন? স্যার বলে কী সব সময় যা তা বলে যাবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here