💕ভালোবাসি💕 (দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প) Samira Afrin Samia #নিপা পর্বঃ ১১

💕ভালোবাসি💕
(দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প)
Samira Afrin Samia
#নিপা
পর্বঃ ১১

— তুষার আর মিষ্টি ফুচকার দোকানে গিয়ে আবিরের জন্য অপেক্ষা করছে। এর মাঝেই তুষারের চোখ জান্নাতের উপর পড়লো। তুষার মনে মনে ভয় পাচ্ছে। জান্নাত যদি মিষ্টি আর তুষার কে এখানে এক সাথে দেখে অন্য কিছু ভাবে। তুষার তো জান্নাত কে বলছিল ও আবিরের সাথে দেখা করতে আসবে। তুষার তো জান্নাত কে মিষ্টির কথা বলেনি।তুষার অনেক চেষ্টা করেও জান্নাতের চোখ এড়াতে পারেনি।জান্নাত ঠিকই তুষার কে দেখে নিয়েছে।
জান্নাত তুষার কে দেখা মাত্র ই তুষারের কাছে চলে এসেছে।
জান্নাত – তুষার তুমি এখানে?
তুষার – হুম
জান্নাত – তুমি তো বলছিলে আবিরের,,,,
— জান্নাত কথা শেষ করার আগেই মিষ্টি পিছন থেকে তুষার কে ডাকতে লাগলো।
মিষ্টি – এই তুষার আবির ভাইয়া এখনও আসেনি?
— মিষ্টি কথা বলতে বলতে তুষারের কাছে এসে জান্নাত কে দেখে কিছু টা অবাক হলো।জান্নাত ও মিষ্টি কে তুষারের সাথে দেখে অনেকটা ই অবাক হলো
জান্নাত – মিষ্টি তুই?
তুষার তুমি তো বলছিলে তুমি আবিরের সাথে দেখা করতে আসবে।
মিষ্টি – (ষাঁড় দেখছি আজ কাল যেখানে যায় সেখানেই গফ কে ও সাথে করে নিয়ে যায়। তা গফের সাথে ই আসবি তাহলে আমাকে নিয়ে আসলি কেন ফইন্নি)
তুষার তুমি তো বলোনি যে জান্নাত ও আসবে। তুমি তো বলেছিলে আবির ভাইয়ার সাথে দেখা করতে আসছো।
—তুষার কি বলবে কিছু ই ভেবে পাচ্ছে না। আবির ও এখনও আসেনি।
তুষার – জান্নাত তুমি এখানে?
আসলে আমি এখানে আবিরের সাথেই দেখা করতে আসছিলাম। কিন্তু আবির বললো মিষ্টি কে ও সাথে নিয়ে আসতে।
জান্নাত – ওহহ।।।
আমি আমার কাজিনের সাথে এখানে আসছি। তোমাকে ও এই জন্যই ফোন দিছিলাম। কিন্তু তুমি বললে তুমি আবিরের সাথে দেখা করতে যাবে।কোথায় যাবে জায়গার কথা আমি ও জিঙ্গেস করিনি। আমরা সবাই এখানেই আসবো এটা আগে জানলে এত প্রব্লেম হতো না। এর মাঝেই আবির এসে গেল।
আবির – সরি গাইস। আমার অনেক লেট হয়ে গেল। আরে তুষার আমি তো শুধু মিষ্টি কে সাথে নিয়ে আসতে বলছিলাম। তুই তো দেখছি জান্নাত কে ও সাথে নিয়ে আসছিস।ওহহ গফ কে রেখে একা কোথাও যেতে ভালো লাগে না বুঝি। যাক ভালোই হলো সবাই এক সাথে আড্ডা দেওয়া যাবে।
তুষার – তোর এখন আসার সময় হলো? কখন থেকে আমি আর মিষ্টি তোর জন্য অপেক্ষা করছি। আর জান্নাত এখানে আমার সাথে আসেনি। জান্নাত ওর কাজিনের সাথে আসছে।
মিষ্টি – আচ্ছা এখন কি সবাই এখানে দাড়িয়ে কথা বলবা। নাকি যার জন্য আসছি তা করবা?
আবির – কি জন্য আসছো মিষ্টি?
মিষ্টি – আমি তো এখানে ফুচকা খেতে আসছি। তাও আবার তুষারের টাকায়।
আবির – কেন গো তুষারের টাকায় কেন খাবা? আমি কি জন্য আছি?
মিষ্টি – মানে???
আবির – মানে আর কি।মানে তুষার তো প্রায়ই খাওয়ায় এক দুই দিন না হয় আমরা খাওয়ালাম।কি বলো জান্নাত?
জান্নাত – ঠিক বলছেন আবির ভাইয়া। তুষার কে বোকা পেয়ে এই মিষ্টি টা ওর কাছ থেকে কত কিছু খাম দেয়।
মিষ্টি – আহা রে বফের জন্য মায়া হচ্ছে। কুত্তি তুই আগে আমার বেস্টু তার পর এই ষাঁড় টার গফ। একদম ওর হয়ে কথা বলবি না।
আবির – আহা রাগ করো কেন মিষ্টি। আমি আছি তো আমি তোমার হয়ে কথা বলবো।তুমি চাইলে তুমি যা বলতে বলবে আমি তাই বলবো।
তুষার – তোরা ঝগড়া কর। আমি গেলাম।
আবির – ওই শালা কই যাবি তুই। গফের সামনে ভালো সাজা হচ্ছে তাই না। মিষ্টি চলো তো আমরা ফুচকা খাই গিয়ে।
মিষ্টি – হুম চলেন তো ভাইয়া।
আবির – আবার ভাইয়া কেন?
মিষ্টি – কি??(চোখ রাঙ্গিয়ে)
আবির – না কিছু না।
— আবির আজ মিষ্টি চলে আসলো। আবির ফুচকাওয়ালার কাছে গিয়ে চার প্লেট ফুচকা দিতে বললো। মিষ্টি পিছন থেকে ডেকে বললো
মিষ্টি – আবির ভাইয়া চার প্লেট না তিন প্লেট দিতে বলেন তুষার ফুচকা খায় না।
আবির – তুষার ফুচকা খায় না??
মিষ্টি – না। আপনি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে এটা জানেন না। কেমন ফ্রেন্ড আপনি?
আবির – না মনে,,,
মিষ্টি – থাক বুঝছি আর মানে মানে করতে হবে না।
— এদিকে তুষার মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। কেনো ই যেন তুষার আজ জান্নাতের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না। তুষারের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। ও তো মনে থেকে কখনও জান্নাত কে ভালোবাসে নি। জান্নাতের প্রতি ওর তো শুধু ভালো লাগা কাজ করেছে। এ কথা গুলো ও কি ভাবে জান্নাত কে বলবে। জান্নাত ই বা কি করে এই কথা গুলো মেনে নিবে।
জান্নাত – তুষার তোমার কি কিছু হয়েছে?
তুষার – না। তেমন কিছু না।
জান্নাত – তুমি কি এটা ভাবছো আমি মিষ্টি সাথে তোমাকে দেখে কিছু মাইন্ড করছি?
— তুষার এবার জান্নাতের দিকে তাকালো।কিন্তু কিছুই বললো না। জান্নাত আবার ও বলা শুরু করলো।

আমি জানি তুমি হয়ত এটাই ভাবছো।কিন্তু আমি মিষ্টি কে তোমার সাথে দেখে তেমন কিছুই মনে করিনি। আমি জানি তোমরা ছোট থেকে এক সাথে আছো।মিষ্টি তোমাকে আমার থেকেও খুব ভালো করে বুঝে।তোমরা আগে যেমন ছিলে ফিউচারে ও ঠিক তেমন ই থাকবে। আমার জন্য যেন তোমাদের রিলেশনে দূরত্ব চলে না আসে।
— তুষার চুপচাপ অসহায় দৃষ্টি নিয়ে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে আছে।

আবির – এই নেও মিষ্টি তোমার ফুচকা চলে আসছে।
— মিষ্টি বার বার তুষার আর জান্নাতের দিকে ফিরে ফিরে দেখছে
মিষ্টি – ষাঁড় টা এখনও আসছে না কেন? এত কি কথা বলছে। মানলাম গফের সাথে কথা বলছে তাই বলে এভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে?(মনে মনে )
আবির – কি হলো খাচ্ছো না কেন?
মিষ্টি – ওরা তো এখনও আসলো না।
আবির – হায় আল্লাহ। ওই দুইটা এখনও আসেনি। এই রোমিও জুলিয়েট কে কি পালকি করে আনতে হবে?
— আবির জোরে তুষার কে ডেকে বললো।

কিরে তোরা আসবি? রাস্তায় দাড়িয়ে এতো কিসের কথা তোদের?
জান্নাত – চলো ওরা ডাকছে।
তুষার – হুম চলো।

—সবাই ফুচকা খাচ্ছে শুধু তুষার খাচ্ছে না। তুষার এখনও ভাবছে কি করে ও জান্নাত কে সব কিছু বলবে। জান্নাতের মত ভালো মনের মেয়েকে ও কি ভাবে কষ্ট দিবে। কিন্তু এসব কথা জান্নাত কে না বললে ও তো হবে না। তাহলে তিনটি জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।

আবির – তুষার তুই খাবি না?
মিষ্টি – না তুষার এসব খায় না।
আবির – ওহ আচ্ছা
জান্নাত – তুষার আমাদের সাথে একটু খাও?
মিষ্টি – আরে তুষার,,,,
— মিষ্টি কথা শেষ করার আগেই তুষার বলে উঠলো
তুষার – আচ্ছা ঠিক আছে।
মিষ্টি – আমি এই জীবনে এতো বার বলছি তখন তো রাজি হয়নি আজ জান্নাত একবার বলাতেই তুষার ফুচকা খেতে রাজি হয়ে গেল।(মনে মনে)
আবির – ভাই আর এক প্লেট ফুচকা দেন তো।
— মিষ্টি ফুচকা খাওয়া রেখে তুষারের উপর রাগে তেলে বেগুনে জ্বলছে। আমার কথার কোন দাম নাই জান্নাত ই ওর সব হয়ে গেল। আমি আর জীবনে ও ষাঁড় টার সাথে কথা বলবো না। এরই মাঝে তুষারের জন্য ফুচকা এসে গেছে।তুষার ছোট থেকেই একটু ও ঝাল খেতে পারে না। তুষার একটা ফুচকা মুখে নিয়ে একটু খাওয়ার পর ঝালে ওর মুখ পুড়ে যাচ্ছে।
তুষার – মিষ্টি একটু পানি দে প্লিজ।
— মিষ্টি তুষারের দিকে তাকিয়ে দেখে তুষারের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। মিষ্টি সাথে সাথে পানি এনে তুষারের হাতে দিল। তুষার এক ডুকে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিল।
মিষ্টি – জানোই তো তুমি ঝাল খেতে পারো না। যা খেতে না পারো তা জোর করে খাওয়ার দরকার কি যতসব। তোমাকে পানি না দেওয়ার দরকার ছিল। একটু বুঝতে মজা। সব সময় বেশি ঢং করাই লাগবে। হিরো সাজতে আসছে ফইন্নি কোনেকার।
–আবির জান্নাত সবাই হা করে মিষ্টির দিেক তাকিয়ে আছে হঠাৎ করে মিষ্টি এতো রেগে গেল কেন?
আবির – আরে মিষ্টি বেচারা কে এত বকছো কেন। এমনিতেই ঝালে ওর নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। তার উপর তোমার বকা শুনে ছেলেটা এবার মরে ই যাবে।
জান্নাত – তুষার তুমি ঠিক আছো তো?
মিষ্টি – উঁহুহ আইছে আমার তুষার তুমি ঠিক আছো বলতে। ওই তোর বফ ঝাল খেতে পারে না এটা তুই জানছ না। বফ নিয়ে ন্যাকামি তো ঠিকই পারো শুধু পারো না বফের খেয়াল রাখতে।
— জান্নাত কিছু না বলে চুপ করে আছে
মিষ্টি – কি হলো কথা বলিস না কেন?
জান্নাত – তুই আছিস তো তুষারের খেয়াল রাখার জন্য।
মিষ্টি – আমার ঠেকা পড়ছে অন্যের বফের খেয়াল রাখতে।
আবির – সত্যি ই তো তুমি অন্যের বফের খেয়াল রাখবা কেন। তুমি তো আমার না মানে তোমার নিজের বফের খেয়াল রাখবে তাই না মিষ্টি?
মিষ্টি – তুষার আমি বাসায় যাবো তুমি যাবা নাকি এখানে থাকবা?
তুষার – তুই বাসায় যা আমার জান্নাতের সাথে একটু কথা আছে।
— মিষ্টি তুষারের মুখে জান্নাতের কথা শুনে আরো রেগে গেল। কিন্তু রাগটা প্রকাশ করতে পারছে না।
মিষ্টি – আমি একা একা যাবো?
আবির – একা যাবা কেন। আমি আছি কি জন্যে? চলো আমি তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।
— মিষ্টি রাগের মাথায় কিছু না ভেবে আবিরের সাথে যেতে রাজি হয়ে গেল।
মিষ্টি – হুম চলেন ভাইয়া।
তুষার – না দাঁড়া আবিরের শুধু শুধু কষ্ট করতে হবে না। আমি এখন বাসায় চলে যাবো। জান্নাত তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমরা কাল দেখা করি?
জান্নাত – হুম
আবির – আরে কষ্ট কি?
মিষ্টি – তুমি এখন বাসায় যাবে কেন। তুমি জানুর সাথে কথা শেষ করে আসো।আমি আবির ভাইয়ার সাথে যেতে পারবো।
তুষার – বেশি কথা বলবি না। আজ কাল তুই অনেক কথা বলিস। কিছু বলি না বলে বেড়ে গেছিস।
— তুষার মিষ্টি কে নিয়ে বাসার উদেশ্যে চলে আসে। আবির ও মন খারাপ করে বাসায় চলে যায়। জান্নাত চুপ করে দাঁড়িয়ে তুষার আর মিষ্টির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
জান্নাতের কাজিন – কিরে এভাবে দাড়িয়ে থাকবি নাকি বাসায় যাবি?
জান্নাত – হুম যাবো তো চল।
–জান্নাত আর ওর কাজিন একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসে। জান্নাত পুরো রাস্তা চুপ করে ছিল।একটা কথা ও বলেনি।জান্নাত হয়ত মিষ্টি আর তুষারের সম্পর্কের আসল মানেটা বুঝতে পেরেছে। যা মিষ্টি আর তুষার এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি।ওদের মাঝে শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্ক না। তার থেকেও বেশি কিছু।

মিষ্টি – তুমি তো বলেছিলে জান্নাতের সাথে তোমার কথা আছে। তা কথা না বলেই চলে আসলা কেন?
তুষার – এমনি ইচ্ছে হয়ছে তাই?
মিষ্টি – গফকে একা রেখে চলে আসলা গফ তো রাগ করবে।
তুষার – চুপচাপ বসে থাক তা না হলে একটা থাপ্পড় দিব। সারাক্ষণ গফ গফ করছ কেন?
মিষ্টি – ও মা গফের কথা বললে রাগ হয় নাকি? আগে জানতাম না তো যে কারো গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে কথা বললে সে রাগ করে।
তুষার – মিষ্টি এবার সত্যি সত্যি মার খাবি কিন্তু।
মিষ্টি –

পরের দিন,,,,,,,,,

— জান্নাত তার রুমে বসে আছে। হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
জান্নাত – আমি বুঝতে পারছি তুষার আমাকে কোন দিনও ভালোবাসে নি ও ভালোলাগা টা কে ভালোবাসার নাম দিছে। আসলে ও তো মিষ্টি কে ভালোবাসে। আমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত তুষার শুধু মিষ্টির কথাই বলে গেছে। মিষ্টির কি ভালো লাগে ও কি পছন্দ করে এটা সেটা আরও কত কিছু। তুষার নিজেও জানে না ও মিষ্টি কে কতটা ভালোবাসে।আমি ওদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে এসে গেছি। আমার তুষার কে সব বলতে হবে। ওকে বুঝাতে হবে ও আমাকে না মিষ্টি কে ভালোবাসে।
কিন্তু এর আগে আমার মিষ্টির সাথে কথা বলতে হবে।
মিষ্টি তুষারের জন্য কি ফিল করে তা জানতে হবে।
— জান্নাত ফোন হাতে নিয়ে মিষ্টির কাছে কল দিল।
মিষ্টি – এই সময় আবার কোন শাঁকচুন্নি ফোন দিল।(ফোনের দিকে তাকিয়ে,,,,
জানু!!!!
জানু কেন কল করছে?)
হুম জানু বল।কি হয়েছে?
জান্নাত – তুই এখনই আমার সাথে দেখা করবি।
মিষ্টি – কিন্ত জানু,,,,,
— মিষ্টি কিছু বলার আগেই কল কেটে গেল।
জানুর আবার কি হয়েছে?

— মিষ্টি জান্নাতের কথা মত জান্নাতের সাথে দেখা করতে গেল।
জান্নাত – সত্যি করে একটা কথা বলবি?
মিষ্টি – এমন ভাবে বলছিস যেন আমি সব সময় মিথ্যা কথা বলি।
জান্নাত – আমি কিন্তু মোটেও ফান করার মোডে নাই।
মিষ্টি – ওকে আমার মিস.সিরিয়াস কি হয়েছে বল।
জান্নাত – তুই তুষার কে ভালোবাসিস?
— জান্নাতের কথা শুনে মিষ্টি বিষম খেয়ে গেল।
মিষ্টি – কি বলছিস তুই। তোর মাথা ঠিক আছে তো?
আরে তুষার তোর বফ হয়।
জান্নাত – আমি তোকে সিম্পল একটা কোয়েশন করছি তাই সোজাসুজি আন্স দে।
মিষ্টি – তোর কোয়েশন টা ফালতু
জান্নাত – ফালতু হোক আর যাই হোক তুই হ্যা বা না তে আন্স দে।
মিষ্টি – ধুর তোর মাথার নাট বল্টু ঢিলে হয়ে গেছে। তাই এসব ফালতু কথা বলছিস।আমি যাই তোর সাথে কিছুক্ষণ থাকলে আমি ও পাগল হয়ে যাব।
— মিষ্টি উঠে চলে আসছিল কিন্তু জান্নাত মিষ্টির হাত ধরে ফেলে।
জান্নাত – তোকে আমার কসম লাগে সত্যি করে বল তুই কি তুষার কে ভালোবাসিস?
মিষ্টি – জানু এটা কি করলি তুই কসম কেন দিলি?
জান্নাত – কসম না দিলে তুই সত্যি টা কখনও বলতি না। আমার জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষ টা কে ছেড়ে দিতি।আমি তো জানি তুই যে কত বড় একটা শাঁকচুন্নি।

চলবে 💕