#বিদায়_বরণ
২৪ পর্ব(শেষপর্ব)
#মেহরুন্নেছা_সুরভী
.
চিরকুট _
” ভালো থেকে কিংশুক।তুমি আমার দেখা পৃথিবীর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পুরুষ। তোমাকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি, ভালোবাসি বন্ধু হিসেবে। দোয়া করি, জীবনে জীবনসঙ্গীর সাথে সুখী হবে। আর তোমার ছোটবেলার পুতুল বউকে এবার ভালোবাসা এখানেই স্থগিত করো।সম্পূর্ণটা নিয়ে আমি এখনি বিদায় নিলাম।
~ শিখিনী
কিংশুক চিরকুটটা পড়েই সামনে তাকাল। শিখিনী অদূরে দাঁড়িয়ে। কিংশুকের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল। কিংশুক সামান্য মাথা ঝুলিয়ে ঠোঁট প্রসস্থ করল। চিরকুটটা নিজের বুক পকেটে রেখে দিলো।
শিখিনীরা চলে যাচ্ছে। বিদায় নিচ্ছে এই শহর, স্থান, কিংশুকের ঠিকানা থেকে। শিখিনীদের মালপত্র গাড়িতে উঠানো হলো। প্রেম মাইক্রো ভাড়া করে এনেছে। সেখানেই সবাই একসাথে যাবে।
বিভাবরী বেগম চোখের জল ফেলছেন তার ভাইয়ের সাথে। বিদায়ের সময় হয়ে এলো যে।
শিখিনীর মামার থেকে সালাম নিয়ে প্রেম এগিয়ে গেল কিংশুকের দিকে।
– হেই ব্রাদার, চলে যাচ্ছি। একদিন ঢাকায় চলে আসো, জমিয়ে আড্ডা হবে। আর তরফ থেকে তোমার জন্য স্পেশাল ট্রিট থাকবে।
কিংশুক আর প্রেম দুজনকে বুকে আগলে নিলো। নীচু স্বরে কিংশুক বলল, ইনশাআল্লাহ।
-আসবে কিন্তু আমাদের সি অফ করতে? বিদেশ ভ্রমণ শেষে তোমাদের এখানে আবার আসব। একেবারে টুকটুকে একটা বেবিগার্ল নিয়ে।
প্রেম বলেই হাসল। কিংশুকও হাসল। কিন্তু কিছু বলল না আর।
একে একে সবাই গাড়িতে উঠে বসল। ইয়ামিনি ভীষণ কান্না করছিল। তাই ওকে শিখিনীদের সাথে নিয়ে যাওয়া হলো। এতে অবশ্য সে ভীষণ খুশি।
যামিনী তার ভাইয়ের কাছে গেল, সালাম দিয়ে কান্নামাখা কন্ঠে বলল, ভাই, আমি…
কিংশুক থামিয়ে দিয়ে বলল, আমি তোর থেকে কোনো এক্সকিউজ শুনতে চাইছি না যামিনী। আমি জানি, তুই প্রিয়ম সম্পর্কে বলবি। তুই এখন বড় হয়েছিস।বুঝতে শিখেছিস। তোর কাউকে পছন্দ হতেই পারে। এতদিনে মনে হলো, প্রিয়ম ভালো ছেলে।আমি তোর সকল সিদ্ধান্তে রাজি। আমি শুধু বলব, যা করবি ভেবে চিন্তেই করিস। তোর সারাজীবন প্রশ্ন, উত্তরটা তোরই কাছে।
যামিনী কেঁদে দিয়েই কিংশুককে জড়িয়ে ধরল। সেদিন প্রিয়মকে কিস করতে দেখে ফেলেছিল কিংশুক। তখন অবশ্য কিছু বলেনি, পরে জিগ্যেস করেছিল। যামিনী লজ্জায় মাথা নীচু করে বলেছিল, তাদের মাঝে একটা সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। প্রিয়ম তাকে বুঝাচ্ছে, সে তাকে ভালোবাসে। কিংশুক এই নিয়ে একটু নারাজ হয়েছিল যামিনীর এমন সিদ্ধান্তে। তবে, অনেক ভেবেছে সে আর শিখিনী তাকে বুঝিয়েছে, যামিনী এখন ম্যাচিউর, ওর কাউকে পছন্দ হতেই পারে। জীবনটা ওর। পছন্দের ভ্যালু ওর কাছেই বেশি।
যামিনীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, ঢাকায় সাবধানে থাকিস। আর পড়াশোনা মন দিয়ে করিস। তোকে নিজ পায়ের মাটি শক্ত করতে হবে, হুমম?
যামিনী মাথা তুলে মাথা ঝুলিয়ে হুমম বলল। কিংশুক এবার যামিনীর চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিলো।
প্রিয়ম হেসে যামিনীর কানে ফিসফিসিয়ে বলল, মনে হলো, শালাবাবু তার বোনকে বরের সাথে বরযাত্রী গাড়িতে উঠিয়ে দিলো। কী ছিঁচকাদুনি তুমি!
যামিনী কঠিন হয়ে বলল, ভাই তোমার বড়। তোমার শালাবাবু কীভাবে হয়?
-শালাবাবু নয়?
– না বোকা।
-ধ্যাৎ, একটা বললেই হলো, আমি সম্পর্কের নাম টাম জানি না।
-কী জানো তাহলে তুমি?
– বলব?
– প্রেম করতে৷ হাহাহাহা।
যামিনী ফোঁস করে দম নিয়ে মাথা ঠেকিয়ে বসল। এই ছেলের সাথে কথা বলাই বেকার।তবুও, এই বেহায়া বাদরটা তার গলায় এসে ঝুলে পরল।
গাড়ি চলছে। শিখিনীরা চলে যাচ্ছে।শিখিনী গাড়ির জানালা দিয়ে মুখটা বাহির করে রাখল। কিংশুক এখনো তাকিয়ে। একটু একটু করে চোখের পলকের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
একটা সময় পলকে পলকে অদৃশ্য হয়ে গেল। চোখের পলকের বাহিরে চলে গেল সবাই। তার হয়ত কখনো দেখা হবে, বা হবে না।
কিংশুক গেট ঠেলে উঠোনে পা রাখল। চারপাশে কেউ নেই, মানুষজনের অভাব। চারপাশটা হাহাকার করছে।এমনি এক সকালে সে শিখিনিদের বরণ করে নিয়েছিল। আর আজ বিদায় জানালো। বুকের মাঝে অদ্ভুত ব্যাথা অনুভব করল সে।
কিংশুক ধীরে পায়ে উঠোন শেষে একটা রুমে গিয়ে শুয়ে রইল নিশ্চুপ হয়ে। ছোট থেকে এই নিঃসঙ্গ জীবন থেকে সবাই শুধু চলেই যায়। কেউ চিরস্থায়ী হয় না।
চারবছর পর,
সাখাওয়াত এখন ভার্সিটিতে উঠেছে। বড় হয়েছে, সেই সাথে দায়িত্বশীল ছেলে। দায়িত্বশীল ভাই।
যামিনীর ভার্সিটি শেষ। প্রিয়ম এক বছর হলো স্টুডেন্ট স্কলারশিপ নিয়ে মাস্টার্স করতে বিদেশে গিয়েছে। যামিনীও চেষ্টা করছে প্রিয়মের কাছে চলে যাওয়ার।
আমাদের ইয়ামিনিও এখন বড় হয়েছে।কলেজে পরে। বিভাবরী বেগমের সাথেই থাকে এখন ইয়ামিনি।
প্রেম আর শিখিনী আজ বিদেশ থেকে দেশে ফিরছে। দীর্ঘ তিন বছর বাদে। ঢাকায় ফিরে ওদের ঘরোয়া ভাবে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। শিখিনীর ফাইনাল এক্সাম শেষেই প্রেম ওকে অনেকটা জোর কীেই বিদেশ নিয়ে যায়। যেখানে সে থাকত, সেখানেই। বিভাবরী বেগম অনুরোধ করেছিলেন শিখিনীকে, যেন প্রেমের সাথে যায়,প্রেমের যেহেতু ভীষণ ইচ্ছে।
মা, ভাইকে ছেড়ে মনের বিরুদ্ধে শিখিনী প্রেমের সাথে বিদেশে চলে যায়। এরমাঝে আর গ্রামে যাওয়া হয়নি। আর কিংশুকও আসেনি। দু’জনের আর দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার সুযোগ হয়নি।
কলিং বেল বেজে উঠতেই ইয়ামিনি চেঁচিয়ে লাফিয়ে উঠল। দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো। বিভাবরী বেগমও বসা থেকে এগিয়ে গেলেন।
বাহিরে শিখিনীরা দাঁড়িয়ে।
এত বছর পর মাকে দেখে শিখিনী কেঁদে বিভাবরী বেগমকে জড়িয়ে ধরল।
যামিনী আর সাখাওয়াত ওদের আনতে গিয়েছিল।
দুজনেই একসাথে বলল, আহা, এখন তো আমায় কেউ মনেই রাখবে না। শিখিপু এসে গেছে না।
শিখিনী কান্নার মাঝেও হেসে দিয় দু’জনকে আচ্ছা মত বকে দিলো, ছুটে ছুটে মারল।
– এত বছর আমার আদরের ভাগ খেয়ে শান্তি হয়নি, তাই না। খুব খারাপ হয়ছিস তোরা।
-আরে দুলাভাই, তোমার এ কী হাল হয়েছে। একদম জংলী সেজে এসেছ বিদেশ থেকে।
ইয়ামিনির কথায় সবাই মিলে প্রেমের দিকে তাকাল। প্রেমের গালে চাপ দাড়িতে ভরে। চুলগুলোও একটু বড় হয়েছে। চাপ দাড়ি রাখায় প্রেমকে অন্যরকম লাগছে। চেনার উপায় নেই।
-কী করব, বলো। তোমার বোন আমাকে একটা দাড়িও শেফ করতে দেয়নি। তার নাকী আমায় এভাবেই ভালো লাগে। আমি নিরীহ একজন হ্যাজবেন্ড, বউ যা বলে, সেটাই সির ধার্য।
শিখিনী কঠিন চোখে তাকায়। প্রেম আর কিছু বলে না। প্রেমকে তার এভাবেই ভালো লাগে। কী সুন্দর লাগছে চাপ দাড়িতে। একদম কিংশুকের মত।
-এমা, একদম জংলী লাগছে।
সাখাওয়াত এগিয়ে এসে ইয়ামিনির মাথায় গাট্টা দিয়ে বলল,
– তোর তো সব কিছুতেই সমস্যা।সব সময় খুঁত ধরতে থাকিস। সৌন্দর্যের তুই কী বুঝিস।
ইয়ামিনি রেগে সাখাওয়াতের চুলে মুটি করে টেনে নিয়ে দিলো, বলল, হ্যাঁ তো, যেটা ধরার ধরব না। আর তুমি যদি দাড়ি রাখো না, তাহলে তোমায় আমি দিঘীর জলে চুবিয়ে রাখব বলে দিলাম।
-যা ভাগ, আসছে মহারানি আমায় হুকুম করতে।
ইয়ামিনি ফোঁস করে বলে উঠল, ফুফি আম্মা!
ইয়ামিনি বিভাবরী বেগমের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল সবাই তার দিকে কেমন ট্যারা চোখে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। ইয়ামিনি এতক্ষণে বুঝতে পেরে লজ্জায় মাথা নীচু করে রাখল। শিখিনী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে, তার থেকেও বেশি বিভাবরী বেগম আর যামিনী। ওদের দু’জনের মাঝে সত্যিই কিছু চলছে নাকী! সেটা না-হয় পাঠকবাসীই ঠিক করুক।
.
নভেম্বরের সময়
ভোরবেলা, হালকা কুয়াশার সকাল।
কিংশুক রাস্তায় দাঁড়িয়ে সামনে ফসলের মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখছে। মৌসুমি ফসল অঙ্কুরিত হচ্ছে ধীরে ধীরে।
কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। কিংশুক পাশ ফিরে তাকাতেই একটু চমকে উঠল। কাছেই শিখিনী দাঁড়িয়ে। সে কী সত্যি দেখছে। কী সুন্দর লাগছে শাড়িতে শিখিনীকে। সেই প্রথমদিনের মতই শুভ্রতার পরী।
কিংশুক মাথা ঝুলিয়ে মুচকি হেসে বলল, তোমায় শাড়িতে ভীষণ সুন্দর দেখায় শিখিনী।
-ও মা তাই, আগে কখনো বলোনি যে!
কিংশুক আবার চমকে পাশে তাকাল। শিখিনীর কন্ঠস্বর। শিখিনী তার পাশে সত্যি দাঁড়িয়ে আছে। কিংশুকের এবার গলা কেঁপে উঠল, তু তুমি!
-হ্যাঁ, আমি।শিখিনী।
-কখন এলে?
– অনেকক্ষণ।
-অনেকক্ষন!
-তুমি খেয়াল করোনি।
কুয়াশা সম্পূর্ণ কেটে যাচ্ছে। পূর্ব আকাশে সূর্যের রক্তিম আভা ফুটে উঠছে। পলকেই সূর্যটা উদয হচ্ছে। এক টুকরো রোদ শিখিনীর সুন্দর গালে পরছে।
কিংশুক দেখল, পিছনে প্রেম একটি বাবু কোলে এগিয়ে আসছে। বাবুটার চেহারা একদম শিখিনীর মতই গুলুমুলু।
কিংশুকের সামনে আসতেই বাবুটা ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে রইল। কিংশুক বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল। এই সকালের জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু প্রস্তুত ছিল একদিন শিখিনীর সামনে দাঁড়াতে।
-মাশাল্লাহ, বাবু। বাবুর কবে হলো।
– এই সামনে একবছর হবে।
কিংশুক হাত বাড়িয়ে বাবুকে নিতে চাইল। কিন্তু বাবু গেল না, প্রেমের গলা জড়িয়ে ধরল, প্রেম হেসে বলল,
-আর বলো না, অচেনা মানুষের কাছে যাচ্ছেই না। প্রথম দিন সবাইকে দেখে সে কী কান্না।
শিখিনী হেসে বলল, ভীষণ বাবা পাগল মেয়েটা।
-হ্যাঁ, মায়েরই মত।
প্রেমের কথায় শিখিনী লজ্জায় পরে গেল। কিংশুকের সামনে অসস্থি লাগল দাঁড়িয়ে থাকত। প্রেম যদিও হাসি মুখে মজার করেই বলেছে কথাটা।
কিংশুক বলল, আচ্ছা, চলো আমরা বাসার পথে এগিয়ে যাই।
ওরা পাশাপাশি হাঁটতে লাগল।
শিখিনী প্রথমে কিংশুকের সাথে কথা শুরু করল,
-কেমন আছো কিংশুক?
-আলহামদুলিল্লাহ, চলছে। তুমি?
-আলহামদুলিল্লাহ।
-তারপর, বিয়ে করছ না কেন এখনো?
কিংশুক মুচকি হাসল। শিখিনী আবার বলল, কী হলো, বলো? আমার কাছে একদম মিথ্যা বলবে না।
কিংশুক অবশ্য শিখিনীকে কখনোই মিথ্যে বলে না। আজও বলল না।
– বিয়ে আমি কখনোই করব না শিখি। তাই করছি না।
– কী সব পাগলের মত কথা বলছ।
কিংশুক হেসে বলল, তাহলে বুঝে গেলে আমি পাগল।
-কেন করবে না তুমি বিয়ে হুম, বলো?
-এসব কেন জানতে চাচ্ছ তুমি শুধু শুধু? তোমার না জানলেও চলবে শিখি।
কিংশুকের এমন স্বাভাবিক কথাবার্তায় শিখিনী আরো অসস্থিতে পরছে। নিজের মাঝে অপরাধবোধ জাগছে।
শিখিনী দাঁড়িয়ে বলল, না আমায় বলো তুমি, আমায় সব জানতে হবে। যামিনী আমায় বলেছে সব। তুমি কেন আমাকে অপরাধের মধ্যে ফেলছ বলো তো।
কিংশুক পিছনে ফিরে শিখিনীর সামনে গিয়ে বলল, শিখিনী দেখো, ঐ সূর্য কিন্তু একটাই, চাঁদও একটাই। আমার এই হৃদয়ও একটাই। এখানে শুধু একজনের জন্য ভালোবাসা। একজনের বসবাস। তোমার মনে হয়ে, সেখানে অন্যকেউ দখল নিতে পারবে?
-কিংশুক! তুমি আমায় এখনো ভালোবাসো?
কিংশুক মুচকি হেসে ভাবল, এখনো? এমন প্রশ্ন তো আসার কথা হয় শিখিনী। শুধু এখন নয়, আজীবন ভালোবাসবো। আমার দেহ মনে শুধু তোমার বসবাস।
কিংশুকের এসব না বলা কথাগুলো যেন শিখিনী শুনতে পাচ্ছিল। বুঝতে পারছিল। কিংশুকের চোখে, তার জন্য এখনো কত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।
দু’জনেই নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে। কিংশুক পকেট থেকে সেই চিরকুটের ভিতর থেকে একটু নূপুর আর চেইন য়িখিনীর হাতে তুলে দিলো। পরিয়ে দেওয়ার অধিকার তার নেই।
শিখিনী চোখে জল নিয়ে কিংশুকের দিকে তাকিয়ে রইল। সেই একই সেদিনের মুখের প্রতিচ্ছবি। কী কঠিন চেহারা। কিংশুকের চোখের জল চিকচিক করছে।
শিখিনী ভাবল, এই মানুষটা তাকে এত ভালোবাসে। এই প্রথম শিখিনী নিজের বুকের মাঝে ব্যাথা অনুভব করল। কিংশুককে অনুভব করল। কিংশুকের ভালোবাসা বুঝতে পারল।
ইচ্ছে করল, সেদিনের মত কিংশুককে জাপটে ধরতে। কিংশুকের দেহের মাঝের ব্যথিত হৃদয়টাকে ভালোবাসায় পুষ্পভীত করতে!
.
সমাপ্ত