ডেস্পারেট_লেখিকা –Farhina Jannat ২.

0
275

#ডেস্পারেট_লেখিকা
–Farhina Jannat

২.
তিনদিন পর হক সাহেব সপরিবারে হাজির হলেন তালুকদার সাহেবের বাসায়। বেশ একটা অন্যরকম ভাব বিরাজ করছে তার আপাদমস্তক জুড়ে। আফটার অল, এ বাড়ির বেয়াই হতে যাচ্ছেন তিনি, ভাব তো থাকবেই।

বন্ধুকে দেখে মুখে কৃত্রিম গাম্ভীর্য বজায় রেখেই সালাম দিলেন। তারপর বললেন, “তা, কেমন আছেন, হবু বেয়াই সাহেব?”

তালুকদার সাহেবও কম যান না। নিজেও একই গাম্ভীর্য নিয়ে উত্তর দিলেন, “আলহামদুলিল্লাহ! আপনারা সবাই কুশল মঙ্গল তো?” এবার দুবন্ধুই হাসিতে ফেটে পড়লেন।

দুই পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছে এনাদের এহেন আচরণ নতুন নয়। তাই তারাও হালকাভাবে যোগ দিলেন হাসিতে। আসলে এই হুট করে বিয়ের ব্যপারটা এনারা দুজন ছাড়া আর কেউই ভালোভাবে নিতে পারেনি। ইজানের ভাই-ভাবি একবার মৃদু অসন্তোষ প্রকাশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন হক সাহেব, পাত্তাই দেননি। তাই কিঞ্চিৎ ক্ষোভ জমে আছে দুজনের মনে। এদিকে সুফিয়া বেগমকেও অন্তরে বিষ রেখে মুখে হাসি ধরে রাখতে হচ্ছে। তার এখন রীতিমত আফসোস হচ্ছে এমন বেহায়া মেয়েকে তিনি কোন দুঃখে ছেলের বউ হিসেবে পছন্দ করতে গিয়েছিলেন। তার গূঢ় সন্দেহ, কোনোভাবে মারজান জেনে ফেলেছে তাদের ইচ্ছার কথা অথবা কোথাও দেখে ফেলেছে ইজানকে। আর তাতেই তার সোনার টুকরো ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। সেজন্যেই সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চেয়েছে! আরে বাবা, অন্তত এইচএসসিটা পাস করে নিতি, ইজান তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। বেহায়া, বেশরম মাইয়া একটা! মনে মনে আরেকদফা ঝাল ঝাড়লেন তিনি।

এদিকে মনোয়ারার দুশ্চিন্তা পুরোপুরি গায়েব হয়ে গেছে ইজানের সাথে বিয়ের কথা বলায়। দুই বন্ধু-পত্নীর মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। তিনি মনে মনে নিশ্চিন্ত হয়েছেন, তার মেয়ে সুফিয়া বেগমের বাড়িতে অনাদরে থাকবে না। এপক্ষে একমাত্র নাখোশ মিরাজ। ছেলে যে-ই হোক, এই অপরিণত বয়সে বোনকে বিয়ে দিয়ে তার জীবন বিষাক্ত করাটা সে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

নাস্তার আয়োজনে কোন কমতি রাখেননি মনোয়ারা। ভেতরের ঘরে সুফিয়া বেগম আর তার বউমাকে নাস্তা দিলেন তিনি। পুরুষদের জন্য নাস্তা বাইরের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। মেয়েই যখন দেখতে এসেছেন, তখন আর দেরি করা সমীচীন মনে করলেন না সুফিয়া বেগম। সাধারণ হালচাল জিজ্ঞেস করার পরই বললেন, “আজকের চিফ গেস্ট কোথায়? সে কি এখন তার সুফিয়া আন্টির সামনে আসতেও লজ্জা পাবে নাকি?”
“ওই, চা নিয়ে আসছে। আপনি তো সবই জানেন ভাবী, এ মেয়ের মধ্যে রান্নাঘরে পা দেবার কোন আগ্রহই নেই। কয়দিন হলো চা বানাতে শেখাচ্ছি তাই” নিজের মানুষের কাছে লুকোছাপা করার কোন দরকার মনে করলেন না মনোয়ারা। তাছাড়া লুকাবেন কি? এনারা যে একেবারে ঘরের মানুষ। ছেলে হওয়ার দশ বছর পর পাওয়া এই মেয়ে যে তাদের কত আদরের সাত রাজার ধন এক মাণিক, সেটা তো ভালো করেই জানেন তারা।

“আরে ভাবী, এত তাড়াহুড়োর কি আছে। শিখে যাবে সময়মত। আর পরের ঘরে যাচ্ছে নাকি, আমার কাছেই তো যাবে। আমি সব শিখিয়ে দেব, আপনি চিন্তা করবেন না” মুখে মধু ঢাললেন সুফিয়া বেগম।

বেকুবের মত শাশুড়ীর দিকে তাকিয়ে থাকল তার বড় বৌমা নিশীতা। হোস্টেলে থাকতে একা একা নিশ্চয়ই রান্না করে খেত, তবু কেন এক সাধারণ ডাল ভাত আর হালের কিছু নাস্তা-পাস্তা ছাড়া আর কিছুই জানে না সে নিয়ে প্রতিনিয়ত কম কথা সে শোনে না। বাবার বন্ধুর মেয়ে বলে কি তবে এই মেয়ের কপাল ওর থেকে ভালো হতে যাচ্ছে?

“তাহলে ইজানকে এ ঘরে ডেকে নিই ভাবি?” যোগ করলেন সুফিয়া বেগম। নিশীতা মন দিল নাস্তায়, তবে ভেতরে ভেতরে একটা সূক্ষ্ম ঈর্ষা অনুভূত হতে দেখে লজ্জিত হল নিজের কাছে।

সুফিয়া বেগম ক্যালকুলেশনে একটু ভুল করে ফেলেছিলেন। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, কোন ছেলে মেয়ে যখন বিয়ের নিয়তে একে অন্যকে দেখে, আর আল্লাহ তায়ালা তাদের জুটি লিখে রাখেন, তখন তাদের অন্তরে এক অন্যরকম ভালোলাগা সৃষ্টি করে দেন, যা বিবাহ পরবর্তী জীবনে ভালোবাসার ভিত্তি মজবুত করে। এজন্যই রাসূল (স) বিবাহের পূর্বে কনে দেখে নেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।

সুতরাং, যা হবার তাই হলো। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের গোলগাল পুতুলের মতো মেয়েটাকে এক পলকেই মনে ধরে গেল ইজানের। চশমা পরা মেয়েদের কেন যেন ঠিক পছন্দ হয় না ওর। কিন্তু মারজানকে দেখে যেন মনে হল, এই মেয়েকে চশমা ছাড়া মানাবেই না। সেই সাথে অনুভব করল, এই মেয়েটা ওর জীবনে না এলেই বরং বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।

***
ফেসবুকে তালুকদার আংকেলের প্রোফাইল পঞ্চমবারের মত ঘুরেও মারজানের আইডির কোন হদিস না পেয়ে বিরক্ত হয় ফোনটা বিছানার অপর পাশে ছুঁড়ে দিল ইজান। মারজানকে দেখে আসার পর থেকে শয়নে স্বপনে খালি ওর মায়াবী মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে। মেয়েটার সঙ্গে দুটো কথা বলার জন্য, ওর সম্পর্কে আরও কিছু জানার জন্য মনটা ছটফট করছে। কিন্তু কিছুই করার নেই, হবু বউয়ের পুরো নামটা পর্যন্ত জানা নেই ওর। সেই কোন ছোটবেলায় দুজন একসাথে একটু আধটু খেলাধুলা করেছে একজন আরেকজনের বাসায় গেলে। তারপর তো ওরা এখান থেকে চলেই গেলো। এই বছর দুয়েক আগে আবার নিজেদের বাসায় ফিরে এসেছে। ইজানও গেছে ওই বাসায় কয়েকবার, তবে মারজানকে দেখেনি। পর্দা করে বলেই হয়ত সামনে আসেনি।

যতদূর মনে পড়ে, মারজান ছোটবেলায় খুব একটা চঞ্চল ছিল না। এখন কেমন হয়েছে ও? আমাকে ওর পছন্দ হয়েছে তো? এমন নানা ভাবনার জাল বুনে চলেছে ইজানের মন।

বিয়ের এখনও পাঁচ দিন বাকি। দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আপাতত শুধু ঘরোয়াভাবে বিয়ে পড়ানো হোক। তারপর মারজানের এইচএসসি পরীক্ষার পর পাকাপাকিভাবে অনুষ্ঠান করে উঠানো হবে। এই দেড় বছরে ওরা বরং প্রেম করার আনন্দ উপভোগ করুক।

ছেলের মত শুনে সুফিয়া বেগম নানান উপায়ে এটা সেটা বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন এবং অবশেষে ব্যর্থ হয়ে হাল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নিজেকে এই বলে প্রবোধ দিয়েছেন যে, এই উসিলায় অন্তত মেয়ের স্বরূপ আগেই জানা গেছে। নাহলে তো এই বেহায়া বেশরম মেয়েকে কত আশা নিয়েই না বউ করে এনে পরে ধরা খেতেন।

ইজানকে অস্থিরতা নিয়েই বিয়ের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। লজ্জার মাথা খেয়ে নিজের হবু বউয়ের ফেসবুক আইডি কিংবা ফোন নাম্বার বাবার কাছে চাওয়ার মত নির্বুদ্ধিতা এখনো ওকে পেয়ে বসেনি। অবশ্য ইসলামে বিয়ের আগে কোনরূপ অহেতুক কথা চালাচালির অনুমতি নেই, সেদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।

অবশেষে এল সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। বিয়ে পড়ানো সুসম্পন্ন হল। মোনাজাতের পর ইজানকে ওর বাবা বললেন, “মাই সান! আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সিদ্ধান্তের জন্য তুমি সারাজীবন আমার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে”

খাওয়া দাওয়ার পর ইজানকে রেখে ছেলেপক্ষের সবাই চলে যাবে। যাবার আগে ওর বড় ভাই মীজান একপাশে টেনে আনল ওকে, “তোর কপালটা কয় হাত দেখি তো! এইচএসসির পর মেডিকেল এডমিশনের প্রিপারেশন নিতে গিয়ে লাইফ হেল হয়ে গেসিল আমার। আর তোকে দেখ, বিয়ে করা বউ পেয়ে গেলি। মানে ঝাক্কাস!”

“খুক খুক! আর সেই এডমিশন কোচিং এর ফাঁকে নীপা আপুর সাথে চুটিয়ে…” ফিসফিস করে দেয়া জবাবটা মাঝপথেই থামিয়ে দিল মীজান। এদিকওদিক চকিতে দেখে নিয়ে বলল, “চুপ কর! তোর ভাবীর সামনে হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গবি নাকি?”

“হি হি! ঠিকই বলেছো ভাইয়া। তুমি করেছিলে লুকিয়ে প্রেম আর আমি করব হালাল প্রেম। কপাল আমার সত্যিই ঝাক্কাস!”

***
নবদম্পতির বাসর হচ্ছে মারজানের ঘরে। বাসায় যেহেতু ছোট শ্যালক-শ্যালিকা গোত্রীয় কেউ নেই, সেহেতু কোন ঝুটঝামেলা ছাড়াই বাসর ঘরে ঢুকতে পারল ইজান। টিভি সিনেমায় দেখা যায় বাসর ঘরে বর ঢুকে দেখে ঘোমটা পরা বউ বসে আছে বিছানার ওপর। ওর যাবতীয় জল্পনা-কল্পনাও সে অনুযায়ী সাজানো ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই দৃশ্য ওর কপালে জুটল না। বিছানা খালি, পুরো ঘরে নতুন বউয়ের টিকিটিও দেখা যাচ্ছে না।

কোথায় যেতে পারে? ভাবতে না ভাবতেই ইজানের মনে হলো, ডানপাশের দরজার পেছন থেকে কারও গলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এগোল সে সেদিকেই। পর্দাটা সরাতেই দেখল, ওর ধারণা ঠিক। বারান্দায় রেলিঙের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওর নিখোঁজ বধূ, কানে ধরা ফোন, ফিসফিস করে কথা বলছে কারও সাথে।

“শুরু করব কিভাবে, একটু বল না” কানে এল কথাটা ইজানের। আড়িপাতা কোন কাজের কথা না, তাই হালকা কেশে নিজের উপস্থিতি জানান দিল ইজান।
চমকে পেছনে তাকাল মারজান। ফোনের ওপার থেকে চিল্লাচ্ছে সায়মা, “নালায়েক! তুই তোর লেখালেখি নিয়ে ডুইবা মর। বাসর ঘরে নাকি এসব নিয়া কথা বলবে। আইসে আমার লেখিকা”

এদিকে মারজান ভাবছে ইজান কতটুকু শুনেছে ওর কথা। সায়মার গলা আবারও শুনতে পাচ্ছে ও, “কিরে, চুপ মাইরা গেলি কেন? গালি দিসি তাই সেন্টি খাইসস? ওই, কীরে”

“ইয়ে, মানে, ওই যে, ইয়ে” ইজানের উপস্তিতির কথা সায়মাকে কীভাবে বলবে বুঝতে পারছেনা মারজান।

“ইয়ে ইয়ে লাগায় রাখসস কেন? ইজান ভাই আইসা পড়সে নাকি?”
“হুঁ”
“জোস! লাউডস্পিকার দে, শিগগির!”
“কেন?”
“দিতে বলসি দে। ফোন দিতে বলিনাই, লাউডস্পিকার দিতে বলসি। কী বলব শুনতেই তো পাবি”

ফোনটা সামনে নিয়ে স্পীকার অন করল মারজান।
“আসসালামু আলাইকুম, ইজান ভাই। আমি সায়মা, আপনার বউয়ের একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড আর আপনার আপাতত একমাত্র শালী। সামনাসামনি কথা বলার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু বাধ্য হয়ে বিয়ে পড়ানোর পর পরই চলে আসতে হইসে। নাইলে টাকা ছাড়া আজ আপনি বাসর ঘরে ঢুকতে পারতেন না। টাকা কিন্তু পাওনা থাকল। অবশ্য, আমি আপনার সাথে যা করসি, আপনি টাকার বদলে জুতা মারবেন কিনা সেটাই ভাবতেসি। যাকগা! টাকা দেন আর না দেন, আমারে মাফ কইরা দিয়েন। এই প্রিম্যাচিউর ছাগলটাকে যে এই অসময়ে আপনাকে গলায় ঝুলাইতে হইল, বিশ্বাস করেন ভাইজান, এর জন্য দায়ী এই আমি”

“প্রিম্যাচিউর ছাগল!”

সালামের উত্তরের কোন অপেক্ষা না করেই একদমে কথাগুলো বলে যাচ্ছিল সায়মা। কিন্তু ইজানের অস্ফুট বিস্ময়সূচক কণ্ঠ শুনে থামল ও।

“স্যরি স্যরি, কথাটা আসলে ইম্ম্যাচিউর হবে। আমি দুইটা আউলায়া ফালাই। তবে এই ছাগলের জন্য প্রিম্যাচিউর যা, ইম্ম্যাচিউরও তা। বিশ্বাস করেন, কোনো পার্থক্য নাই”

“সায়মা, তুই চুপ করবি!” চাপা গলায় ধমকে উঠল মারজান।

“তুই চুপ কর, যে অপরাধ আমি করসি, তার জন্য ক্ষমা চাইতে দে। হ্যাঁ, ইজান ভাই শুনেন। আমি যে কি বুঝাইসি সেটা মনে হয় আপনি আজকেই বুঝে যাবেন। আপনার সামনের দিনগুলার জন্য আমার সত্যিই ভীষণ মায়া হইতেসে। প্লিজ আমারে ক্ষমা করে দিয়েন। আর….”

বাকি কথা আর শোনা হলো না ইজানের, কলটা কেটে দিয়েছে মারজান। ঘটনার আকস্মিকতায় ইজান কিংকর্তব্যবিমুঢ়।

“দুনিয়ার যত ফালতু কথা!” ফোনটার পাওয়ার বাটন চেপে বলল মারজান, তারপর ইজানের দিকে তাকিয়ে বলল, “স্যরি, সায়মা একটু বেশি কথা বলে”

“আ-হ্যাঁ! সেরকমই মনে হল” নিজের গলার স্বর যেন খুঁজে পেল ইজান। কিন্তু এরপরে আর কী বলবে খুঁজে পাচ্ছে না। প্ল্যান তো করেছিল অনেক কিছুই বলার। কিন্তু কল্পনার দৃশ্যপটের পরিবর্তন আর সায়মার বাক্য ঝড়ের তোপে পড়ে সেগুলো সব যেন একসাথে উড়ে গেছে। মারজান নিজেও চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ফোনের আলোটা না থাকার কারণে রাতের অন্ধকার ঘিরে ধরেছে ওদের। রাস্তার পাশের হলুদ বাতি পেরোতে পারেনি এতদূরের পথ। ঘরের আলোটাও ভেদ করতে পারেনি ভারী পর্দার দেয়াল। তাই অন্ধকার দূর করতে মেঘের আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এল চাঁদমামা। জোৎস্নার নীলচে রূপালী আলোয় ভেসে গেল ওরা। সেখানেও বাধা, গ্রীলে জড়ানো লতাপাতা চরম বেয়াদবের মত চাঁদের আলোর কিছুটা চুরি করে নিচ্ছে। পরিবেশটা আরও একটু আনরোমান্টিক করতেই যেন কানের কাছে মশা ভনভন করে উঠল, হাত দিয়ে সেটাকে মারার চেষ্টা করল ইজান।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here