মোহ মুক্তি ~ ৩ লেখা : Azyah(সূচনা)

0
702

মোহ মুক্তি ~ ৩
লেখা : Azyah(সূচনা)

চোখের পলকে সাতদিন কেটে গেছে।সময় যায়,সময় আসে। অপরিবর্তিত রয়ে যায় কিছু জিনিস।অরণ্যের দিনকাল এখন বিষণ্ণ। অফিসের ধকল শেষে বাড়ি গিয়ে শান্তিটুকু পায় না।ইচ্ছে করে এখন পুরোটা সময় অফিসে কাটিয়ে দিতে।সেই সৌভাগ্যটাও তার নেই।নিজের রাগ,ক্ষোভ বাইকের গতির উপর ঢেলে দিলো।দ্রুত বেগে ছুটতে ছুটতে বাড়ি এসে গেছে।আজ জলদিই ফিরেছে।বাইক পার্কিংয়ে রেখে আনমনা হয়ে লিফটে উঠে।দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বিষাদময় নিঃশ্বাস ছেড়ে কলিং বেল চাপলো।কয়েকবার বেল চেপে লাভ হয়নি।দরজা খুলছে না কেউ।মিনিট পাঁচেক পর রেহানা খালা দরজা খুলে দিলেন।তাকে নতুন রাখা হয়েছে।ঘরের টুকটাক কাজে সাহায্যের জন্য।এইতো চারপাঁচ দিন হলো এসেছে সে। মধ্যবয়স্ক একজন মহিলা।

ঘরে প্রবেশ করেই চোখ ছানাবড়া অরণ্যের।সম্পূর্ণ ঘরে কাগজের ছড়াছড়ি। কানে হেডফোন গুজে আকা আকি করে যাচ্ছে সন্ধ্যা।কিছু রং সাদা টাইলসের ফ্লোরেও পড়েছে।অফিস থেকে ক্লান্ত ফিরে এসব দেখে চটে যায়।মেয়েটার কোনোভাবেই তার সহ্য হয়না।ইচ্ছে হয় অনেক ধমকে দিতে,রাগ দেখাতে।নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা কাজে আসেনি।বরাবরের মতোন চেচিয়ে উঠলো,

“আমার ঘরের কি অবস্থা করেছেন আপনি?”

হুট করে অরণ্যের বজ্রকন্ঠ হেডফোন ভেদ করে সন্ধ্যার কানে গিয়ে পৌছায়। আতকে উঠলো কিছু মুহূর্তের জন্য।দ্রুত কান থেকে হেডফোন খুলে বললো,

“আপনি এই সময়?”

“কেনো আসতে পারি না?”

“না সেটা বলিনি। আপনিতো সন্ধায় আসেন”

“আমার বাড়ি আমি যখন ইচ্ছে আসবো।”

“সেটাতো অবশ্যই।”

“এগুলো কি করেছেন আপনি?রং,কাগজ দিয়ে?আপনার কাহিনী আমি বুঝি না।কখনো ঘর গোছান আবার এলোমেলো করেন। পেয়েছেনটা কি?”

“পেইন্টিং এর শখ আছে আমার তাই আরকি করছিলাম।আমি এখনই পরিষ্কার করে দিচ্ছি।”

সন্ধ্যা সব কাগজ তুলে নেয়।অরণ্য তার সামনে দাড়িয়ে।মুখ খিচে আছে।নিঃশব্দে সব গুছিয়ে বেরিয়ে যেতে চাইলে অরণ্য থামায় তাকে।প্রশ্ন করে,

“এগুলো বাসায় ছিল না। কোথায় পেয়েছেন?”

“নিচের স্টেশনারি থেকে এনেছি”

“টাকা পেলেন কোথায়?”

“আমার টাকা দিয়ে এনেছি”

“আপনার টাকা আসলো কিভাবে?”

“ছিলো”

বলে বেরিয়ে যায় সন্ধ্যা।তার সাথে যত কথা কম বল যায় তত ভালো।তাদের উভয়ের জন্যই মঙ্গল। অন্তত কেউই বিরক্ত হয়না। সন্ধ্যাতো হয়ই না। অরন্যও শান্ত থাকে।টাকা আসলো কোথা থেকে সেই ভাবনা বাদ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় পা পড়তেই ঘটলো আরো এক কাণ্ড। টবে পা লেগেছে অরণ্যের।সামান্য ব্যাথা পায় পায়ে।এই টবটা এখানে ছিলো না।বরং কোনো টবই ছিলো না।পেছন ফিরে সন্ধ্যাকে ঘরে আসতে দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে উঠলো,

“আপনাকে বারান্দায় গাছ লাগানোর অনুমতি দিয়েছি?”

“নাহ” মাথা নামিয়ে উত্তর দিলো সন্ধ্যা।

“তাহলে?”

“সরিয়ে নিচ্ছি।”

দ্রুত পায়ে বারান্দায় এগিয়ে গেলো।ভারী ফুলের টব তুলেছে দূর্বল হাতে।নিয়ে আসার সময় সাহায্য করেছিল রেহানা খালা।অতি কষ্টে তুলে আনার পর বিপদ ঘটলো ঘরে।হাত ফসকে টব পড়ে পুরো ঘরে ভেজা মাটিতে ছড়িয়ে গেছে।এই দৃশ্যে অরণ্য বললো,

“এক্সাকটলি!আপনাকে দিয়ে কোনোকাজ ঠিকমতো হবে সেটা আমি আশাও কেনো করি? ইউ আর টোটালি এ মেস!”

বিন্দুবিন্দু ঘাম জমেছে কপালে। অত্যাধিক যন্ত্রণায় কাতর হতে নিজেকে আটকাচ্ছে।কেপে উঠছে শরীর বারবার। টবটি সরাসরি সন্ধ্যার পায়ের উপর পড়েছে।চোখ মুখ শক্ত করে কোনমতে সবটা তুলে বেরিয়ে গেলো।রেহানা খালা এসে বাকিটা পরিষ্কার করে দিয়ে গেছেন।

রেহানা খালা সন্ধ্যার পায়ের দিকে চেয়ে চমকে উঠলেন।হাত ধরে বললেন, “একি!আপনার আঙ্গুলের নখ দেখি পুরো থেঁতলে গেছে!”

“হুম!”

“জলদি ব্যান্ডেজ করেন।ওষুধ লাগান।”

কাতর কণ্ঠে সন্ধ্যা বলে উঠলো, “খালা নিচে মেডিসিন শপ আছে।আমাকে একটু নিয়ে যাবেন?”

“হ্যা হ্যা চলেন।”

__

“আমি জাস্ট নিতে পারছি না আবিদ।এই মেয়েটা আমাকে একদিন শ্বাসরুদ্ধ করে মেরেই ফেলবে।এতটা বিরক্ত কেনো লাগে তাকে বলতো?একদমই সহ্য হয় না”

ছাদে দাঁড়িয়ে একের পর এক সিগারেট ফুকে যাচ্ছে অরণ্য।মাথায় রক্ত চড়ে আছে।সন্ধ্যা নামটা আর মুখটা দিনদিন বিষের মতন রক্তে মিশে যাচ্ছে।নিঃশেষ করে দিচ্ছে অরণ্যকে।মাত্র অল্প কয়টাদিন হয়েছে।সারাজীবন কিভাবে কাটাবে?

আবিদ অরণ্যের কথার জবাবে বললো, “সহ্য হয় না কারণ সে দেখতে সুন্দর না”

উত্তর দিলো না অরণ্য।কপাল কুঁচকে চুপ হয়ে আছে।চোখ নামিয়ে।আবিদ শব্দ করে হেসে উঠে,

“কি? একটু গায়ে লেগেছে না?তুই এতটা জাজমেন্টাল ভাই কি বলবো। যাই হোক তোর লাইফ।সহ্য করতে না পারলে ডিভোর্স দিয়ে দে।বিয়ে করেছিস মার ইচ্ছায়।ছেড়ে দিবি নিজের ইচ্ছায়।দুজনের ইচ্ছাই পুরন হলো।”

“হ্যা আমি জাজমেন্টাল।কারণ সে যে আমার বউ আমার মনেই হয় না।কোনো মায়াই হয় না তাকে দেখে।রাগ হয়।রাগ!”

“ঠিক আছে।মানলাম তোর কথা।ছেড়ে দে ভাই।তোর পছন্দ না বলে তুই অন্য মেয়েকে ঘরে এনে কষ্ট দিবি।এটাও তো ঠিক না তাইনা?”

অরণ্য গলা উচিয়ে বলল, “কষ্ট?আমার মনে হয়না সে কষ্টও পায়।তার মধ্যে আমি রাগ,কষ্ট,অভিমান কোনোটাই এই পর্যন্ত দেখিনি। শি ইজ সাচ এ রোবট।”

“তুই কি রোবট বউ বিয়ে করলি নাকি অরণ্য?ভাই ভালোমত অবসার্ভ করিসতো সে আসলেই মানুষ কিনা।মানুষ হলেতো ইমোশন থাকার কথা”

আবিদের মজা করে কথা বলা বুঝেছে অরন্য।মন মেজাজ এমনেতেই ভালো থাকে না।এরমধ্যে ফাজলামো। সহ্য সীমানার বাহিরে।ফোন কেটে সিগারেট ফেলে দেয়।পা দিয়ে পিষে নিচে পা বাড়ালো।ঘরে ঢুকেই দেখে সন্ধ্যা টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে।ঘড়িতে রাত সাড়ে দশটা।ডিনার টাইম। বিনাবাক্যে এসে টেবিলে বসলো সে।চুপচাপ প্লেট এগিয়ে দিয়ে চলে যায়।

হুট করে অরণ্য বললো, “দাড়ান”

সন্ধ্যা সামান্য পা খুঁড়িয়ে এসে বললো, “জ্বি?”

“আপনার পায়ে কি হয়েছে?ব্যান্ডেজ কেনো?”

“এটা? টব পড়েছিল।সেটাই”

“টব?”

“জ্বি?”

“ব্যান্ডেজ করলেন কখন?”

“বিকেলেই করেছি”

আরো একটু ঘুরে তাকালো অরণ্য।পায়ের দিকে চোখ পড়েছে।অনেকাংশ ব্যান্ডেজ করা।অথচ সে জানেই না এতবড় কান্ড ঘটে গেছে।অবাক সুরে প্রশ্ন করলো,

“কিভাবে করলেন ব্যান্ডেজ? কার সাথে গিয়েছেন?টাকা কোথায় পেলেন?”

“রেহানা খালার সাথে নিচের মেডিসিন শপটায় গিয়েছিলাম।আর টাকা ছিলো আমার কাছে”

“নিজের বাসা থেকে টাকা আনিয়েছেন?নাহলে আপনি টাকা পাবেন কোথায়?এই কয়দিনে ঘরের বাহিরে যেতে দেখিনি।ব্যান্ডেজ করালেন,এতসব আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটের জিনিস এনেছেন,ফুলের টবও এনেছেন।”

“বাড়ি থেকে আনাইনি।আমার নিজের টাকা এগুলো। আমি একটা ছোটখাটো কোম্পানিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কাজ করি।সেলারি পেয়েছি আজ তাই এগুলো কিনে আনলাম।”

সন্ধ্যাকে নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই।ভাবতেও চায় না অরণ্য।কিন্তু তার কথা বলার ভঙ্গি ভীষণ ভাবায় তাকে।সে মনে করেছিলো মেয়েটি এড়িয়ে যাবে।ব্যথায় কাতরে উঠবে। মিথ্যে বলবে।অথচ পানির মত সচ্ছ, স্পষ্ট সত্য বলে দিলো অনায়াসে।পলকহীন চোখ আর প্রতিক্রিয়াহীন মুখমণ্ডল। রহস্যের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিয়ে যায়।কিছুক্ষন তার যাওয়ার পানে চেয়ে পূনরায় খাবারে মনোযোগী হয় অরণ্য।

__

পরদিন,

উড়ে এসে জুড়ে বসার মতন চলে এসেছে সায়মা।সন্ধ্যার ছোটবেলার বন্ধু।দরজা খুলে তাকে দেখেই ভুত দেখার মতন চমকে উঠলো।মুখে বিশাল হাসির রেখা টেনে দাড়িয়ে সে। দুহাতে দুটো ব্যাগ।কোনো কথা না বলে জড়িয়ে ধরলো সন্ধ্যাকে। উৎসুকতার সাথে।সায়মাকে দেখে খুশি হলেও মনে ভয় নিয়ে আছে সন্ধ্যা।অরণ্যের অফিস থেকে ফেরার সময় হয়েছে।এসে যদি চেঁচামেচি করে তাহলে হয়তো তাদের সম্পর্কের সত্যটা সায়মা জেনে যাবে। মিথ্যে হাসির রেখা নিজের ঠোঁটেও টেনে নিলো।হাত ধরে ঘরে নিয়ে এসেছে সায়মাকে।

সায়মা বললো, “মাত্র বিয়ে করে মাত্রই ভুলে গেলি।বাকি দিনতো আছেই পড়ে!”

“এমন কিছুই নারে।আসলে নতুন জায়গা,সবকিছু নতুন।বুঝতে বুঝতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক”

“হুম বুঝি বুঝি।”

আবারো কলিং বেল বেজে উঠে। নির্ঘাত অরণ্য এসেছে। ঘাবড়ে উঠলো সন্ধ্যা।দ্রুত পা বাড়িয়ে দরজা খুলে অত্যন্ত নিচু সুরে আড়ালে বলে উঠলো,

“প্লিজ রাগারাগি করবেন না আজকে।আমার বান্ধুবি না জানিয়েই চলে এসেছে।আপনার কোনকিছুতে রাগ উঠলে পরে বকে দিয়েন আমাকে”

এক নিঃশ্বাসে চোখে চোখ রেখে বলে যাচ্ছে সন্ধ্যা।ঘাবড়ে অনেকটা কাছাকাছি দাড়িয়ে অরণ্যের।হয়তো খেয়াল করেনি।কথা খুঁজে পেলো না অরণ্য।জবাবের আশায় চোখ গোলগোল করে চেয়ে আছে সন্ধ্যা।ভাবছে হয়তো এখনই বকে দিবে।মাথা নামিয়ে নেয় অরন্য।পাশ ফিরে ঘরে প্রবেশ করলো। সায়মাকে সালাম জানিয়ে বেডরুমে চলে যায়।

“ভাইয়ার সাথে দিনকাল কেমন যায় তোর? হানিমুনে যাচ্ছিস কবে?”

“ভালোই যায় দিনকাল।” স্মিথ হেসে উত্তর দিলো সন্ধ্যা।

কথায় কথায় সায়মা জিজ্ঞেস করে বসে, “ভাইয়া তোকে বিয়ের রাতে কি গিফট দিলো সেটা বললি না?”

সায়মার কথাটি অরণ্যের কান অব্দি পৌঁছেছে।বসার ঘর আর বেডরুম একই পাশে হওয়ায় সামান্য উচ্চস্বরে কেউ কথা বললে বিনাবাক্যে শোনা যায়।অন্যদিকে দ্বিধায় পরে গেছে সন্ধ্যা।কি বলবে?অরণ্যের সাথে তার সম্পর্কটাই ঠিক নেই।সেখানে গিফট?মাথা খাটিয়ে শাশুড়ি মায়ের দেওয়া চেইন দেখিয়ে বললো,

“এটা দিয়েছেন”

“বাহ!বেশ সুন্দরতো”

“ভাইয়া তোকে অনেক ভালোবাসে তাই না?”

সায়মা বারবার সন্ধ্যাকে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছে।হয়তো তার কাছে এসব স্বাভাবিক প্রশ্ন হলেও সন্ধ্যার কাছে মোটেও নয়।উত্তর নেই যে এই প্রশ্নের।আছে তবে সেটা সায়মার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও মনে হতে পারে।এই প্রশ্নে অরণ্যের উৎসুকতা বেড়ে গেলো।উঠে দাড়িয়ে কান পেতেছে দরজার পাশে।কি উত্তর দিবে সন্ধ্যা?জানার প্রগাঢ় ইচ্ছে।

কিছু সময়ের বিরতি নিয়ে সন্ধ্যা মুখ খুলে, “স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে ভালোবাসা থাকাটা স্বাভাবিক না? তুইও কিসব প্রশ্ন করিস।তুই বল কেমন আছিস?”

“আমি ভালো আছি।সেদিন এক বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম সবাই।তোকে বেশ মিস করেছি”

“কেনো?”

“তুইতো কিছু খেতেই চাস না।বিয়ে বাড়ি নাম শুনলে তুই সবসময় কত একসাইটেড থাকতি।কারণ সেখানে তোর ফেভারিট খাবার করা হতো।”

“হ্যা।আমিও অনেকদিন কোনো দাওয়াত খাই না।”

“নিজের বিয়ে খেয়েছিস না?” হাসতে হাসতে বললো সায়মা।

“সেদিন অনেক নার্ভাস ছিলাম তাই খেতে পারিনি”

আলাপের প্রসঙ্গ অন্যদিকে ঘুরে গেলে অরন্যও সরে দাঁড়ায়।এতখন কান পেতে সবটা শুনেছে।এমন উত্তর আশা করেনি সন্ধ্যার কাছ থেকে।ভেবেই নিয়েছিল অরণ্যের নামে বদনাম করবে।সত্যিটা বলে দিবে।অথচ তেমন কিছুই করেনি।অত্যন্ত সুন্দরভাবে সামলে নিয়েছে পরিস্থিতি। নিজের মান সম্মান বেচে যাওয়ায় বেশ খুশিই হয় অরণ্য।হাসি মুখে বিছনায় গা এলিয়ে দেয়। আকষ্মিক মুখের হাসিটা উড়ে গেলো।মনে ছেয়ে গেল কালো মেঘের ঘনঘটা।আজ যে বিবেক জাগ্রত হয়েছে।অল্প সময়ের মধ্যে অরণ্যকে কঠিন প্রশ্ন করে বসেছে,

“এতটা স্বার্থপর কেনো তুই?যখন প্রশ্ন তোর সম্মানের উপর এসে দাঁড়ালো যখন ভয় পেয়ে গেলি।অথচ একটি মেয়েকে বিনা দোষে অপমান করে যাচ্ছিস বিয়ের পর থেকে।কি দোষ তার?কেউ নিজেকে অসুন্দর, কুৎসিত রূপে দেখতে চায় না।নিজেকে সে নিজে সৃষ্টি করেনি।কিসের এত অহংকার তোর?সে তোকে জ্বালাতে আসে না,বিরক্ত করতে আসেনা।নিজের মতন থাকে।তারপরও কেনো আগ বাড়িয়ে অযথা মনে আঘাত করিস তার?”

অরণ্য তার বিবেকের কাছে এভাবে ধরা খেয়ে যাবে ভাবেনি। ঠোট কামড়ে অনুশোচনাবোধটুকুকে উপলদ্ধি করছে। মাঝেমধ্যে মানুষ এতটা স্বার্থপর হয়ে উঠে।আশপাশ কোনোটাই বাছ বিচার করেনা। সায়মাকে বিদায় দিয়ে ঘরে ফিরলো সন্ধ্যা।নিজের ডায়রিটা হাতে নিয়ে বেরোতে নিলে অরণ্য বলে,

“শুনুন”

“জ্বি?”

“সরি”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here