মোহ মুক্তি ~ ৫ লেখা : Azyah(সূচনা)

0
719

মোহ মুক্তি ~ ৫
লেখা : Azyah(সূচনা)

একটা উক্তি আছে সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।সত্য! চিরন্তন সত্য।তিনটা দিন পেরিয়ে গেছে।ভরা সায়াহ্নে টংয়ের দোকানে বসে সিগারেট জ্বালায় আবিদ আর অরণ্য। ভাবতেই অবাক লাগে এই তিনদিনে একটাবার সন্ধ্যা অরণ্যের মুখোমুখি হয়নি।সেই ব্যাপারেই অভিযোগের সুরে কথা বলছে অরণ্য।এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবাক আবিদ।সেইতো চায় না সন্ধ্যা তার জীবনে কোনো ক্ষেত্রে বাধা হয়ে থাকুক।

“তুই আমাকে বলছিস একই বাড়িতে থেকে তুই তোর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলকে একটিবারের জন্য দেখিস নি?”

সিগারেটে টান দিয়ে অরণ্য বললো, “আমার মনে হয় রাগ দেখাচ্ছে।আমি সেদিন বলেছিলাম আমাকে একা থাকতে দিতে”

“রাগ দেখাচ্ছে না।তুই একা থাকতে চেয়েছিস তোকে একা ছেড়ে দিয়েছে।তুই তোর বউয়ের যেমন বর্ণনা দিলি সেদিন।সে রেগে থাকার পাত্রী নয়”

তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে অরণ্য উত্তর দেয়, “ছায়াটাও পড়তে দেয়না আজকাল নিজের।কখন আসে,কখন যায় তাও জানি না।গতকাল রাতে ঘুমের ঘোরে হালকা অবছায়া দেখেছিলাম।এক কোনায় হয়তো কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলো। ব্যাস এতটুকুই!”

আবিদ হাসলো। ভ্রু উচিয়ে অরণ্যের পানে চেয়ে বলে, “তুই তাকে দেখতে চাচ্ছিস?”

“মোটেও না।আমি শুধু জানতে চাচ্ছি এমন আড়ালে যাওয়ার কারন।দূরে দূরে কি বোঝাতে চাচ্ছে?আমি তাকে মিস করবো?সম্পর্ক স্বাভাবিক করবো?”

“নারে সে এমন কিছুই ভাবছে না।বরং তুই বেশি ভাবছিস।আজ সকাল থেকে নাহয় দশবার আমাকে এই সন্ধ্যা মিস্ট্রি সলভ করার জন্য উসখুস করেছিস।”

অর্ধ খাওয়া সিগারেট ফেলে উঠে দাড়ায় অরণ্য।কাপড় ঝাড়া দিয়ে ব্যাগ কাধে চেপে নিলো।বললো,

“ঠিকই বলেছিস।বেশি বেশি ভাবছি।তাকে নিয়ে ভেবে নিজের মূল্যবান সময়ের অপচয় মোটেও ঠিক হবে না”

বাইকে চেপে বাড়ির দিকে রওনা হতেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নেমেছে।একহাতে বাইক চেপে অন্য হাতে হেলমেট এর গ্লাসটা তুলে দেয় অরণ্য।চোখে মুখে বৃষ্টির ছোঁয়া চায়। দ্রুত বেগে চলে যাওয়া বাইকে পানির ছিটে আছড়ে পড়ছে। চারিপাশে অন্ধকারে জ্বলে থাকা ল্যাম্প পোস্ট। শীতল অনুভব করছে সে।অনেকদিন পর যেনো একরাশ ভালোলাগা মনের কোনে উকিঝুকি দিলো। নীল রঙের শার্টটিও মোটামুটি ভেজা।ইচ্ছে জাগে যদি এই পথ শেষ না হতো।এই বৃষ্টিময় আঁধারে চিরকাল রয়ে যেতে পারতো?

অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে অরণ্য।জ্যামে আর লম্বা রাস্তা বেছে নিয়ে।সামান্য বৃষ্টি যে প্রবলবেগে ঝড়তে শুরু করবে সেকি জানতো?তবে মনে একরাশ প্রশান্তি।এক সুন্দরতম সন্ধ্যা কাটিয়ে এসেছে।একটু ভিজলে কিই বা হয়? বড়জোর ঠান্ডা লাগবে।সেটা ওষুধে সেরে যাবে।কাকভেজা হয়ে ঘরে ঢুকে।মাত্রই রেহানা খালা দরজা খুলে দিলো।টেবিলে চা রেখে গেছে সেটাও জানিয়ে দিয়ে গেলো।অরণ্য সরাসরি রুমে গিয়েছে।ভেজা কাপড় ওয়াশরুমে ফেলে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে এসে বসে।গরম গরম চা খাবে।এমন একটা ওয়েদারে চা না হলে চলে নাকি?যদিও বাহির থেকে খেয়ে এসেছে।তারপরও!চায়ের কাপ হাতে দিয়ে হাঁটছে।হাটতে হাটতে চোখ গেলো কোনার রুমটায়।বাটি জ্বলছে।পাশের জানালাটা খোলা।দমকা হাওয়ায় পর্দা উড়ে চলেছে। একবার ভাবলো।অবশ্যই সন্ধ্যা সেই ঘরটায়। ভাবনার মধ্যেই পা চলতে শুরু করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলো। পুরোনো এক বই বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে সে।সামান্য এগিয়ে দেখা গেলো বেশ ভালই গভীর তন্দ্রায় আছে। ফ্যাকাশে শ্যাম চেহারায় চুলগুলো এলোমেলো লেপ্টে। বাম দিকের জানালার বদৌলতে বৃষ্টির ছিটে চোখেমুখেও ছড়িয়ে।তার ঠিক ডান পাশে অরণ্যের চোখ গেলে সন্ধ্যার ফোনের দিকে নজর যায়।ফোনটা এখনও অন করা।খুব একটা দূরে না হওয়ায় মোটামুটি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।মুহুর্তেই চোখ গেড়ে যায় মোবাইল স্ক্রিনে। অনিচ্ছায় তাকিয়ে এতবড় একটা সত্য জানতে পারবে কোনোদিন ভাবেনি। আজ বোধহয় সন্ধ্যার সত্যিটা নিজ থেকে ধরা দিবে বলেই অরণ্যকে এখানে টেনে এনেছে।

ঠিক তখনই বৃষ্টির ফোঁটা প্রবল হলো। আছড়ে পড়ছে সন্ধ্যার মুখে।ঘুমটা আলগা হয়ে যায়।সামান্য চোখ খুলতেই আবছা অরণ্যের অবয়ব দেখে একলাফে উঠে বসে। হচকচিয়ে প্রশ্ন করে,

“আপনি?”

মুখ শক্ত করে দাড়িয়ে আছে অরণ্য।চোখদ্বয় নামিয়ে।হাতে।থাকা অর্ধ খাওয়া চা ঠান্ডা পানি হয়ে গেছে।ভাবসাব সন্ধ্যার বোধগম্যতার বাহিরে।কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে সন্ধ্যা আবারো প্রশ্ন করলো,

“আপনার কিছু লাগবে?”

“নাহ!” বলে অরণ্য বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।

__

গভীর তন্দ্রায় নিমগ্ন অরণ্য।তার ঘুমের পরপরই ঘরে এসে শুয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।অরণ্যের দিকে একবার চেয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয় সন্ধ্যা।ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে রাত তিনটায়। গোঙ্গানোর শব্দে ঘুম হালকা হয়ে আসলো।এমনেতেই সন্ধ্যার ঘুম পাতলা।আওয়াজটা ঠিক তার পেছন থেকে আসছে।পেছন ফিরে তাকায়।অন্ধকারে কিছু দেখা না গেলেও শব্দটা অরণ্যের কাছ থেকেই আসছে।পরপর আওয়াজ আসলো,

“এক..টু পানি খাবো”

অরণ্যের কন্ঠস্বর ভাঙ্গা। আধো আধো কথা বলছে। নির্ঘাত কোনো সমস্যা!নাহয় সে সারাক্ষণই রেগে কথা বলে সন্ধ্যার সাথে।উঠে লাইট জ্বালিয়ে দেয়।অরণ্যকে বিছানায় কুকড়ে বিড়বিড় করতে দেখা যাচ্ছে।একগ্লাস পানি এনে বললো,

“এই নিন পানি”

সন্ধ্যার আওয়াজে চোখ খুলে অরণ্য।সবকিছু চোখের সামনে যেনো ঝাপসা।পানির গ্লাসটা আবছা দেখে হাত বাড়ায়।সন্ধ্যা স্বাভাবিক সুরে প্রশ্ন করে,

“আপনি অসুস্থ?”

জ্বরে কাপতে থাকা অরণ্য নিজের গায়ে নিজে হাত বুলায়।আগুন গরম হয়ে আছে শরীর।আজ বৃষ্টিটায় না ভিজলেই পারতো।তার এমন কাজে নিজের ব্যাগ থেকে থার্মোমিটার এনে এগিয়ে দিলো।আজ অরণ্য রাগারাগির মুডে নেই। জ্বর মেপেছে ১০২ ডিগ্রি।আবার পা বাড়ালো সন্ধ্যা।জ্বরের ঔষধ অরণ্যের দিকে এগিয়ে দিয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়।অরণ্য ওষুধ খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিল সন্ধ্যা ফিরে আসে।হাতে রুমাল আর পানি নিয়ে।

বলে, “রুমালটা কপালে চেপে ঘুমিয়ে পড়েন।চোখের জ্বালাপোড়া কমে যাবে”

ভাঙ্গা কণ্ঠে অরণ্য প্রশ্ন করলো, “আপনি কিভাবে জানেন আমার চোখ জ্বালাপোড়া করছে?”

“জ্বর হলে অনেক সময় চোখ জ্বালাপোড়া করে।সেটাই আন্দাজ করলাম”

অতিরিক্ত অসুস্থ্যতার মধ্যেও সন্ধ্যার প্রতিক্রিয়া দেখতে ভুলেনি অরণ্য।অত্যন্ত রুষ্ঠ।স্বাভাবিক!সামনে থাকা মানুষের অসুস্থতা নিয়ে যেনো বিন্দু পরিমাণ চিন্তার ছাপ নেই তার মধ্যে।অথচ যত্ন করছে?আশ্চর্য্য! এই ভ্রমের সমাধান কি?

একটা জ্বরময় রাত কেটে সকাল হলো।জ্বর অনেকটা কম অনুভুত হলেও শরীরে একবিন্দু শক্তি নেই।চোখটা যেনো কেউ জোর করে আটকে রেখেছে।দেহটাকে মনে হচ্ছে ভঙ্গুর।কপালে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।নিজের সাথে যুদ্ধ করে নেত্রদ্বয় খুলেও নিলো।ডানপাশে ফিরে সন্ধ্যাকে দেখা গেলো।বসে ঘুমিয়ে আছে।তাদের দুজনের মধ্যে কাল রাতে জলপট্টি দেওয়ার জন্য আনা পানির পাত্রটা।কপালে রাখা রুমালটা এখনো ভেজা।বুঝতে বাকি নেই অরণ্যের সন্ধ্যাই রাত জেগে তাকে জলপট্টি দিয়েছে।

অরণ্য উঠে যেতে নিলে আকস্মিক সন্ধ্যা বলে উঠলো, “আপনি বসুন। কিছু দরকার হলে আমাকে বলতে পারেন?”

সামান্য চমকে পেছন ফিরে তাকায় অরণ্য। সন্ধ্যা জেগে?কখন উঠলো?নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করে বসলো,

“আপনি রাত জেগেছেন?”

“হ্যাঁ”

“কেনো?”

“আপনার জ্বর ছিলো তাই” সন্ধ্যার কাটকাট উত্তর।

দৃষ্টি নামিয়ে নেয় অরণ্য।হয়তো অনুশোচনা।প্রশ্ন করলো,

“কেনো?আপনার সাথে এতটা খারাপ ব্যবহার করা সত্ত্বেও?”

“যেহেতু আমি মানুষ আমার মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে তাই”

“তাহলে বলতে চাচ্ছেন আমার মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই?”

“আপনার মনুষ্যত্ব আপনার জেদের নিচে চাপা পড়ে আছে।”

কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না অরণ্য।এর বিরুদ্ধে কি বলবে?ভেবে দেখলে কথার গভীরতা অনেক।আর সত্য!উঠে দাড়ায়। ধীরেসুস্থে ওয়াশরুমের দিকে এগোয়। সন্ধ্যাও বেরিয়ে যায়।রেহানা খালা আসবেন।নাস্তা রেডি করে আবারো সেই কোনার ঘরটায় গিয়ে বসেছে।

রেহানা খালা এসে বললেন, “চা নাস্তা দিয়ে এসেছি স্যারকে।”

ঔষধ এগিয়ে দিয়ে সন্ধ্যা বললো,

“আচ্ছা।এই ওষুধটাও দিয়ে আসুন।”

“স্যার অসুস্থ?”

“জ্বি”

“আপনি যান ওনার কাছে তাহলে?আপনি না বউ হোন।আপনি ওনার সব কাজ আমারে দিয়া করান।কোনো সমস্যা নাকি?”

সন্ধ্যা চোখ নামিয়ে বললো, “খালা আপনি একজন ভালো মানুষ।আমি আপনাকে সম্মান করি।কিন্তু আমি চাই না আমার আর আপনার স্যারের মধ্যকার কোনোকিছুর গভীরে যান।এত ভাববেন না কোনোকিছু নিয়ে।আমার সাথে সময় কাটান।”

“জ্বি আচ্ছা।কিন্তু আপনি কি রাগ করছেন আমার উপর?”

“না খালা।আমি রাগ করি না।কখনোই না,কারো উপরই না”

___

“মানুষ মোম হলে গলে যায়,পাথর হলে ভেঙে যায়।”

হীন পেজ এর নতুন লেখা।ঔষধ নিয়ে ফোনের স্ক্রিনে চেয়ে আছে অরণ্য।তর্জনী আঙ্গুল ঠিক ঠোঁটের উপরে রেখে।এতবড় কাকতালীয় ঘটনা তার সাথে ঘটে যাবে কোনোদিন কল্পনা করেছিলো? যার লেখা প্রতি সন্ধ্যায় পড়া হতো সেই মানুষটা সরজমিনে তার সাথে।একঘর দুরত্বে অবস্থান করছে।রাত জেগে জ্বর কমিয়েছে।সারাদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কাল নিজের গাফিলতিতে সন্ধ্যা যদি ফোনটা অন রেখে না ঘুমোতো হয়তো কোনদিন জানা হতো না এই লেখাগুলোর মালিক আর কেউ না তারই বিবাহিত স্ত্রী সন্ধ্যা।আজ যেনো অরণ্য প্রতিক্রিয়াহীন।কিছু কি বলবে?জিজ্ঞাসা করবে সন্ধ্যাকে?করলে অবশ্য সন্ধ্যা সোজাসুজি সত্য উত্তর দিবে।কিন্তু তাদের মধ্যেকার দ্বিধা?সেটাও এড়ানো যায় না।

“স্যার খালায় মনে হয় কম খায় তাই না?এমনেই শুকনা। ভবিষ্যতে বাচ্চাকাচ্চা হইবো।এমন খাওয়ায় গাফিলতি করলে হয়?”

খুক খুক করে কেশে উঠলো অরণ্য।মাত্রই ভাত মুখে দিয়েছিল।রেহানা খালার কথা শুনে সেটা আর গলা দিয়ে নামলো না।

প্রশ্ন করলো, “মানে?”

“আপনি জানেন না?সারাদিন কিছু খায় না।দুপুরে ভাতটাও খাইতে দেখি না।চা,রুটি, বিস্কুট এগুলা খায়। এমনে হইলে স্বাস্থ্য হইবো কিভাবে?”

ইচ্ছে করেই রেহানা খালা অরন্যকে সন্ধ্যার খাওয়া দাওয়ার প্রতি অনীহার ব্যাপারটা জানিয়ে দিলেন।বুঝদার মহিলা তিনি।এখানে আসার পর থেকেই অনেককিছু লক্ষ করে যাচ্ছেন।সরাসরি বললে খারাপ দেখায়।তাই চতুরতার সাথে অরণ্যের কানে দিলেন ব্যাপারটি।আর দাড়াননি তিনি। বিদায় নিলেন।দরজা দিয়ে সোজা বেরিয়ে গেলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।অরণ্য এদিক ওদিক ফিরে দেখলো। নাহ! সন্ধ্যা নেই। আসবেও না।অনশন করছে।অরণ্য থেকে আড়ালে থাকার অনশন।

ঘন্টাখানেক ঘরের ভেতর পায়চারি করার পর অবশেষে মেসেজ করেই ফেললো।ভিন্ন নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলেছে অরণ্য।মোবাইল মুখের সামনে ধরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলো পেজটায় একটা মেসেজ দিবে কিনা?অবশেষে দিয়েছে।

“আপনার সাথে কথা বলা যাবে?”

হাটতে হাটতে পা ব্যথা হয়ে গেছে।এবার বিছানার কোনে বসে চোখ গাড়লো ফোনের স্ক্রিনে।একটি পরপর শুকনো ঢোক গিলছে।এতটা অস্থির কখনো লাগেনি। আজ কেনো?

“জ্বি?”

কয়েক মিনিট পর উত্তর আসায় পা তুলে বসেছে খাটে। দ্রুত উত্তর দিল,

“আপনার লেখাগুলো আমি প্রায়ই পড়ি।সুন্দর লিখেন আপনি।আমরা কি পরিচিত হতে পারি?”

“ধন্যবাদ।কিন্তু কেনো পরিচিত হতে চাচ্ছেন?”

“মানুষ মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারেনা?”

“পারে।তবে আপনি ছেলে না মেয়ে সেটা বললে ভালো হয়।আপনার আইডির নাম দেখে আইডেন্টিফাই করতে পারছি না আসলে।”

সরাসরি মিথ্যে বলে দেয় অরণ্য, “আমি মেয়ে”

“তাহলে পরিচিত হওয়া যায়”

“ছেলে হলে কি বিরাট সমস্যা হয়ে যেতো?”

“হয়তো”

নিজের উপর রাগ হচ্ছে অরণ্যের।এক ঘর থেকে আরেক ঘরে কথা বলতে ফেক আইডি এর সাহায্য নিতে হচ্ছে।নিজের কর্মকাণ্ডের উপর লজ্জিত এবং বিরক্ত।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here