মোহ মুক্তি ~ ৬
লেখা : Azyah(সূচনা)
“আপনি কি বিবাহিত?”
পরিচয়ের পরদিন খুবই ব্যক্তিগত এক প্রশ্ন আসলো আগন্তুক নামক ফেসবুক আইডি থেকে।সন্ধ্যা মাত্রই চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বসেছে বারান্দায়।
সত্যটাই বলে, “জ্বি”
“আপনার স্বামী কি করেন?”
“চাকরি”
“কিসের চাকরি?”
“জানি না”
“আজিব!নিজের স্বামী কি চাকরি করে সেটাই জানেন না?”
“জ্বি না”
“দুপুরের খাওয়া দাওয়া হয়েছে?”
“জ্বি না”
অফিসের চেয়ারে হেলান দিয়ে নিজের ব্যাপারে নিজেই ইনফরমেশন নিচ্ছে অরণ্য।নিজের বিরুদ্ধেই কাজগুলো করে যাচ্ছে সে।জানার ইচ্ছে জাগছে স্বাভাবিক মুখের পেছনে লুকিয়ে থাকা রহস্য।তাই বোধহয় এসব পাগলামি।কাজ ফেলে রেখে একের পর এক মেসেজ দিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যাকে।জানার চেষ্টা করছে অনেককিছু।অথচ সন্ধ্যা নাছোড়বান্দা।সব প্রশ্নের উত্তর দিলেও কোনোটাই পরিষ্কার না। তাছারাও রেহানা খালার কথার সত্যটা পেলো।দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে।দুপুরের খাবারের টাইম অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।অথচ সন্ধ্যা এখনও না খাওয়া।রাগ হলো অরণ্যের।ভাবলো তার ঘরে কি খাবারের অভাব?নাকি কেউ খাবারের উপর নিষেধজ্ঞা দিয়েছে?
সামনে বসে থাকা আবিদ অরণ্যের ভাবসাব না বুঝে প্রশ্ন করে বসে,
“কি সমস্যা তোর?এমন হাসফাস করছিস কেনো?”
মনোযোগ মোবাইলের দিকে রেখেই বললো, “কোনো সমস্যা না”
“তাহলে কাজ ফেলে মোবাইলের ভেতরে ঢুকে আছিস কেনো?”
“এখানেও একটা কাজ করছি”
“কাজটা কি অফিসের কাজ থেকে বেশি জরুরি?”
অরণ্য কাটকাট উত্তর দেয়, “হ্যা”
তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে আবিদ।অরণ্যের সাথে অনেক বছর এই অফিসে চাকরি করে। হারেহারে চেনে তাকে। নিশ্চয়ই কোনো কাজ ঠিকঠাক মতন হচ্ছে না তার।আর সেটা নিয়েই অস্থির হয়ে আছে সে।
আধঘন্টা আবিদকে সামনে বসিয়ে রেখে অরণ্য বলে উঠলো,”আজ জলদি বাড়ি যাবো।সামলাতে পারবি না এখানটা?”
“অফিস শেষ হতে এখনও দেড় ঘণ্টা বাকি”
“তো?আমাদের এতটুক পাওয়ারতো আছেই অফিসে যে আমরা যেকোনো সময় বেরিয়ে যেতে পারবো।তুই থাক আমি গেলাম”
__
দরজা রেহানা খালা খুলবেন এই ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত। কিছুক্ষন অপেক্ষার পর হলোও তাই।আজ বাড়িতে এসেই কোনার ঘরটায় উকি দিয়েছে।নাহ! সন্ধ্যা এখানে নেই। হাটতে হাটতে পুরো বাড়িটা ঘুরে দেখলো। কোথাও নেই। সবশেষে পা জোড়া থামলো নিজের রুমের বারান্দায় গিয়ে।কানে হেডফোন গুজে মাটিতে বসে আছে সন্ধ্যা। চক্ষুযুগল বন্ধ, পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে।পাশে আধ খাওয়া চায়ের কাপ।দেখে মনে হলো হয়তো কিছু অনুভব করছে।ভাবছে।ঘুমিয়ে গেলো নাতো বসে বসে?
কিছুক্ষন দাড়িয়ে রয়ে কেশে নিজের উপস্থিতি জানান দিলো অরণ্য।সঙ্গেসঙ্গে চোখ মেলে তাকায় সন্ধ্যা। ভ্রু কুঁচকে ধীর হিমশীতল কন্ঠে প্রশ্ন করে,
“আপনি?”
“হুম”
“এই সময়?”
সন্ধ্যা প্রশ্নটি করেই ভ্যাবাকচ্যাকা খেয়ে যায়।এই প্রশ্ন করা উচিত হয়নি।এবার উত্তর আসবে আমার বাড়ি আমি যখন ইচ্ছে তখন আসবো।
কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে অরণ্য উত্তর দেয়, “কাজ শেষ তাই চলে এসেছি।”
“ওহ।আপনি কি এখন চা খাবেন?”
“দেন”
সন্ধ্যা চা আনতে গেছে প্রায় অনেকক্ষন।আজ প্রথম অরণ্য সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষারত।সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে নিয়েই আগামীকাল দাওয়াতে যাবে।নিজের সিদ্ধান্তের উপর বারবার বিচার করেও সাথে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত করলো।সেই বিষয়েই জানিয়ে দিত।অথচ তার অপেক্ষারত মনকে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে দিলো।রেহানা খালা চা নিয়ে দরজায় দাড়িয়ে।চা টেবিলে রেখে চলে গেলে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে।তার আগেই বোঝা উচিত ছিলো সন্ধ্যা আসবে না।
দ্রুত চায়ের কাপ শেষ করেছে।খালি কাপ হাতে নিয়ে চলে গেলো কিচেনে।সেখানে গিয়ে সাক্ষী হয় এক ভিন্ন পরিস্থিতির।রেহানা খালার সাথে দাড়িয়ে হাসছে সন্ধ্যা। অরণ্যের অবচেতন মন বলে উঠলো এটাও সম্ভব? এতদিনে কখনো হাসতে দেখেনি সে সন্ধ্যাকে।অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।হাসিটা নিমিষেই উধাও হয়ে গেলো অরণ্যকে সেখানে উপস্থিত দেখে।সেখানে উপস্থিত একে ওপরের চোখাচোখি হলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় অরণ্য।
বলে, “ঠান্ডা পানি নিতে এসেছিলাম!”
রেহানা খালা বেরিয়ে আসেন সেখান থেকে।অরণ্য ঝটপট ফ্রিজ থেকে পানির বোতল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে।পেছনে রয়ে যায় একজোড়া অবাক হওয়া চোখ।
__
“খেতে আসুন”
অরণ্য ইদানিং অবাক করে সন্ধ্যাকে। ঘর গোছগাছ করতে করতে পেছন থেকে এমন একটা কথা ভীষণ অদ্ভুত।কেননা সেটা অরণ্য মোর্শেদ বলেছেন।
“আপনি খেয়ে নিন।আমি পড়ে খাবো”
ট্রাউজারের পকেটে হাত গুজে নেয় অরণ্য।কপাল কুঁচকে বলে উঠে,
“কি বোঝাতে চান আপনাকে খাবারের কষ্ট দেই আমি?নাকি আমার ঘরে খাবারের অভাব। অন্ন ত্যাগ করে কি বোঝাতে কি চাচ্ছেন?”
“আমি অন্ন ত্যাগ করিনি”
“তাহলে?খান না কেনো?শুনলাম সারাদিন ছাই ফাঁস খেতে থাকেন।নিজে থেকে এসব করবেন।দোষ এসে পড়বে আমার উপর।আপনার আর আমার দুজনের পরিবার ঝাঁপিয়ে পড়বে আমার উপর।এসব আমি একদম সহ্য করবো না বলে দিলাম”
“কেউই আপনাকে দোষ দিবে না।আমার পরিবারতো আরো আগে নয়।কেননা তারা আমার খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে অবগত।”
কোনো কথাই শুনলো না অরণ্য।জোরালো কণ্ঠে বলে উঠলো, “এসব আমি কিছু জানি না।আপনি খেতে আসুন”
“আচ্ছা আপনার শেষ হলে খেয়ে নিবো”
মুখ শক্ত করে অরণ্য আবার বলে, “আমার সামনে বসে খেলে জাত যাবে আপনার?”
আজ যেনো এক আশ্চর্যরকম রাত।অরণ্যের কথাবার্তার পরিবর্তন ভাবাচ্ছে সন্ধ্যাকে।নিজে থেকে একা থাকতে দিতে বলে এখন নিজেই সামনে বসে খেতে বলছে? বড়বড় চোখে অরণ্যের পানে বললো,
“আপনি নিজেই বলেছেন আপনি বাড়িতে থাকলে যেনো আপনাকে বিরক্ত না করি।একা থাকতে দেই।এখন আপনি বলছেন?”
“এত কথা পছন্দ হচ্ছে না আমার।চুপচাপ টেবিলে এসে বসে পড়ুন”
মুখ বরাবর চেয়ারে বসে ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছে সন্ধ্যা।মোটেও ইচ্ছে নেই তার খাওয়ার।অরণ্যের অযথা কথা শুনতে রাজি নয় বলেই খেতে বসেছে।খারাপ ব্যবহার আর কতই সহ্য করা যায়?
অরণ্য নিজের মতন খেতে খেতে বললো, “মা কল করেছিলো।আমার কাজিনের বিয়ে।আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছে”
দাওয়াতের কথা শুনতেই সন্ধ্যার মুখে নেমে এলো আঁধার। যতটুকু খাচ্ছিলো সেটাও থেমে যায়।পরিবার আর সায়মার সাথে অনেক দাওয়াতে যাওয়া হয়েছে তার।সব জায়গাতেই তার অভিজ্ঞতা বাজে।এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই যেখানে তার রং নিয়ে চর্চা হয়নি।ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে বললো,
“শুনেন রাগ করবেন না প্লিজ।আমি যেতে পারবো না আপনার সাথে।”
“কেনো?”
“এর পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে।আমি সোজাসুজি বলছি।কথা পেঁচানো আমার একদম পছন্দ নয়।অনুষ্ঠানে অনেক লোকজন আসবে।সবাই জানে আপনি নতুন বিয়ে করেছেন।সেই হিসাবে আপনার স্ত্রীকে দেখতে চাইবে অনেকে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু আমি তাদের আশায় যোগ্য হয়ে দাঁড়াতে পারবো না।আপনি অপমানিত হবেন। নানান লোকে নানান কথা বলবে।এর চেয়ে ভালো আমার না যাওয়া।সব সমস্যার সমাধান।”
অরণ্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই সন্ধ্যা পূনরায় বলে উঠলো,
“প্লিজ এটা নিয়ে কোনো জোর করবেন না।কিছু ব্যাপার প্রেকটিক্যালি ভাবতে হয়।” বলে উঠে যায় সন্ধ্যা।
__
সাই সাই করে চলছে বাইক।দুই ঘণ্টার রাস্তা।বাইকের গতি বলছে সময়ের আগেই পৌঁছে যাবে।অরণ্যের অনেক রাগের সাক্ষী তার বাইক।জেদ উঠলেই দ্রুত বেগে টানে।জুম্মার নামাজ শেষে ঘরেও যায়নি।সোজা বেরিয়ে পড়েছে মায়ের আবদার রাখতে।সাথে নেই সন্ধ্যা।আচ্ছা?অরণ্য যে রেগে আছে সেটা সন্ধ্যার কোনো ধারণা আছে?নেই হয়তো। কমিউনিটি সেন্টারে একা প্রবেশ করতেই বাবা মা সামনে এসে দাঁড়ায়।আশপাশ ভালোভাবে দেখে নিয়ে প্রশ্ন করে,
“বৌমা কোথায়?”
“আসেনি”
“কেনো?”
এত বিস্তারিত বলতে ইচ্ছুক নয় অরণ্য।মেজাজ তুঙ্গে। আবার সত্যটাও বলা যাবে না। সন্ধ্যাই তাকে এই মিথ্যেটা শিখিয়ে দিয়েছে।যেনো মন না ভাঙে কারোই।
“অসুস্থ ”
জাহানারা বেগম রেগে গিয়ে বললেন, “তুই অসুস্থ বউকে একা ফেলে রেখে এসেছিস?”
“মা তুমি কি চাও আমি চলে যাই?”
ছেলের কাছে হার মেনে ভেতরে চলে গেলো অরণ্য। পরিচিত সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন।তার স্ত্রী কোথায়? মিথ্যে উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত সে। রাগটা বেড়েই চলেছে।ভেবে নিলো ইচ্ছেমত বকে দিবে সন্ধ্যাকে বাড়ি গিয়ে।তার জন্য এত কথা আজ এখানে!খাবার টেবিলে সব ভাই বোনরা একসাথে। হাসি ঠাট্টায় মত্ত।একেকজন একেক কথা জুড়ে বসেছে।তার মধ্যেই অরণ্যও।মন ভালো করার চেষ্টায় তাদের মধ্যে যোগ দিলো।অনেকদিন পর দেখা।সবশেষে খাবার মুখে তুলতেই থেমে যায় অরণ্য।মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু একটি কথাই ঘুরছে।সেদিন সন্ধ্যার বান্ধুবি সায়মার মুখে শুনেছিল।বিয়ের খাবার দাবার নাকি ভীষণ পছন্দের তার।আরো একটি প্রশ্ন জাগলো মনে।সন্ধ্যা কি খেয়েছে? তারতো স্বভাব ভালো নয়। নির্ঘাত না খেয়ে বসে আছে।এক দৃষ্টিতে সামনের দিকে চেয়ে আছে অরণ্য।খাবারটা আর গলা দিয়ে নামলো না।কেনো নামেনি? এই উত্তর নিজের কাছেই চাচ্ছে সে।
না খেয়েই মা বাবার কাছে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে।এখানে থাকা সম্ভব না।থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে না।বড়জোর এক ঘন্টা সময় থেকেছে এখানটায়।সব ঠিক ছিলো।তবে এখন অস্থিরতারা তাড়না দিচ্ছে।সারা মস্তিষ্ক একটাই বাক্য আওড়িয়ে যাচ্ছে,
“অরণ্য তুই স্বার্থপর”
বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি রেস্তোরাঁয় বাইক থেমেছে।অনেকবার আবিদকে নিয়ে এখানে আসা।এখানকার কাচ্চি এই এরিয়াতে বিখ্যাত।খাবার প্যাক করাতে দিয়ে টেবিলে এসে বসলো।ফোন বের করে সেই আগন্তুক আইডিটাতে লগ ইন করেছে। একটা মেসেজ করে বসে,
“কেমন আছেন?”
অনেকটা সময় অপেক্ষা করিয়ে সন্ধ্যা উত্তর দেয়,
“আলহামদুলিল্লাহ”
“দুপুরে খেয়েছেন?”
“জ্বি”
“কি খেলেন?”
“এইতো নুডুলস”
রেস্টুরেন্টে বসে মেজাজ বিগড়ে গেলো অরণ্যের।দুপুর ভাত খাওয়ার সময়।এসব খাওয়ার নয়।নিজের রাগকে নিজের মধ্যে রেখেই বললো,
“দুপুরে কেউ এসব খায়?”
“আমি খাই”
বলেই গায়েব হয়ে যায় সন্ধ্যা।কয়েকটা মেসেজ দেওয়ার পরও তাকে পাওয়া গেলো না।কোনো উত্তর দিলো না সে। ইতিমধ্যে খাবার এসেছে।পার্সেল হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বাড়ির উদ্দেশে।
“এত দ্রুত চলে এলেন দাওয়াত থেকে?”
আজ রেহানা খালা ছুটিতে।দরজা সন্ধ্যাই খুলেছে।তার প্রশ্নের উত্তর না গিয়ে খাবারের প্যাকেট এগিয়ে দিলো।দিয়েই সোজা ঘরে চলে যায়।সন্ধ্যা টেবিলে রেখে চেয়ে আছে ঘরের দিকে। মিনিট দশেক অতিবাহিত করে ফিরে এসেছে অরণ্য।পাঞ্জাবি পাল্টে টি শার্ট পরে এসে বসলো টেবিলে।
বললো, “খেতে দিন”
সন্ধ্যা অবাক সুরে প্রশ্ন করে ফেলে, “আপনি খেয়ে আসেননি?”
“না”
“কেনো?”
অরণ্য সন্ধ্যার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকালো।সন্ধ্যা সঙ্গেসঙ্গে মাথা নিচু করে নেয়।খাবার বের করে প্লেটে সার্ভ করতে থাকলে অরণ্য বলে,
“সেখানে খেতে পারিনি। ক্ষিদে পেয়েছিলো তাই আসার সময় খাবার নিয়ে এসেছি।”
এই কথার বিপরীতে আর কোনো উত্তর দিলো না সন্ধ্যা।বেশি প্রশ্ন করলে রেগে যেতে পারেন।খাবার দিয়ে সরে যেতে চায়।বাঁধা দেয় অরণ্য।বলে,
“কই যান?খেতে বসুন!আপনার জন্য মা আমাকে কত বকেছে জানেন?”
“সরি।”
“এবার প্লেট নিয়ে দ্রুত খেয়ে নিন”
এসব খাবার সন্ধ্যার বেশ পছন্দের।বাড়িতে প্রতি শুক্রবার আয়োজন থাকতো তাদের।শখ করেই খেতো সে।আজ যেনো কপাল সাথ দিয়েছে তার।মনে মনে পছন্দের খাবার দেখে খুশি হলেও মুখে সেটা বুঝতে দেয়নি। নির্বিকার খেয়ে চলেছে।খাওয়ার মধ্যেই অরণ্য দেখে নিচ্ছে সন্ধ্যাকে।মুখে নেই কোনো বিষণ্ণতা। ঠোঁটের কোণে সামান্য হাসি ঝুলছে তার। অরণ্যও মুচকি হেসে দৃষ্টি নামিয়ে নিলো।
চলবে…