মোহ মুক্তি ~ ৭
লেখা : Azyah(সূচনা)
“আমার অফিসে প্রোগ্রাম আছে। এটা আপনার অ্যাটেন্ড করাটা জরুরী।”
অরণ্যের আওয়াজ ভেসে আসলো।কাপড় ভাজ করতে থাকা হাতগুলো থেমে যায়।পেছন ফিরে বললো,
“আপনি জানেন আমি যেতে চাই না।কেনো নিজেকে অপমানিত করতে চাচ্ছেন?”
“ইটস ইম্পর্ট্যান্ট।নাহয় আমি বলতাম না আপনাকে।এসব প্রোগ্রাম আট্যান্ড করতে হয় নিজের ভালোর জন্যই।”
সন্ধ্যা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।অরণ্য এখনও দরজার সামনে দাড়িয়ে।উত্তরের অপেক্ষায়। সন্ধ্যার মুখে সিদ্ধান্তহীনতার ছাপ দেখতে পেয়ে কিছুটা অধিকার খাটিয়ে অরণ্য বলে,
“কাল বিকেলে রেডি থাকবেন।”
আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ায় সন্ধ্যা।আজ বেগুনি রঙের এক ড্রেস পড়েছে।নিশ্চুপ আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বকে ভালো করে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখে নেয়।হাত সামান্য তুলে তাকালো হাতের দিকে। অজস্র দাগ! এলার্জির দাগ।কালো রঙের চামড়ায় দাগগুলো নিজেদের আলাদা এক স্থান দখল করে রেখেছে।তারপর সামান্য ঝুঁকে নিজের চোখের নিচের কালো দাগগুলো ভালোভাবে দেখে নেয়।বারবার ভাবতে থাকে।কিভাবে এই মুখ নিয়ে এত এত মানুষের সামনে যাবে?একা নিজের পরিচয়ে মানুষের কটু কথা শুনে অভ্যস্ত সে।কিন্তু অন্যের পরিচয়ে?অন্যের স্ত্রী হিসেবে?তার জন্য অন্য কেউ কেনো ভুগবে?
__
বিয়েতে পাওয়া সব রকমের সাজসজ্জার জিনিস খুলে বসেছে সন্ধ্যা।এগুলোর প্রয়োজন কোনোদিন পড়েনি তার।কোনোদিন সাজেওনি সে।তার কুৎসিত রূপকে ঢাকতে সব রকমের প্রসাধনী ব্যর্থ।চেষ্ঠা করেছিলো।হার মেনেছে।আর কখনো এসবে হাত লাগায়নি।বিয়েতেই নিয়ম রক্ষার জন্য শেষ সেজেছিল।আজ ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও সাঁজতে হবে।কোনোভাবেই অরণ্যকে হাসির পাত্র বানানো যাবে না তার কলিগদের কাছে।
অরণ্যের অনুপস্থিতিতে কালো রঙের একটি ড্রেস বের করে নেয় সন্ধ্যা।তার মতে কালো রঙে তার গায়ের রংটা উজ্জ্বল দেখায়।সারাক্ষণ বেধে রাখা চুলগুলোকে আজ মুক্ত করেছে। চিরশত্রু কাজলটাকেও পড়ে নেয় ভাসা বিশাল চোখদ্বয়ে।সামান্য মেকআপ!নিজেকে একটু সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।কপালে টিপ পরে পেছনে ঘুরতেই অরণ্যকে দাড়িয়ে থাকতে দেখতে পায়। টাই হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। চোখে চোখ পড়লেও অসস্তিতে চোখ নামিয়ে নেয় সন্ধ্যা।অথচ অরণ্য চেয়ে আছে নির্লজ্জের মতন।কোনোদিন সাঁজতে দেখেনি।দেখার সুযোগ হয়নি এটা একটা কারণ।আরেকটা কারণ হিসেবে জায়গা পায় সৌন্দর্য।যাকে তার রূপের কারণে এতদিন তাচ্ছিল্য করে এসেছে আজ তার দিকেই চোখ আটকে গেলো?তার সারা মুখশ্রী তার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করছে?
হুশ ফিরলো সন্ধ্যার কণ্ঠে, “আমি বেশি সাঁজতে চাইনি। এতটুক না করলে খারাপ দেখাবে”
চোখের পলক ফেলে অরণ্য বললো, “আপনাকে আমি কিছু বলেছি?”
“নাহ! এমন অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে ছিলেন তাই…”
“সাজ কম বা বেশি হয়নি।ঠিক আছে”
তৈরি হয়ে দুজনই নিচে নেমে এসেছে।অরণ্য গিয়েছে পার্কিং থেকে বাইক আনতে।বাইকের নাম শুনেই সন্ধ্যা অসস্তি বোধ করলো।অরণ্যের সাথে কোনোদিন একসাথে হাটা পর্যন্ত হয়নি।বাইকে চড়া অনেক দূরের ব্যাপার।বাইক বের করে সন্ধ্যার সামনে এসে দাড়ায়। হেলমেট এগিয়ে দিলে সন্ধ্যা বলে,
“বাইকে না গেলে হতো না?”
“আপনার জন্য এরোপ্লেন নামাবো নাকি?”
খানিকটা অপমানিত বোধ করলেও এখানে চুপ থেকে সময় নষ্ট করা যাবে না।তাই বললো,
“আমি আগে কখনো বাইকে উঠিনি।”
“মানুষের জীবনে সবকিছুর একটা প্রথম আছে।আপনার বাইকে ওঠার প্রথমও আজই।”
তর্ক করা সন্ধ্যার স্বভাবের বিপরীতে। শুধুই নিজের মতামতটা প্রকাশ করে।তাছাড়া আর কিছুই না। অগ্যতা হেলমেটটা পড়ে নেয়।কিন্তু ঠিকঠাক লক করতে পারছে না। যোদ্দোজেহেদ করে যাচ্ছে।
“কি সমস্যা?”
“হেলমেট না পড়লে হয় না?”
“পুলিশ চালান কেটে দিবে আর রিস্কও আছে।”
হাত বাড়িয়ে নিজে থেকেই লক করে দিলো অরণ্য। ভুলবশত থুতনিতে স্পর্শ লেগেছে। ফট করে দূরে সরে যায় সন্ধ্যা।চোখে মুখে বিরক্তিকর অন্ধকার নেমে এলো যেনো। অরণ্য সেটা ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করছে।ঠিক বুঝতে পেরেছে অনিচ্ছাকৃত স্পর্শটাও তার পছন্দ হয়নি।
নিচু স্বরে “সরি” বলে পূনরায় বাইক স্টার্ট করল।
গতি স্বাভাবিক।না ধীরে চলছে যান্ত্রিক বাইকটি না দ্রুতবেগে।আগে কোনদিন বাইকে চড়ার অভিজ্ঞতা না থাকার পরও সন্ধ্যা নিজেকে অনেকটা সংযত করে বসে। দূরত্ব বজায় রেখে।যেনো তার ছায়াটাও না পড়ে সামনে বসে থাকা মানুষের গায়ে।অরণ্যের বিষণ্ণ চোখ জোড়া সামনের রাস্তায় আবদ্ধ থাকলেও মস্তিষ্কে সন্ধ্যার সেই বিরক্তিকর চেহারা। সেটা ইচ্ছে করে স্পর্শ করেনি।সেটা সে নিজেও জানে। তারপরও মুখে এতটা অসস্তি দেখলো?
অফিসের ছাদেই গেট টু গ্যদার এর আয়োজন করা হয়েছে।পার্কিংয়ে অজস্র গাড়ি,বাইক পার্ক করা।বেশিরভাগ ছেলেদের পরনে কালো স্যুট।সাথে তাদের অর্ধাঙ্গিনী।স্বামীর সাথে মিলিয়ে তারাও কালো রঙে রাঙিয়েছে নিজেদের।বেশ মানাচ্ছে তাদেরকে। চারিদিকে সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি।অন্যদিকে বিষণ্ণতা গ্রাস করে নিচ্ছে সন্ধ্যাকে। চাঁদের মধ্যেও দাগ আছে।ছাদে এতএত স্মার্ট মানুষকে দেখে নিজেকে সেই চাঁদের মধ্যে দাগ বলে ভেবে নিলো।একে একে সবার সাথে দেখা করে অরণ্য।হেন্ড শ্যাক করে নেয়। সন্ধ্যাকে তার পাশে দেখে ভেবেই নিয়েছে অরণ্যের স্ত্রী।এগিয়ে আসা সকলের মুখে হাসি।হাসিটা কারো মন থেকে এসেছে,কারো তাচ্ছিল্যের।সবার শেষে লেট লতিফ আবিদ জামান এসে পৌঁছালো তার স্ত্রীকে নিয়ে।তার সাথেই রাফসান।পুরো অফিসে সেই একমাত্র অবিবাহিত।বাবাকে সাথে এনেছে নিজের কোম্পানি হিসেবে।
রাফসান অফিসের হাসিমুখ।তার কৌতুকপূর্ণ স্বভাবে অনেকেই মুগ্ধ।অফিসে তার নাম পড়েছে “জোকার”।অরণ্যের পাশে সন্ধ্যাকে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠলো,
“আপনি অরণ্য স্যারের ওয়াইফ?”
“জ্বি”
“স্যার আপনি কাজটা ঠিক করেননি!” অরণ্যের দিকে চেয়ে রাফসান বললো।
অরণ্য বিস্ময়ভরা চোখে রাফসানের দিকে চেয়ে বলে, “এইযে বিয়ে করে ফেললেন। দাওয়াততো দিলেনই না।আরো একটা বাজে কাজ করেছেন।”
অরণ্য প্রশ্ন করার সুযোগ পেলো না।ছেলের মতন বাবাও হাসি খুশি স্বভাবের। রাফসানের পিঠে চাপড় মেরে জবাইদুর সাহেব বললেন,
“তো করবে না বিয়ে?তোর মতন চিরকুমার থাকবে নাকি?”
রাফসান বললো, “আমার পছন্দের কাউকে পেলে না বিয়ে করবো বাবা”
“তোর পছন্দটা আজও জানলাম না।”
“আজ জানবে”
সবার চোখ যায় রাফসানের দিকে।বিশেষ করে জবাইদুর সাহেবের।ছেলে তার পছন্দ জানাতে যাচ্ছে।এরচেয়ে বড় আর দরকারি আলাপ কি হতে পারে?
রাফসান বললো, “অরণ্য স্যার আমাকে প্লিজ মারবেন না।কিন্তু আমার ঠিক ম্যাম এর মতন একজন চাই জীবনে। শ্যাম বর্ণের,সুন্দর ভাসমান চোখ আর অমায়িক মায়াবী চেহারা।ম্যাম আপনার কোনো বোন আছে?থাকলে বলেন বিয়ের প্রস্তাবটা এখনই দিয়ে দেই”
লজ্জায় পরে যায় সন্ধ্যা।মুখের উপরেতো দূরে থাক কেউ দূরে থেকেও তার প্রশংসা করেনি কখনো।এই তারিফের বিপরীতে কি প্রতিক্রিয়া দেবে?কোনোদিন এই রকমের পরিস্থিতিতে পড়েছে কিনা মনেও নেই।অন্যদিকে আবিদের নজর অরণ্যের দিকে।কপালের মধ্যিখানের চামড়া মাত্রারিক্ত কুচকানো তার।এত মানুষের ভিড়ে সেই একমাত্র অন্যমনস্ক।রাফসান হেসে হেসে কথা বলেই যাচ্ছে সন্ধ্যার সাথে।সন্ধ্যা বরাবরের মতোই চুপ। প্রতিক্রিয়াহীন!আবিদ সবার মধ্যে থেকে টেনে নিয়ে গেল অরণ্যকে।
একপাশে কোল্ড ড্রিঙ্ক এর গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো,
“মেয়েটার কপাল পুড়েছে।তার জন্য যে পারফেক্ট ছিলো সে একটু দেরি করে ফেলেছে আসতে।তাইতো তোর মতন বদনসিব এর কপালে এসে পড়ল!”
অরণ্যের নজর এখনও সামনের দিকে।আবিদের কথা শুনে আরচোখে চেয়ে বললো, “মানে?”
“তুই জানিস আমি সোজাসাপ্টা কথা বলি। রাফসান ছেলেটা তোর সো কল্ড বউয়ের কুৎসিত চেহারার পেছনের সৌন্দর্য খুঁজে বের করে ফেললো এক দেখায়।আর তুই এতদিন সাথে থেকেও সেটা পারিস নি।”
“এসব বলতে এনেছিস আমাকে এখানে?”
“নাহ এটা বলতে এনেছি তুই যে বর্ণনা দিয়েছিলি সন্ধ্যার।সে দেখতে এতোটাও খারাপ না।তোর চোখে সমস্যা! টক্সিক তুই”
বলে আবিদ সামনের দিকে হেঁটে চলে যায়।সে অবগত অরণ্যের রাগের ব্যাপারে।এক্ষনি রেগে যাবে।তাই গা জ্বালানো কথা বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছে।অপরদিকে রাফসানের কথাবার্তা শুনে হৃদয় অজান্তেই ছ্যাত করে উঠেছে।তার উপর কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে গেলো আবিদ।সব মিলিয়ে বিধ্বস্ত অরণ্য।
সবাই যারযার মতন ব্যস্ত।আশপাশে তাকিয়ে অরণ্যকে কোথাও দেখা গেলো না।একপাশে একা চেয়ার টেনে বসে পরে সন্ধ্যা।দেখছে সামনে কয়েক জোড়া কপোত কপোতীদেরকে।মানুষের মন! ইচ্ছেদের রাজত্ব সেখানে।সব ইচ্ছেরা পূরণ হয় না।তারপরও?তবে ইচ্ছের লাগাম টানা যায়। সন্ধ্যাও অবাধ্য ইচ্ছের লাগাম টেনে ফোন বের করে নেয় পার্স থেকে।হুট করে এক কাপ কফি এগিয়ে আসলো।মাথা তুলে তাকাতেই অরণ্য দাড়িয়ে।কফিটা হাতে দিয়ে পাশে চেয়ার টেনে সেও বসেছে।
সন্ধ্যাকে বসে থাকতে দেখে বললো, “কফি খাওয়ার জন্য দিয়েছি”
কফির কাপটা হাতে নিয়ে বসে ছিলো।ততক্ষনে নিজের অর্ধেক কাপ কফি শেষ করেছে অরণ্য।ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।এমনেতেই মেজাজ তুঙ্গে।ঝাঁঝালো কণ্ঠে বুঝিয়ে দিলো সন্ধ্যাকে কফিটা শেষ করতে হবে।
___
আঁধার নেমেছে ধরণীর বুকে অনেক আগেই।পায়ে হেঁটে প্রায় অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে সন্ধ্যা।পাশেই অরণ্য।বাইক ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রোগ্রাম শেষে বাড়ি ফেরার পথেই বাইকটা নষ্ট হয়ে যায়।আশেপাশে কোনো গ্যারেজ না থাকায় হেঁটেই যেতে হচ্ছে।সামনে পরিচিত ম্যাকানিক শপ আছে। মিনিট বিশেক হাঁটার পর বাইক নিয়ে পৌঁছে গেলো সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায়।কিছুক্ষন পর্যবেক্ষণ করে ম্যাকানিক জানালো আজ এই বাইক ঠিক করা সম্ভব নয়। ইঞ্জিনে ঝামেলা হয়েছে। সারাতে সময় লাগবে।
“বাইকতো আজ ঠিক হবে না।”
“এখন?”
“এই রোডে কোনো গাড়ি পাওয়া যাবে না।সামনে হেঁটে মেইন রোডের দিকে যাওয়া লাগবে।”
“ঠিক আছে চলুন।”
অরণ্য এবং সন্ধ্যা হাঁটছে।পাশাপাশি।একটা দূরত্ব বজায় রেখে। কোটটা খুলে হাতে ঝুলিয়ে রেখেছে অরণ্য।হাটতে হচ্ছে বিধায় অদ্ভুত রকমের চেহারা বানাচ্ছে বারবার।সন্ধ্যা চোখ তুলে সেটা পর্যবেক্ষণ করে নিলো।আশপাশে মানুষের কোলাহল,ছোটছোট যানবাহনের আওয়াজ।অথচ পাশাপাশি হাটা দুজন মানুষই নিশ্চুপ।সন্ধ্যা অন্যমনস্ক।চোখ কংক্রিটের তৈরি জমিনের দিকে।একসাথে থেকেও তারা অপরিচিত।
নিস্তব্ধতা কাটিয়ে অরণ্য বললো, “আপনার হাটতে সমস্যা হচ্ছে?”
একবার দেখে নিল অরণ্যকে।আজকাল তার স্বভাব অন্যরকম লাগছে।হয়তো নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে।ধরেই নিয়েছে যতই চোখের কাঁটা হোক না কেনো সন্ধ্যা তাকে নিয়েই থাকতে হবে!
“জ্বি না।আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না”
হুট করে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে নিলো সন্ধ্যা।পূর্বেই দেখেছে একটি বাচ্চা মেয়ে দৌড়ে আসছে বেলি ফুলের মালা নিয়ে।তাদের দিকেই আসবে আন্দাজ করেছিলো।ঠিক তাই হলো।দ্রুত মেয়েটির হাতে টাকা দিয়ে দুটো মালা কিনে নিয়েছে।সেখানে নিরব সাক্ষী অরণ্য।বাচ্চাটি হাসি মুখে চলে যাওয়ার পর অরন্যের দিকে তাকালো।পকেটে হাত গুজে দাড়িয়ে।সেই বিরক্তির ছাপ কপালে।
সন্ধ্যা বললো, “আমার পছন্দ বেলি ফুলের মালা।আমার মারও ভীষণ পছন্দের।তাই নিয়েছি।”
“বিশ টাকা দিতে পারার মতন যোগ্যও আমাকে ভাবেন না?”
“মানে?”
“আমিও টাকা দিতে পারতাম।আমাকে বললে পারতেন।”
“আমার পছন্দের জিনিসের মূল্য আপনি কেনো দিবেন?”
চলবে…