#অনুভূতি
#Roja_islam
#part
15
– তুমি আমাকে ভুল বুঝলে বর্ণ। আমি তো আমাদের জন্যই করেছি সব। আর তুমি আমাকে ফেলে চলে গেলে। এখন আমি কি করবো??
.
বেলার বর্ণ ওর কথা গুলা মনে পরলো ঐসময়ের।সে বেলা কে ভালোবাসে। বর্ণ ওর অনুভূতি ঘিরে শুধু বেলা। কথা গুলা মনে করে বেলা’র ঠোঁটে হাসি চোখে পানি ভরে গেলো খুশিতে।
.
বেলা সাড়া রাত কেঁদেছে নিজের করা ভুলে’র জন্য।
ঐ খাচ্চোর নিয়ান আর নিজে’র বাবা’র জন্য বর্ণ’কে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে বেলা এই ভেবে নিজের চুল নিজে ছিরেছে বেলা।
ভয়ে বেলা নিজের বাবা’র সামনে আর যায়নি তবে বেলা ভেবে নিয়েছে আর ভয় নয়। কাল সব ঠিক করে দিবে বেলা।
বর্ণ’কে বলবে আমিও ভালোবাসি বর্ণ অনেক বেশি আমার অনুভূতি ঘিরেও শুধু তোমারি বিচরণ।
– হ্যা আমি ভালোবেসে ফেলেছি আমার লুচু হনুমান টাকে। কালকেই সব ঠিক করে দিবো আমি।
.
সাড়া রাত বেলা ছোটফট করেছে শুধু। বেলা’র শুধু কালকের অপেক্ষা।
বেলা’র বাবা ও একবার মেয়ে’র ছোটফট দেখে গেছে কিন্তু কিছু বলেন’নি মুচকি হেসে চলে গেছেন।
.
কিন্তু বেলা’র বাবা’র হাসি বেলা দেখতে পেলো না। দেখতে পেলে হয়তো বুঝতো। কত্ত রহস্যময় ছিলো তার বাবা’র হাসি।
.
সকালে বেলা ঘুম থেকে উঠেই বাবা, বাবা বলে চেঁচামিচি শুরু করে। বেলা’র বাবা জানতো এমন কিছুই হবে তাই ধীরেসুস্থে রেডি-সেডি হয়ে একদম রুম থেকে বেড়িয়ে আসেন তিনি।বেরিয়ে বেলা’র রাগী ফেইস দেখে বেলা’র বাবা বেশ বুঝতে পারছে বেলা যে তাকে ভয় পায় সেই মুটকি’টা আজ ফেঁটেই যাবে।
.
তিনি বেলা’র সামনে আসতেই বেলা চেঁচিয়ে বলে উঠে।
– শান্তি’তো তুমি এবার বাবা হ্যা বলো?
তোমার উপর জেদ করে আমি বর্ণ ওর কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলাম। ভেবেছি থাকবো না তোমার পছন্দের ছেলের সাথে। বাধবো না তার সাথে ভালোবাসা’র ঘর। কিন্তু দেখো ভালোবেসে ফেলেছি ঐ লুচু হনুমানটাকে কিন্তু’সে তো তোমার জন্য আমাকে ভুল বুঝে আমাকে ফেলে চলে গেলো। এখন তুমি, তুমি শুনেছো তুমিইইই এক্ষুনি আমাকে নিয়ে যাবে আমাকে বর্ণ ওর কাছে সব ঠিক করতে চলো।
.
বলেই বাবা’র হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বেলা’র বাবাও কিছু’না বলে খুশি খুশি মেয়ে’র সাথে যাচ্ছে।
সাড়া রাস্তা বেলা নিজের দু হাত ঘষেছে শুধু বর্ণ ক্ষমা করবে তো তাকে এই ভেবে।
.
.
.
.
.
গাড়ি এসে বর্ণ ওর বাড়ির সামনে থামতেই বেলা প্রায় কেঁদে দেয় অবস্থা।
কারণ পুরো বাড়ি বিয়ে বাড়ির মতো সাজানো।
দু জনেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়।বেলা দাঁড়িয়ে ভাবছে।
.
বর্ণ ডিভোর্স ছাড়াই কি তবে অনা’কে বিয়ে করে ফেলছে???
অনা’র কথা তো বেলা ভুলেই গিয়েছিলো।বেলা বর্ণ কে বুঝেনি তাই কি বর্ণ সত্যিই অনা’কেই বিয়ে করে নিচ্ছে তবে??
এটা চিন্তা করেই বেলা ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো।
বেলা দারিয়ে কান্না করছে।কিন্তু বেলার বাবা বেলা’কে রেখেই ভিতরে ঢুকে গেলো।
.
তা দেখে বেলাও আস্তে আস্তে ভিতরে পা বাড়ালো কিন্তু তার প্রাণপাখি’টা তোঁ যেমন উড়ুউড়ু করছে বেলা’র। এই বুঝি ভয়ে চটে উড়াল দিয়ে চলে যাবে তার প্রান পাখি’টা। আর পরে থাকবে বেলা’র নিথর দেহ’টা এখানেই। অনেক যুদ্ধজয় করে বেলা ভিতরে ঢুকে।.
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
.
.
.
ভিতরে ঢুকে’ই বেলা দাঁড়িয়ে পড়লো সামনে’যা দেখলো বেলা। তাঁদেখে বেলা’র হাত-পা থরথর কাঁপছে। আকাশটা এই বুঝি বেলা’র মাথার উপর পড়বে এমন অবস্থা দেখে।
.
.
বেলা’র কিছু দূর ড্রইং রুমে’র বড় সোফাটায় অনা লালটুকটুকে বউ সাজে আর বর্ণ বর সেজে বসে আছে।দু’জনের মুখ থেকে’তো যেমন হাসি পরছেই না। আর রাহি সমানে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে লাগাতার পিক তুলে যাচ্ছে দুজনে’র।
.
আর পাশেই বর্ণ আর তার বাবা সাথে এক মহিলা দাঁড়িয়ে তাঁদের দেখছে আর কথা বলছে আর হাসছে।যেমন এমন সুন্দর বর-বউ তারা আর জীবনে ও দেখেনি। বেলা যে ওদের দেখছে ঐদিকে ওদের খেয়ালী নেই।
.
কিন্তু বেলা এসব দেখে বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না ঠাসসস করে মাথা ঘুরিয়ে ধুপ করে পরে গেলো।
.
এতোক্ষনে সবাই কিছু পরার আওয়াজ পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে বেলা পরে আছে। তাদেখে সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।
.
.
চলবে……
[ কালকে এই গল্পে’র লাস্ট পার্ট পোস্ট করা হবে আর একটা দিন ওয়েট করুন সবাই।তারপর আর অনুভূতি গল্পে’র জন্য ওয়েট করতে হবে না কাউকে। আর যারা বড় করতে বলছিলে গল্পটা তাদের বলি। আমার গল্প বেশি বড় করতে ভালো লাগে না তাই গল্প বড় করতে পাড়ি নাই তাই সরি। আর আজকে ছোট্ট হইছে তাই সরি কালকে সব পুষিয়ে দিবো ওকে।]