দর্পহরন #পর্ব-৫৬

0
277

#দর্পহরন
#পর্ব-৫৬

শুভ্রার বাবা আর চাচার একসাথে আসার খবর শুনে জলি প্রথমে বিস্মিত হলো। তারপর খানিকক্ষণ ভাবার পরে পুরো ব্যাপারটা বুঝে তার মুখে অদ্ভুত ধরনের একটা হাসি ফুটে উঠলো। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভালো ভাবে পরিপাটি করে ফেললো। বহুদিন আগের গভীর ক্ষততে আজ প্রলেপ পড়বে ভেবে তার মনটা কি ভীষণ রকম আনন্দিত হচ্ছে তা বাইরে থেকে জলিকে দেখে কারো বোঝা সম্ভব নয়। নিজেকে দেখে সন্তুষ্ট জলি শাড়ীর আঁচল মাথায় তুলে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো। ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়াতেই সালিম আর মোর্শেদ উঠে দাঁড়ায়, সালাম দেয়। জলি প্রতিউত্তর দিয়ে তাদের বসতে বলে। শুভ্রাকে বললো-“হাসিখুশিকে ডাকো আর তোমার বাবা চাচার জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করো। তাদের কি খালিমুখে বিদায় জানাবে নাকি?”
শুভ্রাকে বিচলিত দেখায়। জলির কন্ঠে মিষ্টি কথা শুনে তার অস্থির লাগে। সে দ্বিধা নিয়ে মাথা নিচু করে ভেতরে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর হাসি খুশি এসে সালাম দিলো। দু’চারটে ভালো মন্দ আলাপের পরে ওরা ভেতরে চলে গেলো। এরমধ্যে মোর্শেদ নতুন করে খুশিকে দেখলো মন দিয়ে। ছেলের পছন্দের প্রসংশা করলো মনে মনে। ওরা ভেতরে ফিরে যেতেই জলি কথা বললো-“তা আপনারা হুট করে এলেন। কোন বিশেষ প্রয়োজনে?”
দুই ভাই একে অপরকে দেখলো চোরা চোখে। সালিম সাহেব হাসলো-“অনেক দিন আম্মাকে না দেখে খারাপ লাগতেছিল আপা। তাই ভাবলাম আম্মাজানকে একটু দেখে যাই।”
“আচ্ছা, ভালো করেছেন। মেয়ের প্রতি বাবাদের টান অন্যরকম হয়। আপনার মেয়ে ভাগ্যবান তার বাবার স্নেহ ভালোবাসা পেলো। আর আমার মেয়েদের কপাল দেখেন।”
জলির কথা শুনে মোর্শেদ খুকখুক করে কাশে-“আপা, অনুমতি দিলে একটা কথা বলার ছিলো।”
জলি থামলো, তার মুখের রেখার প্রশ্ন দেখা দিলো-“জ্বি বলেন। কি বলতে চান?”
সালিম সাহেব চুপ করে আছেন। কেন যেন মনেহচ্ছে তন্ময়ের কথা বলাটা উচিত হবে না। কিন্তু ভাইকে থামতে বলবেন কিনা সে বিষয়ে দ্বিধা আছে। মোর্শেদ হাসার চেষ্টা করলো-“আমার ছেলে তন্ময়কে তো দেখেছেন।”
“হ্যা দেখেছি তো। কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় আসতো প্রায়ই।”
মোর্শেদ বিগলিত হলো-“আমার ছেলেটা মাশাল্লাহ ভালো ছাত্র। অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রি আছে, চাইলে ওখানেই কিছু করতে পারবে নতুবা আমাদের তো কম কিছু নাই। এখানেও চাইলে নিজের মতো কিছু করতে পারবে। ওর যা ইচ্ছে হবে করবে আর কি।”
“হ্যা, সবই ঠিক আছে কিন্তু এসব আমাকে বলছেন কেন?”
জলি অবাক হলো। মোর্শেদ গলা পরিস্কার করে-“না মানে আপা, আপনার তো দুই মেয়ে মাশাল্লাহ দেখতে বেশ ভালো। পড়ালেখাতেও ভালো ওরা। বলছিলাম কি, আপনার মেয়ে খুশিকে যদি আমাদের ছেলে তন্ময়ের জন্য দিতেন বড়ই আনন্দিত হইতাম।”
শুভ্রা চা আর নাস্তা নিয়ে এসেছিল ওর পা কেঁপে উঠলো। টি র্যাকে আচমকা ধাক্কায় চা ছলকে পড়লো। নিজেকে কোনরকমে সামনে বাবা চাচার দিকে চায়ের কাপ বাড়িয়ে দিয়ে বললো-“চাচাজান, আমিতো আব্বাকে এই বিষয়ে আগেই সব পরিস্কার বলেছি। আজকে আবার নতুন করে এসব কথা উঠতেছে কেন?”
মোর্শেদের মুখের রেখায় বিরক্তির আভাস। জলি বলে ফেললো-“আমি তো কথা বলছি বউমা। তুমি এরমধ্যে কোন কথা বলো না।”
শুভ্রা চমকে গেলেও উত্তর করলো না। জলিকে ইদানীং তার ভয় লাগে। সেই নরম মনের মানুষটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। কেমন করে যেন তাকায় শুভ্রার দিকে। শুভ্রা চুপচাপ এককোনে বসলো। জলি কথা বলে-“ভাই, কি যেন বলছিলেন আপনে? আপনার ছেলের কথা তাই না?”
মোর্শেদ মাথা দুলায়। জলি হাসলো-“আসলে হয়েছে কি ভাই আমরা আমাদের অতীতটা খুব সহজে ভুলে যাই। যাইহোক, আমার যদি ভুল না হয় তাহলে আপনার যোগ্য ছেলে তন্ময় মনেহয় একবার মেয়ে ঘটিত কেসে ফেঁসে গেছিল। ভুলক্রমে সেই মেয়েটা আবার আমাদের এলাকার প্রতাপশালী রঘুনাথ দাসের মেয়ে ছিলো। বাধ্য হয়ে ওদের সাথে আপোষ করে ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছিলেন।”
মোর্শেদ আমতাআমতা করলো-“আপা, তখন অল্প বয়স ছিল, ওই বয়সে এরকম পাগলামি নরমাল।”
“নরমাল! আমার ছেলের এরকম একটা কেস দেখান। জীবনে কোনদিন কোন মেয়ের দিকে কুদৃষ্টি দেয়নি আমার ছেলে এটা হলপ করে বলতে পারি। আচ্ছা, তখনকার কথা বাদ দিলাম এখনকার কথা বলি। অস্ট্রেলিয়াতে কি করেছে আপনার ছেলে? শুনেছি এক পাকিস্তানি মেয়েকে রে*প করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।”
মোর্শেদ গর্জে উঠলো-“এসব মিথ্যা অভিযোগ আপা। জানেন তো পাকিস্তানিরা একাত্তরে কি করেছিল আমাদের সাথে। ওরা সবসময় সুযোগ পেলেই বাঙালিদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে।”
জলি মৃদুস্বরে হাসলো-“বুঝলাম পাকিস্তানিরা খারাপ। তাছাড়াও আপনার ছেলের আরও কর্মকান্ডের কথা কি বলবেন।”
মোর্শেদ এবার হাতের কাপটা স্বশব্দে নামিয়ে রাখলো-“বুঝেছি আপা। আপনি মেয়ে বিয়ে দিবেন না। সুযোগ পেয়ে আমাদের অপমান করতেছেন।”
জলি হেসে দিলো-“অপমান করতেছি? আমি শুধু আপনাদের সাহস দেখতেছি। কি ভাবছেন, আপনাদের মেয়ে বিয়ে করায়ে আনছি, আত্মীয় হইছেন তাই আপনাদের অতীতের কুকীর্তি সব ভুলে গেছি, মাফ করে দিয়েছি?”
মোর্শেদ আর সালিম ওকে অপরকে দেখলো। শুভ্রা কি করবে বুঝতে না পেরে একবার শাশুড়ীকে দেখে আরেকবার বাবা চাচাকে দেখে। জলি বললো-“তেরো বছর আগে কি করেছিলেন আপনারা মনে আছে? আমার স্বামী নির্বাচনে আপনার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল বলে তাকে গুম করলেন। তারপর তাকে আর দেখার সৌভাগ্য হলো না আমাদের। রণ তখন আঠারো বছরের তরুণ। আমার হাসিখুশি মাত্র আট বছরের।”
সালিম সাহেব আড়চোখে মেয়েকে দেখলো। শুভ্রার চোখে বিভ্রান্তি। সে অবিশ্বাস নিয়ে বাবা চাচাকে দেখছে। সালিম সাহেব বললো-“আপা, কি বলতেছেন এইসব? আমরা কেন এমন কিছু করবো?”
জলি তীক্ষ্ণ নজরে তাকিয়ে থেকে বললো-“আমি প্রতিদিন আপনার বাসায় যেতাম। কত আকুতি মিনতি করেছি আপনাদের। একফোঁটা মন গলেনি আপনার। আপনারা কি ভেবেছিলেন, সেসব দিনের কথা ভুলে গেছি? আপনি আপনারা ভুলে যেতে পারেন কিন্তু আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলবো না। নিজের স্বামীর কবর পর্যন্ত নসীব হয় নাই। আমার সন্তানেরা জানেই না বাবার পরিনতি। এসব কখনো ভুলে যাওয়া যায়? সেই আপনার মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে বউ করে এনেছি। কি মনেহয় আপনার? এমনিতেই?”
সালিম সাহেব বাকহারা হয়ে গেলেন। জলির কথাগুলো তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কি বলছে এসব মানুষটা? শুভ্রাকে বিয়ে করানোটা পরিকল্পিত? শুভ্রাও হতবাক হয়ে চেয়ে আছে শাশুড়ীর দিকে-“আন্টি, কি বলেন এসব?”
জলি ক্রুর হাসলো-“আমার আঠারো বছর বয়সী ছেলের কাঁধে সংসারের জোয়াল উঠলো। ছেলের সুন্দর দিনগুলো পরিশ্রমে বদলে গেলো। আমার মেয়েদের শৈশব হলো অবহেলিত। প্রতিরাত একা একা ছটফট করতে করতে ভেবেছি কি করলে আপনাকে শাস্তি দেওয়া যাবে? কি করলে আমার স্বামীর প্রতি আপনাদের জঘন্য আচরণের বিচার হবে। ভাবতে ভাবতে একদিন উপর ওয়ালা সুযোগ দিলো। সালিম সাহেবের কন্যা তার জানের জান। সেই কন্যার জীবনটা যদি নিলামে তোলা যায় তাহলে কেমন হয়?”
“আপা!”
জলি আঙুল তুললো-“চিৎকার করবেন না ভাই। আপনি এখন কোথায় আছেন এটা ভুলে যাবেন না। আপনারা কি আশা করে এ বাড়িতে এসেছেন? আপনার অকর্মার ঢেঁকি মেয়েকে আমি মেনে নিয়ে মাথায় তুলে নাচবো? তারপর আপনার লম্পট ছেলের হাতে আমার মেয়ে তুলে দেব? এতো সহজ? এতো সস্তা ভাবেন আমাদের? অপরাধ নিজে করেছেন বলেই দোষ চোখে পড়ছে না ভাই সাহেব। সমস্যা নেই। একদিকে খুব ভালো হয়েছে আজ আপনারা এসেছেন। আল্লাহ প্রতিবার আমাকে দারুণ সুযোগ করে দিয়েছেন। এবারও দিলেন।”
“মানে? কি বলতেছেন আমি বুঝতেছিনা।”
সালিম বিস্ময় নিয়ে বললো।
“বুঝবেন সব বুঝে যাবেন এখনই। খুব সহজ ভাষায় বলি, আপনার গুনধর মেয়েকে আপনি এবার নিজের সাথে নিয়ে যাবেন। সে আমার ছেলের উপযুক্ত না মোটেও। ছেলেকে আমি আবার বিয়ে করাবো।”
“আন্টি!”
শুভ্রা আর্তনাদ করে উঠলো। জলি খেঁকিয়ে উঠলো-“কিসের আন্টি হ্যাহ? যাও নিজের সব গুছিয়ে নাও। বাবার সাথে ফিরে যাও নিজের বাসায়। আমার বাবাই এর জীবন যথেষ্ট খারাপ করেছ আর না।”
সালিম আর মোর্শেদ দু’জনই দাঁড়িয়ে গেলো। সালিম সাহেব হুঙ্কার দিলেন-“কি বলতেছেন এইসব। আপনে আমাদের অপমান করতেছেন? নিজে সাইধা আমার মেয়েকে বিয়ে করাইছেন এখন উল্টা পাল্টা বলতেছেন। মেয়েকে নিয়ে যাবো মানে কি? কেন নিয়ে যাব?”
“কারন আমি আর ওকে বউমা হিসেবে স্বীকার করতে চাই না। বাবাই ফিরলে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেব। আপাতত নিয়ে যান ওকে।”
“আন্টি, এসব কি বলছেন? কেন বলছেন? কি করেছি আমি?”
বলতে বলতে শুভ্রা কেঁদে দিলো। জলি বিরক্তি নিয়ে হাত ঝাকায়-“এরকম নাকি কান্না কেঁদো নাতো। তোমার বিয়ে দিতে কোন সমস্যা হবে না তোমার বাবার। তাই না ভাই সাহেব? আজ ডিভোর্স হলে কাল পাত্রের ভীড় জমিয়ে দেবেন। যাও, তাড়াতাড়ি নিজের জিনিস গুছিয়ে নিয়ে এ বাড়ি থেকে বিদায় হও।”
শুভ্রা ফুপিয়ে কেঁদে দিলো-“আমি যাবো না আন্টি। উনি আমাকে চলে যেতে বলেননি। ওনার সাথে কথা না বলে আমি যাবো না।”
“বাবাই আমার কথার উপর কথা বলবে বলে মনেহয় তোমার? এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে দেখছি। শোন মেয়ে, তোমাকে বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত যেমন আমার ছিলো তেমনি তোমার এ বাড়ি থাকা না থাকার সিদ্ধান্তও আমারই হবে। বুঝতে পেরেছ?”
“আমি মানি না আপনার সিদ্ধান্ত। কেন এমন করছেন আপনি? আন্টি প্লিজ এমন করবেন না। আব্বা, আপনি কিছু বলেন না। বলেন আপনি কিছু করেন নাই।”
শুভ্রা জলির পায়ের কাছে পড়লো। সালিম সাহেব চেচিয়ে উঠলো-“কাজটা ভালো করতেছেন না আপা। খুব অন্যায় করতেছেন? আপনে আমার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা নিয়ে খেলতেছেন।”
জলি হাসলো-“আপনার চাইতে বেশি অন্যায় কি করছি? এ যে দেখছি ভুতের মুখে রাম নাম।”
মোর্শেদ এগিয়ে এসে শুভ্রার হাত ধরলো-“চল শুভ্রা। যেখানে মান থাকেনা সেখানে থাকতে হয় নারে মা। চল।”
“না আমি যাব না চাচ্চু। উনি বিদেশ থেকে ফিরুক, নিজের মুখে বলুক আমাকে চায় না তাহলে চলে যাব।”
“আম্মাজান, চলেন। এইখানে আর এক মুহূর্ত না। এই বাড়ির কিছুই নিবেন না। আপনের আব্বার কিছু কম নাই। সব আপনার পায়ে লুটায় দিব। কিন্তু অসন্মানের জায়গায় আর না আম্মা।”
“না আমি যাবো না। ওনার সাথে কথা না বলে যাবো না।”
সালিম সাহেব এবার গর্জে উঠলো-“আম্মাজান, আপনার আব্বার মান ডুবায়েন না। চলেন বলতেছি। না গেলে আপনার আব্বার মরা মুখ দেখবেন কইলাম।”
শুভ্রা আর্তনাদ করে উঠলো-“আব্বা এমন কথা বইলেন না। কেন এমন করতেছেন আপনারা? আমার দোষটা কোথায়?”
“তোমার দোষ তুমি আমার কাছে এসেছিলে আমার ছেলের সর্বনাশের ইচ্ছে নিয়ে। তোমাদের পরিবারের বড় গর্ব, দাম্ভিকতা তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। অন্যায় করেও তোমরা বীরদর্পে চলাফেরা করো। আমাদের প্রতি এতো বড় অন্যায় করেও তোমার বাবা থামতে চায়নি। তোমার একভাই আমার ছেলেকে মারতে চায় আরেক ভাই আমার মেয়ের দিকে নজর দেয়। আজ তুমি ফিরে গেলে যদি তোমার বাবার অহংকার চূর্ণ হয়।”
শুভ্রা অবাক চোখে জলিকে দেখলো-“আপনি এইজন্য আমাকে বিয়ে করিয়েছিলেন? আপনার ছেলে ভালোবাসে আমাকে। তার কথাও ভাবলেন না?”
“ভালোবাসলে ভুলেও যাওয়া যায়। তুমি ওকে নিয়ে ভেবোনা শুভ্রা। ও ঠিক সামলে নিতে পারবে। তুমি নিজেকে নিয়ে ভাবো।”
শুভ্রা বিস্ময় নিয়ে তাকায়। এতোদিনের পরিচিত মুখটাকে ভীষণ অচেনা লাগে তার কাছে। জলির মুখটায় আগে মা মা ছায়া থাকতো। আজ কেমন ভয়ংকর লাগছে। মুখটা আজ কেবলমাত্র একজন প্রতিশোধ পরায়ন নারীর মুখ হয়ে গেছে।

★প্রিয় পাঠক, বইমেলা প্রায় শেষ। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ উপলক্ষে আমার দু’টো বই এসেছে। একটা পলিটিকাল মার্ডার মিস্ট্রি থ্রিলার ‘অন্ধকারে জলের কোলাহল’ পাবেন ৩৫৬ নং স্টলে। অন্যটা সমকালীন রোমান্টিক জনরার ‘আমি ডুবতে রাজি আছি’ পাবেন উপকথার ৫৬৪ নং স্টলে। চমৎকার বইদুটো ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন রকমারিসহ আপনার পছন্দের বুকশপেও। আমার লেখা ভালো লাগলে বইদুটো সংগ্রহ করুন। আশা করছি বই পড়ে নিরাশ হবেন না।★

চলবে—
©Farhana_Yesmin

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here