প্রেমাচার #অপরাজিতা_মুন #সূচনা_পর্ব

0
899

#প্রেমাচার
#অপরাজিতা_মুন
#সূচনা_পর্ব
(কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ)

বাংলায় এখন মাঘ মাস। ষড়ঋতুর পঞ্চম ঋতু, শীত কাল। কনকনে ঠান্ডার সহিত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে প্রকৃতি। কোনো দিন সূর্যের দেখা মিলে তো কোনো দিন না। শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া পরিবেশের শীতলতা বাড়িয়ে দেয় আরো কয়েক গুণ।
এমনি এক ঠান্ডা দিনের ভরা সন্ধ্যায় সৈয়দ বংশের বয়োজ্যেষ্ঠ অভিভাবক সৈয়দ শামসুল হকের জরুরি তলবে জাকজমকপূর্ণ সুবিশাল ড্রয়িং রুমে একত্রে বসে আছে দুই পরিবারের ছোট থেকে বড় সকল সদস্যবৃন্দ। সবার মুখেই গাম্ভীর্য্যের ছাপ। কারো কণ্ঠনালী হতে টু পরিমাণ শব্দও উচ্চারিত হচ্ছে না। দুরন্তপনা ছোটরাও আজ স্থির হয়ে বসে আছে। অপেক্ষার প্রহর গুনছে সবাই। আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে কাঠের কারুকার্য শোভিত বদ্ধ দরজায়। আধুনিক ইন্টেরিয়র সম্পূর্ণ জাকজমক পূর্ণ ড্রয়িং রুমটাতে বিলাসবহুল আসবাবপত্র সাজানো। লো হাইট টিভি কেবিনেটের মাঝে সেট করা ৪৩” ইঞ্চির এইচডি স্মার্ট টেলিভিশন। সবার মাথার উপর জ্বলছে বৃহৎ সোনালি রংয়ের ঝাড়বাতি। রুমটার দু দিকে সামনা সামনি কাঠের সোফা বসানো। দুই পাশের সোফায় আলাদা আলাদা ভাবে বসে আছে দুই পরিবার। তাদের সবার মধ্যমণি হয়ে সম্মুখে রাখা দুইটা কাঠের রাজকীয় সোফার একটা সোফায় বসে আছে সৈয়দ শামসুল হকের একমাত্র সহধর্মিণী সৈয়দা মনোয়ারা খানম। বৃদ্ধা মহিলার ফর্সা চামড়া কুঁচকে গেছে, চুলে পাক ধরেছে, কৃষ্ণ বর্ণের চুলগুলো বয়সের পরিক্রমায় সাদা হয়েছে, সরু রিনিঝিনি কন্ঠে কম্পন ধরেছে। তবুও যেনো একটুও ফিকে হয়নি তার সৌন্দর্য। বার্ধক্যের ছিটেফোঁটা উনার রূপের জৌলুস কে কমাতে পারেনি, উল্টো নব উদ্যমে নতুন রূপে শুভ্র চুলে মেহেদীর লাল রঙ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। হালকা সবুজ রংয়ের জামদানী শাড়ি তে তাকে লাগছে ভীষণ পবিত্র।

দুই সারির প্রথমেই বসেছেন সৈয়দ শামসুল হকের সুযোগ্য দুই পুত্র সৈয়দ আলাউদ্দিন হক এবং সৈয়দ মফিজউদ্দিন হক। বড় সন্তান আলাউদ্দিন হক এর ছাপ্পান্ন বছর, কনিষ্ঠ মফিজউদ্দিন বড় ভাই এর দুই বছরের ছোট, বয়স তার চুয়ান্ন। দুই ভাই এর পাশেই বসেছেন মধ্যবয়সী মহিলা, ক্রমান্বয়ে দুজনের সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা এবং সানজিদা খানম। দুজন নারীর ই বেশভূষা বেশ পরিপাটি এবং শালীনতা সম্পন্ন। মায়েদের পাশেই বসেছে তাদের সন্তান।

সৈয়দ আলাউদ্দিন হক এবং আয়েশা সিদ্দিকার দুই সন্তান, এক ছেলে আর এক মেয়ে। আয়েশা সিদ্দিকার পাশের আসন টা বর্তমানে ফাঁকা এবং এরপরেই বসেছে তাদের একমাত্র কন্যা সৈয়দ মেহরুন হক নেহা।

ছোট ভাই মফিজউদ্দিনের তিন সন্তান। দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে সৈয়দ মেহনুভা হক, মেজ ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মুবিন, এবং ছোট কন্যার নাম সৈয়দ মায়মুনা হক।

মূলত আনুষ্ঠানিক ভাবে বেশ কয়েক বছর পর সামনাসামনি বসেছে সৈয়দ সাহেবের দুই পুত্র। বলা চলে, খুব প্রয়োজন ব্যাতিত মুখোমুখি হয় না দুই পরিবার। স্ত্রী এবং সন্তানদের মনের মাঝে একে অপরের সাথে একত্র হয়ে সুখ-দুঃখের আড্ডা দেওয়ার লুকায়িত তৃষ্ণা কিংবা ইচ্ছেটুকু থাকলেও আলাউদ্দিন এবং মফিজউদ্দিন হকের তীক্ষ্ণ নজর, আর কড়া নির্দেশে কেউ কারো বাসায় নিজের ছায়াটুকুও বর্তমানে ফেলে না। এক এক করে বছরের পর বছর চলেছে, দূরত্ব বেড়েছে। সময় কেটেছে, এভাবেই চলে গেছে সাত বছর। পরিস্থিতির সাথেও খাপ খেয়েছে, স্বাভাবিক হয়েছে সকলেই। চলার পথে দেখা হলে সৌজন্যতামূলক বাসার বৌ-বাচ্চারা যা একটু কথা বলে। ব্যাস এতো টুকুই।

অবশেষে সবার অপেক্ষার পালা অবসান করে বদ্ধ দরজা উন্মুক্ত করে বয়সের ভারে নুইয়ে পরা লম্বা চওড়া স্বাস্থ্যবান পুরুষ সৈয়দ শামসুল হক লাঠিতে ভর দিয়ে আসলেন। গলা খাঁকারি দিয়ে নিজের উপস্থিতির জানান দিলেন তিনি নিজেই। রাশভারি কন্ঠে সালাম দিলেন ছোট বড় সকলকে। সুপরিচিত কন্ঠস্বর কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্রই সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে পরল বসে থাকা ছোট বড় সকলে। সকলের সাথে বয়োজ্যেষ্ঠ লোকটি কুশলাদি বিনিময় করলেন। সবার মধ্যমণি হয়ে আসন গ্রহণ করলেন স্ত্রী’র পাশের ফাঁকা আরামদায়ক পূর্ণ নরম সোফাটিতে। স্বাস্থ্যবান রাশভারী লোকটা হাতের ইশারায় বসতে বললেন। ইশারা পাওয়া মাত্রই নিঃশব্দে বসলেন সবাই। নজর বুলালেন সকলের মাঝে, শব্দহীন সময় পেরুলো মিনিট খানেক। পুনরায় গলা খাঁকারি দিলেন, ডান দিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে গমগমে আওয়াজ তুলে বড় পুত্রের উদ্দেশ্য সৈয়দ শামসুল হক শুধালেন,

-‘তোমার ছেলেকে দেখছি না কেনো আলাউদ্দিন? এখনও আসে নি কেনো? আমার থেকেও কি তার গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ আছে?’

আলাউদ্দিন হক স্ত্রীর পাশের আসনে তাকালেন, সত্যি জায়গাটা ফাঁকা। এতো ক্ষণে খেয়াল করলেন তিনি। ছেলের অনুপস্থিতি পরখ করা মাত্র এক লহমায় ভেতর ভেতর রেগে গেলেন কিন্তু প্রকাশ করলেন না। তবুও তার কপালে বিরক্তির কুঞ্চিত ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। পিতার উদ্দেশ্যে আমতা আমতা করে কিছু বলবেন বলে মুখ খুলবেন এমন সময় পায়ের ধপাধপ আওয়াজ আর পুরুষালি গলার ভরাট কন্ঠ শুনে থামলেন।

“আস সালামু আলাইকুম দাদাভাই। মাফ করবেন। সাওয়ার নিতে গিয়ে দেড়ি হয়ে গেলো।”

হঠাৎ কারো পায়ের আওয়াজ এবং গম্ভীর পুরুষালি কন্ঠে এক জন ব্যাতিত ড্রয়িং রুমের উপস্থিত সকলের দৃষ্টি ঘুরে গেলো লম্বা উচ্চতার উজ্জ্বল বর্ণের সুঠাম দেহী পুরুষটার উপর। সালাম গ্রহন করে সৈয়দ সাহেব প্রসারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধালেন,

‘আমার থেকেও জরুরি?’

সৈয়দ আলাউদ্দিন হকের একমাত্র পুত্র সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মাশরিফ জায়ান পিতামহের কথায় মুচকি হাসল। ভেজা চুলে হাত বুলিয়ে দাদাভাই এর কাছে এগিয়ে আসলো। লম্বা বলিষ্ঠ দেহটা একটু ঝুঁকে সৈয়দ সাহেবের চামড়া কুঁচকে যাওয়া হাতটা টেনে নিয়ে উল্টো পিঠে চুমু আঁকল। এক কদম এগিয়ে একই ভাবে দাদীমনির হাতেও একই কার্য সম্পন্ন করল। সময় নিয়ে সবার দিকে এক পলক তাকিয়ে মায়ের পাশে ফাঁকা আসনটা পূর্ণ করল। সামনের সবার মুখে নজর বুলিয়ে মুচকি হেসে দাদাভাই এর দিকে পূর্ণদৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলল,

-“আপনাদের দুজনের প্রাধান্য আমার কাছে সবার আগে। আপনি আর দাদীমনি আমার কাছে অলয়েজ স্পেশাল। সারাদিনের ধকল শেষে সাওয়ার না নিয়ে এলোমেলো হয়ে আসি কি করে দাদাভাই। বলতে গেলে দেড়িটাও আপনাদের জন্যই হলো।”

-“হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি তো তোমার প্রেমিকা। আমার কাছে আসতে তোমার সাওয়ার নিয়ে, স্নো পাউডার দিয়ে আসতে হয়।”

-“আসতাগফিরুল্লাহ দাদাভাই। আপনি আমার প্রেমিকা হবেন কোন সুখে! এতো বড় অপবাদ এট লিস্ট আপনি দিবেন না। আপনার পাশের জন দিলে হাসি মুখে মাথা পেতে নিতাম।”

গম্ভীর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আব্দুল্লাহ আল মাশরিফ জায়ান সচারাচর এতো কথা বলে না। মুখটাতে তালা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন এবং এটা তার ছোট বেলার স্বভাব যা বড় হয়েও পরিবর্তন হয় নি। কিন্তু একমাত্র এই দাদা-দাদীর কাছে এসেই নিজের গুরুগম্ভীর স্বভাবের খোলস ত্যাগ করে, গম্ভীর লোকটার মুখ হতে কথার ফুলঝুরি ছুটে। জায়ানের মুখে এমন কথা শুনে মিটিমিটি হাসছে সকলে। বাবা-মা, বোন, ছোট চাচা-চাচী হতে কাজিন রাও। জমিজমা এবং ব্যাবসা সংক্রান্ত কলহের জন্য দুই পরিবার আলাদা হলেও আগে তো এক সাথেই থাকতো। মনের মাঝে অনু পরিমাণ হলেও পরিবারের বড় নাতনী এবং একই সাথে দুই পরিবারের বড় সন্তানের প্রতি আলাদা একটা কোমল আদুরে অনুভূতি কাজ করে সবার মাঝেই। ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে সমস্ত বাসা ঘুড়ে বেড়াতো, দাদা-দাদি, বাবা-মা থেকে শুরু করে চাচা-চাচীর আদরে উৎফুল্ল থাকতো। আজ যেখানে বাবা আর চাচা’র মাঝে ব্যাবসা নিয়ে মনোমালিন্য সেখানে এক সময় এই বাবা আর চাচা দুজন মিলেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতো কার চেয়ে কে বেশি ছোট্ট জায়ান কে ভালোবাসবে। কোলে নিবে, ঘাড়ে তুলবে কিংবা ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াবে। সময়ের পরিক্রমায় সৈয়দ সাহেবের বয়স বেড়েছে, সংসারের হাল ছেড়ে যখন ব্যাবসার দ্বায়িত্ব সন্তানদের হাতে অর্পন করলেন, তখনি ফাটল ধরতে শুরু করলো দুই পরিবারের। প্রথমে মনোমালিন্য শুরু হয়েছে ব্যাবসাকে ঘিরে, ধীরে ধীরে গড়িয়েছে জমিজমাতেও। পরিবারের অভিভাবকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে দন্দ্ব, বাবার নির্দেশে ছেলে মেয়ে গুলোও চুপসে গিয়েছে, দূরত্ব বেড়েছে দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে। সৈয়দ সাহেবের নির্মাণাধীন প্রাসাদের ন্যায় আভিজাত্যপূর্ণ আলিশান বাড়িটা বিভক্ত হয়েছে। একই রংয়ের বাসাটা হয়েছে ভিন্ন রংয়ের।
ঢাকার আভিজাত্য এলাকা গুলশানের ১ এর এভিনিউ এর ডানদিকেই রয়েছে নজরকাড়া সৌন্দর্য বেষ্টিত এক দ্বীতল ভবন। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কাঠ, পাথর এবং কংক্রিটের তৈরি আধুনিক কারুকার্যে নির্মিত বিলাসবহুল বাসাটি দাম্ভিকতা ছড়িয়ে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এলাকার মধ্যমনি হয়ে। ইট পাথরের শহরে উঁচু উঁচু ভবনের মাঝেই বৃহৎ জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা দ্বিতল ভবনটি আলাদা ভাবে এলাকাবাসী হতে শুরু করে পথচারীদের আকৃষ্ট করে, সেকেন্ড খানিক সময়ের জন্য হলেও যে কারো নজর ঘুরিয়ে নিজের উপর নিবদ্ধ করে। বাড়িটির একটা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। একই যোগসূত্রে নির্মিত হলেও বাসাটি দুই ভাগে বিভক্ত। নিচের ফ্লোর একে অপরের সাথে সংযুক্ত হলেও দুইতলার বিলাসবহুল রুম এবং ছাদ আলাদা। দ্বিতল ভবনটির বিভক্ত করে নির্মাণ করা ছাদ দুটোর মাঝে ব্রিজের ন্যায় কাঠের টেক্সচার এবং অত্যাশ্চর্য পাথরের টাইলের তৈরি সরু পথ যোগসূত্র স্থাপন করেছে একে অপরের সাথে। একই ডিজাইনে করা বাসাটার ছাদের দুই প্রান্তে দুইটা চিলেকোঠার ঘর। মাঝে উঠানের মতো বিস্তর ফাঁকা ছাদ। এক ছাদ হতে অন্য ছাদে যাওয়ার জন্য সেতুবন্ধরূপে তৈরি করা সরু ব্রিজটা ছাদের রূপ আরো দ্বিগুণ করে তুলেছে। মূল ফটকের ডান দিকের বাসাটা যতটা রঙ্গিন অন্য বাসাটা ঠিক তার বিপরীত, ঠিক যেনো বেরঙ্গিন। ডান দিকের বাসার একেকটা বেলকনি জুড়ে রং বেরংয়ের লতাপাতা হতে ফুলের সমারোহ। দেয়ালে দেয়ালে বিভিন্ন রংয়ের অপরূপ কারুকার্য। একেকটা সিঁড়িতে পর্যন্ত রংয়ের ছোয়া। শুধু রং বললে ভুল হবে বিভিন্ন রংয়ের ছোঁয়া। এক দেখাতেই যে কারো মনে হবে এ যেনো রংয়ের মেলা। এ পৃথিবীর আলাদা কোনো এক রঙ্গিন দুনিয়া।

কিন্তু বাম দিকের পুরো বাসাটাতেই আকাশী-সাদা রং লেপন করা। খোলা বারান্দার পরিবর্তে এই বাসার বারান্দা কাঁচের দেয়ালে ঢাকা। একই সাথে বারান্দায় নেই কোনো ফুলের সমারোহ। টবে ভর্তি হরেক রকমের গাছ, লতা পাতার বদলে স্থান করে নিয়েছে দামী দামী বিলাসবহুল আসবাবপত্র। খুব সাধারণ আকাশী রংয়ের বাসাটাতেও স্পষ্ট আভিজাত্যের ছোঁয়া। রংয়ের তফাৎ হওয়াতেও একই রকম অবকাঠামো হওয়াতে আবাল হতে বৃদ্ধ যে কেউ এক দেখাতেই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবে এই বাসার মালিক এক জনই। বাসার মালিকের সন্তান যে দুটো সেটাও বলে দিতে পারবে অবলিলায়।
ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নত স্থান গুলশানের নামকরা খ্যাতি অর্জিত প্রসিদ্ধ ব্যাবসায়ী বছর চারেক আগে আশির কোঠায় পা রাখা গুরুগম্ভীর প্রবীণ শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি সৈয়দ শামসুল হকের রং-বেরঙের মন ভুলানো সুবিশাল ভবনটিতে আপনাদের সু-স্বাগতম।

চলবে…..

গল্পের নামটি একটু অন্য রকম মনে হতে পারে। একটু অপেক্ষা করেন, গল্পের কাহিনীর সাথে মিল পাবেন। আর হ্যাঁ, কেমন লাগলো দুই পরিবারের সদস্যদের? জানাবেন।
💛💛💛

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here