গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ১২
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” সেতু আমার দিকে অসহায় এর মতো তাকিয়ে আছে। সেতুর দিকে লক্ষ্য না করে আমি খাবার কিনতে গেলাম। অবশ্য নিজেই রান্না করে খাই। আজকে শরীর টা ভালো ছিল না তাই রান্না করেনি।
হোটেল থেকে খাবার এনে আমি আব্বু সেতু খাইতে বসছি।
আব্বু :তুমি কী প্রতিদিন বাজারের কেনা খাবার খাউ নাকি
আমি : না আব্বু রান্না করেই খাই আজকে ভালো লাগছিল না তাই রান্না করিনি। তোমরা আসবে জানলে রান্না করতাম
আরে ভাই আমি সব কিছুই রান্না করতে পারি । এই সব কিছু রান্না আমার মা আমাকে শিখাইছে।
খাবার খেয়ে আব্বুকে রুমে দেখিয়ে দিলাম আর আমি আমার রুমে আসলা সেতু আগে থেকেই আমার রুমে গিয়ে বসে আছে।
আমার রুম টা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছি। রুমটা এমন ভাবে সাজিয়ে ছি যেটা লিখে প্রকাশ করতে পারছি।
ঘরে গিয়ে দেখি সেতু বিছানায় সুয়ে কার সাথে যেন কথা বলছে। কথা বলা দেখে জিগ্গেস করলাম বিএফ সাথে কথা বল নাকি। তখন সেতু ফোনটা রেখে
সেতু : আচ্ছা তোমার সমস্যা টা কী বলত সেদিন এহ বিএফ এর কথা আবার আজকেও বলতেছো বিএফ কথা। আমি ওতোটাও খারাপ না যে ঘরে স্বামী রেখে অন্য কারো সাথে প্রেম করব। পরবর্তীতে এরকম কথা বলবেন না।
আমি :স্বামী তো শুধু কাগজে কলমে। কিছুদিন পর তো ডিফোর্স হয়ে যাবে। ডিফোর্স এর পর পটাতে হবে তাতে সময় লাগবে। ডিফোর্স পর যেন তারাতারি বিয়ে করতে পার সেই জন্য হইতো আগেই পটিয়ে রাখছো।
আর হ্যা তোমার জন্য একটা খুশির খবর আছে। আমি উকিলের সাথে কথা বলছি কিছুদিন পরই ডিফোর্স পেপার দিয়ে দিবে। তখন আর আমার মুখ দেখতে হবে নাহ।
ডিফোর্স এর কথা শুনে সেতুর মুখটা শুখিয়ে গেছে। আর সেতুর চোখের জল এসে পরেছে। ওদিকে লক্ষ্য না রেখে বললাম সুয়ে পর রাত অনেক হয়েছে।
সেতু চুপচুাপ অন্যদিকে হয়ে সুয়ে পরল। আমিও কুলবালিশ টা জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে ঘুম থেকে ঘুম উঠে দেখি সেতু আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। জরিয়ে ধরে আছে দেখে সেতুকে ধমক দিয়ে বললাম আমাকে জরিয়ে ধরে আছো কেন
আমাকে জরিয়ে ধরে থাকতে পারো নাহ কারন আমার সন্তান জম্ম দেওয়ার ক্ষমতা।
এটা বলে ওয়াস রুমে চলে গেলাম। পরে সেতু রান্না করল আমি বসে থেকে ফোন চাপলাম। খাবার খেয়ে আমি অফিসের জন্য বের হলাম আর আব্বু বলল চলে যাবে তাই তাকে গাড়িতে উঠাই দিতে বাসস্টানে গেলাম। আব্বুকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি অফিসে চলে গেলাম। অফিসে যাইতে দেরি হয়ছে।
অফিসে গিয়ে ডেস্কে গিয়ে বসতে বসতে পিয়ন এসে বলে গেল ম্যাডাম যাইতে বলছে। ম্যাডাম অনেকদিন পর আসল। পরে গেলাম জিয়ে নামধরে ডাক দিলাম।
আমি : আফরিন কেমন আছো
আফরিন : ভালো। তুমি কেমন আছো আর অফিসে আসতে দেরি করলা যে
আমি : আব্বু সেতুকে রাখতে এসেছিল আমি আববুকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসলাম সেই জন্য দেরি হলো।
আফরিন : ওহ তোমার বউ এসেছে। কালকে আমার জম্মদিন সেই জন্য আসছিলাম তোমাকে দাওয়াত দিতে তো সেতূকে নিয়ে চলে যাবা আমাদের বাড়িত না গেলে কিন্তু আমি কেক কাটবো না বলে দিলাম ।
আমি : আরে তোমার জম্ম দিনে আমি না যাই আমিই তো আগেই যাবো।
আফরিন : হা হা হা হি
আমি : হাসিটা অনেক সুন্দর
আফরিন :ঘরে বউ রেখে আরেকজন ইমপ্রেস করার চেষ্টা নাকি শুভ সাহেব
আমি : না। যেটা সত্যি ওটাই বললাম
আফরিন :হুমম
আমি : আমি তাহলে কাজ আছে
আফরিন : ঠিক আছে যাও
পরে এসে কাজ করতে লাগলাম কাজ করা শেষ করে দুপুর টাইম হয়ছে। তখন ফোনটা বেজে উঠল। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি সেতু কল দিছে।রিসিভ করার ইচ্ছা না থাকা শর্তেও কলটা রিসিভ করলাম
আমি :হ্যালো কে
সেতু :আমি
আমি :হুম ফোন দিছ কেন?
সেতু :দুপুরের খাবার খাইছো।
আমি :খাইলেই কী আর আর না খাইলে কী
সেতু : আমার অনেক কিছু ।
আমি : তোমার সাথে কথা বলার সময় নাই।
এটা বলে ফোন টা কেটে দিলাম। আপনারা ভাবছেন সেতুর সাথে এরকম ভাবে কথা বলছি কেন?সেতু যেদিন আমাকে মরে যাওয়ার কথা বলেছে সেদিন থেকে সেতু আমার মন থেকে উঠে।
মনে থেকে একবার ঊঠে গেলে ঐ মনে ঐ মানুষটিকে বসানো যায় না।
দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কাজ করা শুরু করলাম।কাজ শেষ করে বাড়িতে গেলাম। যাওয়ার পর সেথুকে বললাম আমি কিছু কেনা কাটা করে যাব। তোমার কী কিছু লাগবে
সেতু : হুম আমি একটা নতুন ড্রেস কিনবো।
আমি : আমি ফ্রেস হয়ে আসতে আসতে তুমি রেডি হও
আমি ফ্রেস হয়ে এসে দেখি সেতু সুন্দর করে সেজে বসে আছে। সেতুকে ঠিক হলুদ পরীর মতো লাগছে।
সেতুর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি সেতু বলল ঐরকম করে তাকিয়ে থাকলে আমি ক্ষয় যাব
পরে আমার হুস ফিরল। আমিও রেডি হয়ে বাইরে এসে রিক্সা এর জন্য দারিয়ে আছি তখনি একটা রিক্সা থেকে ভার্সিটির ভালো একটা বান্ধবী নেমে এসে জরিয়ে ধরে বলল। দোস্ত কী খবর কেমন আছিস। তোর তো খুজ পাওয়া যাই নাহ
আমি :এরকম ভাবে কেউ জরিয়ে ধরে নাকি। মানূষ দেখলে কীভাববে
সেতুর দিকে তাকিয়ে সেতু তো পুরাই আগুনের মতো গরম হয়ে আছে।এর মধ্যই সেতু বলে উঠল
সেতু :……
(চলবে)