প্রেম_হয়ে_এলি_তুই #লেখিকা : #ohona_akther #পর্ব: ১০#বোনাস_পার্ট

0
85

#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#পর্ব: ১০#বোনাস_পার্ট

🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ ~

একমাত্র জামাইয়ের এই করুন অবস্থা দেখে আমজাদ আলম ল’জ্জা পেয়ে গেলেন। তিনি আরশের কাছে গিয়ে বললেন-
” আমি সত্যিই অনুতপ্ত বাবা। তুমি কিছু মনে করোনা। আসলে কিছুদিন টানা বৃষ্টি ছিল তো তাই কাঁদা এখনো শুকায়নি। তোমরা আমাকে কল দিয়েও তো জানাতে পারতে। নিজে নিজে কেনো গাড়ি ধাক্কা দিতে গেলে। ”

আমজাদ আলম অবনিকে উদ্দেশ্য করে বলল –
”.অবনি মা মোটরটি এনে জামাই বাবাকে গোসলের ব্যবস্থা করে দে। ”

__________________

আরশ ফ্রেশ হয়ে বিছানায় পিঠ এলিয়ে দিলো। রাজ্যের ক্লান্তি তাকে ঘিরে ধরলো। চোখে নেমে এলো রাজ্যের ঘুম। যখন ঘুম ভা’ঙ্গ’লো দেখতে পেলো অবনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চোখে কাজল দিচ্ছে। অবনির কোমড় অবধি লম্বা চুল থেকে টুপ টুপ করে পানি ঝরছে। ভেজা চুলে অবনিকে সদ্য ফোঁটা গোলাপের মতো লাগছে। আরশ অবনির দিকে বি’ভো’র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আচমকা অবনির দৃষ্টি পড়লো আরশের দিকে। আরশকে এভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবনি পেছনে ঘুরে আরশের দিকে প্রশ্ন ছুড়লো-
” কি ব্যাপার! আপনি এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেনো? ”

” তোমাকে খুব.. ”

” আমাকে খুব কি! ”

” কিভাবে যে বলবো বুঝতে পারছিনা। ”

” কি এমন বলবেন যে বুঝতে পারছেন না। ”

” অবনি তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। ”

” ওরে বাবা! ভুতের মুখে রাম রাম! এই আপনার মতলব কি বলুন তো। এতো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছেন। ”

আরশ থতমত খেয়ে বলল-
” আমার আবার কিসের মতলব হবে। ”

” আপনার কথাবার্তা তো সুবিধাজনক নয় নিশ্চয়ই কোনো একটা মতলব আছে। যেই লোক সারাক্ষণ আমাকে পেত্নী ছাড়া কথাই বলেনা সে যদি এতো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তাহলে তো নিশ্চয়ই কোনো গন্ডগোল আছে। কথায় আছেনা অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ”

” যাহ বাবা! সব সময় সুন্দর বলিনা বলে যে কখনো বলতেও পারবেনা এমন তো কোনো কথা নেই তাইনা! সুন্দরকে তো সুন্দর বলতেই হবে। ”

” হুমম, ভালোই মিষ্টি কথা জানেন দেখছি। তবে মিষ্টি কথায় সবসময় ছিঁড়া ভিজে না৷ ”

কিছুক্ষণ পিনপতন নীরবতা ভেঙ্গে আরশ অবনিকে উদ্দেশ্য করে বলল-
” তোমার মোবাইলের পাসওয়ার্ডটা বলো তো। ”

আরশের এমন দ্বারা কথায় অবনি পুরো বোকা বনে গেলো। অবনি অদ্ভুত চাহনি দিয়ে আরশকে জিজ্ঞেস করলো –

” কেনো বলুন তো? আপনি সবকিছু ছেড়ে এখন আমার মোবাইল নিয়ে পড়লেন কেনো! ”

আরশ আমতা আমতা করে বলল-
” ককেনো আবার এমনিই। কেনো আমি কি তোমার মোবাইল হাতে নিতে পারিনা! ”

অবনি আরশের হাত থেকে নিজের মোবাইলটা টেনে নিয়ে বলল-
” নাহ! পারেন না। আর শুনুন না আপনি আমাকে বউ বলে মানেন আর না আমি আপনাকে বর বলে মানি। সো একদম নেকামি করে আমার বর সাজার চেষ্টা করবেন না হুহ৷ ”
কথাটা বলে অবনি ভেংচি কেটে মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
অবনির এমন কাজে আরশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো৷

” আশ্চর্য এখানে বর সাজার কি আছে। আমি জাস্ট তোমার মোবাইলটা চেয়েছি এর সাথে বর সাজার আর নেকামি করার কি সম্পর্ক! ”

” কেনো? বাই এনি চান্স আপনি কি আমার প্রেমে পড়েছেন! এখন আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা তা চেক করতে চাইছেন? ”

” শাট আপ! ইডিয়ট, আমি জাস্ট আমার কাঁদা মাখা পিকটা ডিলিট…. ”
একনাগারে এটুকু বলে আরশ থেমে গেলো। আর মনে মনে নিজেই নিজেকে বকাবকি করছে। কারন অবনি যদি তার দূর্বলতাটা বুঝে ফেলে তাহলে তো রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করবে সবকিছুতে। ওই যে কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।

আরশের কথা শুনে অবনির আর বুঝতে বাকি রইলোনা আরশের এতো মিষ্টি কথার কারন৷ অবনি বলল-
” ওওও আচ্ছা আচ্ছা৷ এজন্যই এতোক্ষণ এতো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছিলেন৷ যাক একদিক থেকে ভালোই হলো৷ ছবিটা তো আমি ভুলেও ডিলিট করছিনা৷ ভবিষ্যতে কাজে লাগব। ” কথাটা বলে অবনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here