প্রেম_হয়ে_এলি_তুই #লেখিকা : #ohona_akther #পর্ব : ২৪

0
76

#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#পর্ব : ২৪

🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ ~

আরশ ভ্রু কুঁচকে চিরকুটটি হাতে নিলো। চিরকুটে লেখা রয়েছে।

প্রিয় স্যার,
স্যার বলে সম্বোধন করছি কারন আমি চাইনা আমাদের মাঝে আর বৈবাহিক সম্পর্ক থাকুক। আমার কারো উপর কোনো অভিযোগ নেই। আমি জানি এ বাড়ির কেউ আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। সব সময় শুনতে হয়েছে আমি লোভী, সম্পত্তির জন্য আপনাকে বিয়ে করেছি। এই ব্যাপারটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়৷ আমি চাইনা আমার জন্য আপনি আপনার পরিবার থেকে আলাদা হোন। সবাই আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলুক নতুন বাড়ির লোভে আমি আপনাকে পরিবার ছাড়া করেছি। বিশ্বাস করুন এই কথা গুলো আমি আর নিতে পারবোনা। আপনাকে ভালোবাসার জন্য আপনার পরিবারের মানুষজন রয়েছে, তাদের সকলের ভালোবাসার মাঝে আমার শূন্যতা খুব একটা অনুভব হবে না আপনার। আমি গরীব ঘরের মেয়ে। ওতো বড় বাড়িতে থাকার অভ্যাস আমার নেই তাই আমার বাবার রেখে যাওয়া ছোট ঘরটাতেই জীবনের শেষ অবধি থাকতে চাই। আপনি প্লিজ আমাকে নিতে আসবেন না। আমার দিব্যি রইলো। মাকে বলবেন তার মনের মতো একটা মেয়ে খুঁজে খান বাড়ির যোগ্য বউ বানিয়ে আনতে। যে সবার মনের মতো হবে, আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে। আমি জানি প্রথম প্রথম আপনার আমার জন্য কিছুটা কষ্ট হবে। কিন্তু যখন আপনার জীবনে নতুন কেউ আসবে তখন সব ঠিক হয়ে যাবে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আমার সালাম নিবেন।

ইতি,
অবনিকা~

আরশ শক্ত হাতে চিরকুটটা মুচড়ে ফেলে দিলো। তারপর কোথায় যেনো বেরিয়ে পড়লো।
.
অন্ধকার রুমে আধমরা হয়ে আছে চৈতী৷ হাত পা চেয়ারের সাথে বাঁধা৷ চোখে মুখে পানির ছিটে দিতেই জ্ঞান ফিরে চৈতীর৷ ঠোঁট নেড়ে কি যেনো বলছে। চৈতী কোনো মতে পানি খাওয়ার কথা বলছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে তার। চৈতী চোখ মেলে সবকিছু ঝাপসা লাগছে তার৷ সামনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ পরখ করে চেয়ে দেখলো আরশ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আরশের চোখ হালকা লাল হয়ে আছে। চৈতী কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল-

” আআরশ ততুই এসেছিস? আমায় মাপ করে দে আরশ। আমাকে এখান থেকে নিয়ে চল। এরা নকল পুলিশ। জেলে নেওয়ার কথা বলে আমাকে এখানে তুলে এনেছে। এরা আমাকে মেরে ফেলবে আরশ। তুই আমাকে বাঁচা প্লিজ। আচ্ছা তুই কিভাবে জানলি আমি এখানে আছি?”

চৈতীর কথা শুনে আরশ হো হো করে জোরে জোরে হাসতে শুরু করলো। আরশ হাসি থামিয়ে শীতল কণ্ঠে আস্তে করে বলল-

” এই ব্রেইন নিয়ে আরশ খানের পেছনে লাগতে এসেছিস? তোর মাথায় একটুও ঘিলু নেই? তুই ভাবলি কিভাবে আমি তোকে এতো সহজে পুলিশের হাতে ছেড়ে দিবো? পুলিশ কি বিচার করবে তোর? পুলিশ যদি বিচার করেও তোর মনে হয় এতে আমার আত্মা শান্তি পাবে? ”

চৈতী চমকিত হয়ে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে বলল-

” মানে? ”

আরশ এবার চোয়াল শক্ত করে শক্ত কন্ঠে বলল-

” মানে তোকে আমি তিলে তিলে মারবো। এটা আমার আদালত। তবে আজ পর্যন্ত কোনো নিরপরাধ মানুষকে মারিনি। এটা শুধু তোদের মতো জা’নোয়ারদের মৃ’ত্যু’পু’রী। তোর মৃত্যু তোকে এখানে টেনে এনেছে। ”

আরশের কথা শুনে চৈতীর অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল। শেষ পর্যন্ত কি তার লোভের জন্য তাকে মৃত্যু বরন করতে হবে? ” লোভে পাপা, পাপে মৃত্যু ” প্রবাদটি কি তার জন্যই লেখা হয়েছে?

চৈতীর ভাবনার ছেদ ঘটে আরশের কথায়। আরশকে একটা ছেলেকে বলল-
” জোভান লাইটটা অন কর। আমি নিজে দেখতে চাই ওর শরীরে কতোটুকু কালো দা’গ পড়েছে, দা’গ গুলো যেনো অবনির চোখের নিচে পড়া কালো দা’গের চেয়েও অধিক হয়। ”

আরশের কথা অনুযায়ী জোভান লাইট অন করতেই দেখলো সত্যিই চৈতীকে বেদম পিটিয়েছে। পুরো শরীরে কালশিটে দা’গ পড়ে গেছে। যা দেখে আরশের আত্মা কিছুটা শান্তি পেয়েছে। আরশ জোভানকে বলল-

” একে টু’ক’রো টু’ক’রো নদীতে বাসিয়ে দে। এসব জানোয়ারদের পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার নেই। ”

চৈতী এবার থরথর করে কাঁপতে শুরু করলো। চৈতী ভয়ার্ত কন্ঠে বলল-
” প্লিজ আরশ আমাকে মাপ করে দে। তুই যা বলবি আমি তাই শুনবো। প্লিজ আমাকে প্রানে মারিস না। ”

” মাপ! তাও আবার তোকে? মেঘনা অবনিকে সামান্য ছোট করে কথা বলায় আমি তার হা পা ভেঙ্গে দিয়েছি আর তুই! তুই তো আমার অবনির জীবনটাকে মাত্র দুইমাসে নরক বানিয়ে দিয়েছিস। তারপরও তোর মনে হয় আমি তোকে ছেড়ে দিবো? সেদিন আমাকে পাহাড় থেকে খাদে ফেলে দেওয়ার সময় কি যেনো বলছিলি? আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো অবনিকে বিয়ে করা। অবনিকে ছেড়ে যদি তোকে বিয়ে করতাম তাহলে আমাকে আমাকে মরতে হতো না৷ এবার অবনির সুখের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবি তুই! আর তা আমি মরেও শান্তি পাবোনা। তুই ঠিকই বলেছিস। আমি সত্যিই শান্তি পাইনি৷ বিশ্বাস কর, যখন আমি কোমায় ছিলাম তখন আমার শরীরের প্রতিটি শিরা, উপশিরা আমাকে তাড়া করে বলছিলো ওঠ আরশ ওঠ। তোর অবনি ভালো নেই। তোর অবনির পাশে কেউ নেই। তার এই মুহূর্তে খুব বেশি প্রয়োজন। তোর প্রতি, অবনির প্রতি যারা এরকম অন্যায় করেছে তাদের চরম শাস্তির প্রয়োজন। তোদের মতো সয়তানদের শাস্তি দিতেই আমার ফিরে আসা। যদি তোদের শাস্তিই দিতে না পারি তাহলে তো আমার আত্মাটা সত্যিই শান্তি পাবেনা। তোদের মতো জানোয়ারের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যু। ”

আরশ পেছন ঘুরে অনামিকা আঙ্গুল আর বুড়ো আঙ্গুল কপালে স্পর্শ করে আবার চৈতী সামনে চেয়ার টেনে বসে বলল-
” পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত কোনটি জানিস? আপন মানুষের বিশ্বাসঘাতকতা। আমি কখনো ভাবতেই পারিনি বিদ্যুৎ তোর মতো একটা নিচু মেন্টালিটির মেয়ের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে পেছন থেকে এভাবে ছুরি মারবে। একটা কথা কি জানিস? বিশ্বাসঘাতকতার সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এটা কখনো শত্রুদের কাছে থেকে আসেনা৷ আজ যদি বিদ্যুৎতের জায়গায় তুই বা মেঘনা কিছু করতি আমি ওতোটা কষ্ট পেতাম না। সবচেয়ে বিষাক্ত কিছু মানুষ বন্ধুর ছদ্মবেশে আসে। একজন নকল বন্ধু পাঁচজন শত্রুর চেয়েও বেশি ভয়ংকর। বিদ্যুৎ আমার ছায়া সঙ্গী ছিলো। কথায় আছেনা অন্ধকারে থাকলে ছায়াও ছেড়ে চলে যায়। বিশ্বাসঘাতকতা হলো হৃদয়ের গভীরতম ক্ষত। ”

কথাগুলো বলে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো আরশের। আড়ালে চোখের পানি মুছে নিলো আরশ। পৃথিবীতে এই একটা জিনিস মানুষকে খুব কষ্ট দেয়। বেস্টফ্রেন্ডের দেওয়া কষ্ট মানুষকে খুব কাঁদায়। যখন নিজের বেস্টফ্রেন্ড নিজের সাথে বেইমানী করে তখন মানুষ নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।

আরশ নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল-

” বাই দ্যা ওয়ে তোর হ্যাল্পিং হ্যান্ড কোথায়? তুই এতো কষ্টের মধ্যে আছিস অথচ তোর হ্যাল্পিং হ্যান্ড তোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে আড়ালে লেজ গুটিয়ে বসে আছে! ”

তখনই পেছন থেকে আওয়াজ এলো-

” আর যাই হোক লেজ গুটিয়ে পালানোর মতো লোক আমি নই। ”
.
পেছন থেকে আওয়াজ পেয়ে আরশ পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো বিদ্যুৎ তার দিকে বন্ধুক তাক করে দেখেছে। আরশ বিদ্যুৎকে নিরেট কন্ঠে বলল-
” বাহ! নিজে থেকেই দেখছি ধরা দিয়েছিস। ”

” তো কি ভেবেছিলি তোর মতো লুকিয়ে ছদ্মবেশ ধরে নিজেকে আড়াল করবো! ”

” আড়ালে থাকলেই প্রানে বেঁচে থাকতি। মৃত্যুর ভয় নেই তোর? ”

” মৃত্যুর ভয় আমার নয় তোর হওয়া উচিত কারন এখন তোর সাথে যা হতে চলেছে তুই ভাবতেও পারছিস না৷ ”

” মানে? কি বলতে চাইছিস পরিষ্কার করে বল?”

” সবটাই পরিষ্কার। একটু ব্রেইন খাটালেই বুঝে যেতিস। তারপরও যখন বুঝতে পারছিসনা কি আর করার আমিই বলছি। তোর সকল লোক কে আমি কিনে নিয়েছি। এমনকি তোর সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক জোভান কেও। ”
কথাটা বলে ডেবিল স্মাইল দিলো বিদ্যুৎ। এদিকে আরশ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল-

” ননা। এটা হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করিনা। জোভান বিদ্যুৎ যা বলছে তা কি সত্যি? কি হলো বল? ”

জোভান বিদ্যুৎতের পাশে দাঁড়িয়ে বলল-
” হ্যাঁ ভাই। এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই। আম সরি ভাই৷ কিন্তু কি করবো বলো? দুনিয়াটাই টাকার পাগল৷ বিদ্যুৎ ভাই দেশে তার যতো সম্পত্তি আছে সব আমার নামে লিখে দিয়েছে। এমনকি তার বাংলাদেশের বিজনেসটাও এখন আমার। তোমাকে খুন করার পর তিনি লন্ডনে শিফট করবে৷ আর এদেশে রাজত্ব করবো আমি। তোমার হয়ে কাজ করলে তো আমায় সারাজীবন কর্মচারী হয়েই থাকতে হবে। ”

” না জোভান তুই এটা করতে পারিসনা। এতো বড় বিশ্বাসঘাতকতা তুই অন্তত আমার সাথে করতে পারিস না। তাহলে পৃথিবী থেকে বিশ্বাস নামক শব্দটাই মুছে যাবে। ”

আরশের এতো করুন অবস্থা দেখে চৈতীর চোখে মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
.
বিদ্যুৎ আরশকে বলল-
” সো সেড আরশ। কাউকে বিশ্বাস করা ভালো কিন্তু একেবারে অন্ধবিশ্বাস করা ভালো নয়। তোর প্রমান চাই তাই তো! বেশ, আজ তোকে আমি মারবো না। তোর বিশ্বস্ত হাত জোভানই মারবে। ”
কথাটা বলে বিদ্যুৎ হাতের বন্ধুকটি মাটিতে ফেলে দিয়ে জোভানকে উদ্দেশ্য করে বলল-
” জোভান তোমার প্রানপ্রিয় ভাইকে একটু প্রমান দিয়ে দাও তো ও আবার প্রমান ছাড়া কোনো কিছুতে বিশ্বাস করেনা। ”

বিদ্যুৎ বলতে দেরী হলো জোভানের আরশের বুকে গুলি চালাতে দেরী হলোনা। গুলি করার সাথে সাথেই আরশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। আরশ কাতরাতে কাতরাতে বলল-
” তুই আমার সাথে এটা করতে পারলি জোভান? ”

বিদ্যুৎ আরশের কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে বলল-
” আমাদের জীবনে এমন অনেক কিছুই থাকে যা আমরা ভাবিনা কিন্তু হয়ে যায়। ”

আরশ নিভু নিভু চোখে বলল-
” কোনো আমার সাথে এমনটা করলি বিদ্যুৎ? তুই তো আমার বেস্টফ্রেন্ড ছিলি। তাহলে আজ কেনো এতোটা প্লাটে গেলি? ”

বিদ্যুৎ তখন শক্ত কন্ঠে বলল-
” আজ নয় তোর প্রতি আমার ক্ষোভটা সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিলো। যেদিন তোর জন্য আমার বোন মরে গেছে। খুব সাধু পুরুষ সেজেছিলিনা তুই? বাবা মা হারিয়ে বোন ছিল আমার একমাত্র বেঁচে থাকার সম্বল। কি দোষ ছিলো আমার বোনটার বল? তোকে ভালোবাসাটাই তার অপরাধ ছিলো? আমার বোনটাকে ভালোবাসলে কি এমন ক্ষতি হতো তোর? কিন্তু তুই কি করলি! যেই বোনটার জীবনে কোনো আবদার আমি ফেলিনি সেই বোনকে তুই ধমকে ধামকে রিজেক্ট করে দিলি। সেটা সহ্য করতে না পেরে বোনটা আমার সুইসাইড করলো। সেদিনই আমি প্রতিঞ্জা করেছিলাম আমি ভয়ংকর প্রতিশোধ নিবো। আমি তোকে তোর ভালোবাসার মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দিবো। আর আমি যখন জানলাম তুই অবনিকে ভালোবাসিস তখনই ভেবে নিয়েছি আমার সেই আশা খুব শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। কৌশলে অবনিকে বোনু ডাকলাম যাতে আমার মনের ক্ষতটা তাজা থাকে। তুই কি ভেবেছিলি তোর বিয়ের সময় আমি বিজনেসের কাজে বাইরে গেছিলাম। নো ব্রো আমার বোনের বদলে অন্য কোনো মেয়েকে তোর পাশে সহ্য করবোনা বলেই সরে গেছি। একবার ভেবেছিলাম অবনিকে দূরে সরিয়ে দিবো। কিন্তু পরে ভাবলাম ওর তো কোনো দোষ নেই। তোর করা ভুলের শাস্তি ও কেনো পাবে। আমার বোনের আত্মাটা এতোদিন শান্তি পায়নি। তুই মরে গেলেই আমার বোনের অতৃপ্ত আত্মা শান্তি পাবে। সেই সাথে আজ থেকে আমার শান্তির ঘুমটাও হবে। কতো রাত যে নির্ঘুম কাটিয়েছি হিসেব নেই। যা মরার আগে তোর শেষ ইচ্ছেটা পূর্ন করে দিলাম। গুড বাই। ”

কথাটা বলে বিদ্যুৎ জোভানের কাছে এসে বলল-

” তুমি আমার প্রতিশোধ পূর্ন করতে সহায়তা করেছো। তুমিও আজ প্রমান করে দিলে টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও লোভ সামলাতে পারে না। ”

বিদ্যুৎ হঠাৎ পেছন থেকে শুনতে ফেলো
” সবাইকে নিজের মতো বিশ্বাসঘাতক ভাবা বন্ধ কর। ”

কথাটা শুনে বিদ্যুৎ চমক পেছনে তাকালো।

#চলবে

( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গঠনমূলক মন্তব্য চাই। এরকম একটা সয়তান বেস্টফ্রেন্ড আমারও ছিলো। সত্যিই বেস্টফ্রেন্ড বিশ্বাসঘাতকতা মানুষকে খুব কষ্ট দেয়। 🙂💔)
আমার গ্রুপ 👇
https://facebook.com/groups/834251051795835/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here