#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#পর্ব : ২৬ 🦋( সারপ্রাইজ ) 🦋
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ ~
” কেনো এতো ভালোবাসেন আমায়? ”
” জানি না। শুধু এটুকু জানি আমার শুধু তোমাকেই লাগবে। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি আমার তোমাকে চাই। সুখে দুঃখে তোমাকে চাই। মন খা’রাপে তোমাকে চাই। ভালো থাকার জন্য তোমাকে চাই। আমার শুধু তোমাকেই চাই। ”
__________________
বাড়ির সকলে সোফায় বসে আছে। সকলের চোখে মুখে চিন্তার চাপ। সকাল থেকে আরশ অবনি বাসায় নেই। ফোনেও ট্রাই করেছে কয়েকবার কিন্তু লাভ হয়নি। প্রিয়া খান আকবর খান কে বলল-
” আরেকবার একটু ট্রাই করে দেখোনা। কোথাও গেছে ওরা? এবার আমার সত্যিই খুব টেনশন হচ্ছে। মায়ের শরীরটাও তো খারাপ হয়ে গেছে। হবে নাই-বা কেনো? ছেলে মেয়ে দুটো কোথায় গেলো? এই বৃষ্টিতে কোথায় আাছে কি করছে একটা ফোন দিয়েও কি জানাবে না আমাদের? আমরা যে টেনশনে থাকি ওরা কি বুঝতে পারেনা? ”
আকবর খান প্রয়া খানকে থামিয়ে বলল-
” আচ্ছা আচ্ছা তুমি শান্ত হও। আমি আবারও ট্রাই করছি। ”
এবার কল করার সাথে সাথে রিং ভেজে উঠলো। আরশ কল রিসিভ করতেই আকবর খান হুলুস্থুল হয়ে বলল-
” কিরে তুই? সেই সকাল থেকে কল দিয়ে যাচ্ছি। ফোন তুলিসনি কেনো? আমরা সবাই মিলে কতোটা টেনশনে ছিলাম তার ধারনা আছে তোদের। সকাল সকাল দুজন একসাথে কোথায় হাওয়া হলে গেলি? তোর দাদু আর মা তো নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তোর দাদুও অসুস্থ হয়ে পড়েছে তোদের চিন্তায়। ”
” উফফ বাবা চিন্তার কি আছে? আমি বাচ্চা ছেলে নই যে আমার কিছু হয়ে যাবে। আমি একটা কাজে বেরিয়েছিলাম। আর অবনি বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। আমি বর্তমানে অবনিদের বাড়িতেই আছি৷ তোমরা শুধু শুধু টেনশন করোনা। সবাইকে বলে দাও আমরা ঠিক আছি। যাতে টেনশন না করে। এখন রাখছি আমি খুব টায়ার্ড। পড়ে কথা হবে। আল্লাহ হাফিজ। ”
কথাটা বলতে গিয়ে আরশ পাঁচ / ছয়টা হাঁচি দিয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে গেছে দুজনেরই।
প্রিয়া খান আকবর খান কে বলল-
” দেখি কলটা এদিকে দাও। আমি একটু কথা বলি। ”
আকবর খান মলিন কন্ঠে বলল-
” কল রেখে দিয়েছে। বলেছে পড়ে কথা বলবে। ”
” পড়ে কথা বলবে মানে? ওরা কোথায় বাড়ি ফিরবে কখন? অবনি কোথায়? ”
” দুজন একসাথেই আছে। তবে…..”
” তবে কি? ”
” অবনি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে ওদের বাড়িতে। আমরা মেয়েটার সাথে যা করেছি হয়তো অভিমান করেই চলে গেছে। সহজে ফিরবে বলে মনে হয়না। ”
কথাটা শুনে প্রিয়া খান ধপ করে বসে পড়লো।
নিজেদের দোষেই তো আজ এরকম হলো। এজন্য সামান্য সন্দেহের উপর ভিত্তি করে কাউকে দোষারোপ করতে নেই। আর জীবনে এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যার জন্য পরে আপসোস করতে হয়।
অবনি দুই কাপ চা বানিয়ে আনলো। দুজন একসাথে চা খেয়ে নিলো যাতে ঠান্ডা ভালো হয়ে যায়।
★★★
আরো দুই মাস কেটে গেছে। এই দুই মাসে আরশের পরিবারের সকলে অনেক চেষ্টা করেছে অবনিকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে।
.
আরশ অফিসে গেছে। অবনি এখন আর অফিসে জব করেনা। কার জন্য করবে? তার বাবাই তো আর পৃথিবীতে নেই। অবনি আর রুপা একসাথে শপিংমলে গেছে। হঠাৎ অবনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। আজ কয়দিন থেকেই অবনির শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। মাথা ঘুরাচ্ছে সাথে বমি বমি ভাবও রয়েছে। আরশ আর রুপা দুজনই অবনিকে বকাবকি করছিলো খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করেনা কেনো? খাবার খেতে গেলেই অবনির বমি পায়। কিন্তু এখন আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় রুপা ভয় পেয়ে যায়। রুপা অবনিকে দ্রুতে হসপিটালে নিয়ে গেলো। আরশকে কল দিয়েছিলো কিন্তু মোবাইল সুইচ অফ ছিলো। কিছুক্ষণ পর রিপোর্ট হাতে পেতেই রুপা চোখ মুখ খুশিতে চিক চিক করে উঠলো। রুপা ইয়েএএ বলে দৌড়ে অবনির কাছে গেলো। অবনির জ্ঞান ফিরতেই রুপা অবনিকে জড়িয়ে ধরে বলল-
” কংগ্রাচুলেশন পুচকুর মা৷ আমাকে এতো তাড়াতাড়ি খালামনি বানানোর জন্য। এবার তাড়াতাড়ি আমাদের জন্য মিষ্টির ব্যবস্থা করো।”
রুপার কথা শুনে অবনি বোকা বনে গেলো। অবনি অবাক হয়ে বলল-
” এই কিসব বলছিস তুই? কিসের মিষ্টি? কে পুচকুর মা? ”
” কে আবার তুমি। এই নাও রিপোর্ট দেখো। ”
রিপোর্ট হাতে নিয়ে অবনি চোখ ভিজে গেছে। ছলছল চোখে রিপোর্টটি দেখলো। অবনির তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু না এখন তাকে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। রুপা আর অবনি বাসায় চলে এলো। অবনিকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে রুপা চলে আসে। রুপা চলে আসার পর অবনি বসে বসে ভাবছে কিভাবে আরশকে কথাটা জানাবে।
#চলবে
( আজকে গল্প লেখার সময় পাইনি। 🥲 তবুও তোমরা অনেকে অপেক্ষায় থাকো। তাই দিয়ে দিলাম। 🥹 )
আমার গ্রুপ : https://facebook.com/groups/834251051795835/